Pages

Historical War

৩৮ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধের আদ্যোপান্ত
#2nd #world #war fact
#হিটলারের #জীবনী
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যদি ভয়াবহ কিছু হত্যাযজ্ঞ ঘটে থাকে তবে তার একটি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। সময়টা ১৯৩৯ সাল। বড় নির্দয় একটা বছর।এই বছরটি ভয়ানক এক ধ্বংসলীলা শুরুর বছর। প্রায় ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে পৃথিবী হারিয়েছিল ৬ কোটি মানুষ। কোন একক যুদ্ধে এতগুলো তাজা প্রান আর কখনো হারায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একসাথে আলোচনা করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। ঘটনাবহুল এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যত বেশি তথ্য কালেক্ট করা যায় রিটেনের জন্য ততই ভালো। আজ সল্প পরিসরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের জীবনী নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
♦♣♣: একটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে এক দিনে লেগে যায় না। তালি যেমন এক হাতে বাজে না তেমনি ধ্বংসলীলা মুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় না। এ ধরণের ঘটনার অনেক নিয়ামক থাকে । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত গভীর জলে ডুব দেবার আগে এর মাস্টারমাইন্ড নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
♦♣♣হিটলারের উত্থান পর্ব♦♦♣♣
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে এই মানুষটিকেই সবচেয়ে ভয়ানক রাষ্ট্রনায়কদের একজন বলে মানতে হবে। পৃথিবী জুড়ে তার চর্চা হয়েছে গত শতাব্দীতে। তার কার্যক্রমের ফল একবিংশ শতাব্দীর মানুষ ভোগ করছে। হিটলারের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক একটি ভাবনা চলে আসে। হিটলার তার রণনীতিতে ক্ষিপ্র ছিলেন।
>>>তবে তার সব গুণদোষ বিচার করলে তাকে একচেটিয়াভাবে ভিলেনের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়না। কারন হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনিই হতেন সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক নেতা। তবে তার পরাজয় তাকে ইতিহাসের খলনায়কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে। আজ হিটলারের উত্থান নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার আহুতি দানের কথাও আলোচনা করব।
♣♣♦♦♣♣
হিটলার জার্মান ছিলেন না। ১৮৮৯ সালে তার জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়ায়। হিটলার শৈশব কাটিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ছেলেবেলায় বাবা তার পর মা হারিয়ে হিটলার জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে ছিলেন।কিন্তু হিটলার পথ হারান নি। জীবন সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯১৩ সালে জার্মান আর্মি তে প্রবেশের চেস্টা করেন। কিন্তু তাকে বলা হয় জার্মান আর্মিতে কাজ করার যোগ্যতা নাকি তার নেই।
কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধ লাগলে হিটলার ঠিকই জার্মান আর্মিতে প্রবেশ করেন। ১৯১৯ সালে নাজি পার্টিতে যোগ দেন। এর পর নিজের কর্মদক্ষতার বলে ১৯২১ সালে নাজি পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। নাজি পার্টি আসলে প্রাক্তন জার্মান সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ পুষ্ট ছিল। কিন্তু এই পার্টি বেশ উথান পতনের মাঝ দিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির #চেন্সেলর হন।
♣♣♣♣♣♣♣
হিটলার তার হিটলারি এরপর শুরু করেন।
>>>>>ক্ষমতা লাভের পর হিটলার তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি অদূরবর্তী অস্ট্রিয়ার দিকে নিক্ষেপ করেন। অস্ট্রিয়া জার্মানদের দখলে এলেও বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। ১৯৩৮ সালের ১২ মার্চ হিটলার বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া জয় করেন।
>>>>>স্পেনে তখন গৃহ যুদ্ধ চলছে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এই সময়টায় স্পেনের অর্থনীতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পরে। তবে স্পেনের উপর হিটলার তখন আক্রমন করেননি। হিটলার এরপর চেকোস্লুভাকিয়া দখল করেন।
♣♣♣♣♣♣♣
বিশ্বযুদ্ধের #সুচনা:
এ পর্যন্ত হিটলার যা করেছেন সেগুলো ছিল বড় ঘুর্নিঝড়ের পুর্বে ছোট ছোট ধমকা হাওয়ার মত কার্যক্রম। আসল ঘুর্ণিঝড় শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমনের মধ্য দিয়ে।
হঠাৎ করেই কোন প্রকার পুর্ব ঘোষণা না দিয়ে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করাটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। হয়ত এটাই ছিল হিটলারের রণনীতি। হিটলার লুডু খেলার মত দেখিয়ে দেখিয়ে ছক্কার দান মারতেন না। তিনি শত্রুকে প্রস্তুত হবার সুযোগ দিতেন না। তাই শেষরাতে আক্রমণ করাকেই হিটলার উপযুক্ত ভেবেছিলেন।
পোল্যান্ডের দিকে হিটলার ক্ষিপ্রগতিতে ধাবিত হন।
তারিখটা পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। ভোর ৪.৩০ এ পোল্যান্ডের উপর পাঁচটি জার্মান বাহিনি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমেই। ২৮০০ ট্যাংক, ২০০০ জঙ্গি বিমান আর ১০০ যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে প্রবল বেগে পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হয় জার্মান বাহিনী। ২৭ দিনেই পোল্যান্ড জার্মানদের দখলে চলে যায়। বিশ্বযুদ্ধ এখানেই শুরু। মুলত এই আক্রমণের মধ্য দিয়েই হিটলার বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন।
♦♦♣♣: #অক্ষশক্তি এবং #মিত্রশক্তি:
যুদ্ধ যারা লাগায় তাদের বলা হয় অক্ষ শক্তি। যারা ভাঙ্গায় তাদের বলা হয় মিত্র শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিলেন হিটলার। তবে হিটলারের ডান হাত ছিলেন ইতালির মুসলিনি।
>>>♣♣ #জার্মানি, #ইতালি, #জাপান এই তিন পরাশক্তি ছিল অক্ষশক্তি।
তাদের সাথে আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশ ছিল যাদের হিটলার বাহুবলে জয় করে নিজের বাহিনীতে কাজে লাগিয়েছিলেন।
>>>♣♣ অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইন
অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন #ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, রাশিয়ার নেতা ছিলেন #জোসেফ স্টালিন।
♣♣♦♦হিটলারের রাশিয়া আক্রমণ ♦♣♣
রাশিয়া যুদ্ধ চায়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় শীতল রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। দেশ গঠনে আর সমাজতন্ত্র প্রচারে ব্যাস্ত ছিলেন জোসেফ স্টালিন। জার্মানির সাথে রাশিয়া মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
কিন্তু একে একে ডেনমার্ক ,ফ্রান্স এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র জয় করার পর হিটলার ভাবলেন রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপ তার কাছে নতজানু।তাহলে আরেকটু অগ্রসর হলে ক্ষতি কি?
>>>তাই #সীমান্ত বিবাদকে ভিক্তি করে অতর্কিত ভাবে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে বসেন।
>>>>সময়টা ১৯৪১ সালের ২২ জুন। ভোর রাতে হিটলার বাহিনী বিনা যুদ্ধ ঘোষণায় ঝাঁপিয়ে পরে। রাশিয়া সৈন্যশক্তিতে এগিয়ে ছিল
>>>>কিন্তুজার্মানদের ধারণা ছিল হয়ত তাদের শক্তির মুখে রুশ বাহিনী টিকবে না। তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
>>>>দফায় দফায় রাশিয়ার বড় বড় শহর আর তেল খনি জার্মান বাহিনী দখল করে নেয়।
>>>>>>মস্কো, লেলিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ বড় বড় শহরে ক্ষিপ্রতার সাথে যুদ্ধ চলে। রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমন করে।
>>>>এসময় রুশ বাহিনির বিরুদ্ধে #ইতালি আর #জাপানও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
উপায়ান্তর না দেখে রুশ নেতা স্টালিন #ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন।
>>>কিন্ত ব্রিটেন চেয়েছিল ইউরোপের এই দুটি বড় শক্তি যেন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে দুনিয়াতে তাদের #সমকক্ষ কেউ থাকবে না আর।
>>>>তবে রুশরা তাদের পাল্টা আক্রমন থামায়নি। এক পর্যায়ে কিছু এলাকা তারা মুক্ত করে ফেলে। জার্মানদের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশরা প্রচুর যুদ্ধবিমান ও ভারি কামান সহ অনেক রসদ আমদানি আর তৈরিতে মন দেয়।
>>#কথিত আছে #শত্রুবাহিনী রাশিয়ার ভূমি গ্রাস করতে পারেনা। রাশিয়ার #ভূমিই শত্রুবাহিনীকে #গ্রাস করে দেয়।তাই শীতকাল শুরু হলেই রাশিয়ায় নাজী বাহিনীর অনেক সেনা ঠান্ডায় মারা পরে। বেশির ভাগ এই বিরুপ আবহাওয়া সহ্য না করে জার্মানি #প্রত্যাগমন করে।
♦হিটলার তখন রাশিয়া আক্রমন কিছুটা #স্থবির করে দেন। অন্যদিকে তার আরেক দুসর মুসুলিনি #আফ্রিকার দিকে ধাবিত হন এবং আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ দখল করতে থাকেন। আফ্রিকায় ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে #ইতালিয়ান বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়।
♦♣♣ব্রিটেনে হিটলারের আক্রমন♦♣♣
হিটলার এবার ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে অকেজো করে দিতে মন দিলেন। জার্মানির ইউ-বোট গুলো জলদস্যুর মত অতর্কিত আক্রমন করে ব্রিটিশদের শিপিং ডুবিয়ে দিত। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টন শিপিং ডুবিয়ে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন হিটলার।
>>>হিটলার এবার মূল জায়গায় আঘাত করতে এগিয়ে গেলেন। হিটলারের নাজী বাহিনী এরপর ব্রিটেনের মূল #ভুখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়। আর এতেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন চার্চিল।
>>>চার্চিল বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলেন। জার্মান বাহিনী যদি একবার ইংল্যান্ডে আসে তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল গুড়িয়ে দেবে। এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে চার্চিল আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলেন।
♣আটলান্টিক সনদ-১৯৪১♣♣♦
এটাকে সনদ না বলে আমি এটাকে বিশ্ব নেতৃত্ব বদলের দলিল বলে থাকি। চার্চিলের মিনতি শুনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট সুযোগের চরম ব্যাবহার করলেন। তিনি চার্চিলকে সমুদ্রে ডাকলেন। এক রণতরীতে বৈঠক শুরু হলো।
>>চার্চিল বিষয়টা যতটা সহজে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রুজভেল্ট বিষয়টা ততটাই কঠিন করে দিলেন। রুজভেল্ট এই শর্ত দিলেন যে যদি যুদ্ধে মিত্রশক্তি বিজয়ী হয় তবে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ মুক্ত করে দিতে হবে। কেবল তখনই আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।
>>>সুচতুর রুজভেল্টের শর্ত শুনে চার্চিলের আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার মতই অনুভূতি হল। একদিকে এতগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশ হারালে ব্রিটেনের জনগণ তাকে ধুয়ে দিবে। অন্য দিকে নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সুদাসল একসাথে যাবে। কারন নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সব ব্রিটিশ উপনিবেশ এমনিতেই হিটলারের দখলে চলে যেত।
>>>তাই আটলান্টিক মহাসাগরে বসে একে একে ১৪ টি শর্ত মানতে হল চার্চিলকে। আর এরপর পৃথিবীর নেতৃত্ব চলে যায় আমেরিকার হাতে। ১৪ নম্বর শর্তানুযায়ী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি সংঘটন স্থাপন করার কথা বলা হয়।
♦♣♣জাপান কর্তৃক পার্ল হার্বার আক্রমণ:
আমেরিকা এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার আক্রমন করলে মহাশক্তিশালী আমেরিকা #যুক্তরাষ্ট্র এই মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
পার্ল হার্বার একটি আমেরিকান সামরিক ও নৌঘাটি। এখানে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ আমেরিকাকে অবাক করে দেয়। জাপানকে এ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত খুব কঠিনভাবেই করতে হয়েছে।
♣♣♦♦♣♣
মিত্রবাহিনীর মিলিত #আক্রমণ :
ধীরে ধীরে হিটলার আমেরিকান বিমান বাহিনী আর ব্রিটিশ বাহিনীর যুগ্ন আক্রমণের সম্মুখীন হন। মিত্র বাহিনির তিনটি প্রধান শক্তি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া এক জোট হয়ে জার্মানদের বিজিত এলাকা গুলোতে তুমুল আক্রমন চালায়। ১৯৪৪-৪৫ সালে জার্মানির প্রায় সমস্ত উপনিবেশ একের পর এক মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
১৯৪৫ সালে মুসুলিনি ইতালির জনগণ কাছে ধরা পরেন এবং তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হিটলারের ডান হাত মুসুলিনি মরে যাওয়ায় হিটলারের আধিপত্য ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। মিত্র বাহিনী এবার জার্মানির মুল ভূখণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
জার্মানির হামবুর্গসহ বড় শহরগুলো মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়। হিটলারের সেনাপতিদের কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেন, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেন।
#অবশেষে মিত্র বাহিনীর তিনটি দেশ মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে হিটলারকে মারার পর জার্মান আধিপত্য সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে জার্মানরা যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না শুরু করতে পারে এজন্য জার্মানদের উপর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ সহ বেশ কিছু নিরস্ত্রীকরন শর্ত জুড়ে দেয়া হবে। ফ্রান্সকে জার্মানির হারানো রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হবে। বাকি জার্মান উপনিবেশ ব্রিটেন, আমেরিকা, আর রাশিয়া ভাগ করে নিবে।
#♦♣♣D-Day ফ্যাক্ট :
১৯৪৪ সালের ৬ জুনকে ইতিহাসে ডি-ডে হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে এদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমুদ্রযুদ্ধ হয়। এদিন নাজী বাহিনীর কবল থেকে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মুক্ত হয়।
♦♦হিটলারের #মৃত্যু :
মিত্রবাহিনীএবার জার্মানির বার্লিনের দিকে অগ্রসর হল। সময়টা এপ্রিল, ১৯৪৫। মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে বার্লিনের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরে।
হিটলার চাইলেই বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার উইলে #লিখেছেন," আমি মরছি আনন্দঘন হৃদয় নিয়ে”। হিটলার বার্লিনেই রয়ে গিয়েছিলেন।
♣♣২৮ এপ্রিল ১৯৪৫:
মিত্রবাহিনী বার্লিনের খুব কাছে। হিটলারের সেনাপতি তাকে বার্লিন ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্ত হিটলার তাতে রাজি হননি। হিটলার তার সমস্ত সেনাপতি, মিত্র আর অনুচরদের নিয়ে নৈশভোজ করেন। ইভা হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারকে বিয়ে করেননি। জীবনের শেষ কয়টা দিন যখন আসন্ন হিটলার ইভাকে বিয়ে করেন। হিটলার মরার আগে সেনাদের বলেন, "আমার সাথে যারা মরতে চাও তাঁরা বার্লিন থাকো। "হিটলারের অনুচরদের অনেকেই বার্লিন থেকে গিয়েছিলেন।
>>>৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ মিত্র বাহিনী বার্লিনে ঢুকে পরে। হিটলার তার অনুচরদের বলেন যে ইভা আর তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার একজন অনুচরকে ২০০ লিটার পেট্রোল আনতে বলেন। কিন্তু সে কেবল ১৮০ লিটার যোগাড় করতে পেরেছিল। হিটলার বলেন যে বার্লিনের বাগানেই তিনি জীবনের অনেক সময় কাটিয়েছেন। মরার পর যেন তাকে বার্লিনের বাগানে এমন ভাবে পোড়া হয় যেন মিত্রবাহিনী তার শরীরের কোন অংশ পায় না। হিটলার ইভাকে নিয়ে একটি কক্ষে গেলেন, কিছুক্ষন পর বুলেটের শব্দ হয়। হিটলার আর ইভা দুজনেই মারা যান। তাদেরকে বাগানে এনে পোড়ানো হয়। মিত্র বাহিনী কিছুক্ষণ পরেই বার্লিনে ঢুকে। তবে তাঁরা হিটলারের দেহের কোন অংশ খুজে পায়নি।
>>>>>হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। হিটলার তার উইলে বলে গেছেন যে আগামী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে দোষারোপ করতে পারবেনা। তিনি ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
♦হিটলারের #হারের #কারন:
হিটলার বিমান যুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী আর রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর তোপ তিনি সামাল দিতে পারেননি। হিটলারের নিজেরও শক্তিশালী বিমান বাহিনী ছিল, কিন্তু ভুলবশত হিটলার কোন প্রযুক্তির বিমান ব্যাবহার করবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
♦জাপানে পারমানবিক বোমা হামলা:
জাপান তখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও জাপান কর্ণপাত করছিল না। জাপানকে এই ভুলের পরিণাম আজো সহ্য করতে হয়। মার্কিনরা ততদিনে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার করে ফেলছে।
#হেনরি ট্রুম্যান জাপানে পারমানবিক আক্রমণের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমানবিক বোমাটি ফেলা হয় এবং তার তিন দিন পরে ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক বোমাটি ফেলা হয়।
#আর এতেই নাকাল হয় জাপান। এর কিছুদিন পর ১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপান শর্তহীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় এক অধ্যায়ের। ততদিনে খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল জাপানের জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় হিটলারের চরম পরিনতির মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬ কোটি মানুষ এতে প্রান হারায়। যার মাঝে ১ কোটি ৪০ লাখ রাশিয়ান ছিল। এ যুদ্ধে বিশ্ব প্রথমবারের মত পরমানু অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখল।জাপানকে একরকম পঙ্গু করে দেয়া হয়েছিল। জার্মানি মাথাচাড়া আর দিয়ে দাঁড়াতে পারিনি, সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসণ করছে আজ।
♦#ভারতের অবস্থান:
ভারত তখন ব্রিটিশ #কলোনি ছিল। তাই ভারত এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করে। ভারতের সব খাদ্যসামগ্রী যুদ্ধের জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। আর এতেই ভারত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পরে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।
#নেতাজী সুভাষ চন্ড্র বোস হিটলারের সাথে সাক্ষাত করে হিটলারকে ভারত #মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু দুরত্বের কথা ভেবে হিটলার ভারতে সেনা প্রেরণ করেননি।হিটলারকে রাশিয়া ফ্রন্ট খুলতে বারণ করেছিলেন নেতাজী। কিন্তু হিটলার নেতাজীর কথা শুনেননি।
♦দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে গতিতে শুরু হয়েছিল অনুরুপ গতিতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু এটাই ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। যদি মানুষ ইতিহাসের এই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিত,তবে চলমান বিশ্বে এত সংঘাত আর অশান্তি থাকত না।
যুদ্ধ কাউকে #বিজয়ী হতে দেয় না। কারণ যুদ্ধে বিজয়ীর ক্ষতি বিজিতের তুলণায় খুব একটা কম হয় না।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটা #উপকারে এসেছে। আর তা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা ব্রিটিশ #উপনিবেশগুলোর মানুষ আজ #মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছে।
By
সৌরভ দেবনাথ
MBA
SUST
N.B. কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না।
===============================
তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি :
#আফগানিস্তান সংকট -#Afghanistan crisis
#ভারত-আফগানিস্তান -#সম্পর্ক
#মার্কিন আগ্রাসন, #তালেবান ইস্যু
♦ এই বিশ্বকে যদি একটা বিশালাকার প্লেট ধরা হয় তবে আফগানিস্তান হবে সেই প্লেটে রাখা এক টুকরো রুটি।
>>সেই রুটি ছিঁড়েখুঁড়ে খাবার জন্য বিশ্বের ক্ষুধার্ত জাতিগুলো বারংবার আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু আফগানিস্তান পিচ্ছল মাছের মতই বরাবরেই হাত ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
>>আফগানিস্তানের নাকে দড়ি লাগাতে গিয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে যেতে হয়েছে বিশ্বের অনেক সাম্রাজ্যকে। আফগানিস্তানকে বলা হয় The #graveyard of dynasty.
আজ আফগানিস্তানের ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট নিয়ে নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦প্রথমত,
>>আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি #স্থলবেষ্টিত দেশ(landlocked country).
এই দেশটি স্থলপথে বাণিজ্য করার জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে একে হস্তগত করতে বড় বড় দেশ আর বিশাল বিশাল সেনাবহর যুগে যুগে আক্রমণ করেছে।
>>আফগানিস্তান প্রাচীন ভারতীয় মানচিত্রে গান্ধার রাজ্য নামে পরিচিত ছিল।
>>আফগানিস্তান পার্বত্যময় একটি দেশ। সমগ্র দেশে উঁচু পাহাড় দেশটিকে শত্রুদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
>>প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেলের প্রাচুর্য আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির লোলুপ দৃষ্টি থেকে এড়াতে পারেনি।
>>আফগানিস্তান এর পাশে পাকিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান এসব দেশ রয়েছে।
♦দ্বিতীয়ত,
>>#আফগানিস্তানে আগ্রাসন :
আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে এগিয়ে এসেছে এমন কয়েকজন নেতার মাঝে সর্বপ্রথম আসবে মেসোডেনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নাম।
>>কিন্তু তিনি আফগানিস্তানকে মুঠোয় পুরতে সক্ষম হননি। খাইবার পাস দিয়ে তিনি এর পর ততকালীন ভারতে প্রবেশ করেন।
♦তৃতীয়ত,
>>#আধুনিক যুগে আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে যে কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসছে তার মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য #ব্রিটিশদের নাম।
>>> ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে।
>>সারা ধুনিয়া চষে বেরালেও আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা দারুণ নাকানিচুবানি খেয়েছে। সুবিধা না করতে পেরে ১৮৪২ সালে তারা সরে দাঁড়ায়।
>>আধুনিক যুগে ততকালীন #সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পর আফগানিস্থানে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।
>১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিছুদিন যুদ্ধ করার পরে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে।
>>এর কারন হচ্ছে আফগানিস্তান স্বদেশী শক্তি দ্বারা শাসিত হতে পছন্দ করে। ভীনদেশী শক্তি আফগানিস্তান শাসন করুক এটা আফিগানরা কখনো চায়না। আফগানিস্তান রাশিয়াকে অপবিত্র দেশ জ্ঞান করে। আফগানিস্তান কখনো চায় না যে তাদের পবিত্র ভূমিতে রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদ বিকাশ লাভ করুক।
চতুর্থত,
>>#মার্কিন আগ্রাসন :
আফগানিস্তানে এরপর আসে আমেরিকানরা।
>>২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মার্কিনীরা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে।
>>লাদেনকে আশ্রয় দানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারা আফগানিস্তানে সেনা প্রেরণ করে।
>>গত ১৭-১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে তারা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
♣♣ >>কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে মার্কিনরা নিজেও জানেনা এর শেষ কোথায়? তালেবান শক্তি মার্কিন সেনাদের সমূলে উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যের কিছু সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে শায়িত আছেন।
♣♣>>ওবামা তার শাসনামলে বুদ্ধিমানের মত আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অদূরদর্শী শাসকের মত ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছেন।
♣♣>>এর পরিণাম একই হবে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বৃথাই আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে প্রান হারাবে।
♣♣>>মাত্র ১১০০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ট্রাম্প আফগানিস্তান দখল করতে চাইছেন। এটা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতই কাজ। আফগানিস্তানে তালেবান সেনাদের সাথে ট্রাম্প লড়ে চলেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সংঘাতে না মার্কিনরা জিতবে না তালেবানরা সমুলে ধ্বংস হবে।
♣♣>>আফগানিস্তানের সাধারণ জনগনের মনে তালেবানদের প্রতি একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারন তালেবানরা আফগান ভূমিকে ভালোবাসে।
♣♣ >>১৯৯৬ থেকে-২০০১ এ সময়ে তালেবান সরকার জনগনকে অনেক দিয়েছে। ঘৃণা করে বিদেশী হস্তক্ষেপকে। তালেবানদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বললে কথাটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। কারন তালেবানরা গত দুই যুগ ধরে আফগান ভূমিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ আর পুতুল সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।
♣♣তবে তালেভানদের যুদ্ধকৌশল অনেকটা #ইন্সারজেন্সি টাইপের। যদি নিজের ভূমি রক্ষা করার জন্য কাউকে সন্ত্রাস বলা হয় তবে অন্যের ভূমি গ্রাসকারীদের (মার্কিন) আমরা কি বলতে পারি।
♣♣অবশ্য এ কথা স্বীকার করতেই হবে তালেবানদের সবচেয়ে বড় ভূল ছিলো ৯/১১ এর মূলহোতা লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া।
♣♣এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।
♣♣সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগে তারা এই আগ্রাসন চালায় ঠিকই কিন্তু এরপরে আমেরিকা আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মোড়ল হয়ে পড়ে। তালেবানরা এই বিষয়টা সহজ ভাবে দেখেনি।
♣♣যদি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগেই আমেরিকা একটি দেশকে আক্রমণ করা যৌক্তিক মনে করে তাহলে তো সর্বপ্রথম প্রতিবেশী কানাডাকে আক্রমণ করা উচিত।
>>কারন কানাডায় অনেক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমেরিকা বাড়ির উঠান পরিষ্কার ঠিকই রাখছে।
♣♣এই একটি মাত্র অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও তাদের অন্য অনেক উদ্দেশ্য ছিল যা বিগত দেড় যুগ ধরে আমেরিকা ভোগ করছে।
♣♣>>আফগান তেল খনিতে আমেরিকার ভীষন লোভ ছিল।
♣♣>>তাই হামিদ কারজাই কিংবা বর্তমানের আশরাফ গানি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কেবল আমেরিকার কথার প্রতিধ্বনি করেই গেছেন।
♣♣বিশ্ব মিডিয়া তালেবানদের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরগরম প্রচারণা চালিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তারা তালেবানদের অনেক কর্মকাণ্ড অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
♦পঞ্চমত,
#প্রতিবেশী দেশগুলীর সাথে আফগানিস্তানের কেমন সম্পর্ক?
♦পাকিস্তান:
>>বর্তমানে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলছে। কিছু দিন আগেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের হাতে ১১ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এটা এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
>> তবে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের সম্পর্কের রুপ ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। আফগানিস্তান সরকারকে ঠিকই পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
>>রাশিয়া হোক বা আমেরিকা, আফগানিস্তানকে কাবু করতে সবাইকে পাকিস্তানের #দ্বারস্থ হয়েছে।
>> এর মূল কারন পাকিস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান। আফগানিস্তানে কোন #সমুদ্রবন্দর না থাকায় #পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেনা প্রবেশ করিয়ে আফগানিস্তানে প্রেরণের কাজটি সবাই করেছেন।
>>তাই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে পাকিস্তান অন্যতম বড় #নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
♦ভারত
>>>আফগানিস্তান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় #বিনিয়োগকারী দেশ।
>>ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩ #বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
>>ভারত আফগানিস্তান এবং #তুর্কমেনিস্তান থেকে তেল আমদানি করে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যার তেলের চাহিদা পূরন করে। এছাড়া ভারত আফিগানিস্থানে সেনা #প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
>>>#ভারত আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাবে এমন গুজব শোনা যায় প্রায়ই।
>>>>কিন্তু কথা হচ্ছে যেযে ভারত ভালো করেই জানে যে আফগানিস্তান সেই বিশাল হাতির পা যা কুমিরের মুখে এলে কুমির না একে খেতে পারে না ছাড়তে পারে। তাই ভারত কুমির হয়ে এই হাতির পা মুখে নিতে যাবেনা।
>>#ভারত যদি ভূল করেও আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়ও তবুও ভারত কখনোই আফগানিস্তানকে গ্রাস করতে পারবে না।
>>যে কাজটি আগেই বড় বড় সাম্রাজ্যের মহাবলশালী যোদ্ধারাও করতে পারেননি ভারত সেটা করতে পারবে না।
>>>আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের কোনকালে আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ছিলনা আর হবেও না। আপাতত ভারত আফগানিস্তানে ব্যাবসায়ে বেশি মনযোগী।
>>>আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত। হয়ত এর পেছনে ভারতের ইতিহাস কাজ করছে। ভারত গত শতাব্দী অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিয়েছে। তাই এই শতাব্দীতে ভারত কোন প্রকার অমিমাংশিত পরিস্থিতির দিকে যেতে চাইবে না।
>>>তবে নয়াদিল্লী এক্ষেত্রে কাবুলকে সন্ত্রাস দমনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
♦চীন:
চীন আফগানিস্তানে ঘাটি নির্মানের জন্য এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদি চীন তা করে ফেলে ভারতকে তা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে।
ষষ্ঠত,
প্রশ্ন আসতে পারে #আলেকজান্ডার, #ব্রিটিশ সেনা,#রুশ সেনা, #আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানে কেন সফল হতে পারেনি?
♣♣>উত্তরটা অনেকটা এরকম পার্বত্য ময় দেশ হবার কারনে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা নিয়ে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানে সেনা প্রবেশ করানোর জন্য কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় #পাকিস্তানকে ব্যাবহার করতে হয়। এই রাস্তা বড়ই দূর্গম আর পাথুরে।
♣♣আফগানিস্তান মাঝারি আকৃতির একটি দেশ। তাই একে বশে আনতে হলে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাতে হবে। খন্ড খন্ড যুদ্ধে আফগানিস্তানকে নাকাল করা যাবেনা।
♣♣আফগানিস্তানে এলাম, দেখলাম,জয় করলাম এই নীতি চলেনা। আফগানিস্তান দখল করতে হলে পুর্ণশক্তিতে যুদ্ধ করতে হবে।
♣♣কয়েক হজার সৈন্য আর কয়েকটা বোমা মেরে আফগানিস্তানকে দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু দখল করা যায়না।
♣♣আফগানি সেনারা আত্মগোপন করার মত অনেক সুযোগ পায়। তাই তাদের সনাক্ত করাটাই এসব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
♣♣উপরন্তু উঁচু পর্বত থেকে হঠাৎ ঝ্বটিকা আক্রমণ শত্রুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
♣♣ আর আফগানিস্তান নিজেদের দেশাত্মবোধ বিদেশী শক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়না।
Prepared By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না
============================
#বিসিএস রিটেন- #সিলেক্টেড টপিক
#মালদ্বীপ সংকটের #আদ্যোপান্ত
#চীন- #ভারত- #মালদ্বীপ #ফ্যাক্ট
২০১৮ সালে এশিয়ার ভু-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপের নাম। আজ এই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকটের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦যেকোন সংকট সম্পর্কে জানার আগে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। মালদ্বীপের এই সংকটে নিজেকে জড়িত করার পুর্বে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়া যাক....
♦#ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম:
ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মালদ্বীপের বর্তমান এবং ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎ ভাই। ইয়ামিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে। তার দলের নাম হচ্ছে #প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপ।
♦মাহমুদ নাশিদ:
নাশিদ মালদ্বীপের সাবেক তরুণ প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ #ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণধার তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নাশিদ ক্ষমতায় ছিলেন।
নাশিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। পাশ্চাত্যের সাথে নাশিদ খুব ভালো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
নাশিদ ২০১৫ সালে ইয়ামিন সরকার কর্তৃক বন্দী হন। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইংল্যান্ড অবস্থান করছেন।
♦মামুন আব্দুল গাইয়ুম:
তিনি দীর্ঘদিন (1978-2008) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম তার সৎভাই। মামুনের দলের নাম প্রোগ্রেসিভ পার্ট অফ মালদ্বীপ। ২০০৮ সালে নাশিদের কাছে ক্ষমতা বদল হয় মামুনের।
♦♦মালদ্বীপের শাসনব্যবস্থা :
>> মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারি ব্যাবস্থা চলছে।
>>মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম মজলিশ। বর্তমানে মজলিশের আসন সংখ্যা ৮৫।
>>মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাইদ।
$$ চলমান মালদ্বীপ সংকট:$$
মালদ্বীপ সংকটকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য এই লেখাটিকে ছোট ছোট কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করেছি। শুরু করা যাক তবে.........
প্রথমত,
মালদ্বীপ এমন একটি স্থানে রয়েছে যেখানে ভারত মহাসাগর আর আরব সাগরের মাঝে একটা যোগসুত্র তৈরি হয়। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ মালদ্বীপের প্রায় ১২০০ ছোটবড় দ্বীপের সুবিধা ভোগ করে। মালদ্বীপ নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এই জাহাজ গুলোকে। তাই মালদ্বীপকে হাতের মুঠোয় পেতে চীন, ভারত, জাপান এই এশীয় দেশগুলো মরিয়া হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
মালদ্বীপ বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে নাশিদ অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে চাইছেন।
তৃতীয়ত,
এই রাজনৈতিক সংঘাত আরো জটিল হতে শুরু করে যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায় দেয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট তাদের মুক্তি দিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করে নেওয়া হয়। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
চতুর্থত,
দেশটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট কি বলছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের হাফ-ব্রাদার সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম বিরোধী পক্ষের সাথে রয়েছেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ এই ঘটনায় ভারতীয় মিলিটারির সহায়তা কামনা করছেন।
পঞ্চমত,
ভারত কি বলছে?
>>>>ভারত মালদ্বীপকে সবসময় নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করে। এটা এমন একটা জায়গা যা ভারতের জন্য strategically খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সব সময়ই মালদ্বীপকে নিজের বাড়ির উঠানের মত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখে।
>>>>>শুরুতে ভারতের সাথে ইয়ামিন সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ (২০১৩) নেওয়ার পরে ইয়ামিন ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ভারতেই সফর করতে আসেন। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় চীনের সিল্ক রোড চুক্তিতে মালদ্বীপের স্বাক্ষর করা নিয়ে। পাশাপাশি চীন মালদ্বীপে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করলে ভারতের সাথে মালদ্বীপের ইয়ামিন সরকারের বৈরিতা শুরু হয়।
>>>>>>২০১৫ সালে মোদি যখন মরিশাস আর শ্রীলঙ্কা সফর করেন তখন মালদ্বীপ সফরের কথাও ছিল। কিন্তু মোদি মালদ্বীপের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
>>>>>সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট নাশিদ সহ ৯ জন রাজবন্দী মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৩ জন বিরোধী দলীয় দায়িত্বচ্যুত পার্লামেন্ট মেম্বারকে পুনরায় তাদের স্বপদে ফিরে যেতে রায় দিয়েছে। এতে করে ৮৫ সদস্যবিশষ্ট পার্লামেন্টে ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তাই সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেছে।
>>>ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় মেনে নিতে বলছে। কিন্তু ইয়ামিন প্রশাসন বলছে এতে ভারতের নাক না গলানোই ভালো।
>>>>তবে ভারতের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তারা অপেক্ষায় আছে নির্দেশের। উল্লেখ্য এর আগেও ভারত ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা পাঠিয়েছে। এবার তারা কি করে সেটা সময় বলবে।
>>>মালদ্বীপ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং অবিলম্বে এই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।
ষষ্ঠত,
চীন কি বলছে?
>>>চীন ভারত মহাসাগরে ভারতীয় আধিপত্য রুখতে মালদ্বীপকে উত্তম ঘাটি বানাতে উঠেপরে লেগেছে। চীন মালদ্বীপকে তাদের বেল্টে আনতে মালদ্বীপে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে। চীন মালদ্বীপে কেবল বাণিজ্য করার জন্যই ইনভেস্ট করেনি। এই বিনিয়োগে চীন মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। চীন মালদ্বীপে ভারতীয় ডমিনেশনের জবাব দিতে গাইয়ুম সরকারকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে।
>>>>সম্প্রতি পাকিস্থানের আরব সাগর তীরবর্তী বেলুচিস্তানে চীন সমুদ্রবন্দর বানালে তার জবাবে ভারত মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ইরানের চবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে চীন ভারত সমান সমান আধিপত্য বজায় রাখবে। এ জন্য চীন মালদ্বীপে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত মহাসাগরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।
>>>এর প্রমাণ হচ্ছে ভারত মহাসগরে চীনের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি। চীন ভারত মহাসাগরে তাদের শক্তিশালী নৌ-বহর সাজিয়ে রেখেছে যেখান থেকে মালদ্বীপ ঢিল ছুড়ার মত দুরত্বে রয়েছে।তাই ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে চীন তার শক্ত জবাব দেবে। তাই উভয় দেশ এই সংকটের মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
♦সপ্তমত,
যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে?
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আর আগ্রহী বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পুর্ব এশিয়াতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ কমে গেছে। তবে আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে বলেছে।
এক নজরে-----------
♦মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতার
♦সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দিয়েছে
♦সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আটক
♦ভারতীয় মিলিটারি হস্তক্ষেপ চান সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ
♦মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অবৈধ ঘোষণা সুপ্রিমকোর্টের।
♦প্রস্তুত ভারতের সেনা।
♦প্রস্তুত চীনা যুদ্ধজাহাজ
== By====
=সৌরভ দেবনাথ সাগর=
==MBA=
== SUST=
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন

No comments:

Post a Comment

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending