৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৫)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আলাইকুম।
আমি মোঃ জহির আব্বাস আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আয়োজনের পঞ্চম পর্ব নিয়ে। এতদিন ধরে গত চারটি পর্বে আমি যথাক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের চলমান প্রস্তুতিতে এ পরামর্শগুলো কাজে লাগবে। এ দীর্ঘ আলোচনা হতে যদি আপনাদের একবিন্দুও উপকার হয় তাহলে আমার কষ্ট আর পরিশ্রম সার্থক হবে। আজ এ পর্বে আলোচনা করছি "বাংলাদেশ বিষয়াবলি" -র রিটেনের প্রস্তুতি নিয়ে।
বিসিএস রিটেনে ভালো নম্বর তোলার বিশাল এক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষায়। কারণ একটু চিন্তা করলে বুঝবেন যে, এ দুটি পরীক্ষার খাতা যিনি কাটবেন তিনি আপনার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই করার সময়/সুযোগ পাবেন না। বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মত বিষয়ের পরীক্ষক ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাঁদের আপনি গ্রামারের নতুন নিয়ম বা গণিতের নতুন সূত্র বানিয়ে ফাঁকি দিতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষার পরীক্ষককে আপনি নতুন নতুন তথ্য, উপাত্ত, চিত্র, ছক, কোটেশন প্রভৃতি দিয়ে খুশি করে দিতে পারেন। একটা প্রশ্নের উত্তরে আপনি যে তথ্যটা দিয়েছেন সেটা হয়তো ওনার জানা নাও থাকতে পারে। সে সুযোগটা নিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে বানিয়ে বানিয়ে তথ্য দিয়ে আপনার লেখাকে অন্যদের লেখা হতে আলাদা করে নিতে পারেন। তবে, আমার এ কথা শুনে খুশিত আত্বহারা হবার উপায় নেই। কারণ পিএসসি প্রশ্ন করার সময় আপনাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে সবসময়। সে ফাঁদটা হলো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য। পরীক্ষার হলের চার/তিন ঘণ্টার ক্রিয়া-কৌশল ঠিক করে দিবে আপনি ভালো নম্বর পাচ্ছেন কিনা। পরীক্ষায় খারাপ করলে কেউ আর বুঝবেনা যে আপনি সারা দিনরাত পড়াশুনা করেছেন। তখন সবাই মনে করবে আপনি পড়েন নি তাই পাশ করেননি। কিন্তু সমস্যা আপনার পড়ায় ছিলোনা, সমস্যা ছিলো পরীক্ষা নিয়ে ভালো পরিকল্পনার অভাব। বলা হয়ে থাকে একটি ভালো পরিকল্পনা কোনো কাজকে অর্ধেক এগিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি আর আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি রিটেন সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিলো ৩৫ তম বিসিএস থেকে। এবার ৩৮ তম বিসিএসে বাংলাদেশ বিষয়াবলির রিটেন পরীক্ষায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বর রাখার কথা বলেছে পিএসসি। সে হিসেবে নতুন সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন হয়তো আপনারা পেতে যাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন হলে আপনার জন্য ভালই হবে। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার আর আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কম/বেশি জানি। প্রিলি প্রস্তুতি নেবার সময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছেন। এই একটি অধ্যায় থেকে ৫০ নম্বর পাওয়াটা তাই আপনাদের জন্য ভালোই হয়েছে। এবার আসুন বিষয়ভিত্তিক মূল কথাগুলো বলি।
বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০, সময় ৪ ঘণ্টা। সে হিসেবে প্রতিটা নম্বরের জন্য সময় পাচ্ছেন ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড বা প্রায় ১ মিনিট। একনজরে দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে এ বিষয়ে কেমন প্রশ্ন হয়েছিলো।
৩৫ তম বিসিএসে ৩৬ টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৮টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, তাও প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৬ তম বিসিএসে ৩৬টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, প্রতিটা ৫ নম্বর করে। অর্থাৎ আমরা তো বলতেই পারি যে ৩৫ ও ৩৬ বিসিএসে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়েছিলো ৪ ঘণ্টায়।
৩৭ তম বিসিএসে এসে এ ধারায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। এখানে ছোট/বড় ১৭টি প্রশ্ন দেয়া হয় মোট ১৮০ নম্বরের জন্য আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয় প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৫ তম বিসিএসে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর ৪ ঘণ্টায় করতে গিয়ে অনেকে ফুল আনসার করে আসতে পারেনি। এর করণ হলো ৪০টি প্রশ্ন লিখার মতো প্রস্তুতি পরীক্ষার্থীদের তখন ছিলোনা। আর কেউ ধারণাও করতে পারেনি যে এতগুলো প্রশ্ন হবে। ৩৬ এ আমরা এ ধারার সাথে পরিচিত ছিলাম। আর সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ফুল আনসার করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেন দিতে গিয়ে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে এবারও হয়তো ৪০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হতে পারে। তাই আমি প্রস্তুতি ও টাইম সেটিং করে গিয়েছিলাম ৪০টি প্রশ্নের উত্তরের জন্য। পরীক্ষায় দেখলাম মূল প্রশ্ন হয়েছে ১৭ টি। কিছু প্রশ্ন ছোট/কম নম্বরের, আর কিছু বেশি নম্বরের। এমনকি একটি প্রশ্নের জন্য ২০ নম্বর পর্যন্ত ছিলো। বড় প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি কম ছিলো বলে বেশিরভাগ বড় প্রশ্ন ভালো করে লিখতে পারেনি অনেকেই। এত কথা বলছি শুধু একটা কারণে, আপনাদের এটা বুঝাতে যে, যে কোনো রকম প্রশ্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কোন ধরণের প্রশ্নে কীভাবে উত্তর করবেন, সময় কীভাবে ঠিক করবেন সে বিষয়েও আমি কথা বলবো।
আমার প্রতি পর্বে লেখায় আমি সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি সময়ের ভেতর লেখা নিয়ে। যদি পরীক্ষায় ৪০টি প্রশ্ন পান তবে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করতে সময় পাচ্ছেন প্রায় ৬ মিনিট। এ ৬ মিনিটে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেড় (১.৫) পৃষ্টা করে লিখতে পারেন। অর্থাৎ তিন পৃষ্টায় দুটি উত্তর হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি বেশি লিখতে না পারেন তবে ১ পৃষ্টা হলেও লিখলে হবে। কিছু কিছু প্রশ্ন পাবেন যার উত্তর করতে গেলে একটা রচনা লেখা হয়ে যাবে, আপনি সে উত্তরটাও দেড় পৃষ্টায় শেষ করবেন। বুঝতে পারছেন না? উদাহরণ দিচ্ছি-
৩৬ তম বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো, " বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক খেতাব প্রাপ্তি সমূহ বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নটা এভাবে উত্তর করা যেতে পারে-
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সম্প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব অর্জন করেছেন। নিম্মে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খেতাব উল্লেখ করা হলো।
১) খেতাবের শিরোনাম: দুই লাইনের বর্ণনা
২) খেতাবের নাম; কেন পেয়েছেন তার দু লাইনের বর্ণনা.....
৩)....৪).....৫).......
এর পর একলাইনের একটা উপসংহার। "উপসংহার" কথাটা লিখতে হবেনা।
আপনি হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর আরো অনেক বড় করে লিখতে পারতেন। কারণ ওনার অর্জন এত বেশি যে তা লিখলে ৩/৪ পৃষ্টা হয়ে যাবে। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে এর চেয়ে আর বেশি আপনি লিখার সুযোগ পাবেন না। বেশি লিখার লোভ থাকলেও তা সংবরন করতে হবে। এভাবে বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটা প্রশ্ন উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্ন একদম না পারলে খাতায় ১ পৃষ্টা জায়গা খালি রেখে আসুন। সব প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে ঐ প্রশ্নের উত্তর যা পারবেন তাই লিখে আসুন। ভাগ্য ভালো হলে কিছু নাম্বার পেতে পারেন। তাই বেশি লিখে ফুল আনসার করতে না পারার চেয়ে কম লিখে ফুল আনসার করাই শ্রেয়।
পরীক্ষায় যদি ৪০টি প্রশ্ন না হয়ে ৩৭ তম বিসিএসের মত ছোট বড় প্রশ্নের সমাহার হয়, তখন কী করবেন তার পরিকল্পনা এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। এ ধরণের সমস্যা আপনি খুব সহজে সমাধান করতে পারেন। প্রস্তুতি নেবার সময় যে টপিকগুলো আপনি পড়বেন সেগুলো খাতায় নোট করার সময় বড় প্রশ্নের কথাও মাথায় রেখে নোট করবেন। যেনো প্রশ্নটা বড় হলেও লেখা যায়। এখানে প্রশ্ন যদি ১০ নম্বরের জন্য হয়, তবে সময় পাবেন ১২ মিনিট। ১০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর আপনি ৩/৩.৫ পৃষ্টা লিখতে পারবেন। ৩ পৃষ্ঠা যথেষ্ট। যদি ১৫ নম্বরের প্রশ্ন হয় তবে সময় পাবেন ১৮ মিনিট, লিখতে পারবেন ৪/৪.৫ পৃষ্টা। প্রশ্ন যদি ২০ নম্বরের হয়, সময় পাবেন ২৪ মিনিট, লিখতে পারবেন ৫/৬ পৃষ্টা। শুধু পৃষ্টা গুনলে তো হবেনা। হয়তো ভাবছেন এত পৃষ্টা লেখা যাবেনা। তাই বড় প্রশ্ন ঝামেলা দিবে। আসলে বড় প্রশ্নের সুবিধাও আছে। বড় প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে লিখে লিখে পৃষ্টা শেষ করার চেয়ে তথ্য, ছক বা চিত্র দিতে পারবেন। প্রয়োজনে বানিয়ে তথ্য দেবারও সুযোগ আছে। লেখা তথ্য বহুল হলে ২০ নম্বরের প্রশ্নটা আর ৬ পৃষ্টা না হলেও চলবে। পৃষ্টা মনে রাখার চেয়ে সময়টা বেশি মনে রাখবেন। যে প্রশ্নের জন্য তথ্য বা ছক দিতে পারবেন না তা লিখে হলেও শেষ করতে হবে। মনে রাখবেন বড় প্রশ্নের উত্তরে শুধু লিখে দেয়ার চেয়ে তথ্য, চিত্র দিয়ে লিখলে ভালো নম্বর পাবেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এ প্রস্তুতি শুধু বাংলাদেশ বিষয়াবলি নয়, বাংলা, ইংরেজির ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়তে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কলামগুলো পড়তে হবে। (দৈনিক প্রথম আলোর ১০ও ১১ নং পৃষ্টা)। রামপাল বিদ্যুত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী, তত্বাবধায়ক সরকার, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন হলে সবসময় সরকারের পক্ষ হয়ে লিখবেন।
কী কী পড়বেনঃ দৈনিক পত্রিকা, সংবিধান, অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিষয়ক তথ্যাদি, যে কোন ভালো প্রকাশনীর রিটেন গাইড বই।
সাজেশানঃ কোন কোন প্রশ্ন আসতে পারে তা নিয়ে আমি আপনাকে সাজেশান দিতে পারবোনা। এ ধরণের সাজেশান বিসিএস গবেষকগণ দিবেন। আমি শুধু এতটুকু বলবো আপনি কোন কোন অধ্যায় বা বিষয়ে নজর রাখবেন। সংবিধান থেকে প্রতি বিসিএসে প্রশ্ন আসে। তাই সংবিধান ভালো করে আয়ত্ব করুন। ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার কৌশল আছে। সেগুলো শিখে নিন। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য, পরিবেশ, সরকারের তিনটি বিভাগ, বাংলাদেশ ও ভারত/মায়ানমার/চীন/যুক্তরাষ্ট্র /মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সরকারের সাফল্য/অর্জন, নির্বাচন, প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি অধ্যায় অবশ্যই পড়বেন। রিটের প্রস্তুতির জন্য কয়েকজন মিলে গ্রপস্টাডি করতে পারেন।
সংবিধানঃ প্রায় সব বিসিএসেই সংবিধান থেকে প্রশ্ন এসেছে। ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে সংবিধান থেকে লেখার মত ৫০ নম্বরের প্রশ্ন ছিলো। সুতরাং এ অধ্যায়টা ভালো ভাবে পড়া উচিত। এখানে তিনটি বিষয় দেখবেন - সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস ও বাহ্যিক কাঠামো, সংবিধানের অনুচ্ছেদ সমূহ এবং সংশোধনী। ১-৪৭ পর্যন্ত অনুচ্ছেদগুলো মুখস্থ রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন প্রশ্নে কাজে লাগাতে পারবেন। বাকি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো ও মনে রাখুন। পরীক্ষায় ন্যায়পাল নিয়ে প্রশ্ন হলো, আপনি কয়েকপৃষ্টা লিখলেন কিন্তু ভুলে সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করলেন না তাহলে বেশি লিখেও কীপয়েন্ট না লেখার জন্য নম্বর কম পাবেন। সংবিধান সহজে মনে রাখা যায় এমন বই বাজারে পাওয়া যায়। কিনে নিতে পারেন।
নোট করতে হবে কিনাঃ অবশ্যই অবশ্যই নোট করবেন। সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের তথ্যগুলো নোট করে রাখবেন। পরীক্ষার আগে শুধু খাতাটা দেখে যাবেন। নোট করার ক্ষেত্রে এমন ভাবে করবেন যেনো প্রশ্নটি বাংলা/ইংরেজি রচনায় আসলেও লেখা যায়।
সর্বোপরি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আজ, এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন। প্রথম প্রথম কঠিন লাগলেও কিছুদিন পর সব সহজ মনে হবে। সাহস নিয়ে শুরু করুন। শুরু না হলে শেষ তো আর হবেনা।
আজ এ পর্যন্ত থাকুক। কথা হবে পরবর্তি পর্বে। আপনাদেরর প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি।
শুভেচ্ছায়-
মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।
============================
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৫)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আলাইকুম।
আমি মোঃ জহির আব্বাস আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আয়োজনের পঞ্চম পর্ব নিয়ে। এতদিন ধরে গত চারটি পর্বে আমি যথাক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের চলমান প্রস্তুতিতে এ পরামর্শগুলো কাজে লাগবে। এ দীর্ঘ আলোচনা হতে যদি আপনাদের একবিন্দুও উপকার হয় তাহলে আমার কষ্ট আর পরিশ্রম সার্থক হবে। আজ এ পর্বে আলোচনা করছি "বাংলাদেশ বিষয়াবলি" -র রিটেনের প্রস্তুতি নিয়ে।
বিসিএস রিটেনে ভালো নম্বর তোলার বিশাল এক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষায়। কারণ একটু চিন্তা করলে বুঝবেন যে, এ দুটি পরীক্ষার খাতা যিনি কাটবেন তিনি আপনার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই করার সময়/সুযোগ পাবেন না। বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মত বিষয়ের পরীক্ষক ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাঁদের আপনি গ্রামারের নতুন নিয়ম বা গণিতের নতুন সূত্র বানিয়ে ফাঁকি দিতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষার পরীক্ষককে আপনি নতুন নতুন তথ্য, উপাত্ত, চিত্র, ছক, কোটেশন প্রভৃতি দিয়ে খুশি করে দিতে পারেন। একটা প্রশ্নের উত্তরে আপনি যে তথ্যটা দিয়েছেন সেটা হয়তো ওনার জানা নাও থাকতে পারে। সে সুযোগটা নিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে বানিয়ে বানিয়ে তথ্য দিয়ে আপনার লেখাকে অন্যদের লেখা হতে আলাদা করে নিতে পারেন। তবে, আমার এ কথা শুনে খুশিত আত্বহারা হবার উপায় নেই। কারণ পিএসসি প্রশ্ন করার সময় আপনাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে সবসময়। সে ফাঁদটা হলো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য। পরীক্ষার হলের চার/তিন ঘণ্টার ক্রিয়া-কৌশল ঠিক করে দিবে আপনি ভালো নম্বর পাচ্ছেন কিনা। পরীক্ষায় খারাপ করলে কেউ আর বুঝবেনা যে আপনি সারা দিনরাত পড়াশুনা করেছেন। তখন সবাই মনে করবে আপনি পড়েন নি তাই পাশ করেননি। কিন্তু সমস্যা আপনার পড়ায় ছিলোনা, সমস্যা ছিলো পরীক্ষা নিয়ে ভালো পরিকল্পনার অভাব। বলা হয়ে থাকে একটি ভালো পরিকল্পনা কোনো কাজকে অর্ধেক এগিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি আর আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি রিটেন সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিলো ৩৫ তম বিসিএস থেকে। এবার ৩৮ তম বিসিএসে বাংলাদেশ বিষয়াবলির রিটেন পরীক্ষায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বর রাখার কথা বলেছে পিএসসি। সে হিসেবে নতুন সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন হয়তো আপনারা পেতে যাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন হলে আপনার জন্য ভালই হবে। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার আর আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কম/বেশি জানি। প্রিলি প্রস্তুতি নেবার সময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছেন। এই একটি অধ্যায় থেকে ৫০ নম্বর পাওয়াটা তাই আপনাদের জন্য ভালোই হয়েছে। এবার আসুন বিষয়ভিত্তিক মূল কথাগুলো বলি।
বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০, সময় ৪ ঘণ্টা। সে হিসেবে প্রতিটা নম্বরের জন্য সময় পাচ্ছেন ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড বা প্রায় ১ মিনিট। একনজরে দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে এ বিষয়ে কেমন প্রশ্ন হয়েছিলো।
৩৫ তম বিসিএসে ৩৬ টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৮টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, তাও প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৬ তম বিসিএসে ৩৬টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, প্রতিটা ৫ নম্বর করে। অর্থাৎ আমরা তো বলতেই পারি যে ৩৫ ও ৩৬ বিসিএসে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়েছিলো ৪ ঘণ্টায়।
৩৭ তম বিসিএসে এসে এ ধারায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। এখানে ছোট/বড় ১৭টি প্রশ্ন দেয়া হয় মোট ১৮০ নম্বরের জন্য আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয় প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৫ তম বিসিএসে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর ৪ ঘণ্টায় করতে গিয়ে অনেকে ফুল আনসার করে আসতে পারেনি। এর করণ হলো ৪০টি প্রশ্ন লিখার মতো প্রস্তুতি পরীক্ষার্থীদের তখন ছিলোনা। আর কেউ ধারণাও করতে পারেনি যে এতগুলো প্রশ্ন হবে। ৩৬ এ আমরা এ ধারার সাথে পরিচিত ছিলাম। আর সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ফুল আনসার করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেন দিতে গিয়ে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে এবারও হয়তো ৪০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হতে পারে। তাই আমি প্রস্তুতি ও টাইম সেটিং করে গিয়েছিলাম ৪০টি প্রশ্নের উত্তরের জন্য। পরীক্ষায় দেখলাম মূল প্রশ্ন হয়েছে ১৭ টি। কিছু প্রশ্ন ছোট/কম নম্বরের, আর কিছু বেশি নম্বরের। এমনকি একটি প্রশ্নের জন্য ২০ নম্বর পর্যন্ত ছিলো। বড় প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি কম ছিলো বলে বেশিরভাগ বড় প্রশ্ন ভালো করে লিখতে পারেনি অনেকেই। এত কথা বলছি শুধু একটা কারণে, আপনাদের এটা বুঝাতে যে, যে কোনো রকম প্রশ্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কোন ধরণের প্রশ্নে কীভাবে উত্তর করবেন, সময় কীভাবে ঠিক করবেন সে বিষয়েও আমি কথা বলবো।
আমার প্রতি পর্বে লেখায় আমি সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি সময়ের ভেতর লেখা নিয়ে। যদি পরীক্ষায় ৪০টি প্রশ্ন পান তবে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করতে সময় পাচ্ছেন প্রায় ৬ মিনিট। এ ৬ মিনিটে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেড় (১.৫) পৃষ্টা করে লিখতে পারেন। অর্থাৎ তিন পৃষ্টায় দুটি উত্তর হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি বেশি লিখতে না পারেন তবে ১ পৃষ্টা হলেও লিখলে হবে। কিছু কিছু প্রশ্ন পাবেন যার উত্তর করতে গেলে একটা রচনা লেখা হয়ে যাবে, আপনি সে উত্তরটাও দেড় পৃষ্টায় শেষ করবেন। বুঝতে পারছেন না? উদাহরণ দিচ্ছি-
৩৬ তম বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো, " বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক খেতাব প্রাপ্তি সমূহ বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নটা এভাবে উত্তর করা যেতে পারে-
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সম্প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব অর্জন করেছেন। নিম্মে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খেতাব উল্লেখ করা হলো।
১) খেতাবের শিরোনাম: দুই লাইনের বর্ণনা
২) খেতাবের নাম; কেন পেয়েছেন তার দু লাইনের বর্ণনা.....
৩)....৪).....৫).......
এর পর একলাইনের একটা উপসংহার। "উপসংহার" কথাটা লিখতে হবেনা।
আপনি হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর আরো অনেক বড় করে লিখতে পারতেন। কারণ ওনার অর্জন এত বেশি যে তা লিখলে ৩/৪ পৃষ্টা হয়ে যাবে। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে এর চেয়ে আর বেশি আপনি লিখার সুযোগ পাবেন না। বেশি লিখার লোভ থাকলেও তা সংবরন করতে হবে। এভাবে বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটা প্রশ্ন উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্ন একদম না পারলে খাতায় ১ পৃষ্টা জায়গা খালি রেখে আসুন। সব প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে ঐ প্রশ্নের উত্তর যা পারবেন তাই লিখে আসুন। ভাগ্য ভালো হলে কিছু নাম্বার পেতে পারেন। তাই বেশি লিখে ফুল আনসার করতে না পারার চেয়ে কম লিখে ফুল আনসার করাই শ্রেয়।
পরীক্ষায় যদি ৪০টি প্রশ্ন না হয়ে ৩৭ তম বিসিএসের মত ছোট বড় প্রশ্নের সমাহার হয়, তখন কী করবেন তার পরিকল্পনা এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। এ ধরণের সমস্যা আপনি খুব সহজে সমাধান করতে পারেন। প্রস্তুতি নেবার সময় যে টপিকগুলো আপনি পড়বেন সেগুলো খাতায় নোট করার সময় বড় প্রশ্নের কথাও মাথায় রেখে নোট করবেন। যেনো প্রশ্নটা বড় হলেও লেখা যায়। এখানে প্রশ্ন যদি ১০ নম্বরের জন্য হয়, তবে সময় পাবেন ১২ মিনিট। ১০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর আপনি ৩/৩.৫ পৃষ্টা লিখতে পারবেন। ৩ পৃষ্ঠা যথেষ্ট। যদি ১৫ নম্বরের প্রশ্ন হয় তবে সময় পাবেন ১৮ মিনিট, লিখতে পারবেন ৪/৪.৫ পৃষ্টা। প্রশ্ন যদি ২০ নম্বরের হয়, সময় পাবেন ২৪ মিনিট, লিখতে পারবেন ৫/৬ পৃষ্টা। শুধু পৃষ্টা গুনলে তো হবেনা। হয়তো ভাবছেন এত পৃষ্টা লেখা যাবেনা। তাই বড় প্রশ্ন ঝামেলা দিবে। আসলে বড় প্রশ্নের সুবিধাও আছে। বড় প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে লিখে লিখে পৃষ্টা শেষ করার চেয়ে তথ্য, ছক বা চিত্র দিতে পারবেন। প্রয়োজনে বানিয়ে তথ্য দেবারও সুযোগ আছে। লেখা তথ্য বহুল হলে ২০ নম্বরের প্রশ্নটা আর ৬ পৃষ্টা না হলেও চলবে। পৃষ্টা মনে রাখার চেয়ে সময়টা বেশি মনে রাখবেন। যে প্রশ্নের জন্য তথ্য বা ছক দিতে পারবেন না তা লিখে হলেও শেষ করতে হবে। মনে রাখবেন বড় প্রশ্নের উত্তরে শুধু লিখে দেয়ার চেয়ে তথ্য, চিত্র দিয়ে লিখলে ভালো নম্বর পাবেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এ প্রস্তুতি শুধু বাংলাদেশ বিষয়াবলি নয়, বাংলা, ইংরেজির ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়তে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কলামগুলো পড়তে হবে। (দৈনিক প্রথম আলোর ১০ও ১১ নং পৃষ্টা)। রামপাল বিদ্যুত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী, তত্বাবধায়ক সরকার, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন হলে সবসময় সরকারের পক্ষ হয়ে লিখবেন।
কী কী পড়বেনঃ দৈনিক পত্রিকা, সংবিধান, অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিষয়ক তথ্যাদি, যে কোন ভালো প্রকাশনীর রিটেন গাইড বই।
সাজেশানঃ কোন কোন প্রশ্ন আসতে পারে তা নিয়ে আমি আপনাকে সাজেশান দিতে পারবোনা। এ ধরণের সাজেশান বিসিএস গবেষকগণ দিবেন। আমি শুধু এতটুকু বলবো আপনি কোন কোন অধ্যায় বা বিষয়ে নজর রাখবেন। সংবিধান থেকে প্রতি বিসিএসে প্রশ্ন আসে। তাই সংবিধান ভালো করে আয়ত্ব করুন। ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার কৌশল আছে। সেগুলো শিখে নিন। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য, পরিবেশ, সরকারের তিনটি বিভাগ, বাংলাদেশ ও ভারত/মায়ানমার/চীন/যুক্তরাষ্ট্র /মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সরকারের সাফল্য/অর্জন, নির্বাচন, প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি অধ্যায় অবশ্যই পড়বেন। রিটের প্রস্তুতির জন্য কয়েকজন মিলে গ্রপস্টাডি করতে পারেন।
সংবিধানঃ প্রায় সব বিসিএসেই সংবিধান থেকে প্রশ্ন এসেছে। ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে সংবিধান থেকে লেখার মত ৫০ নম্বরের প্রশ্ন ছিলো। সুতরাং এ অধ্যায়টা ভালো ভাবে পড়া উচিত। এখানে তিনটি বিষয় দেখবেন - সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস ও বাহ্যিক কাঠামো, সংবিধানের অনুচ্ছেদ সমূহ এবং সংশোধনী। ১-৪৭ পর্যন্ত অনুচ্ছেদগুলো মুখস্থ রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন প্রশ্নে কাজে লাগাতে পারবেন। বাকি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো ও মনে রাখুন। পরীক্ষায় ন্যায়পাল নিয়ে প্রশ্ন হলো, আপনি কয়েকপৃষ্টা লিখলেন কিন্তু ভুলে সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করলেন না তাহলে বেশি লিখেও কীপয়েন্ট না লেখার জন্য নম্বর কম পাবেন। সংবিধান সহজে মনে রাখা যায় এমন বই বাজারে পাওয়া যায়। কিনে নিতে পারেন।
নোট করতে হবে কিনাঃ অবশ্যই অবশ্যই নোট করবেন। সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের তথ্যগুলো নোট করে রাখবেন। পরীক্ষার আগে শুধু খাতাটা দেখে যাবেন। নোট করার ক্ষেত্রে এমন ভাবে করবেন যেনো প্রশ্নটি বাংলা/ইংরেজি রচনায় আসলেও লেখা যায়।
সর্বোপরি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আজ, এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন। প্রথম প্রথম কঠিন লাগলেও কিছুদিন পর সব সহজ মনে হবে। সাহস নিয়ে শুরু করুন। শুরু না হলে শেষ তো আর হবেনা।
আজ এ পর্যন্ত থাকুক। কথা হবে পরবর্তি পর্বে। আপনাদেরর প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি।
শুভেচ্ছায়-
মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।
============================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৪)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।
আসসালামু আলাইকুম। আমি জহির আব্বাস, আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আলোচনার ৪র্থ পর্ব নিয়ে। চারটি প্রিলিমিনারি, দুটি রিটেন পরীক্ষা ও একটি ভাইভা (অারেকটি রেজাল্টের অপেক্ষায়) পাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের কৌশলগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যারা সফল হয়েছেন প্রত্যেকে নিজেদের মত করে আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি তা ফলো করে আপনারা রিটেনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনাদের প্রস্তুতিকে আরো এগিয়ে নিতে আজ আমি সাধারন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি:
বিসিএস রিটেনে নাম্বার তোলার যে কয়টা বিষয় আছে, সে সব বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান অন্যতম। যা চেয়েছে তা লিখে আসতে পারলেই ভালো নম্বর পাবেন। এখানে নাম্বার কাটার সুযোগ যেমন নেই তেমনি বানিয়ে লেখারও কিছু নেই।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০, সময় পাবেন ৩ ঘণ্টা। সময়ের ভেতর লিখার কৌশলগুলো ব্যবহার করে ৩ ঘণ্টায় বিজ্ঞান পূর্ণ উত্তর করা সম্ভব। অনেকে বলেন সময়ের অভাবে ফুল আনসার করা সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি সময়ের অভাবে নয় বরং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ফুল আনসার করা যায়নি। আমি আমার আলোচনায় শুধু কী কী পড়বেন তা নিয়ে কথা বলিনা। কারণ প্রায় সবাই আপনাকে কী কী বই পড়বেন তা নিয়েই পরামর্শ দেন। আমি কীভাবে পরিকল্পনা করে পড়বেন তার দিক নির্দেশনা দেয়ারও চেষ্টা করি। সাথে সাথে প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ করি। পথের নামতো সবাই বলে দেন কিন্তু হাত ধরে সে পথে এগিয়ে দেয় এমন খুব কমই আছে। আমি যে যে কৌশল প্রয়োগ করেছি তা আপনাদের কাছে শেয়ার করতে এক বিন্দুও কার্পণ্য করিনা।
প্রথমেই বলে দিচ্ছি কি কি বই পড়বেন: নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই ও যে কোনো ভালো প্রকাশনীর বিজ্ঞান রিটেন গাইড।
কীভাবে পড়বেন? অপেক্ষা করুন, বলছি।
প্রথমেই বিগত কয়েক বিসিএসের রিটেনের প্রশ্নগুলোর উত্তর শিখে ফেলুন। তারপর? বলছি।
আসুন জেনে নিই রিটেনে বিজ্ঞান পরীক্ষায় কী কী আসে। যে পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এত কষ্ট করছেন, সে পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা ধারণা না নিলে কি চলে? যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করুন, না হয় অঘঠন ঘটতেও পারে। সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় তিনটি অংশে প্রশ্ন হয়।
১) General Science: এখানে মোট নম্বর ৬০। বিসিএস রিটেন সিলেবাসে মোট ১১ টি অধ্যায় থেকে এখানে প্রশ্ন দেয়া হয়। ৩৫ ও ৩৭ তম বিসিএসে এখানে ৯ টি প্রশ্ন এসেছিলো ৮টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। ৩৬ তম বিসিএসে এখানে ১২টি প্রশ্ন ছিলো, উত্তর দিতে বলা হয়েছে ৮টি। প্রতিটা প্রশ্ন কয়েকভাগে (ক, খ, গ, ঘ) ভাগ করে এসেছে। প্রতিটা প্রশ্নের মান ৭.৫ করে মোট ৬০ নম্বর। এখানে এমন প্রশ্নও পাবেন যার জন্য শুধু ১ নম্বরই পাবেন। এখানে আপনার জন্য ফাঁদ পাতা আছে। আপনি এখানে যা চেয়েছে শুধু তাই লিখবেন। অতিরিক্ত লেখার ইচ্ছা থাকলেও লিখবেন না। আপনি প্রতিটা ৭.৫ নাম্বারের প্রশ্ন উত্তর করতে সময় পাবেন ১৩.৫ মিনিট। তাই শুধু মূল উত্তরই লিখুন। ভয় পাচ্ছেন কীভাবে লিখবেন? ভয়ের কিছু নেই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ৩৭ বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো " অতিবেগুনী রশ্নির ফলে মানবদেহে কী কী ক্ষতি হয়?" প্রশ্নটা উত্তর করতে গেলে অনেক কিছু লেখার সুযোগ আপনার কাছে আছে। কিন্তু এর জন্য বরাদ্দ ছিলো শুধু ১ নম্বর! তাই উত্তরটাও হবে তেমনই। যেমন আপনি উত্তর করবেন এভাবে-
মানবদেহে যে যে ক্ষতি হয় তা হলো-
১) ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়,�২) স্কিন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে,�৩) ত্বক পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যায়, ইত্যাদি।
এ কথাগাুলো লিখতে নিশ্চয়ই আপনার একমিনিটের বেশি লাগবেনা। আর বেশি লিখে আপনিতো নোবেল পুরস্কার পাবেন না। এতটুই লিখে আসবেন। নাম্বার না দিয়ে পরীক্ষক যাবেন কোথায়। এ রকম কয়েকটা প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নকর্তা আপনার সময় খাওয়ার জন্য ফাঁদ পাতবে। ফাঁদে পা না দিয়ে অল্প লিখে চলে আসুন। বিজ্ঞানে বানিয়ে লিখে নম্বর পাবেন না। কিন্তু কম লিখে নম্বর পাবেন। এবার দেখুন মোট ৬০ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনার কাছে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে। প্রয়োজনে ৪/৫ মিনিট বেশি নিতে পারেন। প্রথম থেকেই যদি শুধু টু দ্যা পয়েন্ট লিখে আসেন তবে অবশ্যই এ সময়ে শেষ করা সম্ভব। সিলেবাসে যে ১১ টি অধ্যায় এ অংশে আছে তার প্রায় সবগুলোই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান আর পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে আছে। সিলেবাস ধরে ধরে আগে মূল বইটা পড়ুন। এর পর গাইড বই থেকে পড়বেন। দেখবেন গাইড বইয়ে অনেক কিছুই সহজ সহজ মনে হবে। যে বিষয় বুঝবেন না (যেমন- ক্রোমসোম কী জিনিস, জিন কী, প্রভৃতি) বইয়ের পড়া তোতা পাখির মত মুখস্থ না করে বিজ্ঞানের বড় ভাই/বোন থেকে ক্লিয়ার করে নিবেন। না বুঝে শিখলে মনে থাকবেনা। বুঝে শিখলে নিজের মত লিখতে পারবেন। গাইড বইয়ে প্রশ্নের উত্তরগুলো বড় করে দেয়া থাকবে তবে আপনি বড় করে লিখতে যাবেননা। প্রয়োজনে খাতায় চিত্র দিতে ভুল করবেন না। চিত্র অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে আঁকবেন। ১/২ নম্বরের প্রশ্নে চিত্র দিতে যাবেন না। বড় প্রশ্ন পেলেই দিবেন। কম নম্বরের জন্য চিত্র দিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয়না।
২) Computer & Information Technology: এখানে মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৪৮ মিনিট। ৩৭ তম বিসিএসে ১৩ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি, ৩৬ তম বিসিএসে ১২ টি থেকে ১০ টি এবং ৩৫ বিসিএসে ১১টি প্রশ্ন হতে (১,১০,১১ নং প্রশ্নের উত্তর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলো) ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২.৫ নম্বর করে মোট ২৫ নম্বর। এখন কথা হলো এ অংশের প্রস্তুতির জন্য কী পড়বেন? একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বই পড়লে কমন পাবেন। সাথে গাইড বইতো আছে। কতপৃষ্টা লিখবেন? ২.৫ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনি সময় পাবেন ৪.৫ মিনিট। সে হিসেবে আগের পর্বের আলোচনা মত আপনি ১ পৃষ্টা লেখার সময় পাচ্ছেন। কিন্তু কেনো আপনি শুধু শুধু সব প্রশ্নের জন্য ১ পৃষ্টা করে লিখে সময় নষ্ট করবেন! তাই ২.৫ নম্বরের জন্য শুধু মূল কথাগুলো লিখে ১পৃষ্ঠার তিন ভাগের দুই ভাগ লিখলেই হবে। যেমন- ৩৭ বিসিএসে এখানে একটা প্রশ্ন ছিলো- "ব্লুটুথ কী? সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ১ পৃষ্টাও লাগবেনা। আর কিছু কিছু প্রশ্নে হয়তো ১পৃষ্টাও লাগতে পারে। বিচক্ষণতা দেখিয়ে উত্তর করুন। হয়তো চিত্র দেয়ার মত প্রশ্ন হতে পারে। কোনো প্রশ্ন না পারলে ১ টা পৃষ্টা খালি রেখে চলে আসুন। সব উত্তর করার পর ঐ খালি অংশে যা মনে আসে তাই লিখে আসুন(কাছাকাছি হয় এমন)। দেখবেন ১ নম্বর হলেও পাবেন, না লিখলে তো সেটাও পেতেন না।
৩) Electrical & Electronic Technology: এখানে মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ২৫ মিনিট। ৩৫ তম বিসিএসে ৭ টি প্রশ্ন থেকে ৬ টি, ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসে ৮টি প্রশ্ন থেকে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতি প্রশ্নের মান ২.৫ করে মোট ১৫ নম্বর। এখানেও একি কথা কতক্ষণ কীভাবে লিখবেন তা নিয়ে। এ অংশের প্রায় বেশিরভাগই পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ের বিদ্যুৎ অধ্যায় থেকে পাবেন। বাকিগুলোর জন্য গাইড বই তো আছে। এখানে কোনো প্রশ্নে চিত্র দেয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। তাই ট্রান্সফর্মার, মোটর, রেডিও, টেলিভিশনের মত কিছু কিছু যন্ত্রের ছবি আঁকা অনুশীলন করে রাখতে পারেন। এখানে ভিভিন্ন মতবাদ, থিওরী, তত্ত্ব নিয়েও প্রশ্ন হয়। সিলেবাস দেখে তা যেভাবে পারেন আয়ত্ব করুন। কঠিন কিছু নেই, চেষ্টা করলেই পারবেন।
১০টা প্রশ্নের মধ্যে ৫টা প্রশ্ন ভালো করে লিখে সময় শেষ করার চেয়ে ১০টা প্রশ্নই মোটামমুটি লিখা শ্রেয়। তাই বেশি লিখার আবেগ সংবরন করুন। বলা হয়ে থাকে মানুষ নাকি কম খেয়ে মরে না, বেশি খেয়ে মরে। তার সাথে মিল রেখে কি আমরা বলতে পারিনা, পরীক্ষার্থী বেশি বেশি লিখে নম্বর পায় কম, কম লিখে বেশি নম্বর পায় (শর্ত প্রযোজ্য)।
আজ আর নয়। আপনাদের প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি। আগের পর্বগুলো দেখুন আর প্রস্তুতি নিন। কথা হবে পরবর্তী পর্বে। দোয়া করবেন।
মোঃ জহির আব্বাস�বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।�
বিসিএস রিটেনে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৪)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।
আসসালামু আলাইকুম। আমি জহির আব্বাস, আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আলোচনার ৪র্থ পর্ব নিয়ে। চারটি প্রিলিমিনারি, দুটি রিটেন পরীক্ষা ও একটি ভাইভা (অারেকটি রেজাল্টের অপেক্ষায়) পাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের কৌশলগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যারা সফল হয়েছেন প্রত্যেকে নিজেদের মত করে আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি তা ফলো করে আপনারা রিটেনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনাদের প্রস্তুতিকে আরো এগিয়ে নিতে আজ আমি সাধারন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি:
বিসিএস রিটেনে নাম্বার তোলার যে কয়টা বিষয় আছে, সে সব বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান অন্যতম। যা চেয়েছে তা লিখে আসতে পারলেই ভালো নম্বর পাবেন। এখানে নাম্বার কাটার সুযোগ যেমন নেই তেমনি বানিয়ে লেখারও কিছু নেই।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০, সময় পাবেন ৩ ঘণ্টা। সময়ের ভেতর লিখার কৌশলগুলো ব্যবহার করে ৩ ঘণ্টায় বিজ্ঞান পূর্ণ উত্তর করা সম্ভব। অনেকে বলেন সময়ের অভাবে ফুল আনসার করা সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি সময়ের অভাবে নয় বরং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ফুল আনসার করা যায়নি। আমি আমার আলোচনায় শুধু কী কী পড়বেন তা নিয়ে কথা বলিনা। কারণ প্রায় সবাই আপনাকে কী কী বই পড়বেন তা নিয়েই পরামর্শ দেন। আমি কীভাবে পরিকল্পনা করে পড়বেন তার দিক নির্দেশনা দেয়ারও চেষ্টা করি। সাথে সাথে প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ করি। পথের নামতো সবাই বলে দেন কিন্তু হাত ধরে সে পথে এগিয়ে দেয় এমন খুব কমই আছে। আমি যে যে কৌশল প্রয়োগ করেছি তা আপনাদের কাছে শেয়ার করতে এক বিন্দুও কার্পণ্য করিনা।
প্রথমেই বলে দিচ্ছি কি কি বই পড়বেন: নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই ও যে কোনো ভালো প্রকাশনীর বিজ্ঞান রিটেন গাইড।
কীভাবে পড়বেন? অপেক্ষা করুন, বলছি।
প্রথমেই বিগত কয়েক বিসিএসের রিটেনের প্রশ্নগুলোর উত্তর শিখে ফেলুন। তারপর? বলছি।
আসুন জেনে নিই রিটেনে বিজ্ঞান পরীক্ষায় কী কী আসে। যে পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এত কষ্ট করছেন, সে পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা ধারণা না নিলে কি চলে? যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করুন, না হয় অঘঠন ঘটতেও পারে। সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় তিনটি অংশে প্রশ্ন হয়।
১) General Science: এখানে মোট নম্বর ৬০। বিসিএস রিটেন সিলেবাসে মোট ১১ টি অধ্যায় থেকে এখানে প্রশ্ন দেয়া হয়। ৩৫ ও ৩৭ তম বিসিএসে এখানে ৯ টি প্রশ্ন এসেছিলো ৮টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। ৩৬ তম বিসিএসে এখানে ১২টি প্রশ্ন ছিলো, উত্তর দিতে বলা হয়েছে ৮টি। প্রতিটা প্রশ্ন কয়েকভাগে (ক, খ, গ, ঘ) ভাগ করে এসেছে। প্রতিটা প্রশ্নের মান ৭.৫ করে মোট ৬০ নম্বর। এখানে এমন প্রশ্নও পাবেন যার জন্য শুধু ১ নম্বরই পাবেন। এখানে আপনার জন্য ফাঁদ পাতা আছে। আপনি এখানে যা চেয়েছে শুধু তাই লিখবেন। অতিরিক্ত লেখার ইচ্ছা থাকলেও লিখবেন না। আপনি প্রতিটা ৭.৫ নাম্বারের প্রশ্ন উত্তর করতে সময় পাবেন ১৩.৫ মিনিট। তাই শুধু মূল উত্তরই লিখুন। ভয় পাচ্ছেন কীভাবে লিখবেন? ভয়ের কিছু নেই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ৩৭ বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো " অতিবেগুনী রশ্নির ফলে মানবদেহে কী কী ক্ষতি হয়?" প্রশ্নটা উত্তর করতে গেলে অনেক কিছু লেখার সুযোগ আপনার কাছে আছে। কিন্তু এর জন্য বরাদ্দ ছিলো শুধু ১ নম্বর! তাই উত্তরটাও হবে তেমনই। যেমন আপনি উত্তর করবেন এভাবে-
মানবদেহে যে যে ক্ষতি হয় তা হলো-
১) ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়,�২) স্কিন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে,�৩) ত্বক পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যায়, ইত্যাদি।
এ কথাগাুলো লিখতে নিশ্চয়ই আপনার একমিনিটের বেশি লাগবেনা। আর বেশি লিখে আপনিতো নোবেল পুরস্কার পাবেন না। এতটুই লিখে আসবেন। নাম্বার না দিয়ে পরীক্ষক যাবেন কোথায়। এ রকম কয়েকটা প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নকর্তা আপনার সময় খাওয়ার জন্য ফাঁদ পাতবে। ফাঁদে পা না দিয়ে অল্প লিখে চলে আসুন। বিজ্ঞানে বানিয়ে লিখে নম্বর পাবেন না। কিন্তু কম লিখে নম্বর পাবেন। এবার দেখুন মোট ৬০ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনার কাছে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে। প্রয়োজনে ৪/৫ মিনিট বেশি নিতে পারেন। প্রথম থেকেই যদি শুধু টু দ্যা পয়েন্ট লিখে আসেন তবে অবশ্যই এ সময়ে শেষ করা সম্ভব। সিলেবাসে যে ১১ টি অধ্যায় এ অংশে আছে তার প্রায় সবগুলোই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান আর পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে আছে। সিলেবাস ধরে ধরে আগে মূল বইটা পড়ুন। এর পর গাইড বই থেকে পড়বেন। দেখবেন গাইড বইয়ে অনেক কিছুই সহজ সহজ মনে হবে। যে বিষয় বুঝবেন না (যেমন- ক্রোমসোম কী জিনিস, জিন কী, প্রভৃতি) বইয়ের পড়া তোতা পাখির মত মুখস্থ না করে বিজ্ঞানের বড় ভাই/বোন থেকে ক্লিয়ার করে নিবেন। না বুঝে শিখলে মনে থাকবেনা। বুঝে শিখলে নিজের মত লিখতে পারবেন। গাইড বইয়ে প্রশ্নের উত্তরগুলো বড় করে দেয়া থাকবে তবে আপনি বড় করে লিখতে যাবেননা। প্রয়োজনে খাতায় চিত্র দিতে ভুল করবেন না। চিত্র অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে আঁকবেন। ১/২ নম্বরের প্রশ্নে চিত্র দিতে যাবেন না। বড় প্রশ্ন পেলেই দিবেন। কম নম্বরের জন্য চিত্র দিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয়না।
২) Computer & Information Technology: এখানে মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৪৮ মিনিট। ৩৭ তম বিসিএসে ১৩ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি, ৩৬ তম বিসিএসে ১২ টি থেকে ১০ টি এবং ৩৫ বিসিএসে ১১টি প্রশ্ন হতে (১,১০,১১ নং প্রশ্নের উত্তর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলো) ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২.৫ নম্বর করে মোট ২৫ নম্বর। এখন কথা হলো এ অংশের প্রস্তুতির জন্য কী পড়বেন? একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বই পড়লে কমন পাবেন। সাথে গাইড বইতো আছে। কতপৃষ্টা লিখবেন? ২.৫ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনি সময় পাবেন ৪.৫ মিনিট। সে হিসেবে আগের পর্বের আলোচনা মত আপনি ১ পৃষ্টা লেখার সময় পাচ্ছেন। কিন্তু কেনো আপনি শুধু শুধু সব প্রশ্নের জন্য ১ পৃষ্টা করে লিখে সময় নষ্ট করবেন! তাই ২.৫ নম্বরের জন্য শুধু মূল কথাগুলো লিখে ১পৃষ্ঠার তিন ভাগের দুই ভাগ লিখলেই হবে। যেমন- ৩৭ বিসিএসে এখানে একটা প্রশ্ন ছিলো- "ব্লুটুথ কী? সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ১ পৃষ্টাও লাগবেনা। আর কিছু কিছু প্রশ্নে হয়তো ১পৃষ্টাও লাগতে পারে। বিচক্ষণতা দেখিয়ে উত্তর করুন। হয়তো চিত্র দেয়ার মত প্রশ্ন হতে পারে। কোনো প্রশ্ন না পারলে ১ টা পৃষ্টা খালি রেখে চলে আসুন। সব উত্তর করার পর ঐ খালি অংশে যা মনে আসে তাই লিখে আসুন(কাছাকাছি হয় এমন)। দেখবেন ১ নম্বর হলেও পাবেন, না লিখলে তো সেটাও পেতেন না।
৩) Electrical & Electronic Technology: এখানে মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ২৫ মিনিট। ৩৫ তম বিসিএসে ৭ টি প্রশ্ন থেকে ৬ টি, ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসে ৮টি প্রশ্ন থেকে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতি প্রশ্নের মান ২.৫ করে মোট ১৫ নম্বর। এখানেও একি কথা কতক্ষণ কীভাবে লিখবেন তা নিয়ে। এ অংশের প্রায় বেশিরভাগই পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ের বিদ্যুৎ অধ্যায় থেকে পাবেন। বাকিগুলোর জন্য গাইড বই তো আছে। এখানে কোনো প্রশ্নে চিত্র দেয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। তাই ট্রান্সফর্মার, মোটর, রেডিও, টেলিভিশনের মত কিছু কিছু যন্ত্রের ছবি আঁকা অনুশীলন করে রাখতে পারেন। এখানে ভিভিন্ন মতবাদ, থিওরী, তত্ত্ব নিয়েও প্রশ্ন হয়। সিলেবাস দেখে তা যেভাবে পারেন আয়ত্ব করুন। কঠিন কিছু নেই, চেষ্টা করলেই পারবেন।
১০টা প্রশ্নের মধ্যে ৫টা প্রশ্ন ভালো করে লিখে সময় শেষ করার চেয়ে ১০টা প্রশ্নই মোটামমুটি লিখা শ্রেয়। তাই বেশি লিখার আবেগ সংবরন করুন। বলা হয়ে থাকে মানুষ নাকি কম খেয়ে মরে না, বেশি খেয়ে মরে। তার সাথে মিল রেখে কি আমরা বলতে পারিনা, পরীক্ষার্থী বেশি বেশি লিখে নম্বর পায় কম, কম লিখে বেশি নম্বর পায় (শর্ত প্রযোজ্য)।
আজ আর নয়। আপনাদের প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি। আগের পর্বগুলো দেখুন আর প্রস্তুতি নিন। কথা হবে পরবর্তী পর্বে। দোয়া করবেন।
মোঃ জহির আব্বাস�বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।�
======================================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৩)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
আসসালামু আলাইকুম।
বিসিএস রিটেনে কীভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়ে গত দুটি পর্বে ধারাবাহিক আলোচনার পর আজ তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। ইংরেজিতে একটা কথা আছে JACK OF ALL TRADES, MASTER OF NONE. আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, রিটেনে একটা বিষয়ে এক্সপার্ট না হয়ে সবগুলো বিষয়ে কম বেশি ধারণা থাকলেই ভালো করা যায়। কোনো বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য কোন বিষয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়। আজ আমি গণিত ও মানসিক দক্ষতার প্রস্তুতি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশল শেয়ার করছি।
রিটেনে গণিতের জন্য ৫০ নম্বর আর সময় পাবেন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টার ভেতর গণিতের উত্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায় ৫০ নম্বর এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য পাবেন ১ ঘণ্টা।
৩৫, ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে গণিত ও মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা একসাথে একই দিনে হয়েছিলো। গণিতে উত্তর করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়। তাই ৩৫ ও ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায়ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা গিয়েছিলো। ফলে খুব সহজে এমসিকিউ প্রশ্নগুলোর উত্তর করা গিয়েছিলো। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা গণিত পরীক্ষার পরের দিন হয়েছিলো, তাই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ ছিলোনা। আর আগামী রিটেনেও সুযোগ পাবেননা আশা করি।
বিসিএসের অতীত ইতিহাস বলে যে, যারা ভালো ক্যাডার পেয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই গণিত ও মানসিক দক্ষতায় ভালো নম্বর পেয়েছিলেন। এখানে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০-৯০ নম্বর পেলে ভালো ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ নম্বর অন্যান্য বিষয়কে কাভার করা ছাড়াও মোট নম্বার বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই এখানে ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
যারা গণিত ভালো পারেন তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আর যারা আমার মতো গণিতে দুর্বল তাদের জন্যই মূলত আমার এ পরামর্শ। আমি দেখেছি যথাযথ অনুশীলন ছাড়া গণিতে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব না। অন্যান্য বিষয়গুলো তো পড়েই শেষ করা যায়, কিন্তু গণিত মুখস্থ করার বিষয় নয়। হাতে কলমে অনুশীলনের বিষয়।
প্রথমেই আপনি বিগত বিসিএসে রিটেনের সব অংক অনুশীলন করুন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিসিএস সিলেবাস দেখে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির গণিত বইয়ের অধ্যায়গুলো অনুশীলন করুন। যে যে অধ্যায়গুলো অনুশীলন করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করছি।
৬ষ্ঠ শ্রেণি- ২য়, ৪র্থ, ৫ম
৭ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৭ম
৮ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম
৯-১০ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৯ম, ১০ম, ১১শ, ১২শ, ১৩শ, ১৪শ।
৯-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিতের কিছু অধ্যায় (সিলেবাস দেখে) অনুশীলন করবেন।
বাজারে প্রচলিত যে কোনো ভালো প্রকাশনীর রিটেন গণিত বই কিনে নিতে পারেন। আমি ওরাকল বই কিনেছিলাম। রিটেনের বই থেকে অধ্যায় ধরে ধরে অংকগুলো অনুশীলন করতে হবে। জ্যামিতি অংশের জন্য রিটেন বই ফলো করলে হবে। সম্ভাব্যতা, সমাবেশ, বিন্যাস নিয়ে আলাদা প্রস্তুতি লাগবে। আমি এ অধ্যায়টা বাদ দিয়েছিলাম। যে অধ্যায়ের অংক সহজ মনে হবে তা আগে করা শুরু করবেন। কঠিন প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে বাকি প্রশ্নের উত্তরও ঠিকমতো দেয়া সম্ভব হবেনা। গণিতে কোনো অংক না বুঝলে ফেলে রেখে যাবেন না। যিনি বুঝাতে পারবেন ওনার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে লজ্জ্বা পাবার কিছুই নেই। আমিও ক্লাস সেভেনের ছাত্রের কাছ থেকে কিছু কিছু অংক বুঝে নিয়েছিলাম।
.
আসুন দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে কি করকম প্রশ্ন এসেছিলো।
,
৩৫ তম বিসিএস গণিত রিটেনে ১২ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো।
.
৩৬ তম বিসিএসে ১৪ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি, আর ৩৭ তম বিসিএসে ১২ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। সে হিসেবে আগামী পরিক্ষায়ও ১২-১৪ টি প্রশ্ন পেতে যাচ্ছেন।
.
৩৫/৩৬/৩৭ তম বিসিএস রিটেনের প্রশ্ন অনুযায়ী কোন কোন অধ্যায় থেকে প্রায় সময়ই প্রশ্ন এসেছে তা উল্লেখ করছি: সমীকরণ, মান নির্ণয়, শতকরা, কার্তেসীয় জ্যামিতি, উৎপাদক, সেট, লগ, সূচক,পরিমিতি, জ্যামিতি ইত্যাদি। তাই এ অধ্যায়গুলো রিটেনের বই থেকে ভালোভাবে অনুশীলন করুন। এসব অধ্যায়ের অংক পাবেনই। এর পর রিটেন সিলেবাসের অন্যান্য অধ্যায়গুলোও আয়ত্ব করার চেষ্টা করুন। রিটেনের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে খাতায় প্রায় প্রতিটা অধ্যায়ের জন্য তিন/চারটি স্টান্ডার্ড অংক করে রাখুন। পরীক্ষার আগে কাজে লাগবে।
.
মানসিক দক্ষতা:
এটা নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হবেনা। রিটেনের প্রশ্ন ব্যাংক থেকে বিগত বিসিএসের মানসিক দক্ষতার প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সলভ করার চেষ্টা করুন। কাজে দিবে। এছাড়াও বাজারে মানসিক দক্ষতা নিয়ে বই পাওয়া যায়। ইচ্ছা হলে কিনে দেখতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে আমি শুধু বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আর প্রিলি বইয়ের মানসিক দক্ষতা অংশ পড়েছিলাম।
.
যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলুন। পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করবো, ইনশা আল্লাহ। শুভ কামনা রইলো। দোয়া করবেন।
=======================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ২)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আালাইকুম। গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম বাংলা বিষয়ে কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন সে বিষয়ে। যারা গত পর্ব মিস করেছেন তাদের জন্য নিম্নে লিংক দেয়া হলো। আজ আলোচনা করার চেষ্টা করছি ইংরেজি বিষয়ে। আমি মূলত আলোচনার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করছি।
ইংরেজি
ইংরেজিতে মোট নম্বর ২০০, সময় পাবেন ৪ ঘণ্টা। প্রতি নম্বরের জন্য সময় হলো প্রায় ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে শুদ্ধ বাক্যে ইংরেজি উত্তর করলে ভালো নম্বর আাশা করা যায়।
প্রথমেই আসুন টাইম সেটিং করে প্লানিং করা শুরু করি।
Part-1 (পুরো অংশটি কম্প্রিহেনশান ভিত্তিক)
1) Comprehension এর উপর প্রশ্ন: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। (এখানে সাধারণত ১০ টি প্রশ্ন দেয়া হয়। প্রতি প্রশ্নের মান ৩। প্রশ্ন হাতে পাবার পর আপনি কম্প্রিহেনশনটা পড়া শুরু করবেন নাকি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবেন? আমার পরামর্শ হলো, আমি প্রশ্ন লেখা শুরু করি। কারণ পুরো কম্প্রিহেনশন পড়তে গেলে আমার সময় নষ্ট হবে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে কম্প্রিহেনশন না পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর কীভাবে করা সম্ভব? এ কৌশলটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এ পড়ার সময় শিখেছি। প্রতিটা প্রশ্নেরই একটা কী ওয়ার্ড থাকে। সে কী ওয়ার্ড টা কম্প্রিহেনশানে কোথায় আছে তা একটু লক্ষ করলেই পাবেন। তারপর সে লাইন সহ আগে পিছে কয়েক লাইন পড়লেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। এভাবে সব প্রশ্নের উত্তর করা যাবে। যা প্রয়োজন তাই লিখুন, বানিয়ে বানিয়ে বেশি লিখতে গেলে বাক্য ভুল হবার সম্ভাবনা থাকবে। এ দশটা প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে আপনি কম্প্রিহেনশানটার মূল কথাটা বুঝো যাবেন। তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তরও করা হলো আর কম্প্রিহেনশানটাও বুঝা গেলো। যে প্রশ্নটা পারছেন না তার উত্তরের জন্য খাতায় জায়গা রেখে দিন। কখনো না কখনো উত্তরটা আপনার চোখে পড়বেই।
এখানে আপনার সময় ৩৬ মিনিট হলেও ৪০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন।)
2) Grammar: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। ( কম্প্রিহোনশন থেকে গ্রামার রিলেটেড কিছু প্রশ্ন পাবেন। এখানে ভালো করার চেষ্টা করুন। কারণ সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ৩০ এ ৩০ নম্বর পাবেন। তবে একটা ভালো দিক হলো গ্রামার অংশে উত্তর করার সময় আপনার বেশিক্ষণ লাগবেনা। আমার কাছে এখানে ৩০ মিনিটই যথেষ্ট মনে হয়। হাতে থাকবে ২ মিনিট। গ্রামার অংশে আপনি হঠাৎ করেই ভালো করতে পারবেন এমনটা ভাবা ঠিক না। আর বিসিএস ছাড়াও যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরেজি গ্রামার লাগবেই। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে গ্রামার অংশ আয়ত্ব করুন। বেসিক জ্ঞান এখানে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে ৩/৪ টি কম্প্রিহেনশন অনুশীলন করা যেতে পারে। আমি যে কথাটা বার বার বলি তা হলো- অনুশীলন ছাড়া আসলেই সাফল্য সম্ভব নয়।)
3) Summary writing: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (আপনি কম্প্রিহেনশান পড়ে কী বুঝলেন তা সাধারণত ১০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলা হয়। এখন কথা হলো কীভাবে লিখবেন? এ জন্য কী আপনাকে পুরো কম্প্রিহেনশান আবার পড়তে হবে? সে সময়টা কোথায় বলুন তো! আসলে আপনি ১ নং আর ২ নং প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়েই কম্প্রিহেনশানটার মূল বিষয় বুঝে গেছেন। তাই আপনাকে আর পুরো অনুচ্ছেদ টা পড়তে হবেনা। আপনি প্রাপ্ত ধারণা থেকেই সামারিটা লিখতে পারবেন।
তবুও টেনশান হচ্ছে? ওকে একটা কৌশল বলে দিচ্ছি। যদি আপনি সত্যিই কী লিখবেন বুঝতে না পারেন তবে ১ নং প্রশ্নে যে ১০ টা উত্তর লিখেছেন সেগুলো বাক্য গঠন প্রকৃয়া ঠিক রেখে ওলট পালট করে লিখে দিন। তাতেই ৮০% কাজ হবে।
এখন কথা হলো, কতপৃষ্টা লিখবেন। আমার মতে ১.৫ পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইন) হলেই যথেষ্ট। আমিও এমন লিখোছি। এখানে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১৫/১৬ মিনিট। হাতে থাকলো ১১ মিনিট)
4) Letter to editor: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (এখানে উত্তর করার জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো আছে। শুধু মূল কথাটা লেখাই আপনার কাজ। মূল কথাগুলো তো ইতোমধ্যে আপনি উত্তর করতে করতে শিখে আর বুঝে গেছেন। নিজের মন থেকে সঠিক বাক্য সেগুলো সাজিয়ে প্রাসঙ্গিক ভাবে লিখুন। নম্বর পাবেন। এখানে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ১৫ মিনিটেই আপনি আশা করি উত্তরটা শেষ করতে পারবেন।। হাতে থাকলো ২০ মিনিট।)
যেভাবেই হোক প্রথম পত্র উত্তর করার সময় ১৫-২০ মিনিট সময় আপনাকে সেভ করতে হবে। সে সময়গুলো ২য় পত্র উত্তর করার সময় আপনার কাজে লাগবে। কোথায় কাজে লাগবে তা সময় মতো বলে দিবো।
Part-2
1) Translation: E2B- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০ মিনিট। (ইংরেজিতে ভালো নাম্বার তোলার সুযোগ এখানে পাচ্ছেন। ইরেজি অংশের কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ পায় এমন অনুবাদ করলেই হবে। এখানে আপনাকে সময় দিতে হবে। প্রথম পত্রে বেঁচে যাওয়া ২০ মিনিট থেকে ১০ মিনিট এখানে দিন। তাহলে আপনি সময় পাচ্ছেন ৪০ মিনিট। এখানে ছোট ছোট বাক্য দিয়ে অনুবাদ করতে পারেন। বাক্য গঠন ব্যাকরণ অনুযায়ী হলে নম্বর পেয়ে যাবেন। এ সময়গুলো কাজে লাগান। আগেও বলেছিলাম, অনুবাদে মোট ৬৫ নম্বর আছে। তাই এ জন্য আলাদা প্রিপারেশন নিতে হবে। প্রতিদিন ৪/৫ লাইন করে অনুবাদ করুন। পরিশ্রম আর অনুশীলন ছাড়া সফলতা আশা করা বোকামি।
এখানে প্রয়োজনে বড়দের সাহায্য নিন। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতে পারলে একসময় পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝবেন।)
2) Translation: B2E- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০। (এখানেও একি কথা, আপনি আগের পাওয়া ১০ মিনিট সহ মোট ৪০ মিনিট সময় পাবেন। কাজে লাগান।)
3) Essay: মোট নম্বর ৫০, সময় পাবেন ৬০ মিনিট। (ইংরেজিতে সাধারণত ১০০০ শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে বলা হবে। যেহেতু লিমিটেশন দেয়া আছে সেহেতু চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখন প্রশ্ন হলো কত পৃষ্ঠা লিখবেন। একটা পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইনের) লিখতে আপনার ৪ মিনিট লাগলে আপনি ১৩-১৫ পৃষ্টা লিখতে পারেন। কোনো ভাবেই ১৫ পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়। নীল কালি, কোটেশান, চিত্র দিয়ে আপনার উপস্থাপনা সুন্দর করুন, নম্বর পাবেন।
এখানে কি করবেন তার বিস্তারিত আলোচনা বাংলা প্রিপারেশনে-১০ পর্বে করেছি। ঠিক একি রকম কৌশল প্রয়োগ করুন। খাতায় ব্লু প্রিন্ট করতে ভুলবেন না। কিভাবে একটা ভালো রচনা দাঁড় করানো যায় তা নিয়ে একটা নোট আছে আমার কাছে। এটা মূলত শ্রদ্বেয় শরীফ স্যারের নোটের সহজ ভার্সন। নিচে লিংক দিলাম। প্রয়োজনে দেখতে পারেন।)
আজ এতটুকুই থাক। রিজিকের মালিক আল্লাহ। আমাদের দায়িত্ব হলো চেষ্টা করা, আমরা তাই করবো। ধৈর্য আর পরিশ্রমের দ্বারা নিজের সাফল্য ছিনিয়ে আনুন। হতাশ হবেন না, কেউ কারো রিজিক নষ্ট করতে পারেনা। দোয়া করবেন।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৩)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
আসসালামু আলাইকুম।
বিসিএস রিটেনে কীভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়ে গত দুটি পর্বে ধারাবাহিক আলোচনার পর আজ তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। ইংরেজিতে একটা কথা আছে JACK OF ALL TRADES, MASTER OF NONE. আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, রিটেনে একটা বিষয়ে এক্সপার্ট না হয়ে সবগুলো বিষয়ে কম বেশি ধারণা থাকলেই ভালো করা যায়। কোনো বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য কোন বিষয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়। আজ আমি গণিত ও মানসিক দক্ষতার প্রস্তুতি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশল শেয়ার করছি।
রিটেনে গণিতের জন্য ৫০ নম্বর আর সময় পাবেন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টার ভেতর গণিতের উত্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায় ৫০ নম্বর এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য পাবেন ১ ঘণ্টা।
৩৫, ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে গণিত ও মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা একসাথে একই দিনে হয়েছিলো। গণিতে উত্তর করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়। তাই ৩৫ ও ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায়ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা গিয়েছিলো। ফলে খুব সহজে এমসিকিউ প্রশ্নগুলোর উত্তর করা গিয়েছিলো। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা গণিত পরীক্ষার পরের দিন হয়েছিলো, তাই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ ছিলোনা। আর আগামী রিটেনেও সুযোগ পাবেননা আশা করি।
বিসিএসের অতীত ইতিহাস বলে যে, যারা ভালো ক্যাডার পেয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই গণিত ও মানসিক দক্ষতায় ভালো নম্বর পেয়েছিলেন। এখানে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০-৯০ নম্বর পেলে ভালো ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ নম্বর অন্যান্য বিষয়কে কাভার করা ছাড়াও মোট নম্বার বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই এখানে ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
যারা গণিত ভালো পারেন তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আর যারা আমার মতো গণিতে দুর্বল তাদের জন্যই মূলত আমার এ পরামর্শ। আমি দেখেছি যথাযথ অনুশীলন ছাড়া গণিতে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব না। অন্যান্য বিষয়গুলো তো পড়েই শেষ করা যায়, কিন্তু গণিত মুখস্থ করার বিষয় নয়। হাতে কলমে অনুশীলনের বিষয়।
প্রথমেই আপনি বিগত বিসিএসে রিটেনের সব অংক অনুশীলন করুন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিসিএস সিলেবাস দেখে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির গণিত বইয়ের অধ্যায়গুলো অনুশীলন করুন। যে যে অধ্যায়গুলো অনুশীলন করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করছি।
৬ষ্ঠ শ্রেণি- ২য়, ৪র্থ, ৫ম
৭ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৭ম
৮ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম
৯-১০ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৯ম, ১০ম, ১১শ, ১২শ, ১৩শ, ১৪শ।
৯-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিতের কিছু অধ্যায় (সিলেবাস দেখে) অনুশীলন করবেন।
বাজারে প্রচলিত যে কোনো ভালো প্রকাশনীর রিটেন গণিত বই কিনে নিতে পারেন। আমি ওরাকল বই কিনেছিলাম। রিটেনের বই থেকে অধ্যায় ধরে ধরে অংকগুলো অনুশীলন করতে হবে। জ্যামিতি অংশের জন্য রিটেন বই ফলো করলে হবে। সম্ভাব্যতা, সমাবেশ, বিন্যাস নিয়ে আলাদা প্রস্তুতি লাগবে। আমি এ অধ্যায়টা বাদ দিয়েছিলাম। যে অধ্যায়ের অংক সহজ মনে হবে তা আগে করা শুরু করবেন। কঠিন প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে বাকি প্রশ্নের উত্তরও ঠিকমতো দেয়া সম্ভব হবেনা। গণিতে কোনো অংক না বুঝলে ফেলে রেখে যাবেন না। যিনি বুঝাতে পারবেন ওনার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে লজ্জ্বা পাবার কিছুই নেই। আমিও ক্লাস সেভেনের ছাত্রের কাছ থেকে কিছু কিছু অংক বুঝে নিয়েছিলাম।
.
আসুন দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে কি করকম প্রশ্ন এসেছিলো।
,
৩৫ তম বিসিএস গণিত রিটেনে ১২ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো।
.
৩৬ তম বিসিএসে ১৪ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি, আর ৩৭ তম বিসিএসে ১২ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। সে হিসেবে আগামী পরিক্ষায়ও ১২-১৪ টি প্রশ্ন পেতে যাচ্ছেন।
.
৩৫/৩৬/৩৭ তম বিসিএস রিটেনের প্রশ্ন অনুযায়ী কোন কোন অধ্যায় থেকে প্রায় সময়ই প্রশ্ন এসেছে তা উল্লেখ করছি: সমীকরণ, মান নির্ণয়, শতকরা, কার্তেসীয় জ্যামিতি, উৎপাদক, সেট, লগ, সূচক,পরিমিতি, জ্যামিতি ইত্যাদি। তাই এ অধ্যায়গুলো রিটেনের বই থেকে ভালোভাবে অনুশীলন করুন। এসব অধ্যায়ের অংক পাবেনই। এর পর রিটেন সিলেবাসের অন্যান্য অধ্যায়গুলোও আয়ত্ব করার চেষ্টা করুন। রিটেনের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে খাতায় প্রায় প্রতিটা অধ্যায়ের জন্য তিন/চারটি স্টান্ডার্ড অংক করে রাখুন। পরীক্ষার আগে কাজে লাগবে।
.
মানসিক দক্ষতা:
এটা নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হবেনা। রিটেনের প্রশ্ন ব্যাংক থেকে বিগত বিসিএসের মানসিক দক্ষতার প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সলভ করার চেষ্টা করুন। কাজে দিবে। এছাড়াও বাজারে মানসিক দক্ষতা নিয়ে বই পাওয়া যায়। ইচ্ছা হলে কিনে দেখতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে আমি শুধু বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আর প্রিলি বইয়ের মানসিক দক্ষতা অংশ পড়েছিলাম।
.
যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলুন। পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করবো, ইনশা আল্লাহ। শুভ কামনা রইলো। দোয়া করবেন।
=======================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ২)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আালাইকুম। গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম বাংলা বিষয়ে কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন সে বিষয়ে। যারা গত পর্ব মিস করেছেন তাদের জন্য নিম্নে লিংক দেয়া হলো। আজ আলোচনা করার চেষ্টা করছি ইংরেজি বিষয়ে। আমি মূলত আলোচনার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করছি।
ইংরেজি
ইংরেজিতে মোট নম্বর ২০০, সময় পাবেন ৪ ঘণ্টা। প্রতি নম্বরের জন্য সময় হলো প্রায় ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে শুদ্ধ বাক্যে ইংরেজি উত্তর করলে ভালো নম্বর আাশা করা যায়।
প্রথমেই আসুন টাইম সেটিং করে প্লানিং করা শুরু করি।
Part-1 (পুরো অংশটি কম্প্রিহেনশান ভিত্তিক)
1) Comprehension এর উপর প্রশ্ন: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। (এখানে সাধারণত ১০ টি প্রশ্ন দেয়া হয়। প্রতি প্রশ্নের মান ৩। প্রশ্ন হাতে পাবার পর আপনি কম্প্রিহেনশনটা পড়া শুরু করবেন নাকি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবেন? আমার পরামর্শ হলো, আমি প্রশ্ন লেখা শুরু করি। কারণ পুরো কম্প্রিহেনশন পড়তে গেলে আমার সময় নষ্ট হবে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে কম্প্রিহেনশন না পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর কীভাবে করা সম্ভব? এ কৌশলটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এ পড়ার সময় শিখেছি। প্রতিটা প্রশ্নেরই একটা কী ওয়ার্ড থাকে। সে কী ওয়ার্ড টা কম্প্রিহেনশানে কোথায় আছে তা একটু লক্ষ করলেই পাবেন। তারপর সে লাইন সহ আগে পিছে কয়েক লাইন পড়লেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। এভাবে সব প্রশ্নের উত্তর করা যাবে। যা প্রয়োজন তাই লিখুন, বানিয়ে বানিয়ে বেশি লিখতে গেলে বাক্য ভুল হবার সম্ভাবনা থাকবে। এ দশটা প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে আপনি কম্প্রিহেনশানটার মূল কথাটা বুঝো যাবেন। তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তরও করা হলো আর কম্প্রিহেনশানটাও বুঝা গেলো। যে প্রশ্নটা পারছেন না তার উত্তরের জন্য খাতায় জায়গা রেখে দিন। কখনো না কখনো উত্তরটা আপনার চোখে পড়বেই।
এখানে আপনার সময় ৩৬ মিনিট হলেও ৪০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন।)
2) Grammar: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। ( কম্প্রিহোনশন থেকে গ্রামার রিলেটেড কিছু প্রশ্ন পাবেন। এখানে ভালো করার চেষ্টা করুন। কারণ সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ৩০ এ ৩০ নম্বর পাবেন। তবে একটা ভালো দিক হলো গ্রামার অংশে উত্তর করার সময় আপনার বেশিক্ষণ লাগবেনা। আমার কাছে এখানে ৩০ মিনিটই যথেষ্ট মনে হয়। হাতে থাকবে ২ মিনিট। গ্রামার অংশে আপনি হঠাৎ করেই ভালো করতে পারবেন এমনটা ভাবা ঠিক না। আর বিসিএস ছাড়াও যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরেজি গ্রামার লাগবেই। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে গ্রামার অংশ আয়ত্ব করুন। বেসিক জ্ঞান এখানে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে ৩/৪ টি কম্প্রিহেনশন অনুশীলন করা যেতে পারে। আমি যে কথাটা বার বার বলি তা হলো- অনুশীলন ছাড়া আসলেই সাফল্য সম্ভব নয়।)
3) Summary writing: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (আপনি কম্প্রিহেনশান পড়ে কী বুঝলেন তা সাধারণত ১০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলা হয়। এখন কথা হলো কীভাবে লিখবেন? এ জন্য কী আপনাকে পুরো কম্প্রিহেনশান আবার পড়তে হবে? সে সময়টা কোথায় বলুন তো! আসলে আপনি ১ নং আর ২ নং প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়েই কম্প্রিহেনশানটার মূল বিষয় বুঝে গেছেন। তাই আপনাকে আর পুরো অনুচ্ছেদ টা পড়তে হবেনা। আপনি প্রাপ্ত ধারণা থেকেই সামারিটা লিখতে পারবেন।
তবুও টেনশান হচ্ছে? ওকে একটা কৌশল বলে দিচ্ছি। যদি আপনি সত্যিই কী লিখবেন বুঝতে না পারেন তবে ১ নং প্রশ্নে যে ১০ টা উত্তর লিখেছেন সেগুলো বাক্য গঠন প্রকৃয়া ঠিক রেখে ওলট পালট করে লিখে দিন। তাতেই ৮০% কাজ হবে।
এখন কথা হলো, কতপৃষ্টা লিখবেন। আমার মতে ১.৫ পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইন) হলেই যথেষ্ট। আমিও এমন লিখোছি। এখানে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১৫/১৬ মিনিট। হাতে থাকলো ১১ মিনিট)
4) Letter to editor: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (এখানে উত্তর করার জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো আছে। শুধু মূল কথাটা লেখাই আপনার কাজ। মূল কথাগুলো তো ইতোমধ্যে আপনি উত্তর করতে করতে শিখে আর বুঝে গেছেন। নিজের মন থেকে সঠিক বাক্য সেগুলো সাজিয়ে প্রাসঙ্গিক ভাবে লিখুন। নম্বর পাবেন। এখানে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ১৫ মিনিটেই আপনি আশা করি উত্তরটা শেষ করতে পারবেন।। হাতে থাকলো ২০ মিনিট।)
যেভাবেই হোক প্রথম পত্র উত্তর করার সময় ১৫-২০ মিনিট সময় আপনাকে সেভ করতে হবে। সে সময়গুলো ২য় পত্র উত্তর করার সময় আপনার কাজে লাগবে। কোথায় কাজে লাগবে তা সময় মতো বলে দিবো।
Part-2
1) Translation: E2B- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০ মিনিট। (ইংরেজিতে ভালো নাম্বার তোলার সুযোগ এখানে পাচ্ছেন। ইরেজি অংশের কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ পায় এমন অনুবাদ করলেই হবে। এখানে আপনাকে সময় দিতে হবে। প্রথম পত্রে বেঁচে যাওয়া ২০ মিনিট থেকে ১০ মিনিট এখানে দিন। তাহলে আপনি সময় পাচ্ছেন ৪০ মিনিট। এখানে ছোট ছোট বাক্য দিয়ে অনুবাদ করতে পারেন। বাক্য গঠন ব্যাকরণ অনুযায়ী হলে নম্বর পেয়ে যাবেন। এ সময়গুলো কাজে লাগান। আগেও বলেছিলাম, অনুবাদে মোট ৬৫ নম্বর আছে। তাই এ জন্য আলাদা প্রিপারেশন নিতে হবে। প্রতিদিন ৪/৫ লাইন করে অনুবাদ করুন। পরিশ্রম আর অনুশীলন ছাড়া সফলতা আশা করা বোকামি।
এখানে প্রয়োজনে বড়দের সাহায্য নিন। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতে পারলে একসময় পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝবেন।)
2) Translation: B2E- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০। (এখানেও একি কথা, আপনি আগের পাওয়া ১০ মিনিট সহ মোট ৪০ মিনিট সময় পাবেন। কাজে লাগান।)
3) Essay: মোট নম্বর ৫০, সময় পাবেন ৬০ মিনিট। (ইংরেজিতে সাধারণত ১০০০ শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে বলা হবে। যেহেতু লিমিটেশন দেয়া আছে সেহেতু চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখন প্রশ্ন হলো কত পৃষ্ঠা লিখবেন। একটা পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইনের) লিখতে আপনার ৪ মিনিট লাগলে আপনি ১৩-১৫ পৃষ্টা লিখতে পারেন। কোনো ভাবেই ১৫ পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়। নীল কালি, কোটেশান, চিত্র দিয়ে আপনার উপস্থাপনা সুন্দর করুন, নম্বর পাবেন।
এখানে কি করবেন তার বিস্তারিত আলোচনা বাংলা প্রিপারেশনে-১০ পর্বে করেছি। ঠিক একি রকম কৌশল প্রয়োগ করুন। খাতায় ব্লু প্রিন্ট করতে ভুলবেন না। কিভাবে একটা ভালো রচনা দাঁড় করানো যায় তা নিয়ে একটা নোট আছে আমার কাছে। এটা মূলত শ্রদ্বেয় শরীফ স্যারের নোটের সহজ ভার্সন। নিচে লিংক দিলাম। প্রয়োজনে দেখতে পারেন।)
আজ এতটুকুই থাক। রিজিকের মালিক আল্লাহ। আমাদের দায়িত্ব হলো চেষ্টা করা, আমরা তাই করবো। ধৈর্য আর পরিশ্রমের দ্বারা নিজের সাফল্য ছিনিয়ে আনুন। হতাশ হবেন না, কেউ কারো রিজিক নষ্ট করতে পারেনা। দোয়া করবেন।
==========================================================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বাংলায় কিভাবে ভালো করবেন ?
লিখেছেনঃ মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,৩৬ তম বিসিএস।
আসসালামু আলাইকুম।
শুভেচ্ছা নিবেন।
বিসিএসে মূলত তিনটি পরীক্ষা হয়ে থাকে। যথা প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভা পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের প্রিলি পরিক্ষা হলো বাছাই পরীক্ষা, এ পরিক্ষায় পাশ করে আপনি রিটেন পরীক্ষার টিকেট পাবেন। মূল পরীক্ষা শুরু হয় রিটেন থেকে। রিটেন পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেলে ভাইভা পাশ করলে ভালো ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বর্তমানে, জেনারেল ক্যাডারে পরীক্ষার্থীর জন্য ৯০০ নম্বরের আর বোথ ক্যাডারে পরীক্ষার্থীর জন্য ১১০০ নম্বরের রিটেন পরীক্ষা দিতে হয়। রিটেন পরীক্ষার পাশ নম্বর হলো ৫০%। যারা প্রিলি পাশ করে রিটেনের প্রস্তুতি নিতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরলাম।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।
হাতের লেখা ও অন্যান্য:
____________________
অনেকেই খারাপ হাতের লেখা নিয়ে টেনশান করেন। সুন্দর হাতের লেখা একজন পরীক্ষককে সহজেই আকৃষ্ট করে। কিন্তু রিটেন খাতায় লিখা খারাপ হলেও যা লিখবেন তা যদি পড়া যায় তাহলে আর চিন্তা করতে হবেনা। একটি পূর্ন পৃষ্ঠায় সাধারণত ১৫-১৮ লাইন লিখা হলে ভালো। আর লক্ষ রাখতে হবে এক পৃষ্ঠা লেখা যেন কমপক্ষে ৪ মিনিটে লিখতে পারেন। রিটেনে প্রচুর লিখতে হয়। তাই টাইম মেনটেইন করা শিখতে হবে। যারা কোনো কোচিং সেন্টারে যান না, বা সারাদিনে তেমন লেখালেখি করেন না, তাদের জন্য পরামর্শ হলো দৈনিক কমপক্ষে ২/৩ পৃষ্ঠা লিখুন। আর অবশ্যই ঘড়ি ধরে ৪ মিনিটে এক পৃষ্ঠা শেষ করার চেষ্টা করুন। এ অনুশীলন অবশ্যই কাজে দিবে।
নীল কালির ব্যবহার:
__________________
প্রতিটা উত্তর শুরু করার আগে "২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর"- এ লেখাটা, প্রয়োজনীয় পয়েন্ট, কোটেশান, তথ্য প্রভৃতি নীল কালিতে লিখা উচিত। নীল কালিতে লিখলে পরীক্ষক সে লেখার প্রতি আকর্ষিত হবেন। আপনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দিলেন কিন্তু তা পরীক্ষক দেখলেন না তাহলে আপনার সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা কাজে আসলো না।
তবে সময় সুযোগ না থাকলে নীল কালি ব্যাবহার না করেও পয়েন্টের আান্ডারলাইন করেও পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। কোটেশন নীল কালিতে লিখলে খুব ভালো, আর লিখার সুযোগ না থাকলে তবে খাতার মাঝ বরাবর লিখবেন। তাহলে পরীক্ষকের চোখে পড়বে। যেমন-
"কে বলে শারদ শশি সে মুখের তুলা
পদনখে পড়ে আছে তার কতগুলা।"
এভাবে মাঝখানে লিখলে চোখে পড়বে। শুধু কবিতার লাইনই নয়, যে কোন কোটেশানই এভাবে দিতে পারবেন।
মার্জিন:
_______
একটি সুন্দর আর গুছানো খাতা আপনার রুচিবোধের পরিচয় দিবে। প্রথমে ২০ পৃষ্ঠার যে মূল খাতা দেয়া হবে তার উপরে আর বাম পাশে প্রায় ১ ইঞ্চি পরিমান পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করে নিতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাতায় মার্জিন করতে হবেনা, ভাঁজ করলে হবে। অতিরিক্ত খাতার কোনায় ১/২ নম্বর দিয়ে রাখবেন আর মূল খাতায় অতিরিক্ত খাতার ওএমআর ঘরে বৃত্ত ভরাট করতে ভুলবেন না।
পূর্ব পরিকল্পনা:
______________
যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধের নিয়ম আর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে রাখতে হয়। তাই রিটেন পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পত্র আর সিলেবাসের উপর ভালো ধারণা নিতে হবে। এটাই হলো পূর্ব পরিকল্পনা। বিগত বিসিএসের (৩৫,৩৬,৩৭) রিটেনের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন, প্রশ্নগুলো পড়ুন আর কয়েক বছরের প্রশ্ন পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা করুন। এবার সিলেবাস নিয়ে প্রতিটা বিষয়ের সিলেবাস ধরে দেখুন কোন কোন অধ্যায় থেকে প্রায় সময় প্রশ্ন আসে। সাথে সাথে আপনি কোন কোন অধ্যায়গুলো তে ভালো ধারণা রাখেন তাও দাগ দিয়ে রাখুন। এখানে বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো এমন ভাবে অনুশীলন করুন যেনো সে প্রশ্নগুলো আগামী পরীক্ষায় আসলে আপনি উত্তর করতে পারেন। রিটেন পরীক্ষায় হয়তে কয়েকটা প্রিভিয়াস প্রশ্ন পেয়েও যেতে পারেন।
এবার আমি বিষয় ভিত্তিক পরিকল্পনার কথা আলোচনা করছি।
______
বাংলা
______
বাংলা প্রথম আর দ্বিতীয় পত্রে মোট নম্বর ২০০। সময় থাকবে ৪ ঘণ্টা। প্রতিটা নম্বরের জন্য সময় ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। বাংলায় কিছু কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আসুন আমরা প্রথমেই বাংলা রিটেন পরীক্ষার টাইম সেটিং করে নিই।
☞ প্রথম পত্র
১) ব্যাকরণ :
___________
মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। (এখানে ভালো নম্বর পাবার সুযোগ আছে। তাই এ অধ্যায়ের উপর গুরুত্ব দিন। ৯-১০ম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও ড. সৌমিত্র শেখর স্যারের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই হতে সিলেবাস ধরে ধরে অনুশীলন করতে হবে। প্রয়োজনে যিনি ভালো বুঝেন তার কাছ থেকে ব্যাকরণ আয়ত্ব করে নিবেন। মনে রাখবেন, বাংলা ব্যাকরণ শুধু বিসিএস রিটেনে আসে এমন নয়, যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এটি আসে। তাই একবার ভালো প্রস্তুতি নিলে তা যে কোন পরীক্ষায় কাজে আসবে। এখানে উত্তর করার জন্য আপনার অবশ্যই ৩৬ মিনিটই লাগবে।
২) ভাব-সম্প্রসারণ:
________________
মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। ( ২০ নম্বরের জন্য সাধারণত ৪ পৃষ্ঠ লিখলে হবে। প্রতিপৃষ্ঠা ৪/৫ মিনিট ধরে এখানে ২০ মিনিটই যথেষ্ট। হাতে থাকলো ৪ মিনিট যা পরে কাজে লাগবে। এ অংশে মোটামুটি কমন কিছু প্রশ্ন পেতে পারেন। যুক্তি আর ভালো উপস্থাপনা থাকলে এখানে ভালো নম্বর পাবেন। কয়োকটা ভাব-সম্প্রসারণ খাতায় লিখে লিখে অনুশীলন করতে পারেন।
৩) সারমর্ম:
__________
মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। ( সারমর্ম লেখার জন্য ১০/১৫ মিনিটই যথেষ্ট। বাকি ১৪ মিনিট সহ মোট ১৮ মিনিট আপনার হাতে থাকলো। প্রয়োজনে ২/১ মিনিট বাড়তি সময়ও রাখতে পারেন।)
৪) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রশ্ন:
_________________________________
মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। ( এখানে সাধারণত ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়, প্রতি উত্তরে ৩ নম্বর করে। একটি পূর্ণ পৃষ্ঠায় দুটি করে প্রশ্নের উত্তর করুন। কোনো প্রশ্ন যত ভালোই পারেন না কেনো বেশি লিখার প্রয়োজন নেই। কারণ প্রতি প্রশ্নের উত্তরে মাত্র ৩ নম্বরই আছে। প্রয়োজনে কোটেশান দিবেন। এখানে ৪০ মিনিট সময় দিতে পারেন। ভালো আর গুছিয়ে লিখতে পারলে ভালো নম্বর অবশ্যই পাবেন। আপনার হাতে থাকলো প্রায় ১২/১০ মিনিট।)
☞ দ্বিতীয় পত্র:
১) অনুবাদ:
___________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( রিটেনে অনুবাদ খুবই গুরুত্ববহ কারণ মোট ৬৫ নম্বর আসে অনুবাদ থেকে। এখানে ভালো করার জন্য অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩/৪ লাইন করে অনুশীলন করুন। পরীক্ষায় অনেক কাজে দিবে। প্রয়োজনে অনলাইন বিডি নিউজের বাংলা ভার্সন কে নিজে ইংরেজীতে কয়েকলাইন অনুবাদ করে ইংরেজী ভার্সনের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। অনুবাদ সবসময় ১০০% সঠিক হতে হবে এমন নয়। কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ পেলেই নম্বর পাবেন। এখানে আপনার ১৮ মিনিটই লাগবে। হয়তো বেশিও লাগতে পারে। ১৮ মিনিটে করার চেষ্টা করবেন।
২) সংলাপ:
___________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( এখানে মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে পারবেন। আঞ্চলিক শব্দ এখানে প্রয়োগ করতে পারবেন। উত্তর করার জন্য ১২/১৫ মিনিটের বেশি প্রয়োজন নেই। হাতে থাকলো মোট ১৫ মিনিট।
৩) পত্রলেখা:
____________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( সময় বেশি লাগবোনা ১২/১৫ মিনিটই যথেষ্ট। হাতে থাকলো ১৮ মিনিট)
৪) গ্রন্থ সমালোচনা:
_________________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। (মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সম্প্রতি পঠিত কোনো বই, বইমেলায় প্রকাশিত কোনো বই, ঐতিহ্য নিয়ে কোনো গ্রন্থের সমালোচনা খাতায় লিখে রাখবেন। কয়েকটা অনুশীলন করলেই হবে। ভালো লিখলে ভালো নম্বর পাবেন। একটি গ্রন্থ সমালোচনা লিখলে বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশের সময়, প্রকাশক, পটভূমি, চরিত্র, বিশেষ ঘটনা প্রভৃতি উল্লেখ করতে হবে। আপনার উত্তর করা গ্রন্থটি সময়োপযোগী কিনা তা আলোচনা করবেন। এখানে ১৮-২০ মিনিট লাগবে। সাধারণত ৩/৪ পৃষ্ঠা লিখলে যথেষ্ট।
৫) রচনা:
_________
মোট নম্বর ৪০, সময় ৪৮ মিনিট। (রচনা লেখার জন্য আপনি এখন ১ ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন কারণ আপনার হাতে আগেই ১২/১৫ মিনিট সময় ছিলো। এখানে ১ ঘণ্টা সময় অবশ্যই দিতে হবে। আর এ জন্য আগে থেকে সময় বের করে রাখতে হবে এ পরিকল্পনা অনুযায়ী। এখানে আনলিমিটেড লেখা যায়। তবে নিয়ম আর পরিকল্পনা করে লিখলে সময়ের ভিতর লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। রচনায় কিভাবে ভালো লিখবেন তা পরে আলোচনা করবো)
এভাবে পরিকল্পনাটা আপনি আগে থেকেই করে রাখবেন। কারণ একটি ভালো পরিকল্পনা কাজকে ৫০% এগিয়ে দেয়। পরিকল্পনা না করে পরীক্ষা দিলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। এটা আমার দুবার রিটেন দেয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বাংলায় নোট করার মত কিছু নাই। তবে সাহিত্য বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থ সমালোচনা চর কিছু গুরুত্বপূর্ণ রচনার কী পয়েন্টগুলো লিখে নোট করুন। পরীক্ষার আগে এগুলোই দেখে যাবেন।
বাংলা রচনা কিভাবে লিখবেন:
___________________________
রচনায় কয়েকটা বিষয় লক্ষ রাখলে কম লিখেও ভালো নম্বর পাওয়াযায়। যেমন- ভালো উপস্হাপনা, তথ্য, চিত্র/গ্রাফ, কোটেশান, চিন্তিত মতামত প্রভৃতি। মনে রাখবেন সূচনা ভালো হলে রচনা ভালো হবে। তাই কয়েকটা রচনা থেকে মনের মতো করে কয়েকলাইন সূচনা তৈরী করে রাখুন। ইংরেজীতে এ বিষয়ে আমার একটি নোট আছে। সূচনা বেশি বড় করার প্রয়োজন নেই। এখন কথা হচ্ছে ৪০ নম্বরের জন্য কত পৃষ্টা লিখবেন? আপনার হাতে সময় থাকবে ৬০ মিনিট। তাই আপনি লিখতে পারবেন প্রায় ১৫ পৃষ্ঠা। এতটুকুই যথেষ্ট।
রচনায় অবশ্যই কোটেশান আর তথ্য দিয়ে পরিপূর্ণ করতে হবে। তথ্যবহুল না হলে রচনা লিখে ভালো নম্বর পাবেন না। তথ্য প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। আর প্রয়োজনে তথ্য বানিয়ে দিতে পারেন। যেমন, পরিবেশ নিয়ে কোনো রচনা আসলে আপনি লিখতে পারেন- গত জুনে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষা মতে দেশে বর্তমানে বৃক্ষ নিধনের হার গত বছরের চেয়ে ১.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যটা অপ্রাসঙ্গিক নয়, কারণ রোহিঙ্গাদের আবাসনে সত্যিই অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
যেকোন তথ্য, চিত্র, গ্রাফ, ছক অবশ্যই নীল কালিতে লিখবেন। পরীক্ষার খাতায় রচনা লিখার আগে একটা পৃষ্ঠায় একটা খসড়া করবেন। এখানে আপনি কোন কোন পয়েন্টগুলো লিখবেন তা সংক্ষিপ্ত করে লিখবেন। রচনা লেখার সময় এ খসড়া দেখে দেখে আপনি উত্তর করতে পারবেন। অর্থাৎ লেখার সময় পয়েন্টগুলো নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবেনা। এ কৌশলকে বলাহয় ব্লু প্রিন্ট করা। রচনা লেখা শেষ হলে সে খসড়াটা কেটে দিবেন। এটা ইংরেজীতেও করা যায়। নিচে একটা নমুনা দেয়া হলো:
রচনা:
______
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
সূচনা, পরিবেশ দূষণ কী? বিশ্বে পরিবেশ দূষনের চিত্র(তথ্য সহ), পরিবেশ দূষণের ধরণ:-পানি, বায়ু, শব্দ, মাটি দূষন। কারণ- জনসংখ্যা( table), শিক্ষার অভাব, দুর্নীতি(গ্রাফ), রাজনৈতিক সহিংসতা, জ্বালানী চাহিদা, বেকারত্ব,শিল্পায়ন(তথ্য), বিশ্বায়ন, বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলানো, চাহিদা পূরণ, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে, দারিদ্র্য(তথ্য), প্রভৃতি। দূষণের পেছনে দেশ সমূহ: UNEP এর একটি ছক দিতে হবে, % সহ। বাংলাদেশে দূষনে কী কী হচ্ছে-রোগ বাড়ছে(কল্পিত ছক দেয়া যাবে), উর্বরতা কমছে, উৎপাদন কম(তথ্য), উষ্ণতা বৃদ্ধি(UNFCC এর তথ্য, নিম্নভূমি ডুবি(তথ্য), খাদ্য ঘাটতি প্রভৃতি। প্রতিকার: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা বৃদ্ধি, সভা-সেমিনার, সচেতনতা, পাঠ্যতালিকা ভুক্তি, বিকল্প জ্বালানী (তথ্য), পারমানবিক শক্তি, বনায়ন(তথ্য), প্রভৃতি। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ:অনেক তথ্য দেয়া যাবে (নম্বর পাবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ)। চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ, ক্লাইমেট ফান্ড। উপসংহার।
রচনা লিখার আগে এমন একটি খসড়া লিখে রাখলে রচনা লিখার সময় কী লিখবেন তা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা। রচনার প্রিপারেশন নেয়ার সময় আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কমন রচনার জন্য এ রকম খসড়া বা ব্লু প্রিন্ট করে নোট করে রাখতে পারেন এতে পরীক্ষার আগের রাতে শুধু এটা দেখে গেলই হবে।
প্রতিটা রচনা লেখার সময় সূচনা লেখার পরের পয়েন্ট লিখবেন বিষয়টা কী তা নিয়ে। যেমন আমি উপরে নমুনা খসড়ায় লিখেছিলাম, পরিবেশ দূষণ কী? এখানে অবশ্যই একটা প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বা দেশিয় প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা দিবেন। যেমন, সুশাসন নিয়ে লিখতে গেলে, সুশাসন কী? এই পয়েন্টে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা দিতে পারেন। সংজ্ঞা না জানলে বানিয়ে দিবেন।
পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখবো। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।
==============================
38 BCS Written Full Suggestion
Part 1-7
পর্ব-১ : সাধারণ বিষয়াবলী
১। প্রথমে বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সিলেবাস ও বিগত বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার (১০ম-৩৭তম) প্রশ্নাবলী সংগ্রহ করুন।
২। রিটেনের জন্য ৩ টি নোট খাতা তৈরি করুন।
*খাতা ১: বাংলাদেশ বিষয়াবলী
*খাতা ২: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
*খাতা ৩: বাংলা রচনা+English Essay
৩। বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষার রেজাল্টের পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো Study করুন।
-বিজ্ঞান (ওরাকল বিজ্ঞান বই)
-সাধারণ গনিত (ওরাকল + ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গনিত ও উচ্চতর গনিত)
-আরিফ খানের ব্যাখ্যাসহ সংবিধানের বই।
৪। যারা বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষায় ১১৫+ পাবেন বলে আশা করছেন, তারা যে কোন একটি ভাল মানের কোচিং (ওরাকল/কনফিডেন্স)-এ ভর্তি হয়ে যান। এবং যারা ১১০+ পাবেন আশা করছেন, তারা রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
----------------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-২: লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উল্লেখযোগ্য বইয়ের তালিকা।
★বাংলা:
১। অ্যাসিওরেন্স/ওরাকল বাংলা গাইড
২। লাল নীল দীপাবলি (প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য)
৩। ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ (ব্যাকরণ,সারাংশ,ভাব-সম্প্রসারণ,রচনা)
৪। শীকর- মোহসীনা নাজিলা (গ্রন্থ সমালোচনা)
৫। বাংলা-২য় পত্র (৯ম-১০ম শ্রেণি)
★ইংরেজি:
১। Self Assessment/ Assurance English Guide.
২। Master English Grammar.
৩। English paper reading. (Translation & Re-translation)
★সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা:
১। ওরাকল গনিত গাইড।
২। ওরাকল মানসিক দক্ষতা।
৩। সাধারণ গনিত (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৪। উচ্চতর গনিত (৯ম-১০ম শ্রেণি)
[ বি.দ্র.:
** যারা গনিতে দুর্বল, তারা 'Khairul's Basic Math' বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
** যারা probability, permutation & combination math-এ দুর্বল, তারা Youtube থেকে 'Onnorokom pathshala (অন্যরকম পাঠশালা)'-র ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারেন। অনেক উপকৃত হবেন। ]
★বাংলাদেশ বিষয়াবলী:
১। অ্যাসিউরেন্স গাইড।
২। বাংলাদেশের সংবিধান (ব্যাখ্যাসহ)- আরিফ খান।
৩। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৪। বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৫। অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৭
৬। দৈনিক প্রথম আলো- (জাতীয়, সম্পাদকীয় পাতা, অর্থনীতি পাতা)।
৭। সম্পাদকীয় সমাচার।
★আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী:
১। অ্যাসিউরেন্স/মিলার'স গাইড।
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিষয়াদি- আব্দুল হাই
২। দৈনিক প্রথম আলো- (আন্তর্জাতিক পাতা, সম্পাদকীয় পাতা)।
৩। সম্পাদকীয় সমাচার।
★বিজ্ঞান:
১। ওরাকল বিজ্ঞান গাইড।
২। সাধারণ বিজ্ঞান (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৩। সাধারণ বিজ্ঞান (৮ম শ্রেণি)
৪। কম্পিউটার (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)
-------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-৩: বিজ্ঞান
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পেতে বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিটেন সিলেবাস অনুযায়ী বিজ্ঞানকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. সাধারণ বিজ্ঞান (৬০)
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (২৫)
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি (১৫)
ক. সাধারণ বিজ্ঞান:
বিজ্ঞানের এই অংশে সাধারণত সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এই অংশের সৃজনশীল প্রস্তুতি ভাল নাম্বার অর্জনে সহায়ক হবে।
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
★আলো(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★শব্দ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৭ম অধ্যায়,৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-১ম পত্র (শাহজাহান তপন)
★চুম্বকত্ব(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★অম্ল,ক্ষারক ও লবণ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১০ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-৭ম অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পানি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-২য় অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★আমাদের সম্পদ(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৮ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পলিমার(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৬ষ্ঠ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★বায়ুমণ্ডল(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক ভূগোল
★খাদ্য ও পুষ্টি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৩ তম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-১ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★জৈব প্রযুক্তি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৪ তম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি:
এই অংশে নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং সৃজনশীল প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নাই।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি'
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজ
পর্ব-৩: বিজ্ঞান
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পেতে বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিটেন সিলেবাস অনুযায়ী বিজ্ঞানকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. সাধারণ বিজ্ঞান (৬০)
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (২৫)
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি (১৫)
ক. সাধারণ বিজ্ঞান:
বিজ্ঞানের এই অংশে সাধারণত সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এই অংশের সৃজনশীল প্রস্তুতি ভাল নাম্বার অর্জনে সহায়ক হবে।
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
★আলো(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★শব্দ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৭ম অধ্যায়,৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-১ম পত্র (শাহজাহান তপন)
★চুম্বকত্ব(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★অম্ল,ক্ষারক ও লবণ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১০ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-৭ম অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পানি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-২য় অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★আমাদের সম্পদ(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৮ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পলিমার(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৬ষ্ঠ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★বায়ুমণ্ডল(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক ভূগোল
★খাদ্য ও পুষ্টি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৩ তম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-১ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★জৈব প্রযুক্তি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৪ তম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি:
এই অংশে নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং সৃজনশীল প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নাই।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি'
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি:
এই অংশেও নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-দ্বাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন
Point to be noted:
-'To the point'- এ উত্তর করবেন।
-চিত্র আঁকতে পেন্সিল এবং বিক্রিয়া লিখতে কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
-যেহেতু 'সাধারণ বিজ্ঞান' অংশে সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে সেহেতু এই অংশের(৮ম; ৯-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট অধ্যায়) সৃজনশীল প্রস্তুতি নিতে হবে।
-'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি' এবং 'ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি' অংশে সাধারণত পূর্বের বিসিএসের প্রশ্ন রিপিট করা হয়। সুতরাং এই অংশের পূর্বের বিসিএসের প্রশ্নগুলো ভাল করে সলভ করতে হবে।
-------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি
পর্ব-৪: গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নাম্বার পার্থক্য সৃষ্টিকারী বিষয় 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা'। সুতরাং এই বিষয়ে আপনার পরিকল্পিত পড়াশোনা, ক্যাডার হওয়ার দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
বিসিএস (লিখিত) সিলেবাস অনুযায়ী, 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা'-কে ২টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. গাণিতিক যুক্তি (৫০)
খ. মানসিক দক্ষতা (৫০)
ক. গাণিতিক যুক্তি:
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
১। Simplification of Arithmetic & Algebraic Expressions:
-ওরাকল গণিত গাইড
২। পাটীগণিত:
A. Unitary Method(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Average:
- ওরাকল গণিত গাইড
C. Percentage:
- ওরাকল গণিত গাইড
D. Simple & Compund Interest(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ২য় অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
E. LCM:
- ওরাকল গণিত গাইড
F. GCD:
- ওরাকল গণিত গাইড
G. Ratio & Proportion(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- একাদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
H. Profit & Loss(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ২য় অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
৩। বীজগণিত:
A. Algebraic Formulas(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৪র্থ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Factorization of Polynomials(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ২য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
C. Linear & Quadratic Equations(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ৪র্থ অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-২য় পত্র' [অসীম কুমার সাহা]
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
D. Linear & Quadratic Inequalities(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৪। Systems of Linear Equations with two or three unknowns(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- দ্বাদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৫। Exponents & Logarithms, Exponential & Logarithmic functions(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৪র্থ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৯ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৬। Arithmetic & Geometric Sequences & Series(**):
- ওরাকল গনিত গাইড
- ত্রয়োদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৭ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৭। জ্যামিতি:
A. Line, Angle, Triangle related theorems(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১৪ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
B. Theorem of Pythagoras(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৯ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
C. Circle- theorems, Corollaries(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১০ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৮ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
৮। জ্যামিতি:
A. Area related theorems & Construction:
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৫ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Mensuration-plane figures & solid objects(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৬ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১৩ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৯। Cartesian Geometry- Distance, Equation of a straight Line(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১১ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-১ম পত্র'
১০। ত্রিকোণমিতি:
A. Trigonometric ratios & functions(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৯ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৮ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
B. Problems on height & distances(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১০ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
১১। Set theory & Venn diagram(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৭ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ২য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
১২। বীজগণিত:
A. Permutations & Combinations(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৫ম অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-১ম পত্র'
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
B. Elementary Probability(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৪ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ১০ম অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-২য় পত্র'
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন:
- প্রথমে বিগত বিসিএস ( লিখিত) পরীক্ষার প্রশ্নাবলী সমাধান করতে হবে।
- সিলেবাস অনুযায়ী বোর্ড বইয়ের অধ্যায়গুলো সমাধান করবেন।
- সর্বশেষ ওরাকল গাইড সমাধান করবেন।
খ. মানসিক দক্ষতা:
মানসিক দক্ষতা অংশে ৫০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান ১ এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ করে নেগেটিভ মার্কস কাটা যায়।
★সহায়িকা:
- ওরাকল 'মানসিক দক্ষতা' গাইড
- অ্যাসিওরেন্স 'মানসিক দক্ষতা' গাইড
- বিসিএস (প্রিলি.)-র 'মানসিক দক্ষতা'-র বিগত সালের প্রশ্নাবলী
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন:
- প্রথমে বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার 'মানসিক দক্ষতা' অংশের বিগত সালের প্রশ্নাবলী সমাধান করবেন।
- বিসিএস (প্রিলি.)-র 'মানসিক দক্ষতা' অংশের বিগত সালের প্রশ্নাবলী সমাধান করবেন।
- সর্বশেষ সিলেবাস অনুযায়ী ওরাকল ও অ্যাসিওরেন্স গাইড সমাধান করবেন।
Point to be noted:
- 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা' regularly practice করবেন।
- সাধারণত শোবার আগে অর্থাৎ রাত্রে গনিত করবেন।
- দ্বিঘাত সমীকরণ, বিন্যাস-সমাবেশ ও সম্ভাব্যতার অংক করতে সমস্যা হলে অবশ্যই - ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা' থেকে বুঝে নিবেন।
- পরীক্ষার কেন্দ্রে বীজগণিত সবার আগে এবং জ্যামিতি সবার পরে করবেন।
- পরীক্ষা দেবার পরে অবশ্যই 'রিভিশন' দিবেন।
- মানসিক দক্ষতার পরীক্ষার সময় সহজ প্রশ্নাবলী আগে এবং জটিল প্রশ্নাবলী পরে উত্তর করবেন।
----------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি'
"কোটেশন ও সাহিত্যিক ভাষার ব্যবহার,
বাংলায় পাবেন বেশি বেশি নাম্বার"
পর্ব-৫: বাংলা
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাকে ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১। বাংলা-১ম পত্র(১০০)
২। বাংলা-২য় পত্র(১০০)
বাংলা-১ম পত্র:
১। ব্যাকরণ:
ক. শব্দগঠন:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-শব্দের শ্রেণিবিভাগ (অর্থ, গঠন ও উৎস অনুসারে)
-সাধিত শব্দ গঠন প্রক্রিয়া।
-সন্ধি কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
-সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য লিখুন।
-'উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে'- ব্যাখ্যা করুন।
-দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
-পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
খ. বানান/বানানের নিয়ম:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-বাংলা একাডেমী প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান রীতি অনুসারে তৎসম ও অ-তৎসম শব্দের নিয়মাবলী।
-ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের নিয়মাবলী।
-বিভিন্ন শব্দের বানান শুদ্ধিকরণ।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
গ. বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ:
-বিভিন্ন বাক্যের শুদ্ধিকরণ practice করতে হবে।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
ঘ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ:
-তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে।
-Regular অল্প অল্প করে study করতে হবে।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
-প্রফেসর'স প্রবাদ-প্রবচন গাইড
-প্রবাদ-প্রবচনের উৎস অনুসন্ধান- সমর চন্দ্র পাল
ঙ. বাক্যগঠন:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-বাক্যের শ্রেণিবিভাগ।
-সার্থক বাক্যের ৩টি গুণ।
-বাক্যের রুপান্তরকরণ।
-যতি চিহ্নের ব্যবহার।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
২। ভাব-সম্প্রসারণ:
-প্রস্তুতিতে কম সময় ব্যয় করুন।
-প্রদত্ত বাক্যটিকে বারবার পড়ে অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
-কোটেশন ও উদাহরণ নোট করে পড়বেন এবং লিখতে কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৩। সারাংশ/সারমর্ম:
-প্রদত্ত অংশটিকে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর নিচে আন্ডারলাইন করে মূলভাব বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
-লেখার আগে রাফ করে নিবেন।
-প্রদত্ত অংশের ১/৩ অংশ লিখবেন।
-কোন প্রকার উদাহরণ দেওয়া যাবে না।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৪। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-বিষয়ক প্রশ্ন:
- সর্বদা কোটেশন ব্যবহার করবেন।
-সাহিত্যিক ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
ক. প্রাচীন যুগ:
(***লাল নীল দীপাবলি ভাল করে পড়বেন)
-চর্যাপদ***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-লাল নীল দীপাবলি
-George's বাংলা mp3
খ. মধ্যযুগ:
(***লাল নীল দীপাবলি ভাল করে পড়বেন)
-শ্রীকৃষ্ণকীর্তন***
-মঙ্গলকাব্য***
-বৈষ্ণব পদাবলি***
-মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
-ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর
-শ্রী চৈতন্যদেব**
-অন্ধকার যুগের সাহিত্য**
-জীবনী সাহিত্য**
-অনুবাদ সাহিত্য**
-দোভাষী পুথি
-নাথ সাহিত্য
-মর্সিয়া সাহিত্য
-আরাকান রাজসভা***
-আলাওল***
-রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান***
-লোকসাহিত্য***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-লাল নীল দীপাবলি
-George's বাংলা mp3
গ. আধুনিক যুগ:
-ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ***
-হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল
-কল্লোল যুগ**
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর***
-কাজী নজরুল ইসলাম***
-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর**
-মীর মোশাররফ হোসেন**
-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়***
-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়*
-মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়*
-ফররুখ আহমেদ*
-জসিম উদ্দীন*
-মাইকেল মধুসূদন দত্ত***
-বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন**
-বিহারীলাল চক্রবর্তী**
-কায়কোবাদ*
-ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত**
-জীবনানন্দ দাশ**
-শওকত ওসমান**
-আখতারুজ্জামান ইলিয়াস**
-সৈয়দ শামসুল হক**
-সবুজপত্র পত্রিকা***
-শামসুর রহমান**
-প্রমথ চৌধুরী**
-জহির রায়হান*
-মুনীর চৌধুরী**
-বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন***
-মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/প্রবন্ধ/গল্প/কাব্যগ্রন্থ***
-ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/
-ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/
প্রবন্ধ/গল্প/কাব্যগ্রন্থ***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-শীকর গ্রন্থ-সমালোচনা- মোহসিনা নাজিলা
-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- সৌমিত্র শেখর
বাংলা-২য় পত্র:
১। অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা):
-ইংরেজির সাথে প্রস্তুতি নিবেন।
-সাধারণত সহজ অনুবাদ দেওয়া হয়।
-অনুবাদ লেখার আগে রাফ করে নিবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
-English Newspaper Reading
২। কাল্পনিক সংলাপ:
-ফরমেট দেখে যাবেন।
-প্রস্তুতিতে কম সময় ব্যয় করুন।
-সংলাপের বিষয়বস্তুকে ভাল করে বোঝার পর লেখা শুরু করবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
৩। পত্রলিখন:
-ফরমেট/নিয়ম-কানুন জানতে হবে।
-সর্বদা বাম পাশের পৃষ্ঠা থেকে লেখা শুরু করবেন।
-প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বেশি সময় ব্যয় করবেন না। কারণ এখানে মুখস্থ করার কিছু নাই, শুধু ফরমেট দেখে যাবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৪। গ্রন্থ-সমালোচনা:
-প্রস্তুতিতে একটু বেশি সময় ব্যয় করুন।
-যেহেতু সরাসরি স্পেসিফিক কোন গ্রন্থের সমালোচনা লিখতে বলা হয় না, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের একটি করে গ্রন্থের সমালোচনা নোট করে প্রস্তুতি নিবেন।
-সমালোচনা লিখতে ঐ গ্রন্থের পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় দিকই তুলে ধরতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ-সমালোচনার স্যাম্পল:
*মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস/নাটক- (রাইফেল রোটি আওরাত/পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়)
*ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস/নাটক- (আরেক ফাল্গুন/কবর)
*ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থানভিত্তিক উপন্যাস- (চিলেকোঠার সেপাই)
*সামাজিক উপন্যাস- (পদ্মা নদীর মাঝি)
*ঐতিহাসিক উপন্যাস/নাটক
*রাজনৈতিক উপন্যাস
*রোমান্টিক উপন্যাস- (কপালকুণ্ডলা)
*মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস- (চোখের বালি)
*ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস- (বিষাদ সিন্ধু)
*৪৩'র দুর্ভিক্ষ ও দেশবিভাগ সংক্রান্ত উপন্যাস- (সূর্যদীঘল বাড়ী)
*ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংক্রান্ত উপন্যাস- (লালসালু)
*অসমাপ্ত আত্নজীবনী
*কারাগারের রোজনামচা
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-শীকর গ্রন্থ-সমালোচনা- মোহসিনা নাজিলা
৫। রচনা:
-ইংরেজির সাথে প্রস্তুতি নিবেন।
-সাজেশন করে প্রস্তুতি নিবেন।
-কোটেশন, চিত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করবেন এবং পরীক্ষার খাতায় কালার পেন দিয়ে লিখবেন।
-সব প্রশ্নের শেষে রচনা লিখবেন।
(গুরুত্বপূর্ণ রচনা: পোশাক শিল্প, পর্যটন শিল্প, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বদেশপ্রেম, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও প্রতিকার/জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশে তার প্রভাব, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি: সমস্যা ও সম্ভাবনা, বিদ্যুৎশক্তি ও বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, পদ্মা সেতু, ব্লু-ইকোনমি, বিনিয়োগ: সমস্যা ও সম্ভাবনা, জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিটেন্স অর্জন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বৈদেশিক রপ্তানি: সমস্যা ও সম্ভাবনা, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা)
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
---------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-৬: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
১। ছোট প্রশ্ন(৪০)
২। বড় প্রশ্ন(৪৫)
৩। প্রব্লেম সলভিং(১৫)
১। ছোট প্রশ্ন (৪০):
এই অংশে ১০ টি ছোট প্রশ্নের উত্তর করতে হয়।
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন?
-সিলেবাস অনুযায়ী এই অংশের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, গঠন, কার্যাবলি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পড়তে হবে।
-সংজ্ঞা পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোন লেখক / বিজ্ঞানী / সংস্থা / ওয়েবসাইটের দেওয়া সংজ্ঞা পড়বেন।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-কোটেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
-পার্থক্য অবশ্যই ছক আকারে লিখবেন।
-কোন কিছুর সংজ্ঞা আসলে, সংজ্ঞার সাথে ঐ বিষয়ের প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য লেখার চেষ্টা করবেন।
★গুরুত্বপূর্ণ টপিকস:
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক*
-আন্তর্জাতিক রাজনীতি*
-Clash of Civilization
-স্নায়ুযুদ্ধ
-স্টেট ও নন-স্টেট অ্যাক্টর*
-রাষ্ট্র কাকে বলে? রাষ্টের শ্রেণিবিভাগ*
-রাষ্ট্রের উপাদান
-জাতিতাত্ত্বিক রাষ্ট্র*
-ক্ষুদ্র রাষ্ট্র
-আধুনিক রাষ্ট্র*
-ছিটমহল, করিডর, ট্রানজিট, ট্রান্সশীপমেন্ট*
-সার্বভৌম ও সার্বভৌমত্ব*
-শক্তিসাম্য (Balance of power)*
-শক্তিসাম্য রক্ষা করার কৌশল
-অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ*
-ভূ-রাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি
-ভূ-রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের ভূমিকা
-সন্ত্রাসবাদ
-জাতীয়তাবাদ
-সাম্রাজ্যবাদ*
-উপনিবেশবাদ*
-নব্য-উপনিবেশবাদ*
-বিশ্বায়ন*
-বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার মূল চালিকাশক্তি*
-নয়া বিশ্বব্যবস্থা
-পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি
-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নির্ধারক*
-SDG ও MDG*
-ব্লূ-ইকোনমি*
-মৈত্রী চুক্তি ও নিরাপত্তা চুক্তির মধ্যে পার্থক্য
-Responsibility to protect (R2P)
-জেনেভা কনভেনশন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও আমেরিকা*
★Global Initiatives & Institutions:
-'WB, IMF ও WTO হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো শোষণের অন্যতম হাতিয়ার'*
-স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে WB ও IMF-র ভূমিকা
-ADB
-Kyoto Protocol
★Regional Institutions:
-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে SAARC-র সাফল্য ও ব্যর্থতা
-রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ASEAN-র ভূমিকা*
-'BIMSTEC কে কেন SAARC ও ASEAN-র সেতুবন্ধন বলা হয়'?
-'কাতার ইস্যু সমাধানে GCC-র ভূমিকা'*
-'ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে OIC-র ভূমিকা'*
★Major Issues & Conflicts in the world***:
-মধ্যপ্রাচ্য/ফিলিস্তিন ইস্যু*
-কাশ্মীর ইস্যু
-সিরিয়া ইস্যু
-ইরান ও নিউক্লিয়ার ইস্যু
-উত্তর কোরিয়া ইস্যু*
-দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু
-কাতার ইস্যু *
-ফার্ক-কলম্বো সরকারের শান্তিচুক্তি*
-ইয়েমেন সংকট*
-ভেনিজুয়েলা ইস্যু
★Politics in South Asia***:
-বিশ্বরাজনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব
-বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক*
-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক/কাশ্মীর ইস্যু
-বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্পর্ক/রোহিঙ্গা ইস্যু*
-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
-বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক*
★Bangladesh in International Affairs:
-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
-টিকফা কী? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টিকফা চুক্তির প্রভাব
★কিভাবে পড়বেন?
-প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ রিডিং দিবেন।
-চিত্র/মানচিত্র সহকারে নোট করবেন।
-রিসেন্ট তথ্য পড়ার চেষ্টা করবেন।
-বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে পড়ার চেষ্টা করবেন।
-একই টপিকস একাধিক সূত্র/বই থেকে পড়ার চেষ্টা করবেন।
-শুধুমাত্র কী ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুখস্থ করবেন এবং চিত্র practice করবেন।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-চিত্র/মানচিত্র দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
-কোটেশন/গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে নীল কালির পেন ব্যবহার করবেন।
-প্রশ্নের উত্তরের কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটির দিকে নজর দিবেন।
-কোন Conflict-র (কাশ্মীর ইস্যু) উত্তর করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
[ভূমিকা > প্রেক্ষাপট > বর্তমান অবস্থা > চিত্র(যদি সম্ভব হয়! > কারণ > ফলাফল > সমাধান > উপসংহার]
-কোন সংগঠন/সংস্থা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে ঐ সংস্থার গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সহকারে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ের উত্তর করতে হবে।
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি (আব্দুল হাই)
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
-দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক (আন্তর্জাতিক পাতা)
-ইন্টারনেট
৩। প্রব্লেম সলভিং(১৫):
এই অংশে সমসাময়িক কোন সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়।
★গুরুত্বপূর্ণ টপিকস:
-রোহিঙ্গা সমস্যা*
-সন্ত্রাসবাদ ইস্যু
-কাতার ইস্যু*
-বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI)
-বৈশ্বিক জলবায়ু
★কিভাবে পড়বেন?
-বড় প্রশ্নের সাথেই প্রিপারেশন নিবেন।
-আলাদা করে পড়ার দরকার নাই।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সিকুয়েন্স অবলম্বন করতে পারেন:
[ভূমিকা > প্রেক্ষাপট > বর্তমান অবস্থা > সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সুপারিশ > বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশ > আপনার ব্যক্তিগত সুপারিশ > আপনার সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক আইন/রেফারেন্স > উপসংহার।]
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি (আব্দুল হাই)
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
-দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক (সম্পাদকীয় পাতা)
-ইন্টারনেট
------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি
পর্ব-৭: বাংলাদেশ বিষয়াবলী
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সুতরাং লিখিত পরীক্ষায় অধিক নাম্বার অর্জনে বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ভাল করা আবশ্যক।
★Geography of Bangladesh***:
-বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আয়তন, সীমানা
-বঙ্গোপসাগরের সীমারেখা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-সেন্ট মার্টিনের সীমারেখা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-সুন্দরবনের আয়তন ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-ব-দ্বীপ কী? এর শ্রেণিবিভাগ করুন এবং বাংলাদেশকে কেন বৃহত্তম ব-দ্বীপ বলা হয়?
-আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূ-প্রকৃতির প্রভাব
-জুমচাষ কী? এর ক্ষতিকর প্রভাব
-কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
-কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
-বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রকারভেদ
-ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা-২১০০
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★Demographic features:
-ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কী?
-বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, প্রভাব ও সমাধান
-'আদিবাসী' বনাম 'উপজাতি'
-বাঙালিকে কেন সংকর জাতি বলা হয়?
-বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যা, সমস্যা না সম্পদ?
-চাকমা, সাওতাল, গারো উপজাতিদের বৈশিষ্ট্য
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-১১তম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★History & Culture of Bangladesh**:
-বাংলার প্রাচীন জনপদ- বঙ্গ, রাঢ়, হরিকেল, সমতট, গৌড়
-আওয়ামী
-৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
-GDP vs GNP
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স খাতের অবদান
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান
-দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য
-পদ্মা সেতু প্রকল্প
-GDP-তে মৎস খাতের অবদান
-GI পণ্য
-অর্থনীতিতে SEZ ও EPZ-র অবদান
-বাংলাদেশের শিল্পায়নের সমস্যা
-বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান
-অর্থনীতিতে বেসরকারিকরণের গুরুত্ব
-PRSP
-একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প
-ভিশন-২০২১
-অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান
-অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের অবদান
-জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮
-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৭
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
★Bangladesh's environment & nature:
-তিস্তার পানি সংকটের পরিবেশগত প্রভাব
-সুন্দরবনের পরিবেশের উপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব
-সমূদ্রের জলস্ফীতিজনিত কারণে বাংলাদেশের উপর প্রভাব
-আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প
-প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে অন্তরায়
-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
-SPARSO
-পরিবেশের উপর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
★Natural Resources of Bangladesh:
-বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ
-বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব
-বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার গুরুত্ব
-প্রাকৃতিক গ্যাস সংকট নিরসনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
-অর্থনীতিতে বনজ সম্পদের ভূমিকা
-প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে বায়োগ্যাসের সম্ভাবনা
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-১২তম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★Constitution***:
-'রাষ্ট্রের পছন্দকৃত জীবন পদ্ধতিই সংবিধান'
-সংবিধানের সংশোধনীসমূহ
-সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত ১২ নং ধারা
-সংবিধানের ৭০নং ধারার সংস্কার
-সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ধারা সমূহ
-রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
=======================================
#বাংলা :(২০০ নম্বর)
★ব্যাকরণ
১। দর্পণ --সৌমিত্র শেখর (খুবই ভাল)
২। সমর সেনের বাগধারার বই
★সাহিত্য
১। এসিউরেন্স গাইড+ প্রফেসরের গাইড
২। শীকর গ্রন্থ সমালোচনা - মোহসীনা
নাজিলা
৩। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা --- সৌমিত্র শেখর (প্রিলির)
৪।
★অনুবাদ -
ইংরেজি অনুবাদ অংশ প্র্যাকটিস করলেই বাংলার জন্য পারবেন,!
#ইংরেজি :(২০০ নম্বর)
★গ্রামার
১। A text Book of Advanced Functional English - Mahiuddin & Kashem
২। Millers Guide
Assurance Guide
★Translation & Essay
১। Millers + Assurance Guide
২।English newspaper --- The daily star (specially Editorial. part)
৩। বাংলা পত্রিকা (প্রথম আলো /অন্যান্য ---সম্পাদকীয়)
বিভিন্ন গ্রুপের অনুবাদ সংগ্রহ করে রাখুন যেমন - Zakir's BCS Special
#গণিত ও #মানসিক_দক্ষতা : (৫০+৫০= ১০০ নম্বর)
১। oracle গাইড
২। গণিত - ৯ম-১০ম
৩। উচ্চতর গণিত - ৯ম-১০ম ( সিলেবাসের প্রদেয় অধ্যায়)
,
#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি: (২০০ নম্বর)
১। Assurance guide + Professor guide
২। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- ৯ম-১০ম
৩। বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা ( ৯ ম -১০ ম
৪। অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৭
৫।বাংলাদেশের সংবিধান -- আরিফ খান
৬।সংবাদ পত্র - নিয়মিত গুরুত্ববহ কলাম কাটিং
৭। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস -- আবু দেলোয়ার স্যার
,
#আন্তর্জাতিক_বিষয়াবলি:(১০০ নম্বর)
১। Assurance + Professor guide
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিষয়াবলি- আবদুল হাই
৩। রাজনীতির ১০০ বছরের ইতিহাস -- তারেক শামসুর রেহমান
৪। রাজনীতি কোষ -- হারুনুর রশিদ
৫।নিয়মিত পত্রিকার আন্তর্জাতিক অংশ কাটিং
,
#বিজ্ঞান ও #প্রযুক্তি:(১০০ নম্বর)
১। ওরাকল গাইড
২। বিজ্ঞান - ৯ম-১০ম
৩।কম্পিউটার (৯-১০) এবং ইন্টারমিডিয়েট
৪। পদার্থ ৯-১০
#সহায়ক :
★কারেন্ট এফেয়ার্স গত একবছরের
★সম্পাদকীয় সমাচার
★ সিনিয়র ক্যাডারদের নোট সংগ্রহ
★ বিভিন্ন স্বনামধন্য ওয়েব সাইট (বিশ্ব + জাতীয়) যেমন বাংলাদেশের "জাতীয় তথ্য বাতায়ন "
বি দ্রঃ পরবর্তী কিস্তিতে কোন বই থেকে কতটুকু এবং কিভাবে বেশি নাম্বার তোলা যায় এর কৌশল, কোনগুলো নোট, কিভাবে করা উচিত তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে!
শাকিল আল-আমিন
বিসিএস শিক্ষা -৩৬ তম ব্যাচ (সুপারিশ প্রাপ্ত)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০৫-০৩-২০১৮ খ্রি:
★গ্রামার
১। A text Book of Advanced Functional English - Mahiuddin & Kashem
২। Millers Guide
Assurance Guide
★Translation & Essay
১। Millers + Assurance Guide
২।English newspaper --- The daily star (specially Editorial. part)
৩। বাংলা পত্রিকা (প্রথম আলো /অন্যান্য ---সম্পাদকীয়)
বিভিন্ন গ্রুপের অনুবাদ সংগ্রহ করে রাখুন যেমন - Zakir's BCS Special
#গণিত ও #মানসিক_দক্ষতা : (৫০+৫০= ১০০ নম্বর)
১। oracle গাইড
২। গণিত - ৯ম-১০ম
৩। উচ্চতর গণিত - ৯ম-১০ম ( সিলেবাসের প্রদেয় অধ্যায়)
,
#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি: (২০০ নম্বর)
১। Assurance guide + Professor guide
২। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- ৯ম-১০ম
৩। বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা ( ৯ ম -১০ ম
৪। অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৭
৫।বাংলাদেশের সংবিধান -- আরিফ খান
৬।সংবাদ পত্র - নিয়মিত গুরুত্ববহ কলাম কাটিং
৭। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস -- আবু দেলোয়ার স্যার
,
#আন্তর্জাতিক_বিষয়াবলি:(১০০ নম্বর)
১। Assurance + Professor guide
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিষয়াবলি- আবদুল হাই
৩। রাজনীতির ১০০ বছরের ইতিহাস -- তারেক শামসুর রেহমান
৪। রাজনীতি কোষ -- হারুনুর রশিদ
৫।নিয়মিত পত্রিকার আন্তর্জাতিক অংশ কাটিং
,
#বিজ্ঞান ও #প্রযুক্তি:(১০০ নম্বর)
১। ওরাকল গাইড
২। বিজ্ঞান - ৯ম-১০ম
৩।কম্পিউটার (৯-১০) এবং ইন্টারমিডিয়েট
৪। পদার্থ ৯-১০
#সহায়ক :
★কারেন্ট এফেয়ার্স গত একবছরের
★সম্পাদকীয় সমাচার
★ সিনিয়র ক্যাডারদের নোট সংগ্রহ
★ বিভিন্ন স্বনামধন্য ওয়েব সাইট (বিশ্ব + জাতীয়) যেমন বাংলাদেশের "জাতীয় তথ্য বাতায়ন "
বি দ্রঃ পরবর্তী কিস্তিতে কোন বই থেকে কতটুকু এবং কিভাবে বেশি নাম্বার তোলা যায় এর কৌশল, কোনগুলো নোট, কিভাবে করা উচিত তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে!
শাকিল আল-আমিন
বিসিএস শিক্ষা -৩৬ তম ব্যাচ (সুপারিশ প্রাপ্ত)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০৫-০৩-২০১৮ খ্রি:
Zakir's BCS specials
৩৮ লিখিত প্রস্তুতিঃ
প্রস্তুতিকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলুন।
১// গণিত /বিজ্ঞান/ইংরেজি
২// বাংলা/বাংলাদেশ বিষয়াবলী /আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
এরপর সুবিধামত পড়ুন।
১ম ভাগ
--------------------------+++-----------------------
গণিত :
নবম দশম সাধারণ গণিত আর উচ্চতর গণিত বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী আগাগোড়া সব অংক করবেন।৪০/৪৫পাবেন, সিওর।
৫০ পেতে হলে একাদশ,দ্বাদশ (যেকোন লেখক)এর ৩/৪ টা চ্যাপ্টার এর সহজ,মোটামুটি সরজ/কঠিন অংকগুলো করতে হবে।
সাথে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড রাখবেন সহায়ক হিসেবে।
-------------------------+++------------------------
মানসিক দক্ষতা:
ওরাকল গাইড (লিখিত)
বিজ্ঞান:
ওরাকল গাইড
++ নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান বই আগাগোড়া পড়বেন
(সিলেবাস বহির্ভূত ২/৩ টা অধ্যায় বাদে)
++ easy computer & hsc ict book......
৯৫++ কমন পাবেন।
অথবা
-----------------------+++-------------------------
আলাদা পড়লে ইন্টার এর পদার্থ,রসায়ন,জীববিজ্ঞান, আইসিটি বই থেকে আলাদাভাবে পড়বেন,নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান পড়বেন,তার সাথে Electrical and Electronics এর বাংলা ভার্সন বই পড়বেন,উইকিপিডিয়া থেকে পড়বেন।
উপরের দুটা (অথবা) থেকে কোনটা পড়বেন আপনার ইচ্ছা
------------------------+++-----------------------------
English :Basic grammar গুলো পড়বেন,HSC এর CHOUDHURY HUSSAIN বা অন্যকোন বই থেকে পড়তে পারেন।
খুব কঠিন কিছুই নাই,অনেকেই ভয় পান,ভয়ের কিছু নাই।
নিয়মিত অনুবাদ practice করবেন,সহজ সরল অনুবাদ।খুব কঠিন কিছু পড়বেন না।
Daily Star বা Daily Sun বা অন্য কোন ইংরেজী পত্রিকার Editorial বাংলা অনুবাদ পড়বেন।
আর রচনামূলক পড়তে হবেনা,প্যাটার্নগুলো দেখবেন।
রচনা নিয়ে সাজেশন দেয়া হবে কিছুদিন পরে।
ইংরেজী সহায়ক হিসেবে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড পড়তে পারেন,গাইড থেকে Comprehension practise করতে পারেন।
****২য় ভাগ আজকে রাতে দেয়া হবে।
লেখা অন্য কোথাও কপি করলে অবশ্যই পেইজ এর কার্টেসি দিবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।
৩৮ লিখিত প্রস্তুতিঃ
প্রস্তুতিকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলুন।
১// গণিত /বিজ্ঞান/ইংরেজি
২// বাংলা/বাংলাদেশ বিষয়াবলী /আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
এরপর সুবিধামত পড়ুন।
১ম ভাগ
--------------------------+++-----------------------
গণিত :
নবম দশম সাধারণ গণিত আর উচ্চতর গণিত বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী আগাগোড়া সব অংক করবেন।৪০/৪৫পাবেন, সিওর।
৫০ পেতে হলে একাদশ,দ্বাদশ (যেকোন লেখক)এর ৩/৪ টা চ্যাপ্টার এর সহজ,মোটামুটি সরজ/কঠিন অংকগুলো করতে হবে।
সাথে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড রাখবেন সহায়ক হিসেবে।
-------------------------+++------------------------
মানসিক দক্ষতা:
ওরাকল গাইড (লিখিত)
বিজ্ঞান:
ওরাকল গাইড
++ নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান বই আগাগোড়া পড়বেন
(সিলেবাস বহির্ভূত ২/৩ টা অধ্যায় বাদে)
++ easy computer & hsc ict book......
৯৫++ কমন পাবেন।
অথবা
-----------------------+++-------------------------
আলাদা পড়লে ইন্টার এর পদার্থ,রসায়ন,জীববিজ্ঞান, আইসিটি বই থেকে আলাদাভাবে পড়বেন,নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান পড়বেন,তার সাথে Electrical and Electronics এর বাংলা ভার্সন বই পড়বেন,উইকিপিডিয়া থেকে পড়বেন।
উপরের দুটা (অথবা) থেকে কোনটা পড়বেন আপনার ইচ্ছা
------------------------+++-----------------------------
English :Basic grammar গুলো পড়বেন,HSC এর CHOUDHURY HUSSAIN বা অন্যকোন বই থেকে পড়তে পারেন।
খুব কঠিন কিছুই নাই,অনেকেই ভয় পান,ভয়ের কিছু নাই।
নিয়মিত অনুবাদ practice করবেন,সহজ সরল অনুবাদ।খুব কঠিন কিছু পড়বেন না।
Daily Star বা Daily Sun বা অন্য কোন ইংরেজী পত্রিকার Editorial বাংলা অনুবাদ পড়বেন।
আর রচনামূলক পড়তে হবেনা,প্যাটার্নগুলো দেখবেন।
রচনা নিয়ে সাজেশন দেয়া হবে কিছুদিন পরে।
ইংরেজী সহায়ক হিসেবে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড পড়তে পারেন,গাইড থেকে Comprehension practise করতে পারেন।
****২য় ভাগ আজকে রাতে দেয়া হবে।
লেখা অন্য কোথাও কপি করলে অবশ্যই পেইজ এর কার্টেসি দিবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।
No comments:
Post a Comment