সাহিত্যের #ত্রয়ী উপন্যাস কাকে বলে? বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী উপন্যাস কী কী?
উত্তর : ইংরেজি 'ট্রিলজি'র বাংলা পরিভাষিক শব্দ 'ত্রয়ী'। 'ত্রয়ী উপন্যাস' বলতে মূলত বোঝায়, যদি কোন উপন্যাসের তিনটি পাঠ থাকে। সিরিজ লেখার ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ট্রিলজিতে কাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। আবার প্রতিটি গ্রন্থ আলাদা ভাবেও পাঠ যোগ্য। বাংলা সাহিত্যে ট্রিলজি বা ত্রয়ী রচনার উদাহরন খুব বেশি না হলেও, একেবারে কমও না। নিচে বাংলা সাহিত্যের কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রিলজির উল্লেখ করা হলো-
#১. নবীনচন্দ্র সেন লিখেছেন ত্রয়ী মহাকাব্য-
১. "রৈবতক",
২. "কুরুক্ষেত্র",
৩. "প্রভাস"।
#২. ১. "আনন্দমঠ",
২. "দেবী চৌধুরানী",
৩. "সীতারাম"- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ট্রিলজি।
#৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত অপু ট্রিলজি
১."পথের পাঁচালি”,
২.“অপরাজিত”,
৩.“কাজল”
- তবে "কাজল" উপন্যাসটি লিখেছিলেন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৪. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন
১. "ধাত্রী দেবতা",
২. "গণদেবতা",
৩. "পঞ্চগ্রাম"।
৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১. "পুতুলনাচের ইতিকথা" ,
২. "সহরবাসের ইতিকথা" ,
৩. "ইতিকথার পরের কথা" ।
৬. আশাপূর্ণা দেবী লিখেছেন "সত্যবতী" ট্রিলজি
১. "প্রথম প্রতিশ্রুতি",
২. "সুবর্ণলতা",
৩. "বকুলকথা"।
৭. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত টাইম ট্রিলজি
১. “সেই সময়”,
২. “প্রথম আলো”,
৩. “পূর্ব-পশ্চিম”
৮. সমরেশ মজুমদারের
১. "উত্তরাধিকার",
২. "কালবেলা",
৩. "কালপুরুষ"
৯. বিমল মিত্র লিখেছেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি
১. "কড়ি দিয়ে কিনলাম",
২. "সাহেব বিবি গোলাম",
৩. "একক দশক শতক"
১০. বিমল করের ত্রয়ী একত্রে "দেওয়াল" উপন্যাস নামে পরিচিত
১. "ছোট ঘর" ,
২. "ছোট মন" ,
৩. "খোলা জানলা" ।
১১. শংকর এর একটি বিখ্যাত ট্রিলজি
১. "জন অরন্য",
২. "সীমাবদ্ধ",
৩. "আশা আকাঙ্ক্ষা"
১. "ঘরের মধ্যে ঘর",
২. "চৌরঙ্গী",
৩. "কত অজানারে" - শংকরের আরো একটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
১. "স্থানিয় সংবাদ",
২. "সুবর্ন সুযোগ",
৩. "বোধদয়"- শংকর এর আরেকটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
১২. গজেন্দ্রকুমার মিত্রের
১. "কলকাতার কাছেই",
২. "উপকন্ঠে",
৩. "পৌষ ফাগুনের পালা"
- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি ও সম্পদ
বি_সি_এস_বাংলা_সাহিত্য
#সাহিত্যিকদের_ছদ্মনাম_উপাধি
1. অনন্ত বড়ু ----- বড়ু চন্ডিদাস(ছদ্মনাম)
2. অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত ----- নীহারিকা দেবী(ছদ্মনাম)
3. আব্দুল কাদির -------ছান্দসিক কবি ( উপাধি )
4. আলাওল--------- মহাকবি (উপাধি )
5. আব্দুল করিম------- সাহিত্য বিশারদ (উপাধি)
6. ঈশ্বর গুপ্ত------- যুগসন্ধিক্ষণের কবি (উপাধি )
7. ঈশ্বরচন্দ্র--------- বিদ্যাসাগর (উপাধি )
8. কাজেম আল কোরায়েশী ------কায়কোবাদ (উপাধি )
9. কাজী নজরুল ইসলাম -------বিদ্রোহী কবি (উপাধি )
10. কালি প্রসন্ন সিংহ ----- হুতোম পেঁচা (ছদ্মনাম)
11. গোবিন্দ্র দাস------- স্বভাব কবি (উপাধি )
12. গোলাম মোস্তফা------- কাব্য সুধাকর (উপাধি )
13. চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ----- জরাসন্ধ (ছদ্মনাম)
14. জসীম উদ্দিন------ পল্লী কবি (উপাধি )
15. জীবনানন্দ দাশ------ রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, ধুসর পান্ডুলিপির কবি (উপাধি )
16 . ডঃ মনিরুজ্জামান ----- হায়াৎ মামুদ (ছদ্মনাম)
17. ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ----- ভাষা বিজ্ঞানী (উপাধি )
18. নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ----- সুনন্দ. (ছদ্মনাম)
19. নজিবর রহমান -------সাহিত্যরত্ন (উপাধি )
20. নীহাররঞ্জন গুপ্ত ----- বানভট্ট (ছদ্মনাম)
21. নূরন্নেসা খাতুন------- সাহিত্য স্বরসতী, বিদ্যাবিনোদিনী (উপাধি ).
22. প্যারীচাঁদ মিত্র ----- টেকচাঁদ ঠাকুর. (ছদ্মনাম)
23. ফররুখ আহমদ-------- মুসলিম রেনেসাঁর কবি
24. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ----- বনফুল (ছদ্মনাম)
25. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় --------সাহিত্য সম্রাট
26. বাহরাম খান------ দৌলত উজীর
27. বিমল ঘোষ ----- মৌমাছি. (ছদ্মনাম)
28. বিহারীলাল চক্রবর্তী ------- ভোরের পাখি.
29. বিদ্যাপতি--------- পদাবলীর কবি
30. বিষ্ণু দে--------- মার্কসবাদী কবি
31. প্রমথ চৌধুরী ----- বীরবল (ছদ্মনাম)
32. ভারতচন্দ্র------ রায় গুনাকর
33. মধুসূদন দত্ত------ মাইকেল
34. মালাধর বসু ------- গুণরাজ খান
35. মুকুন্দরাম ---------- কবিকঙ্কন
36. মুকুন্দ দাস-------- চারণ কবি
37. মীর মশাররফ হোসেন ----- গাজী মিয়া
(ছদ্মনাম)
38. মধুসূদন মজুমদার ----- দৃষ্টিহীন
39. মোহিত লাল মজুমদার ----- সত্য সুন্দর দাস
40. মোজাম্মেল হক------ শান্তিপুরের কবি
41. যতীন্দ্রনাথ বাগচী ------দুঃখবাদের কবি
42. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর------ বিশ্বকবি, নাইট (উপাধি)-------ভানুসিংহ (ছদ্মনাম)
43. রাজশেখর বসু ----- পরশুরাম (ছদ্মনাম)
44. রামনারায়ণ ------- তর্করত্ন
45. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ------ অপরাজেয় কথাশিল্পী
46. শেখ ফজলুল করিম ------ সাহিত্য বিশারদ, রত্নকর
47. শেখ আজিজুর রহমান ----- শওকত ওসমান. (ছদ্মনাম)
48. শ্রীকর নন্দী ---------কবিন্দ্র পরমেশ্বর
49. সমর সেন --------- নাগরিক কবি
50. সমরেশ বসু ----- কালকূট
51. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত্--------- ছন্দের যাদুকর
52. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ----- নীল লোহিত
53. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ---------ক্লাসিক কবি
54. সুকান্ত ভট্টাচার্য-------- কিশোর কবি
55. সুভাষ মুখোপাধ্যায় ------পদাতিকের কবি
56. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন -------সিরাজী স্বপ্নাতুর কবি
57. হেমচন্দ্র------ বাংলার মিল্টন
কে কাকে কী উপাধি দিলো??
💮এখানে কবি থেকে রাজনীতির কবিদের উপাধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
🌫🌫🌫🌫🌫🌫🌫
১) প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ বিশ্বকবি ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পন্ডিত রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব
উপাধ্যায়।
২) প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে “ বঙ্গবন্ধু ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ তোফায়েল আহমেদ।
৩) প্রশ্নঃ বিহারীলাল চক্রবর্তীকে “ ভোরের
পাখি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) প্রশ্নঃ রাম মোহন রায় কে “ রাজা ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় আকবর (মোঘল বাদশা)
৫) প্রশ্নঃ চিত্তরঞ্জন দাশ কে “ দেশবন্ধু”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার জনসাধারণ।
💮💮💮
৬) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কে “ কবিকঙ্কন” উপাধি
দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ জমিদার রঘুনাথ রায়।
৭) প্রশ্নঃ ভারত চন্দ্র কে “ রায়গুনাকর ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
৮) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য বিশারদ ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ চট্টল ধর্মমন্ডলী (১৯০৯)
৯) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য সাগর ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নদীয়ার সাহিত্য সভা (১৯২০)
১০) প্রশ্নঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে “ মহর্ষি”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রাহ্ম সমাজ।
💮💮💮
১১) প্রশ্নঃ দীনেশ চন্দ্র সেন কে “ রায়
বাহাদুর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ ভারত সরকার।
১২) প্রশ্নঃ গোলাম মোস্তফা কে “ কাব্য
সুধাকর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ যশোর সাহিত্য পরিষদ।
১৩) প্রশ্নঃ মালাধর বসুকে “ গুনরাজ খান ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ্।
১৪) প্রশ্নঃ সুফিয়া কামাল কে “ জননী
সাহসিকা ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার মানুষ
১৫) প্রশ্নঃ ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত কে “ খাঁটি
বাঙ্গালী” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
💮💮💮
১৬) প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কে
“ বিদ্রোহী ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পরিচিতজনরা। (উৎসঃ বাংলা ভাষা ও
সাহিত্য জিজ্ঞাসা)
১৭) প্রশ্নঃ গোবিন্দ দাস কে “ দ্বিতীয়
বিদ্যাপতি ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদকর্তা বল্লভ দাস ।
১৮) প্রশ্নঃ ঈশ্বরচন্দ্র কে “ বিদ্যাসাগর”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ সংস্কৃত কলেজ।
১৮) প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কে “ নির্জনতার
কবি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।
১৯) প্রশ্নঃ ফয়জুন্নেসা কে ” নওয়াব ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার।
২০) প্রশ্নঃ প্যারীচাঁদ মিত্র কে “ ডিফেন্স অব
বেঙ্গল” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পাদ্রি লঙ।কে কাকে কী উপাধি দিলো??
💮এখানে কবি থেকে রাজনীতির কবিদের উপাধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
🌫🌫🌫🌫🌫🌫🌫
১) প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ বিশ্বকবি ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পন্ডিত রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব
উপাধ্যায়।
২) প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে “ বঙ্গবন্ধু ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ তোফায়েল আহমেদ।
৩) প্রশ্নঃ বিহারীলাল চক্রবর্তীকে “ ভোরের
পাখি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) প্রশ্নঃ রাম মোহন রায় কে “ রাজা ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় আকবর (মোঘল বাদশা)
৫) প্রশ্নঃ চিত্তরঞ্জন দাশ কে “ দেশবন্ধু”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার জনসাধারণ।
💮💮💮
৬) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কে “ কবিকঙ্কন” উপাধি
দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ জমিদার রঘুনাথ রায়।
৭) প্রশ্নঃ ভারত চন্দ্র কে “ রায়গুনাকর ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
৮) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য বিশারদ ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ চট্টল ধর্মমন্ডলী (১৯০৯)
৯) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য সাগর ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নদীয়ার সাহিত্য সভা (১৯২০)
১০) প্রশ্নঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে “ মহর্ষি”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রাহ্ম সমাজ।
💮💮💮
১১) প্রশ্নঃ দীনেশ চন্দ্র সেন কে “ রায়
বাহাদুর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ ভারত সরকার।
১২) প্রশ্নঃ গোলাম মোস্তফা কে “ কাব্য
সুধাকর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ যশোর সাহিত্য পরিষদ।
১৩) প্রশ্নঃ মালাধর বসুকে “ গুনরাজ খান ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ্।
১৪) প্রশ্নঃ সুফিয়া কামাল কে “ জননী
সাহসিকা ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার মানুষ
১৫) প্রশ্নঃ ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত কে “ খাঁটি
বাঙ্গালী” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
💮💮💮
১৬) প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কে
“ বিদ্রোহী ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পরিচিতজনরা। (উৎসঃ বাংলা ভাষা ও
সাহিত্য জিজ্ঞাসা)
১৭) প্রশ্নঃ গোবিন্দ দাস কে “ দ্বিতীয়
বিদ্যাপতি ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদকর্তা বল্লভ দাস ।
১৮) প্রশ্নঃ ঈশ্বরচন্দ্র কে “ বিদ্যাসাগর”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ সংস্কৃত কলেজ।
১৮) প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কে “ নির্জনতার
কবি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।
১৯) প্রশ্নঃ ফয়জুন্নেসা কে ” নওয়াব ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার।
২০) প্রশ্নঃ প্যারীচাঁদ মিত্র কে “ ডিফেন্স অব
বেঙ্গল” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পাদ্রি লঙ।
আফিয়া জান্নাত আয়েশা
#উপমান VS #উপমিত কর্মধারয় সমাস
#উপমিত কর্মধারয় সমাস :
১ --- বস্তু + বস্তু অর্থাৎ বস্তুগত / দৃশ্যমান বিষয় হবে ।
২ --- যার সাথে তুলনা করা হবে সেটি মিথ্যা /
কাল্পনিক হবে । অর্থাৎ ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি
মিথ্যা বা অসমান হবে ।
উদা. মুখচন্দ্র = মুখ ( বস্তু ) + চন্দ্র ( বস্তু ) । দৃশ্যমান ।
মুখচন্দ্র = মুখ চন্দ্রের ন্যায় । এখানে মুখ চন্দ্রের
সাথে তুলনা করা হয়েছে । কিন্তু মুখ কখনো
চন্দ্রের মতো হতে পারে না । অর্থাৎ বিবৃতিটি
মিথ্যা।
উদা. পুরুষসিংহ = পুরুষ ( বস্তু ) + সিংহ ( বস্তু ) ।
দৃশ্যমান ।
পুরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায় । এখানে
পুরুষকে সিংহের সাথে তুলনা করা হয়েছে ।কিন্তু
পুরুষ সিংহের মতো হতে পারে না।এটি অসমান
বিবৃতি।পুরুষ একশ্রেণির আর সিংহ অন্য শ্রেণির।
.
.
#উপমান কর্মধারয় সমাস :
১ --- বস্তুগত/ দৃশ্যমান বিষয় + বস্তুগত / দৃশ্যমান /
অবস্তুগত / অদৃশ্যমান বিষয় হবে ।
২ --- ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি সত্য বা সমান হবে ।
৩ --- দুটি শব্দের অর্থ প্রায় এক হবে ।
উদা. তুষারশুভ্র = তুষার ( বস্তু ) + শুভ্র ( বস্তু )।
দৃশ্যমান ।
তুষারশুভ্র = তুষারের ন্যায় শুভ্র ।এখানে বিবৃতিটি
সত্য কারণ তুষার যেমন সাদা ঠিক তেমনি শুভ্রের
রংও সাদা। আর শব্দ দুটির অর্থও এক ।
উদা. কাজলকালো = কাজল ( বস্তু ) + কালো ( বস্তু ) ।
দৃশ্যমান ।
কাজলকালো = কাজলের ন্যায় কালো । এখানে
বিবৃতিটি সত্য কারণ কাজলের রং কালো । আর
শব্দ দুটির অর্থও এক অর্থাৎ কালো ।
# শর্টকার্ট :
# বিশেষ্য + বিশেষ্য = উপমিত কর্মধারয় সমাস ।
# বিশেষ্য + বিশেষণ = উপমান কর্মধারয় সমাস ।
বিশেষ্য ( noun)+ বিশেষণ(adjective) =উপমান; যেমন তুষারের ন্যায় শুভ্র= তুষার শুভ্র, এখানে তুষার ( noun) +শুভ্র(adjective) =উপমান।
আবার বিশেষ্য(noun) +বিশেষ্য (noun)=উপমিত; যেমন: চন্দ্রের ন্যায় মুখ = চন্দ্রমুখ, এখানে চন্দ্র( noun)+ মুখ( noun)= উপ
বাংলা সাহিত্যের জীবনী
“লাল নীল দীপাবলি” থেকে প্রশ্ন🙂🙂🙂
...........…………
১ ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এর রচয়িতা কে?
=প্যারীচাদ মিত্র।
২ ‘কথোপকথন’ এর রচয়িতা কে?
=উইলিয়াম কেরি।
৩ ‘গাজিকালু ও চম্পাবতী’ কোন ধরনের সাহিত্য?
=পুঁথি সাহিত্য।
৪ ‘পুরষ্কার’ কার কবিতা? =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫ ‘বাঙলা’/’বঙ্গ’/’বাঙ্গালা’ নামগুলো উৎপত্তির কাহিনী বয়ান করেছেন কে?
=সম্রাট আকবরের সভারত্ন আবুল ফজল
৬ ‘ভারততীর্থ’ কার লেখা কবিতা?
=রবিঠাকুর
৭ “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” এটি কার রচনা?
=ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর
৮ “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” দেবী অন্নদার কাছে এটি কার প্রার্থনা?
=ঈশ্বরী পাটনি
৯ “মন্ত্রের সাধন কিংবা শ্রীর পাতন” / “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়” কার রচিত? =ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০ “যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী… ন জানি” কোন কাব্যের অন্তর্গত?
=নূরনামা
১১ ১৮০০ শতকের আগে কবিতা গাওয়া হতো। কবিতা পড়ার বস্তু হয়ে দাঁড়ালো কোন কবির হাত ধরে?
=মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১২ আদি যুগে লোকজীবনের কথা বিধৃত সর্বপ্রথম সাহিত্যক নিদর্শন কোনটি?
= ডাক খনার বচন।
১৩ আধুনিক বাংলা গীতি কবিতার সূত্রপাত?
=টপ্পাগান।
১৪ আধুনিক বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল থেকে শুরু হয়েছে ?
= ১৮০১ সাল থেকে। (প্রস্তুতিপর্বঃ ১৮০০-১৮৬০, বিকাশপর্বঃ ১৮৬০-১৯০০,
রবীন্দ্রপর্বঃ ১৯০০-১৯৩০, রবীন্দ্রোত্তরঃ ১৯৩০-১৯৪৭ ও বাংলাদেশঃ ১৯৪৭-)
১৫ আধুনিক যুগ কোন সময় পর্যন্তু বিস্তৃত?
=১৮০১ সাল থেকে বর্তমান।
১৬ আধুনিক যুগের কোন প্রতিভাধর কবির হাত ধরে সনেট, মহাকাব্য, ট্রাজেডি এসেছে? =মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১৭ আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ প্রতিভু কে?
= বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৮ আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় অবদান কোনটি?
= গদ্য
১৯ আধুনিকের পন্ডিতগণের মতে, নেপালে প্রাপ্ত চর্যাপদের পুঁথির নাম কি ?
=চর্যাগীতি কোষ।
২০ আব্দুল হাকিমের আটটি কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলোর নাম লিখুন।
=ইউসুফ-জোলেখা, নূরনামা, কারবালা, শহরনামা
২১ আরাকান রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
= আলাওল
২২ আরাকান রাজ্যের সভাকবি কারা?
=আলাওল, মাগন ঠাকুর, কাজি দৌলত
২৩ আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষার নাম কি?
= বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষা।
২৪ আলাওল কোন দশকের কবি?
= সপ্তদশ
২৫ আলাওল কোন যুগের কবি? =মধ্য যুগের।
২৬ আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?
=পদ্মাবতী
২৭ উনিশ শতকের নাট্য সাহিত্য ধারার অন্যতম রূপকার? =মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
২৮ উনিশ শতকের সবচেয়ে খ্যাতনামা বাউল শিল্পী কে?
= লালন শাহ।
২৯ এক অক্ষর কবিতাও না লিখে বাংলাসাহিত্যের ইতিহাস দখল করে আছেন কে?
= শ্রী চৈতন্যদেব
৩০ কত সময় ধরে মঙ্গলকাব্য রচিত হয়?
= প্রায় পাঁচশো বছর
৩১ কত সালে ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ?
=১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
৩২ কত সালে ভারতবর্ষ তিন খন্ড হয়?
=১৯৪৭
৩৩ কত সালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য উদ্ধার করা হয়?
=১৯০৯
৩৪ কবিকঙ্কন কার উপাধি ছিল? তিনি কোথাকার কবি ছিলেন? =মকুন্দরাম চক্রবর্তী, সিলিম্বাজ শহরের গোপীনাথ তালকের দামুন্যা গ্রামে
৩৫ কবীন্দ্রবচন সমুচ্চয় ও সদুক্তি কর্ণামৃত কাব্য কোন যুগে রচিত?
= সেনযুগে।
৩৬ কাঙ্গাল হরিনাথ কখন আবির্ভূত হন?
= উনিশ শতকের শেষার্ধে।
৩৭ কারা ফারসি ভাষায় ইউসুফ জোলেখা রচনা করেন?
= ফেরদৌসি ও জামী
৩৮ কাশীরাম কোন সময়ের মধ্যে মহাভারত রচনা করেন? =১৬০২-১৬১০ এর মধ্যে
৩৯ কীর্তিলতা পুরুষ পরীক্ষা বিভাগসার প্রভৃতি সাহিত্যকর্মের রচয়িতা কে?
=মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
৪০ কৃত্তিবাসের জন্মস্থান কোথায়?
= নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে
৪১ কোন কোন লিপির উপর বাংলা লিপির প্রভাব বিদ্যমান ? =উড়িষ্যা মৈথিলি ও আসামী লিপির উপর।
৪২ কোন গ্রন্থে প্রমাণিত হয় যে চর্যাপদ বাঙ্গালির?
=বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ(১৯২৬)
৪৩ কোন ব্যাকরণবিদের কাছে সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
=ব্যাকরণবিদ পানিনির হাতে।
৪৪ কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি?
= মাগধী প্রাকৃত।
৪৫ কোন ভাষা বৈদিক ভাষা নামে স্বীকৃত?
=আর্যগণ যে ভাষায় বেদ-সংহিতা রচনা করেছেন।
৪৬ কোন ভাষাকে প্রাকৃত ভাষা বলে?
=খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ খ্রীঃ দিকে বৈদিক ভাষা বির্বতনকালীণ সময়ে জনসাধারন যে ভাষায় নিত্য নতুন কথা বলত।
৪৭ কোন ভাষাটি মানুষের মুখে মুখে বদলে পরিণত হয়েছে বাংলা ভাষায়?
= প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
৪৮ কোন ভাষায় বৌদ্ধরা তাদের ধর্মগ্রন্থ আর অন্যান্য বই লিখতেন?
= পালি ভাষায়
৪৯ কোন যুগকে অবক্ষয়ের যুগ বলা হয় ?
= ১৭৬০-১৮৬০সাল পর্যন্ত।
৫০ কোন যুগে বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় ? =সেন যুগে।
৫১ কোন যুগে বাংলা লিপির গঠনকার্য স্থায়ীরূপ লাভ করে? =প্রাচীন যুগে।
৫২ কোন লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব ঘটেছে?
= ব্রাহ্মী লিপি।
৫৩ কোন শতকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল? =ষষ্ঠ- সপ্তদশ
৫৪ কোন শতকে বাংলাসাহিত্যের জন্ম?
=দশম শতকের মাঝামাঝি
৫৫ কোন শতকে মুসলমানরা বাংলায় আসে?
=তের শতক(১২০০-১২০৭)
৫৬ কোরআন শরীফ প্রথম বাংলায় অনুবাদ কে করেন?
= ভাই গিরিশচন্দ্র সেন।
৫৭ কোরেশী মাগন ঠাকুর কাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন?
=আলাওল
৫৮ কোরেশী মাগন ঠাকুরের রচনা কোনটি?
=চন্দ্রাবতী
৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে কোন শাসকের শাসনমালা ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ন পাওয়া যায়? =সম্রাট অশোক।
৬০ গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতার নাম কি ?
=জয়দেব।
৬১ গীতি কাব্যের রচয়িতা কে? =গোবিন্দ্রচন্দ্র দাস।
৬২ গৌড়ের প্রতিদ্বন্দী ছিল কোন জনপদ?
= বঙ্গ
৬৩ চন্ডীদাস কোন যুগের কবি ? =মধ্যযুগের।
৬৪ চন্ডীদাস সমস্যা কি?
= বাংলা সাহিত্য একাধিক পদকর্তা নিজেকে চন্ডীদাস পরিচয় দিয়ে যে স মস্যা সৃষ্টি করেছেন তাই চন্ডীদাস সমস্যা ।
৬৫ চন্ডীমঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন?”
= মাণিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজ রামদেব, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর।
৬৬.চন্ডীমঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
=ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর, মকুন্দরাম চক্রব্রর্তী
৬৭. চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি ছিল?
=৫১ টি।
৬৮. চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
=১৯১৬ সালে।
৬৯ চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে, কে করেন, কোথা থেকে? =১৯০৭, পন্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৭০ চর্যাপদ কিসের সংকলন? =কবিতা বা গানের সংকলন
৭১ চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
=নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
৭২ চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ? =মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
৭৩ চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়?
= বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
৭৪ চর্যাপদ কোন যুগের নিদর্শন? =আদি/ প্রাচীন যুগ।
৭৫ চর্যাপদ কোন সময়ে রচিত হয় ?
=সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
৭৬ চর্যাপদ যে বাঙ্গালির একথা প্রমাণ করে ছাড়েন কে?
=ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৭৭ চর্যাপদ রচনা করেন কারা ? =বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
৭৮ চর্যাপদের ঢং এ আধুনিক কোন কবি কবিতা রচনা করেছেন?
=রবি ঠাকুর
৭৯ চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ কে আবিস্কার করেন?
=ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
৮০ চর্যাপদের পদগুলো কোন কোন ভাষায় রচিত বলে দাবি করা হয়?
=বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া ভাষায়।
৮১ চর্যাপদের পুঁথি নেপালে যাবার কারন কি?
= তুর্কী আক্রমনকারীদের ভয়ে পন্ডিতগণ তাদের পুুথি নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়ে শরনার্থী হয়েছিলেন।
৮২ চর্যাপদের পুঁথিকে কোথা কে এবং কখন আবিস্কার করেন? =মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭।
৮৩ চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?
= চর্যাপদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব এবং তৎকালীন সমাজ ও জীবনের পরিচয়।
৮৪ চর্যাপদের ভাষা কে কি নাম দেওয়া হয়েছে?
= সান্ধ্য/আলো আঁধারির ভাষা
৮৫ চর্যাপদের ভাষাকে কে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন?
=অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
৮৬ চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের নমুনা পরিলক্ষিত হয়? =পশ্চিম বাংলার প্রাচীনতম কথ্য ভাষার।
৮৭ চর্যাপদের মোট কতটি পদ উদ্ধার করা হয়েছিলো?
=সাড়ে ছেচল্লিশটি
৮৮ চর্যাপদের মোট কবি কতজন?
=২৪ জন
৮৯ চর্যাপদের রচনা কাল কত?
= সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
৯০ চর্যাপদের রচনাকাল?
= ৯৫০-১২০০
৯১ চর্যাপদের সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটি কে লিখেছেন? =শবরীপা
৯২ চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িরা কাহ্নপার অন্যনাম কি? =কৃষ্ণাচার্য
৯৩ চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত =অন্য বইদুটির নাম কি? দোহাকোষ ও ডাকার্ণব
৯৪ চর্যার প্রাপ্ত কোন পদটির শেষাংশে পাওয়া যায় নি ?
= ২৩ সংখ্যক পদ।
৯৫ চর্যার প্রাপ্ত কোন সংখ্যক পদটি টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা হয় নি ?
= ১১ সংখ্যক পদ।
৯৬ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে কোন কোন সংখ্যক পদে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি ?
=২৪, ২৫, ৪৮ সংখ্যক পদ।
৯৭ চাঁদসওদাগর কতদিন ঘরহারা ছিলেন?
=১২ বছর
৯৮ চৈতন্য পরবর্তী যুগ বা মধ্যযুগের শেষ কবি কে? =ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
৯৯ চৈতন্যচরিতামৃত কার লেখা? =কৃষ্ণদাস কবিরাজ
১০০ চৈতন্যদেবের আসল নাম ও ডাক নাম কি ছিল?
=বিশ্বম্ভর, নিমাই
১০১ চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, মৃত্যুস্থান লিখুন।
=নবদ্বীপ, পুরী
১০২ চৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন। =১৪৮৬-১৫৩৩(repeated)
১০৩ চৈতন্যদেবের জীবনী হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা কোনটি, কে রচনা করেন? =চৈতন্যচরিতামৃত
১০৪ ছোটগল্পের আরম্ভে ও উপসংহারে কোন গুনটি প্রধান? =নাটকীয়তা ।
১০৫ জার্মান ভাষায় বাইবেল অনুবাদ রচনা করেছিলেন কে? =মার্টিন লুথার
১০৬ টপ্পা গানের জনক কে? =নিধুবাবু (রামনিধি গুপ্ত)।
১০৭ টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম কি ? =আশ্চর্য চর্যাচয়।
১০৮ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে খ্রীষ্টপূর্ব কত পর্যন্ত বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল?
=পাঁচ হাজার বছর।
১০৯ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীন যুগের পরিধি কত পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
= ৬৫০-১২০০ সাল পর্যন্তু।
১১০ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?
=গৌড় অপভ্রংশ থেকে।
১১১ ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয় কবে চর্যাপদে ভাষা বাংলা বলে প্রমান করেন?
= ১৯২৬ সালে।
১১২ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
= নীল দর্পন।
১১৩ তিনি কার রাজত্বকালে কাব্যরচনা করেন, কোন কাব্য? =সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ, ইউসুফ-জোলেখা
১১৪ দশম শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য কোনরূপে ছিল?
= পদ্যরূপে
১১৫ দেবতাদের কাছে মঙ্গল কামনা করা হয় কোন কাব্যে? =মঙ্গলকাব্য
১১৬ দেবী অন্নদা কার খেয়ানৌকায় নদী পার হয়? =ঈশ্বরী পাটনি
১১৭ ধনপতি লহনা কিসের কাহিনী?
= চন্ডীমঙ্গল
১১৮ ধর্ম মঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন? =ময়ুরভট্ট, মানিকরাম, রূপরাম, সীতারাম, ঘনরাম,
১১৯ নসিহতনামা কার রচনা? =আফজল আলী
১২০ নৃ্তাত্ত্বিকদের মতে বাঙালি পূর্বপুরুষ কারা?
=সিংহলের ভেড্ডারা
১২১ নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলির কি নাম দেযা হয়েছে ? =চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
১২২ পরাগল খান কাকে দিয়ে আংশিকভাবে মহাভারত রচনা করান?
= কবীন্দ্র পরমেশ্বর
১২৩ পরাগল খানের ছেলের নাম কি?
= ছুটি খান
১২৪ পাঠান শাসনামলে কোন নামে বাংলার সব জনপদ এক হয়?
=বঙ্গ
১২৫ পানিণি কোন ভাষার ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন? =সংস্কৃত ভাষা।
১২৬ পানিনি রচিত গ্রন্থের নাম কি?
=ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
১২৭ পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবি কে?
=ফকির গরিবুল্লাহ।
১২৮ প্রাকৃত ভাষা বিবর্তিত হয়ে শেষ যে স্তরে উপনীত হয় তার নাম কি?
= অপভ্রংশ।
১২৯ প্রাচীন বাংলা ভাষার কয়টি স্তর ও কী কী?
=তিনটি, প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষা, মধ্য যুগের বাংলা ভাষা, আধুনিক যুগের বাংলা ভাষা
১৩০ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার স্তর কয়টি?
= তিনটি।
১৩১ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা পরিবর্তিত হয়ে কোন রূপটি নেয়?
= পালি
১৩২ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় রূপ
নেয়। এই ক্রমবিকাশের ধারায় পর্যায়ক্রমে আর কোন দুটি ভাষা ছিল? =পালি,
প্রাকৃত
১৩৩ প্রাচীন হিন্দি ভাষার মহাকবি কে? তার কাব্যের নাম কি?
= মালিক মুহম্মদ জায়সি
১৩৪ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?
=উইলিয়াম কেরি
১৩৫ বঙ্গ+আল= বাঙ্গাল, এই ‘আল’ অংশটুকু কোন প্রসঙ্গে এসেছে?
=জমির আল, সীমানা, বাঁধ
১৩৬ বড়– চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
= বসন্তরঞ্জন রায়, ১৯০৯।
১৩৭ বাংলা অক্ষর বা বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার লাভ করে ?
=খ্রিঃ দশম ও একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
১৩৮ বাংলা উপন্যাস সাহিত্য ধারার জনক?
= বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩৯ বাংলা গদ্য সাহিত্য কখন শুরু হয়?
=আধুনিক যুগে।
১৪০ বাংলা গদ্যর উৎপত্তি কখন?
=আঠার শতকে।
১৪১ বাংলা গদ্যের আবির্ভাব কোন শতকে/সালে ঘটে?
= ১৮০০ সালের পর থেকে
১৪২ বাংলা গদ্যের জনক কে? =ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
১৪৩ বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে-? =সাময়ীক পত্র।
১৪৪ বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী লিপি থেকে আর কোন লিপির উদ্ভদ ঘটেছে ?
= সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি, তিব্বতী ইত্যাদি।
১৪৫ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যর প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
= কাব্য।
১৪৬ বাংলা ভাষা কোন আদি বা মূল ভাষা গোষ্ঠীর অর্ন্তগত? =ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী।
১৪৭ বাংলা ভাষা কোন গোষ্ঠীর বংশধর?
=ইন্দ-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর।
১৪৮ বাংলা ভাষা/সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্য, আধুনিক যুগের ব্যাপ্তিকাল লিখুন।
=৯৫০-১২০০; ১৩৫০-১৮০০;১৮০০-বর্তমান
১৪৯ বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক নাটক কোনটি ? =কুলীনকুল সর্বস্ব।
১৫০ বাংলা ভাষায় মহাভারত কে অনুবাদ করেন?
=কাশীরাম দাস।
১৫১ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক ও নাট্যকার কে? =ভদ্রার্জুন- তারাচরণ সিকদার।
১৫২ বাংলা ভাষায় রামায়ন কে অনুবাদ করেন?
=কৃত্তিবাস।
১৫৩ বাংলা ভাষার আদি কবি ? =কানা হরিদত্ত।
১৫৪ বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি? =শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
১৫৫ বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
=সপ্তম শতাব্দী।
১৫৬ বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?
=খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে।
১৫৭ বাংলা ভাষার মূল উৎস কোন ভাষা?
=বৈদিক ভাষা।
১৫৮ বাংলা ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কোন ভাষার? =মুন্ডা ভাষার।
১৫৯ বাংলা লিপি ও বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে কোন লিপি থেকে? =কুটিল লিপি।
১৬০ বাংলা সনেটের জনক কে?
=মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৬১ বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতির প্রবর্তক কে?
= প্রমথ চৌধুরী।
১৬২ বাংলা সাহিত্য ছোটগল্পের প্রকৃত জনক?
=রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৬৩ বাংলা সাহিত্যর আধুনিক যুগের সময়কাল কয়পর্বে বিভক্ত ও কি কি?
=চারটি পর্বে বিভক্ত। যেমন- ১. প্রস্তুতি পর্ব (১৮০১-১৮০৫)খ্রিঃ, ২. বিকাশ
পর্ব (১৮৫১-১৯০০) খ্রিঃ, ৩.রবীন্দ্র পর্ব (১৯০১-১৯৪০) খ্রিঃ ও
৪.অতি-আধুনিক যুগ (১৯০১ বর্তমান কালসীমা)।
১৬৪ বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কোনটি ? =কৃষ্ণকুমারী।
১৬৫ বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
=মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
১৬৬ বাংলা সাহিত্যে গীতিকাব্য ধারার প্রথম কবি?
= বিহারীলাল চক্রবর্তী।
১৬৭ বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য ধারার অন্যতম মহাকবি? =মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
১৬৮ বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত চন্ডীদাস কয়জন?
=তিনজন। বড়ু চন্ডিদাস, দীন চন্ডিদাস এবং দ্বীজ চন্ডিদাস।
১৬৯ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রধানত কয়টি যুগে ভাগ করা? =তিনটি। (প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও অধুনিক যুগ)
১৭০ বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
= প্যারীচাঁদ মিত্র’র আলালের ঘরের দুলাল
১৭১ বাংলা সাহিত্যের প্রথম ট্রাজেডির নাম কি?
=কৃষ্ণকুমারী
১৭২ বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কি?
=চর্যাপদ।
১৭৩ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কি?
= মেঘনাদবধ কাব্য
১৭৪ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মূদ্রিত গ্রন্থ কোনটি?
=‘কথোপকথন’।
১৭৫ বাংলা সাহিত্যের ফসলশূন্য সময় কোনটি? =১২০০-১৩৫০, অন্ধকারযুগ
১৭৬ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন কি? =শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
১৭৭ বাংলাদেশের লোক সাহিত্যের বিখ্যাত গবেষক কে? =আশরাফ সিদ্দিকী।
১৭৮ বাংলাভাষায় একটি কবিতাও না লিখে বাংলা ভাষার কবি হয়ে আছেন কে?
= বিদ্যাপতি
১৭৯ বাংলাভাষায় প্রথম মুসলমান কবি কে ছিলেন?
= শাহ মুহম্মদ সগীর
১৮০ বাংলাভাষার প্রথম মহাকবি কে?
=বড়ু চন্ডীদাস
১৮১ বাংলার প্রথম মুদ্রন প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
=শ্রীরামপুর মিশন।
১৮২ বাংলাসাহিত্য কত বছর ধরে রচিত হচ্ছে?
=হাজার বছরের ও বেশি সময়
১৮৩ বাংলাসাহিত্যের জন্মলগ্নে কোন ভাষা টি সমাজের উঁচু শ্রেণীর ভাষা ছিল?
=সংস্কৃত
১৮৪ বাংলাসাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/ গ্রন্থ কোনটি?
= চর্যাপদ
১৮৫ বাংলাসাহিত্যের মধ্যযুগে কোন সমস্যাটি বিদ্যমান? =চন্ডীদাস
১৮৬ বাঙালি রক্তধারায় কোন কোন জাতির রক্ত মিশে আছে? =ভেড্ডা, মঙ্গোলীয়, ইন্দো-আর্য, শক
১৮৭ বিদ্যাপতি কোন রাজ্যের সভাকবি ছিলেন?
=রাজা শিবসিংহের রাজধানী মিথিলা
১৮৮ বিদ্যাপতির কি কি উপাধি ছিল?
=কবিকণ্ঠহার, মৈথিলি কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবি শেখর
১৮৯ বিষাদসিন্ধু কোন যুগের গ্রন্থ?
= আধুনিক যুগের।
১৯০ বেহুলার বাড়ি কই ছিল? =উজানিনগর
১৯১ বৈদিক ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পর্যন্ত বিবর্তনের প্রধান তিনটি ধারা কি কি?
= প্রাচীন ভারতীয় আর্য, মধ্য ভারতীয় আর্য ও নব্য ভারতীয় আর্য।
১৯২ বৈষ্ণব কবিতার চার মহাকবির নাম লিখুন।
= বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস
১৯৩ বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কে?
=বড়ু চন্ডিদাস।
১৯৪ বৈষ্ণবদের মতে রস কত প্রকার, কি কি?
=পাঁচ। শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর
১৯৫ ব্রজবুলি কোন স্থানের উপভাষা ?
= মিথিলার উপভাষা ।
১৯৬ ব্রজবুলি ভাষা কোন জাতীয় ভাষা?
= মৈথলী এবং বাংলা ভাষার মিশ্রনে যে ভাষার সৃষ্টি হয়।
১৯৭ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের রচনা কোনটি? =ভা্নুসিংহের পদাবলী
১৯৮ ব্রজবুলি ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিকের/শ্রেষ্ঠ কবি নাম কি? =বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
১৯৯ ব্রজবুলী ভাষার উদ্ভব কখন হয়?
=কবি বিদ্যাপতি যখন মৈথিল ভাষায় রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
২০০ ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি?
=খরোষ্ঠী লিপি।
২০১ ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের ধারায় কোন বর্নমালা থেকে বাংলা বর্নমালার উৎপত্তি ?
= পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা কুটিল থেকে।
২০২ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? =বর্ধমানের(বর্তমানের হাওড়া) পেঁড়োবসন্তপুর বা পান্ডুয়া গ্রামে, ( আনু্মানিক ১৭১২ )
২০৩ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন রাজসভার কবি ছিলেন? =নবদ্বীপ
২০৪ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের কয়টি ভাগ ও কি কি?
”৩টি, অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, ভবানন্দ-মান্সিং কাহিনী
২০৫ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের বিখ্যাত কাব্য কোনটি যা দুশো বছর ধরে আলোড়ন জাগিয়ে যাচ্ছে?
= বিদ্যাসুন্দর
২০৬ ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি দেন কে? =নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
২০৭ ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন রূপ কোথায় পাওয়া যায়? =প্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলোতে।
২০৮ ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম রূপ কয়টি ও কি কি? =দুইটি ক. খরোষ্ঠী, খ. বাহ্মী।
২০৯ ভারতের মৌলিক লিপি কোন লিপিকে বলা বলে?
=ব্রাহ্মী লিপি।
২১০ ভাষা কী মেনে চলে? =নিয়ম কানুন
২১১ মঙ্গলকাব্যকে অপাঠ্য বলেছেন আধুনিক কোন কবি? =সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
২১২ মঙ্গলকাব্যর ধারার অন্যতম কবি?
= মুকুন্দরাম
২১৩ মধ্য যুগের বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
=১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্তু।
২১৪ মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য নিদর্শন কি?
=পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল।
২১৫ মধ্যযুগের অবসান ঘটে কখন?
= ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর সঙ্গে।
২১৬ মধ্যযুগের একজন দেশপ্রেমিক কবি কে?
= দৌলত কাজী
২১৭ মধ্যযুগের কবিতায় কি প্রকাশ পেত?
=ধর্ম
২১৮ মধ্যযুগের কোন ভাষায় রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করেছেন?
= ব্রজবুলি
২১৯ মধ্যযুগের প্রধান কাব্যধারার নাম?
= মঙ্গলকাব্য
২২০ মধ্যযুগের বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী প্রতিবাদী পুরুষ কে?
=চাঁদসওদাগর
২২১ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে? =মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
২২২ মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ফসল? =বৈষ্ণব পদাবলি
২২৩ মধ্যযুুগের বাংলা সাহিত্যর প্রধান দুটি ধারা কি ?
= ১। কাহিনীমূলক ও ২। গীতিমূলক।
২২৪ মনসা মঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
=বিজয়গুপ্ত, বংশীদাস
২২৫ মনসামঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।
=হরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস,
২২৬ মহাভারত ও রামায়ণ কে লিখেন?
=বাল্মীকি, বেদব্যাস
২২৭ মহাভারত ও রামায়ণ বাংলায় কারা অনুবাদ করেন? =কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস
২২৮ মহাভারতের আদি রচয়িতা কে?
= বেদব্যাস।
২২৯ মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন দুটি কি?
= একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
২৩০ মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল কোনটি অনুবাদ করেন?
=পদ্মাবতী
২৩১ মালাধরবসুর রচনা কোনটি?
= শ্রীকৃষ্ণবিজয়
২৩২ মিথিলার রাজা বিদ্যাপতিকে কোন উপাধি দেন? =কবিকণ্ঠহার
২৩৩ মীর মোশাররফ সাহিত্য ক্ষেত্রে আবির্ভূত হন?
=উনিশ শতকের শেষার্ধে।
২৩৪ মুরারি শীল, ভাড়ুদত্ত, কলিঙ্গের রাজা কিসের চরিত্র? =চন্ডীমঙ্গল
২৩৫ মুসলমানরা কাকে পরাজিত করে বাংলায় আসে? =লক্ষ্মণ সেন
২৩৬ যুগ সন্ধিক্ষনের কবি কে ? =ঈশ্বরচন্দ্র দত্ত।
২৩৭ রবীন্দ্রনাথ যদি মধ্যযুগে জন্মাতেন তাহলে তিনি কি হয়ে জন্মগ্রহন করতেন?
=বৈষ্ণব কবি
২৩৮ রসুলবিজয় ও বিদ্যাসুন্দর কার রচনা?
=সাবিরিদ খান
২৩৯ রাজা লক্ষন সেনের রাজসভার পঞ্চরত কে কে ছিলেন?
=উমাপতিধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য ও জয়দেব।
২৪০ রাধা ও কৃষ্ণ কিসের প্রতীক?
= মানবাত্মা, পরমাত্মা
২৪১ রামরাম বসু কে ছিলেন? =উইলিয়াম কেরির সহযোগী
২৪২ রামায়নের আদি রচয়িতা কে?
=কবি বাল্মীকি।
২৪৩ রূপকথা কে সংগ্রহ করেছিলেন?
= দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
২৪৪ রোমান্টিক প্রণয় উপখ্যান ধারার অন্যতম গ্রন্থ?
=ইউসূফ- জুলেখা(শাহ মুহাম্মদ সগীর)
২৪৫ লক্ষ্মণ সেন কোন অঞ্চের রাজা ছিলেন?
=নবদ্বীপ
২৪৬ লখিন্দর কার পুত্র , কার স্বামী ছিলেন?
=চাঁদসওদাগর – সনকা, বেহুলা
২৪৭ লাইলি মজনু বাংলা অনুবাদ করেন কে?
=বাহরাম খান
২৪৮ শশাঙ্ক ও পাল রাজারা নিজেদের কি বলে পরিচয় দিতেন?
= গৌড়াধিপতি
২৪৯ শ্রী চৈতন্যর নামানুসারে মধ্যযুগের বিভাজন কিরূপ? =চৈতন্য পূর্ববর্তী
যুগ (১২০১-১৫০০ খ্রিঃ), চৈতন্য যুগ (১৫০১-১৬০০) ও চৈতন্য পরবর্তী যুগ
(১৬০১-১৮০০)
২৫০ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
=পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া জেলার কাকিলা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন।
২৫১ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোন যুগের নিদর্শন?
=চৈতন্যপূর্ব যুগ।
২৫২ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কার রচনা?
= বড়ু চন্ডীদাস
২৫৩ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
=বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
২৫৪ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়? =বাঁকুড়ার এক গোয়ালঘর থেকে
২৫৫ শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের অপর নাম কি?
=ভগবত
২৫৬ শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন?
”বৈষ্ণব ধর্ম
২৫৭ শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।
=১৪৮৬-১৫৩৩
২৫৮ ষোড়শ শতকে্র মধুমালতী কার লেখা?
= মহম্মদ কবির
২৫৯ সংস্কৃত ভাষা কত অব্দে চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়? =খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ দিকে।
২৬০ সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘পুরুষপরীক্ষা’ কার রচনা?
= বিদ্যাপতি
২৬১ সংস্কৃত ভাষার অপর নাম কী?
=প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
২৬২ সনকা কার পূজা করত? =দেবীচন্ডী
২৬৩ সনকা কার স্ত্রী? =চাঁদসওদাগর
২৬৪ সনেটের জনক কে? =ইটালীর পেত্রার্ক
২৬৫ সন্ধ্যার কুহেলিকা কার পঙতিতে পঙতিতে ছড়ানো? =চর্যাপদ
২৬৬ সবচেয়ে বেশী পদ কে রচনা করেছেন ?
=কাহ্নপা-১৩ টি।
২৬৭ সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি পাওয়া গিয়েছে?
=সাড়ে ছেচল্লিশটি।
২৬৮ সীতাচরিত কার লেখা? =লোকনাথ দাস
২৬৯ সুনিতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভর কোন অপভ্রংশ থেকে কোন সময় কালে?
=পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগবী অপভ্রংশ এবং খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
২৭০ সেকান্দর নামা ও হপ্তপয়করের মূল লেখক কে? =কবি নিজামী
২৭১ সৈয়দ সুলতানের রচনাগুলি লিখুন।
= নবীবংশ, শবেমিরাজ, রসুল বিজয়, ওফাতে রসুল, জয়কুম রাজার লড়াই, ইবলিশনামা, জ্ঞানচৌতিশা, জ্ঞানপ্রদীপ
২৭২ স্বর্গের ধোপানীর নাম কি? =নেতা
২৭৩ স্বর্ণগোধিকা কি?
= গুইসাপ
২৭৪ স্বর্ণগোধিকার বেশে কে মর্ত্যে আসে?
= দেবীচন্ডী
২৭৫ হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা বাংলা ও ইংরেজী কত সালে প্রকাশিত হয়?
=১৩২৩, ১৯১৬
২৭৬ হানিফা ও কয়রা পরী কার রচনা?
= সাবিরিদ খান
চর্যাপদ-বিসিএস প্রিলি ও লিখিত
বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি চর্যাপদে প্রবাদ বাক্য রয়েছে ৬ টি।এগুলো হল- →আপণা মাংসে হরিণা বৈরী →দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায় → হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন → হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী → বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ → আন চাহন্তে আন বিনধা
অর্থ – 1. হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু। 2. দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়? 3. হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পন প্রয়োজন হয় না। 4. হাড়িতে ভাত নেই তবু প্রতিদিন অতিথি আসে। 5. দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। 6. অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।
চর্যাপদ হতে ২০ টি গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন ___________________________________
১. চর্যাপদের মূল পান্ডুলিপিটি কোথায়? উত্তরঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পান্ডুলিপিটি নেপালের রাজদরবারে ফেরত দেন যথাসময়ে। ১৯৬৫ সালে নীলরতন সেন ঐ পান্ডুলিপি থেকে গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। গত শতকের ছয় দশকের মাঝামাঝি রাজদরবারের গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে সেটি জাদুঘরে পরিণত হয়। এই বইগুলো নেপালের জাতীয় আর্কাইভসে নেয়া হলেও চর্যাপদের মূল এবং সম্পূর্ণ খন্ডটি অার অক্ষত নেই। হয়তো হারিয়ে গেছে।
২. চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ? উত্তরঃ চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা অাজ বলা সম্ভপর নয়। তবে অাধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।
৩. চর্যাপদে প্রাপ্ত বিচিত্র রকম মানুষের পরিচয় দাও।
২) প্রশ্ন: চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দিন । উত্তরঃ দরিদ্র জনগোষ্ঠীগুলো হল মাঝি (কামলি), বেশ্যা (দারী) , শিকারী (অহেরী), নেয়ে (নোবাহী) । এছাড়াও ডোমিনীর নগরে তাঁত ও চেঙারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের কথা উল্লেখ রয়েছে । এছাড়াও চর্যাপদে কাপালিক( কাপালি), যোগী (জোই) , পণ্ডিত আচার্য(পণ্ডিতচার্য) , শিষ্য (সীস) ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর জীবযাপন চিত্রিত হয়েছে।
৪. চর্যাপদের পদকর্তাদের সম্পর্কে ধারণা দাও।
চর্যাপদের মোট কবি ২৩ জন। এ নিয়েও বিতর্ক আছে; যেমন অনেকেই বলেন দারিক পা আর দাড়িম্ব পা আলাদা ব্যক্তি,কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হল, এই দুইজন একই ব্যক্তি। এভাবে একেকজনের গণনায় কবির সংখ্যা একেকরকম; তবে গ্রহণযোগ্য মত ২৩ জন।
চর্যাপদের প্রাচীনতম কবি সরহ পা । অনেকে দাবি করেন, লুই পা সবচেয়ে পুরোনো; তাদের এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ, চর্যার প্রথম পদটি তার রচিত, এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আদিকবি’ও বলা হয়। কিন্তু পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে,চর্যাপদের কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি সরহ পা-ই। আর সবচেয়ে বেশি পদ লিখেছেন কাহ্নু পা, ১৩টি। সরহ পা লিখেছেন ৪টি পদ। ভুসুক পা লিখেছেন ৮টি, কুক্কুরী পা ৩টি,লুই পা, শান্তি পা আর সবর পা ২টি করে। বাকি সবাই ১টি করে পদ লিখেছেন।
৫. চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দাও।
৬. চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন? উত্তরঃ ১৮৮২ সালে প্রকাশিত Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন | রাজেন্দ্রলাল মিত্রের বই হতেই প্রভাবিত হয়েই মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, “চর্যাচর্যবিনিশ্চয়” নামে কিছু পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন |পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয় ড. মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকাশনায় |এটিই পরে চর্যাপদ নামে পরিচিতি পায় |
৭. প্রশ্নঃ চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য আলোচনা করুন।
উত্তরঃ চর্যাপদ প্রধানত তত্ত্ববাদের বাহন, গৌণত কবিতা । চর্যাকারেরা দার্শনিক পরিভাষা ও তন্ত্রের বিশেষ শব্দের সাহায্যে তত্ত্বদর্শনকে প্রকাশ করতে গিয়ে নানা চিত্রকল্প,উপমা, রূপকের প্রয়োগ করেছেন । সাহিত্যিক এসব উপাদান ব্যবহারের ফলে চর্যাপদ ক্রমেই সাহিত্যের পরিসীমায় এসেছে । কাব্যগুণ সমৃদ্ধ সুন্দর চিত্রের বর্ণনা চর্যাপদের অনেক স্থানে লক্ষ্য করা যায় । প্রকৃতি ও মানুষের কাব্যময় চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে চর্যাপদে । চর্যাপদের ছন্দে সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । চর্যাপদে প্রচুর অনুপ্রাসের ব্যবহার করা হয়েছে । তাই আমরা বলতে পারি, তত্ত্বদর্শন প্রকাশে চর্যাপদের যেমন অন্যান্য মূল্যবান গ্রন্থ । তেমনি সাহিত্যের বিবিধ বিষয় নির্মাণে চর্যাপদ ভূয়সী প্রশংসার দাবীদার । চর্যাপদের সাহিত্য মূল্য ও অবদান অবিস্মরণীয় ।
৮.প্রশ্নঃ চর্যাপদের ১ম পদের ২ লাইন লিখুন ।
উত্তর:কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল ।
৯.প্রশ্নঃ চর্যাপদের ভাষা কি?
উত্তরঃ চর্যাপদের ভাষা মূলত প্রাচীন বাংলা ভাষা । তবে এতে অপভ্রংশ তথা মৈথিলী, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষার প্রভাবও দেখেতে পাওয়া যায়। অনেকেই এর ভাষাকে সান্ধ্যভাষা বলে অবিহিত করেন। চর্যাপদের প্রবাদ পুরুষ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে . আলো আঁধারী ভাষা, কখনো বোঝা যায় কখনো যায় না । তবে চর্যা পদের ভাষা যে প্রাচীন বাংলা ভাষা তা গবেষণার দ্বারা প্রমাণ করেছে প্রমাণ করেছে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপ্যাধায়। ভাষার বৈশিষ্ট্য ১. ভাব কোথাও স্পষ্ট কোথায় অস্পষ্ট ২. পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
১০. প্রশ্নঃ চর্যাগীতির ভাষা বিতর্ক লিখুন ।
উত্তরঃ চর্যাপদের সংগ্রহ প্রকাশিত হওয়ার পর এর ভাষা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন ভাষাবাষীরা তাদের নিজ ভাষার প্রাচীনতম নমুনা হিসেবে দাবি করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর সম্পাদিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকায় চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাগীতিকে বাংলার প্রাচীন নমুনা হিসেবে অস্বীকার করেছিলেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে‒ তাঁরThe Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে,এইগুলিকেই প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্যারিস থেকে প্রকাশিত হয় Les Chants Mystique de Saraha et de Kanha গ্রন্থে সুনীতিকুমারের মত গ্রহণ করেন। রাহুল সাংকৃত্যায়ন বা অন্যান্য ভাষার বিদ্বজ্জনেরা যাঁরা চর্যাকে নিজ নিজ ভাষার প্রাচীন নিদর্শন বলে দাবি করেছিলেন, তাঁরা এই রকম সুস্পষ্ট ও সুসংহত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের দ্বারা নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন নি।
১১. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে লিখুন ।
উত্তরঃ চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা বিধৃত হয়েছে | বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতির নিগূঢ় রহস্য চর্যাপদে রূপায়ণ করেছেন | বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান শাখা কালক্রমে যে উপশাখায় বিভক্ত হয়েছিল তারই বজ্রযানের সাধন প্রণালী ও তত্ত্ব চর্যাপদে বিধৃত| মহাসুখরূপ নির্বাণ লাভ- এই হল চর্যার প্রধান তত্ত্ব | চর্যার ধর্মমত বিশেষ দীক্ষিত জনের প্রতি উদ্দীষ্ট বলে তাকে বিশুদ্ধ লোকধর্মের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মনে করা হয় না |
১২.প্রশ্ন:চর্যাপদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ। এটি মুলত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত গান/কবিতা/পুঁথির সংকলন। চর্যাপদের সমসাময়িককালে বাংলাদেশে যে সব সংস্কৃত-প্রাকৃত-অপভ্রংশ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ উপকরণ নয়। চর্যার এই পদগুলো সম্পর্কে ১৯০৭ সালের আগে কোন তথ্যই জানা ছিল না। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ করে যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছিলেন তাতে উদ্দীপ্ত হয়ে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে নেপালের রয়েল লাইব্রেরি তথা রাজ গ্রন্থাগার থেকে ১৯০৭ সালে সে সাহিত্যের কতগুলো পদ আবিস্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এগুলোর নাম দেন চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই পদগুলোই পরবর্তীকালে
চর্যাপদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
১৩.প্রশ্নঃ কবে, কোথায়, কীভাবে এবং কার সম্পাদনায় চর্যাপদ প্রকাশিত হয়? এর সাথে আর কোন কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ ড. মহামুহপাধ্যায় হর প্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যায় প্রাপ্ত পদগুলো ১৯১৬ সালে, বাংলা ১৩২৩ সনে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দুটি দোহাকোঁষ এবং ডাকার্ণব- এ চারটি পুঁথি একত্রে “হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা; অন্য তিনটি বাংলায় নয়-অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
১৪. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ভাষা যে বাংলা তা সর্বপ্রথম কে প্রমাণ করেন।
উত্তরঃ চর্যাপদের আবিস্কারের সময় অনেক ভাষার পন্ডিতেরাই একে তাদের ভাষা বলে দাবি করেছিলেন বটে, কিন্তু ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে “Origin and Development of Bengali Language” গ্রন্থে এগুলোর ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন এবং প্রমান করতে সক্ষম হন যে,চর্যাপদ আর কারো নয়; সদ্য নির্মীয়মান বাংলা ভাষার নিদর্শন।
১৫.প্রশ্নঃ চর্যায় প্রাপ্ত পুঁথিতে কতটি গান ছিল? উত্তরঃ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট ৫১ টি গান ছিল। তার মধ্যে ১ টি (১১ সংখ্যক) পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যাত হয় নি। আবার পুঁথির কয়েকটি পাতা নষ্ট হওয়ায় তিনটি সম্পুর্ণ (২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক) পদ পাওয়া যায়নি। আবার একটি (২৩ সংখ্যক)পদের শেষাংশ পাওয়া যায়নি। তাই পুঁথিতে সর্বসমেত সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।
১৬.প্রশ্নঃ চর্যাপদের নাম সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তরঃ চর্যাপদের নাম সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে । চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে উল্লেখকৃত সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে এই পদ সংগ্রহের নাম”আশ্চর্য চর্যাচয়”।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিগুলোর নাম দেয়া হয়েছে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই দুটি নাম মিলিয়ে ড.প্রবোধচন্দ্র বাগচী “চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়” নামের পরিকল্পনা করেন।
সে আমলে শত শত চর্যাগীতি রচিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। মুনিদত্তের মত অনেকেই বিভিন্ন চর্যাগীতির টীকা রচনা করেছিলেন।
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেছিলেন”চর্যাগীতিকোষবৃত্তি” নামে। এতে মনে হয় মূল সংকলনের নাম ছিল”চর্যাগীতিকোষ”এবং এর সংস্কৃত টীকার নাম”চর্যাচর্যবিনিশ্চয়”।
তবে,এর সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য নাম হলো চর্যাপদ।
১৭. প্রশ্নঃ চর্যাপদ গুলো কারা রচনা করেন ? সহজিয়া বলতে কি বোঝায়? উত্তরঃ • চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। • সহজিয়াগণ বৌদ্ধ সহজযান পন্থি। তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন পরিবর্তনের ধারায় সহজিয়াদের উৎপত্তি। স্বদেহ কেন্দ্রীক সহজ পন্থায় সাধনা করত বলে এদের সহজিয়া বলা হয়। সহজিয়াগণ তাত্বিক চিন্তা ধারার দ্বারা প্রভাবিত বলেই ধর্মসাধনায় দেহকে বাদ দেন নি। তাদের মতে, সমস্ত সত্য দেহের মধ্যে অবস্থিত, সেই সত্যই সহজ’।
বৌদ্ধদের মতে, বৈষ্ণব সহজিয়া সম্প্রদায় | সহজিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাউলদের চিন্তার সাদ্শ্য রঢেছে।
১৮.প্রশ্নঃ ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাসের দিক থেকে চর্যাপদের গুরত্ব আলোচনা কর ?
১৯.প্রশ্নঃ চর্যপদে নারীদের স্থান ও ভূমিকা সম্পর্কে লিখুন । উত্তরঃ চর্যাপদের যুগের যুগে নারীরা খুবই স্বাধীন ছিল। তারা স্বেচ্ছায় পেশা ও সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার রাখত। • কুক্কুরীপা তাঁর একটি পদে (২ নং) বলেছেন- ” দিবসহি বহুড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই । (অর্থাৎ দিনের বেলা বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় কিন্তু রাত হলেই কামরূপ যায়। ) • কাহ্নপা একটি পদে (১০ নং) পদে জানিয়েছেন, এক ডোমিনী নগরে তাঁত ও চেঙ্গারি বিক্রি করে।
• ডোম্বী পাদের একটি পদে নারীদের নৌকা চালনা, নৌকার জলসিঞ্চন, লোক পারাপার ইত্যাদির মত কর্মে নিযুক্ত থাকার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাছাড়া নারীরা গুরুর স্থানও অধিকার করেছিল।
২০. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ৬টি প্রবাদ বাক্য লিখুন।
উত্তরঃ চর্যাপদের ৬ টি প্রবাদ বাক্য নিম্নরূপঃ
• আপণা মাংসে হরিণা বৈরী (অাপনা মাঁসে হরিণা বৈরী) • দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায় (দুহিল দুধু নাহি বেন্টে সামায়) • হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন (হাতের কঙ্কণ মা লোউ দাপন) • হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী • বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ • আন চাহন্তে আন বিনধা
## বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > সমাচার দর্পণ (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র > দিকদর্শন (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র > সংবাদ প্রভাকর (প্রকাশকাল ১৮৩১)
## বাংলাদেশ ভূখন্ড প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > রংপুর বার্তাবহ (প্রকাশকাল ১৮৪৭)
## বাঙালী পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র > বাঙ্গাল গেজেট (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র > সমাচার সভারাজেন্দ্র (প্রকাশকাল ১৮৩১)
## ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > ঢাকা প্রকাশ (প্রকাশকাল ১৮৬১)
## বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বাইরে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র > দেশবার্তা (লন্ডন থেকে প্রকাশিত)
## বাংলাদেশের নারীদের প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা > বেগম
## বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ইংরেজী দৈনিক > Bangladesh Observer
রশ্নঃ চর্যাপদের প্রবাদ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ৬টি। যথা
> আপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী (৬নং পদ-ভুসুকুপা)। অর্থ -হরিণের মাংসই তার
জন্য শত্রু। মানে হরিণের মাংস দেখলেই শিকারি তাকে ধাওয়া করে। তাই এর মাংসের
জন্য সে শিকারের স্বীকার হয়।
> হাতের কাঙ্কন মা লোউ দাপন (৩২নং পদ-সরহপা)। অর্থ হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পন প্রয়োজন হয় না।
> হাড়ির ভাত নাহি নিতি আবেশী (৩৩ নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে।
> দুহিলা দুধ কি বেন্টে সামায় (৩৩নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়?
> বর সুন গোহালী কিমু দুঠ্য বলন্দেঁ (৩৯নং পদ সরহপা)। অর্থ দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এই প্রবাদ টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় পরীক্ষাতেই এটা আসে। বিগত বিসিএসে আসা প্রশ্ন ছিল- এ বাক্যে গোয়াল কোন কারক? - এটি অধিকরণ কারক হবে। কারণ এখানে স্থান বোঝাচ্ছে।
> আন চাহন্তে আন বিনধা (৪৪নং পদ কঙ্কণপা)। অর্থ অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।
একের অধিক পদর্কতার নাম ও পদের সংখ্যা-
ভুসুক পা (বাঙালি কবি) ৮
সরহ পা ৪
কুক্কুরী পা (মহিলা কবি) ৩
লুই পা, শবর পা, শান্তি পা ২
লাড়ীডোম্বী পা‘র নাম পাওয়া গেলেও তাঁর কোন পদ পাওয়া যায়নি। অবশিষ্ট পদকর্তারগণ ১টি করে পদ রচনা করেন।
> হাড়ির ভাত নাহি নিতি আবেশী (৩৩ নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে।
> দুহিলা দুধ কি বেন্টে সামায় (৩৩নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়?
> বর সুন গোহালী কিমু দুঠ্য বলন্দেঁ (৩৯নং পদ সরহপা)। অর্থ দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এই প্রবাদ টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় পরীক্ষাতেই এটা আসে। বিগত বিসিএসে আসা প্রশ্ন ছিল- এ বাক্যে গোয়াল কোন কারক? - এটি অধিকরণ কারক হবে। কারণ এখানে স্থান বোঝাচ্ছে।
> আন চাহন্তে আন বিনধা (৪৪নং পদ কঙ্কণপা)। অর্থ অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।
একের অধিক পদর্কতার নাম ও পদের সংখ্যা-
ভুসুক পা (বাঙালি কবি) ৮
সরহ পা ৪
কুক্কুরী পা (মহিলা কবি) ৩
লুই পা, শবর পা, শান্তি পা ২
লাড়ীডোম্বী পা‘র নাম পাওয়া গেলেও তাঁর কোন পদ পাওয়া যায়নি। অবশিষ্ট পদকর্তারগণ ১টি করে পদ রচনা করেন।
#চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজ-দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে। চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্র বাংলা নয়, কারণ চর্যার কবিগণ ছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলের (যথা বাংলা, উড়িষ্যা, আসাম, বিহার)। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমা তখন নানাদিকে প্রসারিত ছিল। সেজন্য উড়িষ্যা, আসাম এমনকি বিহারের ভাষাদর্শও চর্যাপদে লক্ষ্য করা যায়। ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলা, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষা পূর্ব ভারতের একই মূল কথ্য ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তাই বাঙালি, অসমিয়া ও উড়িষ্যাবাসী প্রত্যেকেই চর্যাপদের দাবিদার। তবে ‘বঙ্গাল দেশ’, ‘পঁউয়া খাল’ (পদ্মানদী), ‘বঙ্গালী ভইলি’ ইত্যাদির উল্লেখ থাকায় বাঙালির দাবি অগ্রগণ্যরূপে বিবেচিত হয়।
#সহজে_মনে_রাখুন_সমজাতীয়_বাগধারা:
-
♦০১। অসম্ভব জিনিস= আকাশ কুসুম,
কাঁঠালের আমস্বত্ব, কুমিরের সান্নিপাত,
ঘোড়ার ডিম, ব্যাঙের সর্দি, সোনার
পাথর বাটি।
-
♦০২। অপদার্থ= অকাল কুষ্মাণ্ড, আমড়া
কাঁঠের ঢেঁকি, ঢেঁকির কুমির,কচুবনের
কালাচাঁদ, কায়েতের ঘরের ঢেঁকি,
ঘটিরাম, ষাঁড়ের গোবর।
-
♥০৩। নির্বোধ= অসাকান্ত/অঘাচণ্ডী,
অঘারাম/অহারাম, ঢেঁকি অবতার, বুদ্ধির
ঢেঁকি।
-
♦০৪। শেষ বিদায় বা মৃত্যু= অগ্যস্ত যাত্রা,
পটল তোলা, অনন্ত শয্যা, ভবলীলা সাঙ্গ
হওয়া, পঞ্চত্ব প্রাপ্তি, অক্কা পাওয়া।
-
♦০৫। অকর্মণ্য= অপোগণ্ড, কুমড়ো কাটা
বটঠাকুর, গোবর গণেশ, ঠুটো জগন্নাথ।
-
♦০৬। হতভাগ্য= অষ্টকপাল, কাঁজি ভক্ষণ
নামে গোয়ালা, হাড় হাভাতে, কপাল
পোড়া।
-
♦০৭। ভীষণ শত্রুতা= অহি নকুল, দা কুমড়া,
আদায় কাঁচকলায়, সাপে নেউলে।
-
♦০৮। দুর্লভ বস্তু= আলেয়ার আলো,
আকাশের চাঁদ, বাঘের চোখ।
-
♦০৯। সুন্দর মিল= আম দুধে মেশা, সোনায়
সোহাগা, মাণিকজোড়, মণিকাঞ্চনযোগ।
-
♦১০। মন্দভাগ্য= ইঁদুর কপালে, আটকপালে,
খ-কপাল।
-
♦১১। অলস= গোঁফ খেজুরে, ঢিমে তেতালা,
চিনির পুতুল, ননীর পুতুল।
-
♦১২। দুর্বল= আটাশে ছেলে, উনপাঁজুরে।
-
♦১৩। বেহায়া= কানকাটা, চশমখোড়, দুকান
কাটা।
-
♦১৪। অত্যন্ত কৃপণ= কঞ্জুসের ডাণ্ডাখোর,
কিপটের জাসু, হাত ভাড়ি, হাতে জল না
লাগা।
-
♦১৫। তোষামুদে= খয়ের খাঁ, ধামাধরা,
ঢাকের কাঁঠি।
-
♦১৬। অলীক কল্পনা= দিবাস্বপ্ন, শূন্যে
সৌধ নির্মাণ করা।
-
♦১৭। অবজ্ঞা করা= নাক উচানো, নাক
সিঁটকানো।
-
♦১৮। উভয় সঙ্কট= জলে কুমির ডাঙায় বাঘ,
শাখের করাত, করাতের দাঁত, শ্যাম রাখি
না কুল রাখি, সাপের ছুচো গেলা।
-
♦১৯। সুসময়ের বন্ধু= দুধের মাছি, বসন্তের
কোকিল, শরতের শিশির, সুখের পায়রা,
লক্ষ্মীর বরযাত্রী।
-
♦২০। ভণ্ড= বক ধার্মিক, ভিজে বিড়াল,
বর্ণচোরা, বিড়াল তপস্বী, তুলসী বনের
বাঘ।
-
♦২১। অপব্যয়= ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ, ভস্মে
ঘি ঢালা, হরিলুট।
-
♦২২। লাজুক= মুখচোরা, মেনিমুখো।
-
♦২৩। একমাত্র অবলম্বন= সবে ধন নীলমণি,
অন্ধের
যষ্ঠি।
-
♦২৪। সৌভাগ্য= একাদশে বৃহস্পতি, কপাল
ফেরা।!
সমার্থক শব্দগুলো মনে রাখার সহজ নিয়ম:
-#সমুদ্র= যে শব্দগুলোর শেষে 'ধি' থাকবে সেগুলো সমুদ্রের প্রতিশব্দ
.
#মেঘ = যে শব্দগুলোর শেষে 'দ' বা 'ধর' থাকবে সেগুলো মেঘের প্রতিশব্দ।
.
যেমন- সমুদ্রের প্রতিশব্দ বারিধি, জলধি, জলনিধি, অম্বুধি, সরোধি, উদধি,
পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'ধি'
আছে।
-
আবার মেঘের প্রতিশব্দ বারিদ, জলদ, অম্বুদ, তোয়দ, জলধর,
পয়োধর, তোয়ধর, নীরদ, পয়োদ ইত্যাদি। লক্ষ্য করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'দ'
বা 'ধর' আছে।
.
"পাহাড়"/ পৃথিবী = শব্দগুলোর শেষে "ধর" থাকলে হবে "পাহাড়" এবং "ধর" না থাকলে হবে "পৃথিবী"
,,,,,,যেমন
পাহাড় >: ভূধর, মহীধর, ধরাধর, ক্ষিতিধর, পৃথ্বিধর, অবনীধর, বসুধাধর,
পৃথিবী >: ভূ, মহী, ধরা, ক্ষিতি, পৃথ্বি, অবনী, বসুধা.
//
কালেক্টেড
============================
🔲বাংলা সাহিত্যে যা কিছু প্রথম :-
১। প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ - কথোপকথন (১৮০১)
২। প্রথম উপন্যাস - আলালের ঘরের দুলাল (১৮৫৭)
৩। প্রথম সার্থক উপন্যাস - দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
৪। বাংলা ভাষায় প্রথম নাটক-ভদ্রার্জুন
৫। বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ - বেদান্ত
৬। প্রথম সামাজিক নাটক - কুলীনকুল সর্বস্ব
৭। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকী - দিকদর্শন (১৮১৮)
৮। একুশের প্রথম নাটক- কবর (১৯৫৩)
৯। প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক - স্বর্ণকুমারী দেবী
১০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্নজীবনী - আমার জীবন
১১। প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান গদ্য লেখক - মীর মশাররফ হোসেন
১২। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান নাট্যকার - মীর মশাররফ হোসেন
১৩। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন - চর্যাপদ
১৪। বাংলা সাহিত্যের আদি কবি- লুইপা
১৫।একুশের প্রথম কবিতা - কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।
১৬। প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহারকারী - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
১৭। প্রথম গীতিকাব্য - সন্দর্শন।
১৮। একুশের প্রথম উপন্যাস - আরেক ফাল্গুন (১৯৬৮)
১৯। প্রথম রোমান্টিক কাব্য- ইউসুফ-জোলেখা
২০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাটক- শর্মিষ্ঠা
২১। প্রথম বাংলা অক্ষর খোদাইকারী- পঞ্চানন কর্মাকার
২২। বাংলা ভাষায় প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা- সমাচার দর্পণ(১৮১৮)
২৩। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র - সংবাদ প্রভাকর
২৪। বাংলাদেশের নারীদের প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা- বেগম
২৫। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা প্রথম উপন্যাস - রাইফেল রোটি আওরাত
২৬। প্রথম গীতিকবি - বিহারীলাল চক্রবর্তী।
২৭। প্রথম বাংলা ঔপন্যাসিক - প্যারীচাঁদ মিত্র
২৮। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি - শাহ মুহম্মদ সগীর।
২৯। বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কবি - শাহ মুহম্মদ সগীর।
৩০। বাংলা ভাষার প্রথম গদ্য লেখক - পর্তুগিজ পাদ্রি মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
৩১। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ - রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র
৩২। প্রথম বাঙালি কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ - গৌড়ীয় ব্যাকরণ
৩৩। বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি ও প্রথম আধুনিক কবি- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৩৪। বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য- বীরাঙ্গনা।
৩৫। প্রথম সার্থক মহাকাব্য - মেঘনাদবধ কাব্য
৩৬। বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - তিলোত্তমাসম্ভব
৩৭। প্রথম কমেডি নাটক - পদ্মাবতী
৩৮। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতা - বঙ্গভাষা
৩৯। বাঙালি মুসলমান রচিত প্রথম উপন্যাস - রত্নবতী
৪০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমন কাহিনী - পালামৌ
দ্রুত লিখতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হতে পারে। বাজে কমেন্ট না করে সুন্দরভাবে ভুল ধরিয়ে দিন। তাছাড়া কোন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মতভেদ থাকলে কমেন্টে জানান।
#বাংলা সাহিত্যের কিছু তথ্যঃ
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
উত্তর: 'প্যারীচাঁদ মিত্রের' আলালের ঘরের দুলাল (১৮৫৮)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক কে?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪)।
১৮৬৫ সালে প্রকাশিত 'দুর্গেশনন্দিনী ' বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক কে?
উত্তর : স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মুসলমান ঔপন্যাসিককে?
উত্তর: মীর মশরারফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোট গল্পকার কে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে মুক্তক ছন্দের প্রবর্তক কে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে গীতি কবিতার প্রথম সার্থক প্রবর্তককে?
উত্তর: বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-৯৪)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক রচয়িতা কে?
উত্তর: তারাচরণ শিকদার
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটকে রচয়িতা কে?উত্তর: রামনারায়ণ তর্করত্ন
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-৭৩)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডির রচয়িতা কে?উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রথম সনেটরচয়িতা কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন কি?
উত্তর: চর্যাপদ
প্রশ্ন: চর্যাপদ আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
প্রশ্ন: বাংলায় ব্রহ্ম সাহিত্যের প্রথম রচয়িতা কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের আদিমতম গবেষক কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
প্রশ্ন: বাংলা কাব্যে প্রথম সমকালের সঞ্চারক কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা মুসলিম কবি কে?
উত্তর: মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা
প্রশ্ন: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থকোনটি?
উত্তর: রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮২৭-৮৬) রচিত'পদ্মিনী উপখ্যান' (১৮৫৮)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-৭৩) 'মেঘনাদবধকাব্য' (১৮৬১)।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম যতি চিহ্ন ব্যবহারকারী কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম চলিতরীতি ব্যবহারকারী কে?
উত্তর: প্রমথ চৌধুরী
প্রশ্ন: সম্পূর্ন বাংলা অক্ষরেরনকশা প্রস্তুতকারী কে?
উত্তর: চালর্স উইলকিনস
প্রশ্ন: প্রথম বাংলা অক্ষর খোদাইকারী কে?
উত্তর: পঞ্চানন কর্মকার
প্রশ্ন: প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখক কে?
উত্তর: শামসুদ্দিন মুহম্মদ সিদ্দিকী
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিমকবি কে?
উত্তর: শাহ মুহম্মদ সগীর।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিমমহিলা কবি কে?
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা।
প্রশ্ন: প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখিকা কে?
উত্তর: বিবি তাহেরন নেছা।
প্রশ্ন: বাংলা দৈনিকের প্রথমমহিলা সাংবাদিক কে?
উত্তর: লায়লা সামাদ।
===================
"লাল নীল দীপাবলি” থেকে ১৪২ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
১। বাংলাসাহিত্য কত বছর ধরে রচিত হচ্ছে?
-হাজার বছরের ও বেশি সময়।
২।বাংলাসাহিত্যের প্রথম বইটির নাম কী?
-চর্যাপদ।
৩।কোন শতকে বাংলাসাহিত্যের জন্ম?
-দশম শতকের মাঝামাঝি।
৪।বাংলা সাহিত্যের জন্মলগ্নে কোন ভাষা টি সমাজের উঁচু শ্রেণীর ভাষা ছিল?
-সংস্কৃত।
৫।বাংলাসাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/ গ্রন্থ কোনটি?
– চর্যাপদ।
৬।চর্যাপদের রচনাকাল- ৯৫০-১২০০
৭।বাংলা গদ্যের আবির্ভাব কোন শতকে/সালে ঘটে?
-১৮০০ সালের পর থেকে
৮।দশম শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য কোনরূপে ছিল?
-পদ্যরূপে
৯। নৃ্তাত্ত্বিকদের মতে বাঙালি পূর্বপুরুষ কারা?
-সিংহলের ভেড্ডারা
১০।‘ভারততীর্থ’ কার লেখা কবিতা?
-রবিঠাকুর
১১।বাঙালি রক্তধারায় কোন কোন জাতির রক্ত মিশে আছে?
-ভেড্ডা, মঙ্গোলীয়, ইন্দো-আর্য, শক
১২।মধ্যযুগের একজন দেশপ্রেমিক কবি কে?
-দৌলত কাজী
১৩। কোন ভাষাটি মানুষের মুখে মুখে বদলে পরিণত হয়েছে বাংলা ভাষায়?
– প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
১৪। সংস্কৃত ভাষার অপর নাম কী?
– প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
১৫। শব্দগুলোর পরিবর্তিত রূপ লিখুনঃ
ক) হাতচ) চাঁদ
১৬। ভাষা কী মেনে চলে?
-নিয়ম কানুন
১৭। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা পরিবর্তিত হয়ে কোন রূপটি নেয়?
-পালি
১৮। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় রূপ নেয়। এই ক্রমবিকাশের ধারায় পর্যায়ক্রমে আর কোন দুটি ভাষা ছিল?
-পালি, প্রাকৃত
১৯। কোন ভাষায় বৌদ্ধরা তাদের ধর্মগ্রন্থ আর অন্যান্য বই লিখতেন?
-পালি ভাষায়
২০। সন্ধ্যার কুহেলিকা কার পঙতিতে পঙতিতে ছড়ানো?
-চর্যাপদ
২১।চর্যাপদের ভাষা কে কি নাম দেওয়া হয়েছে?
-সান্ধ্য/আলো আঁধারির ভাষা
২২।প্রাচীন বাংলা ভাষার কয়টি স্তর ও কী কী?
-তিনটি, প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষা, মধ্য যুগের বাংলা ভাষা, আধুনিক যুগের বাংলা ভাষা
২৩।বাংলা ভাষা/সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্য, আধুনিক যুগের ব্যাপ্তিকাল লিখুন।
-৯৫০-১২০০; ১৩৫০-১৮০০;১৮০০-বর্তমান
২৪।‘বাঙলা’/’বঙ্গ’/’বাঙ্গালা’ নামগুলো উৎপত্তির কাহিনী বয়ান করেছেন কে?
-সম্রাট আকবরের সভারত্ন আবুল ফজল
২৫। বঙ্গ+আল= বাঙ্গাল, এই ‘আল’ অংশটুকু কোন প্রসঙ্গে এসেছে?
-জমির আল, সীমানা, বাঁধ
২৬। কোন শতকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল?
-ষষ্ঠ- সপ্তদশ
২৭। শশাঙ্ক কোন জনপদের রাজা ছিলেন?
-গৌড়
২৮। শশাঙ্কের আমলে পশ্চিম বাংলা প্রথমবারের মত ঐক্যবদ্ধ হয়। তখন কোন তিনটি জনপদ এক হয়ে একটি বিশাল জনপদে পরিণত হয়?
-পুন্ড্র, গৌড়, রাঢ়
২৯। শশাঙ্ক ও পাল রাজারা নিজেদের কি বলে পরিচয় দিতেন?
-গৌড়াধিপতি
৩০। গৌড়ের প্রতিদ্বন্দী ছিল কোন জনপদ?
-বঙ্গ
৩১।পাঠান শাসনামলে কোন নামে বাংলার সব জনপদ এক হয়?
-বঙ্গ
৩২।কত সালে ভারতবর্ষ তিন খন্ড হয়?
-১৯৪৭
৩৩।বাংলা সাহিত্যের ফসলশূন্য সময় কোনটি?
-১২০০-১৩৫০, অন্ধকারযুগ
৩৪। মধ্যযুগের প্রধান কাব্যধারার নাম- মঙ্গলকাব্য
৩৫। মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ফসল- বৈষ্ণব পদাবলি
৩৬। আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় অবদান কোনটি?
-গদ্য
৩৭।ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?
-উইলিয়াম কেরি
৩৮। রামরাম বসু কে ছিলেন?
– উইলিয়াম কেরির সহযোগী
৩৯। বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
-প্যারীচাঁদ মিত্র’র আলালের ঘরের দুলাল
৪০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কি?
-মেঘনাদবধ কাব্য
৪১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ট্রাজেডির নাম কি?
-কৃষ্ণকুমারী
৪২। মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন দুটি কি?
-একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
৪৩। আধুনিক যুগের কোন প্রতিভাধর কবির হাত ধরে সনেট, মহাকাব্য, ট্রাজেডি এসেছে?
– মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৪৪। চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে, কে করেন, কোথা থেকে?
-১৯০৭, পন্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৪৫। চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত অন্য বইদুটির নাম কি?
-দোহাকোষ ও ডাকার্ণব
৪৬। হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা বাংলা ও ইংরেজী কত সালে প্রকাশিত হয়?
-১৯১৬,১৩২৩
৪৭। চর্যাপদ যে বাঙ্গালির একথা প্রমাণ করে ছাড়েন কে?
-ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৪৮।কোন গ্রন্থে প্রমাণিত হয় যে চর্যাপদ বাঙ্গালির?
-বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ(১৯২৬)
৪৯। চর্যাপদ কিসের সংকলন?
-কবিতা বা গানের সংকলন
৫০। চর্যাপদের মোট কতটি পদ উদ্ধার করা হয়েছিলো?
-সাড়ে ছেচল্লিশটি
৫১। চর্যাপদের মোট কবি কতজন?
-২৪ জন
৫২। চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িরা কাহ্নপার অন্যনাম কি?
-কৃষ্ণাচার্য
৫৩। চর্যাপদের ঢং এ আধুনিক কোন কবি কবিতা রচনা করেছেন?
-রবি ঠাকুর
৫৪।১৮০০ শতকের আগে কবিতা গাওয়া হতো। কবিতা পড়ার বস্তু হয়ে দাঁড়ালো কোন কবির হাত ধরে?
– মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৫৫। চর্যাপদের সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটি কে লিখেছেন?
-শবরীপা
#লাল_নীল_দীপাবলি
১।কোন শতকে মুসলমানরা বাংলায় আসে?
-তের শতক(১২০০-১২০৭)
২।মুসলমানরা কাকে পরাজিত করে বাংলায় আসে?
-লক্ষ্মণ সেন
৩।শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কার রচনা?
-বড়ু চন্ডীদাস
৪।কত সালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য উদ্ধার করা হয়?
-১৯০৯
৫। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়?
-বাঁকুড়ার এক গোয়ালঘর থেকে
৬। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
-শ্রীবসন্ত্রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
৭।বাংলাভাষার প্রথম মহাকবি কে?
-বড়ু চন্ডীদাস
৮। দেবতাদের কাছে মঙ্গল কামনা করা হয় কোন কাব্যে?
-মঙ্গলকাব্য
৯। কত সময় ধরে মঙ্গলকাব্য রচিত হয়?
-প্রায় পাঁচশো বছর
১০।মনসামঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।
-হরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস,
১১। চন্ডীমঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।
-মাণিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজ রামদেব, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
১২।ধর্ম মঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।
-ময়ুরভট্ট, মানিকরাম, রূপরাম, সীতারাম, ঘনরাম,
১৩।মঙ্গলকাব্যকে অপাঠ্য বলেছেন আধুনিক কোন কবি?
-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
১৪। চন্ডীমঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
– ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর, মকুন্দরাম চক্রব্রর্তী
১৫। মনসা মঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
-বিজয়গুপ্ত, বংশীদাস
১৬।কালকেতু-ফুল্লরা কিসের কাহিনী?
-চন্ডীমঙ্গল
১৭।ধনপতি লহনা কিসের কাহিনী?
– চন্ডীমঙ্গল
১৮। কালকেতু-ফুল্লরার স্বর্গীয় নাম কি ছিল?
-নীলাম্বর, ছায়া
১৯। স্বর্ণগোধিকা কি?
-গুইসাপ
২০। স্বর্ণগোধিকার বেশে কে মর্ত্যে আসে?
-দেবীচন্ডী
২১। মধ্যযুগের বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী প্রতিবাদী পুরুষ কে?
-চাঁদসওদাগর
২২। সনকা কার স্ত্রী?
-চাঁদসওদাগর
২৩।সনকা কার পূজা করত?
-দেবীচন্ডী
২৪।চাঁদসওদাগর কতদিন ঘরহারা ছিলেন?
-১২ বছর
২৫।লখিন্দর কার পুত্র , কার স্বামী ছিলেন?
–চাঁদসওদাগর – সনকা, বেহুলা
২৬।বেহুলার বাড়ি কই ছিল?
-উজানিনগর
২৭।স্বর্গের ধোপানীর নাম কি?
-নেতা
২৮।কবিকঙ্কন কার উপাধি ছিল? তিনি কোথাকার কবি ছিলেন?
– মকুন্দরাম চক্রবর্তী, সিলিম্বাজ শহরের গোপীনাথ তালকের দামুন্যা গ্রামে
২৯।মধ্যযুগের নির্বিকার, নিরাবেগ কবি কে ছিলেন?
– মকুন্দরাম চক্রবর্তী
৩০।মুরারি শীল, ভাড়ুদত্ত, কলিঙ্গের রাজা কিসের চরিত্র?
-চন্ডীমঙ্গল
———————————————
১. দেবী অন্নদা কার খেয়ানৌকায় নদী পার হয়?
-ঈশ্বরী পাটনি
২।“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” দেবী অন্নদার কাছে এটি কার প্রার্থনা?
– ঈশ্বরী পাটনি
৩।“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” এটি কার রচনা?
-ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর
৪।ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
-বর্ধমানের(বর্তমানের হাওড়া) পেঁড়োবসন্তপুর বা পান্ডুয়া গ্রামে, ( আনু্মানিক ১৭১২ )
৫। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন রাজসভার কবি ছিলেন?
-নবদ্বীপ
৬।ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি দেন কে?
– নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
৭। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের বিখ্যাত কাব্য কোনটি যা দুশো বছর ধরে আলোড়ন জাগিয়ে যাচ্ছে?
-বিদ্যাসউন্দর
৮। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের কয়টি ভাগ ও কি কি?
-৩টি, অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, ভবানন্দ-মান্সিং কাহিনী
৯।“মন্ত্রের সাধন কিংবা শ্রীর পাতন” / “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়” কার রচিত?
– ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০।শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।
-১৪৮৬-১৫৩৩
১১। শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন?
-বৈষ্ণব ধর্ম
১২।বৈষ্ণব কবিতার চার মহাকবির নাম লিখুন।
-বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস
১৩।মধ্যযুগের কবিতায় কি প্রকাশ পেত?
-ধর্ম
১৪।রাধা ও কৃষ্ণ কিসের প্রতীক?
-মানবাত্মা, পরমাত্মা
১৫।বৈষ্ণবদের মতে রস কত প্রকার, কি কি?
-পাঁচ। শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর
১৬।রবীন্দ্রনাথ যদি মধ্যযুগে জন্মাতেন তাহলে তিনি কি হয়ে জন্মগ্রহন করতেন?
-বৈষ্ণব কবি
১৭।মধ্যযুগের কোন ভাষায় রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করেছেন?
-ব্রজবুলি
১৮। ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের রচনা কোনটি?
-ভা্নুসিংহের পদাবলী
১৯।বিদ্যাপতি কোন রাজ্যের সভাকবি ছিলেন?
-রাজা শিবসিংহের রাজধানী মিথিলা
২০।বিদ্যাপতির কি কি উপাধি ছিল?
-কবিকণ্ঠহার, মৈথিলি কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবি শেখর
২১।বাংলাসাহিত্যের মধ্যযুগে কোন সমস্যাটি বিদ্যমান?
-চন্ডীদাস
২৩।বাংলাভাষায় একটি কবিতাও না লিখে বাংলা ভাষার কবি হয়ে আছেন কে?
-বিদ্যাপতি
২৪।এক অক্ষর কবিতাও না লিখে বাংলাসাহিত্যের ইতিহাস দখল করে আছেন কে?
-শ্রী চৈতন্যদেব
২৫।চৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।
-১৪৮৬-১৫৩৩(repeated)
২৬।চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, মৃত্যুস্থান লিখুন।
-নবদ্বীপ, পুরী
২৭।চৈতন্যদেবের আসল নাম ও ডাক নাম কি ছিল?
-বিশ্বম্ভর, নিমাই
২৮।চৈতন্যদেবের জীবনী হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা কোনটি, কে রচনা করেন?
-চৈতন্যচরিতামৃত
২৯।সীতাচরিত কার লেখা?
-লোকনাথ দাস
৩০।জার্মান ভাষায় বাইবেল অনুবাদ রচনা করেছিলেন কে?
-মার্টিন লুথার
৩১।মহাভারত ও রামায়ণ কে লিখেন?
-বাল্মীকি, বেদব্যাস
৩২। মহাভারত ও রামায়ণ বাংলায় কারা অনুবাদ করেন?
-কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস
৩৩। পরাগল খান কাকে দিয়ে আংশিকভাবে মহাভারত রচনা করান?
-কবীন্দ্র পরমেশ্বর
৩৪।পরাগল খানের ছেলের নাম কি?
-ছুটি খান
৩৫। মালাধরবসুর রচনা কোনটি?
-শ্রীকৃষ্ণবিজয়
৩৬।শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের অপর নাম কি?
-ভগবত
৩৭।‘পুরষ্কার’ কার কবিতা?
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৮।কৃত্তিবাসের জন্মস্থান কোথায়?
-নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে
৩৯।কাশীরাম কোন সময়ের মধ্যে মহাভারত রচনা করেন?
-১৬০২-১৬১০ এর মধ্যে
৪০।লক্ষ্মণ সেন কোন অঞ্চের রাজা ছিলেন?
-নবদ্বীপ
৪১। বাংলাভাষায় প্রথম মুসলমান কবি কে ছিলেন?
-শাহ মুহম্মদ সগীর
৪২।তিনি কার রাজত্বকালে কাব্যরচনা করেন, কোন কাব্য?
-সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ, ইউসুফ-জোলেখা
৪৩।হানিফা ও কয়রা পরী কার রচনা?
-সাবিরিদ খান
৪৪।কারা ফারসি ভাষায় ইউসুফ-জোলেখা রচনা করেন?
-ফেরদৌসি ও জামী
৪৫।লাইলি মজনু বাংলা অনুবাদ করেন কে?
-বাহরাম খান
৪৬।রসুলবিজয় ও বিদ্যাসুন্দর কার রচনা?
– সাবিরিদ খান
৪৭।ষোড়শ শতকে্র মধুমালতী কার লেখা?
-মহম্মদ কবির
৪৮।নসিহতনামা কার রচনা?
-আফজল আলী
৪৯।সৈয়দ সুলতানের রচনাগুলি লিখুন।
-নবীবংশ, শবেমিরাজ, রসুল বিজয়, ওফাতে রসুল, জয়কুম রাজার লড়াই, ইবলিশনামা, জ্ঞানচৌতিশা, জ্ঞানপ্রদীপ
৫০।আব্দুল হাকিমের আটটি কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলোর নাম লিখুন।
– ইউসুফ-জোলেখা, নূরনামা, কারবালা, শহরনামা
৫১।“যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী… ন জানি” কোন কাব্যের অন্তর্গত?
-নূরনামা
৫২।আরাকান রাজ্যের সভাকবি কারা?
-আলাওল, মাগন ঠাকুর, কাজি দৌলত
৫৩। আরাকান রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
– আলাওল
৫৪। কোরেশী মাগন ঠাকুর কাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন?
– আলাওল
৫৫। কোরেশী মাগন ঠাকুরের রচনা কোনটি?
-চন্দ্রাবতী
৫৬।আলাওল কোন দশকের কবি?
-সপ্তদশ
৫৭।আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?
-পদ্মাবতী
৫৮।মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল কোনটি অনুবাদ করেন?
– পদ্মাবতী
৫৯।সেকান্দর নামা ও হপ্তপয়করের মূল লেখক কে?
-কবি নিজামী
৬০।প্রাচীন হিন্দি ভাষার মহাকবি কে? তার কাব্যের নাম কি?
-মালিক মুহম্মদ জায়সি
৬১। মিথিলার রাজা বিদ্যাপতিকে কোন উপাধি দেন?
-কবিকণ্ঠহার
৬২।সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘পুরুষপরীক্ষা’ কার রচনা?
-বিদ্যাপতি
৬৩।চৈতন্যচরিতামৃত কার লেখা?
-কৃষ্ণদাস কবিরাজ
///
========================
শিবরাত্রির সলতে' বাগধারাটির অর্থ
™ একমাত্র সন্তান।
২। টেকে গোঁজা ' বলতে কী বুঝায়?
™ পকেট ভারী করা।
৩। ঢাকের কাঠি বাগধারা অর্থ-
™ মোসাহেব।
৪। ঢাকের বাঁয়া বাগধারা দিয়ে কোনটা প্রকাশ পায়?
™ যার কোন মূল্য নেই/ অকেজো সঙ্গী।
৫। ব্যাঙের অাধুলি বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অর্থের অহংকার।
৬। গোবর গণেশ দিয়ে কোন বাগধারাটি প্রকাশ পায়?
™ মূর্খ।
৭। গৌরচন্দ্রিকা বাগধারাটির অর্থ কী?
™ ভূমিকা।
৮। মাছি মারা কেরানি ' অর্থ কী?
™ বিচারবোধহীন নকলনবিশ।
৯। লেজে খেলানো ' বাগধারাটির অর্থ?
™ বশীভূত করা।
১০। ধামাধরা বলতে বুঝায়?
™ চাটুকারিতা।
১১। পায়াভারি কথাটির অর্থ কি?
™ অহংকার।
১২। অন্তর টিপুনী বলতে কি বুঝায়?
™ গোপন ব্যাথা।
১৩। বাপের ঠাকুর বাগধারাটির অর্থ হলো-
™ উচ্ছন্নে যাওয়া।
১৪। হালে পানি পাওয়া অর্থ কি?
™ বিপদমুক্ত হওয়া।
১৫। নেই অাঁকরা - এর সঠিক অর্থ কোনটি?
™ একগুঁয়ে।
১৬। অাঁতে ঘা- বাগধারাটির অর্থ কী?
™ মনে কষ্ট।
১৭। ভানুমতীর খেল' অর্থ কী?
™ ভেলকিবাজি।
১৮। কাপুড়ে বাবু' বাগধারা অর্থ?
™ বাহ্যিক সভ্য।
১৯। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির অর্থ?
™ সত্যবাদিতার ভান করা।
২০। ধর্মের ষাঁড় বাগধারাটির অর্থ?
™ যথেচ্ছাচারী।
২১। পিপুফিশু দ্বারা কী বুঝায়?
™ কুঁড়ের বাদশা।
২২। কোলাব্যাঙ বাগধারাটির অর্থ কী?
™ বাকসর্বস্ব।
২৩। শিরে সংক্রান্তি বাগধারা অর্থ কী?
™ অাসন্ন বিপদ।
২৪। ধোপদুরস্ত বাগধারাটির অর্থ?
™ পরিপাটি।
২৫। পঞ্চত্বপ্রাপ্তি অর্থ?
™ মারা যাওয়া।
২৬। মাছরাঙার কলঙ্ক' বাগধারাটির অর্থ কি?
™ অনেক অপরাধীর মধ্যে একজনকে দায়ী করা।
২৭। লক্ষীর বরযাত্রী বাগধারাটির অর্থ কি?
™ সুসময়ের বন্ধু।
২৮। কচ্ছপের কামড় বলতে কী বুঝায়?
™ নাছোড়বান্দা।
২৯। ক-অক্ষর গোমাংস অর্থ কী?
™ অশিক্ষিত ব্যক্তি।
৩০। তালপাতার সেপাই অর্থ কী?
™ অতিশয় দূর্বল।
৩১। পোড় খাওয়া অর্থ কী?
™ প্রতিকূলতা পার হয়ে অাসা।
৩২। অগস্ত্য যাত্রা বাগধারাটির অর্থ কী?
™ শেষ বিদায়/যাত্রা।
৩৩। অজগর বৃত্তি' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অালসেমী।
৩৪। অকালে বাদলা' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অপ্রত্যাশিত বাধা।
৩৫। অাষাড়ে গল্প 'বাগধারাটির অর্থ?
™ গাঁজাখুরি গল্প।
৩৬। অাট কপালে বাগধারাটির অর্থ?
™ হতভাগ্য।
৩৭। অামড়া কাঠের ঢেঁকি কে কি বলে?
™ অপদার্থ।
৩৮। কুঁড়ে স্বভাব 'বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অাঠারো মাসে বছর।
৩৯। ঊনকোটি চৌষট্টি বাগধারাটির অর্থ কী?
™ প্রায় সম্পূর্ণ।
৪০। ঊনপঞ্চাশ বায়ু' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ পাগলামি / বদমেজাজ।
৪১। ঊনপাঁজুরে বাগধারাটির অর্থ-
™ দূর্বল/ হতভাগ্য।
৪২। ইঁদুর কপালে বিপরীত বাগধারা কোনটি?
™ একাদশে বৃহস্পতি।
৪৩। ইতর বিশেষ 'অর্থ কী?
™ ভেদাভেদ /পার্থক্য।
৪৪। ইতর ' অর্থ কি?
™ বদমেজাজ।
৪৫। উলুবনে মুক্তা ছড়ানো বাগধারাটির অর্থ?
™ অপাত্রে দান।
৪৬। রাবণের চিতা অর্থ কি?
™ চির অশান্তি।
৪৭। উলুখাগড়া অর্থ কি বুঝায়?
™ গুরুত্বহীন লোক।
৪৮। গাছ পাথর 'বাগধারাটির অর্থ কি?
™ হিসাব নিকাশ।
৪৯। উড়নচণ্ডী 'বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অমিতব্যয়ী।
_____^^^____^^^____^^
১। মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাচিবার চাই।
--- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কড়ি ও কোমল)
.
২। কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারি সমান রাঙা।
--- সত্যন্দ্রনাথ দত্ত (মানুষ জাতি)
.
৩। কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়
তা বলে কুকুরকে কামড়ানো কি
মানুষের শোভা পায়
--- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (উত্তম ও অধম)
.
৪। করিতে পারি না কাজ
সদা ভয়, সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
--- কামিনী রায় (পাছে লোকে কিছু বলে)
.
৫। বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুজিতে যাই না আর।
--- জীবনানন্দ দাশ (রূপসী বাংলা)
.
৬। যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে
খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাড়পত্র)
.
৭। কান্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা
দাঁড়ি মুখে সারি গান লা শরীক আল্লাহ।
--- কাজী নজরুল ইসলাম (খেয়া পারের তরণী)
.
৮। মম এক হাতে বাঁকা বাশেঁর বাশঁরি,
আরেক হাতে রণ-তূর্য।
--- কাজী নজরুল ইসলাম (বিদ্রোহী)
.
৯। রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক
ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের বেয়ে কোথায়
চলে যাও।
--- জসীম উদদীন (রাখাল ছেলে)
.
১০। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে
হবে স্থান,জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত
ধ্বংসস্তূ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাত্রপত্র)
.
১১। "কেমনে ধরিব হিয়া?
আমার বঁধূয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙিনা দিয়া।"
---- চন্ডীদাস।
.
১২। "সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিনু
অনলে পুড়িয়া গেল।
--- জ্ঞানদাস
.
১৩। মুলুক ফতেহবাদ গৌড়তে প্রধান
তথা জালালপুর অতি পুণ্যস্থান।
--- আলাওল
.
১৪। আমি আর কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
--- গগণ হরকরা
.
১৫। আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
--- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (বড় কে)
.
১৬। কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি,বিদেশের ঠাকুর ধরিয়া।
--- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
.
১৭। পাখিসব করে রব, রাতি পোহাইল
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।
--- মদনমোহন তর্কালঙ্কার
.
১৮। ফুলের গন্ধু ঘুম আসে না একলা জেগে রই
মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি
কই?
--- যতীন্দ্রমোহন বাগচী (কাজলা দিদি)
.
১৯। মোদের গরব মোদের আশা
আ-মরি বাংলা ভাষা।
--- অতুল প্রসাদ সেন
.
২০। মহজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমণ
হয়েছিল প্রাতঃস্মরণীয়।
--- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (জীবন সঙ্গীত)
২১। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব
আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ়
অঙ্গীকার।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাড়পত্র)
.
২২। বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে
আবার এসে গাঁয়।
--- শেষ ফজলল করিম (গাঁয়ের ডাক)
.
২৩। তুলি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি
ভুলে,সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।
--- ফররুখ আহমদ (পাঞ্জেরী)
.
২৪। জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে
মরি যেন এই দেশে।
--- সুফিয়া কামাল (জন্মেছি এই দেশে)
.
২৫। কবিতায় আর কি লিখিব?
যখন বুকের রক্তে লিখেছি
একটি নাম বাংলাদেশ।
--- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শহীদ স্মরণে)
.
২৬। মাগো, ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে,
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না বল, মা।
--- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (কোন এক মাকে)
.
২৭। আমার মায়ের সোনার নোলক
হারিয়েগেল শেষে,হেথায় খুজি হেথায়
খুজি সারা বাংলাদেশে।
--- আল মাহমুদ (নোলক)
.
২৮। ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে
মানচিত্র খাব।
--- রফিক আজাদ
২৯। এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন
প্রাণ,মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।
---রবীন্দ্রনাথ চিত্তরঞ্জন দাস কে উদ্দেশ্য করে ।
৩০। গ্রহণ করেছ যত, ঋণী করেছ তত আমায়।
--- লাবণ্য (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষের
কবিতা)
=======================================
♦জেনে_রাখা_ভালো
কিছু confusing সমার্থক শব্দ:♦
.
♣১. 'খ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'আকাশ';
আর 'খগ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'পাখি'।
→
♣২. 'পবন' শব্দের অর্থ হলো 'বাতাস';
আর 'পাবন' শব্দের অর্থ হলো 'আগুন'।
→
♣৩. 'পরভৃৎ' শব্দের অর্থ হলো 'কাক';
আর 'পরভৃত' শব্দের অর্থ হলো 'কোকিল'।
→
♣৪. 'কুমুদ' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম', 'কুমুদিনী' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্মের দল';
আর 'কুমুদনাথ' শব্দের অর্থ হলো 'চন্দ্র'।
→
♣৫. 'নগ' শব্দের অর্থ হলো 'পর্বত';
আর 'নাগ' শব্দের অর্থ হলো 'সাপ'।
→
♣৬. 'পাদপ' শব্দের অর্থ 'যে পা দিয়ে পান করে', 'বৃক্ষ';
আর 'পাদ্য' শব্দের অর্থ 'পা ধোয়ার জল'।
→
♣৭. 'দ্বীপ' শব্দের অর্থ হলো 'চারদিকে জল-বেষ্টিত ভূভাগ';
'দীপ' শব্দের অর্থ হলো 'প্রদীপ'/'বাতি';
আর 'দ্বিপ' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।
→
♣৮. 'পুষ্কর' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম';
আর 'পুষ্করিণী' শব্দের অর্থ হলো 'পুকুর'।
→
♣৯. 'আপন' শব্দের অর্থ হলো 'নিজ';
আর 'আপণ' শব্দের অর্থ হলো 'দোকান'।
→
♣১০. 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';
আর 'মহীরুহ', 'ক্ষিতিরুহ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।
→
♣১১. 'জীমূত' শব্দটি দিয়ে 'মেঘ' ও 'পাহাড়' দুটোই বুঝায়।
→
♣১২. 'সরোবর' শব্দটি দিয়ে 'দীঘি' ও 'পদ্ম' দুটোই বুঝায়;
আর 'সরোদ' শব্দের অর্থ 'এক প্রকার তারের বাদ্যযন্ত্র'।
→
♣১৩. 'অটবি' শব্দটি দিয়ে 'বন' ও 'বৃক্ষ' দুটোই বুঝায়।
→
♣১৪. 'কুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বন';
'নিকুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বাগান';
আর 'কুঞ্জর' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।
→
♣১৫. 'মৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'হরিণ';
আর 'শাখামৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'বানর'।
→
♣১৬. 'পানি' শব্দের অর্থ 'জল';
আর 'পাণি' শব্দের অর্থ 'হাত'।
→
♣১৭. 'শিখণ্ডী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';
আর 'শিখরী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ', 'পাহাড়'।
'শিখী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';
আর 'শাখী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।
→
♣১৮. 'কান্তা' শব্দের অর্থ হলো 'নারী';
আর 'কান্তার' শব্দের অর্থ হলো 'বন'।
→
♣১৯. 'আষাঢ়' হলো একটি মাসের নাম;
আর 'আসার' হলো 'জলকণা'/'নিদর্শন'/'চিহ্ন'।
→
♣২০. 'ভূ', 'মেদিনী', 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';
আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'ধর' যুক্ত হয় (যেমন- ভূধর, মেদিনীধর, মহীধর, ক্ষিতিধর) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'পাহাড়';
আর যখন শব্দগুলোর সাথে 'পাল'/'নাথ'/'পতি' যুক্ত হয় (যেমন- ভূপাল, ভূপতি,
মহীপাল, মহীনাথ, ক্ষিতিপাল, ক্ষিতিনাথ, ক্ষিতিপতি) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয়
'রাজা'।
→
♣২১. 'প্রভা', 'কিরণ', 'অংশু', 'বিভা', 'ময়ূখ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'রশ্মি'/'আলো';
আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'কর'/'মালী' যুক্ত হয় (যেমন- প্রভাকর, কিরণমালী, অংশুমালী, বিভাকর, ময়ূখমালী) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'সূর্য'।
→
♣২২.
আমরা অনেক সময় 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ'-এর প্রতিশব্দগুলো গুলিয়ে ফেলি কারণ এদের
প্রতিশব্দগুলো প্রায় কাছাকাছি ধরণের। তাই আমরা সহজে এভাবে মনে রাখতে পারি-
যে শব্দগুলোর শেষে 'ধি' থাকবে সেগুলো সমুদ্রের প্রতিশব্দ এবং যে শব্দগুলোর
শেষে 'দ' বা 'ধর' থাকবে সেগুলো মেঘের প্রতিশব্দ।
যেমন- সমুদ্রের
প্রতিশব্দ বারিধি, জলধি, জলনিধি, অম্বুধি, সরোধি, উদধি, পয়োনিধি, তোয়ধি,
বারিনিধি ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'ধি' আছে।
আবার মেঘের
প্রতিশব্দ বারিদ, জলদ, অম্বুদ, তোয়দ, জলধর, পয়োধর, তোয়ধর, নীরদ, পয়োদ
ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'দ' বা 'ধর' আছে।
ব্যতিক্রম: মোটামুটি একটি ব্যতিক্রমই রয়েছে সেটি হলো 'জলধর'। এই শব্দটি দ্বারা 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ' দুটোকেই বুঝায়।
================================
★শব্দার্থ
#কাকোদর শব্দের অর্থ কী? >>> সাপ
#দুর্মদ শব্দের অর্থ কী? >>>অত্যাচারী
#হর্ম্য শব্দের অর্থ কী? >>>প্রসাদ
#কদলী শব্দের অর্থ কী? >>>কলা
#কোন্দা শব্দের অর্থ কী? >>>তালগাছের নৌকা
#নির্বন্ধ শব্দের অর্থ কী? >>>বিধান
#পনস কোন ফলের নাম? >>>কাঁঠাল
#সম্পৃক্ত শব্দের অর্থ কী? >>>সংযুক্ত
#বেসাতি শব্দের অর্থ কী? >>>কেনাবেচা
#কর্বূর শব্দের অর্থ কী? >>>রাক্ষস
#জাফরি শব্দের অর্থ কী? >>>চৌকোনা ছিদ্রের বেড়া
#কালাকাল শব্দের অর্থ কী? >>>>সুসময় ও দুঃসময়
#ঋষভ শব্দের অর্থ কী? >>>ষাঁড়
#আর্তব শব্দের অর্থ কী? >>>ঋতু
#তন্ডুল শব্দের অর্থ কী? >>>চাল
#শিলীমুখ শব্দের অর্থ কী? >>>ভ্রমর
#ব্রততী শব্দের অর্থ কী? >>>লতা
#বায়ু শব্দের সমার্থক শব্দ কী? >>>বাত
#খোঁটা=গঞ্জনা
#নিত্যক্রিয়া=দৈনন্দিন কর্ম
#আক্রোশ=বিদ্বেষ,ক্রোধ।
#ঝংকার=গুঞ্জন,বীণা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রাদির শব্দ।
#দয়াপরতন্ত্র=দয়াদ্র,দয়ার বশীভূত।
#আজগুবি=অদ্ভুদ,অবিশ্বাস্য।
#পঞ্জর=পাঁজর,বুকের হাড়ের খাঁচা।
#সরোদনে=কেঁদে কেঁদে।
#স্বভাবকৌতুহলী দ্বারলগ্নকর্ণ=আড়ালে অবস্থান করে অন্যের কথোপকথন শোনা।
#শরশয্যা=মৃত্যুশয্যা।
#বন্দোবস্ত=ব্যবস্থা,আয়োজন।
#শৌখিন=রুচিবান।
#উদ্বাহু=ঊর্ধ্ববাহু,আহ্লাদে হাত উঠানো।
#সন্দিহান=সন্দেহযুক্ত।
#সুসার=প্রাচুর্য,সচ্ছলতা,সুবিধা।
#ভাঁড়েও ভবানী=রিক্ত,শূন্য।
#আবহমানকাল=চিরকাল।
#সোল্লাসে=আনন্দে।
#অবগাহন=সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল।
#উপায়ান্তর=অন্য কোনো উপায়।
#স্বশিক্ষিত=নিজে নিজে শিক্ষিত।
#প্রচ্ছন্ন=গোপন।
#গতাসু=মৃত।
#গলাধঃকরণ=গিলে ফেলা।
#কারদানি=বাহাদুরি।
#উদরপূর্তি=পেট ভরানো।
#এতেন্স=গ্রিসের রাজধানী।
০১| অভ্র___মেঘ/আকাশ(শুভ্র--সাদা)
০২| অভ্র___খনিজ ধাতু(Mica)
০৩| অয়োময়___লৌহকঠিন
০৪| অবিহিত___অনুচিত
০৫| অবিরাম___অনবরত
০৬| অভিরাম___সুন্দর
০৭| অভিনিবেশ__মনোযোগ
০৮| ওষ্ঠাধর___উপরের ও নিচের ঠোঁট
০৯| অলীক___মিথ্যা
১০| অনীক___সৈন্য
১১| ফরিক___সৈন্য
১২| অনিকেত___গৃহহীন/ছন্নছাড়া
১৩| অর্বাচীন___মূর্খ/কনিষ্ঠ/অপক্ব
১৪| অষ্টরম্ভা___ফাঁকি/শূন্য
১৫| অধমর্ণ___ঋণী/ঋণগ্রহীতা
১৬| উত্তমর্ণ___সুদখোর/ঋণদাতা
১৭| অসি____অস্ত্র/আয়ূধ/প্রহরণ/খড়ক
১৮| অছি___অভিভাবক
১৯| অমরাবতী__স্বর্গ/স্বর্গীয় উদ্যান
২০| অপঙ্গ___দৃষ্টিকোণ
২১| অপলাপ__অস্বীকার/গোপন
২২| অশ্ব___ঘোড়া
২৩| অশ্ম___পাথর
২৪| অশন___খাদ্যদ্রব্য
২৫| আঁধার___অন্ধকার
নোট→নোট রমজান
২৬| আধার___স্থান
২৭| আহব____যুদ্ধ
২৮| আশী___দাঁত
২৯| আপণ(সাধু শব্দে)___দোকান
৩০| আসার____প্রবল বৃষ্টিপাত/জলকণা
৩১| আষাঢ়___মাস বিশেষ
৩২| আবরণ__পোশাক
৩৩| আভরণ___অলঙ্কার
৩৪| আকিঞ্চন___চেষ্টা
৩৫| ইনকিলাব___বিপ্লব
৩৬| ইত্তেফাক___সম্প্রীতি
৩৭| উচাটন___উৎকণ্ঠা
৩৮| উদীচী____উত্তর দিক
৩৯| প্রতীচী____দক্ষিণ দিক
৪০| প্রাচ্য_____পশ্চিম দিক
৪১| প্রতীচ্য___পূর্ব দিক
৪২| উত্তরী/উত্তরীয়___চাদর
৪৩| উপরোধ___অনুরোধ
৪৪| উপাদান___উপকরণ
৪৫| উপাধান___বালিশ
৪৬| উৎকুন____উকুন
৪৭| ঊর্মি____ঢেউ
৪৮| ঊর্ণনাভ___মাকড়সা/অষ্টপদ
৪৯| ঋক____শ্লোক/ছোট কবিতা/শোলক
৫০| ঋজু____সোজা(বঙ্কিম/বক্র-বাঁকা)
০১| অভ্র___মেঘ/আকাশ(শুভ্র--সাদা)
০২| অভ্র___খনিজ ধাতু(Mica)
০৩| অয়োময়___লৌহকঠিন
০৪| অবিহিত___অনুচিত
০৫| অবিরাম___অনবরত
০৬| অভিরাম___সুন্দর
০৭| অভিনিবেশ__মনোযোগ
০৮| ওষ্ঠাধর___উপরের ও নিচের ঠোঁট
০৯| অলীক___মিথ্যা
১০| অনীক___সৈন্য
১১| ফরিক___সৈন্য
১২| অনিকেত___গৃহহীন/ছন্নছাড়া
১৩| অর্বাচীন___মূর্খ/কনিষ্ঠ/অপক্ব
১৪| অষ্টরম্ভা___ফাঁকি/শূন্য
১৫| অধমর্ণ___ঋণী/ঋণগ্রহীতা
১৬| উত্তমর্ণ___সুদখোর/ঋণদাতা
১৭| অসি____অস্ত্র/আয়ূধ/প্রহরণ/খড়ক
১৮| অছি___অভিভাবক
১৯| অমরাবতী__স্বর্গ/স্বর্গীয় উদ্যান
২০| অপঙ্গ___দৃষ্টিকোণ
২১| অপলাপ__অস্বীকার/গোপন
২২| অশ্ব___ঘোড়া
২৩| অশ্ম___পাথর
২৪| অশন___খাদ্যদ্রব্য
২৫| আঁধার___অন্ধকার
নোট→নোট রমজান
২৬| আধার___স্থান
২৭| আহব____যুদ্ধ
২৮| আশী___দাঁত
২৯| আপণ(সাধু শব্দে)___দোকান
৩০| আসার____প্রবল বৃষ্টিপাত/জলকণা
৩১| আষাঢ়___মাস বিশেষ
৩২| আবরণ__পোশাক
৩৩| আভরণ___অলঙ্কার
৩৪| আকিঞ্চন___চেষ্টা
৩৫| ইনকিলাব___বিপ্লব
৩৬| ইত্তেফাক___সম্প্রীতি
৩৭| উচাটন___উৎকণ্ঠা
৩৮| উদীচী____উত্তর দিক
৩৯| প্রতীচী____দক্ষিণ দিক
৪০| প্রাচ্য_____পশ্চিম দিক
৪১| প্রতীচ্য___পূর্ব দিক
৪২| উত্তরী/উত্তরীয়___চাদর
৪৩| উপরোধ___অনুরোধ
৪৪| উপাদান___উপকরণ
৪৫| উপাধান___বালিশ
৪৬| উৎকুন____উকুন
৪৭| ঊর্মি____ঢেউ
৪৮| ঊর্ণনাভ___মাকড়সা/অষ্টপদ
৪৯| ঋক____শ্লোক/ছোট কবিতা/শোলক
৫০| ঋজু____সোজা(বঙ্কিম/বক্র-বাঁকা)
বৃহস্পতি মহীরুহ কোন কাব্যকে বলা হয় ?
ReplyDelete