Pages

BANGLA

 

সাহিত্যের #ত্রয়ী উপন্যাস কাকে বলে? বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী উপন্যাস কী কী?
উত্তর : ইংরেজি 'ট্রিলজি'র বাংলা পরিভাষিক শব্দ 'ত্রয়ী'। 'ত্রয়ী উপন্যাস' বলতে মূলত বোঝায়, যদি কোন উপন্যাসের তিনটি পাঠ থাকে। সিরিজ লেখার ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ট্রিলজিতে কাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। আবার প্রতিটি গ্রন্থ আলাদা ভাবেও পাঠ যোগ্য। বাংলা সাহিত্যে ট্রিলজি বা ত্রয়ী রচনার উদাহরন খুব বেশি না হলেও, একেবারে কমও না। নিচে বাংলা সাহিত্যের কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রিলজির উল্লেখ করা হলো-
#১. নবীনচন্দ্র সেন লিখেছেন ত্রয়ী মহাকাব্য-
১. "রৈবতক",
২. "কুরুক্ষেত্র",
৩. "প্রভাস"।

#২. ১. "আনন্দমঠ",
২. "দেবী চৌধুরানী",
৩. "সীতারাম"- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ট্রিলজি।
#৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত অপু ট্রিলজি
১."পথের পাঁচালি”,
২.“অপরাজিত”,
৩.“কাজল”
- তবে "কাজল" উপন্যাসটি লিখেছিলেন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৪. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন
১. "ধাত্রী দেবতা",
২. "গণদেবতা",
৩. "পঞ্চগ্রাম"।
৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১. "পুতুলনাচের ইতিকথা" ,
২. "সহরবাসের ইতিকথা" ,
৩. "ইতিকথার পরের কথা" ।
৬. আশাপূর্ণা দেবী লিখেছেন "সত্যবতী" ট্রিলজি
১. "প্রথম প্রতিশ্রুতি",
২. "সুবর্ণলতা",
৩. "বকুলকথা"।
৭. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত টাইম ট্রিলজি
১. “সেই সময়”,
২. “প্রথম আলো”,
৩. “পূর্ব-পশ্চিম”
৮. সমরেশ মজুমদারের
১. "উত্তরাধিকার",
২. "কালবেলা",
৩. "কালপুরুষ"
৯. বিমল মিত্র লিখেছেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি
১. "কড়ি দিয়ে কিনলাম",
২. "সাহেব বিবি গোলাম",
৩. "একক দশক শতক"
১০. বিমল করের ত্রয়ী একত্রে "দেওয়াল" উপন্যাস নামে পরিচিত
১. "ছোট ঘর" ,
২. "ছোট মন" ,
৩. "খোলা জানলা" ।
১১. শংকর এর একটি বিখ্যাত ট্রিলজি
১. "জন অরন্য",
২. "সীমাবদ্ধ",
৩. "আশা আকাঙ্ক্ষা"
১. "ঘরের মধ্যে ঘর",
২. "চৌরঙ্গী",
৩. "কত অজানারে" - শংকরের আরো একটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
১. "স্থানিয় সংবাদ",
২. "সুবর্ন সুযোগ",
৩. "বোধদয়"- শংকর এর আরেকটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
১২. গজেন্দ্রকুমার মিত্রের
১. "কলকাতার কাছেই",
২. "উপকন্ঠে",
৩. "পৌষ ফাগুনের পালা"

- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি ও সম্পদ

 

বি_সি_এস_বাংলা_সাহিত্য
#সাহিত্যিকদের_ছদ্মনাম_উপাধি

1. অনন্ত বড়ু ----- বড়ু চন্ডিদাস(ছদ্মনাম)

2. অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত ----- নীহারিকা দেবী(ছদ্মনাম)

3. আব্দুল কাদির -------ছান্দসিক কবি ( উপাধি )

4. আলাওল--------- মহাকবি (উপাধি )

5. আব্দুল করিম------- সাহিত্য বিশারদ (উপাধি)

6. ঈশ্বর গুপ্ত------- যুগসন্ধিক্ষণের কবি (উপাধি )

7. ঈশ্বরচন্দ্র--------- বিদ্যাসাগর (উপাধি )

8. কাজেম আল কোরায়েশী ------কায়কোবাদ (উপাধি )

9. কাজী নজরুল ইসলাম -------বিদ্রোহী কবি (উপাধি )

10. কালি প্রসন্ন সিংহ ----- হুতোম পেঁচা (ছদ্মনাম)

11. গোবিন্দ্র দাস------- স্বভাব কবি (উপাধি )

12. গোলাম মোস্তফা------- কাব্য সুধাকর (উপাধি )

13. চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ----- জরাসন্ধ (ছদ্মনাম)

14. জসীম উদ্দিন------ পল্লী কবি (উপাধি )

15. জীবনানন্দ দাশ------ রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, ধুসর পান্ডুলিপির কবি (উপাধি )

16 . ডঃ মনিরুজ্জামান ----- হায়াৎ মামুদ (ছদ্মনাম)

17. ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ----- ভাষা বিজ্ঞানী (উপাধি )

18. নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ----- সুনন্দ. (ছদ্মনাম)

19. নজিবর রহমান -------সাহিত্যরত্ন (উপাধি )

20. নীহাররঞ্জন গুপ্ত ----- বানভট্ট (ছদ্মনাম)

21. নূরন্নেসা খাতুন------- সাহিত্য স্বরসতী, বিদ্যাবিনোদিনী (উপাধি ).

22. প্যারীচাঁদ মিত্র ----- টেকচাঁদ ঠাকুর. (ছদ্মনাম)

23. ফররুখ আহমদ-------- মুসলিম রেনেসাঁর কবি

24. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ----- বনফুল (ছদ্মনাম)

25. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় --------সাহিত্য সম্রাট

26. বাহরাম খান------ দৌলত উজীর

27. বিমল ঘোষ ----- মৌমাছি. (ছদ্মনাম)

28. বিহারীলাল চক্রবর্তী ------- ভোরের পাখি.

29. বিদ্যাপতি--------- পদাবলীর কবি

30. বিষ্ণু দে--------- মার্কসবাদী কবি

31. প্রমথ চৌধুরী ----- বীরবল (ছদ্মনাম)

32. ভারতচন্দ্র------ রায় গুনাকর

33. মধুসূদন দত্ত------ মাইকেল

34. মালাধর বসু ------- গুণরাজ খান

35. মুকুন্দরাম ---------- কবিকঙ্কন

36. মুকুন্দ দাস-------- চারণ কবি

37. মীর মশাররফ হোসেন ----- গাজী মিয়া
(ছদ্মনাম)

38. মধুসূদন মজুমদার ----- দৃষ্টিহীন

39. মোহিত লাল মজুমদার ----- সত্য সুন্দর দাস

40. মোজাম্মেল হক------ শান্তিপুরের কবি

41. যতীন্দ্রনাথ বাগচী ------দুঃখবাদের কবি

42. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর------ বিশ্বকবি, নাইট (উপাধি)-------ভানুসিংহ (ছদ্মনাম)

43. রাজশেখর বসু ----- পরশুরাম (ছদ্মনাম)

44. রামনারায়ণ ------- তর্করত্ন

45. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ------ অপরাজেয় কথাশিল্পী

46. শেখ ফজলুল করিম ------ সাহিত্য বিশারদ, রত্নকর

47. শেখ আজিজুর রহমান ----- শওকত ওসমান. (ছদ্মনাম)

48. শ্রীকর নন্দী ---------কবিন্দ্র পরমেশ্বর

49. সমর সেন --------- নাগরিক কবি

50. সমরেশ বসু ----- কালকূট

51. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত্--------- ছন্দের যাদুকর

52. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ----- নীল লোহিত

53. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ---------ক্লাসিক কবি

54. সুকান্ত ভট্টাচার্য-------- কিশোর কবি

55. সুভাষ মুখোপাধ্যায় ------পদাতিকের কবি

56. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন -------সিরাজী স্বপ্নাতুর কবি

57. হেমচন্দ্র------ বাংলার মিল্টন

 

কে কাকে কী উপাধি দিলো??
💮এখানে কবি থেকে রাজনীতির কবিদের উপাধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
🌫🌫🌫🌫🌫🌫🌫
১) প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ বিশ্বকবি ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পন্ডিত রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব
উপাধ্যায়।
২) প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে “ বঙ্গবন্ধু ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ তোফায়েল আহমেদ।
৩) প্রশ্নঃ বিহারীলাল চক্রবর্তীকে “ ভোরের
পাখি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) প্রশ্নঃ রাম মোহন রায় কে “ রাজা ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় আকবর (মোঘল বাদশা)
৫) প্রশ্নঃ চিত্তরঞ্জন দাশ কে “ দেশবন্ধু”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার জনসাধারণ।
💮💮💮
৬) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কে “ কবিকঙ্কন” উপাধি
দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ জমিদার রঘুনাথ রায়।
৭) প্রশ্নঃ ভারত চন্দ্র কে “ রায়গুনাকর ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
৮) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য বিশারদ ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ চট্টল ধর্মমন্ডলী (১৯০৯)
৯) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য সাগর ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নদীয়ার সাহিত্য সভা (১৯২০)
১০) প্রশ্নঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে “ মহর্ষি”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রাহ্ম সমাজ।
💮💮💮
১১) প্রশ্নঃ দীনেশ চন্দ্র সেন কে “ রায়
বাহাদুর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ ভারত সরকার।
১২) প্রশ্নঃ গোলাম মোস্তফা কে “ কাব্য
সুধাকর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ যশোর সাহিত্য পরিষদ।
১৩) প্রশ্নঃ মালাধর বসুকে “ গুনরাজ খান ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ্।
১৪) প্রশ্নঃ সুফিয়া কামাল কে “ জননী
সাহসিকা ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার মানুষ
১৫) প্রশ্নঃ ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত কে “ খাঁটি
বাঙ্গালী” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
💮💮💮
১৬) প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কে
“ বিদ্রোহী ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পরিচিতজনরা। (উৎসঃ বাংলা ভাষা ও
সাহিত্য জিজ্ঞাসা)
১৭) প্রশ্নঃ গোবিন্দ দাস কে “ দ্বিতীয়
বিদ্যাপতি ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদকর্তা বল্লভ দাস ।
১৮) প্রশ্নঃ ঈশ্বরচন্দ্র কে “ বিদ্যাসাগর”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ সংস্কৃত কলেজ।
১৮) প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কে “ নির্জনতার
কবি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।
১৯) প্রশ্নঃ ফয়জুন্নেসা কে ” নওয়াব ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার।
২০) প্রশ্নঃ প্যারীচাঁদ মিত্র কে “ ডিফেন্স অব
বেঙ্গল” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পাদ্রি লঙ।
কে কাকে কী উপাধি দিলো??
💮এখানে কবি থেকে রাজনীতির কবিদের উপাধি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
🌫🌫🌫🌫🌫🌫🌫
১) প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ বিশ্বকবি ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পন্ডিত রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব
উপাধ্যায়।
২) প্রশ্নঃ শেখ মুজিবুর রহমানকে “ বঙ্গবন্ধু ”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ তোফায়েল আহমেদ।
৩) প্রশ্নঃ বিহারীলাল চক্রবর্তীকে “ ভোরের
পাখি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) প্রশ্নঃ রাম মোহন রায় কে “ রাজা ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় আকবর (মোঘল বাদশা)
৫) প্রশ্নঃ চিত্তরঞ্জন দাশ কে “ দেশবন্ধু”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার জনসাধারণ।
💮💮💮
৬) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কে “ কবিকঙ্কন” উপাধি
দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ জমিদার রঘুনাথ রায়।
৭) প্রশ্নঃ ভারত চন্দ্র কে “ রায়গুনাকর ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
৮) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য বিশারদ ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ চট্টল ধর্মমন্ডলী (১৯০৯)
৯) প্রশ্নঃ আব্দুল করিম কে “ সাহিত্য সাগর ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নদীয়ার সাহিত্য সভা (১৯২০)
১০) প্রশ্নঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে “ মহর্ষি”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রাহ্ম সমাজ।
💮💮💮
১১) প্রশ্নঃ দীনেশ চন্দ্র সেন কে “ রায়
বাহাদুর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ ভারত সরকার।
১২) প্রশ্নঃ গোলাম মোস্তফা কে “ কাব্য
সুধাকর ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ যশোর সাহিত্য পরিষদ।
১৩) প্রশ্নঃ মালাধর বসুকে “ গুনরাজ খান ”
উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ্।
১৪) প্রশ্নঃ সুফিয়া কামাল কে “ জননী
সাহসিকা ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বাংলার মানুষ
১৫) প্রশ্নঃ ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত কে “ খাঁটি
বাঙ্গালী” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
💮💮💮
১৬) প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কে
“ বিদ্রোহী ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পরিচিতজনরা। (উৎসঃ বাংলা ভাষা ও
সাহিত্য জিজ্ঞাসা)
১৭) প্রশ্নঃ গোবিন্দ দাস কে “ দ্বিতীয়
বিদ্যাপতি ” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদকর্তা বল্লভ দাস ।
১৮) প্রশ্নঃ ঈশ্বরচন্দ্র কে “ বিদ্যাসাগর”
উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ সংস্কৃত কলেজ।
১৮) প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কে “ নির্জনতার
কবি ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।
১৯) প্রশ্নঃ ফয়জুন্নেসা কে ” নওয়াব ” উপাধি
কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার।
২০) প্রশ্নঃ প্যারীচাঁদ মিত্র কে “ ডিফেন্স অব
বেঙ্গল” উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ পাদ্রি লঙ।

 

আফিয়া জান্নাত আয়েশা

#উপমান VS #উপমিত কর্মধারয় সমাস

#উপমিত কর্মধারয় সমাস :
১ --- বস্তু + বস্তু অর্থাৎ বস্তুগত / দৃশ্যমান বিষয় হবে ।
২ --- যার সাথে তুলনা করা হবে সেটি মিথ্যা /
কাল্পনিক হবে । অর্থাৎ ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি
মিথ্যা বা অসমান হবে ।
উদা. মুখচন্দ্র = মুখ ( বস্তু ) + চন্দ্র ( বস্তু ) । দৃশ্যমান ।
মুখচন্দ্র = মুখ চন্দ্রের ন্যায় । এখানে মুখ চন্দ্রের
সাথে তুলনা করা হয়েছে । কিন্তু মুখ কখনো
চন্দ্রের মতো হতে পারে না । অর্থাৎ বিবৃতিটি
মিথ্যা।
উদা. পুরুষসিংহ = পুরুষ ( বস্তু ) + সিংহ ( বস্তু ) ।
দৃশ্যমান ।
পুরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায় । এখানে
পুরুষকে সিংহের সাথে তুলনা করা হয়েছে ।কিন্তু
পুরুষ সিংহের মতো হতে পারে না।এটি অসমান
বিবৃতি।পুরুষ একশ্রেণির আর সিংহ অন্য শ্রেণির।
.
.
#উপমান কর্মধারয় সমাস :
১ --- বস্তুগত/ দৃশ্যমান বিষয় + বস্তুগত / দৃশ্যমান /
অবস্তুগত / অদৃশ্যমান বিষয় হবে ।
২ --- ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি সত্য বা সমান হবে ।
৩ --- দুটি শব্দের অর্থ প্রায় এক হবে ।
উদা. তুষারশুভ্র = তুষার ( বস্তু ) + শুভ্র ( বস্তু )।
দৃশ্যমান ।
তুষারশুভ্র = তুষারের ন্যায় শুভ্র ।এখানে বিবৃতিটি
সত্য কারণ তুষার যেমন সাদা ঠিক তেমনি শুভ্রের
রংও সাদা। আর শব্দ দুটির অর্থও এক ।
উদা. কাজলকালো = কাজল ( বস্তু ) + কালো ( বস্তু ) ।
দৃশ্যমান ।
কাজলকালো = কাজলের ন্যায় কালো । এখানে
বিবৃতিটি সত্য কারণ কাজলের রং কালো । আর
শব্দ দুটির অর্থও এক অর্থাৎ কালো ।
# শর্টকার্ট :
# বিশেষ্য + বিশেষ্য = উপমিত কর্মধারয় সমাস ।
# বিশেষ্য + বিশেষণ = উপমান কর্মধারয় সমাস ।
বিশেষ্য ( noun)+ বিশেষণ(adjective) =উপমান; যেমন তুষারের ন্যায় শুভ্র= তুষার শুভ্র, এখানে তুষার ( noun) +শুভ্র(adjective) =উপমান।
আবার বিশেষ্য(noun) +বিশেষ্য (noun)=উপমিত; যেমন: চন্দ্রের ন্যায় মুখ = চন্দ্রমুখ, এখানে চন্দ্র( noun)+ মুখ( noun)= উপ

 

 

বাংলা সাহিত্যের জীবনী
“লাল নীল দীপাবলি” থেকে প্রশ্ন🙂🙂🙂
...........…………
১ ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এর রচয়িতা কে?
=প্যারীচাদ মিত্র।
২ ‘কথোপকথন’ এর রচয়িতা কে?
=উইলিয়াম কেরি।
৩ ‘গাজিকালু ও চম্পাবতী’ কোন ধরনের সাহিত্য?
=পুঁথি সাহিত্য।
৪ ‘পুরষ্কার’ কার কবিতা? =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫ ‘বাঙলা’/’বঙ্গ’/’বাঙ্গালা’ নামগুলো উৎপত্তির কাহিনী বয়ান করেছেন কে?
=সম্রাট আকবরের সভারত্ন আবুল ফজল
৬ ‘ভারততীর্থ’ কার লেখা কবিতা?
=রবিঠাকুর
৭ “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” এটি কার রচনা?
=ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর
৮ “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” দেবী অন্নদার কাছে এটি কার প্রার্থনা?
=ঈশ্বরী পাটনি
৯ “মন্ত্রের সাধন কিংবা শ্রীর পাতন” / “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়” কার রচিত? =ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০ “যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী… ন জানি” কোন কাব্যের অন্তর্গত?
=নূরনামা
১১ ১৮০০ শতকের আগে কবিতা গাওয়া হতো। কবিতা পড়ার বস্তু হয়ে দাঁড়ালো কোন কবির হাত ধরে?
=মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১২ আদি যুগে লোকজীবনের কথা বিধৃত সর্বপ্রথম সাহিত্যক নিদর্শন কোনটি?
= ডাক খনার বচন।
১৩ আধুনিক বাংলা গীতি কবিতার সূত্রপাত?
=টপ্পাগান।
১৪ আধুনিক বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল থেকে শুরু হয়েছে ?
= ১৮০১ সাল থেকে। (প্রস্তুতিপর্বঃ ১৮০০-১৮৬০, বিকাশপর্বঃ ১৮৬০-১৯০০, রবীন্দ্রপর্বঃ ১৯০০-১৯৩০, রবীন্দ্রোত্তরঃ ১৯৩০-১৯৪৭ ও বাংলাদেশঃ ১৯৪৭-)
১৫ আধুনিক যুগ কোন সময় পর্যন্তু বিস্তৃত?
=১৮০১ সাল থেকে বর্তমান।
১৬ আধুনিক যুগের কোন প্রতিভাধর কবির হাত ধরে সনেট, মহাকাব্য, ট্রাজেডি এসেছে? =মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১৭ আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ প্রতিভু কে?
= বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৮ আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় অবদান কোনটি?
= গদ্য
১৯ আধুনিকের পন্ডিতগণের মতে, নেপালে প্রাপ্ত চর্যাপদের পুঁথির নাম কি ?
=চর্যাগীতি কোষ।
২০ আব্দুল হাকিমের আটটি কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলোর নাম লিখুন।
=ইউসুফ-জোলেখা, নূরনামা, কারবালা, শহরনামা
২১ আরাকান রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
= আলাওল
২২ আরাকান রাজ্যের সভাকবি কারা?
=আলাওল, মাগন ঠাকুর, কাজি দৌলত
২৩ আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষার নাম কি?
= বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষা।
২৪ আলাওল কোন দশকের কবি?
= সপ্তদশ
২৫ আলাওল কোন যুগের কবি? =মধ্য যুগের।
২৬ আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?
=পদ্মাবতী
২৭ উনিশ শতকের নাট্য সাহিত্য ধারার অন্যতম রূপকার? =মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
২৮ উনিশ শতকের সবচেয়ে খ্যাতনামা বাউল শিল্পী কে?
= লালন শাহ।
২৯ এক অক্ষর কবিতাও না লিখে বাংলাসাহিত্যের ইতিহাস দখল করে আছেন কে?
= শ্রী চৈতন্যদেব
৩০ কত সময় ধরে মঙ্গলকাব্য রচিত হয়?
= প্রায় পাঁচশো বছর
৩১ কত সালে ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ?
=১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
৩২ কত সালে ভারতবর্ষ তিন খন্ড হয়?
=১৯৪৭
৩৩ কত সালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য উদ্ধার করা হয়?
=১৯০৯
৩৪ কবিকঙ্কন কার উপাধি ছিল? তিনি কোথাকার কবি ছিলেন? =মকুন্দরাম চক্রবর্তী, সিলিম্বাজ শহরের গোপীনাথ তালকের দামুন্যা গ্রামে
৩৫ কবীন্দ্রবচন সমুচ্চয় ও সদুক্তি কর্ণামৃত কাব্য কোন যুগে রচিত?
= সেনযুগে।
৩৬ কাঙ্গাল হরিনাথ কখন আবির্ভূত হন?
= উনিশ শতকের শেষার্ধে।
৩৭ কারা ফারসি ভাষায় ইউসুফ জোলেখা রচনা করেন?
= ফেরদৌসি ও জামী
৩৮ কাশীরাম কোন সময়ের মধ্যে মহাভারত রচনা করেন? =১৬০২-১৬১০ এর মধ্যে
৩৯ কীর্তিলতা পুরুষ পরীক্ষা বিভাগসার প্রভৃতি সাহিত্যকর্মের রচয়িতা কে?
=মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
৪০ কৃত্তিবাসের জন্মস্থান কোথায়?
= নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে
৪১ কোন কোন লিপির উপর বাংলা লিপির প্রভাব বিদ্যমান ? =উড়িষ্যা মৈথিলি ও আসামী লিপির উপর।
৪২ কোন গ্রন্থে প্রমাণিত হয় যে চর্যাপদ বাঙ্গালির?
=বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ(১৯২৬)
৪৩ কোন ব্যাকরণবিদের কাছে সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
=ব্যাকরণবিদ পানিনির হাতে।
৪৪ কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি?
= মাগধী প্রাকৃত।
৪৫ কোন ভাষা বৈদিক ভাষা নামে স্বীকৃত?
=আর্যগণ যে ভাষায় বেদ-সংহিতা রচনা করেছেন।
৪৬ কোন ভাষাকে প্রাকৃত ভাষা বলে?
=খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ খ্রীঃ দিকে বৈদিক ভাষা বির্বতনকালীণ সময়ে জনসাধারন যে ভাষায় নিত্য নতুন কথা বলত।
৪৭ কোন ভাষাটি মানুষের মুখে মুখে বদলে পরিণত হয়েছে বাংলা ভাষায়?
= প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
৪৮ কোন ভাষায় বৌদ্ধরা তাদের ধর্মগ্রন্থ আর অন্যান্য বই লিখতেন?
= পালি ভাষায়
৪৯ কোন যুগকে অবক্ষয়ের যুগ বলা হয় ?
= ১৭৬০-১৮৬০সাল পর্যন্ত।
৫০ কোন যুগে বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় ? =সেন যুগে।
৫১ কোন যুগে বাংলা লিপির গঠনকার্য স্থায়ীরূপ লাভ করে? =প্রাচীন যুগে।
৫২ কোন লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব ঘটেছে?
= ব্রাহ্মী লিপি।
৫৩ কোন শতকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল? =ষষ্ঠ- সপ্তদশ
৫৪ কোন শতকে বাংলাসাহিত্যের জন্ম?
=দশম শতকের মাঝামাঝি
৫৫ কোন শতকে মুসলমানরা বাংলায় আসে?
=তের শতক(১২০০-১২০৭)
৫৬ কোরআন শরীফ প্রথম বাংলায় অনুবাদ কে করেন?
= ভাই গিরিশচন্দ্র সেন।
৫৭ কোরেশী মাগন ঠাকুর কাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন?
=আলাওল
৫৮ কোরেশী মাগন ঠাকুরের রচনা কোনটি?
=চন্দ্রাবতী
৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে কোন শাসকের শাসনমালা ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ন পাওয়া যায়? =সম্রাট অশোক।
৬০ গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতার নাম কি ?
=জয়দেব।
৬১ গীতি কাব্যের রচয়িতা কে? =গোবিন্দ্রচন্দ্র দাস।
৬২ গৌড়ের প্রতিদ্বন্দী ছিল কোন জনপদ?
= বঙ্গ
৬৩ চন্ডীদাস কোন যুগের কবি ? =মধ্যযুগের।
৬৪ চন্ডীদাস সমস্যা কি?
= বাংলা সাহিত্য একাধিক পদকর্তা নিজেকে চন্ডীদাস পরিচয় দিয়ে যে স মস্যা সৃষ্টি করেছেন তাই চন্ডীদাস সমস্যা ।
৬৫ চন্ডীমঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন?”
= মাণিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজ রামদেব, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর।
৬৬.চন্ডীমঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
=ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর, মকুন্দরাম চক্রব্রর্তী
৬৭. চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি ছিল?
=৫১ টি।
৬৮. চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
=১৯১৬ সালে।
৬৯ চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে, কে করেন, কোথা থেকে? =১৯০৭, পন্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৭০ চর্যাপদ কিসের সংকলন? =কবিতা বা গানের সংকলন
৭১ চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
=নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
৭২ চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ? =মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
৭৩ চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়?
= বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
৭৪ চর্যাপদ কোন যুগের নিদর্শন? =আদি/ প্রাচীন যুগ।
৭৫ চর্যাপদ কোন সময়ে রচিত হয় ?
=সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
৭৬ চর্যাপদ যে বাঙ্গালির একথা প্রমাণ করে ছাড়েন কে?
=ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৭৭ চর্যাপদ রচনা করেন কারা ? =বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
৭৮ চর্যাপদের ঢং এ আধুনিক কোন কবি কবিতা রচনা করেছেন?
=রবি ঠাকুর
৭৯ চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ কে আবিস্কার করেন?
=ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
৮০ চর্যাপদের পদগুলো কোন কোন ভাষায় রচিত বলে দাবি করা হয়?
=বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া ভাষায়।
৮১ চর্যাপদের পুঁথি নেপালে যাবার কারন কি?
= তুর্কী আক্রমনকারীদের ভয়ে পন্ডিতগণ তাদের পুুথি নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়ে শরনার্থী হয়েছিলেন।
৮২ চর্যাপদের পুঁথিকে কোথা কে এবং কখন আবিস্কার করেন? =মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭।
৮৩ চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?
= চর্যাপদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব এবং তৎকালীন সমাজ ও জীবনের পরিচয়।
৮৪ চর্যাপদের ভাষা কে কি নাম দেওয়া হয়েছে?
= সান্ধ্য/আলো আঁধারির ভাষা
৮৫ চর্যাপদের ভাষাকে কে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন?
=অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
৮৬ চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের নমুনা পরিলক্ষিত হয়? =পশ্চিম বাংলার প্রাচীনতম কথ্য ভাষার।
৮৭ চর্যাপদের মোট কতটি পদ উদ্ধার করা হয়েছিলো?
=সাড়ে ছেচল্লিশটি
৮৮ চর্যাপদের মোট কবি কতজন?
=২৪ জন
৮৯ চর্যাপদের রচনা কাল কত?
= সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
৯০ চর্যাপদের রচনাকাল?
= ৯৫০-১২০০
৯১ চর্যাপদের সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটি কে লিখেছেন? =শবরীপা
৯২ চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িরা কাহ্নপার অন্যনাম কি? =কৃষ্ণাচার্য
৯৩ চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত =অন্য বইদুটির নাম কি? দোহাকোষ ও ডাকার্ণব
৯৪ চর্যার প্রাপ্ত কোন পদটির শেষাংশে পাওয়া যায় নি ?
= ২৩ সংখ্যক পদ।
৯৫ চর্যার প্রাপ্ত কোন সংখ্যক পদটি টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা হয় নি ?
= ১১ সংখ্যক পদ।
৯৬ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে কোন কোন সংখ্যক পদে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি ?
=২৪, ২৫, ৪৮ সংখ্যক পদ।
৯৭ চাঁদসওদাগর কতদিন ঘরহারা ছিলেন?
=১২ বছর
৯৮ চৈতন্য পরবর্তী যুগ বা মধ্যযুগের শেষ কবি কে? =ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
৯৯ চৈতন্যচরিতামৃত কার লেখা? =কৃষ্ণদাস কবিরাজ
১০০ চৈতন্যদেবের আসল নাম ও ডাক নাম কি ছিল?
=বিশ্বম্ভর, নিমাই
১০১ চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, মৃত্যুস্থান লিখুন।
=নবদ্বীপ, পুরী
১০২ চৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন। =১৪৮৬-১৫৩৩(repeated)
১০৩ চৈতন্যদেবের জীবনী হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা কোনটি, কে রচনা করেন? =চৈতন্যচরিতামৃত
১০৪ ছোটগল্পের আরম্ভে ও উপসংহারে কোন গুনটি প্রধান? =নাটকীয়তা ।
১০৫ জার্মান ভাষায় বাইবেল অনুবাদ রচনা করেছিলেন কে? =মার্টিন লুথার
১০৬ টপ্পা গানের জনক কে? =নিধুবাবু (রামনিধি গুপ্ত)।
১০৭ টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম কি ? =আশ্চর্য চর্যাচয়।
১০৮ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে খ্রীষ্টপূর্ব কত পর্যন্ত বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল?
=পাঁচ হাজার বছর।
১০৯ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীন যুগের পরিধি কত পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
= ৬৫০-১২০০ সাল পর্যন্তু।
১১০ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?
=গৌড় অপভ্রংশ থেকে।
১১১ ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয় কবে চর্যাপদে ভাষা বাংলা বলে প্রমান করেন?
= ১৯২৬ সালে।
১১২ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
= নীল দর্পন।
১১৩ তিনি কার রাজত্বকালে কাব্যরচনা করেন, কোন কাব্য? =সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ, ইউসুফ-জোলেখা
১১৪ দশম শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য কোনরূপে ছিল?
= পদ্যরূপে
১১৫ দেবতাদের কাছে মঙ্গল কামনা করা হয় কোন কাব্যে? =মঙ্গলকাব্য
১১৬ দেবী অন্নদা কার খেয়ানৌকায় নদী পার হয়? =ঈশ্বরী পাটনি
১১৭ ধনপতি লহনা কিসের কাহিনী?
= চন্ডীমঙ্গল
১১৮ ধর্ম মঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন? =ময়ুরভট্ট, মানিকরাম, রূপরাম, সীতারাম, ঘনরাম,
১১৯ নসিহতনামা কার রচনা? =আফজল আলী
১২০ নৃ্তাত্ত্বিকদের মতে বাঙালি পূর্বপুরুষ কারা?
=সিংহলের ভেড্ডারা
১২১ নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলির কি নাম দেযা হয়েছে ? =চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
১২২ পরাগল খান কাকে দিয়ে আংশিকভাবে মহাভারত রচনা করান?
= কবীন্দ্র পরমেশ্বর
১২৩ পরাগল খানের ছেলের নাম কি?
= ছুটি খান
১২৪ পাঠান শাসনামলে কোন নামে বাংলার সব জনপদ এক হয়?
=বঙ্গ
১২৫ পানিণি কোন ভাষার ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন? =সংস্কৃত ভাষা।
১২৬ পানিনি রচিত গ্রন্থের নাম কি?
=ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
১২৭ পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবি কে?
=ফকির গরিবুল্লাহ।
১২৮ প্রাকৃত ভাষা বিবর্তিত হয়ে শেষ যে স্তরে উপনীত হয় তার নাম কি?
= অপভ্রংশ।
১২৯ প্রাচীন বাংলা ভাষার কয়টি স্তর ও কী কী?
=তিনটি, প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষা, মধ্য যুগের বাংলা ভাষা, আধুনিক যুগের বাংলা ভাষা
১৩০ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার স্তর কয়টি?
= তিনটি।
১৩১ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা পরিবর্তিত হয়ে কোন রূপটি নেয়?
= পালি
১৩২ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় রূপ নেয়। এই ক্রমবিকাশের ধারায় পর্যায়ক্রমে আর কোন দুটি ভাষা ছিল? =পালি, প্রাকৃত
১৩৩ প্রাচীন হিন্দি ভাষার মহাকবি কে? তার কাব্যের নাম কি?
= মালিক মুহম্মদ জায়সি
১৩৪ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?
=উইলিয়াম কেরি
১৩৫ বঙ্গ+আল= বাঙ্গাল, এই ‘আল’ অংশটুকু কোন প্রসঙ্গে এসেছে?
=জমির আল, সীমানা, বাঁধ
১৩৬ বড়– চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
= বসন্তরঞ্জন রায়, ১৯০৯।
১৩৭ বাংলা অক্ষর বা বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার লাভ করে ?
=খ্রিঃ দশম ও একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
১৩৮ বাংলা উপন্যাস সাহিত্য ধারার জনক?
= বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩৯ বাংলা গদ্য সাহিত্য কখন শুরু হয়?
=আধুনিক যুগে।
১৪০ বাংলা গদ্যর উৎপত্তি কখন?
=আঠার শতকে।
১৪১ বাংলা গদ্যের আবির্ভাব কোন শতকে/সালে ঘটে?
= ১৮০০ সালের পর থেকে
১৪২ বাংলা গদ্যের জনক কে? =ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
১৪৩ বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে-? =সাময়ীক পত্র।
১৪৪ বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী লিপি থেকে আর কোন লিপির উদ্ভদ ঘটেছে ?
= সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি, তিব্বতী ইত্যাদি।
১৪৫ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যর প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
= কাব্য।
১৪৬ বাংলা ভাষা কোন আদি বা মূল ভাষা গোষ্ঠীর অর্ন্তগত? =ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী।
১৪৭ বাংলা ভাষা কোন গোষ্ঠীর বংশধর?
=ইন্দ-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর।
১৪৮ বাংলা ভাষা/সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্য, আধুনিক যুগের ব্যাপ্তিকাল লিখুন।
=৯৫০-১২০০; ১৩৫০-১৮০০;১৮০০-বর্তমান
১৪৯ বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক নাটক কোনটি ? =কুলীনকুল সর্বস্ব।
১৫০ বাংলা ভাষায় মহাভারত কে অনুবাদ করেন?
=কাশীরাম দাস।
১৫১ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক ও নাট্যকার কে? =ভদ্রার্জুন- তারাচরণ সিকদার।
১৫২ বাংলা ভাষায় রামায়ন কে অনুবাদ করেন?
=কৃত্তিবাস।
১৫৩ বাংলা ভাষার আদি কবি ? =কানা হরিদত্ত।
১৫৪ বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি? =শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
১৫৫ বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
=সপ্তম শতাব্দী।
১৫৬ বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?
=খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে।
১৫৭ বাংলা ভাষার মূল উৎস কোন ভাষা?
=বৈদিক ভাষা।
১৫৮ বাংলা ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কোন ভাষার? =মুন্ডা ভাষার।
১৫৯ বাংলা লিপি ও বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে কোন লিপি থেকে? =কুটিল লিপি।
১৬০ বাংলা সনেটের জনক কে?
=মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১৬১ বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতির প্রবর্তক কে?
= প্রমথ চৌধুরী।
১৬২ বাংলা সাহিত্য ছোটগল্পের প্রকৃত জনক?
=রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৬৩ বাংলা সাহিত্যর আধুনিক যুগের সময়কাল কয়পর্বে বিভক্ত ও কি কি?
=চারটি পর্বে বিভক্ত। যেমন- ১. প্রস্তুতি পর্ব (১৮০১-১৮০৫)খ্রিঃ, ২. বিকাশ পর্ব (১৮৫১-১৯০০) খ্রিঃ, ৩.রবীন্দ্র পর্ব (১৯০১-১৯৪০) খ্রিঃ ও ৪.অতি-আধুনিক যুগ (১৯০১ বর্তমান কালসীমা)।
১৬৪ বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কোনটি ? =কৃষ্ণকুমারী।
১৬৫ বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
=মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
১৬৬ বাংলা সাহিত্যে গীতিকাব্য ধারার প্রথম কবি?
= বিহারীলাল চক্রবর্তী।
১৬৭ বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য ধারার অন্যতম মহাকবি? =মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
১৬৮ বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত চন্ডীদাস কয়জন?
=তিনজন। বড়ু চন্ডিদাস, দীন চন্ডিদাস এবং দ্বীজ চন্ডিদাস।
১৬৯ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রধানত কয়টি যুগে ভাগ করা? =তিনটি। (প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও অধুনিক যুগ)
১৭০ বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
= প্যারীচাঁদ মিত্র’র আলালের ঘরের দুলাল
১৭১ বাংলা সাহিত্যের প্রথম ট্রাজেডির নাম কি?
=কৃষ্ণকুমারী
১৭২ বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কি?
=চর্যাপদ।
১৭৩ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কি?
= মেঘনাদবধ কাব্য
১৭৪ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মূদ্রিত গ্রন্থ কোনটি?
=‘কথোপকথন’।
১৭৫ বাংলা সাহিত্যের ফসলশূন্য সময় কোনটি? =১২০০-১৩৫০, অন্ধকারযুগ
১৭৬ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন কি? =শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
১৭৭ বাংলাদেশের লোক সাহিত্যের বিখ্যাত গবেষক কে? =আশরাফ সিদ্দিকী।
১৭৮ বাংলাভাষায় একটি কবিতাও না লিখে বাংলা ভাষার কবি হয়ে আছেন কে?
= বিদ্যাপতি
১৭৯ বাংলাভাষায় প্রথম মুসলমান কবি কে ছিলেন?
= শাহ মুহম্মদ সগীর
১৮০ বাংলাভাষার প্রথম মহাকবি কে?
=বড়ু চন্ডীদাস
১৮১ বাংলার প্রথম মুদ্রন প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
=শ্রীরামপুর মিশন।
১৮২ বাংলাসাহিত্য কত বছর ধরে রচিত হচ্ছে?
=হাজার বছরের ও বেশি সময়
১৮৩ বাংলাসাহিত্যের জন্মলগ্নে কোন ভাষা টি সমাজের উঁচু শ্রেণীর ভাষা ছিল?
=সংস্কৃত
১৮৪ বাংলাসাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/ গ্রন্থ কোনটি?
= চর্যাপদ
১৮৫ বাংলাসাহিত্যের মধ্যযুগে কোন সমস্যাটি বিদ্যমান? =চন্ডীদাস
১৮৬ বাঙালি রক্তধারায় কোন কোন জাতির রক্ত মিশে আছে? =ভেড্ডা, মঙ্গোলীয়, ইন্দো-আর্য, শক
১৮৭ বিদ্যাপতি কোন রাজ্যের সভাকবি ছিলেন?
=রাজা শিবসিংহের রাজধানী মিথিলা
১৮৮ বিদ্যাপতির কি কি উপাধি ছিল?
=কবিকণ্ঠহার, মৈথিলি কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবি শেখর
১৮৯ বিষাদসিন্ধু কোন যুগের গ্রন্থ?
= আধুনিক যুগের।
১৯০ বেহুলার বাড়ি কই ছিল? =উজানিনগর
১৯১ বৈদিক ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পর্যন্ত বিবর্তনের প্রধান তিনটি ধারা কি কি?
= প্রাচীন ভারতীয় আর্য, মধ্য ভারতীয় আর্য ও নব্য ভারতীয় আর্য।
১৯২ বৈষ্ণব কবিতার চার মহাকবির নাম লিখুন।
= বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস
১৯৩ বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কে?
=বড়ু চন্ডিদাস।
১৯৪ বৈষ্ণবদের মতে রস কত প্রকার, কি কি?
=পাঁচ। শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর
১৯৫ ব্রজবুলি কোন স্থানের উপভাষা ?
= মিথিলার উপভাষা ।
১৯৬ ব্রজবুলি ভাষা কোন জাতীয় ভাষা?
= মৈথলী এবং বাংলা ভাষার মিশ্রনে যে ভাষার সৃষ্টি হয়।
১৯৭ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের রচনা কোনটি? =ভা্নুসিংহের পদাবলী
১৯৮ ব্রজবুলি ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিকের/শ্রেষ্ঠ কবি নাম কি? =বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
১৯৯ ব্রজবুলী ভাষার উদ্ভব কখন হয়?
=কবি বিদ্যাপতি যখন মৈথিল ভাষায় রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
২০০ ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি?
=খরোষ্ঠী লিপি।
২০১ ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের ধারায় কোন বর্নমালা থেকে বাংলা বর্নমালার উৎপত্তি ?
= পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা কুটিল থেকে।
২০২ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? =বর্ধমানের(বর্তমানের হাওড়া) পেঁড়োবসন্তপুর বা পান্ডুয়া গ্রামে, ( আনু্মানিক ১৭১২ )
২০৩ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন রাজসভার কবি ছিলেন? =নবদ্বীপ
২০৪ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের কয়টি ভাগ ও কি কি?
”৩টি, অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, ভবানন্দ-মান্সিং কাহিনী
২০৫ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের বিখ্যাত কাব্য কোনটি যা দুশো বছর ধরে আলোড়ন জাগিয়ে যাচ্ছে?
= বিদ্যাসুন্দর
২০৬ ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি দেন কে? =নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
২০৭ ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন রূপ কোথায় পাওয়া যায়? =প্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদের মন্ত্রগুলোতে।
২০৮ ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম রূপ কয়টি ও কি কি? =দুইটি ক. খরোষ্ঠী, খ. বাহ্মী।
২০৯ ভারতের মৌলিক লিপি কোন লিপিকে বলা বলে?
=ব্রাহ্মী লিপি।
২১০ ভাষা কী মেনে চলে? =নিয়ম কানুন
২১১ মঙ্গলকাব্যকে অপাঠ্য বলেছেন আধুনিক কোন কবি? =সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
২১২ মঙ্গলকাব্যর ধারার অন্যতম কবি?
= মুকুন্দরাম
২১৩ মধ্য যুগের বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
=১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্তু।
২১৪ মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য নিদর্শন কি?
=পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল।
২১৫ মধ্যযুগের অবসান ঘটে কখন?
= ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর সঙ্গে।
২১৬ মধ্যযুগের একজন দেশপ্রেমিক কবি কে?
= দৌলত কাজী
২১৭ মধ্যযুগের কবিতায় কি প্রকাশ পেত?
=ধর্ম
২১৮ মধ্যযুগের কোন ভাষায় রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করেছেন?
= ব্রজবুলি
২১৯ মধ্যযুগের প্রধান কাব্যধারার নাম?
= মঙ্গলকাব্য
২২০ মধ্যযুগের বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী প্রতিবাদী পুরুষ কে?
=চাঁদসওদাগর
২২১ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে? =মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
২২২ মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ফসল? =বৈষ্ণব পদাবলি
২২৩ মধ্যযুুগের বাংলা সাহিত্যর প্রধান দুটি ধারা কি ?
= ১। কাহিনীমূলক ও ২। গীতিমূলক।
২২৪ মনসা মঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?
=বিজয়গুপ্ত, বংশীদাস
২২৫ মনসামঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।
=হরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস,
২২৬ মহাভারত ও রামায়ণ কে লিখেন?
=বাল্মীকি, বেদব্যাস
২২৭ মহাভারত ও রামায়ণ বাংলায় কারা অনুবাদ করেন? =কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস
২২৮ মহাভারতের আদি রচয়িতা কে?
= বেদব্যাস।
২২৯ মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন দুটি কি?
= একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
২৩০ মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল কোনটি অনুবাদ করেন?
=পদ্মাবতী
২৩১ মালাধরবসুর রচনা কোনটি?
= শ্রীকৃষ্ণবিজয়
২৩২ মিথিলার রাজা বিদ্যাপতিকে কোন উপাধি দেন? =কবিকণ্ঠহার
২৩৩ মীর মোশাররফ সাহিত্য ক্ষেত্রে আবির্ভূত হন?
=উনিশ শতকের শেষার্ধে।
২৩৪ মুরারি শীল, ভাড়ুদত্ত, কলিঙ্গের রাজা কিসের চরিত্র? =চন্ডীমঙ্গল
২৩৫ মুসলমানরা কাকে পরাজিত করে বাংলায় আসে? =লক্ষ্মণ সেন
২৩৬ যুগ সন্ধিক্ষনের কবি কে ? =ঈশ্বরচন্দ্র দত্ত।
২৩৭ রবীন্দ্রনাথ যদি মধ্যযুগে জন্মাতেন তাহলে তিনি কি হয়ে জন্মগ্রহন করতেন?
=বৈষ্ণব কবি
২৩৮ রসুলবিজয় ও বিদ্যাসুন্দর কার রচনা?
=সাবিরিদ খান
২৩৯ রাজা লক্ষন সেনের রাজসভার পঞ্চরত কে কে ছিলেন?
=উমাপতিধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য ও জয়দেব।
২৪০ রাধা ও কৃষ্ণ কিসের প্রতীক?
= মানবাত্মা, পরমাত্মা
২৪১ রামরাম বসু কে ছিলেন? =উইলিয়াম কেরির সহযোগী
২৪২ রামায়নের আদি রচয়িতা কে?
=কবি বাল্মীকি।
২৪৩ রূপকথা কে সংগ্রহ করেছিলেন?
= দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
২৪৪ রোমান্টিক প্রণয় উপখ্যান ধারার অন্যতম গ্রন্থ?
=ইউসূফ- জুলেখা(শাহ মুহাম্মদ সগীর)
২৪৫ লক্ষ্মণ সেন কোন অঞ্চের রাজা ছিলেন?
=নবদ্বীপ
২৪৬ লখিন্দর কার পুত্র , কার স্বামী ছিলেন?
=চাঁদসওদাগর – সনকা, বেহুলা
২৪৭ লাইলি মজনু বাংলা অনুবাদ করেন কে?
=বাহরাম খান
২৪৮ শশাঙ্ক ও পাল রাজারা নিজেদের কি বলে পরিচয় দিতেন?
= গৌড়াধিপতি
২৪৯ শ্রী চৈতন্যর নামানুসারে মধ্যযুগের বিভাজন কিরূপ? =চৈতন্য পূর্ববর্তী যুগ (১২০১-১৫০০ খ্রিঃ), চৈতন্য যুগ (১৫০১-১৬০০) ও চৈতন্য পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৮০০)
২৫০ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
=পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া জেলার কাকিলা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন।
২৫১ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোন যুগের নিদর্শন?
=চৈতন্যপূর্ব যুগ।
২৫২ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কার রচনা?
= বড়ু চন্ডীদাস
২৫৩ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
=বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
২৫৪ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়? =বাঁকুড়ার এক গোয়ালঘর থেকে
২৫৫ শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের অপর নাম কি?
=ভগবত
২৫৬ শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন?
”বৈষ্ণব ধর্ম
২৫৭ শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।
=১৪৮৬-১৫৩৩
২৫৮ ষোড়শ শতকে্র মধুমালতী কার লেখা?
= মহম্মদ কবির
২৫৯ সংস্কৃত ভাষা কত অব্দে চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়? =খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ দিকে।
২৬০ সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘পুরুষপরীক্ষা’ কার রচনা?
= বিদ্যাপতি
২৬১ সংস্কৃত ভাষার অপর নাম কী?
=প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
২৬২ সনকা কার পূজা করত? =দেবীচন্ডী
২৬৩ সনকা কার স্ত্রী? =চাঁদসওদাগর
২৬৪ সনেটের জনক কে? =ইটালীর পেত্রার্ক
২৬৫ সন্ধ্যার কুহেলিকা কার পঙতিতে পঙতিতে ছড়ানো? =চর্যাপদ
২৬৬ সবচেয়ে বেশী পদ কে রচনা করেছেন ?
=কাহ্নপা-১৩ টি।
২৬৭ সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি পাওয়া গিয়েছে?
=সাড়ে ছেচল্লিশটি।
২৬৮ সীতাচরিত কার লেখা? =লোকনাথ দাস
২৬৯ সুনিতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভর কোন অপভ্রংশ থেকে কোন সময় কালে?
=পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগবী অপভ্রংশ এবং খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
২৭০ সেকান্দর নামা ও হপ্তপয়করের মূল লেখক কে? =কবি নিজামী
২৭১ সৈয়দ সুলতানের রচনাগুলি লিখুন।
= নবীবংশ, শবেমিরাজ, রসুল বিজয়, ওফাতে রসুল, জয়কুম রাজার লড়াই, ইবলিশনামা, জ্ঞানচৌতিশা, জ্ঞানপ্রদীপ
২৭২ স্বর্গের ধোপানীর নাম কি? =নেতা
২৭৩ স্বর্ণগোধিকা কি?
= গুইসাপ
২৭৪ স্বর্ণগোধিকার বেশে কে মর্ত্যে আসে?
= দেবীচন্ডী
২৭৫ হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা বাংলা ও ইংরেজী কত সালে প্রকাশিত হয়?
=১৩২৩, ১৯১৬
২৭৬ হানিফা ও কয়রা পরী কার রচনা?
= সাবিরিদ খান

 

চর্যাপদ-বিসিএস প্রিলি ও লিখিত

বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি চর্যাপদে প্রবাদ বাক্য রয়েছে ৬ টি।এগুলো হল- →আপণা মাংসে হরিণা বৈরী →দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায় → হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন → হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী → বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ → আন চাহন্তে আন বিনধা

অর্থ – 1. হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু। 2. দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়? 3. হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পন প্রয়োজন হয় না। 4. হাড়িতে ভাত নেই তবু প্রতিদিন অতিথি আসে। 5. দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। 6. অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।

চর্যাপদ হতে ২০ টি গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন ___________________________________

১. চর্যাপদের মূল পান্ডুলিপিটি কোথায়? উত্তরঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পান্ডুলিপিটি নেপালের রাজদরবারে ফেরত দেন যথাসময়ে। ১৯৬৫ সালে নীলরতন সেন ঐ পান্ডুলিপি থেকে গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। গত শতকের ছয় দশকের মাঝামাঝি রাজদরবারের গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে সেটি জাদুঘরে পরিণত হয়। এই বইগুলো নেপালের জাতীয় আর্কাইভসে নেয়া হলেও চর্যাপদের মূল এবং সম্পূর্ণ খন্ডটি অার অক্ষত নেই। হয়তো হারিয়ে গেছে।

২. চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ? উত্তরঃ চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা অাজ বলা সম্ভপর নয়। তবে অাধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।

৩. চর্যাপদে প্রাপ্ত বিচিত্র রকম মানুষের পরিচয় দাও।

২) প্রশ্ন: চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দিন । উত্তরঃ দরিদ্র জনগোষ্ঠীগুলো হল মাঝি (কামলি), বেশ্যা (দারী) , শিকারী (অহেরী), নেয়ে (নোবাহী) । এছাড়াও ডোমিনীর নগরে তাঁত ও চেঙারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের কথা উল্লেখ রয়েছে । এছাড়াও চর্যাপদে কাপালিক( কাপালি), যোগী (জোই) , পণ্ডিত আচার্য(পণ্ডিতচার্য) , শিষ্য (সীস) ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর জীবযাপন চিত্রিত হয়েছে।

৪. চর্যাপদের পদকর্তাদের সম্পর্কে ধারণা দাও।

চর্যাপদের মোট কবি ২৩ জন। এ নিয়েও বিতর্ক আছে; যেমন অনেকেই বলেন দারিক পা আর দাড়িম্ব পা আলাদা ব্যক্তি,কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হল, এই দুইজন একই ব্যক্তি। এভাবে একেকজনের গণনায় কবির সংখ্যা একেকরকম; তবে গ্রহণযোগ্য মত ২৩ জন।

চর্যাপদের প্রাচীনতম কবি সরহ পা । অনেকে দাবি করেন, লুই পা সবচেয়ে পুরোনো; তাদের এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ, চর্যার প্রথম পদটি তার রচিত, এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আদিকবি’ও বলা হয়। কিন্তু পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে,চর্যাপদের কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি সরহ পা-ই। আর সবচেয়ে বেশি পদ লিখেছেন কাহ্নু পা, ১৩টি। সরহ পা লিখেছেন ৪টি পদ। ভুসুক পা লিখেছেন ৮টি, কুক্কুরী পা ৩টি,লুই পা, শান্তি পা আর সবর পা ২টি করে। বাকি সবাই ১টি করে পদ লিখেছেন।

৫. চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দাও।

৬. চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন? উত্তরঃ ১৮৮২ সালে প্রকাশিত Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন | রাজেন্দ্রলাল মিত্রের বই হতেই প্রভাবিত হয়েই মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, “চর্যাচর্যবিনিশ্চয়” নামে কিছু পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন |পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয় ড. মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকাশনায় |এটিই পরে চর্যাপদ নামে পরিচিতি পায় |

৭. প্রশ্নঃ চর্যাপদের সাহিত্যিক মূল্য আলোচনা করুন।

উত্তরঃ চর্যাপদ প্রধানত তত্ত্ববাদের বাহন, গৌণত কবিতা । চর্যাকারেরা দার্শনিক পরিভাষা ও তন্ত্রের বিশেষ শব্দের সাহায্যে তত্ত্বদর্শনকে প্রকাশ করতে গিয়ে নানা চিত্রকল্প,উপমা, রূপকের প্রয়োগ করেছেন । সাহিত্যিক এসব উপাদান ব্যবহারের ফলে চর্যাপদ ক্রমেই সাহিত্যের পরিসীমায় এসেছে । কাব্যগুণ সমৃদ্ধ সুন্দর চিত্রের বর্ণনা চর্যাপদের অনেক স্থানে লক্ষ্য করা যায় । প্রকৃতি ও মানুষের কাব্যময় চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে চর্যাপদে । চর্যাপদের ছন্দে সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । চর্যাপদে প্রচুর অনুপ্রাসের ব্যবহার করা হয়েছে । তাই আমরা বলতে পারি, তত্ত্বদর্শন প্রকাশে চর্যাপদের যেমন অন্যান্য মূল্যবান গ্রন্থ । তেমনি সাহিত্যের বিবিধ বিষয় নির্মাণে চর্যাপদ ভূয়সী প্রশংসার দাবীদার । চর্যাপদের সাহিত্য মূল্য ও অবদান অবিস্মরণীয় ।

৮.প্রশ্নঃ চর্যাপদের ১ম পদের ২ লাইন লিখুন ।

উত্তর:কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/

চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল ।

৯.প্রশ্নঃ চর্যাপদের ভাষা কি?

উত্তরঃ চর্যাপদের ভাষা মূলত প্রাচীন বাংলা ভাষা । তবে এতে অপভ্রংশ তথা মৈথিলী, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষার প্রভাবও দেখেতে পাওয়া যায়। অনেকেই এর ভাষাকে সান্ধ্যভাষা বলে অবিহিত করেন। চর্যাপদের প্রবাদ পুরুষ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে . আলো আঁধারী ভাষা, কখনো বোঝা যায় কখনো যায় না । তবে চর্যা পদের ভাষা যে প্রাচীন বাংলা ভাষা তা গবেষণার দ্বারা প্রমাণ করেছে প্রমাণ করেছে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপ্যাধায়। ভাষার বৈশিষ্ট্য ১. ভাব কোথাও স্পষ্ট কোথায় অস্পষ্ট ২. পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।

১০. প্রশ্নঃ চর্যাগীতির ভাষা বিতর্ক লিখুন ।

উত্তরঃ চর্যাপদের সংগ্রহ প্রকাশিত হওয়ার পর এর ভাষা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন ভাষাবাষীরা তাদের নিজ ভাষার প্রাচীনতম নমুনা হিসেবে দাবি করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর সম্পাদিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকায় চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কর্তা ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাগীতিকে বাংলার প্রাচীন নমুনা হিসেবে অস্বীকার করেছিলেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে‒ তাঁরThe Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে,এইগুলিকেই প্রাচীন বাংলার নিদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্যারিস থেকে প্রকাশিত হয় Les Chants Mystique de Saraha et de Kanha গ্রন্থে সুনীতিকুমারের মত গ্রহণ করেন। রাহুল সাংকৃত্যায়ন বা অন্যান্য ভাষার বিদ্বজ্জনেরা যাঁরা চর্যাকে নিজ নিজ ভাষার প্রাচীন নিদর্শন বলে দাবি করেছিলেন, তাঁরা এই রকম সুস্পষ্ট ও সুসংহত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের দ্বারা নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন নি।

১১. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে লিখুন ।

উত্তরঃ চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা বিধৃত হয়েছে | বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতির নিগূঢ় রহস্য চর্যাপদে রূপায়ণ করেছেন | বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান শাখা কালক্রমে যে উপশাখায় বিভক্ত হয়েছিল তারই বজ্রযানের সাধন প্রণালী ও তত্ত্ব চর্যাপদে বিধৃত| মহাসুখরূপ নির্বাণ লাভ- এই হল চর্যার প্রধান তত্ত্ব | চর্যার ধর্মমত বিশেষ দীক্ষিত জনের প্রতি উদ্দীষ্ট বলে তাকে বিশুদ্ধ লোকধর্মের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মনে করা হয় না |

১২.প্রশ্ন:চর্যাপদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ। এটি মুলত বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত গান/কবিতা/পুঁথির সংকলন। চর্যাপদের সমসাময়িককালে বাংলাদেশে যে সব সংস্কৃত-প্রাকৃত-অপভ্রংশ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলো প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ উপকরণ নয়। চর্যার এই পদগুলো সম্পর্কে ১৯০৭ সালের আগে কোন তথ্যই জানা ছিল না। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ করে যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছিলেন তাতে উদ্দীপ্ত হয়ে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে নেপালের রয়েল লাইব্রেরি তথা রাজ গ্রন্থাগার থেকে ১৯০৭ সালে সে সাহিত্যের কতগুলো পদ আবিস্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এগুলোর নাম দেন চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই পদগুলোই পরবর্তীকালে

চর্যাপদ নামে পরিচিতি লাভ করে।

১৩.প্রশ্নঃ কবে, কোথায়, কীভাবে এবং কার সম্পাদনায় চর্যাপদ প্রকাশিত হয়? এর সাথে আর কোন কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ?

উত্তরঃ ড. মহামুহপাধ্যায় হর প্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যায় প্রাপ্ত পদগুলো ১৯১৬ সালে, বাংলা ১৩২৩ সনে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দুটি দোহাকোঁষ এবং ডাকার্ণব- এ চারটি পুঁথি একত্রে “হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা; অন্য তিনটি বাংলায় নয়-অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।

১৪. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ভাষা যে বাংলা তা সর্বপ্রথম কে প্রমাণ করেন।

উত্তরঃ চর্যাপদের আবিস্কারের সময় অনেক ভাষার পন্ডিতেরাই একে তাদের ভাষা বলে দাবি করেছিলেন বটে, কিন্তু ড.সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে “Origin and Development of Bengali Language” গ্রন্থে এগুলোর ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন এবং প্রমান করতে সক্ষম হন যে,চর্যাপদ আর কারো নয়; সদ্য নির্মীয়মান বাংলা ভাষার নিদর্শন।

১৫.প্রশ্নঃ চর্যায় প্রাপ্ত পুঁথিতে কতটি গান ছিল? উত্তরঃ চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট ৫১ টি গান ছিল। তার মধ্যে ১ টি (১১ সংখ্যক) পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যাত হয় নি। আবার পুঁথির কয়েকটি পাতা নষ্ট হওয়ায় তিনটি সম্পুর্ণ (২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক) পদ পাওয়া যায়নি। আবার একটি (২৩ সংখ্যক)পদের শেষাংশ পাওয়া যায়নি। তাই পুঁথিতে সর্বসমেত সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।

১৬.প্রশ্নঃ চর্যাপদের নাম সম্পর্কে কী জানেন?

উত্তরঃ চর্যাপদের নাম সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে । চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে উল্লেখকৃত সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে এই পদ সংগ্রহের নাম”আশ্চর্য চর্যাচয়”।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিগুলোর নাম দেয়া হয়েছে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। এই দুটি নাম মিলিয়ে ড.প্রবোধচন্দ্র বাগচী “চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়” নামের পরিকল্পনা করেন।

সে আমলে শত শত চর্যাগীতি রচিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। মুনিদত্তের মত অনেকেই বিভিন্ন চর্যাগীতির টীকা রচনা করেছিলেন।

কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেছিলেন”চর্যাগীতিকোষবৃত্তি” নামে। এতে মনে হয় মূল সংকলনের নাম ছিল”চর্যাগীতিকোষ”এবং এর সংস্কৃত টীকার নাম”চর্যাচর্যবিনিশ্চয়”।

তবে,এর সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য নাম হলো চর্যাপদ।

১৭. প্রশ্নঃ চর্যাপদ গুলো কারা রচনা করেন ? সহজিয়া বলতে কি বোঝায়? উত্তরঃ • চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। • সহজিয়াগণ বৌদ্ধ সহজযান পন্থি। তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন পরিবর্তনের ধারায় সহজিয়াদের উৎপত্তি। স্বদেহ কেন্দ্রীক সহজ পন্থায় সাধনা করত বলে এদের সহজিয়া বলা হয়। সহজিয়াগণ তাত্বিক চিন্তা ধারার দ্বারা প্রভাবিত বলেই ধর্মসাধনায় দেহকে বাদ দেন নি। তাদের মতে, সমস্ত সত্য দেহের মধ্যে অবস্থিত, সেই সত্যই সহজ’।

বৌদ্ধদের মতে, বৈষ্ণব সহজিয়া সম্প্রদায় | সহজিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাউলদের চিন্তার সাদ্শ্য রঢেছে।

১৮.প্রশ্নঃ ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাসের দিক থেকে চর্যাপদের গুরত্ব আলোচনা কর ?

১৯.প্রশ্নঃ চর্যপদে নারীদের স্থান ও ভূমিকা সম্পর্কে লিখুন । উত্তরঃ চর্যাপদের যুগের যুগে নারীরা খুবই স্বাধীন ছিল। তারা স্বেচ্ছায় পেশা ও সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার রাখত। • কুক্কুরীপা তাঁর একটি পদে (২ নং) বলেছেন- ” দিবসহি বহুড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই । (অর্থাৎ দিনের বেলা বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় কিন্তু রাত হলেই কামরূপ যায়। ) • কাহ্নপা একটি পদে (১০ নং) পদে জানিয়েছেন, এক ডোমিনী নগরে তাঁত ও চেঙ্গারি বিক্রি করে।

• ডোম্বী পাদের একটি পদে নারীদের নৌকা চালনা, নৌকার জলসিঞ্চন, লোক পারাপার ইত্যাদির মত কর্মে নিযুক্ত থাকার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাছাড়া নারীরা গুরুর স্থানও অধিকার করেছিল।

২০. প্রশ্নঃ চর্যাপদের ৬টি প্রবাদ বাক্য লিখুন।

উত্তরঃ চর্যাপদের ৬ টি প্রবাদ বাক্য নিম্নরূপঃ

• আপণা মাংসে হরিণা বৈরী (অাপনা মাঁসে হরিণা বৈরী) • দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায় (দুহিল দুধু নাহি বেন্টে সামায়) • হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন (হাতের কঙ্কণ মা লোউ দাপন) • হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী • বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ • আন চাহন্তে আন বিনধা

 

 

 ## বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > সমাচার দর্পণ (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র > দিকদর্শন (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র > সংবাদ প্রভাকর (প্রকাশকাল ১৮৩১)
## বাংলাদেশ ভূখন্ড প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > রংপুর বার্তাবহ (প্রকাশকাল ১৮৪৭)
## বাঙালী পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র > বাঙ্গাল গেজেট (প্রকাশকাল ১৮১৮)
## মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র > সমাচার সভারাজেন্দ্র (প্রকাশকাল ১৮৩১)
## ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র > ঢাকা প্রকাশ (প্রকাশকাল ১৮৬১)
## বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বাইরে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র > দেশবার্তা (লন্ডন থেকে প্রকাশিত)
## বাংলাদেশের নারীদের প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা > বেগম
## বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ইংরেজী দৈনিক > Bangladesh Observer

 

রশ্নঃ চর্যাপদের প্রবাদ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ৬টি। যথা
> আপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী (৬নং পদ-ভুসুকুপা)। অর্থ -হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু। মানে হরিণের মাংস দেখলেই শিকারি তাকে ধাওয়া করে। তাই এর মাংসের জন্য সে শিকারের স্বীকার হয়।

> হাতের কাঙ্কন মা লোউ দাপন (৩২নং পদ-সরহপা)। অর্থ হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পন প্রয়োজন হয় না।
> হাড়ির ভাত নাহি নিতি আবেশী (৩৩ নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে।
> দুহিলা দুধ কি বেন্টে সামায় (৩৩নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়?
> বর সুন গোহালী কিমু দুঠ্য বলন্দেঁ (৩৯নং পদ সরহপা)। অর্থ দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এই প্রবাদ টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় পরীক্ষাতেই এটা আসে। বিগত বিসিএসে আসা প্রশ্ন ছিল- এ বাক্যে গোয়াল কোন কারক? - এটি অধিকরণ কারক হবে। কারণ এখানে স্থান বোঝাচ্ছে।
> আন চাহন্তে আন বিনধা (৪৪নং পদ কঙ্কণপা)। অর্থ অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।
একের অধিক পদর্কতার নাম ও পদের সংখ্যা-
ভুসুক পা (বাঙালি কবি) ৮
সরহ পা ৪
কুক্কুরী পা (মহিলা কবি) ৩
লুই পা, শবর পা, শান্তি পা ২
লাড়ীডোম্বী পা‘র নাম পাওয়া গেলেও তাঁর কোন পদ পাওয়া যায়নি। অবশিষ্ট পদকর্তারগণ ১টি করে পদ রচনা করেন।

#চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজ-দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে। চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্র বাংলা নয়, কারণ চর্যার কবিগণ ছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলের (যথা বাংলা, উড়িষ্যা, আসাম, বিহার)। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমা তখন নানাদিকে প্রসারিত ছিল। সেজন্য উড়িষ্যা, আসাম এমনকি বিহারের ভাষাদর্শও চর্যাপদে লক্ষ্য করা যায়। ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলা, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষা পূর্ব ভারতের একই মূল কথ্য ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তাই বাঙালি, অসমিয়া ও উড়িষ্যাবাসী প্রত্যেকেই চর্যাপদের দাবিদার। তবে ‘বঙ্গাল দেশ’, ‘পঁউয়া খাল’ (পদ্মানদী), ‘বঙ্গালী ভইলি’ ইত্যাদির উল্লেখ থাকায় বাঙালির দাবি অগ্রগণ্যরূপে বিবেচিত হয়।

 

 

#সহজে_মনে_রাখুন_সমজাতীয়_বাগধারা:
-
০১। অসম্ভব জিনিস= আকাশ কুসুম,
কাঁঠালের আমস্বত্ব, কুমিরের সান্নিপাত,
ঘোড়ার ডিম, ব্যাঙের সর্দি, সোনার
পাথর বাটি।
-
০২। অপদার্থ= অকাল কুষ্মাণ্ড, আমড়া
কাঁঠের ঢেঁকি, ঢেঁকির কুমির,কচুবনের
কালাচাঁদ, কায়েতের ঘরের ঢেঁকি,
ঘটিরাম, ষাঁড়ের গোবর।
-
০৩। নির্বোধ= অসাকান্ত/অঘাচণ্ডী,
অঘারাম/অহারাম, ঢেঁকি অবতার, বুদ্ধির
ঢেঁকি।
-
০৪। শেষ বিদায় বা মৃত্যু= অগ্যস্ত যাত্রা,
পটল তোলা, অনন্ত শয্যা, ভবলীলা সাঙ্গ
হওয়া, পঞ্চত্ব প্রাপ্তি, অক্কা পাওয়া।
-
০৫। অকর্মণ্য= অপোগণ্ড, কুমড়ো কাটা
বটঠাকুর, গোবর গণেশ, ঠুটো জগন্নাথ।
-
০৬। হতভাগ্য= অষ্টকপাল, কাঁজি ভক্ষণ
নামে গোয়ালা, হাড় হাভাতে, কপাল
পোড়া।
-
০৭। ভীষণ শত্রুতা= অহি নকুল, দা কুমড়া,
আদায় কাঁচকলায়, সাপে নেউলে।
-
০৮। দুর্লভ বস্তু= আলেয়ার আলো,
আকাশের চাঁদ, বাঘের চোখ।
-
০৯। সুন্দর মিল= আম দুধে মেশা, সোনায়
সোহাগা, মাণিকজোড়, মণিকাঞ্চনযোগ।
-
১০। মন্দভাগ্য= ইঁদুর কপালে, আটকপালে,
খ-কপাল।
-
১১। অলস= গোঁফ খেজুরে, ঢিমে তেতালা,
চিনির পুতুল, ননীর পুতুল।
-
১২। দুর্বল= আটাশে ছেলে, উনপাঁজুরে।
-
১৩। বেহায়া= কানকাটা, চশমখোড়, দুকান
কাটা।
-
১৪। অত্যন্ত কৃপণ= কঞ্জুসের ডাণ্ডাখোর,
কিপটের জাসু, হাত ভাড়ি, হাতে জল না
লাগা।
-
১৫। তোষামুদে= খয়ের খাঁ, ধামাধরা,
ঢাকের কাঁঠি।
-
১৬। অলীক কল্পনা= দিবাস্বপ্ন, শূন্যে
সৌধ নির্মাণ করা।
-
১৭। অবজ্ঞা করা= নাক উচানো, নাক
সিঁটকানো।
-
১৮। উভয় সঙ্কট= জলে কুমির ডাঙায় বাঘ,
শাখের করাত, করাতের দাঁত, শ্যাম রাখি
না কুল রাখি, সাপের ছুচো গেলা।
-
১৯। সুসময়ের বন্ধু= দুধের মাছি, বসন্তের
কোকিল, শরতের শিশির, সুখের পায়রা,
লক্ষ্মীর বরযাত্রী।
-
২০। ভণ্ড= বক ধার্মিক, ভিজে বিড়াল,
বর্ণচোরা, বিড়াল তপস্বী, তুলসী বনের
বাঘ।
-
২১। অপব্যয়= ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ, ভস্মে
ঘি ঢালা, হরিলুট।
-
২২। লাজুক= মুখচোরা, মেনিমুখো।
-
২৩। একমাত্র অবলম্বন= সবে ধন নীলমণি,
অন্ধের
যষ্ঠি।
-
২৪। সৌভাগ্য= একাদশে বৃহস্পতি, কপাল
ফেরা।!

 

 

সমার্থক শব্দগুলো মনে রাখার সহজ নিয়ম:

-#সমুদ্র= যে শব্দগুলোর শেষে 'ধি' থাকবে সেগুলো সমুদ্রের প্রতিশব্দ

.

#মেঘ = যে শব্দগুলোর শেষে 'দ' বা 'ধর' থাকবে সেগুলো মেঘের প্রতিশব্দ।
.
যেমন- সমুদ্রের প্রতিশব্দ বারিধি, জলধি, জলনিধি, অম্বুধি, সরোধি, উদধি, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'ধি' আছে।
-
আবার মেঘের প্রতিশব্দ বারিদ, জলদ, অম্বুদ, তোয়দ, জলধর, পয়োধর, তোয়ধর, নীরদ, পয়োদ ইত্যাদি। লক্ষ্য করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'দ' বা 'ধর' আছে।
.
"পাহাড়"/ পৃথিবী = শব্দগুলোর শেষে "ধর" থাকলে হবে "পাহাড়" এবং "ধর" না থাকলে হবে "পৃথিবী"

,,,,,,যেমন

পাহাড় >: ভূধর, মহীধর, ধরাধর, ক্ষিতিধর, পৃথ্বিধর, অবনীধর, বসুধাধর,

পৃথিবী >: ভূ, মহী, ধরা, ক্ষিতি, পৃথ্বি, অবনী, বসুধা.

//

কালেক্টেড

 

============================

🔲বাংলা সাহিত্যে যা কিছু প্রথম :-

১। প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ - কথোপকথন (১৮০১)
২। প্রথম উপন্যাস - আলালের ঘরের দুলাল (১৮৫৭)
৩। প্রথম সার্থক উপন্যাস - দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)
৪। বাংলা ভাষায় প্রথম নাটক-ভদ্রার্জুন
৫। বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ - বেদান্ত
৬। প্রথম সামাজিক নাটক - কুলীনকুল সর্বস্ব
৭। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকী - দিকদর্শন (১৮১৮)
৮। একুশের প্রথম নাটক- কবর (১৯৫৩)
৯। প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক - স্বর্ণকুমারী দেবী
১০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্নজীবনী - আমার জীবন
১১। প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান গদ্য লেখক - মীর মশাররফ হোসেন
১২। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান নাট্যকার - মীর মশাররফ হোসেন
১৩। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন - চর্যাপদ
১৪। বাংলা সাহিত্যের আদি কবি- লুইপা
১৫।একুশের প্রথম কবিতা - কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।
১৬। প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহারকারী - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
১৭। প্রথম গীতিকাব্য - সন্দর্শন।
১৮। একুশের প্রথম উপন্যাস - আরেক ফাল্গুন (১৯৬৮)
১৯। প্রথম রোমান্টিক কাব্য- ইউসুফ-জোলেখা
২০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাটক- শর্মিষ্ঠা
২১। প্রথম বাংলা অক্ষর খোদাইকারী- পঞ্চানন কর্মাকার
২২। বাংলা ভাষায় প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা- সমাচার দর্পণ(১৮১৮)
২৩। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র - সংবাদ প্রভাকর
২৪। বাংলাদেশের নারীদের প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা- বেগম
২৫। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা প্রথম উপন্যাস - রাইফেল রোটি আওরাত
২৬। প্রথম গীতিকবি - বিহারীলাল চক্রবর্তী।
২৭। প্রথম বাংলা ঔপন্যাসিক - প্যারীচাঁদ মিত্র
২৮। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি - শাহ মুহম্মদ সগীর।
২৯। বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কবি - শাহ মুহম্মদ সগীর।
৩০। বাংলা ভাষার প্রথম গদ্য লেখক - পর্তুগিজ পাদ্রি মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
৩১। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ - রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র
৩২। প্রথম বাঙালি কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ - গৌড়ীয় ব্যাকরণ
৩৩। বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি ও প্রথম আধুনিক কবি- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৩৪। বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য- বীরাঙ্গনা।
৩৫। প্রথম সার্থক মহাকাব্য - মেঘনাদবধ কাব্য
৩৬। বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - তিলোত্তমাসম্ভব
৩৭। প্রথম কমেডি নাটক - পদ্মাবতী
৩৮। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতা - বঙ্গভাষা
৩৯। বাঙালি মুসলমান রচিত প্রথম উপন্যাস - রত্নবতী
৪০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমন কাহিনী - পালামৌ

দ্রুত লিখতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হতে পারে। বাজে কমেন্ট না করে সুন্দরভাবে ভুল ধরিয়ে দিন। তাছাড়া কোন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মতভেদ থাকলে কমেন্টে জানান।

 

#বাংলা সাহিত্যের কিছু তথ্যঃ

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
উত্তর: 'প্যারীচাঁদ মিত্রের' আলালের ঘরের দুলাল (১৮৫৮)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক কে?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪)।
১৮৬৫ সালে প্রকাশিত 'দুর্গেশনন্দিনী ­' বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক কে?
উত্তর : স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মুসলমান ঔপন্যাসিককে?
উত্তর: মীর মশরারফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোট গল্পকার কে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে মুক্তক ছন্দের প্রবর্তক কে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে গীতি কবিতার প্রথম সার্থক প্রবর্তককে?
উত্তর: বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-৯৪)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক রচয়িতা কে?
উত্তর: তারাচরণ শিকদার

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটকে রচয়িতা কে?উত্তর: রামনারায়ণ তর্করত্ন

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-৭৩)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডির রচয়িতা কে?উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রথম সনেটরচয়িতা কে?
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

প্রশ্ন: বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন কি?
উত্তর: চর্যাপদ

প্রশ্ন: চর্যাপদ আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

প্রশ্ন: বাংলায় ব্রহ্ম সাহিত্যের প্রথম রচয়িতা কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের আদিমতম গবেষক কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

প্রশ্ন: বাংলা কাব্যে প্রথম সমকালের সঞ্চারক কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা মুসলিম কবি কে?
উত্তর: মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা

প্রশ্ন: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থকোনটি?
উত্তর: রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ­ (১৮২৭-৮৬) রচিত'পদ্মিনী উপখ্যান' (১৮৫৮)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-৭৩) 'মেঘনাদবধকাব্য' (১৮৬১)।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম যতি চিহ্ন ব্যবহারকারী কে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম চলিতরীতি ব্যবহারকারী কে?
উত্তর: প্রমথ চৌধুরী

প্রশ্ন: সম্পূর্ন বাংলা অক্ষরেরনকশা প্রস্তুতকারী কে?
উত্তর: চালর্স উইলকিনস

প্রশ্ন: প্রথম বাংলা অক্ষর খোদাইকারী কে?
উত্তর: পঞ্চানন কর্মকার

প্রশ্ন: প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখক কে?
উত্তর: শামসুদ্দিন মুহম্মদ সিদ্দিকী

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিমকবি কে?
উত্তর: শাহ মুহম্মদ সগীর।

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিমমহিলা কবি কে?
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা।

প্রশ্ন: প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখিকা কে?
উত্তর: বিবি তাহেরন নেছা।

প্রশ্ন: বাংলা দৈনিকের প্রথমমহিলা সাংবাদিক কে?
উত্তর: লায়লা সামাদ।

 

  ===================

"লাল নীল দীপাবলি” থেকে ১৪২ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

১। বাংলাসাহিত্য কত বছর ধরে রচিত হচ্ছে?

-হাজার বছরের ও বেশি সময়।

২।বাংলাসাহিত্যের প্রথম বইটির নাম কী?

-চর্যাপদ।

৩।কোন শতকে বাংলাসাহিত্যের জন্ম?

-দশম শতকের মাঝামাঝি।

৪।বাংলা সাহিত্যের জন্মলগ্নে কোন ভাষা টি সমাজের উঁচু শ্রেণীর ভাষা ছিল?

-সংস্কৃত।

৫।বাংলাসাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/ গ্রন্থ কোনটি?

– চর্যাপদ।

৬।চর্যাপদের রচনাকাল- ৯৫০-১২০০

৭।বাংলা গদ্যের আবির্ভাব কোন শতকে/সালে ঘটে?

-১৮০০ সালের পর থেকে

৮।দশম শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য কোনরূপে ছিল?

-পদ্যরূপে

৯। নৃ্তাত্ত্বিকদের মতে বাঙালি পূর্বপুরুষ কারা?

-সিংহলের ভেড্ডারা

১০।‘ভারততীর্থ’ কার লেখা কবিতা?

-রবিঠাকুর

১১।বাঙালি রক্তধারায় কোন কোন জাতির রক্ত মিশে আছে?

-ভেড্ডা, মঙ্গোলীয়, ইন্দো-আর্য, শক

১২।মধ্যযুগের একজন দেশপ্রেমিক কবি কে?

-দৌলত কাজী

১৩। কোন ভাষাটি মানুষের মুখে মুখে বদলে পরিণত হয়েছে বাংলা ভাষায়?

– প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা

১৪। সংস্কৃত ভাষার অপর নাম কী?

– প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা

১৫। শব্দগুলোর পরিবর্তিত রূপ লিখুনঃ

ক) হাতচ) চাঁদ

১৬। ভাষা কী মেনে চলে?

-নিয়ম কানুন

১৭। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা পরিবর্তিত হয়ে কোন রূপটি নেয়?

-পালি

১৮। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় রূপ নেয়। এই ক্রমবিকাশের ধারায় পর্যায়ক্রমে আর কোন দুটি ভাষা ছিল?

-পালি, প্রাকৃত

১৯। কোন ভাষায় বৌদ্ধরা তাদের ধর্মগ্রন্থ আর অন্যান্য বই লিখতেন?

-পালি ভাষায়

২০। সন্ধ্যার কুহেলিকা কার পঙতিতে পঙতিতে ছড়ানো?

-চর্যাপদ

২১।চর্যাপদের ভাষা কে কি নাম দেওয়া হয়েছে?

-সান্ধ্য/আলো আঁধারির ভাষা

২২।প্রাচীন বাংলা ভাষার কয়টি স্তর ও কী কী?

-তিনটি, প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষা, মধ্য যুগের বাংলা ভাষা, আধুনিক যুগের বাংলা ভাষা

২৩।বাংলা ভাষা/সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্য, আধুনিক যুগের ব্যাপ্তিকাল লিখুন।

-৯৫০-১২০০; ১৩৫০-১৮০০;১৮০০-বর্তমান

২৪।‘বাঙলা’/’বঙ্গ’/’বাঙ্গালা’ নামগুলো উৎপত্তির কাহিনী বয়ান করেছেন কে?

-সম্রাট আকবরের সভারত্ন আবুল ফজল

২৫। বঙ্গ+আল= বাঙ্গাল, এই ‘আল’ অংশটুকু কোন প্রসঙ্গে এসেছে?

-জমির আল, সীমানা, বাঁধ

২৬। কোন শতকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল?

-ষষ্ঠ- সপ্তদশ

২৭। শশাঙ্ক কোন জনপদের রাজা ছিলেন?

-গৌড়

২৮। শশাঙ্কের আমলে পশ্চিম বাংলা প্রথমবারের মত ঐক্যবদ্ধ হয়। তখন কোন তিনটি জনপদ এক হয়ে একটি বিশাল জনপদে পরিণত হয়?

-পুন্ড্র, গৌড়, রাঢ়

২৯। শশাঙ্ক ও পাল রাজারা নিজেদের কি বলে পরিচয় দিতেন?

-গৌড়াধিপতি

৩০। গৌড়ের প্রতিদ্বন্দী ছিল কোন জনপদ?

-বঙ্গ

৩১।পাঠান শাসনামলে কোন নামে বাংলার সব জনপদ এক হয়?

-বঙ্গ

৩২।কত সালে ভারতবর্ষ তিন খন্ড হয়?

-১৯৪৭

৩৩।বাংলা সাহিত্যের ফসলশূন্য সময় কোনটি?

-১২০০-১৩৫০, অন্ধকারযুগ

৩৪। মধ্যযুগের প্রধান কাব্যধারার নাম- মঙ্গলকাব্য

৩৫। মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ফসল- বৈষ্ণব পদাবলি

৩৬। আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় অবদান কোনটি?

-গদ্য

৩৭।ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?

-উইলিয়াম কেরি

৩৮। রামরাম বসু কে ছিলেন?

– উইলিয়াম কেরির সহযোগী

৩৯। বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?

-প্যারীচাঁদ মিত্র’র আলালের ঘরের দুলাল

৪০। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কি?

-মেঘনাদবধ কাব্য

৪১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ট্রাজেডির নাম কি?

-কৃষ্ণকুমারী

৪২। মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন দুটি কি?

-একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ

৪৩। আধুনিক যুগের কোন প্রতিভাধর কবির হাত ধরে সনেট, মহাকাব্য, ট্রাজেডি এসেছে?

– মাইকেল মধুসূদন দত্ত

৪৪। চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে, কে করেন, কোথা থেকে?

-১৯০৭, পন্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

৪৫। চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত অন্য বইদুটির নাম কি?

-দোহাকোষ ও ডাকার্ণব

৪৬। হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা বাংলা ও ইংরেজী কত সালে প্রকাশিত হয়?

-১৯১৬,১৩২৩

৪৭। চর্যাপদ যে বাঙ্গালির একথা প্রমাণ করে ছাড়েন কে?

-ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

৪৮।কোন গ্রন্থে প্রমাণিত হয় যে চর্যাপদ বাঙ্গালির?

-বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ(১৯২৬)

৪৯। চর্যাপদ কিসের সংকলন?

-কবিতা বা গানের সংকলন

৫০। চর্যাপদের মোট কতটি পদ উদ্ধার করা হয়েছিলো?

-সাড়ে ছেচল্লিশটি

৫১। চর্যাপদের মোট কবি কতজন?

-২৪ জন

৫২। চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িরা কাহ্নপার অন্যনাম কি?

-কৃষ্ণাচার্য

৫৩। চর্যাপদের ঢং এ আধুনিক কোন কবি কবিতা রচনা করেছেন?

-রবি ঠাকুর

৫৪।১৮০০ শতকের আগে কবিতা গাওয়া হতো। কবিতা পড়ার বস্তু হয়ে দাঁড়ালো কোন কবির হাত ধরে?

– মাইকেল মধুসূদন দত্ত

৫৫। চর্যাপদের সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটি কে লিখেছেন?

-শবরীপা

#লাল_নীল_দীপাবলি

১।কোন শতকে মুসলমানরা বাংলায় আসে?

-তের শতক(১২০০-১২০৭)

২।মুসলমানরা কাকে পরাজিত করে বাংলায় আসে?

-লক্ষ্মণ সেন

৩।শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কার রচনা?

-বড়ু চন্ডীদাস

৪।কত সালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য উদ্ধার করা হয়?

-১৯০৯

৫। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়?

-বাঁকুড়ার এক গোয়ালঘর থেকে

৬। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?

-শ্রীবসন্ত্রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ

৭।বাংলাভাষার প্রথম মহাকবি কে?

-বড়ু চন্ডীদাস

৮। দেবতাদের কাছে মঙ্গল কামনা করা হয় কোন কাব্যে?

-মঙ্গলকাব্য

৯। কত সময় ধরে মঙ্গলকাব্য রচিত হয়?

-প্রায় পাঁচশো বছর

১০।মনসামঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।

-হরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস,

১১। চন্ডীমঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।

-মাণিক দত্ত, দ্বিজ মাধব, মকুন্দরাম চক্রবর্তী, দ্বিজ রামদেব, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর

১২।ধর্ম মঙ্গলকাব্যের কবিগণের নাম লিখুন।

-ময়ুরভট্ট, মানিকরাম, রূপরাম, সীতারাম, ঘনরাম,

১৩।মঙ্গলকাব্যকে অপাঠ্য বলেছেন আধুনিক কোন কবি?

-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

১৪। চন্ডীমঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?

– ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর, মকুন্দরাম চক্রব্রর্তী

১৫। মনসা মঙ্গলকাব্যের দু’জন সেরা কবি কে কে?

-বিজয়গুপ্ত, বংশীদাস

১৬।কালকেতু-ফুল্লরা কিসের কাহিনী?

-চন্ডীমঙ্গল

১৭।ধনপতি লহনা কিসের কাহিনী?

– চন্ডীমঙ্গল

১৮। কালকেতু-ফুল্লরার স্বর্গীয় নাম কি ছিল?

-নীলাম্বর, ছায়া

১৯। স্বর্ণগোধিকা কি?

-গুইসাপ

২০। স্বর্ণগোধিকার বেশে কে মর্ত্যে আসে?

-দেবীচন্ডী

২১। মধ্যযুগের বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী প্রতিবাদী পুরুষ কে?

-চাঁদসওদাগর

২২। সনকা কার স্ত্রী?

-চাঁদসওদাগর

২৩।সনকা কার পূজা করত?

-দেবীচন্ডী

২৪।চাঁদসওদাগর কতদিন ঘরহারা ছিলেন?

-১২ বছর

২৫।লখিন্দর কার পুত্র , কার স্বামী ছিলেন?

–চাঁদসওদাগর – সনকা, বেহুলা

২৬।বেহুলার বাড়ি কই ছিল?

-উজানিনগর

২৭।স্বর্গের ধোপানীর নাম কি?

-নেতা

২৮।কবিকঙ্কন কার উপাধি ছিল? তিনি কোথাকার কবি ছিলেন?

– মকুন্দরাম চক্রবর্তী, সিলিম্বাজ শহরের গোপীনাথ তালকের দামুন্যা গ্রামে

২৯।মধ্যযুগের নির্বিকার, নিরাবেগ কবি কে ছিলেন?

– মকুন্দরাম চক্রবর্তী

৩০।মুরারি শীল, ভাড়ুদত্ত, কলিঙ্গের রাজা কিসের চরিত্র?

-চন্ডীমঙ্গল

———————————————

১. দেবী অন্নদা কার খেয়ানৌকায় নদী পার হয়?

-ঈশ্বরী পাটনি

২।“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” দেবী অন্নদার কাছে এটি কার প্রার্থনা?

– ঈশ্বরী পাটনি

৩।“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” এটি কার রচনা?

-ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর

৪।ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

-বর্ধমানের(বর্তমানের হাওড়া) পেঁড়োবসন্তপুর বা পান্ডুয়া গ্রামে, ( আনু্মানিক ১৭১২ )

৫। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন রাজসভার কবি ছিলেন?

-নবদ্বীপ

৬।ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি দেন কে?

– নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র

৭। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের বিখ্যাত কাব্য কোনটি যা দুশো বছর ধরে আলোড়ন জাগিয়ে যাচ্ছে?

-বিদ্যাসউন্দর

৮। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের কয়টি ভাগ ও কি কি?

-৩টি, অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, ভবানন্দ-মান্সিং কাহিনী

৯।“মন্ত্রের সাধন কিংবা শ্রীর পাতন” / “নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়” কার রচিত?

– ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর

১০।শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।

-১৪৮৬-১৫৩৩

১১। শ্রীচৈতন্যদেব কোন ধর্ম প্রচার করেন?

-বৈষ্ণব ধর্ম

১২।বৈষ্ণব কবিতার চার মহাকবির নাম লিখুন।

-বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস

১৩।মধ্যযুগের কবিতায় কি প্রকাশ পেত?

-ধর্ম

১৪।রাধা ও কৃষ্ণ কিসের প্রতীক?

-মানবাত্মা, পরমাত্মা

১৫।বৈষ্ণবদের মতে রস কত প্রকার, কি কি?

-পাঁচ। শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর

১৬।রবীন্দ্রনাথ যদি মধ্যযুগে জন্মাতেন তাহলে তিনি কি হয়ে জন্মগ্রহন করতেন?

-বৈষ্ণব কবি

১৭।মধ্যযুগের কোন ভাষায় রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করেছেন?

-ব্রজবুলি

১৮। ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রবীন্দ্রনাথের রচনা কোনটি?

-ভা্নুসিংহের পদাবলী

১৯।বিদ্যাপতি কোন রাজ্যের সভাকবি ছিলেন?

-রাজা শিবসিংহের রাজধানী মিথিলা

২০।বিদ্যাপতির কি কি উপাধি ছিল?

-কবিকণ্ঠহার, মৈথিলি কোকিল, অভিনব জয়দেব, নব কবি শেখর

২১।বাংলাসাহিত্যের মধ্যযুগে কোন সমস্যাটি বিদ্যমান?

-চন্ডীদাস

২৩।বাংলাভাষায় একটি কবিতাও না লিখে বাংলা ভাষার কবি হয়ে আছেন কে?

-বিদ্যাপতি

২৪।এক অক্ষর কবিতাও না লিখে বাংলাসাহিত্যের ইতিহাস দখল করে আছেন কে?

-শ্রী চৈতন্যদেব

২৫।চৈতন্যদেবের জীবনকাল লিখুন।

-১৪৮৬-১৫৩৩(repeated)

২৬।চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, মৃত্যুস্থান লিখুন।

-নবদ্বীপ, পুরী

২৭।চৈতন্যদেবের আসল নাম ও ডাক নাম কি ছিল?

-বিশ্বম্ভর, নিমাই

২৮।চৈতন্যদেবের জীবনী হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা কোনটি, কে রচনা করেন?

-চৈতন্যচরিতামৃত

২৯।সীতাচরিত কার লেখা?

-লোকনাথ দাস

৩০।জার্মান ভাষায় বাইবেল অনুবাদ রচনা করেছিলেন কে?

-মার্টিন লুথার

৩১।মহাভারত ও রামায়ণ কে লিখেন?

-বাল্মীকি, বেদব্যাস

৩২। মহাভারত ও রামায়ণ বাংলায় কারা অনুবাদ করেন?

-কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস

৩৩। পরাগল খান কাকে দিয়ে আংশিকভাবে মহাভারত রচনা করান?

-কবীন্দ্র পরমেশ্বর

৩৪।পরাগল খানের ছেলের নাম কি?

-ছুটি খান

৩৫। মালাধরবসুর রচনা কোনটি?

-শ্রীকৃষ্ণবিজয়

৩৬।শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের অপর নাম কি?

-ভগবত

৩৭।‘পুরষ্কার’ কার কবিতা?

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮।কৃত্তিবাসের জন্মস্থান কোথায়?

-নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে

৩৯।কাশীরাম কোন সময়ের মধ্যে মহাভারত রচনা করেন?

-১৬০২-১৬১০ এর মধ্যে

৪০।লক্ষ্মণ সেন কোন অঞ্চের রাজা ছিলেন?

-নবদ্বীপ

৪১। বাংলাভাষায় প্রথম মুসলমান কবি কে ছিলেন?

-শাহ মুহম্মদ সগীর

৪২।তিনি কার রাজত্বকালে কাব্যরচনা করেন, কোন কাব্য?

-সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ, ইউসুফ-জোলেখা

৪৩।হানিফা ও কয়রা পরী কার রচনা?

-সাবিরিদ খান

৪৪।কারা ফারসি ভাষায় ইউসুফ-জোলেখা রচনা করেন?

-ফেরদৌসি ও জামী

৪৫।লাইলি মজনু বাংলা অনুবাদ করেন কে?

-বাহরাম খান

৪৬।রসুলবিজয় ও বিদ্যাসুন্দর কার রচনা?

– সাবিরিদ খান

৪৭।ষোড়শ শতকে্র মধুমালতী কার লেখা?

-মহম্মদ কবির

৪৮।নসিহতনামা কার রচনা?

-আফজল আলী

৪৯।সৈয়দ সুলতানের রচনাগুলি লিখুন।

-নবীবংশ, শবেমিরাজ, রসুল বিজয়, ওফাতে রসুল, জয়কুম রাজার লড়াই, ইবলিশনামা, জ্ঞানচৌতিশা, জ্ঞানপ্রদীপ

৫০।আব্দুল হাকিমের আটটি কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলোর নাম লিখুন।

– ইউসুফ-জোলেখা, নূরনামা, কারবালা, শহরনামা

৫১।“যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী… ন জানি” কোন কাব্যের অন্তর্গত?

-নূরনামা

৫২।আরাকান রাজ্যের সভাকবি কারা?

-আলাওল, মাগন ঠাকুর, কাজি দৌলত

৫৩। আরাকান রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?

– আলাওল

৫৪। কোরেশী মাগন ঠাকুর কাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন?

– আলাওল

৫৫। কোরেশী মাগন ঠাকুরের রচনা কোনটি?

-চন্দ্রাবতী

৫৬।আলাওল কোন দশকের কবি?

-সপ্তদশ

৫৭।আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?

-পদ্মাবতী

৫৮।মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল কোনটি অনুবাদ করেন?

– পদ্মাবতী

৫৯।সেকান্দর নামা ও হপ্তপয়করের মূল লেখক কে?

-কবি নিজামী

৬০।প্রাচীন হিন্দি ভাষার মহাকবি কে? তার কাব্যের নাম কি?

-মালিক মুহম্মদ জায়সি

৬১। মিথিলার রাজা বিদ্যাপতিকে কোন উপাধি দেন?

-কবিকণ্ঠহার

৬২।সংস্কৃত ভাষায় রচিত ‘পুরুষপরীক্ষা’ কার রচনা?

-বিদ্যাপতি

৬৩।চৈতন্যচরিতামৃত কার লেখা?

-কৃষ্ণদাস কবিরাজ

///

========================

শিবরাত্রির সলতে' বাগধারাটির অর্থ
™ একমাত্র সন্তান।
২। টেকে গোঁজা ' বলতে কী বুঝায়?
™ পকেট ভারী করা।
৩। ঢাকের কাঠি বাগধারা অর্থ-
™ মোসাহেব।
৪। ঢাকের বাঁয়া বাগধারা দিয়ে কোনটা প্রকাশ পায়?
™ যার কোন মূল্য নেই/ অকেজো সঙ্গী।
৫। ব্যাঙের অাধুলি বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অর্থের অহংকার।
৬। গোবর গণেশ দিয়ে কোন বাগধারাটি প্রকাশ পায়?
™ মূর্খ।
৭। গৌরচন্দ্রিকা বাগধারাটির অর্থ কী?
™ ভূমিকা।
৮। মাছি মারা কেরানি ' অর্থ কী?
™ বিচারবোধহীন নকলনবিশ।
৯। লেজে খেলানো ' বাগধারাটির অর্থ?
™ বশীভূত করা।
১০। ধামাধরা বলতে বুঝায়?
™ চাটুকারিতা।
১১। পায়াভারি কথাটির অর্থ কি?
™ অহংকার।
১২। অন্তর টিপুনী বলতে কি বুঝায়?
™ গোপন ব্যাথা।
১৩। বাপের ঠাকুর বাগধারাটির অর্থ হলো-
™ উচ্ছন্নে যাওয়া।
১৪। হালে পানি পাওয়া অর্থ কি?
™ বিপদমুক্ত হওয়া।
১৫। নেই অাঁকরা - এর সঠিক অর্থ কোনটি?
™ একগুঁয়ে।
১৬। অাঁতে ঘা- বাগধারাটির অর্থ কী?
™ মনে কষ্ট।
১৭। ভানুমতীর খেল' অর্থ কী?
™ ভেলকিবাজি।
১৮। কাপুড়ে বাবু' বাগধারা অর্থ?
™ বাহ্যিক সভ্য।
১৯। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির অর্থ?
™ সত্যবাদিতার ভান করা।
২০। ধর্মের ষাঁড় বাগধারাটির অর্থ?
™ যথেচ্ছাচারী।
২১। পিপুফিশু দ্বারা কী বুঝায়?
™ কুঁড়ের বাদশা।
২২। কোলাব্যাঙ বাগধারাটির অর্থ কী?
™ বাকসর্বস্ব।
২৩। শিরে সংক্রান্তি বাগধারা অর্থ কী?
™ অাসন্ন বিপদ।
২৪। ধোপদুরস্ত বাগধারাটির অর্থ?
™ পরিপাটি।
২৫। পঞ্চত্বপ্রাপ্তি অর্থ?
™ মারা যাওয়া।
২৬। মাছরাঙার কলঙ্ক' বাগধারাটির অর্থ কি?
™ অনেক অপরাধীর মধ্যে একজনকে দায়ী করা।
২৭। লক্ষীর বরযাত্রী বাগধারাটির অর্থ কি?
™ সুসময়ের বন্ধু।
২৮। কচ্ছপের কামড় বলতে কী বুঝায়?
™ নাছোড়বান্দা।
২৯। ক-অক্ষর গোমাংস অর্থ কী?
™ অশিক্ষিত ব্যক্তি।
৩০। তালপাতার সেপাই অর্থ কী?
™ অতিশয় দূর্বল।
৩১। পোড় খাওয়া অর্থ কী?
™ প্রতিকূলতা পার হয়ে অাসা।
৩২। অগস্ত্য যাত্রা বাগধারাটির অর্থ কী?
™ শেষ বিদায়/যাত্রা।
৩৩। অজগর বৃত্তি' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অালসেমী।
৩৪। অকালে বাদলা' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অপ্রত্যাশিত বাধা।
৩৫। অাষাড়ে গল্প 'বাগধারাটির অর্থ?
™ গাঁজাখুরি গল্প।
৩৬। অাট কপালে বাগধারাটির অর্থ?
™ হতভাগ্য।
৩৭। অামড়া কাঠের ঢেঁকি কে কি বলে?
™ অপদার্থ।
৩৮। কুঁড়ে স্বভাব 'বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অাঠারো মাসে বছর।
৩৯। ঊনকোটি চৌষট্টি বাগধারাটির অর্থ কী?
™ প্রায় সম্পূর্ণ।
৪০। ঊনপঞ্চাশ বায়ু' বাগধারাটির অর্থ কী?
™ পাগলামি / বদমেজাজ।
৪১। ঊনপাঁজুরে বাগধারাটির অর্থ-
™ দূর্বল/ হতভাগ্য।
৪২। ইঁদুর কপালে বিপরীত বাগধারা কোনটি?
™ একাদশে বৃহস্পতি।
৪৩। ইতর বিশেষ 'অর্থ কী?
™ ভেদাভেদ /পার্থক্য।
৪৪। ইতর ' অর্থ কি?
™ বদমেজাজ।
৪৫। উলুবনে মুক্তা ছড়ানো বাগধারাটির অর্থ?
™ অপাত্রে দান।
৪৬। রাবণের চিতা অর্থ কি?
™ চির অশান্তি।
৪৭। উলুখাগড়া অর্থ কি বুঝায়?
™ গুরুত্বহীন লোক।
৪৮। গাছ পাথর 'বাগধারাটির অর্থ কি?
™ হিসাব নিকাশ।
৪৯। উড়নচণ্ডী 'বাগধারাটির অর্থ কী?
™ অমিতব্যয়ী।
_____^^^____^^^____^^

 

১। মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে

মানবের মাঝে আমি বাচিবার চাই।

--- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কড়ি ও কোমল)

.

২। কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারি সমান রাঙা।
--- সত্যন্দ্রনাথ দত্ত (মানুষ জাতি)
.
৩। কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়
তা বলে কুকুরকে কামড়ানো কি
মানুষের শোভা পায়
--- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (উত্তম ও অধম)
.
৪। করিতে পারি না কাজ
সদা ভয়, সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
--- কামিনী রায় (পাছে লোকে কিছু বলে)
.
৫। বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুজিতে যাই না আর।
--- জীবনানন্দ দাশ (রূপসী বাংলা)
.
৬। যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে
খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাড়পত্র)
.
৭। কান্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা
দাঁড়ি মুখে সারি গান লা শরীক আল্লাহ।
--- কাজী নজরুল ইসলাম (খেয়া পারের তরণী)
.
৮। মম এক হাতে বাঁকা বাশেঁর বাশঁরি,
আরেক হাতে রণ-তূর্য।
--- কাজী নজরুল ইসলাম (বিদ্রোহী)
.
৯। রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক
ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের বেয়ে কোথায়
চলে যাও।
--- জসীম উদদীন (রাখাল ছেলে)
.
১০। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে
হবে স্থান,জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত
ধ্বংসস্তূ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাত্রপত্র)
.
১১। "কেমনে ধরিব হিয়া?
আমার বঁধূয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙিনা দিয়া।"
---- চন্ডীদাস।
.
১২। "সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিনু
অনলে পুড়িয়া গেল।
--- জ্ঞানদাস
.
১৩। মুলুক ফতেহবাদ গৌড়তে প্রধান
তথা জালালপুর অতি পুণ্যস্থান।
--- আলাওল
.
১৪। আমি আর কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
--- গগণ হরকরা
.
১৫। আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
--- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (বড় কে)
.
১৬। কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি,বিদেশের ঠাকুর ধরিয়া।
--- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
.
১৭। পাখিসব করে রব, রাতি পোহাইল
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।
--- মদনমোহন তর্কালঙ্কার
.
১৮। ফুলের গন্ধু ঘুম আসে না একলা জেগে রই
মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি
কই?
--- যতীন্দ্রমোহন বাগচী (কাজলা দিদি)
.
১৯। মোদের গরব মোদের আশা
আ-মরি বাংলা ভাষা।
--- অতুল প্রসাদ সেন
.
২০। মহজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমণ
হয়েছিল প্রাতঃস্মরণীয়।
--- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (জীবন সঙ্গীত)
২১। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব
আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ়
অঙ্গীকার।
--- সুকান্ত ভট্টাচার্য (ছাড়পত্র)
.
২২। বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে
আবার এসে গাঁয়।
--- শেষ ফজলল করিম (গাঁয়ের ডাক)
.
২৩। তুলি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি
ভুলে,সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।
--- ফররুখ আহমদ (পাঞ্জেরী)
.
২৪। জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে
মরি যেন এই দেশে।
--- সুফিয়া কামাল (জন্মেছি এই দেশে)
.
২৫। কবিতায় আর কি লিখিব?
যখন বুকের রক্তে লিখেছি
একটি নাম বাংলাদেশ।
--- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শহীদ স্মরণে)
.
২৬। মাগো, ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে,
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না বল, মা।
--- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (কোন এক মাকে)
.
২৭। আমার মায়ের সোনার নোলক
হারিয়েগেল শেষে,হেথায় খুজি হেথায়
খুজি সারা বাংলাদেশে।
--- আল মাহমুদ (নোলক)
.
২৮। ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে
মানচিত্র খাব।
--- রফিক আজাদ
২৯। এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন
প্রাণ,মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।
---রবীন্দ্রনাথ চিত্তরঞ্জন দাস কে উদ্দেশ্য করে ।
৩০। গ্রহণ করেছ যত, ঋণী করেছ তত আমায়।
--- লাবণ্য (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেষের
কবিতা)

=======================================

 

জেনে_রাখা_ভালো

কিছু confusing সমার্থক শব্দ:

.

১. 'খ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'আকাশ';

আর 'খগ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'পাখি'।

২. 'পবন' শব্দের অর্থ হলো 'বাতাস';
আর 'পাবন' শব্দের অর্থ হলো 'আগুন'।

৩. 'পরভৃৎ' শব্দের অর্থ হলো 'কাক';
আর 'পরভৃত' শব্দের অর্থ হলো 'কোকিল'।

৪. 'কুমুদ' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম', 'কুমুদিনী' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্মের দল';
আর 'কুমুদনাথ' শব্দের অর্থ হলো 'চন্দ্র'।

৫. 'নগ' শব্দের অর্থ হলো 'পর্বত';
আর 'নাগ' শব্দের অর্থ হলো 'সাপ'।

৬. 'পাদপ' শব্দের অর্থ 'যে পা দিয়ে পান করে', 'বৃক্ষ';
আর 'পাদ্য' শব্দের অর্থ 'পা ধোয়ার জল'।

৭. 'দ্বীপ' শব্দের অর্থ হলো 'চারদিকে জল-বেষ্টিত ভূভাগ';
'দীপ' শব্দের অর্থ হলো 'প্রদীপ'/'বাতি';
আর 'দ্বিপ' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।

৮. 'পুষ্কর' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম';
আর 'পুষ্করিণী' শব্দের অর্থ হলো 'পুকুর'।

৯. 'আপন' শব্দের অর্থ হলো 'নিজ';
আর 'আপণ' শব্দের অর্থ হলো 'দোকান'।

১০. 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';
আর 'মহীরুহ', 'ক্ষিতিরুহ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।

১১. 'জীমূত' শব্দটি দিয়ে 'মেঘ' ও 'পাহাড়' দুটোই বুঝায়।

১২. 'সরোবর' শব্দটি দিয়ে 'দীঘি' ও 'পদ্ম' দুটোই বুঝায়;
আর 'সরোদ' শব্দের অর্থ 'এক প্রকার তারের বাদ্যযন্ত্র'।

১৩. 'অটবি' শব্দটি দিয়ে 'বন' ও 'বৃক্ষ' দুটোই বুঝায়।

১৪. 'কুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বন';
'নিকুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বাগান';
আর 'কুঞ্জর' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।

১৫. 'মৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'হরিণ';
আর 'শাখামৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'বানর'।

১৬. 'পানি' শব্দের অর্থ 'জল';
আর 'পাণি' শব্দের অর্থ 'হাত'।

১৭. 'শিখণ্ডী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';
আর 'শিখরী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ', 'পাহাড়'।
'শিখী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';
আর 'শাখী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।

১৮. 'কান্তা' শব্দের অর্থ হলো 'নারী';
আর 'কান্তার' শব্দের অর্থ হলো 'বন'।

১৯. 'আষাঢ়' হলো একটি মাসের নাম;
আর 'আসার' হলো 'জলকণা'/'নিদর্শন'/'চিহ্ন'।

২০. 'ভূ', 'মেদিনী', 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';
আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'ধর' যুক্ত হয় (যেমন- ভূধর, মেদিনীধর, মহীধর, ক্ষিতিধর) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'পাহাড়';
আর যখন শব্দগুলোর সাথে 'পাল'/'নাথ'/'পতি' যুক্ত হয় (যেমন- ভূপাল, ভূপতি, মহীপাল, মহীনাথ, ক্ষিতিপাল, ক্ষিতিনাথ, ক্ষিতিপতি) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'রাজা'।

২১. 'প্রভা', 'কিরণ', 'অংশু', 'বিভা', 'ময়ূখ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'রশ্মি'/'আলো';
আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'কর'/'মালী' যুক্ত হয় (যেমন- প্রভাকর, কিরণমালী, অংশুমালী, বিভাকর, ময়ূখমালী) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'সূর্য'।

২২. আমরা অনেক সময় 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ'-এর প্রতিশব্দগুলো গুলিয়ে ফেলি কারণ এদের প্রতিশব্দগুলো প্রায় কাছাকাছি ধরণের। তাই আমরা সহজে এভাবে মনে রাখতে পারি- যে শব্দগুলোর শেষে 'ধি' থাকবে সেগুলো সমুদ্রের প্রতিশব্দ এবং যে শব্দগুলোর শেষে 'দ' বা 'ধর' থাকবে সেগুলো মেঘের প্রতিশব্দ।
যেমন- সমুদ্রের প্রতিশব্দ বারিধি, জলধি, জলনিধি, অম্বুধি, সরোধি, উদধি, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'ধি' আছে।
আবার মেঘের প্রতিশব্দ বারিদ, জলদ, অম্বুদ, তোয়দ, জলধর, পয়োধর, তোয়ধর, নীরদ, পয়োদ ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'দ' বা 'ধর' আছে।

ব্যতিক্রম: মোটামুটি একটি ব্যতিক্রমই রয়েছে সেটি হলো 'জলধর'। এই শব্দটি দ্বারা 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ' দুটোকেই বুঝায়।

 

 

   ================================

★শব্দার্থ

#কাকোদর শব্দের অর্থ কী? >>> সাপ

#দুর্মদ শব্দের অর্থ কী? >>>অত্যাচারী

#হর্ম্য শব্দের অর্থ কী? >>>প্রসাদ

#কদলী শব্দের অর্থ কী? >>>কলা

#কোন্দা শব্দের অর্থ কী? >>>তালগাছের নৌকা

#নির্বন্ধ শব্দের অর্থ কী? >>>বিধান

#পনস কোন ফলের নাম? >>>কাঁঠাল

#সম্পৃক্ত শব্দের অর্থ কী? >>>সংযুক্ত

#বেসাতি শব্দের অর্থ কী? >>>কেনাবেচা

#কর্বূর শব্দের অর্থ কী? >>>রাক্ষস

#জাফরি শব্দের অর্থ কী? >>>চৌকোনা ছিদ্রের বেড়া

#কালাকাল শব্দের অর্থ কী? >>>>সুসময় ও দুঃসময়

#ঋষভ শব্দের অর্থ কী? >>>ষাঁড়

#আর্তব শব্দের অর্থ কী? >>>ঋতু

#তন্ডুল শব্দের অর্থ কী? >>>চাল

#শিলীমুখ শব্দের অর্থ কী? >>>ভ্রমর

#ব্রততী শব্দের অর্থ কী? >>>লতা

#বায়ু শব্দের সমার্থক শব্দ কী? >>>বাত

 

#খোঁটা=গঞ্জনা


#নিত্যক্রিয়া=দৈনন্দিন কর্ম

#আক্রোশ=বিদ্বেষ,ক্রোধ।

#ঝংকার=গুঞ্জন,বীণা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রাদির শব্দ।

#দয়াপরতন্ত্র=দয়াদ্র,দয়ার বশীভূত।

#আজগুবি=অদ্ভুদ,অবিশ্বাস্য।

#পঞ্জর=পাঁজর,বুকের হাড়ের খাঁচা।

#সরোদনে=কেঁদে কেঁদে।

#স্বভাবকৌতুহলী দ্বারলগ্নকর্ণ=আড়ালে অবস্থান করে অন্যের কথোপকথন শোনা।

#শরশয্যা=মৃত্যুশয্যা।

#বন্দোবস্ত=ব্যবস্থা,আয়োজন।

#শৌখিন=রুচিবান।

#উদ্বাহু=ঊর্ধ্ববাহু,আহ্লাদে হাত উঠানো।
#সন্দিহান=সন্দেহযুক্ত।

#সুসার=প্রাচুর্য,সচ্ছলতা,সুবিধা।
#ভাঁড়েও ভবানী=রিক্ত,শূন্য।

#আবহমানকাল=চিরকাল।

#সোল্লাসে=আনন্দে।

#অবগাহন=সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল।

#উপায়ান্তর=অন্য কোনো উপায়।

#স্বশিক্ষিত=নিজে নিজে শিক্ষিত।


#গতাসু=মৃত।

#গলাধঃকরণ=গিলে ফেলা।

#কারদানি=বাহাদুরি।

#উদরপূর্তি=পেট ভরানো।

#এতেন্স=গ্রিসের রাজধানী।

০১| অভ্র___মেঘ/আকাশ(শুভ্র--সাদা)
০২| অভ্র___খনিজ ধাতু(Mica)
০৩| অয়োময়___লৌহকঠিন
০৪| অবিহিত___অনুচিত
০৫| অবিরাম___অনবরত
০৬| অভিরাম___সুন্দর
০৭| অভিনিবেশ__মনোযোগ
০৮| ওষ্ঠাধর___উপরের ও নিচের ঠোঁট
০৯| অলীক___মিথ্যা
১০| অনীক___সৈন্য
১১| ফরিক___সৈন্য
১২| অনিকেত___গৃহহীন/ছন্নছাড়া
১৩| অর্বাচীন___মূর্খ/কনিষ্ঠ/অপক্ব
১৪| অষ্টরম্ভা___ফাঁকি/শূন্য
১৫| অধমর্ণ___ঋণী/ঋণগ্রহীতা
১৬| উত্তমর্ণ___সুদখোর/ঋণদাতা
১৭| অসি____অস্ত্র/আয়ূধ/প্রহরণ/খড়ক
১৮| অছি___অভিভাবক
১৯| অমরাবতী__স্বর্গ/স্বর্গীয় উদ্যান
২০| অপঙ্গ___দৃষ্টিকোণ
২১| অপলাপ__অস্বীকার/গোপন
২২| অশ্ব___ঘোড়া
২৩| অশ্ম___পাথর
২৪| অশন___খাদ্যদ্রব্য
২৫| আঁধার___অন্ধকার
নোট→নোট রমজান
২৬| আধার___স্থান
২৭| আহব____যুদ্ধ
২৮| আশী___দাঁত
২৯| আপণ(সাধু শব্দে)___দোকান
৩০| আসার____প্রবল বৃষ্টিপাত/জলকণা
৩১| আষাঢ়___মাস বিশেষ
৩২| আবরণ__পোশাক
৩৩| আভরণ___অলঙ্কার
৩৪| আকিঞ্চন___চেষ্টা
৩৫| ইনকিলাব___বিপ্লব
৩৬| ইত্তেফাক___সম্প্রীতি
৩৭| উচাটন___উৎকণ্ঠা
৩৮| উদীচী____উত্তর দিক
৩৯| প্রতীচী____দক্ষিণ দিক
৪০| প্রাচ্য_____পশ্চিম দিক
৪১| প্রতীচ্য___পূর্ব দিক
৪২| উত্তরী/উত্তরীয়___চাদর
৪৩| উপরোধ___অনুরোধ
৪৪| উপাদান___উপকরণ
৪৫| উপাধান___বালিশ
৪৬| উৎকুন____উকুন
৪৭| ঊর্মি____ঢেউ
৪৮| ঊর্ণনাভ___মাকড়সা/অষ্টপদ
৪৯| ঋক____শ্লোক/ছোট কবিতা/শোলক
৫০| ঋজু____সোজা(বঙ্কিম/বক্র-বাঁকা)

০১. আহব - যুদ্ধ।

০২. অভিরাম - সুন্দর।

০৩. আকাল - দুর্ভিক্ষ।
০৪. কুণ্ডুয়ান - কুণ্ডলী পাকান।
০৫. শম - শান্তি।
০৬. মার্জার - বিড়াল।
০৭. কপোল-গণ্ডদেশ।
০৮. শিষ্টাচার - সদাচার।
০৯. অভিনিবেশ - মনোযোগ।
১০. নির্মোক - সাপের খোলস।

১১. গণ্ডগ্রাম - বৃহৎ গ্রাম।

১২. শ্বশ্রু - শাশুড়ি।

১৩. শ্মশ্রু - গোঁফদাড়ি।

১৪.প্রথিত - বিখ্যাত।

১৫. জঙ্গম - গতিশীল ।

১৬. প্রাকৃত - স্বাভাবিক।

১৭. বিরাগী - উদাসীন।

১৮. কেওয়াট - কপাট।

১৯. বহুব্রীহি - বহু ধান।

২০. অপলাপ - অস্বীকার।

২১. বামেতর - ডান।

২২. কনক - স্বর্ণ।

২৩. দিনমণি - সূর্য।

২৪. কিরীট - মুকুট।

২৫. কিরীটিনী - মুকুট ভূষিত।

২৬. হেমহর্ম - স্বর্ণনির্মিত অট্টালিকা।

২৭. আবিল - কলুষিত।

২৮. শৃঙ্গধর - পর্বত।

২৯. অহি - সাপ।

৩০. অবলেপে - সগর্বে; সদর্পে।

৩১. কৌমুদি - জোৎস্না।

৩২. কুমুদ -পদ্ম।

৩৩. কুঞ্জর - হাতি।

৩৪. সাদী - অশ্বরোহী সেনা।

৩৫. শূর - বীর।

৩৬. মকর - সমুদ্র।

৩৭. প্রভঞ্জ - প্রবল বায়ু।

৩৮. নিগর - শৃঙ্খল।

৩৯. বীতংস - পাখি ধরার ফাঁদ।

৪০. ভাল - কপাল।

৪১. বারীন্দ্র - সমুদ্র।

৪২. সমভিব্যাহারে - সঙ্গে নিয়ে।

৪৩. মৃগয়া - বনে গিয়ে হরিণ শিকার।

৪৪. সংহতি - সংযোগ সাধন।

৪৫. নীবার - উড়িধান;তৃণধান্য।

৪৬. ঈদৃশ - এই রকম।।

৪৭. মাদৃশ - আমার মতো।

৪৮. তাদৃশ - সে রকম।

৪৯. সমীপবর্তিনী - নিকটবর্তী হয়েছে এমন নারী।

৫০. আতপ - সূর্যকিরণ।

৫১. শোণিত - রক্ত।

৫২. আধার - আশ্রয়।

৫৩. প্রসবণ - ঝরনা।

৫৪. নিনাদ - শব্দ।

৫৫. নীপবৃক্ষ - কদম গাছ।

৫৬. রসাল - আম।

৫৭. বারিধি - সমুদ্র।

৫৮. আততায়ী - গুপ্তঘাতক।

৫৯. চরিতার্থ - সফল।

৬০. জণয়িতা - জন্মদাতা।

৬১. অন্তরায় - বাঁধা।

৬২. জিগর - হৃদয়,প্রাণ,মন।

৬৩. আঁশটে - মাছের আঁশের গন্ধযুক্ত।

৬৪. মীনসন্তান - মাছ।

৬৫. ধোঁয়াশা - ধোঁয়া ও কুয়াশার মিলিত ফল।

৬৬. কল্কি - তামাক ভরে তাতে আগুন দেওয়া হয় এমন পাত্র বা ছিলিম।

৬৭. পাটাতন - নৌকা বা জাহাজের কাঠের মেঝে

৬৮. জনান্তিকে - সংগোপনে; জনগনের আড়ালে।

৬৯. পতঞ্জলি - পাণিনি ব্যাকরণের ভাষ্যকার।

৭০. ওয়াগণ - মালগাড়ি।

☞ ক্লান্ত হলে কিন্তু চলবে না...!!

৭১. আরক্ত - লালচে।

৭২. পাণিনি - বিখ্যাত বৈয়াকরণ।

৭৩. বর্ষীয়সী - অতিশয় বৃদ্ধা।

৭৪. রায়ট - দাঙ্গা।

৭৫. এল নিনিও - খুদে শিশু।

৭৬. উন্নত দেশ - Developed country|

৭৭. উন্নয়নশীল দেশ - Developing country।

৭৮. স্বল্পোন্নত দেশ - least Developed country|

৭৯. আদমশুমারী - লোক গণনা পদ্ধতি।

৮০. সৎকার - সমাদর; আপ্যায়ন।

৮১. বহিত্র - নৌকা।

৮২. অদ্রি - পর্বত।

৮৩. শরণি - সড়ক,পথ ,রাস্তা।

৮৪. দামিনী - বিদ্যুৎ।

৮৫. জলধি - সমুদ্র।

৮৬. নিপাত - পতন।

৮৭. হায়দর - ব্যাঘ্র, সিংহ।

৮৮. কোহিনূর - সুবিখ্যাত হীরকখণ্ড।

৮৯. বিবর্ধন - উত্তেজনা।

৯০. বিরাগী - উদাসীন।

৯১.বেসাতি - কেনা বেচা।

৯২. কুক্কুট - মুরগী।

৯৩. বীচী - তরঙ্গ।

৯৪. আভরণ - অলংকার।

৯৫. শীকর - জলকণা।

৯৬. শীল - চরিত্র।

৯৭. খপোত - উড়োজাহাজ।

৯৮. রাতুল - লাল।

৯৯. নির্বন্ধ - বিধান।

১০০. শম্বর - হরিণ।

১০১. গোকুল - গরু জাতি।

১০২. মকমক - ব্যাঙের ডাক।

১০৩. পল্লবগ্রহিতা - ভাসা ভাসা জ্ঞান।

১০৪. কুম্ভলিক - অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে যে চালায়।

১০৫. সম্যক - সর্বতোভাবে, পরিপূর্নরূপে

১০৬. অভিধান- শব্দার্থ।

১০৭. গবাক্ষ - জানালা।

১০৮. মার্তন্ড - সূর্য।

১০৯. উর্ণনাভ - মাকড়সা।

১১০. ওদন - ভাত।

#collected

 ==============================================

বিদেশি শব্দ মনে রাখার টেকনিকঃ
জাপানি শব্দঃ
জাপানিরা জুডো, কম্ফু, কারাতে খেলে হারিকেনসহ রিক্সায় করে হাসনাহেনা ফুল নিয়ে প্যাগোডায় যায়, সুনামির ভয়ে সামপানে চড়ে হারিকিরি করে।
জাপানি শব্দঃ
জুডো, কম্ফু, কারাতে, হারিকেন, রিক্সা, হাসনাহেনা, প্যাগোডা, সুনামি,সামপান, হারিকিরি।
গুজরাটি শব্দঃ
গুজরাটিরা হরতাল এর দিন কোন জয়ন্তী হলে খদ্দর পরে।
গুজরাটি শব্দঃ হরতাল,জয়ন্তী, খদ্দর।
তুর্কি শব্দ:
এক তুর্কি উজবুক দারোগা তোপের বসে তার কুলি ও চাকরকে মুচলেকা দিয়ে বলল যদি জঙ্গলে গিয়ে চাকু ও কাচি দিয়ে লাশ কাটতে পার তবে আমার বাবুর্চি তোমাদের চকমক কোর্মা রেধে খাওয়াবে।
তুর্কি শব্দঃ উজবুক, দারোগা, তোপ, কুলি, চাকর, মুচলেকা, জঙ্গল, চাকু, কাচি, লাশ, বাবুর্চি, চকমক, কোর্মা।
ফরাসি শব্দ:
ফরাসি বুর্জোয়ারা আঁতাত করলেও কুপন ছাড়া ফিরিঙ্গির মত কার্তুজ নিয়ে রেস্তোরা, ক্যাফে ডিপোতে প্রবেশ করে না।
ফরাসি শব্দঃ বুর্জোয়া, আঁতাত, কুপন, ফিরিঙ্গি, কার্তুজ, রেস্তোরা, ক্যাফে, ডিপো।
ওলন্দাজ শব্দ:
ওলন্দাজরা হরতন রুইতন ইস্কাপন ও টেক্কাদিয়ে তাসে তুরুপ মারে।
ওলন্দাজ শব্দঃ হরতন, রুইতন, ইস্কাপন, ও টেক্কা,তাস, তুরুপ।

 

 

 

 

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ
.
১,রাইফেল রোটি আওরাত;আনোয়ার পাশা।
২,জাহান্নাম হইতে বিধায়;শওকত ওসমান।
৩,ওংকার;আহমদ ছফা।
৪,হাঙ্গর নদী গ্রেনেড;সেলিনা হোসেন।
৫,খাঁচায়;রশীদ হায়দার।
.
কবিতাঃ
১,মুক্তিযোদ্ধা;জসীমউদদীন।
২,দগ্ধগ্রাম;জসীমউদদীন।
৩,বন্দী শিবির থেকে;শামসুর রহমান।
৪,পুত্রদের প্রতি;আবুল হোসেন।
৫,প্রথম শহীদ বাংলাদেশের মেয়ে;সুফিয়া কামাল।
.
নাটকঃ
১,পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় - সৈয়দ শামসুল হক
২,বকুলপুরের স্বাধীনতা;মমতাজউদদীন আহমদ।
৩,নরকে লাল গোলাপ;আলাউদদীন আল আজাদ।
৪,আয়নায় বন্ধুর মুখ;আবদুল্লাহ আল মামুন।
৫,যে অরন্যে আলো নেই;নীলিমা ইব্রাহিম।
স্বাধীনতাপূর্ব ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ইঙ্গিতবাহী উপন্যাসঃ
১,ক্রতিদাসের হাসি;১৯৬২;শওকত ওসমান।
২,কিষাণ;১৯৬৯;ইন্দু সাহা।
৩,রাঙ্গা প্রভাত;১৯৫৭;আবুল ফজল।
৪,নীড় সন্ধানী;১৯৬৮;আনোয়ার পাশা।
৫,বিদ্রোহী কৈবর্ত;১৯৬৯;সত্যেন সেন।
.
চলচ্চিত্রঃ
১,ওরা ১১ জন;চাষী নজরুল ইসলাম।
২,গেরিলা;নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
৩,লাল সবুজ;শহীদুল ইসলাম।
৪,আমার দেশের মাটি;অনন্ত হীরা।
৫,প্রত্যাবর্তন;মোস্তফা কামাল।
-
প্রামান্য চিত্রঃ
১,দুঃসময়ের বন্ধু;শাহরিয়ার কবির।
২,১৯৭১;তানভীর মোকাম্মেল।
৩,স্টপ জেনোসাইড;জহির রায়হান।
৪,মুক্তির গান;তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ।
৫,লিবারেল ফাইটার্স;আলমগীর কবির।
.
ছোটগল্পঃ
১,একাত্তরের যীশু;শাহরিয়ার কবির।
২,জন্ম যদি তব বঙ্গে;শওকত ওসমান।
৩,নামহীন গোত্রহীন;হাসান আজিজুল হক।
৪,মিলির হাতে স্টেনগান;আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
৫,বীরাঙ্গনার প্রেম;বিপ্রদাস বড়ুয়া।
.
স্মৃতিকথাঃ
১,আমি বিজয় দেখেছি;এম আর আখতার মুকুল।
২,একাত্তরের দিনগুলি;জাহানারা ইমাম।
৩,একাত্তরের ডায়েরী;সুফিয়া কামাল।
.
প্রবন্ধঃ
১,A search for identity;মে.মো.আবদুল জলিল
২,The liberation of Bangladesh;মে.জে,সুখওয়ান্ত সিং।
৩,একাত্তরে ঢাকা;সেলিনা হোসেন।
৪,আমি বীরাঙ্গনা বলছি;ড.নীলিমা ইব্রাহিম।
বিদেশী ভাষার বইঃ
১,The rape of Bangladesh;অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।
২,Legacy of Blood ;অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।
৩,The testimony of sixty;Oxfam
৪,A search for identity;
৫,The liberation of Bangladesh;
.
স্থাপত্যঃ
১,জাতীয় স্মৃতিসৌধ;সাভার;সৈয়দ মইনুল হোসেন।
২,বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ;মিরপুর;মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
৩,স্বোপার্জিত স্বাধীনতা;ঢাবি;শামীম শিকদার;
৪,সংশপ্তক;জাবি.
৫,অপরাজেয় বাংলা;ঢাবি;সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ।
.
গানঃ
১,মোরা একটি ফুলকে বাচাব;গোবিন্দ হালদার।
২,জন্ম আমার ধন্য হল;নাঈম গহর।
৩,জনতার সংগ্রাম চলবেই;সিকানদার আবু জাফর।
৪,শুন একটি মুজিবুরের;গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার।
৫,নোঙ্গর তোল তোল;নাঈম গহর।

 

১। হাত, পা , কান, মাথা >>>> তদ্ভব শব্দ
২। কলম ,ইমন, ইশারা , খবর >> আরবি ।।
৩। আব্বু > উর্দু , বাবা > তুর্কি , বাপ > দেশি
৪। আম্মু > উর্দু , মা > তদ্ভব ,
৫। দাদা - দাদি, চাচা- চাচি , ফুফা-ফুফি , দুলা ,বেটা,পানি, ঝামেলা, ঠিকানা, জায়গা , জিলাপি , চানাচুর , ডালপুরি >>> হিন্দি
৬। চন্দ্র , সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র , স্বামী , পুত্র , খাদ্য >> তত্সম
৭। বেগম,বিবি, খাতুন, চাকু, কাঁচি,বন্দুক, খোকা ,বাবুর্চি, উজবুক, , কোর্মা > তুর্কি
৮। পেঁপে , আনারস, পাউরুটি , আচার , চাবি, বালতি,গামলা, জানালা , সাবান, তোয়ালে , টুপি, ফিতা,কামিজ, সেমিজ, আলপিন , মাইরি > পর্তুগিজ।
৯। রিক্সা, ক্যারাটে , হাসনাহেনা , হারিকিরি >>> জাপানি
১০। চা, চিনি, লিচু, লুচি >>>>>> চীনা
১১। দাম , সেমাই, সুড়ঙ্গ, কেন্দ্র >>>> গ্রীক
১২। লুঙ্গি , ফুঙ্গি > বর্মি
১৩। কুপন, কাফে, রেস্তরা , রেনেসাঁস,েআঁতাত > ফরাসি ।
১৪। চকোলেট > মেক্সিকান
১৫। হরতাল,খদ্দর >>> গুজরাটি
১৬। পেট,ঢেঁকি,চুলা, কুলা, আলু, ডাব, ডাগর , ঝোল, ঢেউ, টোপর, গঞ্জ , ডিঙ্গা, ডিঙ্গি , ঢিল, চোঙ্গা >> দেশি শব্দ ।
১৭। ম্যাজেন্টা , মাফিয়া >> েইতালি ।
১৮। রোয়ানু >> দিভেহী ( মালদ্বীপ)
.
১৯। তদ্ভব শব্দের কিছু উদাহরণঃ গোয়াল, গরু, ঘোড়া, উট, হাতি, গাধা, সাপ, সোনা, রুপা, আম, ছাতা, লাঠি, বাতি, চোখ, কান, এক, দুই, তিন, পোয়া, সাড়ে, দেড়, আধ, মা, বাপ, ভাই, বোন, মামা, জ্যাঠা, কামার, বাঁদর, ভাত, , মেয়ে, , মাস, . শিউলি, কুমার, পয়লা, দোসরা, পাঁচই, আমি, তুমি, তিনি, চলে, হয়, নাচে, কাল, ভালো, হালকা, পাতলা, বাছুর, , আজ, আলতা, আটপৌরে, দেউলিয়া, দেউটি, উনুন, এয়ো, ওঝা, চিড়া, ছুতা, ছাতা, জট, ঝি ইত্যাদি।
==================================
মিশ্র শব্দ
=================
ডাক্তারখানা (ইংরেজি + ফরাসি)
হেড মৌলভী (ইংরেজি+ফারসি)
হেড মাস্টার (ইংরেজি+ইংরেজি)
খ্রিস্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম)
মাস্টার মশাই (ইংরেজি+তদ্ভব)
পকেটমার (ইংরেজি+বাংলা)
বোমাবাজ (পর্তুগিজ+ফরাসি)
শাকসবজি (তৎসম+ফারসি)
হাটবাজার (বাংলা+ফরাসি)
রাজাবাদশা (তৎসম+ফরাসি)
আইনজীবি (ফরাসি+তৎসম)
চৌহদ্দি (ফারসি+আরবি)
কালিকলম (বাংলা+আরবি)
=======
টেকনিকে মিশ্র শব্দঃ
রাজা বাদশারা তাদের খ্রিস্টাব্দে
হেড মৌলভী, হেড পন্ডিতদের খুব সম্মান
করতেন। সেই সময় পকেটমাররা,
ডাক্তারখানা, হাটবাজারের
চৌহ্দ্দিতে ঘোরাফেরা
===
=
‘Oxygen’-এর ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দ কোনটি?
-- অম্লজান
========================
যৌগিক শব্দঃ
----------------------
টেকনিক >> >>মিতালি মধুর পড়ুয়া গায়ক কর্তব্য না করে বাবুয়ানা ভাব করে দৌহিত্রকে নিয়ে সাংবাদিকের সাথে চিকামারে।

ব্যাখ্যাঃ মিতালি, মধুর, পড়ুয়া, গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, দৌহিত্র, সাংবাদিক, চিকামারা।

------------------------------------------------------------
রূঢ়ি শব্দঃ
------------
টেকনিক >> >> তৈলে ভাজা সন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ পাঞ্জাবী পড়ে গবেষণা করে হস্তীর পিঠে চড়ে দারুণ বাঁশি বাজায়।

ব্যাখ্যাঃ তৈল, সন্দেশ, প্রবীণ, পাঞ্জাবী, গবেষণা, হস্তী, দারুণ, বাশি।


---------------------------------------
যোগরূঢ় শব্দঃ
--------------------
টেকনিক >> >>রাজপুত পঙ্কজ তুরঙ্গমে চড়ে মহাযাত্রায় গিয়ে জলধির নিকট আদিত্যের সাথে দণ্ডবৎ হয়ে রইল।

ব্যাখ্যাঃ রাজপুত, পঙ্কজ, তুরঙ্গম, মহাযাত্রা, জলধি, আদিত্য, দণ্ডবৎ।
======
=======
পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ →
.
‪#‎কতগুলো‬ শব্দ কেবল পুরুষ বোঝায়---
→ কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, রাষ্ট্রপতি।
.
#কতগুলো শব্দ পুরুষ ও স্ত্রী দু-ই বোঝায়---
→ গুরু, শিশু, সন্তান, জন, শিক্ষিত, পাখি।
.
‪#‎নারীকে‬ সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে---
→ শ্রদ্ধাস্পদাসু
.
‪#‎লিঙ্গান্তর‬ হয় না এমন শব্দ ---
→ কবিরাজ, কেরানী ,রাষ্ট্রপতি, ডাক্তার ।
.
#কতগুলো নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ ---
→ শাঁকচুন্নী, সধবা, সতীন, সপত্নী, বিধবা, সধবা, ডাইনি, কুলটা এয়ো, দাই।

০১। অপরাহ্ন — অপরাহ্ণ
০২। অনুসূয়া — অনসূয়া
০৩। অত্যোন্ত — অত্যন্ত
০৪। অনুসঙ্গিক — আনুষঙ্গিক
০৫। আয়ত্ব — আয়ত্ত

০৬। আদ্যোন্ত — আদ্যন্ত

০৭। আকাংখা — আকাঙ্ক্ষা
০৮। আশীষ — আশিস
০৯। আশিবিষ — আশীবিষ
১০। আমাবস্যা — অমাবস্যা
১১। আলচ্যমান — আলোচ্যমান
১২। ইতিপূর্বে — ইতঃপূর্বে
১৩। ইতিমধ্যে — ইতোমধ্যে
১৪। ইদানিংকাল — ইদানীং
১৫। উচ্ছাস — উচ্ছ্বাস
১৬। উজ্জল — উজ্জ্বল
১৭। উদীচি — উদীচী
১৮। উপরুক্ত — উপরিউক্ত/উপর্যুক্ত
১৯। উৎকর্ষতা — উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা
২০। উত্তরায়ন — উত্তরায়ণ
২১। উপযোগীতা — উপযোগিতা
২২। ঋন — ঋণ
২৩। একত্রিত — একত্র
২৪। ঐক্যতান — ঐকতান
২৫। ঐক্যমত — ঐকমত্য
২৬। কল্যান — কল্যাণ
২৭। কর্মজীবি — কর্মজীবী
২৮। কৃতীত্ব — কৃতিত্ব
২৯। কলংকিত — কলঙ্কিত
৩০। কার্য্যালয় — কার্যালয়
৩১। কৃজ্জটিকা — কৃজ্ঝটিকা
৩২। গীতাঞ্জলী — গীতাঞ্জলি
৩৩। জগত — জগৎ
৩৪। জোৎস্না — জ্যোৎস্না
৩৫। জীবীকা — জীবিকা
৩৬। তোরন — তোরণ
৩৭। তরান্বিত — ত্বরান্বিত
৩৮। তত্বাবধায়ক — তত্ত্বাবধায়ক
৩৯। দারিদ্রতা — দারিদ্র্য /দরিদ্রতা
৪০। দৈন্যতা — দৈন্য /দীনতা
৪১। দ্বন্দ — দ্বন্দ্ব
৪২। দূরাদৃষ্ট — দুরাদৃষ্ট
৪৩। দুষনীয় — দূষণীয়
৪৪। দূরাবস্থা — দুরবস্থা
৪৫। দধিচি — দধীচি
৪৬। নূন্যতম — ন্যূনতম
৪৭। নিরব — নীরব
৪৮। নিক্কন— নিক্বণ
৪৯। নিশিথিনি — নিশীথিনী
৫০। পরিস্কার — পরিষ্কার
৫১। পুরষ্কার — পুরস্কার
৫২। পানিণি — পাণিনি
৫৩। প্রনয়িণী — প্রণয়িনী
৫৪। পৈত্রিক — পৈতৃক
৫৫। পুরান — পুরাণ
৫৬। পিপিলিকা — পিপীলিকা
৫৭। প্রতিযোগীতা — প্রতিযোগিতা
৫৮। পোষ্টমাষ্টার — পোস্টমাস্টার
৫৯। প্রতিদ্বন্দ্বীতা — প্রতিদ্বন্দ্বিতা
৬০। প্রাণীবিদ্যা — প্রাণিবিদ্যা
৬১। বিভিসিকা — বিভীষিকা
৬২। বুদ্ধিজীবি — বুদ্ধিজীবী
৬৩। বহিঃস্কার — বহিষ্কার
৬৪। ব্রাক্ষ্মন — ব্রাহ্মণ
৬৫। ব্যাতিত — ব্যতীত
৬৬। বিদুষি — বিদুষী
৬৭। বিদ্যান — বিদ্বান
৬৮। ব্যপ্ত — ব্যাপ্ত
৬৯। বৈচিত্র — বৈচিত্র্য
৭০। বাল্মিকি — বাল্মীকি
৭১। বয়ঃজেষ্ঠ্য — বয়োজ্যেষ্ঠ
৭২। ভূবণ — ভুবন
৭৩। ভৌগলিক — ভৌগোলিক
৭৪। ভাগিরথী — ভাগীরথী
৭৫। ভ্রাতাগন — ভ্রাতৃগণ
৭৬। ভবিষ্যৎদানী — ভবিষ্যদ্বাণী
৭৭। মুহুর্ত — মুহূর্ত
৭৮। মূমর্ষু — মুমূর্ষু
৭৯। মূর্ধণ্য — মূর্ধন্য
৮০। মনিষি — মনীষী
৮১। মন্ত্রীত্ব — মন্ত্রিত্ব
৮২। মন্ত্রীসভা — মন্ত্রিসভা
৮৩। মুখস্ত — মুখস্থ
৮৪। মরীচীকা — মরীচিকা
৮৫। মনকষ্ট — মনঃকষ্ট
৮৬। মনুসত্য — মনুষ্যত্ব
৮৭। মনোপুত — মনঃপূত
৮৮। মুহূর্মুহু — মুহুর্মুহু
৮৯। যথেষ্ঠ — যথেষ্ট
৯০। লজ্জাস্কার — লজ্জাকর
৯১। শুণ্য — শূন্য
৯২। শ্বাশুড়ি — শাশুড়ি
৯৩। শশ্রুষা — শুশ্রূষা
৯৪। শান্তনা — সান্ত্বনা
৯৫। শিরচ্ছেদ — শিরশ্ছেদ
৯৬। শ্রদ্ধাঞ্চলী — শ্রদ্ধাঞ্জলি
৯৭। ষ্টেশন — স্টেশন
৯৮। ষান্মাসিক — ষাণ্মাষিক
৯৯। সমিচিন — সমীচীন
১০০। সন্যাসী — সন্ন্যাসী
১০১। সুষ্ঠ — সুষ্ঠু
১০২। স্বরস্বতী — সরস্বতী
১০৩। স্বামীগৃহ — স্বামিগৃহ
১০৪। সম্বর্ধনা — সংবর্ধনা
১০৫। স্নেহাশীষ — স্নেহাশিস
১০৬। সংস্কৃতিক — সাংস্কৃতিক
১০৭। সহযোগীতা — সহযোগিতা
১০৮। স্বায়ত্বশাসন — স্বায়ত্তশাসন
১০৯। সদ্যজাত — সদ্যোজাত

১১০। সৌজন্যতা — সৌজন্য

 

  এক কথায় প্রকাশ:
💮💮💮
অক্ষি
//
১. অক্ষির সমীপে > > সমক্ষ
২. অক্ষির অভিমুখে>> প্রত্যক্ষ
৩। অক্ষির অগোচরে>> পরোক্ষ
৪।চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত >>চাক্ষুষ
.
চর্ম
//
বাঘের চর্ম >> কৃত্তি
হরিণের চর্ম > অজিন
সাপের খোলস>> নির্মোক / কঞ্চুক
হরিণের চর্মের আসন>> অজিনাসন
.
ধ্বনি
//
গম্ভীর ধ্বনি>> মন্দ্র
আনন্দজনক ধ্বনি> নন্দিঘোষ
.
হাসি
//
যে নারীর হাসি সুন্দর > >সুস্মিতা
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত > শুচিস্মিতা
.
দেখা
//
যা পূর্বে দেখা যায় নি > অদৃষ্টপূর্ব
যা পূর্বে ছিল এখন নেই > ভূতপূর্ব
যা পূর্বে কখনো হয় নি > অভূতপূর্ব
.
বৃদ্ধি
//
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে>> বর্ধিষ্ণু
যা ক্রমশ বিস্তীর্ণ হচ্ছে> ক্ষীয়মাণ
ইন্দ্রকে জয় করেন যিনি > ইন্দ্রজিত্
ইন্দিয়কে জয় করেন যিনি > জিতেন্দ্রীয়
.
ইতিহাস
//
ইতিহাস রচনা করেন যিনি > ঐতিহাসিক
ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি ?> ইতিহাসবেত্তা ।
.
ফল ও গাছ
//
ফল পাকলে যে গাছ মারা যায় > ওষধি
যেসব গাছে থেকে ঔষধ প্রস্তুতি হয়> ঔষধি।
.
আকাশে উড়ে ও চড়ে
//
আকাশে চড়ে যে> খেচর
আকাশে গমন করে যে >বিহগ/বিহঙ্গ

1 অকালে পক্ক হয়েছে যা- অকালপক্ব।

2 অনুতে (পশ্চাতে) জন্মেছে যে- অনুজ

3 অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার -অনভিজ্ঞ।

4 অহংকার নেই যার-নিরহংকার।

5 আচারে নিষ্ঠা আছে যার -আচারনিষ্ঠ।

6 আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আদ্যন্ত, -আদ্যোপান্ত ।

7 আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা -আত্মকেন্দ্রিক

8 ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি -ইতিহাসবেত্তা।

9 ইতিহাস রচনা করেন যিনি -ঐতিহাসিক।

10 ইন্দ্রিয়কে জয় করেন যিনি -জিতেন্দ্রিয়।

.

11 ঈষৎ আমিষ (আঁষ) গন্ধ যার -আঁষটে।

12 উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন।

13 উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ

14 উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ।

15 এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত -একাদিক্রমে।

16 কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী -কর্মঠ।

17 কোনাে ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না -অনিবার্য।

18 চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত -চাক্ষুষ

19 জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত

20 তল স্পর্শ করা যায় না যার -অতলস্পর্শী।

21 পা থেকে মাথা পর্যন্ত -আপাদমস্তক।

22 ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় -ওষধি।

.

23 যা অতি দীর্ঘ নয়- নাতিদীর্ঘ।

24 যা কষ্টে জয় করা যায় -দুর্জয়।

25 যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ।

26 যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু -বন্ধুর।

27 যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে -বর্ধিষ্ণু।

28 যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতােষ্ণ।

29 যা দীপ্তি পাচ্ছে -দেদীপ্যমান।

30 যা পূর্বে ছিল এখন নেই -ভূতপূর্ব।

31 যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব

32 যা পূর্বে শােনা যায় নি -অশ্রুতপূর্ব

33 যা বলা হয় নি -অনুক্ত

34 যা বলার যােগ্য নয় -অকথ্য

35 যার অন্য উপায় নেই -অনন্যোপায়।

36 যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে -প্রত্যুৎপন্নমতি

37 যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল

38 যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে সর্বহারা,- হৃতসর্বস্ব।

39 যিনি বক্তৃতা দানে পটু -বাগ্মী।।

40 যে ক্রমাগত রােদন করছে- রােরুদ্যমান।

41 যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে -বীরপ্রসূ

42 যে নারীর সন্তান বাঁচে না -মৃতবৎসা।

43 যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ --শ্বাপদসংকুল

44 যে বিষয়ে কোনাে বিতর্ক (বা বিসংবাদ) নেই অবিসংবাদিত।

45 যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত

46 যে রােগ নির্ণয় করতে হাতড়িয়ে ক্লান্ত -হাতুড়ে

47 লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা।

48 সকলের জন্য প্রযােজ্য -সর্বজনীন।

49 হনন করার ইচ্ছা- জিঘাংসা

.

.

শুধু ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রাপ্ত এক কথায় প্রকাশ: ৫১টি

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

1 অক্ষির সমক্ষে বর্তমান -প্রত্যক্ষ।

2 অনেকের মধ্যে একজন -অন্যতম।

3 আকাশে বেড়ায় যে আকাশচারী,- খেচর।

4 আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে- পণ্ডিতম্মন্য।

5 আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক।

6 আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক।

7 একই মাতার উদরে জাত যে- সহােদর।

8 দিনে যে একবার আহার করে -একাহারী।

9 নদী মেখলা যে দেশের -নদীমেখলা।

10 নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার -নশ্বর।

11 নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে -নাবিক।

12 বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী।।

13 বিশ্বজনের হিতকর -বিশ্বজনীন।

14 মৃতের মতাে অবস্থা যার -মুমূর্ষ।

15 যা অধ্যয়ন করা হয়েছে -অধীত।

16 যা আঘাত পায়নি -অনাহত।

17 যা উদিত হচ্ছে -উদীয়মান।

18 যা কখনাে নষ্ট হয় না -অবিনশ্বর।

19 যা চিন্তা করা যায় না অচিন্তনীয়,- অচিন্ত্য।

20 যা জলে ও স্থলে চরে -উভচর।

21 যা জলে চরে- জলচর।

22 যা থলে চরে- থলচর।

23 যা দমন করা কষ্টকর -দুর্দমনীয়।

24 যা দমন করা যায় না- অদম্য।

25 যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার।

26 যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান।

27 যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্বলন্ধ।

28 যা মর্ম স্পর্শ করে -মর্মস্পর্শী।

29 যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল।

30 যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন- অনন্যসাধারণ।

31 যার আকার কুৎসিত -কদাকার।

32 যার কোনাে উপায় নেই -নিরুপায়।

33 যার কোনাে কিছু থেকেই ভয় নেই -অকুতােভয়।

34 যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না -বর্ণচোরা।

35 যার বিশেষ খ্যাতি আছে -বিখ্যাত।

36 যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে -পরগাছা।

37 যে গাছ কোনাে কাজে লাগে না- আগাছা।

38 যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না -বনস্পতি।

39 যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে -কাককন্ধ্যা।

40 যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা।

41 যে নারীর কোনাে সন্তান হয় না- বন্ধ্যা।

42 যে পুরুষ বিয়ে করেছে -কৃতদার।

43 যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন।

44 যে বাতু থেকে উৎখাত হয়েছে -উদ্বাস্তু।

45 যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে -অবিমৃষ্যকারী।

46 যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না -অপরিণামদর্শী।

47 যে মেয়ের বিয়ে হয়নি -অনুঢ়া।

48 যে শুনেই মনে রাখতে পারে -শ্রুতিধর।

49 যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা।

50 শুভ ক্ষণে জন্ম যার -ক্ষণজন্মা।

51 সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা -প্রত্যুদগমন।

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ: ১-৫০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

১ (যে পুরুষ) পত্নী সহ বর্তমান- সপত্নীক

২ (যে পুরুষ) স্ত্রীর বশীভূত -স্ত্রৈণ

৩ অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান -পিজরাপোল

৪ অকালে উৎপন্ন কুমড়া -অকালকুষ্মাণ্ড

৫ অক্ষি পত্রের (চোখের পাতা) লােম- অক্ষিপক্ষ্ম

৬ অক্ষিতে কাম যার (যে নারীর) -কামাক্ষী

৭ অক্ষির অগােচরে -পরোক্ষ

৮ অক্ষির অভিমুখে- প্রত্যক্ষ

৯ অক্ষির সমীপে- সমক্ষ

১০ অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যাকালীন ব্রত (কুমারীদের)- সেঁজুতি

১১ অজ (ছাগল)কে গ্রাস করে যা- অজগর

১২ অতিশয় ঘটা বা জাকজমক -বড়ম্বর

১৩ অধর-প্রান্তের হাসি -বক্রোষ্ঠিকামর

১৪ অনশনে মৃত্যু প্রায়

১৫ অনুকরণ করার ইচ্ছা- অনুচিকীর্ষা

১৬ অনুসন্ধান করার ইচ্ছা -অনুসন্ধিৎসা

১৭ অন্তরে জল আছে এমন যে (নদী) -অন্তঃসলিলা

১৮ অন্তরে যা ঈক্ষণ (দেখার) যােগ্য -অন্তরিক্ষ

১৯ অন্ন-ব্যঞ্জন ছাড়া অন্য আহার্য -জলপান

২০ অন্য গতি নাই যার-- অগত্যা

২১ অন্যের অপেক্ষা করতে হয় না যাকে অনপেক্ষ

২২ অন্যের মনােরঞ্জনের জন্য অসত্য ভাষণ -উপচার

২৩ অপকার করার ইচ্ছা --অপচিকীর্ষা

২৪ অবজ্ঞায় নাক উঁচু করেন যিনি উন্নাসিক।

২৫ অভ্র (মেঘ) লেহন / স্পর্শ করে যা অভ্রংলিহ

২৬ অরিকে দমন করে যে অরিন্দম।

২৭ অলঙ্কারের ধ্বনি শিঞ্জন।

২৮ অশ্বের ডাক হ্রেষা।

২৯ আকাশ ও পৃথিবী বা স্বর্গ ও মর্ত্য ক্রন্দসী

৩০ আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল রোদসী

৩১ আকাশে (খ-তে) ওড়ে যে বাজি খ-ধূপ

৩২ আকাশে (খ-তে) চরে যে খেচর / খচর

৩৩ আনন্দজনক ধ্বনি নন্দিঘোষ

৩৪ আভিজাত্যপূর্ণ মনে হলেও আসলে অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর -- হিংটিংছট

৩৫ আয়ুর পক্ষে হিতকর -----আয়ুষ্য

৩৬ আশীর্বাদ ও অভয়দানসূচক হাতের মুদ্রা-- বরাভয়।

৩৭ আশ্বিনমাসের পূর্ণিমা তিথি--- কোজাগর

৩৮ ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল ---বিসর্পী।

৩৯ ইন্দ্রকে জয় করেন যিনি--- ইন্দ্রজিৎ।

৪০ ইন্দ্রজাল (জাদু) বিদ্যায় পারদর্শী--- ঐন্দ্রজালিক

৪১ ইন্দ্রের অশ্ব ---উচ্চৈঃশ্রবা।

৪২ ঈষৎ উষ্ণ ---কবোষ্ণ

৪৩ উচচানে অবস্থিত ক্ষদ্র কটির ----টঙ্গি

৪৪ উদক (জল) পানের ইচ্ছা--- উদন্যা

৪৫ উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান--- উপজ্ঞা

৪৬ উরস (বক্ষ) দিয়ে হাঁটে যে ----উরগ (সর্প)

৪৭ ঋণ শােধের জন্য যে ঋণ করা হয় ----ঋণার্ণ

৪৮ ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি ----ঋত্বিক

৪৯ এক বস্তুতে অন্য বস্তুর কল্পনা ---- অধ্যাস।

৫০ একশত পঞ্চাশ বছর ---সার্ধশতবর্ষ

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ: ৫১-১০০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

৫১ ঐতিহাসিককালেরও আগের --প্রাগৈতিহাসিক

৫২ কথার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ বা প্রবচনাদি প্রয়ােগ ---বুনি

৫৩ করার ইচ্ছা-- চিকীর্ষা।

৫৪ কাচের তৈরি বাড়ি ---শিশমহল।

৫৫ কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে --করিতকর্মা

৫৬ কি করতে হবে তা বুঝতে না পারা ---কিংকর্তব্যবিমূঢ়

৫৭ কুকুরের ডাক--- বুক্কন

৫৮ কুমারীর পুত্র ---কানীনময়

৫৯ কোকিলের ডাক ---কুহু

৬০ কোনাে কিছু থেকেই যার ভয় নেই--- অকুতোভয়

৬১ ক্ষমা করার ইচ্ছা--- চিক্ষমিষা

৬২ ক্ষমার যােগ্য ---ক্ষমার্হ।

৬৩ ক্ষুদ্র অঙ্গ --- উপাঙ্গ

৬৪ ক্ষুদ্র কূপ --পাতকুয়া।

৬৫ ক্ষুদ্র গাছ --গাছড়া।

৬৬ ক্ষুদ্র গ্রাম--- পল্লিগ্রাম

৬৭ ক্ষুদ্র চিহ্ন--- বিন্দু

৬৮ ক্ষুদ্র জাতীয় বক ---বলাক।

৬৯ ক্ষুদ্র ঢাক বা ঢাক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র ---নাকাড়া

৭০ ক্ষুদ্র তিীয় বকের শ্রেণি -----বলাকা

৭১ ক্ষুদ্র নদী --সারণি

৭২ ক্ষুদ্র নাটক--- নাটিকা।

৭৩ ক্ষুদ্র নালা-- নালি।

৭৪ ক্ষুদ্র প্রলয় --খণ্ডপ্রলয়

৭৫ ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড-- নুড়ি

৭৬ ক্ষুদ্র ফেঁড়া --ফুসকুড়ি

৭৭ ক্ষুদ্র বা নিচু কাঠের আসন---- পিড়ি

৭৮ ক্ষুদ্র বাগান--- বাগিচা

৭৯ ক্ষুদ্র বিন্দু --ফুটকি

৮০ ক্ষুদ্র মৃৎপাত্র--- ভঁড়

৮১ ক্ষুদ্র রথ--- রথার্ভক

৮২ ক্ষুদ্র রাজা--- রাজড়া

৮৩ ক্ষুদ্র লতা ---লতিকারুকার

৮৪ ক্ষুদ্র লেবু ---পাতিলেবু

৮৫ ক্ষুদ্র শিয়াল ---খেকশিয়াল

৮৬ ক্ষুদ্র হাঁস ---পাতিহাঁস

৮৭ ক্ষুদ্রকায় ঘােড়া ----টাটু

৮৮ গদ্যপদ্যময় কাব্য--- চম্পু

৮৯ গমন করার ইচ্ছা ---জিগমিষা

৯০ গম্ভীর ধ্বনি ---মন্দ্র।

৯১ গরুর খুরে চিহ্নিত স্থান ---গোষ্পদ

৯২ গুরু বাসগৃহ --গুরুকুল।

৯৩ ঘরের অভাব --হা-ঘর

৯৪ চতুরঙ্গ অষ্টপ্রহর (সারা দিন) ব্যবহার্য যা--- আটপৌরে

৯৫ চার অভ্রান্ত জ্ঞান-- প্রমা।

৯৬ চৈত্র মাসে উৎপন্ন ফসল-- চৈতালি

৯৭ চোখের কোণ --অপাঙ্গ

৯৮ জয় করার ইচ্ছা --জিগীষা

৯৯ জয়ের জন্য যে উৎসব-- জয়ন্তী

১০০ জলপানের জন্য দেয় অর্থ --জলপানি (বৃত্তি)

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ: ১০১-১৫০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

১০১ জলে ও স্থলে চরে যে ---উভচর।

১০২ জানবার ইচ্ছা--- জিজ্ঞাসা

১০৩ জ্বল জ্বল করছে যা--- জাজ্বল্যমান।

১০৪ জ্বলছে যে অর্চি (শিখা) ---জ্বলদর্চি

১০৫ ঠেঙিয়ে ডাকাতি করে যারা--- ঠ্যাঙারে।

১০৬ তুরিত গমন করতে পারে যে--- তুরগ (ঘোড়া)

১০৭ তৃণাচ্ছাদিত ভূমি--- শাল।

১০৮ ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা ---তিতীর্ষা

১০৯ দমন করা কষ্টকর যাকে ---দুর্দমনীয়

১১০ দমন করা যায় না যাকে ---অদম্য

১১১ দান করার ইচ্ছা ---দিৎসা

১১২ দিনের অপর ভাগ ---অপরাহু

১১৩ দিনের পূর্ব ভাগ --পূর্বাহ

১১৪ দিনের মধ্য ভাগ--- মধ্যাহ্ন

১১৫ দিনের সায় (অবসান) ভাগ--- সায়াহ্ন

১১৬ দুয়ের মধ্যে একটি ---অন্যতর

১১৭ দেখবার ইচ্ছা --দিদৃক্ষা

১১৮ দেখে চোখের আশা মেটে না যাকে-- অতৃপ্তদৃশ্য

১১৯ দ্বারে থাকে যে ---দৌবারিক।

১২০ ধনুকের ধ্বনি--- টঙ্কার

১২১ ধন্যবাদের যােগ্য--- ধন্যবাদাহ

১২২ ধর্মপুরুষ বা সন্ন্যাসীর পর্যটন পরিব্রাজন

১২৩ ধর্মীয় কাজ করার জন্য তীর্থভ্রমণ প্রব্রজ্যা

১২৪ ধুর (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি) ধারণ করে যে ধুরন্ধর

১২৫ নষ্ট হওয়া স্বভাব যার নশ্বর।

১২৬ নারীর কটিভূষণ রশনা।

১২৭ নারীর কোমরবেষ্টনিভূষণ মেখলা

১২৮ নারীর লীলাময়ী নৃত্য লাস্য

১২৯ নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল) নিদাঘ

১৩০ নিন্দা করার ইচ্ছা জুগুপ্সা

১৩১ নির্মাণ করার ইচ্ছা --নির্মিসা

১৩২ নীল বর্ণ পদ্ম--- ইন্দির।

১৩৩ নূপুরের ধ্বনি ---নিকৃণ

১৩৪ ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি --নৈয়ায়িক

১৩৫ পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব ---রজত জয়ন্তী

১৩৬ পঙক্তিতে বসার অনুপযুক্ত ---অপাঙতেয়

১৩৭ পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব ---সুবর্ণ জয়ন্তী

১৩৮ পত্নী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পুনর্বিবাহ--- অধিবেদন

১৩৯ পত্নীর সাথে বর্তমান --সপত্নীক

১৪০ পদ্মের উঁটা বা নাল--- মৃণাল।

১৪১ পদ্মের ঝাড় বা মৃণালসমূহ ---মৃণালিনী

১৪২ পদ্মের ন্যায় অক্ষি বা চোখ --পুণ্ডরীকাক্ষ

১৪৩ পরকে (কোকিল শাবক) পালন করে যে---- পরভৃৎ (কাক)

১৪৪ পরের (কাকের) দ্বারা প্রতিপালিত যে--- পরভৃত (কোকিল)

১৪৫ পা দিয়ে যে চলে না ---পন্নগ (সর্প)।

১৪৬ পা ধােয়ার জল ---পাদ্য

১৪৭ পান করার ইচ্ছা-- পিপাসা

১৪৮ পিতৃগৃহবাসিনী-- চিরন্টী

১৪৯ পুণ্যকর্ম সম্পাদনের জন্য শুভ দিন-- পুণ্যাহ।

১৫০ পুরুষের উদ্দাম নৃত্য--- তাণ্ডব

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ: ১৫১-২০০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

১৫১ পুরুষের কটিবন্ধ-- সরাসন

১৫২ পুরুষের কর্ণভূষণ --বীরবৌলি

১৫৩ পূর্ব ও পরের অবস্থা--- পৌর্বাপর্যয়

১৫৪ পেঁচা বা উলুকের ডাক-- হ্যাকার

১৫৫ পৌষ মাসে উৎপন্ন ফসল--- পৌষালি

১৫৬ প্রতিকার করার ইচ্ছা ---প্রতিচিকীর্ষা

১৫৭ প্রতিবিধান করার ইচ্ছা ---প্রতিবিধিৎসা

১৫৮ প্রবেশ করার ইচ্ছা--- বিবক্ষা

১৫৯ প্রশংসার যােগ্য ---প্রশংসাৰ্য

১৬০ প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার মতাে অবস্থা-- লবেজান

১৬১ প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন --প্রভাতকল্পা

১৬২ প্রিয় কাজ করার ইচ্ছা-- প্রিয়চিকীর্ষা।

১৬৩ ফুল হতে জাত --ফুলেল

১৬৪ ফেলে দেবার যােগ্য ---ফেনায়ক

১৬৫ বড় ভাই থাকতে ছােট ভাইয়ের বিয়ে--- পরিবেদন।

১৬৬ বন্দুক বা তির ছোড়ার অনুশীলনের জন্য স্থাপিত এ লক্ষ্য-- চাঁদমারি

১৬৭ বহু গৃহ থেকে ভিক্ষা সংগ্রহ করা--- মাধুকরী/মধুকরী

১৬৮ বাঘের চর্ম--- কৃত্তি

১৬৯ বাতাসে (ক-তে) চরে যে ---কপােত

১৭০ বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি --ঝংকার

১৭১ বাস করার ইচ্ছা--- বিবৎসা

১৭২ বিজয় লাভের ইচ্ছা ---বিজিগীষা

১৭৩ বিশেষ খ্যাতি আছে যার--- বিখ্যাত

১৭৪ বিহায়সে (আকাশ) বিচরণ করে যে ----বিহগ/বিহঙ্গ

১৭৫ বীরের গর্জন --হুঙ্কার

১৭৬ বেঁচে থাকার ইচ্ছা --জিজীবিষা।

১৭৭ ভােজন করার ইচ্ছা --বুভুক্ষা

১৭৮ ভুজের সাহায্যে (এঁকে বেঁকে) চলে যে--- ভুজগ/ভুজঙ্গ(স)

১৭৯ ভুলহীন ঋষি বাক্য ---আপ্তবাক্য

১৮০ ভ্রমরের শব্দ -----গুঞ্জন।

১৮১ ময়ূরের ডাক --কেকা

১৮২ মশত বর্ণ পদ --পৰীক

১৮৩ মাছিও প্রবেশ করে না যেখানে--- নির্মক্ষিক

১৮৪ মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন ---উপবৃত্ত

১৮৫ মাণের যােগ্য --ঘেয়।

১৮৬ মান্যব্যক্তি বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়ে দেওয়া ---অনুব্রজন

১৮৭ মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া ---প্রত্যুৎগমন

১৮৮ মায়া (ছল) জানে না যে --অমায়িক

১৮৯ মাসের শেষ দিন ---সংক্রান্তি।

১৯০ মােরগের ডাক ---শকুনিবাদ

১৯১ মিলনের ইচ্ছায় নায়ক বা নায়িকার সঙ্কেত স্থানে গমন ---অভিসার

১৯২ মুক্তি পেতে ইচ্ছা ---মুমুক্ষা

১৯৩ মৃত্তিকার দ্বারা নির্মিত--- মৃন্ময়

১৯৪ যা অতিক্রম করা যায় না ----অনতিক্রম্য

১৯৫ যা অনুভব করা হচ্ছে ----অনুভূয়মান

১৯৬ যা অপনয়ন (দূর) করা কষ্টকর ---দূরপনেয়

১৯৭ যা অপনয়ন (দূর) করা যায় না --অনপনেয়

১৯৮ যা অস্ত যাচ্ছে ----অস্তায়মান

১৯৯ যা আগুনে পােড়ে না --অগ্নিসহ।

২০০ যা আঘাত পায় নি ---অনাহত

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ:২০১-২৫০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

২০১ যা আহুত (ডাকা) হয় নি --অনাহুত

২০২ যা উচ্চারণ করা কঠিন-- দুরুচ্চার্য।

২০৩ যা উচ্চারণ করা যায় না--- অনুচ্চার্য।

২০৪ যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে--- উপলভ্যমান

২০৫ যা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে--- ক্ষীয়মাণ।

২০৬ যা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে--- অপসৃয়মাণ

২০৭ যা ক্রমশ বিস্তীর্ণ হচ্ছে --ক্রমবিস্তাৰ্যমান

২০৮ যা ক্রয় করার যােগ্য--- ক্রেয়

২০৯ যা চিবিয়ে খাবার যােগ্য --চর্ব

২১০ যা চুষে খাবার যােগ্য --চোষ্য।

২১১ যা চেটে খাবার যােগ্য--- লেহ্য।

২১২ যা জল দেয় জলদ ---(মেঘ)

২১৩ যা ধারণ বা পােষণ করে-- ধর্ম।

২১৪ যা নিজের দ্বারা অর্জিত ---স্বােপার্জিত

২১৫ যা পান করার যােগ্য ---পেয়।

২১৬ যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে-- দেদীপ্যমান

২১৭ যা পুনঃ পুনঃ দুলছে ------দোদুল্যমান

২১৮ যা পূর্বে কখনাে হয় নি অভূতপূর্ব

২১৯ যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি ---অচিন্তিতপূর্ব

২২০ যা প্রকাশ করা হয় নি --অব্যক্ত

২২১ যা প্রতিরােধ করা যায় না ---অপ্রতিরােধ্য।

২২২ যা প্রমাণ করা যায় না ---অপ্রমেয়

২২৩ যা বচন / বাক্যে প্রকাশযােগ্য নয়-- অনির্বচনীয়

২২৪ যা বলা হচ্ছে --বক্ষ্যমাণ

২২৫ যা বহন করা হচ্ছে--- নীয়মান

২২৬ যা বিক্রয় করার যােগ্য--- বিক্রেয়

২২৭ যা মাটি ভেদ করে ওঠে --উদ্ভিদ।

২২৮ যা মুছে ফেলা যায় না ---দুর্মোচ্য

২২৯ যা শল্য-ব্যথা দূরীকৃত করে ------বিশল্যকরণী

২৩০ যা সহজে জানা যায় না---- দুয়ে ।

২৩১ যার অর্থ নেই ---অর্থহীন

২৩২ যার ঈহা (চেষ্টা) নেই ----নিরীহ

২৩৩ যার কোনাে তিথি নেই ---অতিথি

২৩৪ যার চারদিকে স্থল--- হ্রদ

২৩৫ যার দাড়ি গোঁফ উঠে নি--- অজাতশত্রু

২৩৬ যার দুই দিক বা চার দিকে জল দ্বীপ

২৩৭ যার দুটি মাত্র দাঁত দ্বিরদ (হাতি)

২৩৮ যার দুবার জন্ম হয় দ্বিজ

২৩৯ যার দুহাত সমান চলে সব্যসাচী

২৪০ যার পুত্র নেই অপুত্রক

২৪১ যার পূর্বজন্মের কথা স্মরণ আছে জাতিস্মর

২৪২ যার বরাহের (শূকর) মতাে খুর---- বরাখুরে

২৪৩ যার বেশবাস সংবৃত নয়--- অসংবৃত

২৪৪ যার শুভ ক্ষণে জন্ম ---ক্ষণজন্মা

২৪৫ যিনি অতিশয় হিসাবি ---পাটোয়ারি

২৪৬ যুদ্ধ থেকে যে বীর পালায় না--- সংশপ্তক

২৪৭ যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি ---যুধিষ্ঠির

২৪৮ যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করে নি-- অকৃতদার

২৪৯ যে (পুরুষ) দ্বার পরিগ্রহ করেছে ---কৃতদার

২৫০ যে (পুরুষ) প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেছে --অধিবেত্তা

.

.

সৌমিত্র শেখর ও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা এক কথায় প্রকাশ: ২৫১-৩০০

ক্রম বর্ধিত রূপ এক কথায় প্রকাশ

২৫১ যে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না-করে কাজ করে অবিমৃশ্যকারী

২৫২ যে অন্য দিকে মন দেয় না অনন্যমনা

২৫৩ যে অপরের লেখা চুরি করে নিজনামে চালায় কুম্ভীলক

২৫৪ যে আকৃষ্ট হচ্ছে কৃষ্যমাণ

২৫৫ যে আপনাকে কৃতার্থ মনে করে কৃতার্থম্মন্য

২৫৬ যে আপনাকে পণ্ডিত মনে করে পণ্ডিতম্মন্য

২৫৭ যে আপনাকে হত্যা করে আত্মঘাতী

২৫৮ যে আলােতে কুমুদ ফোটে কৌমুদী

২৫৯ যে গমন করে না নগ পাহাড়)

২৬০ যে গাঁজায় নেশা করে গেঁজেল

২৬১ যে গাভি প্রসবও করে না, দুধও দেয় না গােবশা।

২৬২ যে গৃহের বাইরে রাত্রিযাপন করতে ভালােবাসে বারমুখাে ।

২৬৩ যে জমিতে দুবার ফসল হয় দো-ফসলি

২৬৪ যে জমিতে ফসল জন্মায় না ঊষর

২৬৫ যে তির নিক্ষেপে পটু তিরন্দাজ

২৬৬ যে দিন তিন তিথির মিলন ঘটে ত্র্যহস্পর্শ

২৬৭ যে নারী (বা গাভী) দুগ্ধবতী পয়স্বিনী

২৬৮ যে নারী অঘটন ঘটাতে পারদর্শী অঘটনঘটনপটিয়সী

২৬৯ যে নারী অতি উজ্জ্বল ও ফর্সা মহাশ্বেতা

২৭০ যে নারী অপরের দ্বারা প্রতিপালিতা পরভৃতা বা পরভৃতিকা

২৭১ যে নারী আনন্দ দান করে বিনােদিনী

২৭২ যে নারী একবার সন্তান প্রসব করেছে কাকবন্ধ্যা

২৭৩ যে নারী কহলপ্রিয় খাপ্তানী

২৭৪ যে নারী চিত্রে অর্পিতা বা নিবদ্ধা চিত্রার্পিতা

২৭৫ যে নারী দেহ সৌষ্ঠব সম্পন্না অঙ্গনা

২৭৬ যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল অন্যপূর্বা

২৭৭ যে নারী প্রিয় বাক্য বলে প্রিয়ংবদা

২৭৮ যে নারী বার (সমূহ) গামিনী বারাঙ্গনা।

২৭৯ যে নারী বীর বীরাঙ্গনা

২৮০ যে নারী শিশুসন্তানসহ বিধবা -বালপুত্রিকা

২৮১ যে নারী সাগরে বিচরণ করে- সাগরিকা

২৮২ যে নারী সুন্দরী- রামা

২৮৩ যে নারী সূর্যকে দেখে না (অন্তঃপুরে থাকে)- অসূর্যম্পশ্যা

২৮৪ যে নারী স্বয়ং পতি বরণ করে -স্বয়ংবরা

২৮৫ যে নারীর (মেয়ের বিয়ে হয় নি- কুমারী

২৮৬ যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই- অনসূয়া

২৮৭ যে নারীর দুটি মাত্র পুত্র- দ্বিপুত্রিকা।

২৮৮ যে নারীর নখ শূৰ্পের (কুলা) মত -শূর্পণখা

২৮৯ যে নারীর পঞ্চ স্বামী -পঞ্চভর্তকা

২৯০ যে নারীর বিয়ে হয় না -অনূঢ়া(আইবুড়াে অর্থে)

২৯১ যে নারীর বিয়ে হয়েছে- ঊঢ়া

২৯২ যে নারীর সতীন/শত্রু নেই -নিঃসপ্ত

২৯৩ যে নারীর সন্তান হয় না -বন্ধ্যা

২৯৪ যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবােঢ়া।

২৯৫ যে নারীর সহবাসে মৃত্যু হয়- বিষকন্যকা

২৯৬ যে নারীর স্বামী (ভর্তা) বিদেশে থাকে -প্রােষিতভর্তৃকা

২৯৭ যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত- বীরা বা পুরন্ধ্রী

২৯৮ যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত -অবীরা

২৯৯ যে নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বা- অধিবিন্না

৩০০ যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত -শুচিস্মিতা

(collected)

 

================

বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা কিছু
ব্যতিক্রম ধর্মী একথায় প্রকাশঃ
আকাশ ও পৃথিবী→ ক্রন্দসী
★ উরন্ত পাখির ঝাঁক→ বলাকা
★ জন্ম নেই যার→ অজ
★ অর্থহীন উক্তি→ প্রলাপ
★ কথায় পটু→ বাগীশ
★ কাচের তৈরি ঘর→ শিশমহল
★ কুবেরের ধন রক্ষক→ যক্ষ
★ গমন করতে পারে যে→ জঙ্গম
★ তিন ভাগের এক→ তেহাই
★ ধুলার মতো রং যার→ পাংশুল
★ নাটকের পাত্র-পাত্রী→ কুশীলব
★ পাখির ডাক→ কাকলি
★ বস্ত্র কিংবা পত্রের শব্দ→ মর্মর
★ বিড়ালের ডাক→ জিবন
★ বর্ষের শেষে আয় ব্যয়েরপ্রতিবেদ
ন→সালতামামি
★ বৃক্ষাদির নতুন কচি শাখা বাপাতা→
কিশলয়
★ বৃষ্টির জল→ শীকর
★ ভ্রমণ করার ইচ্ছা→ বিভ্রমিষা
★ ভেতরে প্রবেশ→ সন্নিবেশ
★ ফিটফাট গোছের তরুণ যুবক→ ফটিকচাঁদ
★ ফুলের মধু→ মকরন্দ
★ মেঘের ডাক→ মন্দ্র
★ যা স্হানান্তর করা যায়না→ স্থাবর
★ যিনি অনেক দেখেছেন→ভূয়োদর্শী
★ যিনি বাক্যে অতি দক্ষ→ বাচস্পতি
★ যুদ্ধ হতে পালায়না যে
সৈন্য→সংশপ্তক
★ যে নারী অন্যের নিন্দা
করেনা→অনসূয়া
★ যে পাখি বৃষ্টির পানি ছাড়া অন্জল
পান করেনা→ চাতক
★ রাতের শিশির→ শবনম
★ হাতির শাবক→ করভ
★ হাতির বাসস্থান→ পিলখানা
★ সিংহের ধ্বনি→ নাদ
★ হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের
ব্যবহার→চতুরঙ্গ
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা কিছু
ব্যতিক্রম ধর্মী শব্দার্থঃ
১/ শুখো – অনাবৃষ্টি
২/ হাজা – অতিবৃষ্টি
৩/ লেফাফা – মোড়ক, পোশাক
৪/ রম্ভা – কলা
৫/ পনস – কাঁঠাল
৬/ কুম্ভিলক – নকলবাজ
৭/ শীকর – বৃষ্টির জল
৮/ নির্নিমেষ – অপলক
৯/ ধুপ – রোদ
১০/ বুধ – জ্ঞানী
১১/ তুহিন – ঠাণ্ডা
১২/ তাঞ্জাম- পালকি
১৩/ তানাজা- ঝগড়া,বিবাদ
১৪/তাবুত-শবাধার,কফিন
১৫/ তাবেঈন- অনুসারীগণ
১৬/ তামদারি- আপ্যায়ন;অভ্যর্থনা
১৭/ তামস-ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন
১৮/ তামান্না- আশা,অভিলাষ
১৯/ দীপিকা- প্রদীপ,জোছনা
২০/ নুলোম-এর শাব্দিক অর্থ হলো- অনুক্রম,
যথাক্রম
২২/কুষ্মাণ্ড – কুমড়া
২৩/সালতি – ছোট ডিঙ্গি নৌকা
২৪/প্রদোষ – সন্ধ্যা
২৫/মাতৃষ্বসা – খালা
২৬/মণ্ডূক – কুনোব্যাঙ
২৭/আহব – যুদ্ধ
২৮/সওগাত – উপহার
২৯/অসিতবরণ – কালো রং
৩০/ষষ্টি – লাঠি
৩১/গন্ধবহ – বায়ু
৩২/হোমাগ্নি – আগুন
৩৩/ওদন – অন্ন, খাবার
৩৪/মুঢ়োতা – কুসংস্কার
৩৫/আভাষ – পূর্ব ধারণা৩৬/আকিঞ্চন –
ইচ্ছা
৩৭/অরণি – আগুন/ অগ্নি উৎপাদনের কাঠ
৩৮/কুবের – ধনের দেবতা
৩৯/পর্ণশালা – পাতা দিয়ে ছাওয়া ঘর

=======================

রশ্ন: অনন্ত বড়ু এর ছদ্ম নাম কি ?
উ: বড়ু চন্ডিদাস |

 প্রশ্ন: অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত এর ছদ্ম নাম কি ?

উ: নীহারিকা দেবী |

প্রশ্ন: আব্দুল কাদির এর উপাধি কি ?
উ: ছান্দসিক কবি |

 রশ্ন: আব্দুল করিম এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য বিশারদ |

প্রশ্ন: ঈশ্বর গুপ্ত এর উপাধি কি ?
উ: যুগসন্ধিক্ষণের কবি |

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: বিদ্যাসাগর |

প্রশ্ন: কাজেম আল কোরায়েশী এর ছদ্মনাম কি ?
উ: কায়কোবাদ |

প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম এর উপাধি কি ?
উ: বিদ্রোহী কবি |

প্রশ্ন: কালি প্রসন্ন সিংহ এর ছদ্মনাম কি ?
উ: হুতোম পেঁচা |

প্রশ্ন: গোবিন্দ্র দাস এর উপাধি কি ?
উ: স্বভাব কবি |

প্রশ্ন: গোলাম মোস্তফা এর উপাধি কি ?
উ: কাব্য সুধাকর |

প্রশ্ন: চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: জরাসন্ধ |

প্রশ্ন: জসীম উদ্দিন এর উপাধি কি ?
উ: পল্লী কবি |

প্রশ্ন: জীবনানন্দ দাশ এর উপাধি কি ?
উ: রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, ধুসর পান্ডুলিপির কবি |

প্রশ্ন: ডঃ মনিরুজ্জামান এর ছদ্মনাম কি ?
উ: হায়াৎ মামুদ |

প্রশ্ন: ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর উপাধি কি ?
উ: ভাষা বিজ্ঞানী |

প্রশ্ন: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: সুনন্দ |

প্রশ্ন: নজিবর রহমান এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্যরত্ন |

প্রশ্ন: নীহাররঞ্জন গুপ্ত এর ছদ্মনাম কি ?
উ: বানভট্ট |

প্রশ্ন: নূরন্নেসা খাতুন এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য স্বরসতী, বিদ্যাবিনোদিনী |

প্রশ্ন: প্যারীচাঁদ মিত্র এর ছদ্মনাম কি ?
উ: টেকচাঁদ ঠাকুর |

প্রশ্ন: ফররুখ আহমদ এর উপাধি কি ?
উ: মুসলিম রেনেসাঁর কবি |

প্রশ্ন: বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ছদ্মনাম কি ?
উ: বনফুল |

প্রশ্ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য সম্রাট |

প্রশ্ন: বাহরাম খান এর উপাধি কি ?
উ: দৌলত উজীর |
প্রশ্ন: বিমল ঘোষ এর ছদ্মনাম কি ?
উ: মৌমাছি |

প্রশ্ন: বিহারীলাল চক্রবর্তী এর উপাধি কি ?
উ: ভোরের পাখি |

প্রশ্ন: বিদ্যাপতি এর উপাধি কি ?
উ: পদাবলীর কবি |

প্রশ্ন: বিষ্ণু দে এর উপাধি কি ?
উ: মার্কসবাদী কবি |

প্রশ্ন: প্রমথ চৌধুরী এর ছদ্মনাম কি ?
উ: বীরবল |

প্রশ্ন: ভারতচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: রায় গুনাকর |

প্রশ্ন: মধুসূদন দত্ত এর উপাধি কি ?
উ: মাইকেল |

প্রশ্ন: মালাধর বসু এর উপাধি কি ?
উ: গুণরাজ খান |

প্রশ্ন: মুকুন্দরাম এর উপাধি কি ?
উ: কবিকঙ্কন |

প্রশ্ন: মুকুন্দ দাস এর উপাধি কি ?
উ: চারণ কবি |

প্রশ্ন: মীর মশাররফ হোসেন এর ছদ্মনাম কি ?
উ: গাজী মিয়া |

প্রশ্ন: মধুসূদন মজুমদার এর ছদ্মনাম কি ?
উ: দৃষ্টিহীন |

প্রশ্ন: মোহিত লাল মজুমদার এর ছদ্মনাম কি ?
উ: সত্য সুন্দর দাস |

প্রশ্ন: মোজাম্মেল হক এর উপাধি কি ?
উ: শান্তিপুরের কবি |

প্রশ্ন: যতীন্দ্রনাথ বাগচী এর উপাধি কি ?
উ: দুঃখবাদের কবি |

প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উপাধি কি ?
উ: বিশ্বকবি, নাইট |

প্রশ্ন: রাজশেখর বসু এর ছদ্মনাম কি ?
উ: পরশুরাম |

প্রশ্ন: রামনারায়ণ এর উপাধি কি ?
উ: তর্করত্ন |

প্রশ্ন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: অপরাজেয় কথাশিল্পী |

প্রশ্ন: শেখ ফজলুল করিম এর উপাধি কি?
উ: সাহিত্য বিশারদ, রত্নকর |

প্রশ্ন: শেখ আজিজুর রহমান এর ছদ্মনাম কি ??
উ: শওকত ওসমান |

প্রশ্ন: শ্রীকর নন্দী এর উপাধি কি ?
উ: কবিন্দ্র পরমেশ্বর |

প্রশ্ন: সমর সেন এর উপাধি কি ?
উ: নাগরিক কবি |

প্রশ্ন: সমরেশ বসু এর ছদ্মনাম কি ?
উ: কালকূট |

প্রশ্ন: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত্ এর উপাধি কি ?
উ: ছন্দের যাদুকর |

প্রশ্ন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: নীল লোহিত |

প্রশ্ন: সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এর উপাধি কি ?
উ: ক্লাসিক কবি |

প্রশ্ন: সুকান্ত ভট্টাচার্য এর উপাধি কি ?
উ: কিশোর কবি |

প্রশ্ন: সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: পদাতিকের কবি |

প্রশ্ন: সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী এর উপাধি কি ?
উ: স্বপ্নাতুর কবি |

প্রশ্ন: হেমচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: বাংলার মিল্টন |

 

 =============================================

 বাংলা সাহিত্যের কিছু আলোচিত চরিত্র ও স্রষ্টা
-----------------------------------------------------
এই টপিকস টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট প্রথম চরিত্র কোনটি? উঃ নিরঞ্জন (শূন্য পূরাণ)।

ঠকচাচা নামক চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ প্যারীচাঁদ মিত্র (আলালের ঘরের দুলাল)।

চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্য ধারার চরিত্র? উঃ মনসামঙ্গল।
বেহুলা - লখীনদর >>>> মনসামঙ্গল
কালকেতু, ফুল্লরা , মুরারি শীল ,ভাঁড়ুদত্ত, ধনপতি, খুল্লনা, কলিঙ্গের রাজা>> চন্ডীমঙ্গল(মুকুন্দরাম)

ঈশ্বরী পাটনী>>>অন্নদামঙ্গল
লাউসেন , হরিশ্চন্দ্র>>> ধর্মমঙ্গল

রাধা , কৃষ্ণ, বড়াই কোন কা্ব্যের চরিত্র>> শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

অমল চরিত্রের স্রষ্টা নাট্যকার কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ডাকঘর)।
নন্দিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (রক্তকরবী)।
রাইচরণ চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন)।
মৃন্ময়ী ও অপূর্ব চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সমাপ্তি)।
সুরবালা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (একরাত্রী)।
দুখিরাম ও চন্দরা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শাস্তি)।
মধুসূদন, কুমুদিনী>>>>>>>>>>>যোগাযোগ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
রতন>>>>>>>>>>>>>> পোস্ট মাস্টার (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
সুরবালা>>>>>>>>>>>>>>একরাত্রি(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
শর্মিলা, উর্মিলা >>>>>>>দুইবোন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

প্যাকালে ,মেজবউ,গজালের ,রুবি, আনসার >>>>মৃত্যুক্ষুধা (কাজী নজরুল ইসলাম)
নূরু, মাহবুবার >>>>>>>>>>>>>>> বাঁধনহারা (কাজী নজরুল ইসলাম)

মানসিংহ, আয়েশা, তিলোত্তমা >> >>>> দৃুর্গেশনন্দিনী (বঙ্কিম)
রোহিনী ও গোবিন্দ লাল চরিত্রটি কোন উপন্যাসের? উঃ কৃষ্ণকান্তের উইল(বঙ্কিম )
নবকুমার ,কপালকুন্ডলা >>>>> (কপালকুন্ডলা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ >>>>> বিষবৃক্ষ ।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শশী, কুসুম, হারু ঘোষ, গোপাল , সেনদিদি>> পুতুল নাচের ইতিকথা (মানিক বাবু)
কুবের চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (পদ্মানদীর মাঝি)।

জমিলা, মজিদ , আমেনা >>> লালসালু(সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ )
দূর্গা, অপু, সর্বজয়া, হরিহর >> পথের প্যাচালী (বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়)

হেমাঙ্গিনী ও কেষ্ট,কাদম্বিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মেজদিদি)।
মহিম, সুরেশ ও অচলা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (গৃহদাহ)।
ইন্দ্রনাথ , অভয়া, রাজলক্ষ্মী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (শ্রীকান্ত)।
দেবদাস,পার্বতী ও চন্দ্রমূখী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেবদাস)।
রমা ও রমেশ চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পল্লী সমাজ)।
ষোড়শী ও নির্মল চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেনা-পাওনা)।
সতীশ ও সাবেত্রী ,কিরণময়ী চরিত্রের স্রষ্টা ? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (চরিত্রহীন)।

নবীন মাধব চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ দীনবন্ধু মিত্র (নীল দর্পণ)।
কেনারাম, ঘটিরাম ডেপুটি ও নিমচাঁদ>> দীনবন্ধু মিত্র (সধবার একাদশী)।


জয়গুন, হাসু, মায়মুন >>>>>>>>>>>> সূর্যদীঘল বাড়ী (আবু ইসহাক )
দীপাঙ্কর (দীপু), সতী, লক্ষ্মী >কে? উঃ বিমল মিত্র (কড়ি দিয়ে কিনলাম)।

 

 

সহজে মনে রাখুন সমজাতীয় বাগধারা:
-
০১। অসম্ভব জিনিস= আকাশ কুসুম, কাঁঠালের আমস্বত্ব, কুমিরের সান্নিপাত, ঘোড়ার ডিম, ব্যাঙের সর্দি, সোনার পাথর বাটি।
-
০২। অপদার্থ= অকাল কুষ্মাণ্ড, আমড়া কাঁঠের ঢেঁকি, ঢেঁকির কুমির,কচুবনের কালাচাঁদ, কায়েতের ঘরের ঢেঁকি, ঘটিরাম, ষাঁড়ের গোবর।
-
০৩। নির্বোধ= অসাকান্ত/অঘাচণ্ডী, অঘারাম/অহারাম, ঢেঁকি অবতার, বুদ্ধির ঢেঁকি।
-
০৪। শেষ বিদায় বা মৃত্যু= অগ্যস্ত যাত্রা, পটল তোলা, অনন্ত শয্যা, ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া, পঞ্চত্ব প্রাপ্তি, অক্কা পাওয়া।
-
০৫। অকর্মণ্য= অপোগণ্ড, কুমড়ো কাটা বটঠাকুর, গোবর গণেশ, ঠুটো জগন্নাথ।
-
০৬। হতভাগ্য= অষ্টকপাল, কাঁজি ভক্ষণ নামে গোয়ালা, হাড় হাভাতে, কপাল পোড়া।
-
০৭। ভীষণ শত্রুতা= অহি নকুল, দা কুমড়া, আদায় কাঁচকলায়, সাপে নেউলে।
-
০৮। দুর্লভ বস্তু= আলেয়ার আলো, আকাশের চাঁদ, বাঘের চোখ।
-
০৯। সুন্দর মিল= আম দুধে মেশা, সোনায় সোহাগা, মাণিকজোড়, মণিকাঞ্চনযোগ।
-
১০। মন্দভাগ্য= ইঁদুর কপালে, আটকপালে, খ-কপাল।
-
১১। অলস= গোঁফ খেজুরে, ঢিমে তেতালা, চিনির পুতুল, ননীর পুতুল।
-
১২। দুর্বল= আটাশে ছেলে, উনপাঁজুরে।
-
১৩। বেহায়া= কানকাটা, চশমখোড়, দুকান কাটা।
-
১৪। অত্যন্ত কৃপণ= কঞ্জুসের ডাণ্ডাখোর, কিপটের জাসু, হাত ভাড়ি, হাতে জল না লাগা।
-
১৫। তোষামুদে= খয়ের খাঁ, ধামাধরা, ঢাকের কাঁঠি।
-
১৬। অলীক কল্পনা= দিবাস্বপ্ন, শূন্যে সৌধ নির্মাণ করা।
-
১৭। অবজ্ঞা করা= নাক উচানো, নাক সিঁটকানো।
-
১৮। উভয় সঙ্কট= জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, শাখের করাত, করাতের দাঁত, শ্যাম রাখি না কুল রাখি, সাপের ছুচো গেলা।
-
১৯। সুসময়ের বন্ধু= দুধের মাছি, বসন্তের কোকিল, শরতের শিশির, সুখের পায়রা, লক্ষ্মীর বরযাত্রী।
-
২০। ভণ্ড= বক ধার্মিক, ভিজে বিড়াল, বর্ণচোরা, বিড়াল তপস্বী, তুলসী বনের বাঘ।
-
২১। অপব্যয়= ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ, ভস্মে ঘি ঢালা, হরিলুট।
-
২২। লাজুক= মুখচোরা, মেনিমুখো।
-
২৩। একমাত্র অবলম্বন= সবে ধন নীলমণি, অন্ধের
যষ্ঠি।
-
২৪। সৌভাগ্য= একাদশে বৃহস্পতি, কপাল ফেরা।
।।।
সংগৃহীত
 

 

চলুন সব সাহিত্য পত্রিকা দেখে রাখি
.
বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট ।
* বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ ।
* বাঙ্গালী পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র বাঙ্গাল গেজেট ।
* মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার সভারাজেনদ্র ।
* বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র সংবাদ প্রভাকর ।
* বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদ পত্র রংপুর বার্তাবহ ।
* ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র> ঢাকা প্রকাশ ।
.
বাংলা সাহিত্যের সামায়িকপত্র ও সম্পাদক
বেঙ্গল গেজেট (১৭৮০)– জেমস অগাস্টাস হিকি।
► মাসিক দিগদর্শন (১৮১৮)– জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সমাচার দর্পন (১৮১৮)–জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সাপ্তাহিক বাঙ্গাল গেজেট (১৮১৮)– গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
► ব্রাহ্মণ সেবধি (১৮২১) — রাজা রামমোহন রায়
► সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১)– রাজা রামমোহন রায়।
► মীরাতুল অাখবার (১৮২২) — রাজা রামমোহন রায়
► সাপ্তাহিক সমাচার চন্দ্রিকা (১৮২২) — ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
► সাপ্তাহিক বঙ্গদূত (১৮২৯)– নীলমণি হালদার।
► সম্বাদ প্রভাকর (সাপ্তা-১৮৩১, দৈনিক-১৮৩৯)–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► জ্ঞানান্বেষণ (১৮৩১) — দক্ষিনারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
► সমাচার সভারাজেন্দ্র (১৮৩১) — শেখ অালীমুল্লাহ
► সংবাদ রত্নাবলী (১৮৪৩) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৪৩)– অক্ষয়কুমার দত্ত।
► জগদুদ্দীপব ভাস্কর (১৮৪৬) — মৌলভী রজব অালী।
► এডুকেশন গেজেট (১৮৪৬) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
► পাষান্ড পীড়ন (১৮৪৬) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► রংপুর বার্তাবহ (১৮৪৭) — গুরুচরণ রায়।
► সংবাদ সাধুরঞ্জন (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত।
► সংবাদ রসসাগর (১৮৫০) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► সর্বশুভকরী পত্রিকা (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
► বিবিধার্থ সংগ্রহ (১৮৫১) — রাজেন্দ্রলাল মিত্র
► সাপ্তাহিক বার্তাবহ (১৮৫৩) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► মাসিক পত্রিকা (১৮৫৪) — প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার।
► মাসিক অরুণোদয় (১৮৫৬) –রেভারেন্ড লাল বিহারী দে
► ঢাকা প্রকাশ (১৮৬১) — কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
► গ্রামবার্তা (১৮৬৩) — কাঙ্গাল হরিনাথ
► অার্য দর্শন (১৮৬৩) — যোগেন্দ্র বিদ্যাভূষণ।
► শুভ সাধনী (১৮৭০) — কালী প্রসন্ন ঘোষ।
► বঙ্গদর্শন (১৮৭২)– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
► অাজিজুন্নেহার (১৮৭৪) — মীর মশাররফ হোসেন।
► বান্ধব (১৮৭৪) — কালীপ্রসন্ন ঘোষ
► ভারতী (১৮৭৭) — দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
► ঝলক (১৮৮৫) — জ্ঞনদানন্দনী দেবী
► সাহিত্য (১৮৯০) — সুরেশচন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► সাপ্তাহিক সুধাকর (১৮৯১) — শেখ আবদুর রহিম।
► মাসিক ইসলাম প্রচারক (১৮৯১) — মোঃ রেয়াজউদ্দিন।
► সাধনা (১৮৯১) — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► মাসিক মিহির (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► হাফেজ (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► কোহিনূর (১৮৯৮) — মোঃ রওশন অালী
► লহরী (১৯০০) — মোজাম্মেল হক।
► প্রবাসী (১৯০১) — রামনন্দ চট্টোপাধ্যায়
► মাসিক নবনূর (১৯০৩) — সৈয়দ এমদাদ অালী।
► মাসিক বাসনা (১৯০৮) — শেখ ফজলল করিম।
► পরিষৎ (১৯০৮) — রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।
► দৈনিক খাদেম (১৯১০) — মোঃ অাকরাম খাঁ।
► সাপ্তাহিক মোহাম্মাদী (১৯১০) — মোহা ম্মদ আকরম খাঁ।
► ভারতবর্ষ (১৯১৩) — জলধর সেন ও অমূল্যচারণ বিদ্যাভূষণ।
► সবুজ পত্র (১৯১৪)– প্রমথ চৌধুরী।
► মাসিক অাল এসলাম (১৯১৫) — মাওলানা অাকরাম খাঁ।
► সওগাত (১৯১৮) — মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।
► আঙ্গুর (কিশোর মাসিক) (১৯২০) — ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
► মাসিক মোসলেম ভারত (১৯২০) — মোজাম্মেল হক।
► ধুমকেতু (১৯২২) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► মাসিক কল্লোল (১৯২৩) — দীনেশরঞ্জন দাশ।
► লাঙ্গল (১৯২৫) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► কালি ও কলম (১৯২৬) — শৈলজানন্দ।
► প্রগতি (১৯২৭) — বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত।
► বার্ষিক শিখা (১৯২৭) — আবুল হুসেন।
► সংলাপ — অাবুল হোসেন।
► জয়তী (১৯৩০) — অাবদুল কাদির।
► মাহে নও — অাবদুল কাদির।
► পরিচয় (১৯৩১) — বিষ্ণু দে।
► পূর্বাশা(১৯৩২) — সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
► দৈনিক অাজাদ (১৯৩৫) — মোহাম্মদ অাকরাম খাঁ।
► দৈনিক নবযুগ (১৯৪১) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► পাক্ষিক প্রতিরোধ (১৯৪২) — রণেশ দাশগুপ্ত।
► সাহিত্য পত্র (১৯৪২) — বিষ্ণু দে।
► কবিতা (১৯৪৫) — বুদ্ধদেব বসু
► দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার (১৯৪৯) — শেহাব উল্লাহ
► বেগম (১৯৪৯) — নুরজাহান বেগম।
► দৈনিক ইনসাফ (১৯৫০) — মহিউদ্দীন।
► সমকাল (১৯৫৭) — সিকান্দার আবু জাফর।
► পূর্বমেঘ (১৯৬০) — জিল্লুর রহমান
সিদ্দিকী
► স্বাক্ষর (১৯৬৩)— রফিক আজাদ ও সিকদার আমিনুল হক
► কন্ঠস্বর (১৯৬৫)— আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
► কালবেলা (১৯৬৫) — জোতিপ্রকাশ দত্ত
► স্বদেশ (১৯৬৯) — আহমদ ছফা
► শিল্পকলা (১৯৭০)— আব্দুল মান্নান সৈয়দ
► পূর্ণিমা — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সাহিত্য সংক্রান্তি — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► অবোধ বন্ধু — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সৈনিক — শাহেদ অালী।
► বেদুঈন — অাশরাফ অালী খান
► গুলিস্তা — এস. ওয়াজেদ অালী
► মুসলিম জগৎ — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► সাম্যবাদী — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► বিচিত্রা — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিতাপত্র — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিকণ্ঠ — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► যায়য়ায়দিন — শফিক রেহমান।
► শিখা — কাজী মোতাজার হোসেন।
► সাপ্তাহিক মুসলিম জগত — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► সাপ্তাহিক খাদেম — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► মাসিক ভারতী — স্বর্ণকুমারী দেবী।
► বঙ্গদর্শন (নবপর্যায়) — মোহিতলাল মজুমদার।
► চতুরঙ্গ — হুমায়ূন কবীর
► স্বদেশ — সুকুমার রায়
► সাহিত্য পত্রিকা — মুহাম্মদ অাবদুল হাই
► Reformer — প্রসন্ন কুমার ঠাকুর।
► Hindu Intelligence — কাশীপ্রসাদ ঘোষ
=======================
বাংলা একাডেমি থেকে ছয়টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলো হচ্ছে-
.
১.বাংলা একাডেমি পত্রিকা
গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপর বিশেষ গুরুত্বসহ অন্যান্য বিষয়েও বাংলায় রচিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ এতে প্রকাশিত হয়।
.
২..উত্তরাধিকার
মাসিক পত্রিকা। এতে সৃজনশীল রচনা, যথা: গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, গ্রন্থ-সমালোচনা ইত্যাদি মুদ্রিত হয়।
.
৩.ধানশালিকের দেশ
ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা। কিশোরোপযোগী গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি এই পত্রিকায় মুদ্রিত হয়।
.
৪.বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা
ষাণ্মাসিক এই পত্রিকাটি বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার সমন্বয়ে প্রকাশিত হয়। এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
.
৫.বাংলা একাডেমি জার্নাল
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ষাণ্মাসিক পত্রিকা। বাংলা সাহিত্যের নির্বাচিত রচনা ইংরেজির অনুবাদ এবং বাংলা সাহিত্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় রচিত মৌলিক রচনা এতে প্রকাশিত হয়।এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
.
৬.বার্তা
একাডেমির কার্যক্রম ও যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিবরণ এতে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
=================
===========

 

একই নামের দ্বন্দ্ব সৃষ্টকারী কিছু বাংলা সাহিত্যকর্ম
*****
মানুষ ( কবিতা) : কাজী নজরুল ইসলাম
মানুষ ( কবিতা) : নির্মলেন্দু গুন
মানুষ ( নাটক) : মুনীর চৌধুরী
*****
কাব্যমালঞ্চ ( কাব্যসংকলন) : আব্দুল কাদির
কাব্যমালঞ্চ ( কাব্যগ্রন্থ) : যতীন্দ্রমোহন বাগচী
*****
মানচিত্র ( নাটক) : আনিস চৌধুরী
মানচিত্র ( কাব্যগ্রন্থ) : আলাউদ্দিন আল আজাদ
*****
ফেরারী ( গল্প) : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ফেরারী ( কবিতা) : দিলারা হাসেম
*****
পোস্টমাস্টার ( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পোস্টমাস্টার ( ছোটগল্প) : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
*****
পদ্মাবতী ( কাব্য) : আলাওল
পদ্মাবতী ( নাটক) : মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পদ্মাবতী ( সমালোচনামূলক গ্রন্থ) : সৈয়দ আলী আহসান
*****
কাঞ্চনমালা ( উপন্যাস) : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
কাঞ্চনমালা ( উপন্যাস) : শামসুদ্দীন আবুল কালাম
*****
রেখাচিত্র ( গল্পগ্রন্থ) : বুদ্ধদেব বসু
রেখাচিত্র ( আত্মজীবনী) : আবুল ফজল
*****
কবি ( উপন্যাস) : তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
কবি ( উপন্যাস) : হুমায়ুন আহমেদ
*****
জননী ( উপন্যাস) : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জননী ( উপন্যাস) : শওকত ওসমান
*****
অভিযাত্রিক (কাব্য) : সুফিয়া কামাল
অভিযাত্রিক ( উপন্যাস) : বিভূতিভূষন বন্দ্যোপাধ্যায়
*****
মধুমালা ( নাটক) : কাজী নজরুল ইসলাম মধুমালা ( নাটক) : জসীম উদ্দিন
*****
বনি আদম ( কাব্যগ্রন্থ) : গোলাম মোস্তফা
বনি আদম ( উপন্যাস) : শওকত ওসমান
*****
ষোড়শী ( নাটক) : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ষোড়শী ( ছোটগল্প) : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
*****
সাত ভাই চম্পা ( কাব্যগ্রন্থ) : বিষ্ণু দে
সাত ভাই চম্পা ( কাব্যগ্রন্থ) : আশরাফ সিদ্দিকী
সাত ভাই চম্পা ( শিশুতোষ কবিতা) : কাজী নজরুল ইসলাম
*****
সাজাহান ( কবিতা) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাজাহান ( নাটক) : ডি.এল.রায়
*****
দেনাপাওনা ( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেনাপাওনা ( উপন্যাস) : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
*****
নিরুদ্দেশ যাত্রা ( কবিতা) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিরুদ্দেশ যাত্রা ( কবিতা) : শহীদ কাদরী
*****
কবর ( নাটক) : মুনীর চৌধুরী
কবর (কবিতা) : জসীমউদ্দিন
*****
রজনী (উপন্যাস) : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রজনী ( উপন্যাস) : হুমায়ুন আহমেদ
*****
যাত্রা ( উপন্যাস) : শওকত আলী
যাত্রা ( প্রবন্ধ) : সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

====================================

#আলোচিত পঙতি ও স্রষ্টা

প্রশ্ন: অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়- এ প্রবাদটির রচয়িতা কে?
উঃ মুকুন্দরাম।
প্রশ্ন: হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন এই কবিতাংশটুকু কোন কবি কে?
উঃ মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন: আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে - উক্তি কোন গ্রন্থের?
উঃ অন্নদামঙ্গল কাব্যের।
প্রশ্ন: যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি এপংতির রচয়িতা কে?
উঃ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রশ্ন: পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।”- কার লেখা?
উঃ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের।
প্রশ্ন: সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। -কোন কবির উক্তি?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে- কার রচয়িতার অংশ?
উঃ রঙ্গলাল মুখপাধ্যায়।
প্রশ্ন: চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কার রচনা?
উঃ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রশ্ন: তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না। নজরুলের কোন কবিতার অংশ?
উঃ বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি।
প্রশ্ন: কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক- পংক্তির রচয়িতা?
উঃ ফজলূল করিম।
প্রশ্ন: যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা- কার কবিতার অংশ? q
উঃ নির্মলেন্দু গুন।
প্রশ্ন: আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি কার রচনা?
উঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
প্রশ্ন: আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রানের পতাকা।-পংক্তি কার?
উঃ শামসুর রাহমান।
প্রশ্ন: বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় উপরোক্ত অংশটি রবীন্দ্রনাথের কোন কবিতার?
উঃ দুরন্ত আশা।
প্রশ্ন: রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা- পংক্তিটি কার রচিত?
উঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর- কোন কবির রচনা?
উঃ জীবনানন্দ দাশের।
প্রশ্ন: বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ - পংক্তির রচয়িতা কে?
উঃ যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
প্রশ্ন: ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি- পংক্তি কোন কবির?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন- উক্তি কার?
উঃ ভারতচন্দ্রের।
প্রশ্ন: প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।
উঃ স্বর্গ ও নরক শেখ ফজলূল করিম।
প্রশ্ন: জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।- কবিতাংশটির কবি কে?
উঃ জন্মে্িছ এই দেশে। সুফিয়া কামাল।
প্রশ্ন: কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে। পংক্তি দুটির কবি কে?
উঃ রানার সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে। - কবিতাংশটি?
উঃ স্বাধীনতার সুখ রজনীকান্ত সেন।
প্রশ্ন: সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়- কবিতাংশটি?
উঃ আত্মত্রান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।- উক্তির কবিতা ও কার রচনা?
উঃ জীবন- সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।- কবিতাংশটি?
উঃ সুখ কামিনী রায়।
প্রশ্ন: আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।- কোন কবির রচনা?
উঃ আবার আসিব ফিরে জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে- এই উক্তিটি কার?
উঃ বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”- এই উক্তিটি কার?
উঃ বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি- কোন কবির রচনা?
উঃ আমি যদি হতাম জীবনানন্দের দাস।
প্রশ্ন: শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাগুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”- উদ্ধৃত অংশটুকু কার রচনা?
উঃ জীবনানন্দ দাশের।
প্রশ্ন: সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে,”- উদ্ধৃত অংশটুকুর কবি কে?
উঃ সুরঞ্জনা জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”- কোন কবির রচনা?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষদ্ধ স্বদেশ ভূমি। কোন কবির রচনা?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে- কবিতাংশটি?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার।
প্রশ্ন: হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে, - রচয়িতা কে?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো রচয়িতা কে?
উঃ মহাজীবন সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি- চরনটির কবি কে?
উঃ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,- কবিতাংশটি?
উঃ ১৪০০ সাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: আজি হতে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে - কবিতাংশটি?
উঃ ১৪০০ সাল নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী রচয়িতার নাম কি?
উঃ কবি সমর সেন।
প্রশ্ন: আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি এই কবিতাংশটুকুর কবি কে?
উঃ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
প্রশ্ন: ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারী সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। -চরনটির কবি কে?
উঃ সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এই অংশটুকুর রচয়িতা কে?
উঃ হেলাল হাফিজ।

#_____কালেক্টেড

 

 

আগড়ম বাগড়ম = অর্থহীন কথা।
● সাতেও না পাঁচেও না = স্বতন্ত্র (অর্থে)।
● ফেকলুর পার্টি = কদরহীন লোক।
● খোদার খাসি = ভাবনা চিন্তাহীন।
● বর্ণচোরা = কপটচারী।
● কথায় চিড়া ভেজা = ফাঁকা আওয়াজে কাজ আদায়।
● বক দেখানো = বিদ্রোপ করা।
● শিরে সংক্রান্তি = আসন্ন বিপদ।
● সমার্থক যুগ্ম শব্দ বক ধার্মিক = বিড়াল তপস্বী।
● শকুনি মামা = কুচক্রী লোক
● শাখের করাত = উভয়সংকট।
● সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক
● রাবনের চিতা = চির অশান্তি।
● আট কপালে = হতভাগ্য।
● আক্কেল সেলামি = বোকামির দন্ড।
● আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অকেজো।
● ইঁদুর কপালে = মন্দভাগ্য।
● উত্তম মধ্যম = মারা/প্রহার করা।
● কূল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা।
● কূপমণ্ডূপ = সীমিত জ্ঞানের মানুষ।
● কাক নিদ্রা = অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
● কাঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব ব্যাপার।
● গুড়ে বালি = আশায় নৈরাশ্য।
● গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস।
● চাঁদের হাট = প্রিয়জনের সমাগম।
● ঝাঁকের কই = একই দলের লোক।
● ঠোট কাটা = স্পষ্টভাষী।
● ডুমুরের ফুল = বিরল বস্তু।
● হাত-ভারী = কৃপন।
● আকাশ কুসুম = অলিক কল্পনা।
● নাটের গুরু = মূলনায়ক।
● কান কাটা = বেহায়া।
● অন্ধকার দেখা = হতবুদ্ধি।
● তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী।
● কংস মামা = নির্দয় আত্মীয়।
● বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর = অক্ষম ব্যক্তির বৃথা আস্ফালন।
● গড্ডলিকা প্রবাহ = অন্ধঅনুকরণ।
 

 

 

ব্যাকরণ এর এই অংশ থেকে প্রশ্ন কমন আসবেই,,,,,ওপেন চ্যালেঞ্জ!!!
( শেয়ার করে সংগ্রহে রাখুন)
================================
স্বরবর্ণ - 11টি
ব্যঞ্জনবর্ণ - 39 টি
মৌলিক স্বরধ্বনি - 7 টি
যৌগিক স্বরধ্বনি--২টি
যৌগিক স্বর জ্ঞাপক বর্ণ >> ২৫টি।
হ্রসস্বর স্বরধ্বনি - 4 টি
দীর্ঘস্বর স্বরধ্বনি - 7টি
মাত্রাহীন - 10 টি
অর্ধমাত্রা - 8 টি
পূর্ণমাত্রা - 32 টি
কার - 10 টি
স্পর্শবর্ণ - 25 টি
এক নজরে বাংলা বর্ণমালার সবকিছুঃ
বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে ৫০টি।(স্বরবর্ণ ১১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট স্বরবর্ণ ১১টি(হ্রস্ব স্বর ৪টি + দীর্ঘ স্বর ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি(প্রকৃত ৩৫টি + অপ্রকৃত ৪ টি)
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৩২টি (স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ২৬টি)
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৮টি (স্বরবর্ণ ১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণআছে ১০টি ( ব্যঞ্জণবর্ণ ৬টি + স্বরবর্ণ৪টি)
বাংলা বর্ণমালায় কার আছে এমন স্বরবর্ণ ১০টি (“অ” ছাড়া)
বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম, ন, ব,য, র) { সৌমিত্র শেখরের বই যে ৬টি । যেমন: ন, ম, য, র ল, ব
বাংলা বর্ণমালায় স্পর্শধ্বনি/বর্গীয় ধ্বনি আছে ২৫টি (ক থেকে ম পর্যন্ত)
বাংলা বর্ণমালায় কন্ঠ/ জিহবামূলীয় ধ্বনি আছে ৫টি (“ক” বর্গীয়ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় তালব্য ধ্বনি আছে৮টি (“চ” বর্গীয় ধ্বনি + শ,য, য়)
বাংলা বর্ণমালায় মূর্ধন্য/পশ্চা ৎদন্তমূলীয় ধ্বনি আছে ৯টি (“ট” বর্গীয়ধ্বনি + ষ, র, ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় দন্ত্য ধ্বনি আছে৭টি (“ত” বর্গীয় ধ্বনি + স,ল)
বাংলা বর্ণমালায় ওষ্ঠ্য ধ্বনি আছে৫টি (“প” বর্গীয় ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ ধ্বনি আছে১৪টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনি + ঃ, শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় ঘোষ ধ্বনি আছে১১টি (প্রতি বর্গের ৩য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ধ্বনিআছে ১৩টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনি + শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় মহাপ্রাণ ধ্বনিআছে ১১টি (প্রতি বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য/
অনুনাসিকধ্বনি আছে ৮টি (প্রতি বর্গের ৫ম ধ্বনি + ং, ৺, ও)
বাংলা বর্ণমালায় উষ্ম/শিষ ধ্বনি৪টি (শ, ষ, স, হ)
বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ধ্বনি৪টি (ব, য, র, ল)
বাংলা বর্ণমালায় পার্শ্বিক ধ্বনি১টি (ল)
বাংলা বর্ণমালায় কম্পনজাত ধ্বনি১টি (র)
বাংলা বর্ণমালায় তাড়নজাত ধ্বনি১টি (ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় পরাশ্রয়ী ধ্বনি৩টি (ং, ঃ, ৺)
বাংলা বর্ণমালায় অযোগবাহ ধ্বনি২টি (ং, ঃ)
বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপকধ্বনি ২টি (ঐ, ঔ)
বাংলা বর্ণমালায় খন্ডব্যঞ্জণধ্বনি ১টি (ৎ)
বাংলা বর্ণমালায় নিলীন ধ্বনি ১টি(অ)
বাংলা বর্ণমালায় হসন্ত/হলন্ত বর্ণবলা হয় ক্, খ্, গ্ এধরণের বর্ণকে
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধস্বর ২টি (য,ব)
১.দেশী শব্দ
-- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ডিঙ্গা, ঢেঁকি।

মনে রাখার উপায়
মিশ্র শব্দ
-------------------
টেকনিক >>> রাজা বাদশা হেড মৌলবীকে সংগে নিয়ে ডাক্তার খানার চৌহদ্দি ঘূরে এসে হেড পন্ডিত কে ডেকে বল্লেন, আগামী হাটবাজারে যেন পকেট মার না হয়।
শব্দগুলো এখন দেখে নেই
১. রাজা-বাদশা>তত্সম+ফারসি
২.হেড-মৌলবী>ইংরেজি+ফারসি
৩.ডাক্তার -খানা>ইংরেজি+ফারসি
৪.চৌ-হদ্দি>ফারসি+ আরবি
৫.হেড-পন্ডিত> ইংরেজি+তত্সম
৬. হাট-বাজার>বাংলা +ফারসি
৭.পকেট-মার> ইংরেজি+ বাংলা
.
মনে রাখুন
১.মৌলিক শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>>লাল গোলাপের নাকে তিন হাত কলম.
মিলিয়ে নিন:লাল,গোলাপ,নাক তিন,হাত,কলম.
২.সাধিত শব্দ:
--------------------
টেকনিক >>>দয়ালু জমিদার পানসা হাতে ফুলেল লাগাল.
মিলিয়ে নিন: দয়ালু জমিদার,পানসা ফুলেল
৩.যৌগিক শব্দ:
--------------------
টেকনিক >>>নায়ক গায়ক ও চিকামারা নয়ন এবং সুন্দরী মিতালি ও দৌহিত্র বাবুয়ানা দেখিয়ে কর্তব্যে অবহেলা
করে শয়ন করল. এবং পরে বাদরামীর মধুর জলে গমন করল.

মিলিয়ে নিন>গায়ক,নায়ক,চ
িকামারা,নয়ন মিতালি,দৌহিত্র,
বাবুয়ানা
কর্তব্য,শয়ন,বাদরামী, মধুর
৪.রূঢ়ি শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>>তেলেভাজা স্বন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ গভেষনা করে পান্জাবী পরে
হস্তীর পিঠে চরে বাঁশি বাজায়. হরিণের মাংস দিয়ে মন্ডূপ তৈরি
করায় লাবণ্যের শশুর ও ঝি কূশল বিনিময় করল আমিও করি...!!!
মিলিয়ে নিন:>>তেলেভাজা,
স্বন্দেশ,প্রবীণ,গভেষনা,হস্তি বাঁশি,হরিণ,মন্ডুপ,লাবণ্য,শশুর,ঝি কূশল,করী
৫.যৌগরূঢ় শব্দ:
----------------------
টেকনিক >>> রাজপূত পঙ্কজ মহাযাত্রা করে জলদির কাছে গেলেন.এরপর
পীতাম্বর তরঙ্গম ও আদিত্যকে বলদ বলে জলদে পাঠালেন.

মিলিয়ে নিন:>রাজপূত,পঙ্
কজ,মহাযাত্রা,জলদি পীতাম্বর,তরঙ্গম
,আদিত্য,বলদ এবং জলদ...!

৬.তদ্ভব শব্দ:
টেকনিক >>>আখি আজ করছে কাজ, মৌ পড়েছে বিয়ের সাজ,
বৌমা এনেছে ভাত মাছ.মাথায় হাত কানে দাত চাঁদ সই করা তদ্ভবের কাজ.

মিলিয়ে নিন:>মাথা,হাত,আখি,দাত,ভাত চাঁদ,মাছ,কান
7.তৎসম শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>> হস্তে যদি থাকে শক্তি চন্দ্র সূর্য্য করবে ভক্তি,ভবনের পত্র ধর্ম লাভ ক্ষতি মনূষ্য পর্বতের কর্ম.
মিলিয়ে নিন: হস্ত,চন্দ্র,সূর্য্য,ভবন,পত্র,ল
ভ,ক্ষতি মনূষ্য,পর্বত.
8.অর্ধতৎসম শব্দ:
----------------
টেকনিক >>>গিন্নি মাগি জৈস্না কুৎসীত গতরে বোস্টমের বাড়িতে
নেমন্তন্ন খেত গেল,কেস্ট ও পুরুত খিদে পেয়ে শুধু আদা খায়.
.
মিলিয়ে নিন: গিন্নি,মাগি,জৈস
না,কুৎসীত,গতর,নেমন্তন্ন,কেস্ট
,পুরুত,আদা...!!!

টেকনিকে ফারসি শব্দঃ [ধর্ম সংক্রান্ত:
---------------------------------------------
ছন্দঃ(নামাজ রোজা করলে বেহেস্ত, আর গুনাহ করলে দোযখ ফেরেস্তা হিসাবে রাখবে আর পয়গম্বর খোদার কাছে গুনাহ মাপের সুপারিশ করবে।)

ব্যাখ্যাঃ
নামাজ, রোজা, বেহেস্ত, গুনাহ, দোযখ, ফেরেস্তা, পয়গম্বর, খোদা, সুপারিশ।

অথবা
(নামাজ রোজা পালন না করলে গুনাহ হয়। তাই পয়গম্বরদের কথা না,শুনলে ফেরেস্তারা খোদার আদেশে বেহেস্তের পরিবর্তে দোযখে নিয়ে যাবে।)
নামাজ, রোজা পালন, গুনাহ, পয়গম্বর, ফেরেস্তা, খোদা, বেহেস্ত, দোযখ।
_______________________________

টেকনিকে পর্তুগিজ শব্দঃ
---------------------------
চোর গীর্জার গুদামে ঢুকে পাদ্রিকে বেঁধে রেখে চবি দিয়ে আলমারি খুলে আনারস আলপিন পাউরুটি বালতি সব নিয়ে গেল।
-------------------------------------------

টেকনিকে ফরাসি শব্দঃ
কাকু রেডি (কার্তুজ, কুপন, ডিপো রেস্তারা)
-----------------------------------------------
টেকনিকে গুজরাটি শব্দঃ
গুজরাটি হখ (হরতাল, খদ্দর) সাহেব।
--------------------------------------------------
টেকনিকে পাঞ্জাবি শব্দঃ
পাঞ্জাবি চাশি (চাহিদা, শিখ)
---------------------------------------------------
টেকনিকে তুৃর্কি শব্দঃ
দারোগা, চাচা (চাকর, চাকু) তোপ, দাগে।
----------------------------------------

কতগুলো শব্দ কেবল পুরুষ বোঝায়---
কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, রাষ্ট্রপতি।

কতগুলো শব্দ পুরুষ ও স্ত্রী দু-ই বোঝায়---
গুরু, শিশু, সন্তান, জন, শিক্ষিত, পাখি।

নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে---
শ্রদ্ধাস্পদাসু

লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ ---
কবিরাজ, কেরানী ,রাষ্ট্রপতি, ডাক্তার ।

কতগুলো নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ ---
শাঁকচুন্নী, সধবা, সতীন, সপত্নী, বিধবা, সধবা, ডাইনি, কুলটা এয়ো, দাই।
‘বাবুর্চি’ কোন ভাষার শব্দ? তুর্কি
‘ম্যালেরিয়া’ কোন ভাষার শব্দ? ইতালি
‘মর্সিয়া’ শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে? আরবি
‘কাঁচি’ শব্দটি কোন ভাষা হতে এসেছে? তুর্কি
‘কুঁড়ি’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি শব্দ কোনটি? কোরক
‘শাক সবজি’ শব্দটি নিচের কোন দুইয়ের মিলন? তৎসম + ফারসি
‘কুলি’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত? তুর্কি
‘সাবান’ ও ‘আনারস’ শব্দ দুটি কোন ভাষা হতে এসেছে? পর্তুগিজ
‘হরতন’ কোন ভাষার শব্দ? ওলন্দাজ
‘‘হরতাল’’ কোন ভাষা থেকে এসেছে? গুজরাটি
‘হাঙ্গামা’ কোন ভাষার শব্দ? ফারসি
‘হাটবাজার’ কোন কোন ভাষার শব্দ নিয়ে গঠিত?বাংলা ও ফারসি
‘চকলেট’ কোন দেশের ভাষার শব্দ? মেক্সিকো
‘চকমক’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে? তুর্কি
‘চানাচুর’ কোন ভাষার শব্দ? হিন্দি
‘জান্নাত ও বেহেশত’ শব্দ দুটি কোন ভাষা থেকে এসেছে? আরবি ও ফারসি
‘জানালা’ শব্দটি কোন্ ভাষার শব্দ? ফারসি

বাংলা নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি সহজেই মনে রাখি
_______________________________
বনস্পতি এবং বৃহস্পতি পরষ্পর দুই ভাই। তাদের বয়স ষোড়শ এবং একাদশ। তারা দুজনে তস্কর।দুজনে গিয়েছে গোষ্পদ চুরি করতে।দেখেছে মনীষা। বলেছে পতঞ্জলির কাছে।পতঞ্জলি শুনে আশ্চর্য হল
----------------------------------------------------
বনস্পতি
বৃহস্পতি
পরষ্পর
ষোড়শ
একাদশ
তস্কর
গোষ্পদ
মনীষা
পতঞ্জলি
আশ্চর্য নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।

 

৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন সাহিত্যিকের সংক্ষেপ পরিচিতিঃ
(পোষ্ট'টি শেয়ার করে রাখতে পারেন। কাজে আসবে)
⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣
●➢ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ (১৮২০-১৮৯১)★★
১। বিদ্যাসাগর কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? - উঃ
১৮২০ সালে
২। বিদ্যাসাগর উপাধি দেয়া হয় কোথা থেকে? উঃ
সংস্কৃত কলেজ থেকে
৩। বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত কে? উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৪। বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্ন প্রথম স্থাপন করেন
কে? উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৫। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি মৌলিক রচনার নাম কি কি? উঃ
অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা,
রত্ন পরীক্ষা।
৬। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থের
নাম কি কিঃ উঃ- বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার
বনবাস ও ভ্রান্তিবিলাস। ৭। বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি? উঃ
বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
৮। বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম কি? উঃ
ব্যাকরণ কৌমুদী
৯। বিদ্যাসাগর কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন? উঃ বিধবা বিবাহ আন্দোলন
১০। বিদ্যাসাগর কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন? উঃ
১৮৯১ সালে।
…………………………………
●➢কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬)★★
১। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? উঃ ১৮৯৯ সালে
২। বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে? উঃ
কাজী নজরুল ইসলাম
৩। নজরুলের কোন কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি
গ্রেফতার হন? উঃ আনন্দময়ীর আগমনে ৪। কাজী নজরুল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর
কোন রচনাটি উৎসর্গ করন? উঃ বসন্ত
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নজরুল তার কোন রচনাটি
উৎসর্গ করেন? উঃ সঞ্চিতা
৬। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি? উঃ ব্যথার দান ( ১৯২২)
৭। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম কি? উঃ মুক্তি
৮। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
উঃ অগ্নিবীনা
৯। নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? উঃ সন্ধ্যা, নতুন চাঁদ , ছায়ানট, প্রলয় শিখা , অগ্নিবীনা ,
সাত ভাই চম্পা, , সিন্দুহিন্দোল, ফনিমনসা, চক্রবাক,
সর্বহারা,ঝড় হাওয়া, জিঞ্জির, সাম্যবাদী, মরুভাস্কর,
শেষ সওগাত , ঝিঙ্গেফুল, বিষের বাশিঁ , দোলনচাঁপা
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ কোনো এক সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার সময়
ছায়ানটে লাগা প্রলয় শিখার অগ্নিবীনা দেখে সাত ভাই
চম্পা, দোলনচাঁপা ও ফনিমনসারা চক্রবাক হয়ে
সর্বহারার মতো ঝড় হাওয়ার গতিতে জিঞ্জিরার দিকে
ছুটতে লাগল। সাম্যবাদী মরুভাস্করেরা শেষ সওগাত ঝিঙ্গেফুল ও বিষের বাশিঁ হাতে নিয়ে
সিন্দুহিন্দোলের দিকে এগিয়ে চললেন।
১০। নজরুলের উপন্যাসগুলো কি কি? উঃ বাঁধনহারা,
কুহেলিকা ও মৃত্যুক্ষুধা।
১১। নজরুলের গল্পগ্রন্থগুলোর নাম কি? উঃ শিউলিমালা, ব্যথারদান ও রিক্তের বেদন।
১২। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে প্রথম ঢাকায়
আসেন? উঃ ১৯২৬ সালে।
১৩। কাজী নজরুল ইসলাম মোট কতবার ঢাকায়
আসেন? ১৩ বার। ১৪। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে মৃত্যুবরন
করেন? উঃ ১৯৭৬ সালে
…………………………………………
●➢কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১) ★★
১। কায়কোবাদের প্রকৃত নাম কি? উঃ কাজেম আল
কোরেশী।
২। কায়কোবাদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি
কি?
উঃমহাশ্মশান, অশ্রুমালা, বিরহ বিলাপ, কুসুমকানন, শিবমন্দির,
ও অমিয়ধারা।
৩। কোন ঘটনা অবলম্বনে কায়কোবাদের
মহাশ্মশান মহাকাব্যটি রচিত হয়?
উঃ পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে।
৪। বাঙ্গালী মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য
রচনা করেন কে? উঃ কায়কোবাদ।
৫। কায়কোবাদের রচিত কবিতার নাম কি? উঃ বাংলা আমার
৬। কায়কোবাদের অশ্রুমালা কাব্যগ্রন্থের মূল সুর
কি? উঃ প্রেম-বেদনা, আবেগ ও আনন্দ বিরহ।
…………………………………………
●➢জসীমউদদীন (১৯০৩-১৯৭৬) ★★
১। জসীমউদদীন কোথায় জন্মগ্রহন করেন? উঃ
মাতুলালয়, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর।
২। জসীমউদদীনের উপাধি কি? উঃ পল্লীকবি।
৩। জসীমউদদীন ছাত্র থাকা অবস্থায় তাঁর কোন
কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পাঠ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়? উঃ কবর কবিতা।
৪। কবর কবিতাটি জসীমউদদীনের কোন
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত? উঃ রাখালী।
৫। জসীমউদদীনের কবর কবিতাটি কোন
পত্রিকায় ছাপা হয়? উঃ কল্লোল পত্রিকায়।
৬। জসীমউদদীনের বিখ্যাত কাব্যগ্রনথগুলো কি
কি?
উঃরঙ্গিলা নায়ের মাঝি , হাসু, রুপবতী, সকিনা,
রাখালীকে, বালুচরের, সোজান বাদিয়ার ঘাটে , মাটির
কান্না , নকশী কাঁথার মাঠের ও এক পয়সার বাঁশি। ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
রঙ্গিলা নায়ের মাঝি হাসু রুপবতী সকিনা ও রাখালীকে
নিয়ে বালুচরের ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সোজান
বাদিয়ার ঘাটে গিয়ে এক পয়সার বাঁশি কিনে ফিরে আসার
সময় নকশী কাঁথার মাঠের মাটির কান্না দেখল।
৭। জসীমউদদীনের রচিত নাটকগুলো কি কি?
উঃ পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধু ও
গ্রামের মায়া।
৮। জসীমউদদীনের রচিত একমাত্র উপন্যাসের
নাম কি? উঃ বোবা কাহিনী। ৯। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত
হয়? উঃ ১৯২৯ সালে।
১০। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি
অনুবাদের নাম কি? উঃ ‘Field of the Embroidery Quilt’
১১। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি
অনুবাদকের নাম কি? উঃ ই. এম. মরফোর্ড।
১২। জসীমউদদীনের ছদ্মনাম কি?
জমীরউদ্দীন মোল্লা।
১৩। জসীমউদদীন কত সালে একুশে পদক পান? উঃ ১৯৭৬ সালে।
…………………………………………
●➢ দীনবন্ধু মিত্র ( ১৮৩০-১৮৭৩) ★★
১। নীলকরদের অত্যাচার অবলম্বনে রচিত
দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের নাম কি? উঃ নীল দর্পণ
(১৮৬০) ২। দীনবন্ধু মিত্রের কাব্যগুলো কি কি? উঃ
সুরধুনী কাব্য ও দ্বাদশ কবিতা।
৩। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত প্রহসনগুলো কি কি? উঃ
বিয়ে পাগলা বুড়ো, সধবার একাদশী।
৪। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নাটকগুলো কি কি? উঃ নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী,
জামাই বারিক ও কমলে কামিনী।
৫। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি
ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে? উঃ মাইকেল
মধুসূদন দত্ত। ৬। নীল দর্পণ নাটকটি প্রথম কোথায় মঞ্চস্থ হয়?
উঃ ঢাকায়।
…………………………………………
●➢ফররুখ আহমেদ (১৯১৮-১৯৭৪)★★
১। ফররুখ আহমেদ কোথায় জন্মগ্রহন করেন? উঃ
মাঝআইল গ্রাম, যশোর।
২। ফররুখ আহমেদ রচিত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি
কি?
উঃসাত সাগরের মাঝি , নৌফেল, হাতেম তায়ী , সিরাজাম
মুনিরা ও মুহূর্তের কবিতা। ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
ঝড়ের কবলে পরে সাত সাগরের মাঝি, হাতেম
তায়ী- সিরাজাম মুনিরা ও নৌফেলকে বিপদের
মুহূর্তের কবিতা পড়তে বললেন।
৩। ফররুখ আহমেদ রচিত শিশুতোষ গ্রন্থের নাম কি ? উঃ পাখির বাসা।
৪। ফররুখ আহমেদ রচিত পাখির বাসা গ্রন্থের জন্য
তিনি কোন পুরস্কার লাভ করেন? ইউনেস্ক পুরস্কার
(১৯৬৬)
৫। ফররুখ আহমেদ রচিত সাত সাগরের মাঝি গ্রন্থে কতটি কবিতা আছে? উঃ ১৯ টি।
…………………………………………
●➢বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ★★
১। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম
কাব্যগ্রন্থের নাম কি? উঃ ললিতা তথা মানস।
২। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাসের নাম কি? উঃ দুর্গেশনন্দিনী।
৩। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের উপন্যাসগুলো কি
কি?
উঃইন্দিরা, আনন্দ মঠের , বিষবৃক্ষের,
দুর্গেষনন্দীনি, কপালকুণ্ডলা, কৃষ্ণকান্তের উইল , রাজসিংহ, দেবী চৌধুরানীর , চন্দ্রশেখর, শীতারাম,
মৃণালীনি, রাধারানীকে , রজনীতে ও
যুগলাঙ্গুরীয়
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
এক রজনীতে ইন্দিরা রোডে আনন্দ মঠের সামনে বিষবৃক্ষের নিচে দাড়িয়ে দুর্গেষনন্দীনি
ও কপালকুণ্ডলা কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ছিলো। কিন্তু
রাজসিংহ তা দেখে দেবী চৌধুরানীর দুই ছেলে
চন্দ্রশেখর এবং শীতারাম ও দুই মেয়ে মৃণালীনি
ও রাধারানীকে বলে দিলে তারা ঐ যুগলাঙ্গুরীয়কে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত
হলো।
৪। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের কাব্যগ্রন্থগুলো কি
কি?
উঃলোকরহস্য, কমলকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র ও ধর্মতত্ত্ব
অনুশীলন।
৫। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের ছদ্মনাম কি? উঃ
কমলাকান্ত।
৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের সম্পাদিত পত্রিকার নাম কি? উঃ বঙ্গদর্শন ।
…………………………………………
●➢মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪- ১৮৭৩) ★★
১) মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত
গ্রন্থের নাম কি? উঃ Captive Ladie ( ১৮৪৯)
২) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত প্রহসনগুলো কি কি?
উঃএকেই কি বলে সভ্যতা ও বুড় সালিকের ঘাড়ে
রোঁ।
৩। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত বাংলা নাটকগুলো
কি কি? উঃ শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী ও কৃষ্ণকুমারী। ৪। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো
কি কি? উঃ তিলোত্তমাসম্ভার কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য ও
ব্রজাঙ্গনা।
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত অমর মহাকাব্যের
নাম কি? উঃ মেঘনাদবধ কাব্য।
৬। বীরাঙ্গনা কাব্যটি কোন ধরনের কাব্য? উঃ
পত্রকাব্য।
৭। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে? উঃ মাইকেল
মধুসূদন দত্ত।
…………………………………………
●➢মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭- ১৯১১) ★★ ১। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত পত্রিকা দু’টির
নাম কি কি? উঃ আজীজননেহার ও হিতকারী।
২।মীর মশাররফ হোসেনের প্রথম গ্রন্থ
কোনটি? উঃ রত্নবতী
৩। মীর মশাররফ হোসেনের নাটক গুলো কি কি? উঃ জমীদার দর্পণ, বসন্তকুমারী, বেহুলা
গীতাভিনয়, টালা অভিনয়, নিয়তি কি অবনতি, ভাই ভাই
এইতো চাই, ফাঁস কাগজ, একি, বাঁধা খাতা ইত্যাদি।
৪। মীর মশাররফ হোসেনের গদ্য ও অন্যান্য
গ্রন্থগুলো কি কি? উঃ রত্নবতী, বিষাদসিন্ধু, গোজীবন, উদাসীন
পথিকের মনের কথা, তহমিনা, রাজিয়া খাতুন, এসলামের
জয়, মৌলুদ শরীফ, গোরাই ব্রিজ, পঞ্চনারী, বিবি
খোদেজার বিবাহ মদীনার গৌরব ও মুসলমানের বাংলা
শিক্ষা।
৫। মীর মশাররফ হোসেনের একমাত্র প্রহসন
কি? উঃ এর কি উপায়?
৬। মীর মশাররফ হোসেনের
আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের নাম কি? উঃ গাজী
মিয়াঁর বস্তানী
৭। মীর মশাররফ হোসেনের
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কি কি ? উঃ আমার
জীবনী ও কুলসুম জীবনী।
৮। মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কি ছিলো?
উঃ গাজী মিয়াঁ
…………………………………………
●➢রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)★★
১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতামাতার কততম সন্তান? উঃ
তিনি তাঁর মা বাবার চতুর্দশ সন্তান।
২। কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম
কবিতা প্রকাশিত হয়? উঃ তের বছর বয়সে।
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থের নাম কি? উঃ কবি কাহিনী।
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের
নাম কি? উঃ বাল্মীকি প্রতিভা।
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থেউপন্যাসের নাম কি? উঃ বৌ ঠাকুরাণীর হাট।
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত ছোট
গল্পের নাম কি? উঃ ভিখারিনী।
৭। বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয় কাকে? উঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কি? উঃ ভানুসিংহ ঠাকুর।
৯। গীতাঞ্জলি কাব্য কত সালে প্রকাশিত হয়? উঃ
১৯১০ সালে।
১০। গীতাঞ্জলি বা Song Offerings এর ভূমিকা
লেখেন কে? উঃ ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস।
১১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি?
উঃ ভানুসিংহ, গীতাঞ্জলি, , প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা
সংগীত , বিচিত্রা, পূরবী,, পত্রপুট, শ্যামলী, মহুয়া,
সোনার তরী , খেয়া, হিন্দুমেলার উপহার , ক্ষণিকা,
নবজাতক, নৈবেদ্য, জন্মদিন, রোগশয্যা, আরোগ্য , কণিকা, চৈতালি, চিত্রা, মানসী, বনফুল, মায়ার খেলা , ছবি
ও গান , বলাকা, সানাই , গীতালি, কল্পনা, কড়ি ও কোমল ও শেষ লেখা।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ ভানুসিংহ গীতাঞ্জলির প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা সংগীত
ও বিচিত্রা গাইতে গাইতে পূরবী, পত্রপুট, শ্যামলী
ও মহুয়াকে সাথে নিয়ে সোনার তরী খেয়ায়
করে হিন্দুমেলার উপহার কিনতে গেল। এদিকে
সেদিন ছিলো ভানুসিংহের স্ত্রী ক্ষণিকার নবজাতক নৈবেদ্যর জন্মদিন। ক্ষণিকা রোগশয্যা থেকে আরোগ্য লাভ করার পর তার বোন কণিকা, চৈতালি, চিত্রা ও মানসীদের নিয়ে বনফুলের মিষ্টি
খেলো। বাসায় ফেরার আগে তারা বলাকা সিনেমা
হলে মায়ার খেলা ছবি ও গান দেখল। ভানু সিংহ তার নবজাতক পুত্রের কথা শুনে সানাই ও গীতালি
বাজাতে বাজাতে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায় এবং কড়ি
ও কোমল নিয়ে বাসায় ফিরে এসে তার বিখ্যাত
শেষ লেখাটি পুত্রকে উৎসর্গ করেন।
১২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলো কি কি? উঃ শেষের কবিতা, যোগাযোগ, চোখের বালি,
গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে বাইরে ও চার অধ্যায়।
১৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকগুলো কি কি?
উঃ বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা,
রক্তকবরী ও তাসের দেশ। ১৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতবার ঢাকায় আসেন? উঃ ২
বার।
…………………………………………
●➢বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২) ★★
১। বেগম রোকেয়ার রচিত উপন্যাসের নাম কি? উঃ
পদ্মরাগ। ২। বেগম রোকেয়ার গ্রন্থ সমূহ কি কি?
উঃ সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া, অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ
ও মতিচূর।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধবাসিনীদের মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগ ও মতিচূর ফুল তুলে দেবেন।
৩। বেগম রোকেয়া মূলত কি হিসেবে পরিচিত? উঃ
মুসলিম নারী জাগরনের অগ্রদূত।
৪। বেগম রোকেয়ার লেখাগুলো কোন কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হত? উঃ নবনূর, সওগাত ও
মোহাম্মাদী।
…………………………………………
।।
সংগৃহীত

 

 

 

 

➊ বাংলা সাহিত্যের আদি কবি→লুইপা
➋ ইংরেজি সাহিত্যের আদি কবি→ক্যাডমন (Caedmon)
➊ বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি→কাজী নজরুল ইসলাম
➋ ইংরেজি সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি→লর্ড বাইরন(Lord Byron)
➊ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন→চর্যাপদ।
➋ ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন→বিউলফ(Beowulf)
➊ বাংলা সাহিত্যের কবিদের কবি→নির্মলেন্দু গুণ
➋ ইংরেজি সাহিত্যের কবিদের কবি→এডমন্ড স্পেনসার(Edmund Spanser)।
➊ বাংলা সাহিত্যের দুংখবাদী কবি→যতীন্দ্রমোহন বাগচী
➋ ইংরেজি সাহিত্যের দুংখবাদী কবি→মেথিউ আরনল্ড
➊ বাংলাদেশের জাতীয় কবি→কাজী নজরুল ইসলাম
➋ ইংরেজিদের জাতীয় কবি→Shakespeare
➌ রাশিয়ার জাতীয় কবি→আরেকজান্ডার পুসকিন
➍ আমেরিকার জাতীয় কবি→Walt whitman, Robert Frost, Emity Dickinson(তিনজন)
➊ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য→মেঘনাদবধ কাব্য(মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য→বেওউলফ(Beowulf)
➊ বাংলা গদ্যের জনক→ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
➋ ইংরেজি গদ্যের জনক→জন ওয়াক্লিফ(John Wyclif)
➊ বাংলা সনেটের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ ইংরেজি সনেটের জনক→স্যার থমাস ওয়াট(Sir Thomas wyatt)
➊ সনেটের জনক→ইতালীয় কবি পেত্রার্ক
➋ বাংলা ভাষায় ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক→প্রমথ চৌধুরী
➊ বাংলা চলচিত্রের জনক→হীরালাল সেন
➋ বাংলাদেশের চলচিত্রের জনক→আব্দুল জব্বার খান
➊ বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার কবি→ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
➋ ইংরেজি সাহিত্যের সমালোচনার কবি→জন ড্রেডেন(John Dryden)
➊ বাংলা প্রবন্ধের জনক→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি প্রবন্ধের জনক→ফ্রান্সিস বেকন(Francis Bacon)
➊ বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্যের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ ইংরেজি সাহিত্যে মহাকাব্যের জনক→উইলিয়াম কেরী(William Carey)
➊ বাংলা মহাকাব্যের কবি→হেমচন্দ্র(বাংলার মিল্টন)
➋ ইংরেজি মহাকাব্যের কবি→জন মিল্টন(John Milton)
➊ বাংলা দুঃখবাদী কবি→যতিন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
➋ ইংরেজি দুঃখবাদী কবি→ম্যাথিও আর্নল্ড(Matthew Arnold)
➊ বাংলা সাহিত্যের সভাকবি→সুভাস মুখোপ্যাধ্যায়
➋ ইংরেজি সাহিত্যের সভাকবি→ওয়ার্ড ওর্থ(Word Worth)
➊ বাংলা উপন্যাসের জনক→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি উপন্যাসের জনক→হেনরি ফিল্ডিং(Henry Fielding)
➊ বাংলা কবিতার জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ বাংলা গীতি কবিতার জনক→বিহারীলাল চক্রবর্তী
➌ ইংরেজি কবিতার জনক→জিওফরি চাউচার(Geoffrey Chaucer)
➊ বাংলা ছোট গল্পের জনক→রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
➋ ইংরেজি ছোট গল্পের জনক→এডগার এলান পো
➊ বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক→চার্লস উইলকিনস
➋ ইংরেজি মুদ্রণ শিল্পের জনক→উইলিয়াম কাক্সটন(William Caxton)
➊ বাংলা নাটকের জনক→দীনবন্ধু মিত্র
➋ ইংরেজি নাটকের জনক→শেক্সপিয়র
➊ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের জনক→জর্জ বার্নার্ড শ
➊ বাংলা সাহিত্যের Poet of Dramatic Monologue→জসীম উদ্দিন
➋ ইংরেজি সাহিত্যের Poet of Dramatic Monologue→রবার্ট ব্রওইং(Robert Browning)
➊ বাংলা সাহিত্যের কিশোর কবি→সুকান্ত ভট্টাচার্য
➋ ইংরেজি সাহিত্যের কিশোর কবি→জন কিটস(John keats)
➊ বাংলা সাহিত্যের স্কট বলা হয়→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি সাহিত্যের স্কট বলা হয়→স্যার ওয়াল্টন স্কট(Sir Walton Scott)
➊ বাংলা সাহিত্যেরর প্রথম উপন্যাস→আলালের ঘরের দুলাল(প্যারিচাদ মিত্র)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস→Pamela or The Virtue Rewarded (Samuel Richardson)
➊ বাংলা সাহিত্যের ব্যাঙ্গাত্বক উপন্যাসের রচয়িতা→প্রমথ চৌধুরি
➋ ইংরেজি সাহিত্যের ব্যাঙ্গাত্বক উপন্যাসের রচয়িতা→জনাথান সুইফট(Jonathan Swift)
➊ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক শ্লোকগাঁথা→প্রভাবতী সম্মাষণ(ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম সার্থক শ্লোকগাঁথা গ্রন্থ →Lycidas(John Milton)
➊ বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন→নাথনিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
➋ ইংরেজি ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন→উইলিয়াম কেরি(William Carey)
➊ সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর খোদাই করেন→চার্লস উইলকিনস
➋ বাঙালিদের মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর খোদাই করেন→পঞ্চানন কর্মকার।

#এক_কথায়_প্রকাশ

…………………………..

 

যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা।
.
যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ভাষী।
.
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় = স্বয়ংবরা।
.
যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী।
.
যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া।
.
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া।
.
যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।
.
যে নারী জিবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে
= কাকবন্ধ্যা।
.
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।
.
যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা।
.
যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা/
পুরন্ধ্রী।
.
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ।
.
যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা।
.
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্য
পূর্বা।
.
যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা।
.
যে নারী কখনো সূর্যকে দেখে নাই =
অসূর্যম্পশ্যা।
.
যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই = অনসূয়া।
.
যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা।
.
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা।
.
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে =
প্রোষিতভর্তৃকা।
.
যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে =
প্রোষিতপত্নীক।

 

১.কুকুরের ডাক=বুক্কন

২.রাজহাঁসের ডাক=ক্রেঙ্কার

৩.বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি

৪.করার ইচ্ছা=চিকীর্ষা

৫.ক্ষমা করার ইচ্ছা=চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা

৬.ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা=তিতীর্ষা

৭.গমন করার ইচ্ছা=জিগমিষা

৮.নিন্দা করার ইচ্ছা=জুগুপ্সা

৯.বেঁচে থাকার ইচ্ছা=জিজীবিষা

১০.পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা

১১.চোখে দেখা যায় এমন=চক্ষুগোচর

১২.চোখের নিমেষ না ফেলিয়া=অনিমেষ

১৩.গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র

১৪.মুক্তি পেতে ইচ্ছা=মুমুক্ষা

১৫.বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা

১৬.প্রবেশ করার ইচ্ছা=বিবক্ষা

১৭.বাস করার ইচ্ছা=বিবৎসা

১৮.বমন করিবার ইচ্ছা=বিবমিষা

১৯.রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা=রিরংসা

২০.আমার তুল্য=সাদৃশ

২১.ইহার তুল্য=ইদৃশ

২২.ঋষির তুল্য=ঋষিকল্প

২৩.দেবতার তুল্য=দেবোপম

২৪.রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য

২৫.জানিবার যোগ্য=জ্ঞাতব্য

২৬.প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসার্হ

২৭.ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্রেয়

২৮.যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না=দুলঙ্ঘ্য

২৯.যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না=দুস্তর

৩০.যা বলা হয়েছে=বক্ষ্যমাণ

৩১.যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি=অচিন্তিতপূর্ব

৩২.যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই=অনাস্বাদিতপূর্ব

৩৩.যা পূর্বে শোনা যায় নি=অশ্রুতপূর্ব

৩৪.হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত =হিরন্ময়

৩৫.বাতাসে চরে যে=কপোত

৩৬.পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার=জাতিস্বর

৩৭.সরোবরে জন্মায় যাহা=সরোজ

৩৮.সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে=সততসঞ্চরমান

৩৯.যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান

৪০.সকলের জন্য প্রযোজ্য=সর্বজনীন

৪১.সকলের জন্য অনুষ্ঠিত =সার্বজনীন

৪২.প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন=প্রভাতকল্পা

৪৩.রাত্রির মধ্যভাগ=মহানিশা

৪৪.স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ

৪৫.স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার

৪৬.যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত

৪৭.শক্তির উপাসনা করে যে = শাক্ত

৪৮.এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার=অজাতশত্রু

৪৯.এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার=অজাতশ্মশ্রু

৫০.যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়=মাধুকর

৫১.অন্যদিকে মন নাই যার=অনন্যমনা

৫২.খেয়া পার করে যে =পাটনী

৫৩.নিজেকে বড় ভাবে যে=হামবড়া

৫৪.নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে=সয়ম্ভূ

৫৫.নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)=নিদাঘ

৫৬.যা গতিশীল = জঙ্গম

৫৭.যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই=অবিসংবাদী

৫৮.স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ

৫৯.অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ =অতিসার/অতীসার

৬০.অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ=দাদন

৬১.অতি উচ্চ ধ্বনি =মহানাদ

৬২.অতিশয় রমণীয়=সুরম্য

৬৩.অণুর ভাব=অণিমা

৬৪.অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী =আনুপূর্বিক

৬৫.অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে=উন্নাসিক

৬৬.অসির শব্দ=ঝঞ্জনা

৬৭.অন্ধকার রাত্রি =তামসী

৬৮.অশ্বের চালক=সাদী

৬৯.ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট=আনীল

৭০.ঈষৎ উষ্ণ =কবোষ্ণ

৭১.ঈষৎ পাংশু বর্ণ=কয়রা

৭২.আকস্মিক দুর্দৈব =উপদ্রব

৭৩.আঙুর ফল=দ্রাক্ষা

৭৪.আজীবন সধবা যে নারী=চিরায়ুষ্মতী

৭৫.উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন=রিকথ

৭৬.উটের/হস্তীর শাবক=করভ

৭৭.ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) =আর্য

৭৮.ঋজুর ভাব=আর্জব

৭৯.ঋতুর সম্বন্ধে=আর্তব

৮০.ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য=অনুপান

৮১.কংসের শত্রু যিনি=কংসারি

৮২.কালো হলুদের মিশানো রঙ=কপিশ,কপিল

৮৩.ক্ষুধার অল্পতা=অগ্নিমান্দ্য

৮৪.কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ=অধঃকায়

৮৫.কৃষ্ণবর্ণ হরিণ=কালসার

৮৬.ক্রীড়নশীল তরঙ্গ =চলোর্মি

৮৭.কাচের তৈরি ঘর=শিশমহল

৮৮.কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ

৮৯.কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ=রত্নি

৯০.কপালে আঁকা তিলক=রসকলি

৯১.কচি তৃণাবৃত ভূমি=শাদ্বল

৯২.ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত =চতুভৌতিক

৯৩.গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ=দেহলি,দেউড়ি

৯৪.গরম জল=উষ্ণোদক

৯৫.গর্দভের বাসস্থান =খরশাল

৯৬.গুরুগৃহে বাস=অন্তেবাসী

৯৭.গ্রন্থাদির অধ্যায় =স্কন্দ

৯৮.গুরুর পত্নী =গুর্বী

৯৯.গাধার ডাক=রাসভ

১০০.ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ=পরিমল

১০১.ঘোর অন্ধকার রাত্রি =তামসী,তমিস্রা

১০২.চোখের কোণ=অপাঙ্গ

১০৩.ছুতারের বৃত্তি=তক্ষণ

১০৪.চিত্তের তৃপ্তিদায়ক=দিলখোশ

১০৫ জানায় যে=জ্ঞাপক

১০৬.ছিন্ন বস্ত্র=চীর

১০৭.জজের বৃত্তি=জজিয়াতী

১০৮.জলবহুল স্থান =#অনুপ,জলা

১০৯.জানা উচিত =জ্ঞেয়

১১০.ত্বরার সঙ্গে বর্তমান=সত্বর

১১১.ত্বরায় গমন করে যে=তুরগ

১১২.তৃণাদির গুচ্ছ=স্তন্ব

১১৩.তরল অথচ গাঢ়=সান্দ্র

১১৪.তোপের ধ্বনি=গুড়ুম

১১৫.তস্করের কাজ=তাস্কর্য

১১৬.তোমার মত=ত্বাদৃশ

১১৭.তার মত=তাদৃশ

১১৮.তনুর ভাব=তনিমা

১১৯.থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি=ঠমক

১২০.দাম উদরে যাহার=দামোদর

১২১.দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত=আধিদৈবিক

১২২.দুরথীর যুদ্ধ =দ্বৈরথ

১২৩.দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান =দোয়াব

১২৪.দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ =রোজনামচা

১২৫.দুগ্ধবতী গাভী=পয়স্বিনী

১২৬.ধান্যাদি পরিমাপকারী =কয়ালি

১২৭.নিবেদন করা হয় যা=নৈবদ্য

১২৮.নির্ভুল মুনিবাক্য=আপ্তবাক্য

১২৯.নিকৃষ্ট ব্যক্তি =অজন

১৩০.নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা

১৩১.প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু

১৩২.প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন

১৩০.নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা

১৩১.প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু

১৩২.প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন

১৩৩.পেতে ইচ্ছা=#ঈপ্সা

১৩৪.পেটের পীড়া ও তৎসহ জ্বর =জ্বরাতিসার

১৩৫.প্রতিবিধান করার ইচ্ছা=প্রতিবিধিৎসা

১৩৬.পাখির ডানা ঝাপটা =পাখসাট

১৩৭.পায়ে হেঁটে যে গমন করে না=#পন্নগ

১৩৮.পায়ে হাঁটা =#পদব্রজ

১৩৯.ফিকা কমলা রঙ=বাসন্তী

১৪০.পুরুষের কর্ণভূষণ =বীরবৌলি

১৪১.পূর্ণিমার চাঁদ =রাকা

১৪২.প্রভাতের নবোদিত সূর্য=বালার্ক,বালসূর্য

১৪৩.বসন আলগা যার=অসংবৃত

১৪৪.বীজ বপনের উপযুক্ত সময়=জো

১৪৫.বেলা ভূমিকে অতিক্রম =উদ্বেল

১৪৬.বিশেষ ভাবে দর্শন =বীক্ষণ

১৪৭.ভোরে গাওয়ার উপযুক্ত গান=ভোরাই

১৪৮.মরনের জন্য অনশন =প্রায়োপবেশন

১৪৯.মেঘের ধ্বনি=জীমূতমন্ত্র

১৫০.মন্থন করা হয়েছে=মথিত

১৫১.মাথায় টাক=খলতি

১৫২.যার কিছু নেই=আকিঞ্চন

১৫৩.যাহার বসন (পোশাক) মাটির রঙের=গৈরিকবসনা

১৫৪.যার পঞ্জরাস্থি ক্ষীণ =উনপাঁজুরে

১৫৫.যার দিক থেকে চক্ষু ফেরানো যায় না=অসেচনক

১৫৬.বলা হতে যাচ্ছে বা হবে=বক্ষ্যমাণ

১৫৭.যার কীর্তি শ্রবণে পূণ্য জন্মে=পূণ্যশ্লোক

১৫৮.যাহা উচ্চারণ করিতে কষ্ট হয়=দুরুচ্চার্য

১৫৯.যে স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ

১৬০.যা শুনলে দুঃখ দূর হয়=দুঃশ্রব

১৬১.যা গমন করে না=নগ

১৬২.যার স্পৃহা দূর হয়েছে=বীতস্পৃহ

১৬৩.লয় প্রাপ্ত হয়েছে=লীন

১৬৪.শত্রুকে পীড়া দেয় যে=পরন্তপ

১৬৫.শক্তির উপাসনা করে যে=শাক্ত

১৬৬.শাল গাছের ন্যায় দীর্ঘাকার=শালপ্রাংশু

১৬৭.ষাঁড়ের চেহারা তুল্য =ষণ্ডামার্কা

১৬৮.সুদে টাকা খাটানো=তেজারতি

১৬৯.স্বর্গের গঙ্গা=মন্দাকিনী

১৭০.হাতি বাঁধার রজ্জু=আন্দু

১৭১.হস্তী রাখার স্থান =বারী,পিলখানা

১৭২.হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড =অঙ্কুশ

১৭৩.হস্তীর চারণভূমি=প্রচার

১৭৪.হত্যা করে যে=হন্তারক

১৭৫.অব্যক্ত মধুর ধ্বনি=কলতান

১৭৬.যার বাসস্থান নেই=অনিকেতন

১৭৭.আয়ুর পক্ষে হিতকর=আয়ুষ্য

১৭৮.ইতয়ার পুত্র=ঐতরেয়

১৭৯.কর্মে অতিশয় তৎপর =করিৎকর্মা

১৮০.কুরুর পুত্র=কৌরব

১৮১.কুন্তীর পুত্র=কৌন্তের

১৮২.চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব=চৌতিশা

১৮৩.জয়লাভ করতে অভ্যস্ত যে=জিষ্ণু

১৮৪.জয় করার যোগ্য=জেতব্য

১৮৫.তমঃদূর করে যে=তমোনাশ

১৮৬.দান করে যে কেড়ে নেয়=দত্তাপহারী

১৮৭.দান করার ইচ্ছা=দিৎসা

১৮৮.ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=নৈয়ায়িক

১৮৯.পিতার ভগিনী=পিতৃষসা

১৯০.পুণ্ডরীক্ষের ন্যায় অক্ষি যার=পুণ্ডরীকাক্ষ

১৯১.বাক্য ও মনের অগোচর=অবাঙ্মনসগোচর

১৯২.ভ্রাতাদের মধ্যে সদ্ভাব =সৌভ্রাত্র

১৯৩.মৃত্যু কামনায় উপবাস=প্রায়োপবেশন

১৯৪.যে আতপ থেকে ত্রাণ করে=আতপত্র

১৯৫.যে সুপথ থেকে ভিন্ন পথে গেছে=উন্মার্গগামী

১৯৬.যে উপরে উঠেছে =আরূঢ়

১৯৭.যে পার হতে ইচ্ছুক=তিতীর্যু

১৯৮.যে অট্টালিকা দেখতে সুন্দর=হর্ম্য

১৯৯.যে নদীর জল পূণ্যদায়ক=পূণ্যতোয়া

২০০.যে অস্ত্র একশত জনকে বধ করতে পারে=শতঘ্নী

# সংগৃহীত

++++++++++++++++++++

৩৯ ও ৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি

এটি পড়লে চর্যাপদ এর জন্য আর পড়তে হবে না

।সংগৃহীত পোস্ট

চর্যাপদঃ (A 2 Z)

• বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কি?-------চর্যাপদ।

• চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের কাব্য নিদর্শন?

-----আদি যুগ।

• চর্যাপদ এক প্রকার

------------------গান ও কবিতা।

• চর্যা শব্দের অর্থ কি?

---------আচরণ।

• চর্যাপদের অন্য নাম কি?

-----------চর্যাগীতিকোষ বা দোহাকোষ।

• ‘চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়’নামটি দিয়েছিলেন কে?

----------হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

• চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?

-----বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।

• চর্যাপদ রচিত হয় কোন আমলে?

--------পাল আমলে।

• চর্যাপদ রচিত হয় কত সনে?

-শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০-১২০০ খ্রীঃ;

সুনীতিকুমারের মতে ৯৫০-১২০০ খ্রীঃ

• চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর?

------------১০০০ বছর।

• চর্যাপদ আবিষ্কারের সূত্র কি?

---১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থের সূত্র ধরে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।

• চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সনে?

-------১৯০৭ সালে (বাংলা ১৩১৪)।

• চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?

----নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।

• চর্যাপদ আবিষ্কার করেন কে?

-মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

(৩ বারের চেষ্টায়)।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কত সনে?

------------১৯১৬ সালে।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কোথা হতে?

--কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায়।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কি নামে?

---“হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে।

• নেপালের রাজগ্রন্থাগারে চর্যাপদের সাথে প্রাপ্ত ডাকার্ণব ও দোহাকোষ বই ৩টি কোন ভাষায় লেখা?

---অর্বাচীন অপভ্রংশ।

• চর্যাপদের পদসংখ্যা কয়টি?-------শহীদুল্লাহর মতে ৫০ টি;

সুকুমার সেনের মতে ৫১ টি।

• চর্যাপদের কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে?

-----সাড়ে ৪৬ টি।

• চর্যাপদের কোন কোন পদগুলো পাওয়া যায়নি?

→২৩(এর ৬টি লাইন পাওয়া গেছে)

কোন পদগুলি পাওয়া যায় নি? →২৪,২৫,৪৮নং পদ।

• কোন পদটি আংশিক পাওয়া গেছে?

-----------২৩ নং পদ।

• ২৩ নং পদের রচয়িতা কে?

--------ভুসুকু পা।

• চর্যাপদের পদকর্তা কতজন?

-শহীদুল্লাহর মতে ২৩ জন (Buddist Mystic Songs);

--সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন (বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস)।

• চর্যাপদের আদি কবি কে?

----- লুইপা।

• চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ কবি কে?

--------শবর পা (লুইপার গুরু)।

• চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা কে?

-----লুইপা।

• চর্যাপদের প্রথম পদটি কি?

—“কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল”।

• চর্যাপদের অনুমিত মহিলা কবি কে?

---------কুক্কুরী পা।

• চর্যাপদের বাঙালি কবি কে কে?

----------শবর পা, লুইপা, ভুসুকু পা, জয়ানন্দ।

• চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি কে?

--------মীননাথ/মাৎসেন্দ্রনাথ।তাঁর কোন পূর্ণাঙ্গ পদ পাওয়া যায়নি।

• চর্যাপদের আধুনিক্ পদকর্তা কে?

------সরহপা>ভুসুকুপা।

• চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কে?

---কাহ্নপা (অপর নাম কৃষ্ণাচার্য)।

• কে কয়টি পদ রচনা করেন?

-----কাহ্নপা-১৩টি,

-----ভুসুকুপা-৮টি,

-----সরহ পা-৪টি,

-----লুই-শান্তি-শবরী এরা ২টি করে,

-----বাকিরা ১টি করে।

----তন্ত্রীপা ও লাড়িডোম্বীপার কোন পদ পাওয়া যায়নি।

• চর্যাপদের ভাষা কি?

------------প্রাচীন বাংলা।

• শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা কিরূপ?

---------বঙ্গকামরূপী।

• চর্যাপদের ভাষা বাংলা-কে প্রমাণ করেন?

------------সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।

• সুনীতিকুমারের মতে চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়?

----পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষা।

• চর্যাপদের ভাষা কে আলো আধারি ভাষা বলেছেন কে?

--------হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

• চর্যাপদের ভাষা হল প্রচ্ছন্ন ভাষা-কে বলেছেন?

---------ম্যাক্স মুলার।

• চর্যাপদ কেন ছন্দে লেখা?

---গোপাল হালদারের মতে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

• চর্যাপদের বেশিরভাগ পদ কত চরণে রচিত?

--------১০ চরণ।

• চর্যাপদে কতটি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়?

----------৬টি।

• অপণা মাংসে হরিণা বৈরী-প্রবাদটির রচয়িতা কে?

------ভুসুকু পা।(সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র)

• চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন কে?

-----------মুনিদত্ত।

• মুনিদত্ত কোন পদটি ব্যাখ্যা করেন নি?

-------------১১ নং পদ।

• চর্যাপদের সহোদর ভাষা কি কি?

---------অসমিয়া ও উড়িয়া।

• চর্যাপদের ভাষায় প্রভাব রয়েছে কোন কোন ভাষার?

---হিন্দি, অপভ্রংশ (মৈথিলী), অসমিয়া, উড়িয়া।

• চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য হওয়ার কারন কি?

---তন্ত্র ও যোগের প্রতাপের জন্য।

• সর্বপ্রথম চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন কে?

----------বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।

• চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেন কে?

--সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬)

• চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন কে?

---------শহীদুল্লাহ (১৯২৭)।

• চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন কে?

------শশিভূষণ দাশগুপ্ত (১৯৪৬)।

• চর্যাপদের তিব্বতীয় অনুবাদ প্রকাশ করেন কে?

----প্রবোধচন্দ্র বাকচি

//

সংগৃহীত

=============================================

 ১।বজ্রপাত কেন হয় ? ( ৩৩তম বিসিএস লিখিত)

মেঘ তৈরি হওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের মেঘ ভিন্ন ভিন্ন চার্জকৃত থাকে। এ চার্জ মেঘের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মধ্যে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আধান হিসিবে থাকে। দুটো মেঘ নিকটে আসলে বিপরীতধর্মী আধানগুলো একে অপরের সাথে আকর্ষিত হয়ে সংযোগ ঘটে। ফলে বিদ্যুত্ চমকায় । বিদ্যুত চমকানোর ফলে আশেপাশের বাতাস উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও ঠাণ্ডা হয়ে সংকুচিত হয়। এ হঠাত্ সংকোচন ও প্রসারণের ফলে যে শব্দের সৃষ্টি হয় তাকে বজ্রপাত বলে!

বজ্রপাতে করণীয়

১. মেঘের ডাক শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।

২. ঝড়ের পূর্বাভাস দেখলে খোলা মাঠ, পাহাড়ের চূড়া, সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করবেন না।

৩. পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিন। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভালো। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারেন।

৪. বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এ সব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না। ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি থাকে।

৫. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।

৬. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৭. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।

৮. রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচ- বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্মুখীন হন তবে গাড়ি কোনো গাড়ি বারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাঁচে হাত দেয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

৯. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে পা ঢাকা জুতো পরে বের হোন। রাবারের গাম্বুট এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে।

১০. যদি খোলা মাঠে থাকেনও তাহলে পায়ের পাতায় ভর করে হাঁটুর উপর হাত রেখে যতটা সম্ভব মাথা নিচু করে রাখুন। তবে হাঁটু বা হাত কোনোটাই যেন মাটিতে না স্পর্শ করে।

১১. অনেকে মনে করেন, বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হয়। এটা খুবই মারাত্মক ভুল ধারণা। এতে বজ্রপাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। যদি নদীতে নৌকায় থাকেন তাহলে একইভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে ছইয়ের নিচে অবস্থান নিতে পারেন। বনের মধ্যে থাকলে বড় গাছের নিচে না গিয়ে ছোট গাছপালার নিচে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন।

১২. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলে আশেপাশে খেয়াল রাখুন। যে দিকে বাজ পড়ার প্রবণতা বেশি সেদিক বর্জন করুন। কেউ আহত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

=======================================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

প্রিলি + লিখিত দুটোতেই কাজে লাগবে

সংগৃহীত পোস্ট

২০০+ বাক্য শুদ্ধি

।।।।

বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

মেগা পোস্ট

। ।

শুদ্ধ বলা বা লেখা সৃজনশীল কাজ। আর এই শুদ্ধ বলা বা লেখা নির্ভর করে ব্যাকরণের ওপর। ব্যাকরণ ভাষাকে সুন্দর, মার্জিত ও শৃংখলাবদ্ধ করতে সাহায্য করে। তাই ব্যাকরণকে ভাষার সংবিধান বলে। ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের মাধ্যমেই বাংলা ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বাংলা ভাষাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়, শুদ্ধ বলে বা লেখে। ব্যাকরণজ্ঞান থাকলে ভাষার অশুদ্ধ প্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ অর্থাৎ অপপ্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়।

ভাষা অপপ্রয়োগের ক্ষেত্র

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অপপ্রয়োগ হতে পারে। যেমন:

১. শব্দ রূপান্তজাত অপপ্রয়োগ: দৈন্যতা, মাধুর্যতা, সমসাময়িক, উদ্ধেলিত, চোখের দৃষ্টিশক্তি, মাতাহারা।

২. শব্দদ্বিত্ব অপপ্রয়োগ : শুধু/কেমলমাত্র, অশ্রুজল, ঘামজল, ভুলত্রুটি, ভুলভ্রান্তি।

৩. সংখ্যাজাত অপপ্রয়োগ : ১ জুলাই/১লা জুলাই।

৪. বচনজাত অপপ্রয়োগ : বড় বড় মানুষরা সব, সকল/সমস্ত /সব যুদ্ধাপরাধীদের।

৫. নির্দেশকজাত অপপ্রয়োগ : এই লোকটি।

৬. সন্ধিজাত অপপ্রয়োগ : লজ্জাস্কর, ইতিমধ্যে, উল্লেখিত, দুরাবস্থা।

৭. সমাসজাত অপপ্রয়োগ : দেশ ও বিদেশে।

৮. উপসর্গজাত অপপ্রয়োগ : সুস্বাগতম, অক্লান্তি হীনভাবে, উপ-পরিচালক।

৯. বিভক্তিজাত অপপ্রয়োগ : আমাদেরকে, তাদেরকে, নারীদেরকে, বাড়িতে।

১০. প্রত্যয়জাত অপপ্রয়োগ : দৈন্যতা, দারিদ্রতা।

১১. চিহ্নজাত অপপ্রয়োগ : সুন্দরী বালিকা, আসমা অস্থিরা, অভাগিনী, কাঙালিনী।

১২. পক্ষজাত অপপ্রয়োগ : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।

১৩. কারকজাত অপপ্রয়োগ : ছুরিতে, আমের কাননে।

১৪. বিসর্গজাত অপপ্রয়োগ : পুন:প্রচার।

১৫. সমোচ্চারিত অপপ্রয়োগ : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।

১৬. বাক্যজাত অপপ্রয়োগ : আমি স্বচক্ষে/নিজের চোখে।

১৭. বাচ্যজাত অপপ্রয়োগ : সূর্য পূর্বদিকে উদয় হয়।

১৮. এককথায় প্রকাশ অপপ্রয়োগ : চারিদিকে প্রদক্ষিণ, হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা।

১৯. প্রবাদ অপপ্রয়োগ : স্বল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

২০. বাগধারা অপপ্রয়োগ : পাকা ধানে আগুন দেয়া।

২১. বানান ও উচ্চারণ অপপ্রয়োগ : প্রাণীজগৎ, কীভাবে, পৃথিবীব্যাপী, স্ত্রীবাচক, শশীভূষণ, মন্ত্রীসভা, স্বামীগৃহ, গুণীজন, নদীতীর, নদীমাতৃক, বৈশাখীমেলা, আগামীকাল। সমাসবদ্ধ শব্দের বানান লেখা হয় ঈ-কার দিয়ে। ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে ঈ-কার হয়ে যায় ই-কার। ঊ-কার হয়ে যায় উ-কার। ণ-হয়ে যায় ন। য-ফলা থাকে না। যেমন: ঘরনি, কানাই/কানু, বোশেখি, সুয্যি, সোনা, সন্ধে ইত্যাদি। প্রাদেশিক ও বিদেশি শব্দ হলে /ছ/য/ণ/ষ/ঞ্জ/ঞ্চ/ ঈ-কার/উ-কার বসে না তবুও ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন: লুংগি, ডেংগু, ঠান্ডা, ঝান্ডা, লন্ঠন, মিসরি, পসন্দ, নামাজ, ওজু, ইস্টার্ন, স্টোর, ইনজিন, ইনজিনিয়ার, সেনচুরি, তির (ধনুক অর্থে, পাড় অর্থে নয়), অ্যাকাডেমি/এ্যাকাডেমি/একাডেমি, রসুল, নুর ইত্যাদি। সংস্কৃতশব্দে য-ফলা চল আছে কিন্তু ইংরেজি শব্দে নাই তবু লেখা হচ্ছে। যেমন: ইস্যু, টিস্যু, গ্যেটে, স্যার। ইংরেজি শব্দকে তদ্ভব করে লেখা হচ্ছে। যেমন: হসপিটাল>হাসাপাতাল, চকোলেট>চকলেট।

শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সংস্কৃত সহিত থেকে ‘সঙ্গে বা সাথে’র উৎপত্তি। নিয়ম আছে গদ্যে ‘সঙ্গে’ আর পদ্যে ‘সাথে’ ব্যবহার করতে হবে তবে এখন সর্বত্রই ‘সঙ্গে’ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার বিশেষণ সাধারণত পদক্রম অনুসারে বিশেষ্যের আগে বসে। যেমন: খাঁটি গরুর দুধ। ‘কী খাঁটি’ প্রশ্ন করলে পাওয়া যায় গরুর দুধ (সংস্কৃত গোদুগ্ধ)। অনেকেই বর্তমানে এই বাক্যকে ভুল মনে করে শুদ্ধ করে লেখেন গরুর খাঁটি দুধ। ইংরেজিতে লেখা হয় Fresh/Pure Milk অর্থাৎ খাঁটি দুধ। লেখা হয় না Fresh /Pure Cow Milk। সাধারণত গরুর দুধই বিক্রি হয় অন্য দুধ নয়। তাই গরুর খাঁটি লেখার প্রয়োজন হয় না। খাঁটি দুধ—লেখলেই হয়। বিভিন্নভাবে বাক্য অুশুদ্ধ হতে পারে। যেমন :

অশুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠতম/তর।

শুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি সদাসর্বদা জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনি সর্বদা/সব সময় জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি স্বস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন।

শুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি সস্ত্রীক/স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষী দেননি।

শুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেননি।

অশুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেল হয়েছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

শুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্রি পরিশ্রম করেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্র/দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্যতা দূর করতে।

শুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্য দূর করতে।

অশুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

শুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

অশুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্যতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

শুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্য/চতুরতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য বা মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্য/ভারসমতা হারিয়ে ফেলছে।

অশুদ্ধবাক্য : অন্য কোন উপায়ন্ত না দেখে তারা গুলি ছুড়তে লাগল।

শুদ্ধবাক্য : অন্য কোন উপায় না দেখে তারা গুলি ছুড়তে লাগল।

অশুদ্ধবাক্য : সে ক্যান্সারজনিত কারণে মারা গিয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : সে ক্যান্সার/ক্যান্সারজনিক রোগে মারা গিয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

অশুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

শুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয়/আইনত অপরাধ।

অশুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যতার কমতি নাই।

শুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যের/সুজনতার কমতি নাই।

অশুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার এবং মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

শুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার ও মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : আগুনের দ্বারা নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

শুদ্ধবাক্য : আগুনে নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

বচনের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সচেতনভাবেই হোক আর অবচেতনভাবেই হোক অনেক লেখক/কবি/সাধারণ মানুষ একটি বাক্যে দুবার বা তিনবার বহুচিহ্ন ব্যবহার করে বাক্যের গুণ নষ্ট করে। যেমন: গ্রামগুলো সব, লক্ষ লক্ষ শিশুগুলো সব, সব রাজাকারদের, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ইত্যাদি। ‘কিছু’ ব্যবহার হলে পরে বহুবচন হয় না। যেমন: কিছু লোকদের না হয়ে হবে কিছু লোক। বচন ঘাটতি বা বাহুল্যের কারণেও বচন ভুল হতে পারে। যেমন:

অশুদ্ধবাক্য : সকল/সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছে জনতা।

শুদ্ধবাক্য : সকল/সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর/যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছে জনতা।

অশুদ্ধবাক্য : আইভী ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের অবস্থা কেমন?

শুদ্ধবাক্য : আইভী ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের/অন্য প্রার্থীদেদের অবস্থা কেমন?

অশুদ্ধবাক্য : এবারও আইডিয়াল স্কুলের সব ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করেছে।

শুদ্ধবাক্য : এবারও আইডিয়াল স্কুলের সব ছাত্র/ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করেছে।

অশুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতারা সব সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

শুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতা সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

অশুদ্ধবাক্য : সব পাখিরা ঘর বাঁধে না।

শুদ্ধবাক্য : সব পাখি ঘর বাঁধে না।

অশুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রদের নিয়ে কথা তারা বখাটে।

শুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রকে নিয়ে কথা তারা বখাটে।

অশুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।

শুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলে।

অশুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষদের চিনি, যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।

শুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষকে চিনি যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।

অশুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তার মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।

শুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তাদের মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।

অশুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

শুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

অশুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের খবর কী?

শুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর খবর কী?

অশুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকদের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

শুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

অশুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।

শুদ্ধবাক্য : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।

শুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।

নির্দেশকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

‘টা/টি/খানা/খানি’ ব্যবহার করে শব্দকে নির্দিষ্ট করলে তার আগে ‘এই’ বা ‘ঐ’ ব্যবহার করা যাবে না। আবার গুলো বা গুলি বা গুলিন থেকে শুধু গুলো ব্যবহার করা যায়। আল্লাদিপনা বাদ দিয়ে টি’র ব্যবহার বেশি করা যেতে পারে।

অশুদ্ধবাক্য : ঐ লোকটি খুব সৎ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি খুব সৎ।

অশুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষটিকে চিনি।

শুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষকে চিনি। /আমি মানুষটিকে চিনি।

সন্ধির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সন্ধি শব্দ গঠনের শক্তিশালী মাধ্যম তবে সংস্কৃত ও সংস্কৃত শব্দে সন্ধি করতে হয়। সংস্কৃত ও বাংলা শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ও বাংলা শব্দে সন্ধি না করে আলাদা লেখাই ভালো। উচ্চারণে সুবিধা করতে গিয়ে শব্দকে অশুদ্ধ করা ঠিক নয়। লেখা যায়: মিশি কালো>মিশকালো, নাতি বউ>নাতবউ, নাত জামাই> নাজ্জামাই, ঘোড়া দৌড়>ঘোড়দৌড়, পিছে মোড়া>পিছমোড়া ইত্যাদি লেখি। কিন্তু লেখা যাবে না: বচ্ছর, কুচ্ছিত, উচ্ছব, ঘোড়গাড়ি ইত্যাদি।

অশুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জাস্কর।

শুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জা কর বা লজ্জাজনক।

অশুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরাবস্থায় আছেন।

শুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরবস্থায় আছেন।

অশুদ্ধবাক্য : ইত্যাবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

শুদ্ধবাক্য : ইত্যবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

অশুদ্ধবাক্য : উল্লেখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

শুদ্ধবাক্য : উল্লিখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

অশুদ্ধবাক্য : ইতিমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ইতোমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উৎসবের দিন। (ভুলটাই শুদ্ধ)

শুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উচ্ছবের দিন।

অশুদ্ধবাক্য : শরৎ চন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার।

শুদ্ধবাক্য : শরৎচন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার/শরচ্চন্দ্র নামে একজন প্রবন্ধকার আছে।

সমাসের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সমাসবদ্ধ শব্দ হলে একশব্দে লিখতে হবে। অথবা মাঝে হাইফেন দিতে হবে। ও দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হলে শব্দ দুটি এ-বিভক্তিযুক্ত হতে হবে। সহ অর্থ বুঝালে ‘স্ব’ না বসে ‘স’ বসে। সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সমাস হয়। সমাসজাত শব্দ ও ব্যাসবাক্য একই সঙ্গে বসে না। সমাসবদ্ধ শব্দের বানানে শুধু মাঝের ঈ-কার ই-কার হয়। যেমন :

অশুদ্ধবাক্য : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ও ভাতে’, এই কথা কবি বলেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ও ভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

/আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : শহর ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

শুদ্ধবাক্য : শহরে ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি স্বসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি সসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

অশুদ্ধবাক্য : কুআকারের মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

শুদ্ধবাক্য : কদাকার মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাল বহনকারী গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

শুদ্ধবাক্য : মালগাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

অশুদ্ধবাক্য : ঘি মাখা ভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

শুদ্ধবাক্য : ঘিভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

অশুদ্ধবাক্য : দুধ মাখা ভাত কাকে খায়।

শুদ্ধবাক্য : দুধভাত কাকে খায়।

অশুদ্ধবাক্য : আগে সিংহচিহ্নিত আসনে বসে রাজা দেশ চালাতেন।

শুদ্ধবাক্য : আগে সিংহাসনে বসেরাজা দেশ চালাতেন।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশির মতো কালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশকালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

অশুদ্ধবাক্য : তালে কানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

শুদ্ধবাক্য : তালকানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : ছয়টি ঋতুর সমাহারের দেশ বাংলাদেশ।

শুদ্ধবাক্য : ছয়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।

অশুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও যথারীতি সে বড়লোক।

শুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও সে বড়লোক।

অশুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

শুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে মাকে পরে মনে। /প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

বিভক্তির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

দুটি বিভক্তি না বসিয়েও কিন্তু বক্তব্য অসম্পূর্ণ থাকে না। ‘কে’ একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয় বলে একে তির্যক বিভক্তি বলে। তবে যে কারকেই ব্যবহৃত হোক; এটি একবচনের বিভক্তি। বহুবচনজাতীয় শব্দে (দের) ‘কে’ বসে না। যেমন: তাদেরকে (তাদের) দিয়ে একাজ করিও না। আমাদেরকে (আমাদের) অনেক কষ্ট করে শুটিং করতে হয়েছে। সব পাগোলগুলোকে (পাগলগুলো) দিয়ে ক্লাস নেয়। এক শব্দে দুটি বিভক্তি বসলে শব্দের গুণ হারায়। যেমন: তোমার কথায় বুকেতে (বুকে) আঘাত পাই। বস্তুবাচক একবচন পদে কোন বিভক্তি (কে, রে) বসে না। যেমন: ঘড়িকে (ঘরি/ঘরিটি) হাতে দাও। বইকে (বই/বইটি/ বইগুলো) পুড়িয়ে ফেলো। এই কলমটাকে (কলম) দিয়ে ভালো লেখা হয়। সংস্কৃত ভাষায় তাহাদিগকে, আমাদিগকে ব্যবহার করা হয় কিন্তু বাংলা ভাষাতে হয় না। দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসে বস্তু বা প্রাণিবাচক কর্তায় ‘কে’ বসানো হচ্ছে। যেমন: বইকে পড়া—বইপড়া, গানকে শোনা—গানশোনা, সাপকে ধরা—সাপধরা, মাছকে ধরা—মাছধরা, রথকে দেখা, ভয়কে প্রাপ্ত, কাপড়কে কাঁচা, ভাতকে রাঁধা, নথকে নাড়া, স্বর্গকে প্রাপ্ত ইত্যাদি। কিন্তু আমরা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এমন ব্যবহার না করে শুধু সমাসে পড়ে থাকি।

অশুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুকদেরকে ভিক্ষা দাও।

শুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। (একবচন) /ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দাও। (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : বইকে পুড়িয়ে ফেলো/বইগুলোকে পুড়িয়ে ফেলো।

শুদ্ধবাক্য : বই/বইটি পুড়িয়ে ফেলো (একবচন)/বইগুলো পুড়িয়ে ফেলো (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথকে পড়ে কী পেলেন?

শুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথ পড়ে কী পেলেন?

অশুদ্ধবাক্য : এ কলমকে দিয়ে কাজ হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ কলমে কাজ হবে না। /এ কলম দিয়ে কাজ হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : এই কলমটিকে দিয়ে ভালো লেখা হয়।

শুদ্ধবাক্য : কলমটি দিয়ে ভালো লেখা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : গরুকে দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

শুদ্ধবাক্য : গরু দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফ ফেলিল কুয়ায়।

শুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফকে ফেলিল কুয়ায়।

অশুদ্ধবাক্য : তাদেরকে দিয়ে একাজ করিও না।

শুদ্ধবাক্য : তাদের দিয়ে একাজ করিও না।

অশুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকেতে আঘাত পাই।

শুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকে আঘাত পাই।

অশুদ্ধবাক্য : গেলাসে করে দুধ দাও।

শুদ্ধবাক্য : গেলাসে দুধ দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ঘড়িকে হাতে দাও।

শুদ্ধবাক্য : ঘড়ি হাতে দাও /ঘড়িটি হাতে দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

/ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদেরকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

শুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদের ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

প্রত্যয়ের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

কোন শব্দের সঙ্গে কোন প্রত্যয় যুক্ত হয় তা খেয়াল রেখেই শব্দ তৈরি করতে হয়। ভুল প্রত্যয়ের ব্যবহারের কারণে বানান ভুল হয়ে যায়। আর বানান ভুল হলে বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই প্রত্যয় ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। একই শব্দের সঙ্গে দুটি প্রত্যয়চিহ্ন বসে না। বিভক্তি না দেয়ার কারণে যেমন বাক্যের গুণ নষ্ট হয়ে যায় আবার বেশি দিলেও গুণ নষ্ট হয়ে যায়। যেমন: এতটুকু মেয়ে কলেজ পড়ে, তোমার কথায় বুকেতে আঘাত পাই। তার সঙ্গে আমার সখ্যতা (সখ+য-ফলা+ তা) আছে। এটি তার দৈন্যতা।

অশুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজ পড়ে

শুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজে পড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : তবলাওয়ালা ভালোই তবলা বাজায়।

শুদ্ধবাক্য : তবলচি /তবলাবাদক ভালোই তবলা বাজায়।

অশুদ্ধবাক্য : দারিদ্র কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

শুদ্ধবাক্য : দারিদ্র্য কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

অশুদ্ধবাক্য : বিকার লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

শুদ্ধবাক্য : বিকৃত লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

অশুদ্ধবাক্য : এটি দল কোন্দল।

শুদ্ধবাক্য : এটি দলীয় কোন্দল।

উপসর্গের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

উপসর্গে হাইফেন বসে না। যেমন: উপ-সচিব। ‘অ’ যদি নাবোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাহলে সেই শব্দের শেষে হীন যুক্ত হয় না। যেমন: অসচেতনহীনভাবে, অক্লান্তিহীনভাবে।

অশুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে সুস্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

শুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

অশুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপ-পরিচাল ও সহ-উপ পরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপপরিচালক ও সহউপপরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : অক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

চিহ্নের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

১. সংস্কৃতিতে বিশেষণ ও বিশেষ্য দুটিকেই চিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: নর—সুন্দর বালক আর নারী—সুন্দরী বালিকা কিন্তু বাংলাতে বিশেষণকে ঠিক রেখে শুধু বিশেষ্যকে নর বা নারী প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ বাংলায় বিশেষণকে নারী বাচক করার দরকার হয় না। যেমন: সুন্দর বালক ও সুন্দর বালিকা।

২. সংস্কৃতিতে দুটি বিশেষ্যকেই চিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: মেয়েটি পাগলি, আসমা অস্থিরা কিন্তু বাংলাতে দুটি বিশেষ্যের একটিকে নারিচিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: মেয়েটি পাগল, আসমা অস্থিরা ইত্যাদি।

৩. সংস্কৃতিতে ঈ বা ইনি বা নী প্রত্যয়ই একসঙ্গে বসে কিন্তু বাংলায় বসে না। যেমন: অভাগা—অভাগী—অভাগিনী, ননদ—ননদী—ননদিনী, কাঙাল—কাঙালী—কাঙালিনী, গোয়াল—গোয়ালী—গোয়ালিনী কিন্তু বাংলায় অভাগী, ননদী, মায়াবী, কাঙালী, গোয়ালী, বাঘিনী। তবে ক্লীববাচক শব্দে নী প্রত্যয় যুক্ত করে নারী বাচক শব্দ তৈরি করতে হয়। যেমন: মেধাবিনী, দুখিনী, যোগিনী, মায়াবিনী ইত্যাদি।

৪. সংস্কৃতিতে ক্ষুদ্রার্থবাচক কিছু ক্লীববাচক শব্দকে নর বা নারী বাচক করা যায় যা বাংলাতে সঠিক নয়। যেমন: নাটক—নাটিকা, উপন্যাস—উপন্যাসিকা, পুস্তক—পুস্তিকা, গীতি—গীতিকা ইত্যাদি।

৫. সংস্কৃতিতে নরবাচক শব্দ—বৃক্ষ, নারী বাচক শব্দ—লতার ক্লীববাচক শব্দ—জল আবার হিন্দিতে নরবাচক শব্দ—রুটি আর নারী বাচক শব্দ—দই। এবার ভাবুন কত কঠিন।

৬. বাক্য দেখে নির্ণয় করতে হয় কোনটি নর আর কোনটি নারী বাচক শব্দ। যেমন: গরু গাড়ি টানে। গরু দুধ দেয়। সে/তিনি গর্ভবতী, সে কৃষিকাজ করে।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দরী।

শুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দর।

অশুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহান নেতা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহিয়সী নেতা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখিকা।

শুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখক। /সেলিনা হোসেন একজন বিদুষী লেখিকা।

পক্ষের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

প্রথমপক্ষ যদি অন্যপক্ষের সঙ্গে একই বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাহলে ক্রিয়া প্রথমপক্ষ অনুসারে হয়। একশেষ হলে নিয়ম অনুসারে প্রথমে সে, তুমি ও আমি বসে আর ক্রিয়া প্রথমপক্ষ অনুসারে হয়। আগে কবিতার বাক্যের ক্ষেত্রে কবিগণ পক্ষ অনুসারে ক্রিয়ার ব্যবহার ঠিকরাখেন নাই। যেমন: হাসঁগুলো যায় ভাসি। বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই। কারণ সংস্কৃত ‘ভাসিয়া’ থেকে ‘ভাসি’ চলিত হয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।

শুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করে না।

অশুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হয় না।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাই।

শুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাব।

অশুদ্ধবাক্য : আমি, সে আর তুমি কাজটি করব।

শুদ্ধবাক্য : সে, তুমি আর আমি কাজটি করব।

কারকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বস্তুর প্রাণিবাচক শব্দে ‘কে’ বসে না। ব্যক্তির নামের সঙ্গেও ‘কে’ বসে না।

অশুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপকে খেলায়।

শুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপ খেলায়।

অশুদ্ধবাক্য : পাহাড়কে নাড়ায় সাধ্য কার।

শুদ্ধবাক্য : পাহাড় নাড়ায় সাধ্য কার।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরিতে মানুষ মারেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরি দিয়ে মানুষ মারেন।

অশুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসেতে নড়ে।

শুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদেরকে সাহায্য করেন না।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদের সাহায্য করেন না। /আপনি তো গরিবকে সাহায্য করেন না।

অশুদ্ধবাক্য : একসময় আমের কাননে মিটিং বসেছিল।

শুদ্ধবাক্য : একসময় আম্রকাননে মিটিং বসেছিল। /একসময় আমের বাগানে মিটিং বসেছিল।

বিপরীত শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সরাসরি ‘না’ শব্দটি ব্যবহার না করে বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে বাক্যের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। যেমন : দুদিন ধরে ছেলেটির কোন খোঁজ নাই। আর দুদিন ধরে ছেলেটি নিখোঁজ। সব শব্দের পূর্বে উপসর্গ যোগে বিপরীত শব্দ গঠন করা যায় না। অনেকেই ‘অ’ যোগে বিপরীত শব্দ তৈরি করে থাকেন। যেমন: সফলতা—অসফলতা, মূর্খ—অমূর্খ, ভালো—অভালো।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি কায়দায় নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি বেকায়দায় আছে।

অশুদ্ধবাক্য : লোকজন তার প্রতিকূলে নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকজন তার অনুকূলে নাই।

সমোচ্চারিত শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

উচ্চারণের দিক থেকে এক হলেও অর্থের দিক থেকে ভিন্ন। বাক্যের অর্থ ঠিক রাখতে সমার্থক শব্দের সঠিক ব্যবহার জরুরি।

অশুদ্ধবাক্য : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : তারা আমড়াতলায় বসে আমড়া খাওয়ার সময় মালির তাড়া খেয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : সে ভুড়ি ভুড়ি খেয়ে ভুরিটি বাড়িয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : সে ভুরি ভুরি খেয়ে ভুঁড়িটি বাড়িয়েছে।

শব্দদ্বিত্বের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বিভিন্ন প্রকার শব্দ বা পদ দুবার ব্যবহার করে শব্দ বানাতে পারি। কিন্তু অর্থের দিকে খেয়াল করতে হয়। যেমন: ফলাফল শব্দটি ঠিক ব্যবহার কিন্তু এর প্রতিশব্দ হিসেবে লেখা হয় ফলশ্রুতিতে’ তাহলে শব্দটি হবে ভুল। কারণ ‘ফলশ্রুতি’ অর্থ ‘শ্রবণ’ কোন বিষয়ের ফল নয়। ‘ভাষাভাষী’ অর্থ কোন একটি ভাষা ব্যবহারকারী। তাই ভাষাভাষীর পূর্বে কোন ভাষার নাম উল্লেখ করে লিখলে তা হবে ভুল। যেমন: বাংলা ভাষাভাষী। এমন কিছু দ্বিত্বশব্দ তৈরি করা হয় যা ভুল। যেমন: ভেদাভেদ, গুণাগুণ ইত্যাদি। এদের মধ্যে ভালোমন্দ দুটিই থাকে। যেমন: ভেদ+অভেদ বা গুণ+অগুণ। এদের অপপ্রয়োগ আজ প্রবলভাবে দেখা দিচ্ছে। বলা হচ্ছে ‘ভেদাভেদ ভুলে গেছে’ যা ভুল। আবার বলা হচ্ছে ‘আমাদের পণ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সচেতন’।

শব্দদ্বিত্ব কোন সময় একবচন আবার কোন সময় বহুবচন প্রকাশ পায়। এরা আলাদা বসে আবার হাইফেনযুক্ত হয়ে বা একশব্দেও বসতে পারে। তাই বাক্যে ব্যবহারের সময় এদিকটি খেয়াল রাখতে হয়।

অশুদ্ধবাক্য : ঘামজলে তার শার্ট ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : ঘামে তার শার্ট ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : অশ্রুজলে তার কপল ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : অশ্রুতে তার কপল ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঘরটি ছিমছিমে অন্ধকার।

শুদ্ধবাক্য : ঘরটি ঘুটঘুটে অন্ধকার।

বাক্যের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বিভিন্ন নিয়ম অর্থাৎ সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি দিয়ে শব্দ বানানো যায়। কিন্তু এই বানানো শব্দ পাশাপাশি বসালেই বাক্য হয় না। কিছু গঠন অনুসরণ করেই একটি সার্থক বাক্য তৈরি করা যায়। সার্থক বাক্যে গুণরক্ষা করে বাক্য বানাতে হয়। বাক্যের অর্থ ঠিক না থাকলে বাক্য গুণহীন হয়ে যায়। আবার যতির ভুল ব্যবহারের কারণেও বাক্যের অর্থের হেরফের হয়ে যায়।

অশুদ্ধবাক্য : পরবর্তীতে আপনি আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : পরবর্তিকালে /পরবর্তী সময়ে আপনি আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্যতা দূর হয়ে যাক।

শুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্য দূর হয়ে যাক। সকল দীনতা দূর হয়ে যাক।

অশুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমান হবে।

শুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমানিত হবে।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অপমান হয়েছি।

শুদ্ধবাক্য : আমি অপমানিত হয়েছি।

অশুদ্ধবাক্য : সূর্য উদয় হয়নি।

শুদ্ধবাক্য : সূর্য উদিত হয়নি।

অশুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণ হোক।

শুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণিত হোক।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য/মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দরী ছিল।

শুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দর ছিল।

অশুদ্ধবাক্য : এটি অপক্ক হাতের কাজ।

শুদ্ধবাক্য : এটি অপটু হাতের কাজ।

অশুদ্ধবাক্য : স্বল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

শুদ্ধবাক্য : অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

অশুদ্ধবাক্য : অভাবে চরিত্র নষ্ট।

শুদ্ধবাক্য : অভাবে স্বভাব নষ্ট।

অশুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।

শুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন।

শুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সৎ চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

শুদ্ধবাক্য : চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাতাহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

শুদ্ধবাক্য : মাতৃহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

অশুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী মহিলা।

শুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী।

অশুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজলের পানি ছিটাও।

শুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজল ছিটাও।

অশুদ্ধবাক্য : বইটি তার জরুরি প্রয়োজন।

শুদ্ধবাক্য : বইটি তার (খুব) প্রয়োজন।

অশুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্বাস্থ্য কামনা করে।

শুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্থতা কামনা করে।

অশুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধুমাত্র /কেবলমাত্র ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

শুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধু /মাত্র /কেবল ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

অশুদ্ধবাক্য : ৫ বছর সময়কাল ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ৫ বছর ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনস্থ ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

শুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনে ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

অশুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদেরকে সুস্বাগতম জানালেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদের স্বাগত জানালেন।

===============================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

প্রবাদ প্রবচনের নিহিতার্থ

১। ফতো নবাব (অন্ত:সারশূন্য)

২। আচাভুয়া বোম্বাচাক (অদ্ভুত বিষয়)

৩। আপন কথাই পাঁচ কাহন (নিজের প্রশংসায় মুখর)
৪। আষাঢ়ান্ত বেলা (দীর্ঘস্থায়ী সময়)
৫। আপ্ত গরজি (স্বার্থপর)
৬। ঘটি ডুবে না, নাম তালপুকুর (ক্ষুদ্র ব্যক্তির বড় নাম গ্রহণ)
৭। আটখানার পাটখানা (নানা কর্তব্যের মাঝে একটি)
৮। ঈগল স্বভাব (হিংস্র প্রকৃতির)
৯। আড়াই অক্ষরে (অল্প কথায়)
১০। আলী মেজাজ (উন্নত মন)

বাক্য সংকোচন:#

যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা।

যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ভাষী।

যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় = স্বয়ংবরা।

যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী।

যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া।

যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া।

যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।

যে নারী জিবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে

= কাকবন্ধ্যা।

যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।

যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা।

যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা/পুরন্ধ্রী।

যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ।

যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা।

যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্য পূর্বা।

যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা।

যে নারী কখনো সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পশ্যা।

যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই = অনসূয়া।

যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা।

যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা।

যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা।

যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে = প্রোষিতপত্নীক।

আবেগছুতো হিমু

====≠===================

__গুরুত্বপূর্ণ_৮০টি_বানান দেখে নিতে পারেন::

 

০১। অপরাহ্ন — অপরাহ্ণ
০২। অনুসূয়া — অনসূয়া
০৩। অত্যোন্ত — অত্যন্ত
০৪। অনুসঙ্গিক — আনুষঙ্গিক
০৫। আয়ত্ব — আয়ত্ত
০৬। আদ্যোন্ত — আদ্যন্ত
০৭। আকাংখা — আকাঙ্ক্ষা
০৮। আশীষ — আশিস
০৯। আশিবিষ — আশীবিষ
১০। আমাবস্যা — অমাবস্যা
১১। আলচ্যমান — আলোচ্যমান
১২। ইতিপূর্বে — ইতঃপূর্বে
১৩। ইতিমধ্যে — ইতোমধ্যে
১৪। ইদানিংকাল — ইদানীং
১৫। উচ্ছাস — উচ্ছ্বাস
১৬। উজ্জল — উজ্জ্বল
১৭। উদীচি — উদীচী
১৮। উপরুক্ত — উপরিউক্ত/উপর্যুক্ত
১৯। উৎকর্ষতা — উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা
২০। উত্তারায়ন — উত্তারায়ণ
২১। উপযোগীতা — উপযোগিতা
২২। ঋন — ঋণ
২৩। একত্রিত — একত্র
২৪। ঐক্যতান — ঐকতান
২৫। ঐক্যমত — ঐকমত্য
২৬। কল্যান — কল্যাণ
২৭। কর্মজীবি — কর্মজীবী
২৮। কৃতীত্ব — কৃতিত্ব
২৯। কলংকিত — কলঙ্কিত
৩০। কার্য্যালয় — কার্যালয়
৩১। কৃজ্জটিকা — কৃজ্ঝটিকা
৩২। গীতাঞ্জলী — গীতাঞ্জলি
৩৩। জগত — জগৎ
৩৪। জোৎস্না — জ্যোৎস্না
৩৫। জীবীকা — জীবিকা
৩৬। তোরন — তোরণ
৩৭। তরান্বিত — ত্বরান্বিত
৩৮। তত্বাবধায়ক — তত্ত্বাবধায়ক
৩৯। দারিদ্রতা — দারিদ্র্য /দরিদ্রতা
৪০। দৈন্যতা — দৈন্য /দীনতা
৪১। দ্বন্দ — দ্বন্দ্ব
৪২। দূরাদৃষ্ট — দুরাদৃষ্ট
৪৩। দুষনীয় — দূষণীয়
৪৪। দূরাবস্থা — দুরবস্থা
৪৫। দধিচি — দধীচি
৪৬। নূন্যতম — ন্যূনতম
৪৭। নিরব — নীরব
৪৮। নিক্কন— নিক্বণ
৪৯। নিশিথিনি — নিশীথিনী
৫০। পরিস্কার — পরিষ্কার
৫১। পুরষ্কার — পুরস্কার
৫২। পানিণি — পাণিনি
৫৩। প্রনয়িণী — প্রণয়িনী
৫৪। পৈত্রিক — পৈতৃক
৫৫। পুরান — পুরাণ
৫৬। পিপিলিকা — পিপীলিকা
৫৭। প্রতিযোগীতা — প্রতিযোগিতা
৫৮। পোষ্টমাষ্টার — পোস্টমাস্টার
৫৯। প্রতিদ্বন্দ্বীতা — প্রতিদ্বন্দ্বিতা
৬০। প্রাণীবিদ্যা — প্রাণিবিদ্যা
৬১। বিভিসিকা — বিভীষিকা
৬২। বুদ্ধিজীবি — বুদ্ধজীবী
৬৩। বহিঃস্কার — বহিষ্কার
৬৪। ব্রাক্ষ্মন — ব্রাহ্মণ
৬৫। ব্যাতিত — ব্যতীত
৬৬। বিদুষি — বিদুষী
৬৭। বিদ্যান — বিদ্বান
৬৮। ব্যপ্ত — ব্যাপ্ত
৬৯। বৈচিত্র — বৈচিত্র্য
৭০। বাল্মিকি — বাল্মীকি
৭১। বয়ঃজেষ্ঠ্য — বয়োজ্যেষ্ঠ
৭২। ভূবণ — ভুবন
৭৩। ভৌগলিক — ভৌগোলিক
৭৪। ভাগিরথী — ভাগীরথী
৭৫। ভ্রাতাগন — ভ্রাতৃগণ
৭৬। ভবিষ্যৎদানী — ভবিষ্যদ্বাণী
৭৭। মুহুর্ত — মুহূর্ত
৭৮। মূমর্ষু — মুমূর্ষু
৭৯। মূর্ধণ্য — মূর্ধন্য
৮০। মনিষি — মনীষী

1) ইতিপূর্বে = ইতঃপূর্বে

2)সহযোগীতা = সহযোগিতা

3) শিরচ্ছেদ = শিরশ্ছেদ

4) মনোকস্ট = মনঃকষ্ট

5)অপারাহ্ন = অপরাহ্ণ

6)দূরবস্তা =দুরবস্থা

7)ষ্টেশন =স্টেশন

মুহুর্ত = মুহূর্ত

9) উপযোগীতা = উপযোগিতা

10) কল্যান = কল্যাণ

11) জীবীকা =জীবিকা

12) স্বরস্বতী = সরস্বতী

13) গীতাঞ্জলী =গীতাঞ্জলি

14) পিপিলিকা =পিপীলিকা

15) ব্যপ্ত = ব্যাপ্ত

16) মুখস্ত = মুখস্থ

17) সংস্কৃতিক =সাংস্কৃতিক

18) অন্তভুক্ত =অন্তর্ভুক্ত

19) ঐক্যতান = ঐকতান

20)উপরোক্ত = উপর্যুক্ত

21)বিদূষি =বিদুষি

22)ভূবন = ভুবন

23)বিভিষিকা = বিভীষিকা

24) আলচ্যমান = আলোচ্যমান

25) পুরান = পুরাণ

26)ঝরণা = ঝরনা

27) প্রনয়িণী = প্রণয়িনী

28) দৈন্যতা = দৈন্য, দীনতা

29)পুরষ্কার = পুরস্কার

30) স্নেহাশীস = স্নেহাশিস্

31)বয়জেষ্ঠ্য = বয়োজ্যেষ্ঠ

32)দূরাদৃস্ট = দুরাদৃষ্ট

33) কর্মজীবি = কর্মজীবী

34)আকাংখা = আকাঙ্ক্ষা

35)প্রতিযোগীতা = প্রতিযোগিতা

36)সন্যাসী = সন্ন্যাসী

37) বহিস্কার = বহিষ্কার

38)জগত = জগৎ

39)মনীষি = মনীষী

40)শান্তনা = সান্ত্বনা

41)মন্ত্ররীত্ত্ব = মন্ত্রীত্ব

42)বুদ্ধিজীবি = বুদ্ধিজীবী

43)ইতিমধ্যে = ইতোমধ্যে

44)ভৌগলিক= ভৌগোলিক

45)মুমুর্ষু = মুমূর্ষু

46)শ্রদ্ধান্ঞ্জলী = শ্রদ্ধাঞ্জলি

47)উত্তারায়ন = উত্তারায়ণ

48) ঋন = ঋণ

49) সমিচিন. = সমীচীন

50) সম্বর্ধনা = সংবর্ধনা

51) দারিদ্রতা = দরিদ্রতা/দারিদ্র্য

52) সুষ্ঠ = সুষ্ঠু

53) পরিস্কার. = পরিষ্কার

54) কৃজ্জটিকা = কৃজ্ঝটিকা

55) নিশিথিনি = নিশীথিনী

56) আদ্যান্তে = আদ্যন্ত

57) ব্রাক্ষ্মন = ব্রাহ্মণ

58) শুশ্রষা = শুশ্রূষা

59)মরিচিকা = মরীচিকা

60)স্বামীগৃহ = স্বামিগৃহ

61)আইনজীবি = আইনজীবী

62)নুন্যতম = ন্যূনতম

63)ব্যতিত = ব্যতীত

64)প্রানীবিদ্যা = প্রাণিবিদ্যা

65)উজ্জল. = উজ্জ্বল

66) লজ্জাষ্কর. = লজ্জাকর

67) তোরন. = তোরণ

68)কার্য্যালয় = কার্যালয়

69) নিরব. = নীরব

70)উচ্ছাস. = উচ্ছ্বাস

71)ভ্রাতাগন = ভ্রাতৃগণ

72) বাল্মিকী = বাল্মীকি

73)দোষণীয় = দূষণীয়

74)গ্রামীন. = গ্রামীণ

75)পোষ্টমাষ্টার = পোস্টমাস্টার

76) ভাতুস্পুএ = ভ্রাতুষ্পুত্র

77)নিক্কন = নিক্বণ

78)দ্বন্ধ = দ্বন্দ্ব

79)সম্বাদ = সংবাদ

80) সূচীপত্র =সূচিপত্র

1 comment:

  1. বৃহস্পতি মহীরুহ কোন কাব্যকে বলা হয় ?

    ReplyDelete

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending