Pages

Bangladesh

 কোন বিশেষ দিন কি বার ছিল???
🎯ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়—১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)।
🎯কালরাত্রি—১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার)।
🎯বিজয় দিবস—১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
🎯জাতীয় পতাকা দিবস—১৯৭১ সালের ২ মার্চ (বৃহস্পতিবার)।
🎯স্বাধীনতা দিবস—১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (শুক্রবার)।
🎯সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হন—১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট (শুক্রবার)।
🎯মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়—১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল (শনিবার)।
🎯মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে—১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল (শনিবার)।
🎯৭ মার্চের ভাষণ—১৯৭১ সালের ৭ মার্চ (রবিবার)।
🎯বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস— ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি (সোমবার)।
🎯শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস—১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)।

 

> শেখ মুজিবের বাবার নাম-শেখ লুতফর রহমান।
> শেখ মুজিবের মায়ের নাম-সায়েরা খাতুন।
> শেখ মুজিবের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ড, নীলিমা ইব্রাহিম।
> শেখ মুজিবের চার বোন দুই ভাই ছিলেন।
> শেখ মুজিব ভাই বোন দের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।
> শেখ মুজিবের ডাক নাম খোকা।
> শেখ মুজিবের উচ্চতা ছিল ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।
> শেখ মুজিব বেরি বেরি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
> ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে শের-ই-বাংলার গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল পরিদরশনের সময় সাক্ষাত হয়।
> ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বন্দি হন।
> ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব জেলে ছিলেন। জেলখানা থেকে বিবৃতি প্রদান করেন।
> ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিবের নেতৃতে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
> ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত সালে, কোথায়?
উত্তর: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
> বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোন স্কুলে?
উত্তর: গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
> বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিক পাশ করেন কোন স্কুল থেকে, কত সালে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে, ১৯৪২ সালে।
> বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোষ্টেলের কত নম্বর কক্ষে থাকতেন?
উত্তর: ২৪ নম্বর কক্ষে।
> বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন কীভাবে?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে।
> বঙ্গবন্ধু কত সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন?
উত্তর: ১৯৪৬ সালে।
> বঙ্গবন্ধু বিএ পাশ করেন কত সালে, কোন কলেজ থেকে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
> বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: আইন বিভাগের।
> বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত সালে কেন বহিস্কৃত হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
> বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম কারাভোগ করেন কত সালে?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে তাঁকে কারভোগ করতে হয়।
> ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে কী পদ পান?
উত্তর: যুগ্ম সম্পাদক।
> ১৯৫২ সালের কত তারিখে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন?
উত্তর: ১৪ ফেব্রুয়ারি।
> যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসনে বিজয়ী হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ আসনে।
> বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রীসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায়।
> ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করা হয়। দলটির নাম কী?
উত্তর: কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি।
> বঙ্গবন্ধু মুজিব ছয়দফা ১ম কবে ঘোষনা করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
> আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ।
> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ছয়দফা ঘোষনা করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ ১৯৬৬
> কোন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয়দফা রচিত হয়?
উত্তর: লাহোর প্রস্তাব
> ছয়দফার প্রথম দফা কি ছিল?
উত্তর: স্বায়ত্বশাসন
> ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত কোনটি?
উত্তর: ছয় দফা।
> আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল কত জন? বঙ্গবন্ধু কততম আসামী ছিলেন?
উত্তর: ৩৫ জন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ১ নং আসামী।
> আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী নামে দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর: রাষ্ট্রদ্রোহীতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য।
> শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
> শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি কে দেন?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
> কোথায় ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।
> বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন কত সালে?
উত্তর: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ ।
> বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ কোথায় দেন?
উত্তর: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে, যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যোন নামে পরিচিতি।
> বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল?
উত্তর: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
> বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
> ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের বঙ্গবন্ধুর পদ কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদ ছিল রাষ্ট্রপতি।
> বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।
> বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন কবে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নামে পরিচিত।
> বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
> বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন কত সালে, কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
> বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন কত তারিখে?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
> বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
> বঙ্গবন্ধুর ছেলে–মেয়ে কত জন? তাদের নাম কী?
উত্তর: ৫ জন। তিন ছেলে দুই মেয়ে। শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল
> বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
> শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কারাগারে অনশন শুরু করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৩ সালের ১৬ নভেম্বর আওয়ামী মুস্লিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালে ১০ মার্চ সাধারন নিরবাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন লাভ করে।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ২ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করা হয়।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ১৪ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কনিষ্ঠ মন্ত্রি হিসেবে যোগদান করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ৫ জুন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পলতনের জন সভায় পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবী করেন।
> ১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে মুস্লিম শব্দটি প্রত্যাহার করে নতুন নামকরন করেন আওয়ামী লীগ।
> ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিব এর নেত্রিত্তে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
> ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গ্রিহিত হয়।
> ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্যান্তন ম্যান্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা করা হয়।
> ১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়।
> ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ রাওয়াল পিণ্ডিতে গোল টেবিল আলোচনা ব্যর্থ হয়ার পর আইয়ুব ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হ্যান্ডঅভার করেন।
> ১৯৭১ সালে ২৭ জানুয়ারি জুলফিকার আলী কয়েক দফা আলোচনা করেন।
> ১৯৭১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া বেতার ভাষণে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের আহব্বান করেন।
> ১৯৭১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয়।
> ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের সাধিনতা ঘোষণা করেন।
> ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
> শেখ মুজিবকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যান।
> ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে পিয়াইয়ের বিমানে করে লন্ডন-এ হিথরো বিমান বন্দরে অবতরন করেন যান। তখন ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রি ছিল উইলিয়াম অ্যাডওয়াড হিথ। ১০ জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় কমেট বিমানে ভারতে আসেন। তখন ভারতের রাস্ত্রপতি ছিলেন ভিপি গিরি।
> ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
> ১০ জানুয়ারি রাতে ১৯৭২ রাস্ত্রপতির দায়িত্ত গ্রহন করেন।
> ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সংসদীয় কাঠামো প্রবরতন করে মন্ত্রি পরিষদ গঠন করা হয়। শেখ মুজিব দেশের প্রধান্মন্ত্রি নিজুক্ত হন।
> ২৬ মার্চ ১৯৭২ শোষণহিন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
> ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
> ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।
> ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
> ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ বাতিল করা হয়।
> নতুন সংবিধানের আলোকে ৭ মার্চ ১৯৭৩ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯২ টি আসন লাভ করে।
> ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসঙ্গে বাংলায় প্রথম ভাষণ প্রদান করেন।
> ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
> বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য ইতিহাস ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহরে ৬ দফা প্রস্তাব। কে এই প্রস্তাব লিখেন তা নিয়ে তিনটি মতবাদ আছে- এর একজন হল রুহুল কুদ্দুস, শামসুর রহমান খান, আহম্মেদ ফজলুর রহমান সি এস পি অফিসার এ টি লিখে ব্যাংকার খায়রুল কবিরের মাধ্যমে শেখ মুজিবের কাছে পৌঁছান হয়। আরও একটি মতবাদ হল আইয়ুব খানের বিশ্বস্ত আমলা আলতাব গওহর এ টি শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেন।
> পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম নওয়াব জাদা নসরুল্লাহ।
> ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল এ কে ফজলুল হক মারা যান। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহিদ সোহরাওয়ারদী মারা যান। দায়িত্ত চলে আসে শেখ মুজিবের উপর। শেখ মুজিব এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পূর্ব বাংলাকে বাংলাদেশ নামকরন করেন।
> পাকিস্তানের ২৪ বছরের মধ্যে শেখ মুজিব ১২ বছর জেল খাটেন।
> ৬ দফা আন্দোলনকে মুছে ফেলার জন্যই ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নামে মামলা দায়ের করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি শেখ মুজিব মুক্তি পাওয়ার পর জেল গেইটে আবার আটক করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয় ঢাকা সেনানিবাসে।
> পাকিস্তান দণ্ড বিধির ১২১ (ক) এবং ১৩১ ধারায় শুনানি হয়।
> এই মামলার বিচার চলাকালিন সময়ে ২৬ জন কৌশলী ছিলেন। শেখ মুজিবের প্রধান কৌশলী ছিলেন আব্দুস সালাম খান। একটি সেশনের জন্য ব্রিটেন থেকে আসেন আইনজীবী টমাস উইলিয়াম। তাকে সাহায্য করেন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ও মওদুদ আহমেদ।
> এই মামলার ১০০ টি অনুচ্চেদ ছিল। ১১ জন রাজ সাক্ষী ও ২২৭ জন সাক্ষীর তালিকা আদালতে পেশ করা হয়।
> এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্জুর কাদের, এম এর খান। বাঙালি ছিলেন মুকসুদুল করিম।
> এই মামলার প্রতিক্রিয়ায় ৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এই পরিষদ ১১ দফা ও ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের ফলে জান্তা সরকার এই মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং শেখ মুজিবকে শর্তহীন মুক্তি দেন।
-

 

 

#টাকা_বিষয়ক_কিছু_তথ্য_____

১/ বাংলাদেশে কাগজের নোট = ৯টি।

২/ বাংলাদেশে ব্যাংক নোট =৭টি।

৩/ বাংলাদেশে প্রচলিত টাকার ব্যাংক নোট নয় = এক ও দুই টাকার নোট।

৪/"এক টাকার ,দুই টাকার নোটে স্বাক্ষর থাকে
=অর্থ সচিবের।

৫/'সবার জন্য শিক্ষা' স্লোগান টি আছে= দুই টাকার
মুদ্রায়।

৬/ বাংলাদেশে চালু পলিমার মুদ্রা মুদ্রিত হয়
=অস্ট্রেলিয়ায়।

৭/৫০০ টাকার নোট কোন দেশে ছাপা হয়=
জার্মানিতে ৷

৮/ ১ ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা তৈরি করা হয় =কানাডায়।

৯/ সরকারি নোট =১ ও ২ টাকার নোট।

১০/ বাংলাদেশে টাকা ছাপার জন্য বিশেষ কাগজ আমদানি করা হয়= সুইজারল্যান্ড থেকে।

১১/বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কাগুজে মুদ্রা =
বাংলাদেশের ২টাকার নোট।

১২/ বাংলাদেশ বাংকের
শাখা= ১০টি (সর্বশেষ ময়মনসিংহ).

১৩/ ১ মার্কিন ডলার তৈরী করতে বাংলাদেশী =২১ টাকা খরচ হয়।

১৪/ বর্তমানে বাংলাদেশে = ৬৭ টি ব্যাংক রয়েছে।

১৫/ বাংলাদেশে ১ম নোট চালু হয় = ৪ মার্চ ১৯৭২
সালে ১০ টাকার নোট সর্বপ্রথম ছাপানো হয়।
সংগৃহীত

 

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
(পর্ব - ০১)
যে কোন পরীক্ষায় স্থান সম্পর্কে ২/৩ টা প্রশ্ন আসবেই। সেজন্য এই আয়োজন-
.
১। বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা উষ্ণতম এবং কম বৃষ্টিপাতের স্থান - লালপুর, নাটোর।
২। বেশি বৃষ্টিপাতের স্থান - লালখান, জৈন্তাপুর, সিলেট। তবে সর্বাপেক্ষা শীতলতম স্থান শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।
৩। সবচেয়ে উত্তরের স্থান - জায়গীরজোত, বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়।
৪। সর্ব দক্ষিণের স্থান - ছেঁড়াদ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার।
৫। সর্ব পশ্চিমের স্থান - শিবগঞ্জ, চাপাই নবাবগঞ্জ।
৬। সর্ব পূর্বের স্থান - আখাইনঠ্যং, থানচি, বান্দরবান।
৭। দক্ষিণ পশ্চিমের স্থান - শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। সবচেয়ে বড় থানা হচ্ছে শ্যামনগর আর ছোট ওয়ারী, ঢাকা।
৮। বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা মোট ৩২ টি। ভারতের সাথে ৩০ টি আর মিয়ানমারের সাথে মোট ৩ টি। রাঙ্গামাটি জেলা ভারত ও মিয়ানমার উভয়ের সাথে যুক্ত।
৯। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত জেলা ৩ টি হচ্ছে - রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার।
১০। ভারতের সাথে সংযোগ নেই - বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার।
১১। ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত অবস্থিত - বান্দরবান জেলায়।
১২। উখিয়া, কুতুপালং, পালংখালি সীমান্ত অবস্থিত - কক্সবাজার জেলায়।
১৩। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত রাজ্য মোট ৫ টি। টেকনিকঃ আমিত্রিমেপ। আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং পশ্চিম বঙ্গ।
১৪। সেভেন সিস্টার্স বলা হয় ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যকে। টেকনিকঃ অমিত্রি নামে আম। অরুণাচল, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, আসাম এবং মনিপুর।

১৫। যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের বন্দর - পেট্রোপোল। সিলেটের তামাবিল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ডাউকি, আসাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দরের বিপরীতে আগরতলা, ত্রিপুরা। চাপাই নবাজগঞ্জ জেলার বিপরীতে ভারতের জেলা হচ্ছে নদীয়া।

 ====================================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
এক নজরে ৭ মার্চের ভাষণঃ
=>UNESCO বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কবে 'বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে ঘোষণা করে?
৩০ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার। IAC'র ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও বক্তৃতাকে যাচাই-বাছাই করেন এবং UNESCO'র মহাপরিচালক এই ঘোষণা দেন।বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি,দলিল, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য UNESCO ১৯৯২ সালে Memory of the World Register কর্মসূচি চালু করে। প্রতি দুই বছর পর পর এই কর্মসূচি পালন হয়ে আসছে এবং ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৪২৭ টি দলিল ও সংগ্রহ Memory of the World Register-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং এই ৪২৭টি প্রামাণ্য ঐতিহ্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই একমাত্র ও প্রথম অলিখিত ভাষণ।
=> ৭ মার্চের ভাষণ কখন শুরু হয়েছিল ?
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ শুরু হয় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে,ভাষণের চিত্র ধারণকারী ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশনের পরিচালক আবুল খায়ের এমএনএ।
=>৭ মার্চের ভাষণ কত মিনিটের ছিল?
রেকর্ডকৃত ভাষণের মোট সময় ছিল ১৮/১৯ মিনিট। ভাষণ রেকর্ডকারীর নাম এ এইচ খন্দকার। ভাষণের মোট শব্দ সংখ্যা ১১০৮টি।
=>৭ মার্চের ভাষণ কতটি ভাষায় অনূদিত হয়?
১২টি ভাষায় অনূদিত হয়। ভাষণ চলাকালীন প্রায় দশ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিল।
=>১৯৭১ সালের ৭ মার্চের দিনটি ছিল?
রবিবার
=>৭ মার্চের ভাষণ চলাকালীন পাকিস্থানে যে আন্দোলন চলছিল?
অসহযোগ আন্দোলন।
=>৭ মার্চের ভাষণের মূল বিষয় / দাবী কয়টি ছিল?
৪ টি
=>বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ডের রচিত We shall Fight on the Beach :The Speeches the Inspired History গ্রন্থে কী নামে পরিচিতি পায়?
The Struggle : This Time is the Struggle for Independence.
=>বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ "বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য" স্বীকৃতি লাভের পেছনে কোন দুজন বাংলাদেশীর অবদান বেশী ?
ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
=>"শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল" উক্তিটি কার?
কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
=>"৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল দলিল" উক্তিটি কার ?
বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা।
-
Edited========================

  



 বিসিএস প্রিলি , লিখিত ভাইভায় মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ও জাদুঘর সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে । চলুন দেখা নেয়া যাক
# যত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে এবং তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও স্মারক ভাস্কর্য। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নিয়ে লিখেছেন রাজীব পাল রনী
/
#বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর :
ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ২০০০ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন। এ জাদুঘরের ছয়টি গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বাংলাদেশের সামরিক যোদ্ধাদের নানা কীর্তি, স্মৃতিস্মারক, সেক্টর কমান্ডারদের আলোকচিত্র ও পরিচিতি, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত রাইফেল, কামান, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের বহনের কফিন ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। জাদুঘরের সামনে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্য ও সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা নামে দীর্ঘ মুরাল বা দেয়াল চিত্র আছে। বুধবার ব্যতীত বৃহস্পতি থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, শনিবার ১০টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর খোলা থাকে।

#বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর :
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তোলা হয়। এ জাদুঘরে ২৫ মার্চ প্রতিরোধ যুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ব্যবহৃত পাগলা ঘণ্টা, রাবার শেল, পুলিশ বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত সার্চ লাইট, ২৫ মার্চের প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ অজ্ঞাত পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত সামগ্রী, শহীদ ইন্সপেক্টর গোলাম রাব্বানীর পোশাক, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ শহীদ সদস্যদের ব্যবহৃত বেতের তৈরি ঢাল, স্বাধীন বাংলার প্রথম আইজিপির ব্যবহৃত চেয়ার, মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন নিদর্শন ও তথ্য সংরক্ষিত আছে। বুধবার ছাড়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা, শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পুলিশ জাদুঘর খোলা থাকে।

#স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্বোপার্জিত স্বাধীনতা অবস্থিত। এ ভাস্কর্যে রয়েছে একাত্তরের বিভিন্ন ঘটনার চিত্র। ১৯৭১-এর গণবিপ্লব এবং আÍসমর্পণ, নারী নির্যাতন, যুব হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যাকে উৎসর্গ করে এ ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। মূল বেদির ওপর আছে ৬টি ভাস্কর্য। ওপরে বামে আছে মুক্তিযোদ্ধা কৃষক আর ডানে অস্ত্র হাতে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মাঝখানে অস্ত্র হাতে নারী ও পুরুষ যোদ্ধারা উড়িয়েছে বিজয় নিশান। পুরো ভাস্কর্যটি প্রায় ১৫ ফুট উঁচু। ভাস্কর্যটি নকশা করেছে ভাস্কর শামীম সিকদার এবং সহকারী শিল্পী হিমাংশু রায়।

#বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর :
ঢাকার বিজয় সরণিতে গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র, জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণের চিত্রসহ দুর্লভ দলিল, ১৮শ শতক থেকে বর্তমানকালের কামান, ৭১-এর যুদ্ধে ব্যবহৃত মেশিনগান, গান পাউডার, সেমি হ্যান্ড ল্যান্সার, গ্রেনেড ট্যাংক এম-৭৫, বীরশ্রেষ্ঠ পদক, বীরউত্তম পদক, বীরবিক্রম পদক, বীরপ্রতীক পদক, বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারদের নির্দেশনার চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সেনা সদস্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র দেখার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে এ জাদুঘরে। বুধবার ব্যতীত শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৬টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগত দর্শনার্থীদের জন্য সামরিক জাদুঘর খোলা থাকে।

#শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর :
জাহানারা ইমাম ও রুমীর পুণ্যস্মৃতি সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে ঢাকার ৩৫৫ এলিফ্যান্ট রোডের কণিকা বাড়ির দোতলায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। দুকক্ষ বিশিষ্ট এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রেরণা জোগাবে এমন স্বাক্ষর পাওয়া যাবে এ জাদুঘরে। মুক্তিযুদ্ধকালীন পোস্টার, শহীদ রুমীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও আলোকচিত্র, জাহানারা ইমামের সাহিত্যকমর্, তৈজসপত্র, বই, মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের ছেলে রুমীর খোঁজখবর নেয়ার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল প্রতিনিধির প্রতি তার স্বহস্তে লেখা চিঠির কপি এ জাদুঘরে সংগৃহীত রয়েছে। জাহানারা ইমাম স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। জাদুঘর খোলা থাকে প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

#বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর :
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি রূপান্তর করা হয়েছে জাদুঘরে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। নিচতলায় দুটি কক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবনের সচিত্র প্রদর্শনী আর দ্বিতীয়তলার তিনটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও পারিবারিক জীবনের সচিত্র প্রদর্শনী আর দ্বিতীয়তলার তিনটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও পারিবারিক জীবনের সচিত্র প্রদর্শন। এছাড়াও জাদুঘরে আছে যুদ্ধকালীন পতাকা, মুজিবনগর সরকারের ডাকটিকিট, বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের ছবি, বিভিন্ন আন্দোলনের ছবি ও পেপার কাটিং এবং ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ছবি। বুধবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য ৫টাকা।

#রাজারবাগের চিরদুর্জয় ভাস্কর্য :
রাজারবাগ পুুলিশ লাইন চত্ব¡রে অবস্থিত চিরদুর্জয় ভাস্কর্য। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদার বাহিনী রাজারবাগে পুলিশ ব্যারাক আক্রমণ করে প্রায় ২ হাজার বাঙালি পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। রাজারবাগ পুলিশ লাইন ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। ৯ মাসব্যাপী হত্যাযজ্ঞে রাজারবাগ পুলিশলাইন পরিণত হয় গণকবর আর বধ্যভূমিতে। নিহত পুলিশ শহীদদের স্মরণে পুলিশ লাইনে নির্মিত হয় চিরদুর্জয় ভাস্কর্য। একটি বেদির ওপর দাঁড়ানো পাঁচ যোদ্ধা। তারা কৃষক, শ্রমিক ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য। তাদের তিনজন রাইফেল হাতে, একজন ছুড়ছেন গ্রেনেড। আর একজন পতাকা হাতে যাচ্ছেন এগিয়ে। ভাস্কর্যটি মৃণাল হকের গড়া

মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য :
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও একাত্তরের গণহত্যা। একাত্তরের স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর সংঘটিত হয়েছিল এক অর্বণীয় নির্যাতন এবং গণহত্যা। তাই শহীদদের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ নির্মাণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য। এটি উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান। ভাস্কর্যটির একাংশের নাম মুক্তিযদ্ধের প্রস্তুতি আর অন্য অংশের নাম একাত্তরের গণহত্যা। ভাস্কর্যটিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি এবং পাক হানাদারদের নির্মম গণহত্যা তুলে ধরা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভাস্কর্য :
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী। সে কথা মাথায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভাস্কর্য নির্মিত হয় ওসমানী উদ্যানে। ২৫ মার্চ ৭১ দখলদার পাকিস্তানি সৈন্যরা গণহত্যা শুরুর পর ২৬ মার্চ থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে ওঠে। সে মাসেই গোটা দেশকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে। সেক্টরগুলোর নেতৃত্ব দেয়া হয় এক একজন সেক্টর কমান্ডারের হাতে। সেই সেক্টরগুলো ছিল অঞ্চলভিত্তিক বিভক্ত। ওসমানী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভাস্কর্যে সাদা দেয়ালের মাঝখানে খচিত বাংলাদেশের মানচিত্র রয়েছে। আপনার সন্তান ওসমানী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভাস্কর্য দেখে মুক্তিযুদ্ধের ধারণা পাবে।

সংগ্রহে: ডা.জাবির, বরিশাল।
সূত্র: যুগান্তর '
২৫/৩/২০১৪



=============================================
৭ই মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ন ভাষনের ইংরেজি অনুবাদ: english version
My brothers,

I stand before you today with a heart overflowing with grief. You are fully aware of the events that are going on and understand their import. We have been trying to do our best to cope with the situation. And yet, unfortunately, the streets of Dhaka, Chittagong, Khulna, Rajshahi and Rangpur are awash with the blood of our brothers. The people of Bengal now want to be free, the people of Bengal now want to live, and the people of Bengal now want their rights.
What have we done that was wrong? After the elections, the people of Bangladesh voted as one for me, for the Awami League. We were to sit in the National Assembly, draft a constitution for ourselves there, and build our country; the people of this land would thereby get economic, political, and cultural freedom. But it is with regret that I have to report to you today that we have passed through twenty-three tragic years; Bengal's history of those years is full of stories of torture inflicted on our people, of blood shed by them repeatedly. Twenty-three years of a history of men and women in agony.
The history of Bengal is the history of a people who have repeatedly made their highways crimson with their blood. We shed blood in 1952; even though we were the victors in the elections of 1954 we could not form a government then. In 1958 Ayub Khan declared Martial Law to enslave us for the next ten years. In 1966 when we launched the six point movement our boys were shot dead on June 7. When after the movement of 1969 Ayub Khan fell from power and Yahya Khan assumed the reins of the government he declared that he would give us a constitution and restore democracy; we listened to him. A lot has happened since then and elections have taken place.
I've met President Yahya Khan. I've made a request to him not only on behalf of Bengal but also as the leader of the party which has the majority in Pakistan; I said to him: "You must hold the session of the National Assembly on January 15." But he did not listen to me. He listened to Mr. Bhutto instead. At first he said that the meeting would take place in the first week of March. We said: "Fine, we will be taking our seats in the Assembly then." I said we will carry out our discussions in the Assembly. I went so far as to say that if anyone came up with an offer that was just, even though we were in the majority we would agree to that offer."
Mr. Bhutto came here; he carried out discussions with us; he had said that the doors of negotiations had not been shut and that there would be further negotiations. I then had talks with other leaders; I said to them: "Come and sit down with us; let's create a constitution for ourselves through discussions." But Mr. Bhutto declared that if West Pakistani members came here the Assembly would end up as a slaughterhouse. He claimed that whoever came here would be slaughtered. He said that if anyone showed up here all shops from Peshawar to Karachi would be shut down.
I declared that the Assembly would continue to meet. But suddenly on the 1st of March the Assembly was shut down. Mr. Yahya Khan called the session of the Assembly in his capacity as the President and I declared I would be attending it. Mr. Bhutto said he wouldn't be part of it. Thirty-five members of the Assembly came from West Pakistan to take part in its proceedings. But it was dissolved all of a sudden. The blame was put on the people of Bengal, the finger was pointed at me!
After the Assembly's session was prorogued, the people of this country protested. I told them: "Observe the general strike we have called peacefully." I told them: "Shut down all mills and factories." Our people responded to my call. They came to the streets spontaneously. They expressed their firm determination to carry out the struggle peacefully.
What have we got in return? Those who brought arms with our money to defend us from external enemies are now using those arms on the poor, the wretched, the downtrodden people of the land. Bullets are being aimed at their hearts. We constitute the majority in Pakistan; but whenever we Bengalis have tried to assume power they have used force on us.
I have had a talk with Mr. Yahya Khan. I told him: "Mr. Yahya, you are the President of Pakistan; come and observe how the poor people of my country are being mowed down with bullets; come and see how our mothers are being deprived of their children; how my people are being massacred. Come, observe, and only then pass a judgment on what is going on. He has apparently said that I had agreed to attend a Round Table Conference on the 10th of March. Didn't I say a long time back: what is the point of another Round Table conference? Who will I sit with? Should I sit with those who have shed the blood of my people? Without carrying out any discussions with me he has dissolved the Assembly suddenly; after sitting in a secret meeting for five hours he gave a speech where he has put all the blame on me. He has even blamed the Bengali people!
My brothers,
The Assembly has been called into session on the 25th of March. But the blood spilled on our streets has not yet dried. About the 10th I have told them: Mujibur Rahman won't join the Round Table Conference because that would mean wading over the blood that has been shed or trampling it. Although you have called the Assembly into session, you'll have to listen to my demands first. You'll have to withdraw Martial Law. You'll have to return all army personnel to their barracks. You'll have to investigate the way they have been murdered. And you'll have to transfer power to the representatives of the people. It is only then that I'll decide whether we will take our seats in the Assembly or not.
I don't want the Prime Minister's office. We want the people of this country to have their rights. I want to state clearly that from this day Bangladesh's courts, magistracies, government offices and educational institutions will be shut down indefinitely. So that the poor don't have to suffer, so that my people don't have to go through hardships, all other things will be exempted from the general strike from tomorrow. Rickshaws, horse carriages, trains, and launches will be allowed to move. Only the Secretariat, the Supreme Court, the High Court, Judges Court, and semi-government organisations such as WAPDA will not be allowed to work. On the 28th, employees will go and collect their salaries. If their salaries are not paid, if another bullet is fired, if my people are shot dead again, I request all of you: turn every house into a fort. Confront the enemy with whatever you have. And even at the risk of your life, and even if I am not around to direct you, shut down all shops and make sure that traffic on all roads and ports are brought to a standstill. If need be, we will starve to death, but we'll go down striving for our rights.
Those in the armed forces: you are my brothers; stay in your barracks and no one will bother you. But don't try again to aim your bullets at our chests. You can't suppress seventy million people forever. Since we have learned to sacrifice ourselves no one can suppress us any more.
And as for our martyrs and those who have been wounded, we in the Awami League will do everything we can to assist them and their loved ones. If you have the means, please give what little you can to our Relief Committee. Owners of factories whose workers had participated in the General Strike the last seven days: make sure that they are paid wages for those days. To government employees I have this to say: you'll have to listen to my directives. Till our country is liberated, taxes and custom duties won't be collected. No one will pay them either.
Remember: the enemy is amidst us to create chaos and confusion, to create anarchy and to loot. In our Bengal Hindus and Muslims, Bengalis and non-Bengalis are all brothers. We are responsible for their safety; let us not taint ourselves in any way.
Remember those of you who work for radio and television: if the people running the radio station aren't ready to listen to us, no Bengali will report for work there. Banks will be open for two hours every day so that people can collect their salaries. But we won't allow even a single poisha to be transferred from East Bengal to West Pakistan. Telephones and telegram services will continue as before in our East Bengal; if we have to transmit news abroad you will see to that. But if any attempt is made to exterminate our people all Bengalis must take appropriate action.
Form Revolutionary Committees under the leadership of the Awami League in every village, every community. Be prepared to act with whatever you have in your possession.
Remember: since we have already had to shed blood, we'll have to shed a lot more of it; by the Grace of God, however, we'll be able to liberate the people of this land.
This particular movement is a movement to liberate ourselves -- this particular movement is a movement for our independence.
Long live Bengal!
(ড:ফকরুল আলম স্যারের করা এই অনুবাদটি ডেইলি স্টারে ১৫ আগস্ট ২০০৬ সালে প্রকাশিত)
===============>
Group of Bangladesh]
★বিসিএস(ক্যাডার) পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তরঃ
মুক্তিযুদ্ধ (প্রথম ১০টি প্রশ্ন)
.
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক প্রশ্নে নিম্নোক্ত Quote টি ব্যবহার করতে পারেন (সব প্রশ্নে নয়)। যাদের এটি মুখস্থ নাই, দ্রুত নিজেকে শুনিয়ে শুনিয়ে ৫-৬ বার পড়ে ফেলেন। আশা করি মুখস্থ হয়ে যাবে।
If Blood is the price of independence then Bangladesh has paid the highest price in history. London Times (1971)
.
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেবার পূর্বে জহুর আহমেদ চৌধুরীকে একটি ম্যাসেজ পাঠান প্রচারের জন্য- (মুখস্থ রাখা প্রয়োজন, জায়গামতো কাজে লাগানোর জন্য)
“Pak army suddenly attacked EPR base at pilkhana, Rajarbag police line and killing citizens. Street battles are going on in every streets of Dacca, Chittagong. I appeal to the nations of the world for help. Our freedom fighters are gallantly fighting with the enemies to free the motherland. I appeal and order you all in the name of Almighty Allah to fight to the last drop of blood to liberate the motherland. Ask police, E.P.R, Bengal Regiment and Ansar to stand by you and to fight. No compromise, victory is ours. Drive out the last enemy from the holy soil of mohterland. Convey this message to Awamileague leaders, workers and other workers and lovers of freedom. May Allah bless you. Joy Bangla.”
.
এর পর ২৬ শে মার্চ গ্রেফতার হবার পূর্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার ঘোষণাটি অবশ্যই ইংরেজিতে মুখস্থ করে ফেলবেন (কারণ, ঘোষণাটি ইংরেজিতে ছিল)।
.
‘This may be my last message from today Bangladesh in independent. I call upon to the people of Bangladesh, wherever you might be and with whatever you have to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and Final victory is achieved.
.
এবার আসুন গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলি। এই পোস্টে থাকছে ১০টি প্রশ্ন।
.
১। প্রশ্নঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কোথায় এবং কিভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তরঃ
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানের সৈন্যদের হাতে সকল রেডিও স্টেশন চলে যায়। চট্টগ্রামের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা চট্টগ্রামের বেতার কেন্দ্র হতে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরিত করে চট্টগ্রামরে কালুরঘাট প্রেরণ কেন্দ্রটিকে বেতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। এর নাম দেওয়া হয় “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র।” ১৯৭১ সালের ২৮ শে মার্চ ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। ১৯৭১ সালের ৩০ শে মার্চ হানাদার বাহিনীর বোমা বর্ষণের ফলে বেতার কেন্দ্রটি নিরব হয়ে যায়।
১৯৭১ সালের ২৫ মে কলকাতার বালিগঞ্জে বেতার কেন্দ্রটি ২য় পর্যায়ে সম্প্রচার শুরু করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকাসমূহ :
✸ স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র প্রচার করা হয়।
✸ চরমপত্র পাঠ করা হয়ঃ
ক) পরিকল্পনাঃ জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান ।
খ) স্থানীয় ঢাকাইয়া ভাষায স্ক্রিপ্ট লেখা ও উপস্থাপন করেন এম আর আখতার মুকুল ।
✸ জল্লাদের দরবার নামক অনুষ্ঠান প্রচার। জল্লাদের দরবারে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অমানবিক চরিত্র ও পাশবিক আচরণকে কেল্লা ফতেহ খান চরিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়।
✸ দেশাত্মবোধক গান প্রচার।
✸ বজ্রকণ্ঠ প্রচার করা হত। (স্বাধীনবাংলা বেতার কর্তৃক প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠান যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের অংশবিশেষ প্রচার করা হত)।
২। প্রশ্নঃ ছয় দফাই কি স্বাধীনতার রূপরেখা ? অথবা, ছয় দফা কি অখণ্ড পাকিস্তানের প্রতি হুমকিস্বরুপ ছিল? অথবা, স্বাধীনতার বীজ মূলত কোন ঘটনার মধ্যে নিহিত ছিল?
উত্তরঃ ৬ দফার মধ্যেই বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল।
কারণঃ
প্রথমত, ছয় দফার স্বায়ত্বশাসনের দাবীর মাধ্যমে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয় তা দমনের জন্য এর রূপকার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে রুখে দিতে চায়।
.
দ্বিতীয়ত, বাঙালি জাতির প্রাণের স্পন্দন শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এগার দফা দাবী উত্থাপন করে। এই এগার দফার মধ্যেও ছয় দফাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে আন্দোলন বেগবান হয়। অতঃপর ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণ-অভ্যত্থান ঘটায়। গণ-অভ্যত্থানে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
তৃতীয়ত, নতুন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান জনতার দাবীর মুখে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচন দ
তৃতীয়ত, নতুন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান জনতার দাবীর মুখে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচন দেয়। নির্বাচন দেয়ার উদ্দেশ্য অসৎ হলেও জনগণের রায়ে তাদের অশুভ চিন্তা বানচাল হয়।
.
চতুর্থত, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ৬ দফার আলোকে সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ দিকে স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দিতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে থাকেন। এমতাবস্থায় ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে এবং ৭ ই মার্চে দুটি ভিন্ন ভিন্ন বক্তৃতায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যথাক্রমে অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তির ডাক দেন।
.
পঞ্চমত, ২৫ শে ডিসেম্বর অ্যসেম্বলী আহ্বান করলেও তারা অপারেশন সার্চলাইট নামক বর্বরোচিত হামলা পরিচালনা করেন। এমতাবস্থায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ রাত ১১.৩০ মিনিটে এবং ২৬ শে মার্চ ১২:৪৫ ঘটিকায় স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিকামী মানুষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
.
৩। প্রশ্নঃ মুক্তিযুদ্ধ কবে শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ। ১০ ই এপ্রিল জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বলা হয়, এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬ শে মার্চ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলে গণ্য হইবে। এ ঘোষণাটি দেয়া হয় ২৬ শে মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কারনে। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ হবার শর্ত তিনটি । এক, স্বাধীনতার ঘোষণা, দুই. যুদ্ধ এবং তিন, আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সমাপ্তি। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে ।
.
৪। প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ৪ টি শর্ত কি কি ছিল?
উত্তরঃ
ক) মার্শাল ল প্রত্যাহার করতে হবে।
খ) সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফরত নিতে হবে।
গ) খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
ঘ) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্ত করতে হবে।
.
৫। প্রশ্নঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন কিভাবে পরিচালিত হয়?
উত্তরঃ ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন, আগামী ৩ রা মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। কিন্তু ১ লা মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে হরতাল আহ্বান করেন। জনগণের আন্দোলনে মুখে শাসকগোষ্ঠী ২ ও ৩ মার্চ সান্ধ্য আইন জারি করলে এবং জনগণ তা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভঙ্গ করে। পুলিশ নিরীত জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ফলে বহু লোক হতাহত হয়।
পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩ মার্চ ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। জাতির পিতা ঘোষণা করেন, “খুনি ইয়াহিয়া সরকারের হটকারী ও পাশবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ থেকে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চলতে থাকবে। কলকারখানা বন্ধ থাকবে, রেলগাড়ির চাকা বন্ধ থাকবে, খাজনা ট্যাক্স দেয়া চলবে না এবং অফিস আদালত ব্যাংক বন্ধ থাকবে।” জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে বাংলার এ মুকুটহীন সম্রাটের ডাকে সাড়া দেন। শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফুর্ত এ অসহযোগ আন্দোলেনের পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং ২৫ শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের দিন ধার্য করেন।
.
৬। প্রশ্নঃ জয় বাংলা শ্লোগানের জন্ম হয় কিভাবে?
উত্তরঃ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আহুত এক ছাত্রসভায় ততকালীন জিন্নাহ হলের ছাত্র আফতাব আহমেদ । সর্বপ্রথম জয় বাংলা বলেন। এরপর ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসে পল্টনে আওয়ামী লীগের এক জনসভার মঞ্চের ব্যানারে জয় বাংলা লেখা ছিল। ওই সময় মঞ্চে উঠে সিরাজুল আলম খান কয়েকবার জয় বাংলা বলেন। এভাবে শ্লোগানটি ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । ১৯৭০ সালরে ৭ ই জুন এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি জয় বাংলা বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। তারপর থেকে জয় বাংলা শব্দটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
(তথ্য সূত্রঃ আমাদের উত্থান-পতন, মহিউদ্দনি আহমেদ)
.
৭। প্রশ্নঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে?
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারতের সহযোগীতাঃ
ক. প্রবাসী সরকার গঠনে সহায়তাঃ
৩ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাজউদ্দিনের আলোচনার পূর্বেই মিসেস গান্ধী লোকসভায় বক্তৃতায় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ভারত সরকারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মধ্যে সম্ভাব্য ভারতীয় সহায়তা সম্পর্কে আশার সঞ্চার করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাজউদ্দিন বৈঠকের শুরুতে মিসেস গান্ধীকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি ইতোমধ্যে শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি করে একটি সরকার গঠন করা হয়েছে। তাজউদ্দিনের এই উপস্থিত সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোল
। প্রশ্নঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে?
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারতের সহযোগীতাঃ
ক. প্রবাসী সরকার গঠনে সহায়তাঃ
৩ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাজউদ্দিনের আলোচনার পূর্বেই মিসেস গান্ধী লোকসভায় বক্তৃতায় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ভারত সরকারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মধ্যে সম্ভাব্য ভারতীয় সহায়তা সম্পর্কে আশার সঞ্চার করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাজউদ্দিন বৈঠকের শুরুতে মিসেস গান্ধীকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি ইতোমধ্যে শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি করে একটি সরকার গঠন করা হয়েছে। তাজউদ্দিনের এই উপস্থিত সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অসামান্য শক্তি সঞ্চারিত হয়। এপ্রিল মাসের শুরুতে তাজউদ্দিন-ইন্দিরার মধ্যে অনুষ্ঠিত দু’দফা বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের সাহায্য-সহযোগিতার প্রকৃতি ও ধরণ সম্পর্কে কতিপয় সিদ্ধান্ত হয়।
খ. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহঃ
বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও আবাসিত করার দায়িত্ব বিএসএফ-কে দেওয়া হয়। স্বাধীনতাকামী ছাত্র-যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ ৯মে থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণের প্রায় ১০০টি ক্যাম্প এবং বাংলাদেশেও অনুরূপ প্রায় ২০০টি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাছাড়া ত্রিপুরা ও আসামে কিছু প্রশিক্ষণ শিবির ছিল যেখানে বিদেশী সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হতো না। প্রথামিক পর্যায়ে ৩০৩ রাইফেল ও সাবমেশিনগানকে সম্বল করে মুক্তিবাহিনী মাঠে নামে। পর্যাপ্ত অস্ত্রের অভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি মুক্তিবাহিনী তার অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।
মুক্তিবাহিনীকে দেওয়ার জন্য উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় যুদ্ধোপকরণ কারখানায় উৎপাদিত অস্ত্র, গোলাবারুদে ভারতীয় চিহ্ন ব্যবহার করা হত না। যাতে করে পাকিস্তানিদের হাতে পড়লেও, ভারতীয় সহায়তার বিষয়টি প্রমাণিত না হয়। ভারতে উৎপাদিত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ছোট অস্ত্র পাকিস্তানের হস্তগত হয়। হস্তগত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে মার্কিন ৫৭ এমএম রিকোয়েলেস রাইফেল, পানির নিচে বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহারের জন্য ব্রিটিশ মাইন, এছাড়া সোভিয়েত রাশিয়া, ইসরাইল, বেলজিয়াম এবং চেকোশ্লাভিয়া উদ্ভাবিত ভারতের তৈরি সেকেলে ও সাম্প্রতিক অস্ত্র ছিল।
গ. শরণার্থীদের সহায়তাঃ পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, বিহার ও অন্যান্য রাজ্যে মোট ৮২৯ টি শরণার্থী শিবিরে ৯৮,৯৯,৩০৫ জন শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দেয়।
.
ঘ. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠনঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মুসলিম বিশ্বের জোরালো সমর্থন ছিল পাকিস্তানের পক্ষে, এমন কী অপর পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নও জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। এমনি পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সরকারী, বে-সরকারী প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে, বাংলাদেশ সরকারকেও সহায়তা দেয় বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য, বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ এবংপ্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধী বহু রাষ্ট্র সফর করেন।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা ও ভারতীয় ভূমিকার যথার্থতা ব্যাখ্যা করার জন্য ৬৭টি রাষ্ট্রে ১৮টি সরকারি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে ভারত সরকার। এর মধ্যে চারটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বের ছিলেন বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী সরদার শরণ সিং। এছাড়াও ডিপ্লোম্যাটদের দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল ছিল ভারত।
.
ঙ. রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতাঃ
ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাঁদের সহানুভূতি এবং সমর্থন বেশ জোরালোভাবে প্রকাশ করেন। স্মতব্য, ভারতের রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা জনগণের সহানুভুতি এবং প্রতিক্রিয়া একই সমান্তরালে প্রবাহিত হয়নি।সরকারি দল হিসেবে কংগ্রেসের ভূমিকা সূচনা লগ্নে ছিলঅনেকটা সতর্কতামূলক এবং রক্ষণশীল অন্যদিকে অধিকাংশরাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসাহব্যঞ্জক।.
.
৮। প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নাম ‘বাংলাদেশ’ কে কেন করেন?
উত্তরঃ বাংলা, বাঙালীর কৃষ্টি এবং ইতিহাস রক্ষায় যিনি সর্বাধিক যুক্তিযুক্ত কথা বলনে, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ সালের ২৫ আগস্ট করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু শহীদ সাহেবকে বলেন, “স্যার আপনি দেখবেন ওরা পূর্ববাংলা নামের পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতে চায়। আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি যে, আপনারা এটাকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটি নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। আপনারা এই নাম আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনারা যদি ঐ নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আমাদের বাংলায় আবার যেতে হবে এবং সেখানকার
৯। প্রশ্নঃ মুজিবনগর সরকার গঠনের কারণগুলো কী কী?
উত্তরঃ
ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করা এবং এর আনুষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক রূপ প্রদান করা।
খ) মুক্তিযুদ্ধকে সুষ্ঠু ও দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে দ্রত দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করা।
গ) মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
ঘ) প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে পাকিস্তানি হানাদার নারকীয় হত্যাকান্ড, ধ্বংসলীলা ও নির্যাতন, নিপীড়ন সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং বাংলদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করা।
ঙ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশের দালালদের অত্যাচারে ভারতে চলে যাওয়া শরণার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
চ) আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন এবং সাহায্য-সহযোগিতা লাভ করা।
৮। প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নাম ‘বাংলাদেশ’ কে কেন করেন?
উত্তরঃ বাংলা, বাঙালীর কৃষ্টি এবং ইতিহাস রক্ষায় যিনি সর্বাধিক যুক্তিযুক্ত কথা বলনে, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ সালের ২৫ আগস্ট করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু শহীদ সাহেবকে বলেন, “স্যার আপনি দেখবেন ওরা পূর্ববাংলা নামের পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতে চায়। আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি যে, আপনারা এটাকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটি নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। আপনারা এই নাম আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনারা যদি ঐ নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আমাদের বাংলায় আবার যেতে হবে এবং সেখানকার জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে তারা নাম পরিবর্তনকে মেনে নেবে কিনা।
এক ইউনিটের প্রস্তাবটা গঠনতন্ত্রে অন্তভুক্ত হতে পারে। আপনারা এই প্রশ্নটাকে এখনই কেন তুলতে চান? বাংলাভাষাকে, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার ব্যাপারে কি হবে? যুক্ত নির্বাচনী এলাকা গঠনের প্রশ্নটারই কি সমাধান? আমাদের স্বায়ত্তশাসন সম্বন্ধেই বা কি ভাবছেন? পূর্ববাংলার জনগণ অন্যান্য প্রশ্নগুলোর সমাধানের সাথে এক ইউনিটের প্রশ্নটাকে বিবেচনা করতে স্থপতি। তাই আমি আমার ঐ অংশের বন্ধুদের কাছে আবেদন জানাবো তারা যেন আমাদের জনগণের ‘রেফারেন্ডাম’ অথবা গণভোটের মাধ্যমে দেয়া রায়কে মেনে নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, বহুবছরের এ স্মৃতি বিজড়িত নাম বাংলা সাংবিধানিক ভাবে ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর এই দাবীকে অগ্রাহ্য করেই পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠি বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তান ডাকতে থাকে। অনেক বছর পরে, প্রহসনমূলক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাবার পরে বঙ্গবন্ধু এই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য প্রথম পদক্ষেপ গ্রহন করেন। ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু তার মাজার প্রাঙ্গনে দাড়িয়ে ঘোষণা করেন – আর পূর্ব বাংলা নয়, পূর্ব পাকিস্তান নয়, জনগণের পক্ষে আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে বাঙ্গালি জাতির এ আবাসভূমির নাম হবে “বাংলাদেশ
.
১০। প্রশ্নঃ সপ্তম নৌবহর কখন এবং কেন বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা করে?
উত্তরঃ ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করলে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে পাকিস্তানের পতন আসন্ন হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় পাকিস্তানের পতন ঠেকানোর উদ্দেশ্যে আমেরিকা ভারত ও বাংলাদেশকে চাপে ফেলার জন্য বঙ্গোপসাগরে তাদের ‘সপ্তম নৌবহর’ পাঠায়। তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছিল আর সপ্তম নৌবহর ভিয়েতনামের টাংকিং উপসাগরে অবস্থান করছিল। টাংকিং উপসাগর থেকে সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এ বহরের প্রধান জাহাজ ছিল USS Enterprise (CVN -65). রাশিয়া ৮ম নৌবহর প্রেরণ করলে সপ্তম নৌবহর ফিরে যায়।
(কার্টেসী: কাওছার হোসেন)

 

 

 

No comments:

Post a Comment

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending