Pages

Bangla

pen-name of Writer 

===================

রশ্ন: অনন্ত বড়ু এর ছদ্ম নাম কি ?
উ: বড়ু চন্ডিদাস |

 প্রশ্ন: অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত এর ছদ্ম নাম কি ?

উ: নীহারিকা দেবী |

 

প্রশ্ন: আব্দুল কাদির এর উপাধি কি ?
উ: ছান্দসিক কবি |

রশ্ন: আব্দুল করিম এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য বিশারদ |

প্রশ্ন: ঈশ্বর গুপ্ত এর উপাধি কি ?
উ: যুগসন্ধিক্ষণের কবি |

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: বিদ্যাসাগর |

প্রশ্ন: কাজেম আল কোরায়েশী এর ছদ্মনাম কি ?
উ: কায়কোবাদ |

প্রশ্ন: কাজী নজরুল ইসলাম এর উপাধি কি ?
উ: বিদ্রোহী কবি |

প্রশ্ন: কালি প্রসন্ন সিংহ এর ছদ্মনাম কি ?
উ: হুতোম পেঁচা |

প্রশ্ন: গোবিন্দ্র দাস এর উপাধি কি ?
উ: স্বভাব কবি |

প্রশ্ন: গোলাম মোস্তফা এর উপাধি কি ?
উ: কাব্য সুধাকর |

প্রশ্ন: চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: জরাসন্ধ |

প্রশ্ন: জসীম উদ্দিন এর উপাধি কি ?
উ: পল্লী কবি |

প্রশ্ন: জীবনানন্দ দাশ এর উপাধি কি ?
উ: রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, ধুসর পান্ডুলিপির কবি |

প্রশ্ন: ডঃ মনিরুজ্জামান এর ছদ্মনাম কি ?
উ: হায়াৎ মামুদ |

প্রশ্ন: ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর উপাধি কি ?
উ: ভাষা বিজ্ঞানী |

প্রশ্ন: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: সুনন্দ |

প্রশ্ন: নজিবর রহমান এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্যরত্ন |

প্রশ্ন: নীহাররঞ্জন গুপ্ত এর ছদ্মনাম কি ?
উ: বানভট্ট |

প্রশ্ন: নূরন্নেসা খাতুন এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য স্বরসতী, বিদ্যাবিনোদিনী |

প্রশ্ন: প্যারীচাঁদ মিত্র এর ছদ্মনাম কি ?
উ: টেকচাঁদ ঠাকুর |

প্রশ্ন: ফররুখ আহমদ এর উপাধি কি ?
উ: মুসলিম রেনেসাঁর কবি |

প্রশ্ন: বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ছদ্মনাম কি ?
উ: বনফুল |

প্রশ্ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: সাহিত্য সম্রাট |

প্রশ্ন: বাহরাম খান এর উপাধি কি ?
উ: দৌলত উজীর |
প্রশ্ন: বিমল ঘোষ এর ছদ্মনাম কি ?
উ: মৌমাছি |

প্রশ্ন: বিহারীলাল চক্রবর্তী এর উপাধি কি ?
উ: ভোরের পাখি |

প্রশ্ন: বিদ্যাপতি এর উপাধি কি ?
উ: পদাবলীর কবি |

প্রশ্ন: বিষ্ণু দে এর উপাধি কি ?
উ: মার্কসবাদী কবি |

প্রশ্ন: প্রমথ চৌধুরী এর ছদ্মনাম কি ?
উ: বীরবল |

প্রশ্ন: ভারতচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: রায় গুনাকর |

প্রশ্ন: মধুসূদন দত্ত এর উপাধি কি ?
উ: মাইকেল |

প্রশ্ন: মালাধর বসু এর উপাধি কি ?
উ: গুণরাজ খান |

প্রশ্ন: মুকুন্দরাম এর উপাধি কি ?
উ: কবিকঙ্কন |

প্রশ্ন: মুকুন্দ দাস এর উপাধি কি ?
উ: চারণ কবি |

প্রশ্ন: মীর মশাররফ হোসেন এর ছদ্মনাম কি ?
উ: গাজী মিয়া |

প্রশ্ন: মধুসূদন মজুমদার এর ছদ্মনাম কি ?
উ: দৃষ্টিহীন |

প্রশ্ন: মোহিত লাল মজুমদার এর ছদ্মনাম কি ?
উ: সত্য সুন্দর দাস |

প্রশ্ন: মোজাম্মেল হক এর উপাধি কি ?
উ: শান্তিপুরের কবি |

প্রশ্ন: যতীন্দ্রনাথ বাগচী এর উপাধি কি ?
উ: দুঃখবাদের কবি |

প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উপাধি কি ?
উ: বিশ্বকবি, নাইট |

প্রশ্ন: রাজশেখর বসু এর ছদ্মনাম কি ?
উ: পরশুরাম |

প্রশ্ন: রামনারায়ণ এর উপাধি কি ?
উ: তর্করত্ন |

প্রশ্ন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: অপরাজেয় কথাশিল্পী |

প্রশ্ন: শেখ ফজলুল করিম এর উপাধি কি?
উ: সাহিত্য বিশারদ, রত্নকর |

প্রশ্ন: শেখ আজিজুর রহমান এর ছদ্মনাম কি ??
উ: শওকত ওসমান |

প্রশ্ন: শ্রীকর নন্দী এর উপাধি কি ?
উ: কবিন্দ্র পরমেশ্বর |

প্রশ্ন: সমর সেন এর উপাধি কি ?
উ: নাগরিক কবি |

প্রশ্ন: সমরেশ বসু এর ছদ্মনাম কি ?
উ: কালকূট |

প্রশ্ন: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত্ এর উপাধি কি ?
উ: ছন্দের যাদুকর |

প্রশ্ন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর ছদ্মনাম কি ?
উ: নীল লোহিত |

প্রশ্ন: সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এর উপাধি কি ?
উ: ক্লাসিক কবি |

প্রশ্ন: সুকান্ত ভট্টাচার্য এর উপাধি কি ?
উ: কিশোর কবি |

প্রশ্ন: সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর উপাধি কি ?
উ: পদাতিকের কবি |

প্রশ্ন: সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী এর উপাধি কি ?
উ: স্বপ্নাতুর কবি |

প্রশ্ন: হেমচন্দ্র এর উপাধি কি ?
উ: বাংলার মিল্টন |

 

 

 

 =============================================

 বাংলা সাহিত্যের কিছু আলোচিত চরিত্র ও স্রষ্টা
-----------------------------------------------------
এই টপিকস টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট প্রথম চরিত্র কোনটি? উঃ নিরঞ্জন (শূন্য পূরাণ)।

ঠকচাচা নামক চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ প্যারীচাঁদ মিত্র (আলালের ঘরের দুলাল)।

চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্য ধারার চরিত্র? উঃ মনসামঙ্গল।
বেহুলা - লখীনদর >>>> মনসামঙ্গল
কালকেতু, ফুল্লরা , মুরারি শীল ,ভাঁড়ুদত্ত, ধনপতি, খুল্লনা, কলিঙ্গের রাজা>> চন্ডীমঙ্গল(মুকুন্দরাম)

ঈশ্বরী পাটনী>>>অন্নদামঙ্গল
লাউসেন , হরিশ্চন্দ্র>>> ধর্মমঙ্গল

রাধা , কৃষ্ণ, বড়াই কোন কা্ব্যের চরিত্র>> শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

অমল চরিত্রের স্রষ্টা নাট্যকার কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ডাকঘর)।
নন্দিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (রক্তকরবী)।
রাইচরণ চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন)।
মৃন্ময়ী ও অপূর্ব চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সমাপ্তি)।
সুরবালা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (একরাত্রী)।
দুখিরাম ও চন্দরা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শাস্তি)।
মধুসূদন, কুমুদিনী>>>>>>>>>>>যোগাযোগ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
রতন>>>>>>>>>>>>>> পোস্ট মাস্টার (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
সুরবালা>>>>>>>>>>>>>>একরাত্রি(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
শর্মিলা, উর্মিলা >>>>>>>দুইবোন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

প্যাকালে ,মেজবউ,গজালের ,রুবি, আনসার >>>>মৃত্যুক্ষুধা (কাজী নজরুল ইসলাম)
নূরু, মাহবুবার >>>>>>>>>>>>>>> বাঁধনহারা (কাজী নজরুল ইসলাম)

মানসিংহ, আয়েশা, তিলোত্তমা >> >>>> দৃুর্গেশনন্দিনী (বঙ্কিম)
রোহিনী ও গোবিন্দ লাল চরিত্রটি কোন উপন্যাসের? উঃ কৃষ্ণকান্তের উইল(বঙ্কিম )
নবকুমার ,কপালকুন্ডলা >>>>> (কপালকুন্ডলা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ >>>>> বিষবৃক্ষ ।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শশী, কুসুম, হারু ঘোষ, গোপাল , সেনদিদি>> পুতুল নাচের ইতিকথা (মানিক বাবু)
কুবের চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (পদ্মানদীর মাঝি)।

জমিলা, মজিদ , আমেনা >>> লালসালু(সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ )
দূর্গা, অপু, সর্বজয়া, হরিহর >> পথের প্যাচালী (বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়)

হেমাঙ্গিনী ও কেষ্ট,কাদম্বিনী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মেজদিদি)।
মহিম, সুরেশ ও অচলা চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (গৃহদাহ)।
ইন্দ্রনাথ , অভয়া, রাজলক্ষ্মী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (শ্রীকান্ত)।
দেবদাস,পার্বতী ও চন্দ্রমূখী চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেবদাস)।
রমা ও রমেশ চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পল্লী সমাজ)।
ষোড়শী ও নির্মল চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (দেনা-পাওনা)।
সতীশ ও সাবেত্রী ,কিরণময়ী চরিত্রের স্রষ্টা ? উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (চরিত্রহীন)।

নবীন মাধব চরিত্রের স্রষ্টা কে? উঃ দীনবন্ধু মিত্র (নীল দর্পণ)।
কেনারাম, ঘটিরাম ডেপুটি ও নিমচাঁদ>> দীনবন্ধু মিত্র (সধবার একাদশী)।


জয়গুন, হাসু, মায়মুন >>>>>>>>>>>> সূর্যদীঘল বাড়ী (আবু ইসহাক )
দীপাঙ্কর (দীপু), সতী, লক্ষ্মী >কে? উঃ বিমল মিত্র (কড়ি দিয়ে কিনলাম)।

 

 

সহজে মনে রাখুন সমজাতীয় বাগধারা:
-
০১। অসম্ভব জিনিস= আকাশ কুসুম, কাঁঠালের আমস্বত্ব, কুমিরের সান্নিপাত, ঘোড়ার ডিম, ব্যাঙের সর্দি, সোনার পাথর বাটি।
-
০২। অপদার্থ= অকাল কুষ্মাণ্ড, আমড়া কাঁঠের ঢেঁকি, ঢেঁকির কুমির,কচুবনের কালাচাঁদ, কায়েতের ঘরের ঢেঁকি, ঘটিরাম, ষাঁড়ের গোবর।
-
০৩। নির্বোধ= অসাকান্ত/অঘাচণ্ডী, অঘারাম/অহারাম, ঢেঁকি অবতার, বুদ্ধির ঢেঁকি।
-
০৪। শেষ বিদায় বা মৃত্যু= অগ্যস্ত যাত্রা, পটল তোলা, অনন্ত শয্যা, ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া, পঞ্চত্ব প্রাপ্তি, অক্কা পাওয়া।
-
০৫। অকর্মণ্য= অপোগণ্ড, কুমড়ো কাটা বটঠাকুর, গোবর গণেশ, ঠুটো জগন্নাথ।
-
০৬। হতভাগ্য= অষ্টকপাল, কাঁজি ভক্ষণ নামে গোয়ালা, হাড় হাভাতে, কপাল পোড়া।
-
০৭। ভীষণ শত্রুতা= অহি নকুল, দা কুমড়া, আদায় কাঁচকলায়, সাপে নেউলে।
-
০৮। দুর্লভ বস্তু= আলেয়ার আলো, আকাশের চাঁদ, বাঘের চোখ।
-
০৯। সুন্দর মিল= আম দুধে মেশা, সোনায় সোহাগা, মাণিকজোড়, মণিকাঞ্চনযোগ।
-
১০। মন্দভাগ্য= ইঁদুর কপালে, আটকপালে, খ-কপাল।
-
১১। অলস= গোঁফ খেজুরে, ঢিমে তেতালা, চিনির পুতুল, ননীর পুতুল।
-
১২। দুর্বল= আটাশে ছেলে, উনপাঁজুরে।
-
১৩। বেহায়া= কানকাটা, চশমখোড়, দুকান কাটা।
-
১৪। অত্যন্ত কৃপণ= কঞ্জুসের ডাণ্ডাখোর, কিপটের জাসু, হাত ভাড়ি, হাতে জল না লাগা।
-
১৫। তোষামুদে= খয়ের খাঁ, ধামাধরা, ঢাকের কাঁঠি।
-
১৬। অলীক কল্পনা= দিবাস্বপ্ন, শূন্যে সৌধ নির্মাণ করা।
-
১৭। অবজ্ঞা করা= নাক উচানো, নাক সিঁটকানো।
-
১৮। উভয় সঙ্কট= জলে কুমির ডাঙায় বাঘ, শাখের করাত, করাতের দাঁত, শ্যাম রাখি না কুল রাখি, সাপের ছুচো গেলা।
-
১৯। সুসময়ের বন্ধু= দুধের মাছি, বসন্তের কোকিল, শরতের শিশির, সুখের পায়রা, লক্ষ্মীর বরযাত্রী।
-
২০। ভণ্ড= বক ধার্মিক, ভিজে বিড়াল, বর্ণচোরা, বিড়াল তপস্বী, তুলসী বনের বাঘ।
-
২১। অপব্যয়= ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ, ভস্মে ঘি ঢালা, হরিলুট।
-
২২। লাজুক= মুখচোরা, মেনিমুখো।
-
২৩। একমাত্র অবলম্বন= সবে ধন নীলমণি, অন্ধের
যষ্ঠি।
-
২৪। সৌভাগ্য= একাদশে বৃহস্পতি, কপাল ফেরা।
।।।
সংগৃহীত
 

 

চলুন সব সাহিত্য পত্রিকা দেখে রাখি
.
বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট ।
* বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ ।
* বাঙ্গালী পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র বাঙ্গাল গেজেট ।
* মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার সভারাজেনদ্র ।
* বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র সংবাদ প্রভাকর ।
* বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদ পত্র রংপুর বার্তাবহ ।
* ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র> ঢাকা প্রকাশ ।
.
বাংলা সাহিত্যের সামায়িকপত্র ও সম্পাদক
বেঙ্গল গেজেট (১৭৮০)– জেমস অগাস্টাস হিকি।
► মাসিক দিগদর্শন (১৮১৮)– জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সমাচার দর্পন (১৮১৮)–জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সাপ্তাহিক বাঙ্গাল গেজেট (১৮১৮)– গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
► ব্রাহ্মণ সেবধি (১৮২১) — রাজা রামমোহন রায়
► সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১)– রাজা রামমোহন রায়।
► মীরাতুল অাখবার (১৮২২) — রাজা রামমোহন রায়
► সাপ্তাহিক সমাচার চন্দ্রিকা (১৮২২) — ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
► সাপ্তাহিক বঙ্গদূত (১৮২৯)– নীলমণি হালদার।
► সম্বাদ প্রভাকর (সাপ্তা-১৮৩১, দৈনিক-১৮৩৯)–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► জ্ঞানান্বেষণ (১৮৩১) — দক্ষিনারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
► সমাচার সভারাজেন্দ্র (১৮৩১) — শেখ অালীমুল্লাহ
► সংবাদ রত্নাবলী (১৮৪৩) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৪৩)– অক্ষয়কুমার দত্ত।
► জগদুদ্দীপব ভাস্কর (১৮৪৬) — মৌলভী রজব অালী।
► এডুকেশন গেজেট (১৮৪৬) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
► পাষান্ড পীড়ন (১৮৪৬) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► রংপুর বার্তাবহ (১৮৪৭) — গুরুচরণ রায়।
► সংবাদ সাধুরঞ্জন (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত।
► সংবাদ রসসাগর (১৮৫০) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► সর্বশুভকরী পত্রিকা (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
► বিবিধার্থ সংগ্রহ (১৮৫১) — রাজেন্দ্রলাল মিত্র
► সাপ্তাহিক বার্তাবহ (১৮৫৩) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► মাসিক পত্রিকা (১৮৫৪) — প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার।
► মাসিক অরুণোদয় (১৮৫৬) –রেভারেন্ড লাল বিহারী দে
► ঢাকা প্রকাশ (১৮৬১) — কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
► গ্রামবার্তা (১৮৬৩) — কাঙ্গাল হরিনাথ
► অার্য দর্শন (১৮৬৩) — যোগেন্দ্র বিদ্যাভূষণ।
► শুভ সাধনী (১৮৭০) — কালী প্রসন্ন ঘোষ।
► বঙ্গদর্শন (১৮৭২)– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
► অাজিজুন্নেহার (১৮৭৪) — মীর মশাররফ হোসেন।
► বান্ধব (১৮৭৪) — কালীপ্রসন্ন ঘোষ
► ভারতী (১৮৭৭) — দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
► ঝলক (১৮৮৫) — জ্ঞনদানন্দনী দেবী
► সাহিত্য (১৮৯০) — সুরেশচন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► সাপ্তাহিক সুধাকর (১৮৯১) — শেখ আবদুর রহিম।
► মাসিক ইসলাম প্রচারক (১৮৯১) — মোঃ রেয়াজউদ্দিন।
► সাধনা (১৮৯১) — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► মাসিক মিহির (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► হাফেজ (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► কোহিনূর (১৮৯৮) — মোঃ রওশন অালী
► লহরী (১৯০০) — মোজাম্মেল হক।
► প্রবাসী (১৯০১) — রামনন্দ চট্টোপাধ্যায়
► মাসিক নবনূর (১৯০৩) — সৈয়দ এমদাদ অালী।
► মাসিক বাসনা (১৯০৮) — শেখ ফজলল করিম।
► পরিষৎ (১৯০৮) — রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।
► দৈনিক খাদেম (১৯১০) — মোঃ অাকরাম খাঁ।
► সাপ্তাহিক মোহাম্মাদী (১৯১০) — মোহা ম্মদ আকরম খাঁ।
► ভারতবর্ষ (১৯১৩) — জলধর সেন ও অমূল্যচারণ বিদ্যাভূষণ।
► সবুজ পত্র (১৯১৪)– প্রমথ চৌধুরী।
► মাসিক অাল এসলাম (১৯১৫) — মাওলানা অাকরাম খাঁ।
► সওগাত (১৯১৮) — মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।
► আঙ্গুর (কিশোর মাসিক) (১৯২০) — ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
► মাসিক মোসলেম ভারত (১৯২০) — মোজাম্মেল হক।
► ধুমকেতু (১৯২২) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► মাসিক কল্লোল (১৯২৩) — দীনেশরঞ্জন দাশ।
► লাঙ্গল (১৯২৫) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► কালি ও কলম (১৯২৬) — শৈলজানন্দ।
► প্রগতি (১৯২৭) — বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত।
► বার্ষিক শিখা (১৯২৭) — আবুল হুসেন।
► সংলাপ — অাবুল হোসেন।
► জয়তী (১৯৩০) — অাবদুল কাদির।
► মাহে নও — অাবদুল কাদির।
► পরিচয় (১৯৩১) — বিষ্ণু দে।
► পূর্বাশা(১৯৩২) — সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
► দৈনিক অাজাদ (১৯৩৫) — মোহাম্মদ অাকরাম খাঁ।
► দৈনিক নবযুগ (১৯৪১) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► পাক্ষিক প্রতিরোধ (১৯৪২) — রণেশ দাশগুপ্ত।
► সাহিত্য পত্র (১৯৪২) — বিষ্ণু দে।
► কবিতা (১৯৪৫) — বুদ্ধদেব বসু
► দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার (১৯৪৯) — শেহাব উল্লাহ
► বেগম (১৯৪৯) — নুরজাহান বেগম।
► দৈনিক ইনসাফ (১৯৫০) — মহিউদ্দীন।
► সমকাল (১৯৫৭) — সিকান্দার আবু জাফর।
► পূর্বমেঘ (১৯৬০) — জিল্লুর রহমান
সিদ্দিকী
► স্বাক্ষর (১৯৬৩)— রফিক আজাদ ও সিকদার আমিনুল হক
► কন্ঠস্বর (১৯৬৫)— আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
► কালবেলা (১৯৬৫) — জোতিপ্রকাশ দত্ত
► স্বদেশ (১৯৬৯) — আহমদ ছফা
► শিল্পকলা (১৯৭০)— আব্দুল মান্নান সৈয়দ
► পূর্ণিমা — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সাহিত্য সংক্রান্তি — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► অবোধ বন্ধু — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সৈনিক — শাহেদ অালী।
► বেদুঈন — অাশরাফ অালী খান
► গুলিস্তা — এস. ওয়াজেদ অালী
► মুসলিম জগৎ — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► সাম্যবাদী — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► বিচিত্রা — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিতাপত্র — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিকণ্ঠ — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► যায়য়ায়দিন — শফিক রেহমান।
► শিখা — কাজী মোতাজার হোসেন।
► সাপ্তাহিক মুসলিম জগত — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► সাপ্তাহিক খাদেম — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► মাসিক ভারতী — স্বর্ণকুমারী দেবী।
► বঙ্গদর্শন (নবপর্যায়) — মোহিতলাল মজুমদার।
► চতুরঙ্গ — হুমায়ূন কবীর
► স্বদেশ — সুকুমার রায়
► সাহিত্য পত্রিকা — মুহাম্মদ অাবদুল হাই
► Reformer — প্রসন্ন কুমার ঠাকুর।
► Hindu Intelligence — কাশীপ্রসাদ ঘোষ
=======================
বাংলা একাডেমি থেকে ছয়টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলো হচ্ছে-
.
১.বাংলা একাডেমি পত্রিকা
গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপর বিশেষ গুরুত্বসহ অন্যান্য বিষয়েও বাংলায় রচিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ এতে প্রকাশিত হয়।
.
২..উত্তরাধিকার
মাসিক পত্রিকা। এতে সৃজনশীল রচনা, যথা: গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, গ্রন্থ-সমালোচনা ইত্যাদি মুদ্রিত হয়।
.
৩.ধানশালিকের দেশ
ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা। কিশোরোপযোগী গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি এই পত্রিকায় মুদ্রিত হয়।
.
৪.বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা
ষাণ্মাসিক এই পত্রিকাটি বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার সমন্বয়ে প্রকাশিত হয়। এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
.
৫.বাংলা একাডেমি জার্নাল
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ষাণ্মাসিক পত্রিকা। বাংলা সাহিত্যের নির্বাচিত রচনা ইংরেজির অনুবাদ এবং বাংলা সাহিত্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় রচিত মৌলিক রচনা এতে প্রকাশিত হয়।এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
.
৬.বার্তা
একাডেমির কার্যক্রম ও যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিবরণ এতে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এটি একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।
=================
===========

 

একই নামের দ্বন্দ্ব সৃষ্টকারী কিছু বাংলা সাহিত্যকর্ম
*****
মানুষ ( কবিতা) : কাজী নজরুল ইসলাম
মানুষ ( কবিতা) : নির্মলেন্দু গুন
মানুষ ( নাটক) : মুনীর চৌধুরী
*****
কাব্যমালঞ্চ ( কাব্যসংকলন) : আব্দুল কাদির
কাব্যমালঞ্চ ( কাব্যগ্রন্থ) : যতীন্দ্রমোহন বাগচী
*****
মানচিত্র ( নাটক) : আনিস চৌধুরী
মানচিত্র ( কাব্যগ্রন্থ) : আলাউদ্দিন আল আজাদ
*****
ফেরারী ( গল্প) : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ফেরারী ( কবিতা) : দিলারা হাসেম
*****
পোস্টমাস্টার ( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পোস্টমাস্টার ( ছোটগল্প) : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
*****
পদ্মাবতী ( কাব্য) : আলাওল
পদ্মাবতী ( নাটক) : মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পদ্মাবতী ( সমালোচনামূলক গ্রন্থ) : সৈয়দ আলী আহসান
*****
কাঞ্চনমালা ( উপন্যাস) : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
কাঞ্চনমালা ( উপন্যাস) : শামসুদ্দীন আবুল কালাম
*****
রেখাচিত্র ( গল্পগ্রন্থ) : বুদ্ধদেব বসু
রেখাচিত্র ( আত্মজীবনী) : আবুল ফজল
*****
কবি ( উপন্যাস) : তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
কবি ( উপন্যাস) : হুমায়ুন আহমেদ
*****
জননী ( উপন্যাস) : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জননী ( উপন্যাস) : শওকত ওসমান
*****
অভিযাত্রিক (কাব্য) : সুফিয়া কামাল
অভিযাত্রিক ( উপন্যাস) : বিভূতিভূষন বন্দ্যোপাধ্যায়
*****
মধুমালা ( নাটক) : কাজী নজরুল ইসলাম মধুমালা ( নাটক) : জসীম উদ্দিন
*****
বনি আদম ( কাব্যগ্রন্থ) : গোলাম মোস্তফা
বনি আদম ( উপন্যাস) : শওকত ওসমান
*****
ষোড়শী ( নাটক) : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ষোড়শী ( ছোটগল্প) : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
*****
সাত ভাই চম্পা ( কাব্যগ্রন্থ) : বিষ্ণু দে
সাত ভাই চম্পা ( কাব্যগ্রন্থ) : আশরাফ সিদ্দিকী
সাত ভাই চম্পা ( শিশুতোষ কবিতা) : কাজী নজরুল ইসলাম
*****
সাজাহান ( কবিতা) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাজাহান ( নাটক) : ডি.এল.রায়
*****
দেনাপাওনা ( ছোটগল্প) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেনাপাওনা ( উপন্যাস) : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
*****
নিরুদ্দেশ যাত্রা ( কবিতা) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নিরুদ্দেশ যাত্রা ( কবিতা) : শহীদ কাদরী
*****
কবর ( নাটক) : মুনীর চৌধুরী
কবর (কবিতা) : জসীমউদ্দিন
*****
রজনী (উপন্যাস) : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রজনী ( উপন্যাস) : হুমায়ুন আহমেদ
*****
যাত্রা ( উপন্যাস) : শওকত আলী
যাত্রা ( প্রবন্ধ) : সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

====================================

#আলোচিত পঙতি ও স্রষ্টা

প্রশ্ন: অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়- এ প্রবাদটির রচয়িতা কে?
উঃ মুকুন্দরাম।
প্রশ্ন: হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন এই কবিতাংশটুকু কোন কবি কে?
উঃ মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন: আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে - উক্তি কোন গ্রন্থের?
উঃ অন্নদামঙ্গল কাব্যের।
প্রশ্ন: যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি এপংতির রচয়িতা কে?
উঃ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রশ্ন: পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।”- কার লেখা?
উঃ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের।
প্রশ্ন: সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। -কোন কবির উক্তি?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে- কার রচয়িতার অংশ?
উঃ রঙ্গলাল মুখপাধ্যায়।
প্রশ্ন: চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কার রচনা?
উঃ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রশ্ন: তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না। নজরুলের কোন কবিতার অংশ?
উঃ বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি।
প্রশ্ন: কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক- পংক্তির রচয়িতা?
উঃ ফজলূল করিম।
প্রশ্ন: যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা- কার কবিতার অংশ? q
উঃ নির্মলেন্দু গুন।
প্রশ্ন: আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি কার রচনা?
উঃ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
প্রশ্ন: আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রানের পতাকা।-পংক্তি কার?
উঃ শামসুর রাহমান।
প্রশ্ন: বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় উপরোক্ত অংশটি রবীন্দ্রনাথের কোন কবিতার?
উঃ দুরন্ত আশা।
প্রশ্ন: রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা- পংক্তিটি কার রচিত?
উঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর- কোন কবির রচনা?
উঃ জীবনানন্দ দাশের।
প্রশ্ন: বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ - পংক্তির রচয়িতা কে?
উঃ যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
প্রশ্ন: ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি- পংক্তি কোন কবির?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন- উক্তি কার?
উঃ ভারতচন্দ্রের।
প্রশ্ন: প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।
উঃ স্বর্গ ও নরক শেখ ফজলূল করিম।
প্রশ্ন: জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।- কবিতাংশটির কবি কে?
উঃ জন্মে্িছ এই দেশে। সুফিয়া কামাল।
প্রশ্ন: কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে। পংক্তি দুটির কবি কে?
উঃ রানার সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে। - কবিতাংশটি?
উঃ স্বাধীনতার সুখ রজনীকান্ত সেন।
প্রশ্ন: সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়- কবিতাংশটি?
উঃ আত্মত্রান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।- উক্তির কবিতা ও কার রচনা?
উঃ জীবন- সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।- কবিতাংশটি?
উঃ সুখ কামিনী রায়।
প্রশ্ন: আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।- কোন কবির রচনা?
উঃ আবার আসিব ফিরে জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে- এই উক্তিটি কার?
উঃ বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”- এই উক্তিটি কার?
উঃ বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি- কোন কবির রচনা?
উঃ আমি যদি হতাম জীবনানন্দের দাস।
প্রশ্ন: শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাগুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”- উদ্ধৃত অংশটুকু কার রচনা?
উঃ জীবনানন্দ দাশের।
প্রশ্ন: সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে,”- উদ্ধৃত অংশটুকুর কবি কে?
উঃ সুরঞ্জনা জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন: হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”- কোন কবির রচনা?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষদ্ধ স্বদেশ ভূমি। কোন কবির রচনা?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে- কবিতাংশটি?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার।
প্রশ্ন: হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে, - রচয়িতা কে?
উঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো রচয়িতা কে?
উঃ মহাজীবন সুকান্ত ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি- চরনটির কবি কে?
উঃ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,- কবিতাংশটি?
উঃ ১৪০০ সাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: আজি হতে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে - কবিতাংশটি?
উঃ ১৪০০ সাল নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী রচয়িতার নাম কি?
উঃ কবি সমর সেন।
প্রশ্ন: আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি এই কবিতাংশটুকুর কবি কে?
উঃ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
প্রশ্ন: ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারী সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। -চরনটির কবি কে?
উঃ সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এই অংশটুকুর রচয়িতা কে?
উঃ হেলাল হাফিজ।

#_____কালেক্টেড

 

 

আগড়ম বাগড়ম = অর্থহীন কথা।
● সাতেও না পাঁচেও না = স্বতন্ত্র (অর্থে)।
● ফেকলুর পার্টি = কদরহীন লোক।
● খোদার খাসি = ভাবনা চিন্তাহীন।
● বর্ণচোরা = কপটচারী।
● কথায় চিড়া ভেজা = ফাঁকা আওয়াজে কাজ আদায়।
● বক দেখানো = বিদ্রোপ করা।
● শিরে সংক্রান্তি = আসন্ন বিপদ।
● সমার্থক যুগ্ম শব্দ বক ধার্মিক = বিড়াল তপস্বী।
● শকুনি মামা = কুচক্রী লোক
● শাখের করাত = উভয়সংকট।
● সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক
● রাবনের চিতা = চির অশান্তি।
● আট কপালে = হতভাগ্য।
● আক্কেল সেলামি = বোকামির দন্ড।
● আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অকেজো।
● ইঁদুর কপালে = মন্দভাগ্য।
● উত্তম মধ্যম = মারা/প্রহার করা।
● কূল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা।
● কূপমণ্ডূপ = সীমিত জ্ঞানের মানুষ।
● কাক নিদ্রা = অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
● কাঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব ব্যাপার।
● গুড়ে বালি = আশায় নৈরাশ্য।
● গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস।
● চাঁদের হাট = প্রিয়জনের সমাগম।
● ঝাঁকের কই = একই দলের লোক।
● ঠোট কাটা = স্পষ্টভাষী।
● ডুমুরের ফুল = বিরল বস্তু।
● হাত-ভারী = কৃপন।
● আকাশ কুসুম = অলিক কল্পনা।
● নাটের গুরু = মূলনায়ক।
● কান কাটা = বেহায়া।
● অন্ধকার দেখা = হতবুদ্ধি।
● তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী।
● কংস মামা = নির্দয় আত্মীয়।
● বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর = অক্ষম ব্যক্তির বৃথা আস্ফালন।
● গড্ডলিকা প্রবাহ = অন্ধঅনুকরণ।
 

 

 

ব্যাকরণ এর এই অংশ থেকে প্রশ্ন কমন আসবেই,,,,,ওপেন চ্যালেঞ্জ!!!
( শেয়ার করে সংগ্রহে রাখুন)
================================
স্বরবর্ণ - 11টি
ব্যঞ্জনবর্ণ - 39 টি
মৌলিক স্বরধ্বনি - 7 টি
যৌগিক স্বরধ্বনি--২টি
যৌগিক স্বর জ্ঞাপক বর্ণ >> ২৫টি।
হ্রসস্বর স্বরধ্বনি - 4 টি
দীর্ঘস্বর স্বরধ্বনি - 7টি
মাত্রাহীন - 10 টি
অর্ধমাত্রা - 8 টি
পূর্ণমাত্রা - 32 টি
কার - 10 টি
স্পর্শবর্ণ - 25 টি
এক নজরে বাংলা বর্ণমালার সবকিছুঃ
বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে ৫০টি।(স্বরবর্ণ ১১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট স্বরবর্ণ ১১টি(হ্রস্ব স্বর ৪টি + দীর্ঘ স্বর ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি(প্রকৃত ৩৫টি + অপ্রকৃত ৪ টি)
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৩২টি (স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ২৬টি)
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৮টি (স্বরবর্ণ ১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণআছে ১০টি ( ব্যঞ্জণবর্ণ ৬টি + স্বরবর্ণ৪টি)
বাংলা বর্ণমালায় কার আছে এমন স্বরবর্ণ ১০টি (“অ” ছাড়া)
বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম, ন, ব,য, র) { সৌমিত্র শেখরের বই যে ৬টি । যেমন: ন, ম, য, র ল, ব
বাংলা বর্ণমালায় স্পর্শধ্বনি/বর্গীয় ধ্বনি আছে ২৫টি (ক থেকে ম পর্যন্ত)
বাংলা বর্ণমালায় কন্ঠ/ জিহবামূলীয় ধ্বনি আছে ৫টি (“ক” বর্গীয়ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় তালব্য ধ্বনি আছে৮টি (“চ” বর্গীয় ধ্বনি + শ,য, য়)
বাংলা বর্ণমালায় মূর্ধন্য/পশ্চা ৎদন্তমূলীয় ধ্বনি আছে ৯টি (“ট” বর্গীয়ধ্বনি + ষ, র, ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় দন্ত্য ধ্বনি আছে৭টি (“ত” বর্গীয় ধ্বনি + স,ল)
বাংলা বর্ণমালায় ওষ্ঠ্য ধ্বনি আছে৫টি (“প” বর্গীয় ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ ধ্বনি আছে১৪টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনি + ঃ, শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় ঘোষ ধ্বনি আছে১১টি (প্রতি বর্গের ৩য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ধ্বনিআছে ১৩টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনি + শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় মহাপ্রাণ ধ্বনিআছে ১১টি (প্রতি বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য/
অনুনাসিকধ্বনি আছে ৮টি (প্রতি বর্গের ৫ম ধ্বনি + ং, ৺, ও)
বাংলা বর্ণমালায় উষ্ম/শিষ ধ্বনি৪টি (শ, ষ, স, হ)
বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ধ্বনি৪টি (ব, য, র, ল)
বাংলা বর্ণমালায় পার্শ্বিক ধ্বনি১টি (ল)
বাংলা বর্ণমালায় কম্পনজাত ধ্বনি১টি (র)
বাংলা বর্ণমালায় তাড়নজাত ধ্বনি১টি (ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় পরাশ্রয়ী ধ্বনি৩টি (ং, ঃ, ৺)
বাংলা বর্ণমালায় অযোগবাহ ধ্বনি২টি (ং, ঃ)
বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপকধ্বনি ২টি (ঐ, ঔ)
বাংলা বর্ণমালায় খন্ডব্যঞ্জণধ্বনি ১টি (ৎ)
বাংলা বর্ণমালায় নিলীন ধ্বনি ১টি(অ)
বাংলা বর্ণমালায় হসন্ত/হলন্ত বর্ণবলা হয় ক্, খ্, গ্ এধরণের বর্ণকে
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধস্বর ২টি (য,ব)
১.দেশী শব্দ
-- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ডিঙ্গা, ঢেঁকি।

মনে রাখার উপায়
মিশ্র শব্দ
-------------------
টেকনিক >>> রাজা বাদশা হেড মৌলবীকে সংগে নিয়ে ডাক্তার খানার চৌহদ্দি ঘূরে এসে হেড পন্ডিত কে ডেকে বল্লেন, আগামী হাটবাজারে যেন পকেট মার না হয়।
শব্দগুলো এখন দেখে নেই
১. রাজা-বাদশা>তত্সম+ফারসি
২.হেড-মৌলবী>ইংরেজি+ফারসি
৩.ডাক্তার -খানা>ইংরেজি+ফারসি
৪.চৌ-হদ্দি>ফারসি+ আরবি
৫.হেড-পন্ডিত> ইংরেজি+তত্সম
৬. হাট-বাজার>বাংলা +ফারসি
৭.পকেট-মার> ইংরেজি+ বাংলা
.
মনে রাখুন
১.মৌলিক শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>>লাল গোলাপের নাকে তিন হাত কলম.
মিলিয়ে নিন:লাল,গোলাপ,নাক তিন,হাত,কলম.
২.সাধিত শব্দ:
--------------------
টেকনিক >>>দয়ালু জমিদার পানসা হাতে ফুলেল লাগাল.
মিলিয়ে নিন: দয়ালু জমিদার,পানসা ফুলেল
৩.যৌগিক শব্দ:
--------------------
টেকনিক >>>নায়ক গায়ক ও চিকামারা নয়ন এবং সুন্দরী মিতালি ও দৌহিত্র বাবুয়ানা দেখিয়ে কর্তব্যে অবহেলা
করে শয়ন করল. এবং পরে বাদরামীর মধুর জলে গমন করল.

মিলিয়ে নিন>গায়ক,নায়ক,চ
িকামারা,নয়ন মিতালি,দৌহিত্র,
বাবুয়ানা
কর্তব্য,শয়ন,বাদরামী, মধুর
৪.রূঢ়ি শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>>তেলেভাজা স্বন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ গভেষনা করে পান্জাবী পরে
হস্তীর পিঠে চরে বাঁশি বাজায়. হরিণের মাংস দিয়ে মন্ডূপ তৈরি
করায় লাবণ্যের শশুর ও ঝি কূশল বিনিময় করল আমিও করি...!!!
মিলিয়ে নিন:>>তেলেভাজা,
স্বন্দেশ,প্রবীণ,গভেষনা,হস্তি বাঁশি,হরিণ,মন্ডুপ,লাবণ্য,শশুর,ঝি কূশল,করী
৫.যৌগরূঢ় শব্দ:
----------------------
টেকনিক >>> রাজপূত পঙ্কজ মহাযাত্রা করে জলদির কাছে গেলেন.এরপর
পীতাম্বর তরঙ্গম ও আদিত্যকে বলদ বলে জলদে পাঠালেন.

মিলিয়ে নিন:>রাজপূত,পঙ্
কজ,মহাযাত্রা,জলদি পীতাম্বর,তরঙ্গম
,আদিত্য,বলদ এবং জলদ...!

৬.তদ্ভব শব্দ:
টেকনিক >>>আখি আজ করছে কাজ, মৌ পড়েছে বিয়ের সাজ,
বৌমা এনেছে ভাত মাছ.মাথায় হাত কানে দাত চাঁদ সই করা তদ্ভবের কাজ.

মিলিয়ে নিন:>মাথা,হাত,আখি,দাত,ভাত চাঁদ,মাছ,কান
7.তৎসম শব্দ:
-------------------
টেকনিক >>> হস্তে যদি থাকে শক্তি চন্দ্র সূর্য্য করবে ভক্তি,ভবনের পত্র ধর্ম লাভ ক্ষতি মনূষ্য পর্বতের কর্ম.
মিলিয়ে নিন: হস্ত,চন্দ্র,সূর্য্য,ভবন,পত্র,ল
ভ,ক্ষতি মনূষ্য,পর্বত.
8.অর্ধতৎসম শব্দ:
----------------
টেকনিক >>>গিন্নি মাগি জৈস্না কুৎসীত গতরে বোস্টমের বাড়িতে
নেমন্তন্ন খেত গেল,কেস্ট ও পুরুত খিদে পেয়ে শুধু আদা খায়.
.
মিলিয়ে নিন: গিন্নি,মাগি,জৈস
না,কুৎসীত,গতর,নেমন্তন্ন,কেস্ট
,পুরুত,আদা...!!!

টেকনিকে ফারসি শব্দঃ [ধর্ম সংক্রান্ত:
---------------------------------------------
ছন্দঃ(নামাজ রোজা করলে বেহেস্ত, আর গুনাহ করলে দোযখ ফেরেস্তা হিসাবে রাখবে আর পয়গম্বর খোদার কাছে গুনাহ মাপের সুপারিশ করবে।)

ব্যাখ্যাঃ
নামাজ, রোজা, বেহেস্ত, গুনাহ, দোযখ, ফেরেস্তা, পয়গম্বর, খোদা, সুপারিশ।

অথবা
(নামাজ রোজা পালন না করলে গুনাহ হয়। তাই পয়গম্বরদের কথা না,শুনলে ফেরেস্তারা খোদার আদেশে বেহেস্তের পরিবর্তে দোযখে নিয়ে যাবে।)
নামাজ, রোজা পালন, গুনাহ, পয়গম্বর, ফেরেস্তা, খোদা, বেহেস্ত, দোযখ।
_______________________________

টেকনিকে পর্তুগিজ শব্দঃ
---------------------------
চোর গীর্জার গুদামে ঢুকে পাদ্রিকে বেঁধে রেখে চবি দিয়ে আলমারি খুলে আনারস আলপিন পাউরুটি বালতি সব নিয়ে গেল।
-------------------------------------------

টেকনিকে ফরাসি শব্দঃ
কাকু রেডি (কার্তুজ, কুপন, ডিপো রেস্তারা)
-----------------------------------------------
টেকনিকে গুজরাটি শব্দঃ
গুজরাটি হখ (হরতাল, খদ্দর) সাহেব।
--------------------------------------------------
টেকনিকে পাঞ্জাবি শব্দঃ
পাঞ্জাবি চাশি (চাহিদা, শিখ)
---------------------------------------------------
টেকনিকে তুৃর্কি শব্দঃ
দারোগা, চাচা (চাকর, চাকু) তোপ, দাগে।
----------------------------------------

কতগুলো শব্দ কেবল পুরুষ বোঝায়---
কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, রাষ্ট্রপতি।

কতগুলো শব্দ পুরুষ ও স্ত্রী দু-ই বোঝায়---
গুরু, শিশু, সন্তান, জন, শিক্ষিত, পাখি।

নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে---
শ্রদ্ধাস্পদাসু

লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ ---
কবিরাজ, কেরানী ,রাষ্ট্রপতি, ডাক্তার ।

কতগুলো নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ ---
শাঁকচুন্নী, সধবা, সতীন, সপত্নী, বিধবা, সধবা, ডাইনি, কুলটা এয়ো, দাই।
‘বাবুর্চি’ কোন ভাষার শব্দ? তুর্কি
‘ম্যালেরিয়া’ কোন ভাষার শব্দ? ইতালি
‘মর্সিয়া’ শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে? আরবি
‘কাঁচি’ শব্দটি কোন ভাষা হতে এসেছে? তুর্কি
‘কুঁড়ি’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি শব্দ কোনটি? কোরক
‘শাক সবজি’ শব্দটি নিচের কোন দুইয়ের মিলন? তৎসম + ফারসি
‘কুলি’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত? তুর্কি
‘সাবান’ ও ‘আনারস’ শব্দ দুটি কোন ভাষা হতে এসেছে? পর্তুগিজ
‘হরতন’ কোন ভাষার শব্দ? ওলন্দাজ
‘‘হরতাল’’ কোন ভাষা থেকে এসেছে? গুজরাটি
‘হাঙ্গামা’ কোন ভাষার শব্দ? ফারসি
‘হাটবাজার’ কোন কোন ভাষার শব্দ নিয়ে গঠিত?বাংলা ও ফারসি
‘চকলেট’ কোন দেশের ভাষার শব্দ? মেক্সিকো
‘চকমক’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে? তুর্কি
‘চানাচুর’ কোন ভাষার শব্দ? হিন্দি
‘জান্নাত ও বেহেশত’ শব্দ দুটি কোন ভাষা থেকে এসেছে? আরবি ও ফারসি
‘জানালা’ শব্দটি কোন্ ভাষার শব্দ? ফারসি

বাংলা নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি সহজেই মনে রাখি
_______________________________
বনস্পতি এবং বৃহস্পতি পরষ্পর দুই ভাই। তাদের বয়স ষোড়শ এবং একাদশ। তারা দুজনে তস্কর।দুজনে গিয়েছে গোষ্পদ চুরি করতে।দেখেছে মনীষা। বলেছে পতঞ্জলির কাছে।পতঞ্জলি শুনে আশ্চর্য হল
----------------------------------------------------
বনস্পতি
বৃহস্পতি
পরষ্পর
ষোড়শ
একাদশ
তস্কর
গোষ্পদ
মনীষা
পতঞ্জলি
আশ্চর্য নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।

 

৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন সাহিত্যিকের সংক্ষেপ পরিচিতিঃ
(পোষ্ট'টি শেয়ার করে রাখতে পারেন। কাজে আসবে)
⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣
●➢ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ (১৮২০-১৮৯১)★★
১। বিদ্যাসাগর কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? - উঃ
১৮২০ সালে
২। বিদ্যাসাগর উপাধি দেয়া হয় কোথা থেকে? উঃ
সংস্কৃত কলেজ থেকে
৩। বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত কে? উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৪। বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্ন প্রথম স্থাপন করেন
কে? উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৫। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি মৌলিক রচনার নাম কি কি? উঃ
অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা,
রত্ন পরীক্ষা।
৬। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থের
নাম কি কিঃ উঃ- বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার
বনবাস ও ভ্রান্তিবিলাস। ৭। বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি? উঃ
বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
৮। বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম কি? উঃ
ব্যাকরণ কৌমুদী
৯। বিদ্যাসাগর কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন? উঃ বিধবা বিবাহ আন্দোলন
১০। বিদ্যাসাগর কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন? উঃ
১৮৯১ সালে।
…………………………………
●➢কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬)★★
১। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? উঃ ১৮৯৯ সালে
২। বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে? উঃ
কাজী নজরুল ইসলাম
৩। নজরুলের কোন কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি
গ্রেফতার হন? উঃ আনন্দময়ীর আগমনে ৪। কাজী নজরুল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর
কোন রচনাটি উৎসর্গ করন? উঃ বসন্ত
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নজরুল তার কোন রচনাটি
উৎসর্গ করেন? উঃ সঞ্চিতা
৬। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি? উঃ ব্যথার দান ( ১৯২২)
৭। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম কি? উঃ মুক্তি
৮। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
উঃ অগ্নিবীনা
৯। নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? উঃ সন্ধ্যা, নতুন চাঁদ , ছায়ানট, প্রলয় শিখা , অগ্নিবীনা ,
সাত ভাই চম্পা, , সিন্দুহিন্দোল, ফনিমনসা, চক্রবাক,
সর্বহারা,ঝড় হাওয়া, জিঞ্জির, সাম্যবাদী, মরুভাস্কর,
শেষ সওগাত , ঝিঙ্গেফুল, বিষের বাশিঁ , দোলনচাঁপা
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ কোনো এক সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার সময়
ছায়ানটে লাগা প্রলয় শিখার অগ্নিবীনা দেখে সাত ভাই
চম্পা, দোলনচাঁপা ও ফনিমনসারা চক্রবাক হয়ে
সর্বহারার মতো ঝড় হাওয়ার গতিতে জিঞ্জিরার দিকে
ছুটতে লাগল। সাম্যবাদী মরুভাস্করেরা শেষ সওগাত ঝিঙ্গেফুল ও বিষের বাশিঁ হাতে নিয়ে
সিন্দুহিন্দোলের দিকে এগিয়ে চললেন।
১০। নজরুলের উপন্যাসগুলো কি কি? উঃ বাঁধনহারা,
কুহেলিকা ও মৃত্যুক্ষুধা।
১১। নজরুলের গল্পগ্রন্থগুলোর নাম কি? উঃ শিউলিমালা, ব্যথারদান ও রিক্তের বেদন।
১২। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে প্রথম ঢাকায়
আসেন? উঃ ১৯২৬ সালে।
১৩। কাজী নজরুল ইসলাম মোট কতবার ঢাকায়
আসেন? ১৩ বার। ১৪। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে মৃত্যুবরন
করেন? উঃ ১৯৭৬ সালে
…………………………………………
●➢কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১) ★★
১। কায়কোবাদের প্রকৃত নাম কি? উঃ কাজেম আল
কোরেশী।
২। কায়কোবাদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি
কি?
উঃমহাশ্মশান, অশ্রুমালা, বিরহ বিলাপ, কুসুমকানন, শিবমন্দির,
ও অমিয়ধারা।
৩। কোন ঘটনা অবলম্বনে কায়কোবাদের
মহাশ্মশান মহাকাব্যটি রচিত হয়?
উঃ পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে।
৪। বাঙ্গালী মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য
রচনা করেন কে? উঃ কায়কোবাদ।
৫। কায়কোবাদের রচিত কবিতার নাম কি? উঃ বাংলা আমার
৬। কায়কোবাদের অশ্রুমালা কাব্যগ্রন্থের মূল সুর
কি? উঃ প্রেম-বেদনা, আবেগ ও আনন্দ বিরহ।
…………………………………………
●➢জসীমউদদীন (১৯০৩-১৯৭৬) ★★
১। জসীমউদদীন কোথায় জন্মগ্রহন করেন? উঃ
মাতুলালয়, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর।
২। জসীমউদদীনের উপাধি কি? উঃ পল্লীকবি।
৩। জসীমউদদীন ছাত্র থাকা অবস্থায় তাঁর কোন
কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পাঠ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়? উঃ কবর কবিতা।
৪। কবর কবিতাটি জসীমউদদীনের কোন
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত? উঃ রাখালী।
৫। জসীমউদদীনের কবর কবিতাটি কোন
পত্রিকায় ছাপা হয়? উঃ কল্লোল পত্রিকায়।
৬। জসীমউদদীনের বিখ্যাত কাব্যগ্রনথগুলো কি
কি?
উঃরঙ্গিলা নায়ের মাঝি , হাসু, রুপবতী, সকিনা,
রাখালীকে, বালুচরের, সোজান বাদিয়ার ঘাটে , মাটির
কান্না , নকশী কাঁথার মাঠের ও এক পয়সার বাঁশি। ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
রঙ্গিলা নায়ের মাঝি হাসু রুপবতী সকিনা ও রাখালীকে
নিয়ে বালুচরের ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সোজান
বাদিয়ার ঘাটে গিয়ে এক পয়সার বাঁশি কিনে ফিরে আসার
সময় নকশী কাঁথার মাঠের মাটির কান্না দেখল।
৭। জসীমউদদীনের রচিত নাটকগুলো কি কি?
উঃ পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধু ও
গ্রামের মায়া।
৮। জসীমউদদীনের রচিত একমাত্র উপন্যাসের
নাম কি? উঃ বোবা কাহিনী। ৯। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত
হয়? উঃ ১৯২৯ সালে।
১০। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি
অনুবাদের নাম কি? উঃ ‘Field of the Embroidery Quilt’
১১। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি
অনুবাদকের নাম কি? উঃ ই. এম. মরফোর্ড।
১২। জসীমউদদীনের ছদ্মনাম কি?
জমীরউদ্দীন মোল্লা।
১৩। জসীমউদদীন কত সালে একুশে পদক পান? উঃ ১৯৭৬ সালে।
…………………………………………
●➢ দীনবন্ধু মিত্র ( ১৮৩০-১৮৭৩) ★★
১। নীলকরদের অত্যাচার অবলম্বনে রচিত
দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের নাম কি? উঃ নীল দর্পণ
(১৮৬০) ২। দীনবন্ধু মিত্রের কাব্যগুলো কি কি? উঃ
সুরধুনী কাব্য ও দ্বাদশ কবিতা।
৩। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত প্রহসনগুলো কি কি? উঃ
বিয়ে পাগলা বুড়ো, সধবার একাদশী।
৪। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নাটকগুলো কি কি? উঃ নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী,
জামাই বারিক ও কমলে কামিনী।
৫। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি
ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে? উঃ মাইকেল
মধুসূদন দত্ত। ৬। নীল দর্পণ নাটকটি প্রথম কোথায় মঞ্চস্থ হয়?
উঃ ঢাকায়।
…………………………………………
●➢ফররুখ আহমেদ (১৯১৮-১৯৭৪)★★
১। ফররুখ আহমেদ কোথায় জন্মগ্রহন করেন? উঃ
মাঝআইল গ্রাম, যশোর।
২। ফররুখ আহমেদ রচিত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি
কি?
উঃসাত সাগরের মাঝি , নৌফেল, হাতেম তায়ী , সিরাজাম
মুনিরা ও মুহূর্তের কবিতা। ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
ঝড়ের কবলে পরে সাত সাগরের মাঝি, হাতেম
তায়ী- সিরাজাম মুনিরা ও নৌফেলকে বিপদের
মুহূর্তের কবিতা পড়তে বললেন।
৩। ফররুখ আহমেদ রচিত শিশুতোষ গ্রন্থের নাম কি ? উঃ পাখির বাসা।
৪। ফররুখ আহমেদ রচিত পাখির বাসা গ্রন্থের জন্য
তিনি কোন পুরস্কার লাভ করেন? ইউনেস্ক পুরস্কার
(১৯৬৬)
৫। ফররুখ আহমেদ রচিত সাত সাগরের মাঝি গ্রন্থে কতটি কবিতা আছে? উঃ ১৯ টি।
…………………………………………
●➢বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ★★
১। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম
কাব্যগ্রন্থের নাম কি? উঃ ললিতা তথা মানস।
২। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাসের নাম কি? উঃ দুর্গেশনন্দিনী।
৩। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের উপন্যাসগুলো কি
কি?
উঃইন্দিরা, আনন্দ মঠের , বিষবৃক্ষের,
দুর্গেষনন্দীনি, কপালকুণ্ডলা, কৃষ্ণকান্তের উইল , রাজসিংহ, দেবী চৌধুরানীর , চন্দ্রশেখর, শীতারাম,
মৃণালীনি, রাধারানীকে , রজনীতে ও
যুগলাঙ্গুরীয়
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
এক রজনীতে ইন্দিরা রোডে আনন্দ মঠের সামনে বিষবৃক্ষের নিচে দাড়িয়ে দুর্গেষনন্দীনি
ও কপালকুণ্ডলা কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ছিলো। কিন্তু
রাজসিংহ তা দেখে দেবী চৌধুরানীর দুই ছেলে
চন্দ্রশেখর এবং শীতারাম ও দুই মেয়ে মৃণালীনি
ও রাধারানীকে বলে দিলে তারা ঐ যুগলাঙ্গুরীয়কে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত
হলো।
৪। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের কাব্যগ্রন্থগুলো কি
কি?
উঃলোকরহস্য, কমলকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র ও ধর্মতত্ত্ব
অনুশীলন।
৫। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের ছদ্মনাম কি? উঃ
কমলাকান্ত।
৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের সম্পাদিত পত্রিকার নাম কি? উঃ বঙ্গদর্শন ।
…………………………………………
●➢মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪- ১৮৭৩) ★★
১) মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত
গ্রন্থের নাম কি? উঃ Captive Ladie ( ১৮৪৯)
২) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত প্রহসনগুলো কি কি?
উঃএকেই কি বলে সভ্যতা ও বুড় সালিকের ঘাড়ে
রোঁ।
৩। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত বাংলা নাটকগুলো
কি কি? উঃ শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী ও কৃষ্ণকুমারী। ৪। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো
কি কি? উঃ তিলোত্তমাসম্ভার কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য ও
ব্রজাঙ্গনা।
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত অমর মহাকাব্যের
নাম কি? উঃ মেঘনাদবধ কাব্য।
৬। বীরাঙ্গনা কাব্যটি কোন ধরনের কাব্য? উঃ
পত্রকাব্য।
৭। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে? উঃ মাইকেল
মধুসূদন দত্ত।
…………………………………………
●➢মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭- ১৯১১) ★★ ১। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত পত্রিকা দু’টির
নাম কি কি? উঃ আজীজননেহার ও হিতকারী।
২।মীর মশাররফ হোসেনের প্রথম গ্রন্থ
কোনটি? উঃ রত্নবতী
৩। মীর মশাররফ হোসেনের নাটক গুলো কি কি? উঃ জমীদার দর্পণ, বসন্তকুমারী, বেহুলা
গীতাভিনয়, টালা অভিনয়, নিয়তি কি অবনতি, ভাই ভাই
এইতো চাই, ফাঁস কাগজ, একি, বাঁধা খাতা ইত্যাদি।
৪। মীর মশাররফ হোসেনের গদ্য ও অন্যান্য
গ্রন্থগুলো কি কি? উঃ রত্নবতী, বিষাদসিন্ধু, গোজীবন, উদাসীন
পথিকের মনের কথা, তহমিনা, রাজিয়া খাতুন, এসলামের
জয়, মৌলুদ শরীফ, গোরাই ব্রিজ, পঞ্চনারী, বিবি
খোদেজার বিবাহ মদীনার গৌরব ও মুসলমানের বাংলা
শিক্ষা।
৫। মীর মশাররফ হোসেনের একমাত্র প্রহসন
কি? উঃ এর কি উপায়?
৬। মীর মশাররফ হোসেনের
আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের নাম কি? উঃ গাজী
মিয়াঁর বস্তানী
৭। মীর মশাররফ হোসেনের
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কি কি ? উঃ আমার
জীবনী ও কুলসুম জীবনী।
৮। মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কি ছিলো?
উঃ গাজী মিয়াঁ
…………………………………………
●➢রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)★★
১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতামাতার কততম সন্তান? উঃ
তিনি তাঁর মা বাবার চতুর্দশ সন্তান।
২। কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম
কবিতা প্রকাশিত হয়? উঃ তের বছর বয়সে।
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থের নাম কি? উঃ কবি কাহিনী।
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের
নাম কি? উঃ বাল্মীকি প্রতিভা।
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থেউপন্যাসের নাম কি? উঃ বৌ ঠাকুরাণীর হাট।
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত ছোট
গল্পের নাম কি? উঃ ভিখারিনী।
৭। বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয় কাকে? উঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কি? উঃ ভানুসিংহ ঠাকুর।
৯। গীতাঞ্জলি কাব্য কত সালে প্রকাশিত হয়? উঃ
১৯১০ সালে।
১০। গীতাঞ্জলি বা Song Offerings এর ভূমিকা
লেখেন কে? উঃ ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস।
১১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি?
উঃ ভানুসিংহ, গীতাঞ্জলি, , প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা
সংগীত , বিচিত্রা, পূরবী,, পত্রপুট, শ্যামলী, মহুয়া,
সোনার তরী , খেয়া, হিন্দুমেলার উপহার , ক্ষণিকা,
নবজাতক, নৈবেদ্য, জন্মদিন, রোগশয্যা, আরোগ্য , কণিকা, চৈতালি, চিত্রা, মানসী, বনফুল, মায়ার খেলা , ছবি
ও গান , বলাকা, সানাই , গীতালি, কল্পনা, কড়ি ও কোমল ও শেষ লেখা।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ ভানুসিংহ গীতাঞ্জলির প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা সংগীত
ও বিচিত্রা গাইতে গাইতে পূরবী, পত্রপুট, শ্যামলী
ও মহুয়াকে সাথে নিয়ে সোনার তরী খেয়ায়
করে হিন্দুমেলার উপহার কিনতে গেল। এদিকে
সেদিন ছিলো ভানুসিংহের স্ত্রী ক্ষণিকার নবজাতক নৈবেদ্যর জন্মদিন। ক্ষণিকা রোগশয্যা থেকে আরোগ্য লাভ করার পর তার বোন কণিকা, চৈতালি, চিত্রা ও মানসীদের নিয়ে বনফুলের মিষ্টি
খেলো। বাসায় ফেরার আগে তারা বলাকা সিনেমা
হলে মায়ার খেলা ছবি ও গান দেখল। ভানু সিংহ তার নবজাতক পুত্রের কথা শুনে সানাই ও গীতালি
বাজাতে বাজাতে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায় এবং কড়ি
ও কোমল নিয়ে বাসায় ফিরে এসে তার বিখ্যাত
শেষ লেখাটি পুত্রকে উৎসর্গ করেন।
১২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলো কি কি? উঃ শেষের কবিতা, যোগাযোগ, চোখের বালি,
গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে বাইরে ও চার অধ্যায়।
১৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকগুলো কি কি?
উঃ বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা,
রক্তকবরী ও তাসের দেশ। ১৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতবার ঢাকায় আসেন? উঃ ২
বার।
…………………………………………
●➢বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২) ★★
১। বেগম রোকেয়ার রচিত উপন্যাসের নাম কি? উঃ
পদ্মরাগ। ২। বেগম রোকেয়ার গ্রন্থ সমূহ কি কি?
উঃ সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া, অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ
ও মতিচূর।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধবাসিনীদের মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগ ও মতিচূর ফুল তুলে দেবেন।
৩। বেগম রোকেয়া মূলত কি হিসেবে পরিচিত? উঃ
মুসলিম নারী জাগরনের অগ্রদূত।
৪। বেগম রোকেয়ার লেখাগুলো কোন কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হত? উঃ নবনূর, সওগাত ও
মোহাম্মাদী।
…………………………………………
।।
সংগৃহীত

 

 

 

 

➊ বাংলা সাহিত্যের আদি কবি→লুইপা
➋ ইংরেজি সাহিত্যের আদি কবি→ক্যাডমন (Caedmon)
➊ বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি→কাজী নজরুল ইসলাম
➋ ইংরেজি সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি→লর্ড বাইরন(Lord Byron)
➊ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন→চর্যাপদ।
➋ ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন→বিউলফ(Beowulf)
➊ বাংলা সাহিত্যের কবিদের কবি→নির্মলেন্দু গুণ
➋ ইংরেজি সাহিত্যের কবিদের কবি→এডমন্ড স্পেনসার(Edmund Spanser)।
➊ বাংলা সাহিত্যের দুংখবাদী কবি→যতীন্দ্রমোহন বাগচী
➋ ইংরেজি সাহিত্যের দুংখবাদী কবি→মেথিউ আরনল্ড
➊ বাংলাদেশের জাতীয় কবি→কাজী নজরুল ইসলাম
➋ ইংরেজিদের জাতীয় কবি→Shakespeare
➌ রাশিয়ার জাতীয় কবি→আরেকজান্ডার পুসকিন
➍ আমেরিকার জাতীয় কবি→Walt whitman, Robert Frost, Emity Dickinson(তিনজন)
➊ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য→মেঘনাদবধ কাব্য(মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য→বেওউলফ(Beowulf)
➊ বাংলা গদ্যের জনক→ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
➋ ইংরেজি গদ্যের জনক→জন ওয়াক্লিফ(John Wyclif)
➊ বাংলা সনেটের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ ইংরেজি সনেটের জনক→স্যার থমাস ওয়াট(Sir Thomas wyatt)
➊ সনেটের জনক→ইতালীয় কবি পেত্রার্ক
➋ বাংলা ভাষায় ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক→প্রমথ চৌধুরী
➊ বাংলা চলচিত্রের জনক→হীরালাল সেন
➋ বাংলাদেশের চলচিত্রের জনক→আব্দুল জব্বার খান
➊ বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার কবি→ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
➋ ইংরেজি সাহিত্যের সমালোচনার কবি→জন ড্রেডেন(John Dryden)
➊ বাংলা প্রবন্ধের জনক→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি প্রবন্ধের জনক→ফ্রান্সিস বেকন(Francis Bacon)
➊ বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্যের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ ইংরেজি সাহিত্যে মহাকাব্যের জনক→উইলিয়াম কেরী(William Carey)
➊ বাংলা মহাকাব্যের কবি→হেমচন্দ্র(বাংলার মিল্টন)
➋ ইংরেজি মহাকাব্যের কবি→জন মিল্টন(John Milton)
➊ বাংলা দুঃখবাদী কবি→যতিন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
➋ ইংরেজি দুঃখবাদী কবি→ম্যাথিও আর্নল্ড(Matthew Arnold)
➊ বাংলা সাহিত্যের সভাকবি→সুভাস মুখোপ্যাধ্যায়
➋ ইংরেজি সাহিত্যের সভাকবি→ওয়ার্ড ওর্থ(Word Worth)
➊ বাংলা উপন্যাসের জনক→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি উপন্যাসের জনক→হেনরি ফিল্ডিং(Henry Fielding)
➊ বাংলা কবিতার জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ বাংলা গীতি কবিতার জনক→বিহারীলাল চক্রবর্তী
➌ ইংরেজি কবিতার জনক→জিওফরি চাউচার(Geoffrey Chaucer)
➊ বাংলা ছোট গল্পের জনক→রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
➋ ইংরেজি ছোট গল্পের জনক→এডগার এলান পো
➊ বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক→চার্লস উইলকিনস
➋ ইংরেজি মুদ্রণ শিল্পের জনক→উইলিয়াম কাক্সটন(William Caxton)
➊ বাংলা নাটকের জনক→দীনবন্ধু মিত্র
➋ ইংরেজি নাটকের জনক→শেক্সপিয়র
➊ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক→মাইকেল মধুসূদন দত্ত
➋ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের জনক→জর্জ বার্নার্ড শ
➊ বাংলা সাহিত্যের Poet of Dramatic Monologue→জসীম উদ্দিন
➋ ইংরেজি সাহিত্যের Poet of Dramatic Monologue→রবার্ট ব্রওইং(Robert Browning)
➊ বাংলা সাহিত্যের কিশোর কবি→সুকান্ত ভট্টাচার্য
➋ ইংরেজি সাহিত্যের কিশোর কবি→জন কিটস(John keats)
➊ বাংলা সাহিত্যের স্কট বলা হয়→বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
➋ ইংরেজি সাহিত্যের স্কট বলা হয়→স্যার ওয়াল্টন স্কট(Sir Walton Scott)
➊ বাংলা সাহিত্যেরর প্রথম উপন্যাস→আলালের ঘরের দুলাল(প্যারিচাদ মিত্র)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস→Pamela or The Virtue Rewarded (Samuel Richardson)
➊ বাংলা সাহিত্যের ব্যাঙ্গাত্বক উপন্যাসের রচয়িতা→প্রমথ চৌধুরি
➋ ইংরেজি সাহিত্যের ব্যাঙ্গাত্বক উপন্যাসের রচয়িতা→জনাথান সুইফট(Jonathan Swift)
➊ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক শ্লোকগাঁথা→প্রভাবতী সম্মাষণ(ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)
➋ ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম সার্থক শ্লোকগাঁথা গ্রন্থ →Lycidas(John Milton)
➊ বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন→নাথনিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
➋ ইংরেজি ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন→উইলিয়াম কেরি(William Carey)
➊ সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর খোদাই করেন→চার্লস উইলকিনস
➋ বাঙালিদের মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর খোদাই করেন→পঞ্চানন কর্মকার।

#এক_কথায়_প্রকাশ

…………………………..

 

যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা।
.
যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ভাষী।
.
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় = স্বয়ংবরা।
.
যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী।
.
যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া।
.
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া।
.
যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।
.
যে নারী জিবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে
= কাকবন্ধ্যা।
.
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।
.
যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা।
.
যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা/
পুরন্ধ্রী।
.
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ।
.
যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা।
.
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্য
পূর্বা।
.
যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা।
.
যে নারী কখনো সূর্যকে দেখে নাই =
অসূর্যম্পশ্যা।
.
যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই = অনসূয়া।
.
যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা।
.
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা।
.
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে =
প্রোষিতভর্তৃকা।
.
যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে =
প্রোষিতপত্নীক।

 

১.কুকুরের ডাক=বুক্কন

২.রাজহাঁসের ডাক=ক্রেঙ্কার

৩.বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি

৪.করার ইচ্ছা=চিকীর্ষা

৫.ক্ষমা করার ইচ্ছা=চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা

৬.ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা=তিতীর্ষা

৭.গমন করার ইচ্ছা=জিগমিষা

৮.নিন্দা করার ইচ্ছা=জুগুপ্সা

৯.বেঁচে থাকার ইচ্ছা=জিজীবিষা

১০.পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা

১১.চোখে দেখা যায় এমন=চক্ষুগোচর

১২.চোখের নিমেষ না ফেলিয়া=অনিমেষ

১৩.গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র

১৪.মুক্তি পেতে ইচ্ছা=মুমুক্ষা

১৫.বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা

১৬.প্রবেশ করার ইচ্ছা=বিবক্ষা

১৭.বাস করার ইচ্ছা=বিবৎসা

১৮.বমন করিবার ইচ্ছা=বিবমিষা

১৯.রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা=রিরংসা

২০.আমার তুল্য=সাদৃশ

২১.ইহার তুল্য=ইদৃশ

২২.ঋষির তুল্য=ঋষিকল্প

২৩.দেবতার তুল্য=দেবোপম

২৪.রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য

২৫.জানিবার যোগ্য=জ্ঞাতব্য

২৬.প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসার্হ

২৭.ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্রেয়

২৮.যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না=দুলঙ্ঘ্য

২৯.যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না=দুস্তর

৩০.যা বলা হয়েছে=বক্ষ্যমাণ

৩১.যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি=অচিন্তিতপূর্ব

৩২.যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই=অনাস্বাদিতপূর্ব

৩৩.যা পূর্বে শোনা যায় নি=অশ্রুতপূর্ব

৩৪.হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত =হিরন্ময়

৩৫.বাতাসে চরে যে=কপোত

৩৬.পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার=জাতিস্বর

৩৭.সরোবরে জন্মায় যাহা=সরোজ

৩৮.সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে=সততসঞ্চরমান

৩৯.যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান

৪০.সকলের জন্য প্রযোজ্য=সর্বজনীন

৪১.সকলের জন্য অনুষ্ঠিত =সার্বজনীন

৪২.প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন=প্রভাতকল্পা

৪৩.রাত্রির মধ্যভাগ=মহানিশা

৪৪.স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ

৪৫.স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার

৪৬.যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত

৪৭.শক্তির উপাসনা করে যে = শাক্ত

৪৮.এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার=অজাতশত্রু

৪৯.এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার=অজাতশ্মশ্রু

৫০.যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়=মাধুকর

৫১.অন্যদিকে মন নাই যার=অনন্যমনা

৫২.খেয়া পার করে যে =পাটনী

৫৩.নিজেকে বড় ভাবে যে=হামবড়া

৫৪.নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে=সয়ম্ভূ

৫৫.নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)=নিদাঘ

৫৬.যা গতিশীল = জঙ্গম

৫৭.যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই=অবিসংবাদী

৫৮.স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ

৫৯.অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ =অতিসার/অতীসার

৬০.অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ=দাদন

৬১.অতি উচ্চ ধ্বনি =মহানাদ

৬২.অতিশয় রমণীয়=সুরম্য

৬৩.অণুর ভাব=অণিমা

৬৪.অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী =আনুপূর্বিক

৬৫.অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে=উন্নাসিক

৬৬.অসির শব্দ=ঝঞ্জনা

৬৭.অন্ধকার রাত্রি =তামসী

৬৮.অশ্বের চালক=সাদী

৬৯.ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট=আনীল

৭০.ঈষৎ উষ্ণ =কবোষ্ণ

৭১.ঈষৎ পাংশু বর্ণ=কয়রা

৭২.আকস্মিক দুর্দৈব =উপদ্রব

৭৩.আঙুর ফল=দ্রাক্ষা

৭৪.আজীবন সধবা যে নারী=চিরায়ুষ্মতী

৭৫.উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন=রিকথ

৭৬.উটের/হস্তীর শাবক=করভ

৭৭.ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) =আর্য

৭৮.ঋজুর ভাব=আর্জব

৭৯.ঋতুর সম্বন্ধে=আর্তব

৮০.ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য=অনুপান

৮১.কংসের শত্রু যিনি=কংসারি

৮২.কালো হলুদের মিশানো রঙ=কপিশ,কপিল

৮৩.ক্ষুধার অল্পতা=অগ্নিমান্দ্য

৮৪.কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ=অধঃকায়

৮৫.কৃষ্ণবর্ণ হরিণ=কালসার

৮৬.ক্রীড়নশীল তরঙ্গ =চলোর্মি

৮৭.কাচের তৈরি ঘর=শিশমহল

৮৮.কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ

৮৯.কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ=রত্নি

৯০.কপালে আঁকা তিলক=রসকলি

৯১.কচি তৃণাবৃত ভূমি=শাদ্বল

৯২.ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত =চতুভৌতিক

৯৩.গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ=দেহলি,দেউড়ি

৯৪.গরম জল=উষ্ণোদক

৯৫.গর্দভের বাসস্থান =খরশাল

৯৬.গুরুগৃহে বাস=অন্তেবাসী

৯৭.গ্রন্থাদির অধ্যায় =স্কন্দ

৯৮.গুরুর পত্নী =গুর্বী

৯৯.গাধার ডাক=রাসভ

১০০.ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ=পরিমল

১০১.ঘোর অন্ধকার রাত্রি =তামসী,তমিস্রা

১০২.চোখের কোণ=অপাঙ্গ

১০৩.ছুতারের বৃত্তি=তক্ষণ

১০৪.চিত্তের তৃপ্তিদায়ক=দিলখোশ

১০৫ জানায় যে=জ্ঞাপক

১০৬.ছিন্ন বস্ত্র=চীর

১০৭.জজের বৃত্তি=জজিয়াতী

১০৮.জলবহুল স্থান =#অনুপ,জলা

১০৯.জানা উচিত =জ্ঞেয়

১১০.ত্বরার সঙ্গে বর্তমান=সত্বর

১১১.ত্বরায় গমন করে যে=তুরগ

১১২.তৃণাদির গুচ্ছ=স্তন্ব

১১৩.তরল অথচ গাঢ়=সান্দ্র

১১৪.তোপের ধ্বনি=গুড়ুম

১১৫.তস্করের কাজ=তাস্কর্য

১১৬.তোমার মত=ত্বাদৃশ

১১৭.তার মত=তাদৃশ

১১৮.তনুর ভাব=তনিমা

১১৯.থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি=ঠমক

১২০.দাম উদরে যাহার=দামোদর

১২১.দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত=আধিদৈবিক

১২২.দুরথীর যুদ্ধ =দ্বৈরথ

১২৩.দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান =দোয়াব

১২৪.দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ =রোজনামচা

১২৫.দুগ্ধবতী গাভী=পয়স্বিনী

১২৬.ধান্যাদি পরিমাপকারী =কয়ালি

১২৭.নিবেদন করা হয় যা=নৈবদ্য

১২৮.নির্ভুল মুনিবাক্য=আপ্তবাক্য

১২৯.নিকৃষ্ট ব্যক্তি =অজন

১৩০.নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা

১৩১.প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু

১৩২.প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন

১৩০.নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা

১৩১.প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু

১৩২.প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন

১৩৩.পেতে ইচ্ছা=#ঈপ্সা

১৩৪.পেটের পীড়া ও তৎসহ জ্বর =জ্বরাতিসার

১৩৫.প্রতিবিধান করার ইচ্ছা=প্রতিবিধিৎসা

১৩৬.পাখির ডানা ঝাপটা =পাখসাট

১৩৭.পায়ে হেঁটে যে গমন করে না=#পন্নগ

১৩৮.পায়ে হাঁটা =#পদব্রজ

১৩৯.ফিকা কমলা রঙ=বাসন্তী

১৪০.পুরুষের কর্ণভূষণ =বীরবৌলি

১৪১.পূর্ণিমার চাঁদ =রাকা

১৪২.প্রভাতের নবোদিত সূর্য=বালার্ক,বালসূর্য

১৪৩.বসন আলগা যার=অসংবৃত

১৪৪.বীজ বপনের উপযুক্ত সময়=জো

১৪৫.বেলা ভূমিকে অতিক্রম =উদ্বেল

১৪৬.বিশেষ ভাবে দর্শন =বীক্ষণ

১৪৭.ভোরে গাওয়ার উপযুক্ত গান=ভোরাই

১৪৮.মরনের জন্য অনশন =প্রায়োপবেশন

১৪৯.মেঘের ধ্বনি=জীমূতমন্ত্র

১৫০.মন্থন করা হয়েছে=মথিত

১৫১.মাথায় টাক=খলতি

১৫২.যার কিছু নেই=আকিঞ্চন

১৫৩.যাহার বসন (পোশাক) মাটির রঙের=গৈরিকবসনা

১৫৪.যার পঞ্জরাস্থি ক্ষীণ =উনপাঁজুরে

১৫৫.যার দিক থেকে চক্ষু ফেরানো যায় না=অসেচনক

১৫৬.বলা হতে যাচ্ছে বা হবে=বক্ষ্যমাণ

১৫৭.যার কীর্তি শ্রবণে পূণ্য জন্মে=পূণ্যশ্লোক

১৫৮.যাহা উচ্চারণ করিতে কষ্ট হয়=দুরুচ্চার্য

১৫৯.যে স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ

১৬০.যা শুনলে দুঃখ দূর হয়=দুঃশ্রব

১৬১.যা গমন করে না=নগ

১৬২.যার স্পৃহা দূর হয়েছে=বীতস্পৃহ

১৬৩.লয় প্রাপ্ত হয়েছে=লীন

১৬৪.শত্রুকে পীড়া দেয় যে=পরন্তপ

১৬৫.শক্তির উপাসনা করে যে=শাক্ত

১৬৬.শাল গাছের ন্যায় দীর্ঘাকার=শালপ্রাংশু

১৬৭.ষাঁড়ের চেহারা তুল্য =ষণ্ডামার্কা

১৬৮.সুদে টাকা খাটানো=তেজারতি

১৬৯.স্বর্গের গঙ্গা=মন্দাকিনী

১৭০.হাতি বাঁধার রজ্জু=আন্দু

১৭১.হস্তী রাখার স্থান =বারী,পিলখানা

১৭২.হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড =অঙ্কুশ

১৭৩.হস্তীর চারণভূমি=প্রচার

১৭৪.হত্যা করে যে=হন্তারক

১৭৫.অব্যক্ত মধুর ধ্বনি=কলতান

১৭৬.যার বাসস্থান নেই=অনিকেতন

১৭৭.আয়ুর পক্ষে হিতকর=আয়ুষ্য

১৭৮.ইতয়ার পুত্র=ঐতরেয়

১৭৯.কর্মে অতিশয় তৎপর =করিৎকর্মা

১৮০.কুরুর পুত্র=কৌরব

১৮১.কুন্তীর পুত্র=কৌন্তের

১৮২.চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব=চৌতিশা

১৮৩.জয়লাভ করতে অভ্যস্ত যে=জিষ্ণু

১৮৪.জয় করার যোগ্য=জেতব্য

১৮৫.তমঃদূর করে যে=তমোনাশ

১৮৬.দান করে যে কেড়ে নেয়=দত্তাপহারী

১৮৭.দান করার ইচ্ছা=দিৎসা

১৮৮.ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=নৈয়ায়িক

১৮৯.পিতার ভগিনী=পিতৃষসা

১৯০.পুণ্ডরীক্ষের ন্যায় অক্ষি যার=পুণ্ডরীকাক্ষ

১৯১.বাক্য ও মনের অগোচর=অবাঙ্মনসগোচর

১৯২.ভ্রাতাদের মধ্যে সদ্ভাব =সৌভ্রাত্র

১৯৩.মৃত্যু কামনায় উপবাস=প্রায়োপবেশন

১৯৪.যে আতপ থেকে ত্রাণ করে=আতপত্র

১৯৫.যে সুপথ থেকে ভিন্ন পথে গেছে=উন্মার্গগামী

১৯৬.যে উপরে উঠেছে =আরূঢ়

১৯৭.যে পার হতে ইচ্ছুক=তিতীর্যু

১৯৮.যে অট্টালিকা দেখতে সুন্দর=হর্ম্য

১৯৯.যে নদীর জল পূণ্যদায়ক=পূণ্যতোয়া

২০০.যে অস্ত্র একশত জনকে বধ করতে পারে=শতঘ্নী

# সংগৃহীত

++++++++++++++++++++

৩৯ ও ৪০তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি

এটি পড়লে চর্যাপদ এর জন্য আর পড়তে হবে না

।সংগৃহীত পোস্ট

চর্যাপদঃ (A 2 Z)

• বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কি?-------চর্যাপদ।

• চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের কাব্য নিদর্শন?

-----আদি যুগ।

• চর্যাপদ এক প্রকার

------------------গান ও কবিতা।

• চর্যা শব্দের অর্থ কি?

---------আচরণ।

• চর্যাপদের অন্য নাম কি?

-----------চর্যাগীতিকোষ বা দোহাকোষ।

• ‘চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়’নামটি দিয়েছিলেন কে?

----------হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

• চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?

-----বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।

• চর্যাপদ রচিত হয় কোন আমলে?

--------পাল আমলে।

• চর্যাপদ রচিত হয় কত সনে?

-শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০-১২০০ খ্রীঃ;

সুনীতিকুমারের মতে ৯৫০-১২০০ খ্রীঃ

• চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর?

------------১০০০ বছর।

• চর্যাপদ আবিষ্কারের সূত্র কি?

---১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থের সূত্র ধরে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।

• চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সনে?

-------১৯০৭ সালে (বাংলা ১৩১৪)।

• চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?

----নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।

• চর্যাপদ আবিষ্কার করেন কে?

-মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

(৩ বারের চেষ্টায়)।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কত সনে?

------------১৯১৬ সালে।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কোথা হতে?

--কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায়।

• চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কি নামে?

---“হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে।

• নেপালের রাজগ্রন্থাগারে চর্যাপদের সাথে প্রাপ্ত ডাকার্ণব ও দোহাকোষ বই ৩টি কোন ভাষায় লেখা?

---অর্বাচীন অপভ্রংশ।

• চর্যাপদের পদসংখ্যা কয়টি?-------শহীদুল্লাহর মতে ৫০ টি;

সুকুমার সেনের মতে ৫১ টি।

• চর্যাপদের কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে?

-----সাড়ে ৪৬ টি।

• চর্যাপদের কোন কোন পদগুলো পাওয়া যায়নি?

→২৩(এর ৬টি লাইন পাওয়া গেছে)

কোন পদগুলি পাওয়া যায় নি? →২৪,২৫,৪৮নং পদ।

• কোন পদটি আংশিক পাওয়া গেছে?

-----------২৩ নং পদ।

• ২৩ নং পদের রচয়িতা কে?

--------ভুসুকু পা।

• চর্যাপদের পদকর্তা কতজন?

-শহীদুল্লাহর মতে ২৩ জন (Buddist Mystic Songs);

--সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন (বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস)।

• চর্যাপদের আদি কবি কে?

----- লুইপা।

• চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ কবি কে?

--------শবর পা (লুইপার গুরু)।

• চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা কে?

-----লুইপা।

• চর্যাপদের প্রথম পদটি কি?

—“কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল”।

• চর্যাপদের অনুমিত মহিলা কবি কে?

---------কুক্কুরী পা।

• চর্যাপদের বাঙালি কবি কে কে?

----------শবর পা, লুইপা, ভুসুকু পা, জয়ানন্দ।

• চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি কে?

--------মীননাথ/মাৎসেন্দ্রনাথ।তাঁর কোন পূর্ণাঙ্গ পদ পাওয়া যায়নি।

• চর্যাপদের আধুনিক্ পদকর্তা কে?

------সরহপা>ভুসুকুপা।

• চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কে?

---কাহ্নপা (অপর নাম কৃষ্ণাচার্য)।

• কে কয়টি পদ রচনা করেন?

-----কাহ্নপা-১৩টি,

-----ভুসুকুপা-৮টি,

-----সরহ পা-৪টি,

-----লুই-শান্তি-শবরী এরা ২টি করে,

-----বাকিরা ১টি করে।

----তন্ত্রীপা ও লাড়িডোম্বীপার কোন পদ পাওয়া যায়নি।

• চর্যাপদের ভাষা কি?

------------প্রাচীন বাংলা।

• শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা কিরূপ?

---------বঙ্গকামরূপী।

• চর্যাপদের ভাষা বাংলা-কে প্রমাণ করেন?

------------সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।

• সুনীতিকুমারের মতে চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়?

----পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষা।

• চর্যাপদের ভাষা কে আলো আধারি ভাষা বলেছেন কে?

--------হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

• চর্যাপদের ভাষা হল প্রচ্ছন্ন ভাষা-কে বলেছেন?

---------ম্যাক্স মুলার।

• চর্যাপদ কেন ছন্দে লেখা?

---গোপাল হালদারের মতে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

• চর্যাপদের বেশিরভাগ পদ কত চরণে রচিত?

--------১০ চরণ।

• চর্যাপদে কতটি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়?

----------৬টি।

• অপণা মাংসে হরিণা বৈরী-প্রবাদটির রচয়িতা কে?

------ভুসুকু পা।(সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র)

• চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন কে?

-----------মুনিদত্ত।

• মুনিদত্ত কোন পদটি ব্যাখ্যা করেন নি?

-------------১১ নং পদ।

• চর্যাপদের সহোদর ভাষা কি কি?

---------অসমিয়া ও উড়িয়া।

• চর্যাপদের ভাষায় প্রভাব রয়েছে কোন কোন ভাষার?

---হিন্দি, অপভ্রংশ (মৈথিলী), অসমিয়া, উড়িয়া।

• চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য হওয়ার কারন কি?

---তন্ত্র ও যোগের প্রতাপের জন্য।

• সর্বপ্রথম চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন কে?

----------বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।

• চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেন কে?

--সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬)

• চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন কে?

---------শহীদুল্লাহ (১৯২৭)।

• চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন কে?

------শশিভূষণ দাশগুপ্ত (১৯৪৬)।

• চর্যাপদের তিব্বতীয় অনুবাদ প্রকাশ করেন কে?

----প্রবোধচন্দ্র বাকচি

//

সংগৃহীত

=============================================

 ১।বজ্রপাত কেন হয় ? ( ৩৩তম বিসিএস লিখিত)

মেঘ তৈরি হওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের মেঘ ভিন্ন ভিন্ন চার্জকৃত থাকে। এ চার্জ মেঘের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার মধ্যে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আধান হিসিবে থাকে। দুটো মেঘ নিকটে আসলে বিপরীতধর্মী আধানগুলো একে অপরের সাথে আকর্ষিত হয়ে সংযোগ ঘটে। ফলে বিদ্যুত্ চমকায় । বিদ্যুত চমকানোর ফলে আশেপাশের বাতাস উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও ঠাণ্ডা হয়ে সংকুচিত হয়। এ হঠাত্ সংকোচন ও প্রসারণের ফলে যে শব্দের সৃষ্টি হয় তাকে বজ্রপাত বলে!

বজ্রপাতে করণীয়

১. মেঘের ডাক শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।

২. ঝড়ের পূর্বাভাস দেখলে খোলা মাঠ, পাহাড়ের চূড়া, সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করবেন না।

৩. পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিন। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভালো। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারেন।

৪. বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এ সব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না। ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি থাকে।

৫. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।

৬. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৭. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।

৮. রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচ- বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্মুখীন হন তবে গাড়ি কোনো গাড়ি বারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাঁচে হাত দেয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

৯. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে পা ঢাকা জুতো পরে বের হোন। রাবারের গাম্বুট এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে।

১০. যদি খোলা মাঠে থাকেনও তাহলে পায়ের পাতায় ভর করে হাঁটুর উপর হাত রেখে যতটা সম্ভব মাথা নিচু করে রাখুন। তবে হাঁটু বা হাত কোনোটাই যেন মাটিতে না স্পর্শ করে।

১১. অনেকে মনে করেন, বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হয়। এটা খুবই মারাত্মক ভুল ধারণা। এতে বজ্রপাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। যদি নদীতে নৌকায় থাকেন তাহলে একইভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে ছইয়ের নিচে অবস্থান নিতে পারেন। বনের মধ্যে থাকলে বড় গাছের নিচে না গিয়ে ছোট গাছপালার নিচে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন।

১২. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলে আশেপাশে খেয়াল রাখুন। যে দিকে বাজ পড়ার প্রবণতা বেশি সেদিক বর্জন করুন। কেউ আহত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

=======================================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

প্রিলি + লিখিত দুটোতেই কাজে লাগবে

সংগৃহীত পোস্ট

২০০+ বাক্য শুদ্ধি

।।।।

বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

মেগা পোস্ট

। ।

শুদ্ধ বলা বা লেখা সৃজনশীল কাজ। আর এই শুদ্ধ বলা বা লেখা নির্ভর করে ব্যাকরণের ওপর। ব্যাকরণ ভাষাকে সুন্দর, মার্জিত ও শৃংখলাবদ্ধ করতে সাহায্য করে। তাই ব্যাকরণকে ভাষার সংবিধান বলে। ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের মাধ্যমেই বাংলা ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বাংলা ভাষাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়, শুদ্ধ বলে বা লেখে। ব্যাকরণজ্ঞান থাকলে ভাষার অশুদ্ধ প্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ অর্থাৎ অপপ্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়।

ভাষা অপপ্রয়োগের ক্ষেত্র

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অপপ্রয়োগ হতে পারে। যেমন:

১. শব্দ রূপান্তজাত অপপ্রয়োগ: দৈন্যতা, মাধুর্যতা, সমসাময়িক, উদ্ধেলিত, চোখের দৃষ্টিশক্তি, মাতাহারা।

২. শব্দদ্বিত্ব অপপ্রয়োগ : শুধু/কেমলমাত্র, অশ্রুজল, ঘামজল, ভুলত্রুটি, ভুলভ্রান্তি।

৩. সংখ্যাজাত অপপ্রয়োগ : ১ জুলাই/১লা জুলাই।

৪. বচনজাত অপপ্রয়োগ : বড় বড় মানুষরা সব, সকল/সমস্ত /সব যুদ্ধাপরাধীদের।

৫. নির্দেশকজাত অপপ্রয়োগ : এই লোকটি।

৬. সন্ধিজাত অপপ্রয়োগ : লজ্জাস্কর, ইতিমধ্যে, উল্লেখিত, দুরাবস্থা।

৭. সমাসজাত অপপ্রয়োগ : দেশ ও বিদেশে।

৮. উপসর্গজাত অপপ্রয়োগ : সুস্বাগতম, অক্লান্তি হীনভাবে, উপ-পরিচালক।

৯. বিভক্তিজাত অপপ্রয়োগ : আমাদেরকে, তাদেরকে, নারীদেরকে, বাড়িতে।

১০. প্রত্যয়জাত অপপ্রয়োগ : দৈন্যতা, দারিদ্রতা।

১১. চিহ্নজাত অপপ্রয়োগ : সুন্দরী বালিকা, আসমা অস্থিরা, অভাগিনী, কাঙালিনী।

১২. পক্ষজাত অপপ্রয়োগ : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।

১৩. কারকজাত অপপ্রয়োগ : ছুরিতে, আমের কাননে।

১৪. বিসর্গজাত অপপ্রয়োগ : পুন:প্রচার।

১৫. সমোচ্চারিত অপপ্রয়োগ : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।

১৬. বাক্যজাত অপপ্রয়োগ : আমি স্বচক্ষে/নিজের চোখে।

১৭. বাচ্যজাত অপপ্রয়োগ : সূর্য পূর্বদিকে উদয় হয়।

১৮. এককথায় প্রকাশ অপপ্রয়োগ : চারিদিকে প্রদক্ষিণ, হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা।

১৯. প্রবাদ অপপ্রয়োগ : স্বল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

২০. বাগধারা অপপ্রয়োগ : পাকা ধানে আগুন দেয়া।

২১. বানান ও উচ্চারণ অপপ্রয়োগ : প্রাণীজগৎ, কীভাবে, পৃথিবীব্যাপী, স্ত্রীবাচক, শশীভূষণ, মন্ত্রীসভা, স্বামীগৃহ, গুণীজন, নদীতীর, নদীমাতৃক, বৈশাখীমেলা, আগামীকাল। সমাসবদ্ধ শব্দের বানান লেখা হয় ঈ-কার দিয়ে। ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে ঈ-কার হয়ে যায় ই-কার। ঊ-কার হয়ে যায় উ-কার। ণ-হয়ে যায় ন। য-ফলা থাকে না। যেমন: ঘরনি, কানাই/কানু, বোশেখি, সুয্যি, সোনা, সন্ধে ইত্যাদি। প্রাদেশিক ও বিদেশি শব্দ হলে /ছ/য/ণ/ষ/ঞ্জ/ঞ্চ/ ঈ-কার/উ-কার বসে না তবুও ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন: লুংগি, ডেংগু, ঠান্ডা, ঝান্ডা, লন্ঠন, মিসরি, পসন্দ, নামাজ, ওজু, ইস্টার্ন, স্টোর, ইনজিন, ইনজিনিয়ার, সেনচুরি, তির (ধনুক অর্থে, পাড় অর্থে নয়), অ্যাকাডেমি/এ্যাকাডেমি/একাডেমি, রসুল, নুর ইত্যাদি। সংস্কৃতশব্দে য-ফলা চল আছে কিন্তু ইংরেজি শব্দে নাই তবু লেখা হচ্ছে। যেমন: ইস্যু, টিস্যু, গ্যেটে, স্যার। ইংরেজি শব্দকে তদ্ভব করে লেখা হচ্ছে। যেমন: হসপিটাল>হাসাপাতাল, চকোলেট>চকলেট।

শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সংস্কৃত সহিত থেকে ‘সঙ্গে বা সাথে’র উৎপত্তি। নিয়ম আছে গদ্যে ‘সঙ্গে’ আর পদ্যে ‘সাথে’ ব্যবহার করতে হবে তবে এখন সর্বত্রই ‘সঙ্গে’ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার বিশেষণ সাধারণত পদক্রম অনুসারে বিশেষ্যের আগে বসে। যেমন: খাঁটি গরুর দুধ। ‘কী খাঁটি’ প্রশ্ন করলে পাওয়া যায় গরুর দুধ (সংস্কৃত গোদুগ্ধ)। অনেকেই বর্তমানে এই বাক্যকে ভুল মনে করে শুদ্ধ করে লেখেন গরুর খাঁটি দুধ। ইংরেজিতে লেখা হয় Fresh/Pure Milk অর্থাৎ খাঁটি দুধ। লেখা হয় না Fresh /Pure Cow Milk। সাধারণত গরুর দুধই বিক্রি হয় অন্য দুধ নয়। তাই গরুর খাঁটি লেখার প্রয়োজন হয় না। খাঁটি দুধ—লেখলেই হয়। বিভিন্নভাবে বাক্য অুশুদ্ধ হতে পারে। যেমন :

অশুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠতম/তর।

শুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি সদাসর্বদা জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনি সর্বদা/সব সময় জনগণের মঙ্গল চেয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি স্বস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন।

শুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি সস্ত্রীক/স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষী দেননি।

শুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেননি।

অশুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেল হয়েছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

শুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্রি পরিশ্রম করেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্র/দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্যতা দূর করতে।

শুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্য দূর করতে।

অশুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

শুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

অশুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্যতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

শুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্য/চতুরতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য বা মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্য/ভারসমতা হারিয়ে ফেলছে।

অশুদ্ধবাক্য : অন্য কোন উপায়ন্ত না দেখে তারা গুলি ছুড়তে লাগল।

শুদ্ধবাক্য : অন্য কোন উপায় না দেখে তারা গুলি ছুড়তে লাগল।

অশুদ্ধবাক্য : সে ক্যান্সারজনিত কারণে মারা গিয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : সে ক্যান্সার/ক্যান্সারজনিক রোগে মারা গিয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

অশুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

শুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয়/আইনত অপরাধ।

অশুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যতার কমতি নাই।

শুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যের/সুজনতার কমতি নাই।

অশুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার এবং মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

শুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার ও মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : আগুনের দ্বারা নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

শুদ্ধবাক্য : আগুনে নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

বচনের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সচেতনভাবেই হোক আর অবচেতনভাবেই হোক অনেক লেখক/কবি/সাধারণ মানুষ একটি বাক্যে দুবার বা তিনবার বহুচিহ্ন ব্যবহার করে বাক্যের গুণ নষ্ট করে। যেমন: গ্রামগুলো সব, লক্ষ লক্ষ শিশুগুলো সব, সব রাজাকারদের, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ইত্যাদি। ‘কিছু’ ব্যবহার হলে পরে বহুবচন হয় না। যেমন: কিছু লোকদের না হয়ে হবে কিছু লোক। বচন ঘাটতি বা বাহুল্যের কারণেও বচন ভুল হতে পারে। যেমন:

অশুদ্ধবাক্য : সকল/সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছে জনতা।

শুদ্ধবাক্য : সকল/সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর/যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেছে জনতা।

অশুদ্ধবাক্য : আইভী ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের অবস্থা কেমন?

শুদ্ধবাক্য : আইভী ছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের/অন্য প্রার্থীদেদের অবস্থা কেমন?

অশুদ্ধবাক্য : এবারও আইডিয়াল স্কুলের সব ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করেছে।

শুদ্ধবাক্য : এবারও আইডিয়াল স্কুলের সব ছাত্র/ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করেছে।

অশুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতারা সব সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

শুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতা সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

অশুদ্ধবাক্য : সব পাখিরা ঘর বাঁধে না।

শুদ্ধবাক্য : সব পাখি ঘর বাঁধে না।

অশুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রদের নিয়ে কথা তারা বখাটে।

শুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রকে নিয়ে কথা তারা বখাটে।

অশুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।

শুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলে।

অশুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষদের চিনি, যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।

শুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষকে চিনি যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।

অশুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তার মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।

শুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তাদের মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।

অশুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

শুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

অশুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের খবর কী?

শুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর খবর কী?

অশুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকদের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

শুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

অশুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।

শুদ্ধবাক্য : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।

শুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।

নির্দেশকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

‘টা/টি/খানা/খানি’ ব্যবহার করে শব্দকে নির্দিষ্ট করলে তার আগে ‘এই’ বা ‘ঐ’ ব্যবহার করা যাবে না। আবার গুলো বা গুলি বা গুলিন থেকে শুধু গুলো ব্যবহার করা যায়। আল্লাদিপনা বাদ দিয়ে টি’র ব্যবহার বেশি করা যেতে পারে।

অশুদ্ধবাক্য : ঐ লোকটি খুব সৎ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি খুব সৎ।

অশুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষটিকে চিনি।

শুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষকে চিনি। /আমি মানুষটিকে চিনি।

সন্ধির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সন্ধি শব্দ গঠনের শক্তিশালী মাধ্যম তবে সংস্কৃত ও সংস্কৃত শব্দে সন্ধি করতে হয়। সংস্কৃত ও বাংলা শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ও বাংলা শব্দে সন্ধি না করে আলাদা লেখাই ভালো। উচ্চারণে সুবিধা করতে গিয়ে শব্দকে অশুদ্ধ করা ঠিক নয়। লেখা যায়: মিশি কালো>মিশকালো, নাতি বউ>নাতবউ, নাত জামাই> নাজ্জামাই, ঘোড়া দৌড়>ঘোড়দৌড়, পিছে মোড়া>পিছমোড়া ইত্যাদি লেখি। কিন্তু লেখা যাবে না: বচ্ছর, কুচ্ছিত, উচ্ছব, ঘোড়গাড়ি ইত্যাদি।

অশুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জাস্কর।

শুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জা কর বা লজ্জাজনক।

অশুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরাবস্থায় আছেন।

শুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরবস্থায় আছেন।

অশুদ্ধবাক্য : ইত্যাবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

শুদ্ধবাক্য : ইত্যবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

অশুদ্ধবাক্য : উল্লেখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

শুদ্ধবাক্য : উল্লিখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

অশুদ্ধবাক্য : ইতিমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ইতোমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উৎসবের দিন। (ভুলটাই শুদ্ধ)

শুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উচ্ছবের দিন।

অশুদ্ধবাক্য : শরৎ চন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার।

শুদ্ধবাক্য : শরৎচন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার/শরচ্চন্দ্র নামে একজন প্রবন্ধকার আছে।

সমাসের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সমাসবদ্ধ শব্দ হলে একশব্দে লিখতে হবে। অথবা মাঝে হাইফেন দিতে হবে। ও দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হলে শব্দ দুটি এ-বিভক্তিযুক্ত হতে হবে। সহ অর্থ বুঝালে ‘স্ব’ না বসে ‘স’ বসে। সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সমাস হয়। সমাসজাত শব্দ ও ব্যাসবাক্য একই সঙ্গে বসে না। সমাসবদ্ধ শব্দের বানানে শুধু মাঝের ঈ-কার ই-কার হয়। যেমন :

অশুদ্ধবাক্য : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ও ভাতে’, এই কথা কবি বলেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ও ভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

/আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : শহর ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

শুদ্ধবাক্য : শহরে ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি স্বসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি সসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

অশুদ্ধবাক্য : কুআকারের মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

শুদ্ধবাক্য : কদাকার মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাল বহনকারী গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

শুদ্ধবাক্য : মালগাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

অশুদ্ধবাক্য : ঘি মাখা ভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

শুদ্ধবাক্য : ঘিভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

অশুদ্ধবাক্য : দুধ মাখা ভাত কাকে খায়।

শুদ্ধবাক্য : দুধভাত কাকে খায়।

অশুদ্ধবাক্য : আগে সিংহচিহ্নিত আসনে বসে রাজা দেশ চালাতেন।

শুদ্ধবাক্য : আগে সিংহাসনে বসেরাজা দেশ চালাতেন।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশির মতো কালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশকালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

অশুদ্ধবাক্য : তালে কানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

শুদ্ধবাক্য : তালকানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : ছয়টি ঋতুর সমাহারের দেশ বাংলাদেশ।

শুদ্ধবাক্য : ছয়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।

অশুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও যথারীতি সে বড়লোক।

শুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও সে বড়লোক।

অশুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

শুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে মাকে পরে মনে। /প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

বিভক্তির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

দুটি বিভক্তি না বসিয়েও কিন্তু বক্তব্য অসম্পূর্ণ থাকে না। ‘কে’ একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয় বলে একে তির্যক বিভক্তি বলে। তবে যে কারকেই ব্যবহৃত হোক; এটি একবচনের বিভক্তি। বহুবচনজাতীয় শব্দে (দের) ‘কে’ বসে না। যেমন: তাদেরকে (তাদের) দিয়ে একাজ করিও না। আমাদেরকে (আমাদের) অনেক কষ্ট করে শুটিং করতে হয়েছে। সব পাগোলগুলোকে (পাগলগুলো) দিয়ে ক্লাস নেয়। এক শব্দে দুটি বিভক্তি বসলে শব্দের গুণ হারায়। যেমন: তোমার কথায় বুকেতে (বুকে) আঘাত পাই। বস্তুবাচক একবচন পদে কোন বিভক্তি (কে, রে) বসে না। যেমন: ঘড়িকে (ঘরি/ঘরিটি) হাতে দাও। বইকে (বই/বইটি/ বইগুলো) পুড়িয়ে ফেলো। এই কলমটাকে (কলম) দিয়ে ভালো লেখা হয়। সংস্কৃত ভাষায় তাহাদিগকে, আমাদিগকে ব্যবহার করা হয় কিন্তু বাংলা ভাষাতে হয় না। দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসে বস্তু বা প্রাণিবাচক কর্তায় ‘কে’ বসানো হচ্ছে। যেমন: বইকে পড়া—বইপড়া, গানকে শোনা—গানশোনা, সাপকে ধরা—সাপধরা, মাছকে ধরা—মাছধরা, রথকে দেখা, ভয়কে প্রাপ্ত, কাপড়কে কাঁচা, ভাতকে রাঁধা, নথকে নাড়া, স্বর্গকে প্রাপ্ত ইত্যাদি। কিন্তু আমরা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এমন ব্যবহার না করে শুধু সমাসে পড়ে থাকি।

অশুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুকদেরকে ভিক্ষা দাও।

শুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। (একবচন) /ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দাও। (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : বইকে পুড়িয়ে ফেলো/বইগুলোকে পুড়িয়ে ফেলো।

শুদ্ধবাক্য : বই/বইটি পুড়িয়ে ফেলো (একবচন)/বইগুলো পুড়িয়ে ফেলো (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথকে পড়ে কী পেলেন?

শুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথ পড়ে কী পেলেন?

অশুদ্ধবাক্য : এ কলমকে দিয়ে কাজ হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ কলমে কাজ হবে না। /এ কলম দিয়ে কাজ হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : এই কলমটিকে দিয়ে ভালো লেখা হয়।

শুদ্ধবাক্য : কলমটি দিয়ে ভালো লেখা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : গরুকে দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

শুদ্ধবাক্য : গরু দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফ ফেলিল কুয়ায়।

শুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফকে ফেলিল কুয়ায়।

অশুদ্ধবাক্য : তাদেরকে দিয়ে একাজ করিও না।

শুদ্ধবাক্য : তাদের দিয়ে একাজ করিও না।

অশুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকেতে আঘাত পাই।

শুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকে আঘাত পাই।

অশুদ্ধবাক্য : গেলাসে করে দুধ দাও।

শুদ্ধবাক্য : গেলাসে দুধ দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ঘড়িকে হাতে দাও।

শুদ্ধবাক্য : ঘড়ি হাতে দাও /ঘড়িটি হাতে দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

/ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদেরকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

শুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদের ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

প্রত্যয়ের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

কোন শব্দের সঙ্গে কোন প্রত্যয় যুক্ত হয় তা খেয়াল রেখেই শব্দ তৈরি করতে হয়। ভুল প্রত্যয়ের ব্যবহারের কারণে বানান ভুল হয়ে যায়। আর বানান ভুল হলে বাক্যের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই প্রত্যয় ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। একই শব্দের সঙ্গে দুটি প্রত্যয়চিহ্ন বসে না। বিভক্তি না দেয়ার কারণে যেমন বাক্যের গুণ নষ্ট হয়ে যায় আবার বেশি দিলেও গুণ নষ্ট হয়ে যায়। যেমন: এতটুকু মেয়ে কলেজ পড়ে, তোমার কথায় বুকেতে আঘাত পাই। তার সঙ্গে আমার সখ্যতা (সখ+য-ফলা+ তা) আছে। এটি তার দৈন্যতা।

অশুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজ পড়ে

শুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজে পড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : তবলাওয়ালা ভালোই তবলা বাজায়।

শুদ্ধবাক্য : তবলচি /তবলাবাদক ভালোই তবলা বাজায়।

অশুদ্ধবাক্য : দারিদ্র কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

শুদ্ধবাক্য : দারিদ্র্য কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

অশুদ্ধবাক্য : বিকার লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

শুদ্ধবাক্য : বিকৃত লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

অশুদ্ধবাক্য : এটি দল কোন্দল।

শুদ্ধবাক্য : এটি দলীয় কোন্দল।

উপসর্গের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

উপসর্গে হাইফেন বসে না। যেমন: উপ-সচিব। ‘অ’ যদি নাবোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাহলে সেই শব্দের শেষে হীন যুক্ত হয় না। যেমন: অসচেতনহীনভাবে, অক্লান্তিহীনভাবে।

অশুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে সুস্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

শুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

অশুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপ-পরিচাল ও সহ-উপ পরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপপরিচালক ও সহউপপরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : অক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

চিহ্নের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

১. সংস্কৃতিতে বিশেষণ ও বিশেষ্য দুটিকেই চিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: নর—সুন্দর বালক আর নারী—সুন্দরী বালিকা কিন্তু বাংলাতে বিশেষণকে ঠিক রেখে শুধু বিশেষ্যকে নর বা নারী প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ বাংলায় বিশেষণকে নারী বাচক করার দরকার হয় না। যেমন: সুন্দর বালক ও সুন্দর বালিকা।

২. সংস্কৃতিতে দুটি বিশেষ্যকেই চিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: মেয়েটি পাগলি, আসমা অস্থিরা কিন্তু বাংলাতে দুটি বিশেষ্যের একটিকে নারিচিহ্নের আওতায় আনা হয়। যেমন: মেয়েটি পাগল, আসমা অস্থিরা ইত্যাদি।

৩. সংস্কৃতিতে ঈ বা ইনি বা নী প্রত্যয়ই একসঙ্গে বসে কিন্তু বাংলায় বসে না। যেমন: অভাগা—অভাগী—অভাগিনী, ননদ—ননদী—ননদিনী, কাঙাল—কাঙালী—কাঙালিনী, গোয়াল—গোয়ালী—গোয়ালিনী কিন্তু বাংলায় অভাগী, ননদী, মায়াবী, কাঙালী, গোয়ালী, বাঘিনী। তবে ক্লীববাচক শব্দে নী প্রত্যয় যুক্ত করে নারী বাচক শব্দ তৈরি করতে হয়। যেমন: মেধাবিনী, দুখিনী, যোগিনী, মায়াবিনী ইত্যাদি।

৪. সংস্কৃতিতে ক্ষুদ্রার্থবাচক কিছু ক্লীববাচক শব্দকে নর বা নারী বাচক করা যায় যা বাংলাতে সঠিক নয়। যেমন: নাটক—নাটিকা, উপন্যাস—উপন্যাসিকা, পুস্তক—পুস্তিকা, গীতি—গীতিকা ইত্যাদি।

৫. সংস্কৃতিতে নরবাচক শব্দ—বৃক্ষ, নারী বাচক শব্দ—লতার ক্লীববাচক শব্দ—জল আবার হিন্দিতে নরবাচক শব্দ—রুটি আর নারী বাচক শব্দ—দই। এবার ভাবুন কত কঠিন।

৬. বাক্য দেখে নির্ণয় করতে হয় কোনটি নর আর কোনটি নারী বাচক শব্দ। যেমন: গরু গাড়ি টানে। গরু দুধ দেয়। সে/তিনি গর্ভবতী, সে কৃষিকাজ করে।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দরী।

শুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দর।

অশুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহান নেতা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহিয়সী নেতা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখিকা।

শুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখক। /সেলিনা হোসেন একজন বিদুষী লেখিকা।

পক্ষের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

প্রথমপক্ষ যদি অন্যপক্ষের সঙ্গে একই বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাহলে ক্রিয়া প্রথমপক্ষ অনুসারে হয়। একশেষ হলে নিয়ম অনুসারে প্রথমে সে, তুমি ও আমি বসে আর ক্রিয়া প্রথমপক্ষ অনুসারে হয়। আগে কবিতার বাক্যের ক্ষেত্রে কবিগণ পক্ষ অনুসারে ক্রিয়ার ব্যবহার ঠিকরাখেন নাই। যেমন: হাসঁগুলো যায় ভাসি। বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই। কারণ সংস্কৃত ‘ভাসিয়া’ থেকে ‘ভাসি’ চলিত হয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।

শুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করে না।

অশুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হয় না।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাই।

শুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাব।

অশুদ্ধবাক্য : আমি, সে আর তুমি কাজটি করব।

শুদ্ধবাক্য : সে, তুমি আর আমি কাজটি করব।

কারকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বস্তুর প্রাণিবাচক শব্দে ‘কে’ বসে না। ব্যক্তির নামের সঙ্গেও ‘কে’ বসে না।

অশুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপকে খেলায়।

শুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপ খেলায়।

অশুদ্ধবাক্য : পাহাড়কে নাড়ায় সাধ্য কার।

শুদ্ধবাক্য : পাহাড় নাড়ায় সাধ্য কার।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরিতে মানুষ মারেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরি দিয়ে মানুষ মারেন।

অশুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসেতে নড়ে।

শুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদেরকে সাহায্য করেন না।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদের সাহায্য করেন না। /আপনি তো গরিবকে সাহায্য করেন না।

অশুদ্ধবাক্য : একসময় আমের কাননে মিটিং বসেছিল।

শুদ্ধবাক্য : একসময় আম্রকাননে মিটিং বসেছিল। /একসময় আমের বাগানে মিটিং বসেছিল।

বিপরীত শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

সরাসরি ‘না’ শব্দটি ব্যবহার না করে বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে বাক্যের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। যেমন : দুদিন ধরে ছেলেটির কোন খোঁজ নাই। আর দুদিন ধরে ছেলেটি নিখোঁজ। সব শব্দের পূর্বে উপসর্গ যোগে বিপরীত শব্দ গঠন করা যায় না। অনেকেই ‘অ’ যোগে বিপরীত শব্দ তৈরি করে থাকেন। যেমন: সফলতা—অসফলতা, মূর্খ—অমূর্খ, ভালো—অভালো।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি কায়দায় নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি বেকায়দায় আছে।

অশুদ্ধবাক্য : লোকজন তার প্রতিকূলে নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকজন তার অনুকূলে নাই।

সমোচ্চারিত শব্দের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

উচ্চারণের দিক থেকে এক হলেও অর্থের দিক থেকে ভিন্ন। বাক্যের অর্থ ঠিক রাখতে সমার্থক শব্দের সঠিক ব্যবহার জরুরি।

অশুদ্ধবাক্য : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : তারা আমড়াতলায় বসে আমড়া খাওয়ার সময় মালির তাড়া খেয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : সে ভুড়ি ভুড়ি খেয়ে ভুরিটি বাড়িয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : সে ভুরি ভুরি খেয়ে ভুঁড়িটি বাড়িয়েছে।

শব্দদ্বিত্বের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বিভিন্ন প্রকার শব্দ বা পদ দুবার ব্যবহার করে শব্দ বানাতে পারি। কিন্তু অর্থের দিকে খেয়াল করতে হয়। যেমন: ফলাফল শব্দটি ঠিক ব্যবহার কিন্তু এর প্রতিশব্দ হিসেবে লেখা হয় ফলশ্রুতিতে’ তাহলে শব্দটি হবে ভুল। কারণ ‘ফলশ্রুতি’ অর্থ ‘শ্রবণ’ কোন বিষয়ের ফল নয়। ‘ভাষাভাষী’ অর্থ কোন একটি ভাষা ব্যবহারকারী। তাই ভাষাভাষীর পূর্বে কোন ভাষার নাম উল্লেখ করে লিখলে তা হবে ভুল। যেমন: বাংলা ভাষাভাষী। এমন কিছু দ্বিত্বশব্দ তৈরি করা হয় যা ভুল। যেমন: ভেদাভেদ, গুণাগুণ ইত্যাদি। এদের মধ্যে ভালোমন্দ দুটিই থাকে। যেমন: ভেদ+অভেদ বা গুণ+অগুণ। এদের অপপ্রয়োগ আজ প্রবলভাবে দেখা দিচ্ছে। বলা হচ্ছে ‘ভেদাভেদ ভুলে গেছে’ যা ভুল। আবার বলা হচ্ছে ‘আমাদের পণ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সচেতন’।

শব্দদ্বিত্ব কোন সময় একবচন আবার কোন সময় বহুবচন প্রকাশ পায়। এরা আলাদা বসে আবার হাইফেনযুক্ত হয়ে বা একশব্দেও বসতে পারে। তাই বাক্যে ব্যবহারের সময় এদিকটি খেয়াল রাখতে হয়।

অশুদ্ধবাক্য : ঘামজলে তার শার্ট ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : ঘামে তার শার্ট ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : অশ্রুজলে তার কপল ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : অশ্রুতে তার কপল ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঘরটি ছিমছিমে অন্ধকার।

শুদ্ধবাক্য : ঘরটি ঘুটঘুটে অন্ধকার।

বাক্যের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বিভিন্ন নিয়ম অর্থাৎ সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি দিয়ে শব্দ বানানো যায়। কিন্তু এই বানানো শব্দ পাশাপাশি বসালেই বাক্য হয় না। কিছু গঠন অনুসরণ করেই একটি সার্থক বাক্য তৈরি করা যায়। সার্থক বাক্যে গুণরক্ষা করে বাক্য বানাতে হয়। বাক্যের অর্থ ঠিক না থাকলে বাক্য গুণহীন হয়ে যায়। আবার যতির ভুল ব্যবহারের কারণেও বাক্যের অর্থের হেরফের হয়ে যায়।

অশুদ্ধবাক্য : পরবর্তীতে আপনি আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : পরবর্তিকালে /পরবর্তী সময়ে আপনি আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্যতা দূর হয়ে যাক।

শুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্য দূর হয়ে যাক। সকল দীনতা দূর হয়ে যাক।

অশুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমান হবে।

শুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমানিত হবে।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অপমান হয়েছি।

শুদ্ধবাক্য : আমি অপমানিত হয়েছি।

অশুদ্ধবাক্য : সূর্য উদয় হয়নি।

শুদ্ধবাক্য : সূর্য উদিত হয়নি।

অশুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণ হোক।

শুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণিত হোক।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য/মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দরী ছিল।

শুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দর ছিল।

অশুদ্ধবাক্য : এটি অপক্ক হাতের কাজ।

শুদ্ধবাক্য : এটি অপটু হাতের কাজ।

অশুদ্ধবাক্য : স্বল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

শুদ্ধবাক্য : অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

অশুদ্ধবাক্য : অভাবে চরিত্র নষ্ট।

শুদ্ধবাক্য : অভাবে স্বভাব নষ্ট।

অশুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।

শুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন।

শুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সৎ চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

শুদ্ধবাক্য : চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাতাহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

শুদ্ধবাক্য : মাতৃহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

অশুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী মহিলা।

শুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী।

অশুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজলের পানি ছিটাও।

শুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজল ছিটাও।

অশুদ্ধবাক্য : বইটি তার জরুরি প্রয়োজন।

শুদ্ধবাক্য : বইটি তার (খুব) প্রয়োজন।

অশুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্বাস্থ্য কামনা করে।

শুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্থতা কামনা করে।

অশুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধুমাত্র /কেবলমাত্র ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

শুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধু /মাত্র /কেবল ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

অশুদ্ধবাক্য : ৫ বছর সময়কাল ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ৫ বছর ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনস্থ ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

শুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনে ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

অশুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদেরকে সুস্বাগতম জানালেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদের স্বাগত জানালেন।

===============================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

প্রবাদ প্রবচনের নিহিতার্থ

১। ফতো নবাব (অন্ত:সারশূন্য)

২। আচাভুয়া বোম্বাচাক (অদ্ভুত বিষয়)

৩। আপন কথাই পাঁচ কাহন (নিজের প্রশংসায় মুখর)
৪। আষাঢ়ান্ত বেলা (দীর্ঘস্থায়ী সময়)
৫। আপ্ত গরজি (স্বার্থপর)
৬। ঘটি ডুবে না, নাম তালপুকুর (ক্ষুদ্র ব্যক্তির বড় নাম গ্রহণ)
৭। আটখানার পাটখানা (নানা কর্তব্যের মাঝে একটি)
৮। ঈগল স্বভাব (হিংস্র প্রকৃতির)
৯। আড়াই অক্ষরে (অল্প কথায়)
১০। আলী মেজাজ (উন্নত মন)

বাক্য সংকোচন:#

যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা।

যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ভাষী।

যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় = স্বয়ংবরা।

যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী।

যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া।

যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া।

যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।

যে নারী জিবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে

= কাকবন্ধ্যা।

যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।

যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা।

যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা/পুরন্ধ্রী।

যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ।

যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা।

যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্য পূর্বা।

যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা।

যে নারী কখনো সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পশ্যা।

যে নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই = অনসূয়া।

যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা।

যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা।

যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা।

যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে = প্রোষিতপত্নীক।

আবেগছুতো হিমু

====≠===================

__গুরুত্বপূর্ণ_৮০টি_বানান দেখে নিতে পারেন::

 

০১। অপরাহ্ন — অপরাহ্ণ
০২। অনুসূয়া — অনসূয়া
০৩। অত্যোন্ত — অত্যন্ত
০৪। অনুসঙ্গিক — আনুষঙ্গিক
০৫। আয়ত্ব — আয়ত্ত
০৬। আদ্যোন্ত — আদ্যন্ত
০৭। আকাংখা — আকাঙ্ক্ষা
০৮। আশীষ — আশিস
০৯। আশিবিষ — আশীবিষ
১০। আমাবস্যা — অমাবস্যা
১১। আলচ্যমান — আলোচ্যমান
১২। ইতিপূর্বে — ইতঃপূর্বে
১৩। ইতিমধ্যে — ইতোমধ্যে
১৪। ইদানিংকাল — ইদানীং
১৫। উচ্ছাস — উচ্ছ্বাস
১৬। উজ্জল — উজ্জ্বল
১৭। উদীচি — উদীচী
১৮। উপরুক্ত — উপরিউক্ত/উপর্যুক্ত
১৯। উৎকর্ষতা — উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা
২০। উত্তারায়ন — উত্তারায়ণ
২১। উপযোগীতা — উপযোগিতা
২২। ঋন — ঋণ
২৩। একত্রিত — একত্র
২৪। ঐক্যতান — ঐকতান
২৫। ঐক্যমত — ঐকমত্য
২৬। কল্যান — কল্যাণ
২৭। কর্মজীবি — কর্মজীবী
২৮। কৃতীত্ব — কৃতিত্ব
২৯। কলংকিত — কলঙ্কিত
৩০। কার্য্যালয় — কার্যালয়
৩১। কৃজ্জটিকা — কৃজ্ঝটিকা
৩২। গীতাঞ্জলী — গীতাঞ্জলি
৩৩। জগত — জগৎ
৩৪। জোৎস্না — জ্যোৎস্না
৩৫। জীবীকা — জীবিকা
৩৬। তোরন — তোরণ
৩৭। তরান্বিত — ত্বরান্বিত
৩৮। তত্বাবধায়ক — তত্ত্বাবধায়ক
৩৯। দারিদ্রতা — দারিদ্র্য /দরিদ্রতা
৪০। দৈন্যতা — দৈন্য /দীনতা
৪১। দ্বন্দ — দ্বন্দ্ব
৪২। দূরাদৃষ্ট — দুরাদৃষ্ট
৪৩। দুষনীয় — দূষণীয়
৪৪। দূরাবস্থা — দুরবস্থা
৪৫। দধিচি — দধীচি
৪৬। নূন্যতম — ন্যূনতম
৪৭। নিরব — নীরব
৪৮। নিক্কন— নিক্বণ
৪৯। নিশিথিনি — নিশীথিনী
৫০। পরিস্কার — পরিষ্কার
৫১। পুরষ্কার — পুরস্কার
৫২। পানিণি — পাণিনি
৫৩। প্রনয়িণী — প্রণয়িনী
৫৪। পৈত্রিক — পৈতৃক
৫৫। পুরান — পুরাণ
৫৬। পিপিলিকা — পিপীলিকা
৫৭। প্রতিযোগীতা — প্রতিযোগিতা
৫৮। পোষ্টমাষ্টার — পোস্টমাস্টার
৫৯। প্রতিদ্বন্দ্বীতা — প্রতিদ্বন্দ্বিতা
৬০। প্রাণীবিদ্যা — প্রাণিবিদ্যা
৬১। বিভিসিকা — বিভীষিকা
৬২। বুদ্ধিজীবি — বুদ্ধজীবী
৬৩। বহিঃস্কার — বহিষ্কার
৬৪। ব্রাক্ষ্মন — ব্রাহ্মণ
৬৫। ব্যাতিত — ব্যতীত
৬৬। বিদুষি — বিদুষী
৬৭। বিদ্যান — বিদ্বান
৬৮। ব্যপ্ত — ব্যাপ্ত
৬৯। বৈচিত্র — বৈচিত্র্য
৭০। বাল্মিকি — বাল্মীকি
৭১। বয়ঃজেষ্ঠ্য — বয়োজ্যেষ্ঠ
৭২। ভূবণ — ভুবন
৭৩। ভৌগলিক — ভৌগোলিক
৭৪। ভাগিরথী — ভাগীরথী
৭৫। ভ্রাতাগন — ভ্রাতৃগণ
৭৬। ভবিষ্যৎদানী — ভবিষ্যদ্বাণী
৭৭। মুহুর্ত — মুহূর্ত
৭৮। মূমর্ষু — মুমূর্ষু
৭৯। মূর্ধণ্য — মূর্ধন্য
৮০। মনিষি — মনীষী

1) ইতিপূর্বে = ইতঃপূর্বে

2)সহযোগীতা = সহযোগিতা

3) শিরচ্ছেদ = শিরশ্ছেদ

4) মনোকস্ট = মনঃকষ্ট

5)অপারাহ্ন = অপরাহ্ণ

6)দূরবস্তা =দুরবস্থা

7)ষ্টেশন =স্টেশন

মুহুর্ত = মুহূর্ত

9) উপযোগীতা = উপযোগিতা

10) কল্যান = কল্যাণ

11) জীবীকা =জীবিকা

12) স্বরস্বতী = সরস্বতী

13) গীতাঞ্জলী =গীতাঞ্জলি

14) পিপিলিকা =পিপীলিকা

15) ব্যপ্ত = ব্যাপ্ত

16) মুখস্ত = মুখস্থ

17) সংস্কৃতিক =সাংস্কৃতিক

18) অন্তভুক্ত =অন্তর্ভুক্ত

19) ঐক্যতান = ঐকতান

20)উপরোক্ত = উপর্যুক্ত

21)বিদূষি =বিদুষি

22)ভূবন = ভুবন

23)বিভিষিকা = বিভীষিকা

24) আলচ্যমান = আলোচ্যমান

25) পুরান = পুরাণ

26)ঝরণা = ঝরনা

27) প্রনয়িণী = প্রণয়িনী

28) দৈন্যতা = দৈন্য, দীনতা

29)পুরষ্কার = পুরস্কার

30) স্নেহাশীস = স্নেহাশিস্

31)বয়জেষ্ঠ্য = বয়োজ্যেষ্ঠ

32)দূরাদৃস্ট = দুরাদৃষ্ট

33) কর্মজীবি = কর্মজীবী

34)আকাংখা = আকাঙ্ক্ষা

35)প্রতিযোগীতা = প্রতিযোগিতা

36)সন্যাসী = সন্ন্যাসী

37) বহিস্কার = বহিষ্কার

38)জগত = জগৎ

39)মনীষি = মনীষী

40)শান্তনা = সান্ত্বনা

41)মন্ত্ররীত্ত্ব = মন্ত্রীত্ব

42)বুদ্ধিজীবি = বুদ্ধিজীবী

43)ইতিমধ্যে = ইতোমধ্যে

44)ভৌগলিক= ভৌগোলিক

45)মুমুর্ষু = মুমূর্ষু

46)শ্রদ্ধান্ঞ্জলী = শ্রদ্ধাঞ্জলি

47)উত্তারায়ন = উত্তারায়ণ

48) ঋন = ঋণ

49) সমিচিন. = সমীচীন

50) সম্বর্ধনা = সংবর্ধনা

51) দারিদ্রতা = দরিদ্রতা/দারিদ্র্য

52) সুষ্ঠ = সুষ্ঠু

53) পরিস্কার. = পরিষ্কার

54) কৃজ্জটিকা = কৃজ্ঝটিকা

55) নিশিথিনি = নিশীথিনী

56) আদ্যান্তে = আদ্যন্ত

57) ব্রাক্ষ্মন = ব্রাহ্মণ

58) শুশ্রষা = শুশ্রূষা

59)মরিচিকা = মরীচিকা

60)স্বামীগৃহ = স্বামিগৃহ

61)আইনজীবি = আইনজীবী

62)নুন্যতম = ন্যূনতম

63)ব্যতিত = ব্যতীত

64)প্রানীবিদ্যা = প্রাণিবিদ্যা

65)উজ্জল. = উজ্জ্বল

66) লজ্জাষ্কর. = লজ্জাকর

67) তোরন. = তোরণ

68)কার্য্যালয় = কার্যালয়

69) নিরব. = নীরব

70)উচ্ছাস. = উচ্ছ্বাস

71)ভ্রাতাগন = ভ্রাতৃগণ

72) বাল্মিকী = বাল্মীকি

73)দোষণীয় = দূষণীয়

74)গ্রামীন. = গ্রামীণ

75)পোষ্টমাষ্টার = পোস্টমাস্টার

76) ভাতুস্পুএ = ভ্রাতুষ্পুত্র

77)নিক্কন = নিক্বণ

78)দ্বন্ধ = দ্বন্দ্ব

79)সম্বাদ = সংবাদ

80) সূচীপত্র =সূচিপত্র

No comments:

Post a Comment

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending