Pages

Syllabus written



৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৫)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আলাইকুম।
আমি মোঃ জহির আব্বাস আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আয়োজনের পঞ্চম পর্ব নিয়ে। এতদিন ধরে গত চারটি পর্বে আমি যথাক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের চলমান প্রস্তুতিতে এ পরামর্শগুলো কাজে লাগবে। এ দীর্ঘ আলোচনা হতে যদি আপনাদের একবিন্দুও উপকার হয় তাহলে আমার কষ্ট আর পরিশ্রম সার্থক হবে। আজ এ পর্বে আলোচনা করছি "বাংলাদেশ বিষয়াবলি" -র রিটেনের প্রস্তুতি নিয়ে।
বিসিএস রিটেনে ভালো নম্বর তোলার বিশাল এক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষায়। কারণ একটু চিন্তা করলে বুঝবেন যে, এ দুটি পরীক্ষার খাতা যিনি কাটবেন তিনি আপনার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই করার সময়/সুযোগ পাবেন না। বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মত বিষয়ের পরীক্ষক ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাঁদের আপনি গ্রামারের নতুন নিয়ম বা গণিতের নতুন সূত্র বানিয়ে ফাঁকি দিতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পরীক্ষার পরীক্ষককে আপনি নতুন নতুন তথ্য, উপাত্ত, চিত্র, ছক, কোটেশন প্রভৃতি দিয়ে খুশি করে দিতে পারেন। একটা প্রশ্নের উত্তরে আপনি যে তথ্যটা দিয়েছেন সেটা হয়তো ওনার জানা নাও থাকতে পারে। সে সুযোগটা নিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে বানিয়ে বানিয়ে তথ্য দিয়ে আপনার লেখাকে অন্যদের লেখা হতে আলাদা করে নিতে পারেন। তবে, আমার এ কথা শুনে খুশিত আত্বহারা হবার উপায় নেই। কারণ পিএসসি প্রশ্ন করার সময় আপনাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে সবসময়। সে ফাঁদটা হলো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য। পরীক্ষার হলের চার/তিন ঘণ্টার ক্রিয়া-কৌশল ঠিক করে দিবে আপনি ভালো নম্বর পাচ্ছেন কিনা। পরীক্ষায় খারাপ করলে কেউ আর বুঝবেনা যে আপনি সারা দিনরাত পড়াশুনা করেছেন। তখন সবাই মনে করবে আপনি পড়েন নি তাই পাশ করেননি। কিন্তু সমস্যা আপনার পড়ায় ছিলোনা, সমস্যা ছিলো পরীক্ষা নিয়ে ভালো পরিকল্পনার অভাব। বলা হয়ে থাকে একটি ভালো পরিকল্পনা কোনো কাজকে অর্ধেক এগিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি আর আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি রিটেন সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিলো ৩৫ তম বিসিএস থেকে। এবার ৩৮ তম বিসিএসে বাংলাদেশ বিষয়াবলির রিটেন পরীক্ষায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বর রাখার কথা বলেছে পিএসসি। সে হিসেবে নতুন সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন হয়তো আপনারা পেতে যাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন হলে আপনার জন্য ভালই হবে। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার আর আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কম/বেশি জানি। প্রিলি প্রস্তুতি নেবার সময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছেন। এই একটি অধ্যায় থেকে ৫০ নম্বর পাওয়াটা তাই আপনাদের জন্য ভালোই হয়েছে। এবার আসুন বিষয়ভিত্তিক মূল কথাগুলো বলি।
বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০, সময় ৪ ঘণ্টা। সে হিসেবে প্রতিটা নম্বরের জন্য সময় পাচ্ছেন ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড বা প্রায় ১ মিনিট। একনজরে দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে এ বিষয়ে কেমন প্রশ্ন হয়েছিলো।
৩৫ তম বিসিএসে ৩৬ টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৮টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, তাও প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৬ তম বিসিএসে ৩৬টি প্রশ্ন ছিলো প্রতিটি ৫ নম্বর করে, আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয়েছিলো, প্রতিটা ৫ নম্বর করে। অর্থাৎ আমরা তো বলতেই পারি যে ৩৫ ও ৩৬ বিসিএসে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়েছিলো ৪ ঘণ্টায়।
৩৭ তম বিসিএসে এসে এ ধারায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। এখানে ছোট/বড় ১৭টি প্রশ্ন দেয়া হয় মোট ১৮০ নম্বরের জন্য আর ৬টি টীকা থেকে ৪টি টীকা লিখতে বলা হয় প্রতিটা ৫ নম্বর করে।
৩৫ তম বিসিএসে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর ৪ ঘণ্টায় করতে গিয়ে অনেকে ফুল আনসার করে আসতে পারেনি। এর করণ হলো ৪০টি প্রশ্ন লিখার মতো প্রস্তুতি পরীক্ষার্থীদের তখন ছিলোনা। আর কেউ ধারণাও করতে পারেনি যে এতগুলো প্রশ্ন হবে। ৩৬ এ আমরা এ ধারার সাথে পরিচিত ছিলাম। আর সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ফুল আনসার করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেন দিতে গিয়ে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে এবারও হয়তো ৪০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হতে পারে। তাই আমি প্রস্তুতি ও টাইম সেটিং করে গিয়েছিলাম ৪০টি প্রশ্নের উত্তরের জন্য। পরীক্ষায় দেখলাম মূল প্রশ্ন হয়েছে ১৭ টি। কিছু প্রশ্ন ছোট/কম নম্বরের, আর কিছু বেশি নম্বরের। এমনকি একটি প্রশ্নের জন্য ২০ নম্বর পর্যন্ত ছিলো। বড় প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি কম ছিলো বলে বেশিরভাগ বড় প্রশ্ন ভালো করে লিখতে পারেনি অনেকেই। এত কথা বলছি শুধু একটা কারণে, আপনাদের এটা বুঝাতে যে, যে কোনো রকম প্রশ্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কোন ধরণের প্রশ্নে কীভাবে উত্তর করবেন, সময় কীভাবে ঠিক করবেন সে বিষয়েও আমি কথা বলবো।
আমার প্রতি পর্বে লেখায় আমি সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি সময়ের ভেতর লেখা নিয়ে। যদি পরীক্ষায় ৪০টি প্রশ্ন পান তবে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করতে সময় পাচ্ছেন প্রায় ৬ মিনিট। এ ৬ মিনিটে আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেড় (১.৫) পৃষ্টা করে লিখতে পারেন। অর্থাৎ তিন পৃষ্টায় দুটি উত্তর হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি বেশি লিখতে না পারেন তবে ১ পৃষ্টা হলেও লিখলে হবে। কিছু কিছু প্রশ্ন পাবেন যার উত্তর করতে গেলে একটা রচনা লেখা হয়ে যাবে, আপনি সে উত্তরটাও দেড় পৃষ্টায় শেষ করবেন। বুঝতে পারছেন না? উদাহরণ দিচ্ছি-
৩৬ তম বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো, " বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক খেতাব প্রাপ্তি সমূহ বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নটা এভাবে উত্তর করা যেতে পারে-
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সম্প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব অর্জন করেছেন। নিম্মে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খেতাব উল্লেখ করা হলো।
১) খেতাবের শিরোনাম: দুই লাইনের বর্ণনা
২) খেতাবের নাম; কেন পেয়েছেন তার দু লাইনের বর্ণনা.....
৩)....৪).....৫).......
এর পর একলাইনের একটা উপসংহার। "উপসংহার" কথাটা লিখতে হবেনা।
আপনি হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর আরো অনেক বড় করে লিখতে পারতেন। কারণ ওনার অর্জন এত বেশি যে তা লিখলে ৩/৪ পৃষ্টা হয়ে যাবে। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে এর চেয়ে আর বেশি আপনি লিখার সুযোগ পাবেন না। বেশি লিখার লোভ থাকলেও তা সংবরন করতে হবে। এভাবে বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটা প্রশ্ন উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্ন একদম না পারলে খাতায় ১ পৃষ্টা জায়গা খালি রেখে আসুন। সব প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে ঐ প্রশ্নের উত্তর যা পারবেন তাই লিখে আসুন। ভাগ্য ভালো হলে কিছু নাম্বার পেতে পারেন। তাই বেশি লিখে ফুল আনসার করতে না পারার চেয়ে কম লিখে ফুল আনসার করাই শ্রেয়।
পরীক্ষায় যদি ৪০টি প্রশ্ন না হয়ে ৩৭ তম বিসিএসের মত ছোট বড় প্রশ্নের সমাহার হয়, তখন কী করবেন তার পরিকল্পনা এখন থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। এ ধরণের সমস্যা আপনি খুব সহজে সমাধান করতে পারেন। প্রস্তুতি নেবার সময় যে টপিকগুলো আপনি পড়বেন সেগুলো খাতায় নোট করার সময় বড় প্রশ্নের কথাও মাথায় রেখে নোট করবেন। যেনো প্রশ্নটা বড় হলেও লেখা যায়। এখানে প্রশ্ন যদি ১০ নম্বরের জন্য হয়, তবে সময় পাবেন ১২ মিনিট। ১০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর আপনি ৩/৩.৫ পৃষ্টা লিখতে পারবেন। ৩ পৃষ্ঠা যথেষ্ট। যদি ১৫ নম্বরের প্রশ্ন হয় তবে সময় পাবেন ১৮ মিনিট, লিখতে পারবেন ৪/৪.৫ পৃষ্টা। প্রশ্ন যদি ২০ নম্বরের হয়, সময় পাবেন ২৪ মিনিট, লিখতে পারবেন ৫/৬ পৃষ্টা। শুধু পৃষ্টা গুনলে তো হবেনা। হয়তো ভাবছেন এত পৃষ্টা লেখা যাবেনা। তাই বড় প্রশ্ন ঝামেলা দিবে। আসলে বড় প্রশ্নের সুবিধাও আছে। বড় প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে লিখে লিখে পৃষ্টা শেষ করার চেয়ে তথ্য, ছক বা চিত্র দিতে পারবেন। প্রয়োজনে বানিয়ে তথ্য দেবারও সুযোগ আছে। লেখা তথ্য বহুল হলে ২০ নম্বরের প্রশ্নটা আর ৬ পৃষ্টা না হলেও চলবে। পৃষ্টা মনে রাখার চেয়ে সময়টা বেশি মনে রাখবেন। যে প্রশ্নের জন্য তথ্য বা ছক দিতে পারবেন না তা লিখে হলেও শেষ করতে হবে। মনে রাখবেন বড় প্রশ্নের উত্তরে শুধু লিখে দেয়ার চেয়ে তথ্য, চিত্র দিয়ে লিখলে ভালো নম্বর পাবেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এ প্রস্তুতি শুধু বাংলাদেশ বিষয়াবলি নয়, বাংলা, ইংরেজির ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়তে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কলামগুলো পড়তে হবে। (দৈনিক প্রথম আলোর ১০ও ১১ নং পৃষ্টা)। রামপাল বিদ্যুত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী, তত্বাবধায়ক সরকার, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন হলে সবসময় সরকারের পক্ষ হয়ে লিখবেন।
কী কী পড়বেনঃ দৈনিক পত্রিকা, সংবিধান, অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিষয়ক তথ্যাদি, যে কোন ভালো প্রকাশনীর রিটেন গাইড বই।
সাজেশানঃ কোন কোন প্রশ্ন আসতে পারে তা নিয়ে আমি আপনাকে সাজেশান দিতে পারবোনা। এ ধরণের সাজেশান বিসিএস গবেষকগণ দিবেন। আমি শুধু এতটুকু বলবো আপনি কোন কোন অধ্যায় বা বিষয়ে নজর রাখবেন। সংবিধান থেকে প্রতি বিসিএসে প্রশ্ন আসে। তাই সংবিধান ভালো করে আয়ত্ব করুন। ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার কৌশল আছে। সেগুলো শিখে নিন। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য, পরিবেশ, সরকারের তিনটি বিভাগ, বাংলাদেশ ও ভারত/মায়ানমার/চীন/যুক্তরাষ্ট্র /মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সরকারের সাফল্য/অর্জন, নির্বাচন, প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি অধ্যায় অবশ্যই পড়বেন। রিটের প্রস্তুতির জন্য কয়েকজন মিলে গ্রপস্টাডি করতে পারেন।
সংবিধানঃ প্রায় সব বিসিএসেই সংবিধান থেকে প্রশ্ন এসেছে। ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে সংবিধান থেকে লেখার মত ৫০ নম্বরের প্রশ্ন ছিলো। সুতরাং এ অধ্যায়টা ভালো ভাবে পড়া উচিত। এখানে তিনটি বিষয় দেখবেন - সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস ও বাহ্যিক কাঠামো, সংবিধানের অনুচ্ছেদ সমূহ এবং সংশোধনী। ১-৪৭ পর্যন্ত অনুচ্ছেদগুলো মুখস্থ রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন প্রশ্নে কাজে লাগাতে পারবেন। বাকি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো ও মনে রাখুন। পরীক্ষায় ন্যায়পাল নিয়ে প্রশ্ন হলো, আপনি কয়েকপৃষ্টা লিখলেন কিন্তু ভুলে সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করলেন না তাহলে বেশি লিখেও কীপয়েন্ট না লেখার জন্য নম্বর কম পাবেন। সংবিধান সহজে মনে রাখা যায় এমন বই বাজারে পাওয়া যায়। কিনে নিতে পারেন।
নোট করতে হবে কিনাঃ অবশ্যই অবশ্যই নোট করবেন। সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের তথ্যগুলো নোট করে রাখবেন। পরীক্ষার আগে শুধু খাতাটা দেখে যাবেন। নোট করার ক্ষেত্রে এমন ভাবে করবেন যেনো প্রশ্নটি বাংলা/ইংরেজি রচনায় আসলেও লেখা যায়।
সর্বোপরি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আজ, এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করুন। প্রথম প্রথম কঠিন লাগলেও কিছুদিন পর সব সহজ মনে হবে। সাহস নিয়ে শুরু করুন। শুরু না হলে শেষ তো আর হবেনা।
আজ এ পর্যন্ত থাকুক। কথা হবে পরবর্তি পর্বে। আপনাদেরর প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি।
শুভেচ্ছায়-
মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।


============================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৪)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।
আসসালামু আলাইকুম। আমি জহির আব্বাস, আপনাদের কাছে আবার এসেছি ধারাবাহিক আলোচনার ৪র্থ পর্ব নিয়ে। চারটি প্রিলিমিনারি, দুটি রিটেন পরীক্ষা ও একটি ভাইভা (অারেকটি রেজাল্টের অপেক্ষায়) পাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের কৌশলগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যারা সফল হয়েছেন প্রত্যেকে নিজেদের মত করে আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি তা ফলো করে আপনারা রিটেনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনাদের প্রস্তুতিকে আরো এগিয়ে নিতে আজ আমি সাধারন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি:
বিসিএস রিটেনে নাম্বার তোলার যে কয়টা বিষয় আছে, সে সব বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান অন্যতম। যা চেয়েছে তা লিখে আসতে পারলেই ভালো নম্বর পাবেন। এখানে নাম্বার কাটার সুযোগ যেমন নেই তেমনি বানিয়ে লেখারও কিছু নেই।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০, সময় পাবেন ৩ ঘণ্টা। সময়ের ভেতর লিখার কৌশলগুলো ব্যবহার করে ৩ ঘণ্টায় বিজ্ঞান পূর্ণ উত্তর করা সম্ভব। অনেকে বলেন সময়ের অভাবে ফুল আনসার করা সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি সময়ের অভাবে নয় বরং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ফুল আনসার করা যায়নি। আমি আমার আলোচনায় শুধু কী কী পড়বেন তা নিয়ে কথা বলিনা। কারণ প্রায় সবাই আপনাকে কী কী বই পড়বেন তা নিয়েই পরামর্শ দেন। আমি কীভাবে পরিকল্পনা করে পড়বেন তার দিক নির্দেশনা দেয়ারও চেষ্টা করি। সাথে সাথে প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ করি। পথের নামতো সবাই বলে দেন কিন্তু হাত ধরে সে পথে এগিয়ে দেয় এমন খুব কমই আছে। আমি যে যে কৌশল প্রয়োগ করেছি তা আপনাদের কাছে শেয়ার করতে এক বিন্দুও কার্পণ্য করিনা।
প্রথমেই বলে দিচ্ছি কি কি বই পড়বেন: নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই ও যে কোনো ভালো প্রকাশনীর বিজ্ঞান রিটেন গাইড।
কীভাবে পড়বেন? অপেক্ষা করুন, বলছি।
প্রথমেই বিগত কয়েক বিসিএসের রিটেনের প্রশ্নগুলোর উত্তর শিখে ফেলুন। তারপর? বলছি।
আসুন জেনে নিই রিটেনে বিজ্ঞান পরীক্ষায় কী কী আসে। যে পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এত কষ্ট করছেন, সে পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা ধারণা না নিলে কি চলে? যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করুন, না হয় অঘঠন ঘটতেও পারে। সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষায় তিনটি অংশে প্রশ্ন হয়।
১) General Science: এখানে মোট নম্বর ৬০। বিসিএস রিটেন সিলেবাসে মোট ১১ টি অধ্যায় থেকে এখানে প্রশ্ন দেয়া হয়। ৩৫ ও ৩৭ তম বিসিএসে এখানে ৯ টি প্রশ্ন এসেছিলো ৮টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। ৩৬ তম বিসিএসে এখানে ১২টি প্রশ্ন ছিলো, উত্তর দিতে বলা হয়েছে ৮টি। প্রতিটা প্রশ্ন কয়েকভাগে (ক, খ, গ, ঘ) ভাগ করে এসেছে। প্রতিটা প্রশ্নের মান ৭.৫ করে মোট ৬০ নম্বর। এখানে এমন প্রশ্নও পাবেন যার জন্য শুধু ১ নম্বরই পাবেন। এখানে আপনার জন্য ফাঁদ পাতা আছে। আপনি এখানে যা চেয়েছে শুধু তাই লিখবেন। অতিরিক্ত লেখার ইচ্ছা থাকলেও লিখবেন না। আপনি প্রতিটা ৭.৫ নাম্বারের প্রশ্ন উত্তর করতে সময় পাবেন ১৩.৫ মিনিট। তাই শুধু মূল উত্তরই লিখুন। ভয় পাচ্ছেন কীভাবে লিখবেন? ভয়ের কিছু নেই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ৩৭ বিসিএসে একটা প্রশ্ন ছিলো " অতিবেগুনী রশ্নির ফলে মানবদেহে কী কী ক্ষতি হয়?" প্রশ্নটা উত্তর করতে গেলে অনেক কিছু লেখার সুযোগ আপনার কাছে আছে। কিন্তু এর জন্য বরাদ্দ ছিলো শুধু ১ নম্বর! তাই উত্তরটাও হবে তেমনই। যেমন আপনি উত্তর করবেন এভাবে-
মানবদেহে যে যে ক্ষতি হয় তা হলো-
১) ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়,�২) স্কিন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে,�৩) ত্বক পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যায়, ইত্যাদি।
এ কথাগাুলো লিখতে নিশ্চয়ই আপনার একমিনিটের বেশি লাগবেনা। আর বেশি লিখে আপনিতো নোবেল পুরস্কার পাবেন না। এতটুই লিখে আসবেন। নাম্বার না দিয়ে পরীক্ষক যাবেন কোথায়। এ রকম কয়েকটা প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্নকর্তা আপনার সময় খাওয়ার জন্য ফাঁদ পাতবে। ফাঁদে পা না দিয়ে অল্প লিখে চলে আসুন। বিজ্ঞানে বানিয়ে লিখে নম্বর পাবেন না। কিন্তু কম লিখে নম্বর পাবেন। এবার দেখুন মোট ৬০ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনার কাছে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে। প্রয়োজনে ৪/৫ মিনিট বেশি নিতে পারেন। প্রথম থেকেই যদি শুধু টু দ্যা পয়েন্ট লিখে আসেন তবে অবশ্যই এ সময়ে শেষ করা সম্ভব। সিলেবাসে যে ১১ টি অধ্যায় এ অংশে আছে তার প্রায় সবগুলোই ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান আর পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে আছে। সিলেবাস ধরে ধরে আগে মূল বইটা পড়ুন। এর পর গাইড বই থেকে পড়বেন। দেখবেন গাইড বইয়ে অনেক কিছুই সহজ সহজ মনে হবে। যে বিষয় বুঝবেন না (যেমন- ক্রোমসোম কী জিনিস, জিন কী, প্রভৃতি) বইয়ের পড়া তোতা পাখির মত মুখস্থ না করে বিজ্ঞানের বড় ভাই/বোন থেকে ক্লিয়ার করে নিবেন। না বুঝে শিখলে মনে থাকবেনা। বুঝে শিখলে নিজের মত লিখতে পারবেন। গাইড বইয়ে প্রশ্নের উত্তরগুলো বড় করে দেয়া থাকবে তবে আপনি বড় করে লিখতে যাবেননা। প্রয়োজনে খাতায় চিত্র দিতে ভুল করবেন না। চিত্র অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে আঁকবেন। ১/২ নম্বরের প্রশ্নে চিত্র দিতে যাবেন না। বড় প্রশ্ন পেলেই দিবেন। কম নম্বরের জন্য চিত্র দিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয়না।
২) Computer & Information Technology: এখানে মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৪৮ মিনিট। ৩৭ তম বিসিএসে ১৩ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি, ৩৬ তম বিসিএসে ১২ টি থেকে ১০ টি এবং ৩৫ বিসিএসে ১১টি প্রশ্ন হতে (১,১০,১১ নং প্রশ্নের উত্তর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলো) ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২.৫ নম্বর করে মোট ২৫ নম্বর। এখন কথা হলো এ অংশের প্রস্তুতির জন্য কী পড়বেন? একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বই পড়লে কমন পাবেন। সাথে গাইড বইতো আছে। কতপৃষ্টা লিখবেন? ২.৫ নম্বর উত্তর করার জন্য আপনি সময় পাবেন ৪.৫ মিনিট। সে হিসেবে আগের পর্বের আলোচনা মত আপনি ১ পৃষ্টা লেখার সময় পাচ্ছেন। কিন্তু কেনো আপনি শুধু শুধু সব প্রশ্নের জন্য ১ পৃষ্টা করে লিখে সময় নষ্ট করবেন! তাই ২.৫ নম্বরের জন্য শুধু মূল কথাগুলো লিখে ১পৃষ্ঠার তিন ভাগের দুই ভাগ লিখলেই হবে। যেমন- ৩৭ বিসিএসে এখানে একটা প্রশ্ন ছিলো- "ব্লুটুথ কী? সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।" এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ১ পৃষ্টাও লাগবেনা। আর কিছু কিছু প্রশ্নে হয়তো ১পৃষ্টাও লাগতে পারে। বিচক্ষণতা দেখিয়ে উত্তর করুন। হয়তো চিত্র দেয়ার মত প্রশ্ন হতে পারে। কোনো প্রশ্ন না পারলে ১ টা পৃষ্টা খালি রেখে চলে আসুন। সব উত্তর করার পর ঐ খালি অংশে যা মনে আসে তাই লিখে আসুন(কাছাকাছি হয় এমন)। দেখবেন ১ নম্বর হলেও পাবেন, না লিখলে তো সেটাও পেতেন না।
৩) Electrical & Electronic Technology: এখানে মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ২৫ মিনিট। ৩৫ তম বিসিএসে ৭ টি প্রশ্ন থেকে ৬ টি, ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসে ৮টি প্রশ্ন থেকে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিলো। প্রতি প্রশ্নের মান ২.৫ করে মোট ১৫ নম্বর। এখানেও একি কথা কতক্ষণ কীভাবে লিখবেন তা নিয়ে। এ অংশের প্রায় বেশিরভাগই পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ের বিদ্যুৎ অধ্যায় থেকে পাবেন। বাকিগুলোর জন্য গাইড বই তো আছে। এখানে কোনো প্রশ্নে চিত্র দেয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। তাই ট্রান্সফর্মার, মোটর, রেডিও, টেলিভিশনের মত কিছু কিছু যন্ত্রের ছবি আঁকা অনুশীলন করে রাখতে পারেন। এখানে ভিভিন্ন মতবাদ, থিওরী, তত্ত্ব নিয়েও প্রশ্ন হয়। সিলেবাস দেখে তা যেভাবে পারেন আয়ত্ব করুন। কঠিন কিছু নেই, চেষ্টা করলেই পারবেন।
১০টা প্রশ্নের মধ্যে ৫টা প্রশ্ন ভালো করে লিখে সময় শেষ করার চেয়ে ১০টা প্রশ্নই মোটামমুটি লিখা শ্রেয়। তাই বেশি লিখার আবেগ সংবরন করুন। বলা হয়ে থাকে মানুষ নাকি কম খেয়ে মরে না, বেশি খেয়ে মরে। তার সাথে মিল রেখে কি আমরা বলতে পারিনা, পরীক্ষার্থী বেশি বেশি লিখে নম্বর পায় কম, কম লিখে বেশি নম্বর পায় (শর্ত প্রযোজ্য)।
আজ আর নয়। আপনাদের প্রস্তুতি ভালো হোক সে কামনা করি। আগের পর্বগুলো দেখুন আর প্রস্তুতি নিন। কথা হবে পরবর্তী পর্বে। দোয়া করবেন।
মোঃ জহির আব্বাস�বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত),�মেধাক্রম-৭ম, ৩৬ তম বিসিএস।�



======================================

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিতে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ৩)
লিখছি আমি জহির আব্বাস...
আসসালামু আলাইকুম।
বিসিএস রিটেনে কীভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায় তা নিয়ে গত দুটি পর্বে ধারাবাহিক আলোচনার পর আজ তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। ইংরেজিতে একটা কথা আছে JACK OF ALL TRADES, MASTER OF NONE. আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, রিটেনে একটা বিষয়ে এক্সপার্ট না হয়ে সবগুলো বিষয়ে কম বেশি ধারণা থাকলেই ভালো করা যায়। কোনো বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য কোন বিষয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়। আজ আমি গণিত ও মানসিক দক্ষতার প্রস্তুতি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা আর কৌশল শেয়ার করছি।
রিটেনে গণিতের জন্য ৫০ নম্বর আর সময় পাবেন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টার ভেতর গণিতের উত্তর করতে পারবেন। অন্যদিকে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায় ৫০ নম্বর এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য পাবেন ১ ঘণ্টা।
৩৫, ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে গণিত ও মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা একসাথে একই দিনে হয়েছিলো। গণিতে উত্তর করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়। তাই ৩৫ ও ৩৬ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতা পরীক্ষায়ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা গিয়েছিলো। ফলে খুব সহজে এমসিকিউ প্রশ্নগুলোর উত্তর করা গিয়েছিলো। কিন্তু ৩৭ তম বিসিএস রিটেনে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা গণিত পরীক্ষার পরের দিন হয়েছিলো, তাই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ ছিলোনা। আর আগামী রিটেনেও সুযোগ পাবেননা আশা করি।
বিসিএসের অতীত ইতিহাস বলে যে, যারা ভালো ক্যাডার পেয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই গণিত ও মানসিক দক্ষতায় ভালো নম্বর পেয়েছিলেন। এখানে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০-৯০ নম্বর পেলে ভালো ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ নম্বর অন্যান্য বিষয়কে কাভার করা ছাড়াও মোট নম্বার বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই এখানে ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
যারা গণিত ভালো পারেন তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আর যারা আমার মতো গণিতে দুর্বল তাদের জন্যই মূলত আমার এ পরামর্শ। আমি দেখেছি যথাযথ অনুশীলন ছাড়া গণিতে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব না। অন্যান্য বিষয়গুলো তো পড়েই শেষ করা যায়, কিন্তু গণিত মুখস্থ করার বিষয় নয়। হাতে কলমে অনুশীলনের বিষয়।
প্রথমেই আপনি বিগত বিসিএসে রিটেনের সব অংক অনুশীলন করুন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিসিএস সিলেবাস দেখে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির গণিত বইয়ের অধ্যায়গুলো অনুশীলন করুন। যে যে অধ্যায়গুলো অনুশীলন করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করছি।
৬ষ্ঠ শ্রেণি- ২য়, ৪র্থ, ৫ম
৭ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৭ম
৮ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম
৯-১০ম শ্রেণি - ২য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৯ম, ১০ম, ১১শ, ১২শ, ১৩শ, ১৪শ।
৯-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিতের কিছু অধ্যায় (সিলেবাস দেখে) অনুশীলন করবেন।
বাজারে প্রচলিত যে কোনো ভালো প্রকাশনীর রিটেন গণিত বই কিনে নিতে পারেন। আমি ওরাকল বই কিনেছিলাম। রিটেনের বই থেকে অধ্যায় ধরে ধরে অংকগুলো অনুশীলন করতে হবে। জ্যামিতি অংশের জন্য রিটেন বই ফলো করলে হবে। সম্ভাব্যতা, সমাবেশ, বিন্যাস নিয়ে আলাদা প্রস্তুতি লাগবে। আমি এ অধ্যায়টা বাদ দিয়েছিলাম। যে অধ্যায়ের অংক সহজ মনে হবে তা আগে করা শুরু করবেন। কঠিন প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে বাকি প্রশ্নের উত্তরও ঠিকমতো দেয়া সম্ভব হবেনা। গণিতে কোনো অংক না বুঝলে ফেলে রেখে যাবেন না। যিনি বুঝাতে পারবেন ওনার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে লজ্জ্বা পাবার কিছুই নেই। আমিও ক্লাস সেভেনের ছাত্রের কাছ থেকে কিছু কিছু অংক বুঝে নিয়েছিলাম।
.
আসুন দেখে নিই বিগত কয়েকটি বিসিএস রিটেনে কি করকম প্রশ্ন এসেছিলো।
,
৩৫ তম বিসিএস গণিত রিটেনে ১২ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো।
.
৩৬ তম বিসিএসে ১৪ টি প্রশ্ন হতে ১০ টি, আর ৩৭ তম বিসিএসে ১২ টি প্রশ্ন থেকে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছিলো। সে হিসেবে আগামী পরিক্ষায়ও ১২-১৪ টি প্রশ্ন পেতে যাচ্ছেন।
.
৩৫/৩৬/৩৭ তম বিসিএস রিটেনের প্রশ্ন অনুযায়ী কোন কোন অধ্যায় থেকে প্রায় সময়ই প্রশ্ন এসেছে তা উল্লেখ করছি: সমীকরণ, মান নির্ণয়, শতকরা, কার্তেসীয় জ্যামিতি, উৎপাদক, সেট, লগ, সূচক,পরিমিতি, জ্যামিতি ইত্যাদি। তাই এ অধ্যায়গুলো রিটেনের বই থেকে ভালোভাবে অনুশীলন করুন। এসব অধ্যায়ের অংক পাবেনই। এর পর রিটেন সিলেবাসের অন্যান্য অধ্যায়গুলোও আয়ত্ব করার চেষ্টা করুন। রিটেনের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে খাতায় প্রায় প্রতিটা অধ্যায়ের জন্য তিন/চারটি স্টান্ডার্ড অংক করে রাখুন। পরীক্ষার আগে কাজে লাগবে।
.
মানসিক দক্ষতা:
এটা নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হবেনা। রিটেনের প্রশ্ন ব্যাংক থেকে বিগত বিসিএসের মানসিক দক্ষতার প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সলভ করার চেষ্টা করুন। কাজে দিবে। এছাড়াও বাজারে মানসিক দক্ষতা নিয়ে বই পাওয়া যায়। ইচ্ছা হলে কিনে দেখতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে আমি শুধু বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো আর প্রিলি বইয়ের মানসিক দক্ষতা অংশ পড়েছিলাম।
.
যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলুন। পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করবো, ইনশা আল্লাহ। শুভ কামনা রইলো। দোয়া করবেন।


=======================
৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস রিটেনে ভালো করবেন যেভাবে (পর্ব ২)
জহির আব্বাসের কলম থেকে...
আসসালামু আালাইকুম। গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম বাংলা বিষয়ে কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন সে বিষয়ে। যারা গত পর্ব মিস করেছেন তাদের জন্য নিম্নে লিংক দেয়া হলো। আজ আলোচনা করার চেষ্টা করছি ইংরেজি বিষয়ে। আমি মূলত আলোচনার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা আর কৌশলগুলো শেয়ার করছি।
ইংরেজি
ইংরেজিতে মোট নম্বর ২০০, সময় পাবেন ৪ ঘণ্টা। প্রতি নম্বরের জন্য সময় হলো প্রায় ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে শুদ্ধ বাক্যে ইংরেজি উত্তর করলে ভালো নম্বর আাশা করা যায়।
প্রথমেই আসুন টাইম সেটিং করে প্লানিং করা শুরু করি।
Part-1 (পুরো অংশটি কম্প্রিহেনশান ভিত্তিক)
1) Comprehension এর উপর প্রশ্ন: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। (এখানে সাধারণত ১০ টি প্রশ্ন দেয়া হয়। প্রতি প্রশ্নের মান ৩। প্রশ্ন হাতে পাবার পর আপনি কম্প্রিহেনশনটা পড়া শুরু করবেন নাকি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবেন? আমার পরামর্শ হলো, আমি প্রশ্ন লেখা শুরু করি। কারণ পুরো কম্প্রিহেনশন পড়তে গেলে আমার সময় নষ্ট হবে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে কম্প্রিহেনশন না পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর কীভাবে করা সম্ভব? এ কৌশলটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এ পড়ার সময় শিখেছি। প্রতিটা প্রশ্নেরই একটা কী ওয়ার্ড থাকে। সে কী ওয়ার্ড টা কম্প্রিহেনশানে কোথায় আছে তা একটু লক্ষ করলেই পাবেন। তারপর সে লাইন সহ আগে পিছে কয়েক লাইন পড়লেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। এভাবে সব প্রশ্নের উত্তর করা যাবে। যা প্রয়োজন তাই লিখুন, বানিয়ে বানিয়ে বেশি লিখতে গেলে বাক্য ভুল হবার সম্ভাবনা থাকবে। এ দশটা প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে আপনি কম্প্রিহেনশানটার মূল কথাটা বুঝো যাবেন। তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তরও করা হলো আর কম্প্রিহেনশানটাও বুঝা গেলো। যে প্রশ্নটা পারছেন না তার উত্তরের জন্য খাতায় জায়গা রেখে দিন। কখনো না কখনো উত্তরটা আপনার চোখে পড়বেই।
এখানে আপনার সময় ৩৬ মিনিট হলেও ৪০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন।)
2) Grammar: মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। ( কম্প্রিহোনশন থেকে গ্রামার রিলেটেড কিছু প্রশ্ন পাবেন। এখানে ভালো করার চেষ্টা করুন। কারণ সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ৩০ এ ৩০ নম্বর পাবেন। তবে একটা ভালো দিক হলো গ্রামার অংশে উত্তর করার সময় আপনার বেশিক্ষণ লাগবেনা। আমার কাছে এখানে ৩০ মিনিটই যথেষ্ট মনে হয়। হাতে থাকবে ২ মিনিট। গ্রামার অংশে আপনি হঠাৎ করেই ভালো করতে পারবেন এমনটা ভাবা ঠিক না। আর বিসিএস ছাড়াও যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরেজি গ্রামার লাগবেই। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে গ্রামার অংশ আয়ত্ব করুন। বেসিক জ্ঞান এখানে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে ৩/৪ টি কম্প্রিহেনশন অনুশীলন করা যেতে পারে। আমি যে কথাটা বার বার বলি তা হলো- অনুশীলন ছাড়া আসলেই সাফল্য সম্ভব নয়।)
3) Summary writing: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (আপনি কম্প্রিহেনশান পড়ে কী বুঝলেন তা সাধারণত ১০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলা হয়। এখন কথা হলো কীভাবে লিখবেন? এ জন্য কী আপনাকে পুরো কম্প্রিহেনশান আবার পড়তে হবে? সে সময়টা কোথায় বলুন তো! আসলে আপনি ১ নং আর ২ নং প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়েই কম্প্রিহেনশানটার মূল বিষয় বুঝে গেছেন। তাই আপনাকে আর পুরো অনুচ্ছেদ টা পড়তে হবেনা। আপনি প্রাপ্ত ধারণা থেকেই সামারিটা লিখতে পারবেন।
তবুও টেনশান হচ্ছে? ওকে একটা কৌশল বলে দিচ্ছি। যদি আপনি সত্যিই কী লিখবেন বুঝতে না পারেন তবে ১ নং প্রশ্নে যে ১০ টা উত্তর লিখেছেন সেগুলো বাক্য গঠন প্রকৃয়া ঠিক রেখে ওলট পালট করে লিখে দিন। তাতেই ৮০% কাজ হবে।
এখন কথা হলো, কতপৃষ্টা লিখবেন। আমার মতে ১.৫ পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইন) হলেই যথেষ্ট। আমিও এমন লিখোছি। এখানে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১৫/১৬ মিনিট। হাতে থাকলো ১১ মিনিট)
4) Letter to editor: মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। (এখানে উত্তর করার জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো আছে। শুধু মূল কথাটা লেখাই আপনার কাজ। মূল কথাগুলো তো ইতোমধ্যে আপনি উত্তর করতে করতে শিখে আর বুঝে গেছেন। নিজের মন থেকে সঠিক বাক্য সেগুলো সাজিয়ে প্রাসঙ্গিক ভাবে লিখুন। নম্বর পাবেন। এখানে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ১৫ মিনিটেই আপনি আশা করি উত্তরটা শেষ করতে পারবেন।। হাতে থাকলো ২০ মিনিট।)
যেভাবেই হোক প্রথম পত্র উত্তর করার সময় ১৫-২০ মিনিট সময় আপনাকে সেভ করতে হবে। সে সময়গুলো ২য় পত্র উত্তর করার সময় আপনার কাজে লাগবে। কোথায় কাজে লাগবে তা সময় মতো বলে দিবো।
Part-2
1) Translation: E2B- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০ মিনিট। (ইংরেজিতে ভালো নাম্বার তোলার সুযোগ এখানে পাচ্ছেন। ইরেজি অংশের কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ পায় এমন অনুবাদ করলেই হবে। এখানে আপনাকে সময় দিতে হবে। প্রথম পত্রে বেঁচে যাওয়া ২০ মিনিট থেকে ১০ মিনিট এখানে দিন। তাহলে আপনি সময় পাচ্ছেন ৪০ মিনিট। এখানে ছোট ছোট বাক্য দিয়ে অনুবাদ করতে পারেন। বাক্য গঠন ব্যাকরণ অনুযায়ী হলে নম্বর পেয়ে যাবেন। এ সময়গুলো কাজে লাগান। আগেও বলেছিলাম, অনুবাদে মোট ৬৫ নম্বর আছে। তাই এ জন্য আলাদা প্রিপারেশন নিতে হবে। প্রতিদিন ৪/৫ লাইন করে অনুবাদ করুন। পরিশ্রম আর অনুশীলন ছাড়া সফলতা আশা করা বোকামি।
এখানে প্রয়োজনে বড়দের সাহায্য নিন। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতে পারলে একসময় পরিবর্তনটা আপনি নিজেই বুঝবেন।)
2) Translation: B2E- মোট নম্বর ২৫, সময় পাবেন ৩০। (এখানেও একি কথা, আপনি আগের পাওয়া ১০ মিনিট সহ মোট ৪০ মিনিট সময় পাবেন। কাজে লাগান।)
3) Essay: মোট নম্বর ৫০, সময় পাবেন ৬০ মিনিট। (ইংরেজিতে সাধারণত ১০০০ শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে বলা হবে। যেহেতু লিমিটেশন দেয়া আছে সেহেতু চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখন প্রশ্ন হলো কত পৃষ্ঠা লিখবেন। একটা পৃষ্ঠা (১৫-১৮ লাইনের) লিখতে আপনার ৪ মিনিট লাগলে আপনি ১৩-১৫ পৃষ্টা লিখতে পারেন। কোনো ভাবেই ১৫ পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়। নীল কালি, কোটেশান, চিত্র দিয়ে আপনার উপস্থাপনা সুন্দর করুন, নম্বর পাবেন।
এখানে কি করবেন তার বিস্তারিত আলোচনা বাংলা প্রিপারেশনে-১০ পর্বে করেছি। ঠিক একি রকম কৌশল প্রয়োগ করুন। খাতায় ব্লু প্রিন্ট করতে ভুলবেন না। কিভাবে একটা ভালো রচনা দাঁড় করানো যায় তা নিয়ে একটা নোট আছে আমার কাছে। এটা মূলত শ্রদ্বেয় শরীফ স্যারের নোটের সহজ ভার্সন। নিচে লিংক দিলাম। প্রয়োজনে দেখতে পারেন।)
আজ এতটুকুই থাক। রিজিকের মালিক আল্লাহ। আমাদের দায়িত্ব হলো চেষ্টা করা, আমরা তাই করবো। ধৈর্য আর পরিশ্রমের দ্বারা নিজের সাফল্য ছিনিয়ে আনুন। হতাশ হবেন না, কেউ কারো রিজিক নষ্ট করতে পারেনা। দোয়া করবেন।

==========================================================


৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বাংলায় কিভাবে ভালো করবেন ?
লিখেছেনঃ মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,৩৬ তম বিসিএস।
আসসালামু আলাইকুম।
শুভেচ্ছা নিবেন।
বিসিএসে মূলত তিনটি পরীক্ষা হয়ে থাকে। যথা প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভা পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের প্রিলি পরিক্ষা হলো বাছাই পরীক্ষা, এ পরিক্ষায় পাশ করে আপনি রিটেন পরীক্ষার টিকেট পাবেন। মূল পরীক্ষা শুরু হয় রিটেন থেকে। রিটেন পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেলে ভাইভা পাশ করলে ভালো ক্যাডার পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বর্তমানে, জেনারেল ক্যাডারে পরীক্ষার্থীর জন্য ৯০০ নম্বরের আর বোথ ক্যাডারে পরীক্ষার্থীর জন্য ১১০০ নম্বরের রিটেন পরীক্ষা দিতে হয়। রিটেন পরীক্ষার পাশ নম্বর হলো ৫০%। যারা প্রিলি পাশ করে রিটেনের প্রস্তুতি নিতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরলাম।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।
হাতের লেখা ও অন্যান্য:
____________________
অনেকেই খারাপ হাতের লেখা নিয়ে টেনশান করেন। সুন্দর হাতের লেখা একজন পরীক্ষককে সহজেই আকৃষ্ট করে। কিন্তু রিটেন খাতায় লিখা খারাপ হলেও যা লিখবেন তা যদি পড়া যায় তাহলে আর চিন্তা করতে হবেনা। একটি পূর্ন পৃষ্ঠায় সাধারণত ১৫-১৮ লাইন লিখা হলে ভালো। আর লক্ষ রাখতে হবে এক পৃষ্ঠা লেখা যেন কমপক্ষে ৪ মিনিটে লিখতে পারেন। রিটেনে প্রচুর লিখতে হয়। তাই টাইম মেনটেইন করা শিখতে হবে। যারা কোনো কোচিং সেন্টারে যান না, বা সারাদিনে তেমন লেখালেখি করেন না, তাদের জন্য পরামর্শ হলো দৈনিক কমপক্ষে ২/৩ পৃষ্ঠা লিখুন। আর অবশ্যই ঘড়ি ধরে ৪ মিনিটে এক পৃষ্ঠা শেষ করার চেষ্টা করুন। এ অনুশীলন অবশ্যই কাজে দিবে।
নীল কালির ব্যবহার:
__________________
প্রতিটা উত্তর শুরু করার আগে "২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর"- এ লেখাটা, প্রয়োজনীয় পয়েন্ট, কোটেশান, তথ্য প্রভৃতি নীল কালিতে লিখা উচিত। নীল কালিতে লিখলে পরীক্ষক সে লেখার প্রতি আকর্ষিত হবেন। আপনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দিলেন কিন্তু তা পরীক্ষক দেখলেন না তাহলে আপনার সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা কাজে আসলো না।
তবে সময় সুযোগ না থাকলে নীল কালি ব্যাবহার না করেও পয়েন্টের আান্ডারলাইন করেও পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। কোটেশন নীল কালিতে লিখলে খুব ভালো, আর লিখার সুযোগ না থাকলে তবে খাতার মাঝ বরাবর লিখবেন। তাহলে পরীক্ষকের চোখে পড়বে। যেমন-
"কে বলে শারদ শশি সে মুখের তুলা
পদনখে পড়ে আছে তার কতগুলা।"
এভাবে মাঝখানে লিখলে চোখে পড়বে। শুধু কবিতার লাইনই নয়, যে কোন কোটেশানই এভাবে দিতে পারবেন।
মার্জিন:
_______
একটি সুন্দর আর গুছানো খাতা আপনার রুচিবোধের পরিচয় দিবে। প্রথমে ২০ পৃষ্ঠার যে মূল খাতা দেয়া হবে তার উপরে আর বাম পাশে প্রায় ১ ইঞ্চি পরিমান পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করে নিতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাতায় মার্জিন করতে হবেনা, ভাঁজ করলে হবে। অতিরিক্ত খাতার কোনায় ১/২ নম্বর দিয়ে রাখবেন আর মূল খাতায় অতিরিক্ত খাতার ওএমআর ঘরে বৃত্ত ভরাট করতে ভুলবেন না।
পূর্ব পরিকল্পনা:
______________
যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধের নিয়ম আর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে রাখতে হয়। তাই রিটেন পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পত্র আর সিলেবাসের উপর ভালো ধারণা নিতে হবে। এটাই হলো পূর্ব পরিকল্পনা। বিগত বিসিএসের (৩৫,৩৬,৩৭) রিটেনের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন, প্রশ্নগুলো পড়ুন আর কয়েক বছরের প্রশ্ন পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা করুন। এবার সিলেবাস নিয়ে প্রতিটা বিষয়ের সিলেবাস ধরে দেখুন কোন কোন অধ্যায় থেকে প্রায় সময় প্রশ্ন আসে। সাথে সাথে আপনি কোন কোন অধ্যায়গুলো তে ভালো ধারণা রাখেন তাও দাগ দিয়ে রাখুন। এখানে বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো এমন ভাবে অনুশীলন করুন যেনো সে প্রশ্নগুলো আগামী পরীক্ষায় আসলে আপনি উত্তর করতে পারেন। রিটেন পরীক্ষায় হয়তে কয়েকটা প্রিভিয়াস প্রশ্ন পেয়েও যেতে পারেন।
এবার আমি বিষয় ভিত্তিক পরিকল্পনার কথা আলোচনা করছি।
______
বাংলা
______
বাংলা প্রথম আর দ্বিতীয় পত্রে মোট নম্বর ২০০। সময় থাকবে ৪ ঘণ্টা। প্রতিটা নম্বরের জন্য সময় ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। বাংলায় কিছু কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আসুন আমরা প্রথমেই বাংলা রিটেন পরীক্ষার টাইম সেটিং করে নিই।
☞ প্রথম পত্র
১) ব্যাকরণ :
___________
মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। (এখানে ভালো নম্বর পাবার সুযোগ আছে। তাই এ অধ্যায়ের উপর গুরুত্ব দিন। ৯-১০ম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও ড. সৌমিত্র শেখর স্যারের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই হতে সিলেবাস ধরে ধরে অনুশীলন করতে হবে। প্রয়োজনে যিনি ভালো বুঝেন তার কাছ থেকে ব্যাকরণ আয়ত্ব করে নিবেন। মনে রাখবেন, বাংলা ব্যাকরণ শুধু বিসিএস রিটেনে আসে এমন নয়, যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এটি আসে। তাই একবার ভালো প্রস্তুতি নিলে তা যে কোন পরীক্ষায় কাজে আসবে। এখানে উত্তর করার জন্য আপনার অবশ্যই ৩৬ মিনিটই লাগবে।
২) ভাব-সম্প্রসারণ:
________________
মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। ( ২০ নম্বরের জন্য সাধারণত ৪ পৃষ্ঠ লিখলে হবে। প্রতিপৃষ্ঠা ৪/৫ মিনিট ধরে এখানে ২০ মিনিটই যথেষ্ট। হাতে থাকলো ৪ মিনিট যা পরে কাজে লাগবে। এ অংশে মোটামুটি কমন কিছু প্রশ্ন পেতে পারেন। যুক্তি আর ভালো উপস্থাপনা থাকলে এখানে ভালো নম্বর পাবেন। কয়োকটা ভাব-সম্প্রসারণ খাতায় লিখে লিখে অনুশীলন করতে পারেন।
৩) সারমর্ম:
__________
মোট নম্বর ২০, সময় পাবেন ২৪ মিনিট। ( সারমর্ম লেখার জন্য ১০/১৫ মিনিটই যথেষ্ট। বাকি ১৪ মিনিট সহ মোট ১৮ মিনিট আপনার হাতে থাকলো। প্রয়োজনে ২/১ মিনিট বাড়তি সময়ও রাখতে পারেন।)
৪) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রশ্ন:
_________________________________
মোট নম্বর ৩০, সময় পাবেন ৩৬ মিনিট। ( এখানে সাধারণত ১০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়, প্রতি উত্তরে ৩ নম্বর করে। একটি পূর্ণ পৃষ্ঠায় দুটি করে প্রশ্নের উত্তর করুন। কোনো প্রশ্ন যত ভালোই পারেন না কেনো বেশি লিখার প্রয়োজন নেই। কারণ প্রতি প্রশ্নের উত্তরে মাত্র ৩ নম্বরই আছে। প্রয়োজনে কোটেশান দিবেন। এখানে ৪০ মিনিট সময় দিতে পারেন। ভালো আর গুছিয়ে লিখতে পারলে ভালো নম্বর অবশ্যই পাবেন। আপনার হাতে থাকলো প্রায় ১২/১০ মিনিট।)
☞ দ্বিতীয় পত্র:
১) অনুবাদ:
___________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( রিটেনে অনুবাদ খুবই গুরুত্ববহ কারণ মোট ৬৫ নম্বর আসে অনুবাদ থেকে। এখানে ভালো করার জন্য অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩/৪ লাইন করে অনুশীলন করুন। পরীক্ষায় অনেক কাজে দিবে। প্রয়োজনে অনলাইন বিডি নিউজের বাংলা ভার্সন কে নিজে ইংরেজীতে কয়েকলাইন অনুবাদ করে ইংরেজী ভার্সনের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। অনুবাদ সবসময় ১০০% সঠিক হতে হবে এমন নয়। কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ পেলেই নম্বর পাবেন। এখানে আপনার ১৮ মিনিটই লাগবে। হয়তো বেশিও লাগতে পারে। ১৮ মিনিটে করার চেষ্টা করবেন।
২) সংলাপ:
___________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( এখানে মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে পারবেন। আঞ্চলিক শব্দ এখানে প্রয়োগ করতে পারবেন। উত্তর করার জন্য ১২/১৫ মিনিটের বেশি প্রয়োজন নেই। হাতে থাকলো মোট ১৫ মিনিট।
৩) পত্রলেখা:
____________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। ( সময় বেশি লাগবোনা ১২/১৫ মিনিটই যথেষ্ট। হাতে থাকলো ১৮ মিনিট)
৪) গ্রন্থ সমালোচনা:
_________________
মোট নম্বর ১৫, সময় পাবেন ১৮ মিনিট। (মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সম্প্রতি পঠিত কোনো বই, বইমেলায় প্রকাশিত কোনো বই, ঐতিহ্য নিয়ে কোনো গ্রন্থের সমালোচনা খাতায় লিখে রাখবেন। কয়েকটা অনুশীলন করলেই হবে। ভালো লিখলে ভালো নম্বর পাবেন। একটি গ্রন্থ সমালোচনা লিখলে বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশের সময়, প্রকাশক, পটভূমি, চরিত্র, বিশেষ ঘটনা প্রভৃতি উল্লেখ করতে হবে। আপনার উত্তর করা গ্রন্থটি সময়োপযোগী কিনা তা আলোচনা করবেন। এখানে ১৮-২০ মিনিট লাগবে। সাধারণত ৩/৪ পৃষ্ঠা লিখলে যথেষ্ট।
৫) রচনা:
_________
মোট নম্বর ৪০, সময় ৪৮ মিনিট। (রচনা লেখার জন্য আপনি এখন ১ ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন কারণ আপনার হাতে আগেই ১২/১৫ মিনিট সময় ছিলো। এখানে ১ ঘণ্টা সময় অবশ্যই দিতে হবে। আর এ জন্য আগে থেকে সময় বের করে রাখতে হবে এ পরিকল্পনা অনুযায়ী। এখানে আনলিমিটেড লেখা যায়। তবে নিয়ম আর পরিকল্পনা করে লিখলে সময়ের ভিতর লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। রচনায় কিভাবে ভালো লিখবেন তা পরে আলোচনা করবো)
এভাবে পরিকল্পনাটা আপনি আগে থেকেই করে রাখবেন। কারণ একটি ভালো পরিকল্পনা কাজকে ৫০% এগিয়ে দেয়। পরিকল্পনা না করে পরীক্ষা দিলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। এটা আমার দুবার রিটেন দেয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বাংলায় নোট করার মত কিছু নাই। তবে সাহিত্য বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, গ্রন্থ সমালোচনা চর কিছু গুরুত্বপূর্ণ রচনার কী পয়েন্টগুলো লিখে নোট করুন। পরীক্ষার আগে এগুলোই দেখে যাবেন।
বাংলা রচনা কিভাবে লিখবেন:
___________________________
রচনায় কয়েকটা বিষয় লক্ষ রাখলে কম লিখেও ভালো নম্বর পাওয়াযায়। যেমন- ভালো উপস্হাপনা, তথ্য, চিত্র/গ্রাফ, কোটেশান, চিন্তিত মতামত প্রভৃতি। মনে রাখবেন সূচনা ভালো হলে রচনা ভালো হবে। তাই কয়েকটা রচনা থেকে মনের মতো করে কয়েকলাইন সূচনা তৈরী করে রাখুন। ইংরেজীতে এ বিষয়ে আমার একটি নোট আছে। সূচনা বেশি বড় করার প্রয়োজন নেই। এখন কথা হচ্ছে ৪০ নম্বরের জন্য কত পৃষ্টা লিখবেন? আপনার হাতে সময় থাকবে ৬০ মিনিট। তাই আপনি লিখতে পারবেন প্রায় ১৫ পৃষ্ঠা। এতটুকুই যথেষ্ট।
রচনায় অবশ্যই কোটেশান আর তথ্য দিয়ে পরিপূর্ণ করতে হবে। তথ্যবহুল না হলে রচনা লিখে ভালো নম্বর পাবেন না। তথ্য প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। আর প্রয়োজনে তথ্য বানিয়ে দিতে পারেন। যেমন, পরিবেশ নিয়ে কোনো রচনা আসলে আপনি লিখতে পারেন- গত জুনে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষা মতে দেশে বর্তমানে বৃক্ষ নিধনের হার গত বছরের চেয়ে ১.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যটা অপ্রাসঙ্গিক নয়, কারণ রোহিঙ্গাদের আবাসনে সত্যিই অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
যেকোন তথ্য, চিত্র, গ্রাফ, ছক অবশ্যই নীল কালিতে লিখবেন। পরীক্ষার খাতায় রচনা লিখার আগে একটা পৃষ্ঠায় একটা খসড়া করবেন। এখানে আপনি কোন কোন পয়েন্টগুলো লিখবেন তা সংক্ষিপ্ত করে লিখবেন। রচনা লেখার সময় এ খসড়া দেখে দেখে আপনি উত্তর করতে পারবেন। অর্থাৎ লেখার সময় পয়েন্টগুলো নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবেনা। এ কৌশলকে বলাহয় ব্লু প্রিন্ট করা। রচনা লেখা শেষ হলে সে খসড়াটা কেটে দিবেন। এটা ইংরেজীতেও করা যায়। নিচে একটা নমুনা দেয়া হলো:
রচনা:
______
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
সূচনা, পরিবেশ দূষণ কী? বিশ্বে পরিবেশ দূষনের চিত্র(তথ্য সহ), পরিবেশ দূষণের ধরণ:-পানি, বায়ু, শব্দ, মাটি দূষন। কারণ- জনসংখ্যা( table), শিক্ষার অভাব, দুর্নীতি(গ্রাফ), রাজনৈতিক সহিংসতা, জ্বালানী চাহিদা, বেকারত্ব,শিল্পায়ন(তথ্য), বিশ্বায়ন, বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলানো, চাহিদা পূরণ, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে, দারিদ্র্য(তথ্য), প্রভৃতি। দূষণের পেছনে দেশ সমূহ: UNEP এর একটি ছক দিতে হবে, % সহ। বাংলাদেশে দূষনে কী কী হচ্ছে-রোগ বাড়ছে(কল্পিত ছক দেয়া যাবে), উর্বরতা কমছে, উৎপাদন কম(তথ্য), উষ্ণতা বৃদ্ধি(UNFCC এর তথ্য, নিম্নভূমি ডুবি(তথ্য), খাদ্য ঘাটতি প্রভৃতি। প্রতিকার: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা বৃদ্ধি, সভা-সেমিনার, সচেতনতা, পাঠ্যতালিকা ভুক্তি, বিকল্প জ্বালানী (তথ্য), পারমানবিক শক্তি, বনায়ন(তথ্য), প্রভৃতি। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ:অনেক তথ্য দেয়া যাবে (নম্বর পাবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ)। চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ, ক্লাইমেট ফান্ড। উপসংহার।
রচনা লিখার আগে এমন একটি খসড়া লিখে রাখলে রচনা লিখার সময় কী লিখবেন তা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা। রচনার প্রিপারেশন নেয়ার সময় আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কমন রচনার জন্য এ রকম খসড়া বা ব্লু প্রিন্ট করে নোট করে রাখতে পারেন এতে পরীক্ষার আগের রাতে শুধু এটা দেখে গেলই হবে।
প্রতিটা রচনা লেখার সময় সূচনা লেখার পরের পয়েন্ট লিখবেন বিষয়টা কী তা নিয়ে। যেমন আমি উপরে নমুনা খসড়ায় লিখেছিলাম, পরিবেশ দূষণ কী? এখানে অবশ্যই একটা প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বা দেশিয় প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা দিবেন। যেমন, সুশাসন নিয়ে লিখতে গেলে, সুশাসন কী? এই পয়েন্টে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা দিতে পারেন। সংজ্ঞা না জানলে বানিয়ে দিবেন।
পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখবো। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মোঃ জহির আব্বাস
বিসিএস সমবায় (সুপারিশপ্রাপ্ত), মেধাক্রম-৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।


==============================
38 BCS Written Full Suggestion
Part 1-7
পর্ব-১ : সাধারণ বিষয়াবলী
১। প্রথমে বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সিলেবাস ও বিগত বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার (১০ম-৩৭তম) প্রশ্নাবলী সংগ্রহ করুন।
২। রিটেনের জন্য ৩ টি নোট খাতা তৈরি করুন।
*খাতা ১: বাংলাদেশ বিষয়াবলী
*খাতা ২: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
*খাতা ৩: বাংলা রচনা+English Essay
৩। বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষার রেজাল্টের পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো Study করুন।
-বিজ্ঞান (ওরাকল বিজ্ঞান বই)
-সাধারণ গনিত (ওরাকল + ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গনিত ও উচ্চতর গনিত)
-আরিফ খানের ব্যাখ্যাসহ সংবিধানের বই।
৪। যারা বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষায় ১১৫+ পাবেন বলে আশা করছেন, তারা যে কোন একটি ভাল মানের কোচিং (ওরাকল/কনফিডেন্স)-এ ভর্তি হয়ে যান। এবং যারা ১১০+ পাবেন আশা করছেন, তারা রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
----------------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-২: লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উল্লেখযোগ্য বইয়ের তালিকা।
★বাংলা:
১। অ্যাসিওরেন্স/ওরাকল বাংলা গাইড
২। লাল নীল দীপাবলি (প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য)
৩। ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ (ব্যাকরণ,সারাংশ,ভাব-সম্প্রসারণ,রচনা)
৪। শীকর- মোহসীনা নাজিলা (গ্রন্থ সমালোচনা)
৫। বাংলা-২য় পত্র (৯ম-১০ম শ্রেণি)
★ইংরেজি:
১। Self Assessment/ Assurance English Guide.
২। Master English Grammar.
৩। English paper reading. (Translation & Re-translation)
★সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা:
১। ওরাকল গনিত গাইড।
২। ওরাকল মানসিক দক্ষতা।
৩। সাধারণ গনিত (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৪। উচ্চতর গনিত (৯ম-১০ম শ্রেণি)
[ বি.দ্র.:
** যারা গনিতে দুর্বল, তারা 'Khairul's Basic Math' বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
** যারা probability, permutation & combination math-এ দুর্বল, তারা Youtube থেকে 'Onnorokom pathshala (অন্যরকম পাঠশালা)'-র ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারেন। অনেক উপকৃত হবেন। ]
★বাংলাদেশ বিষয়াবলী:
১। অ্যাসিউরেন্স গাইড।
২। বাংলাদেশের সংবিধান (ব্যাখ্যাসহ)- আরিফ খান।
৩। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৪। বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৫। অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৭
৬। দৈনিক প্রথম আলো- (জাতীয়, সম্পাদকীয় পাতা, অর্থনীতি পাতা)।
৭। সম্পাদকীয় সমাচার।
★আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী:
১। অ্যাসিউরেন্স/মিলার'স গাইড।
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিষয়াদি- আব্দুল হাই
২। দৈনিক প্রথম আলো- (আন্তর্জাতিক পাতা, সম্পাদকীয় পাতা)।
৩। সম্পাদকীয় সমাচার।
★বিজ্ঞান:
১। ওরাকল বিজ্ঞান গাইড।
২। সাধারণ বিজ্ঞান (৯ম-১০ম শ্রেণি)
৩। সাধারণ বিজ্ঞান (৮ম শ্রেণি)
৪। কম্পিউটার (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)
-------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-৩: বিজ্ঞান
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পেতে বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিটেন সিলেবাস অনুযায়ী বিজ্ঞানকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. সাধারণ বিজ্ঞান (৬০)
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (২৫)
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি (১৫)
ক. সাধারণ বিজ্ঞান:
বিজ্ঞানের এই অংশে সাধারণত সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এই অংশের সৃজনশীল প্রস্তুতি ভাল নাম্বার অর্জনে সহায়ক হবে।
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
★আলো(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★শব্দ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৭ম অধ্যায়,৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-১ম পত্র (শাহজাহান তপন)
★চুম্বকত্ব(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★অম্ল,ক্ষারক ও লবণ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১০ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-৭ম অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পানি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-২য় অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★আমাদের সম্পদ(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৮ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পলিমার(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৬ষ্ঠ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★বায়ুমণ্ডল(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক ভূগোল
★খাদ্য ও পুষ্টি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৩ তম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-১ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★জৈব প্রযুক্তি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৪ তম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি:
এই অংশে নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং সৃজনশীল প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নাই।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি'
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজ

পর্ব-৩: বিজ্ঞান
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পেতে বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিটেন সিলেবাস অনুযায়ী বিজ্ঞানকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. সাধারণ বিজ্ঞান (৬০)
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (২৫)
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি (১৫)
ক. সাধারণ বিজ্ঞান:
বিজ্ঞানের এই অংশে সাধারণত সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এই অংশের সৃজনশীল প্রস্তুতি ভাল নাম্বার অর্জনে সহায়ক হবে।
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
★আলো(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★শব্দ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৭ম অধ্যায়,৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-১ম পত্র (শাহজাহান তপন)
★চুম্বকত্ব(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন)
★অম্ল,ক্ষারক ও লবণ(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১০ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-৭ম অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পানি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-২য় অধ্যায়,৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★আমাদের সম্পদ(**):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৮ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★পলিমার(*):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৬ষ্ঠ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★বায়ুমণ্ডল(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক ভূগোল
★খাদ্য ও পুষ্টি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৩ তম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-১ম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★জৈব প্রযুক্তি(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
★রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা(***):
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-১৪ তম অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
খ. কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি:
এই অংশে নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে। সুতরাং সৃজনশীল প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নাই।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি'
গ. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি:
এই অংশেও নন-সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে।
সহায়িকা:
-ওরাকল বিজ্ঞান গাইড
-৯ম অধ্যায়,৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান
-দ্বাদশ অধ্যায়,৯-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান-২য় পত্র (শাহজাহান তপন
Point to be noted:
-'To the point'- এ উত্তর করবেন।
-চিত্র আঁকতে পেন্সিল এবং বিক্রিয়া লিখতে কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
-যেহেতু 'সাধারণ বিজ্ঞান' অংশে সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে থাকে সেহেতু এই অংশের(৮ম; ৯-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট অধ্যায়) সৃজনশীল প্রস্তুতি নিতে হবে।
-'কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি' এবং 'ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস টেকনোলজি' অংশে সাধারণত পূর্বের বিসিএসের প্রশ্ন রিপিট করা হয়। সুতরাং এই অংশের পূর্বের বিসিএসের প্রশ্নগুলো ভাল করে সলভ করতে হবে।
-------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি
পর্ব-৪: গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নাম্বার পার্থক্য সৃষ্টিকারী বিষয় 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা'। সুতরাং এই বিষয়ে আপনার পরিকল্পিত পড়াশোনা, ক্যাডার হওয়ার দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
বিসিএস (লিখিত) সিলেবাস অনুযায়ী, 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা'-কে ২টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
ক. গাণিতিক যুক্তি (৫০)
খ. মানসিক দক্ষতা (৫০)
ক. গাণিতিক যুক্তি:
অধ্যায়ভিত্তিক সহায়িকা:
১। Simplification of Arithmetic & Algebraic Expressions:
-ওরাকল গণিত গাইড
২। পাটীগণিত:
A. Unitary Method(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Average:
- ওরাকল গণিত গাইড
C. Percentage:
- ওরাকল গণিত গাইড
D. Simple & Compund Interest(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ২য় অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
E. LCM:
- ওরাকল গণিত গাইড
F. GCD:
- ওরাকল গণিত গাইড
G. Ratio & Proportion(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- একাদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
H. Profit & Loss(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ২য় অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
৩। বীজগণিত:
A. Algebraic Formulas(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৪র্থ অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Factorization of Polynomials(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ২য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
C. Linear & Quadratic Equations(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ৪র্থ অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-২য় পত্র' [অসীম কুমার সাহা]
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
D. Linear & Quadratic Inequalities(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৪। Systems of Linear Equations with two or three unknowns(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- দ্বাদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৫। Exponents & Logarithms, Exponential & Logarithmic functions(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৪র্থ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৯ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৬। Arithmetic & Geometric Sequences & Series(**):
- ওরাকল গনিত গাইড
- ত্রয়োদশ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৭ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৭। জ্যামিতি:
A. Line, Angle, Triangle related theorems(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১৪ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
B. Theorem of Pythagoras(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৯ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
C. Circle- theorems, Corollaries(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১০ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ৮ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
৮। জ্যামিতি:
A. Area related theorems & Construction:
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৫ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
B. Mensuration-plane figures & solid objects(**):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৬ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১৩ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
৯। Cartesian Geometry- Distance, Equation of a straight Line(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১১ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ৩য় অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-১ম পত্র'
১০। ত্রিকোণমিতি:
A. Trigonometric ratios & functions(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৯ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ৮ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
B. Problems on height & distances(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১০ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
১১। Set theory & Venn diagram(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৭ম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'গণিত'
- ২য় অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'সাধারণ গণিত'
- ১ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
১২। বীজগণিত:
A. Permutations & Combinations(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ৫ম অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-১ম পত্র'
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
B. Elementary Probability(***):
- ওরাকল গণিত গাইড
- ১৪ তম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত'
- ১০ম অধ্যায়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'উচ্চতর গণিত-২য় পত্র'
- ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা'
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন:
- প্রথমে বিগত বিসিএস ( লিখিত) পরীক্ষার প্রশ্নাবলী সমাধান করতে হবে।
- সিলেবাস অনুযায়ী বোর্ড বইয়ের অধ্যায়গুলো সমাধান করবেন।
- সর্বশেষ ওরাকল গাইড সমাধান করবেন।
খ. মানসিক দক্ষতা:
মানসিক দক্ষতা অংশে ৫০টি নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান ১ এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ করে নেগেটিভ মার্কস কাটা যায়।
★সহায়িকা:
- ওরাকল 'মানসিক দক্ষতা' গাইড
- অ্যাসিওরেন্স 'মানসিক দক্ষতা' গাইড
- বিসিএস (প্রিলি.)-র 'মানসিক দক্ষতা'-র বিগত সালের প্রশ্নাবলী
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন:
- প্রথমে বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার 'মানসিক দক্ষতা' অংশের বিগত সালের প্রশ্নাবলী সমাধান করবেন।
- বিসিএস (প্রিলি.)-র 'মানসিক দক্ষতা' অংশের বিগত সালের প্রশ্নাবলী সমাধান করবেন।
- সর্বশেষ সিলেবাস অনুযায়ী ওরাকল ও অ্যাসিওরেন্স গাইড সমাধান করবেন।
Point to be noted:
- 'গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা' regularly practice করবেন।
- সাধারণত শোবার আগে অর্থাৎ রাত্রে গনিত করবেন।
- দ্বিঘাত সমীকরণ, বিন্যাস-সমাবেশ ও সম্ভাব্যতার অংক করতে সমস্যা হলে অবশ্যই - ইউটিউব চ্যানেল 'অন্যরকম পাঠশালা' থেকে বুঝে নিবেন।
- পরীক্ষার কেন্দ্রে বীজগণিত সবার আগে এবং জ্যামিতি সবার পরে করবেন।
- পরীক্ষা দেবার পরে অবশ্যই 'রিভিশন' দিবেন।
- মানসিক দক্ষতার পরীক্ষার সময় সহজ প্রশ্নাবলী আগে এবং জটিল প্রশ্নাবলী পরে উত্তর করবেন।
----------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি'
"কোটেশন ও সাহিত্যিক ভাষার ব্যবহার,
বাংলায় পাবেন বেশি বেশি নাম্বার"
পর্ব-৫: বাংলা
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাকে ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১। বাংলা-১ম পত্র(১০০)
২। বাংলা-২য় পত্র(১০০)
বাংলা-১ম পত্র:
১। ব্যাকরণ:
ক. শব্দগঠন:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-শব্দের শ্রেণিবিভাগ (অর্থ, গঠন ও উৎস অনুসারে)
-সাধিত শব্দ গঠন প্রক্রিয়া।
-সন্ধি কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
-সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য লিখুন।
-'উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে'- ব্যাখ্যা করুন।
-দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
-পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লিখুন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
খ. বানান/বানানের নিয়ম:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-বাংলা একাডেমী প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান রীতি অনুসারে তৎসম ও অ-তৎসম শব্দের নিয়মাবলী।
-ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের নিয়মাবলী।
-বিভিন্ন শব্দের বানান শুদ্ধিকরণ।

★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
গ. বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ:
-বিভিন্ন বাক্যের শুদ্ধিকরণ practice করতে হবে।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
ঘ. প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ প্রকাশ:
-তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে।
-Regular অল্প অল্প করে study করতে হবে।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
-প্রফেসর'স প্রবাদ-প্রবচন গাইড
-প্রবাদ-প্রবচনের উৎস অনুসন্ধান- সমর চন্দ্র পাল
ঙ. বাক্যগঠন:
*গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী:
-বাক্যের শ্রেণিবিভাগ।
-সার্থক বাক্যের ৩টি গুণ।
-বাক্যের রুপান্তরকরণ।
-যতি চিহ্নের ব্যবহার।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-৯-১০ম শ্রেণির বাংলা-২য় পত্র
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
২। ভাব-সম্প্রসারণ:
-প্রস্তুতিতে কম সময় ব্যয় করুন।
-প্রদত্ত বাক্যটিকে বারবার পড়ে অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
-কোটেশন ও উদাহরণ নোট করে পড়বেন এবং লিখতে কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৩। সারাংশ/সারমর্ম:
-প্রদত্ত অংশটিকে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর নিচে আন্ডারলাইন করে মূলভাব বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
-লেখার আগে রাফ করে নিবেন।
-প্রদত্ত অংশের ১/৩ অংশ লিখবেন।
-কোন প্রকার উদাহরণ দেওয়া যাবে না।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৪। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-বিষয়ক প্রশ্ন:
- সর্বদা কোটেশন ব্যবহার করবেন।
-সাহিত্যিক ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
ক. প্রাচীন যুগ:
(***লাল নীল দীপাবলি ভাল করে পড়বেন)
-চর্যাপদ***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-লাল নীল দীপাবলি
-George's বাংলা mp3
খ. মধ্যযুগ:
(***লাল নীল দীপাবলি ভাল করে পড়বেন)
-শ্রীকৃষ্ণকীর্তন***
-মঙ্গলকাব্য***
-বৈষ্ণব পদাবলি***
-মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
-ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর
-শ্রী চৈতন্যদেব**
-অন্ধকার যুগের সাহিত্য**
-জীবনী সাহিত্য**
-অনুবাদ সাহিত্য**
-দোভাষী পুথি
-নাথ সাহিত্য
-মর্সিয়া সাহিত্য
-আরাকান রাজসভা***
-আলাওল***
-রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান***
-লোকসাহিত্য***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-লাল নীল দীপাবলি
-George's বাংলা mp3
গ. আধুনিক যুগ:
-ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ***
-হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল
-কল্লোল যুগ**
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর***
-কাজী নজরুল ইসলাম***
-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর**
-মীর মোশাররফ হোসেন**
-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়***
-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়*
-মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়*
-ফররুখ আহমেদ*
-জসিম উদ্দীন*
-মাইকেল মধুসূদন দত্ত***
-বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন**
-বিহারীলাল চক্রবর্তী**
-কায়কোবাদ*
-ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত**
-জীবনানন্দ দাশ**
-শওকত ওসমান**
-আখতারুজ্জামান ইলিয়াস**
-সৈয়দ শামসুল হক**
-সবুজপত্র পত্রিকা***
-শামসুর রহমান**
-প্রমথ চৌধুরী**
-জহির রায়হান*
-মুনীর চৌধুরী**
-বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন***
-মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/প্রবন্ধ/গল্প/কাব্যগ্রন্থ***
-ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/

-ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ৩ টি উপন্যাস/নাটক/
প্রবন্ধ/গল্প/কাব্যগ্রন্থ***
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-শীকর গ্রন্থ-সমালোচনা- মোহসিনা নাজিলা
-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- সৌমিত্র শেখর
বাংলা-২য় পত্র:
১। অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা):
-ইংরেজির সাথে প্রস্তুতি নিবেন।
-সাধারণত সহজ অনুবাদ দেওয়া হয়।
-অনুবাদ লেখার আগে রাফ করে নিবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
-English Newspaper Reading
২। কাল্পনিক সংলাপ:
-ফরমেট দেখে যাবেন।
-প্রস্তুতিতে কম সময় ব্যয় করুন।
-সংলাপের বিষয়বস্তুকে ভাল করে বোঝার পর লেখা শুরু করবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
৩। পত্রলিখন:
-ফরমেট/নিয়ম-কানুন জানতে হবে।
-সর্বদা বাম পাশের পৃষ্ঠা থেকে লেখা শুরু করবেন।
-প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বেশি সময় ব্যয় করবেন না। কারণ এখানে মুখস্থ করার কিছু নাই, শুধু ফরমেট দেখে যাবেন।
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
৪। গ্রন্থ-সমালোচনা:
-প্রস্তুতিতে একটু বেশি সময় ব্যয় করুন।
-যেহেতু সরাসরি স্পেসিফিক কোন গ্রন্থের সমালোচনা লিখতে বলা হয় না, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের একটি করে গ্রন্থের সমালোচনা নোট করে প্রস্তুতি নিবেন।
-সমালোচনা লিখতে ঐ গ্রন্থের পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় দিকই তুলে ধরতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ-সমালোচনার স্যাম্পল:
*মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস/নাটক- (রাইফেল রোটি আওরাত/পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়)
*ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস/নাটক- (আরেক ফাল্গুন/কবর)
*ঊণসত্তরের গণঅভ্যুত্থানভিত্তিক উপন্যাস- (চিলেকোঠার সেপাই)
*সামাজিক উপন্যাস- (পদ্মা নদীর মাঝি)
*ঐতিহাসিক উপন্যাস/নাটক
*রাজনৈতিক উপন্যাস
*রোমান্টিক উপন্যাস- (কপালকুণ্ডলা)
*মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস- (চোখের বালি)
*ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস- (বিষাদ সিন্ধু)
*৪৩'র দুর্ভিক্ষ ও দেশবিভাগ সংক্রান্ত উপন্যাস- (সূর্যদীঘল বাড়ী)
*ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংক্রান্ত উপন্যাস- (লালসালু)
*অসমাপ্ত আত্নজীবনী
*কারাগারের রোজনামচা
★সহায়িকা:
-ওরাকল বাংলা গাইড
-শীকর গ্রন্থ-সমালোচনা- মোহসিনা নাজিলা
৫। রচনা:
-ইংরেজির সাথে প্রস্তুতি নিবেন।
-সাজেশন করে প্রস্তুতি নিবেন।
-কোটেশন, চিত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করবেন এবং পরীক্ষার খাতায় কালার পেন দিয়ে লিখবেন।
-সব প্রশ্নের শেষে রচনা লিখবেন।
(গুরুত্বপূর্ণ রচনা: পোশাক শিল্প, পর্যটন শিল্প, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বদেশপ্রেম, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও প্রতিকার/জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশে তার প্রভাব, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি: সমস্যা ও সম্ভাবনা, বিদ্যুৎশক্তি ও বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, পদ্মা সেতু, ব্লু-ইকোনমি, বিনিয়োগ: সমস্যা ও সম্ভাবনা, জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিটেন্স অর্জন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বৈদেশিক রপ্তানি: সমস্যা ও সম্ভাবনা, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা)
★সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স বাংলা গাইড
-ভাষা ও শিক্ষা- হায়াৎ মামুদ
---------------------------------------------------
"বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি"
পর্ব-৬: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীকে ৩ টি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
১। ছোট প্রশ্ন(৪০)
২। বড় প্রশ্ন(৪৫)
৩। প্রব্লেম সলভিং(১৫)
১। ছোট প্রশ্ন (৪০):
এই অংশে ১০ টি ছোট প্রশ্নের উত্তর করতে হয়।
★কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন?
-সিলেবাস অনুযায়ী এই অংশের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, গঠন, কার্যাবলি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পড়তে হবে।
-সংজ্ঞা পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোন লেখক / বিজ্ঞানী / সংস্থা / ওয়েবসাইটের দেওয়া সংজ্ঞা পড়বেন।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-কোটেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কালার পেন (নীল) ব্যবহার করবেন।
-পার্থক্য অবশ্যই ছক আকারে লিখবেন।
-কোন কিছুর সংজ্ঞা আসলে, সংজ্ঞার সাথে ঐ বিষয়ের প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য লেখার চেষ্টা করবেন।
★গুরুত্বপূর্ণ টপিকস:
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক*
-আন্তর্জাতিক রাজনীতি*
-Clash of Civilization
-স্নায়ুযুদ্ধ
-স্টেট ও নন-স্টেট অ্যাক্টর*
-রাষ্ট্র কাকে বলে? রাষ্টের শ্রেণিবিভাগ*
-রাষ্ট্রের উপাদান
-জাতিতাত্ত্বিক রাষ্ট্র*
-ক্ষুদ্র রাষ্ট্র
-আধুনিক রাষ্ট্র*
-ছিটমহল, করিডর, ট্রানজিট, ট্রান্সশীপমেন্ট*
-সার্বভৌম ও সার্বভৌমত্ব*
-শক্তিসাম্য (Balance of power)*
-শক্তিসাম্য রক্ষা করার কৌশল
-অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ*
-ভূ-রাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি
-ভূ-রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরের ভূমিকা
-সন্ত্রাসবাদ
-জাতীয়তাবাদ
-সাম্রাজ্যবাদ*
-উপনিবেশবাদ*
-নব্য-উপনিবেশবাদ*
-বিশ্বায়ন*
-বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার মূল চালিকাশক্তি*
-নয়া বিশ্বব্যবস্থা
-পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি
-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নির্ধারক*
-SDG ও MDG*
-ব্লূ-ইকোনমি*
-মৈত্রী চুক্তি ও নিরাপত্তা চুক্তির মধ্যে পার্থক্য
-Responsibility to protect (R2P)
-জেনেভা কনভেনশন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও আমেরিকা*
★Global Initiatives & Institutions:
-'WB, IMF ও WTO হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো শোষণের অন্যতম হাতিয়ার'*
-স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে WB ও IMF-র ভূমিকা
-ADB
-Kyoto Protocol
★Regional Institutions:
-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে SAARC-র সাফল্য ও ব্যর্থতা
-রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ASEAN-র ভূমিকা*
-'BIMSTEC কে কেন SAARC ও ASEAN-র সেতুবন্ধন বলা হয়'?
-'কাতার ইস্যু সমাধানে GCC-র ভূমিকা'*
-'ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে OIC-র ভূমিকা'*
★Major Issues & Conflicts in the world***:
-মধ্যপ্রাচ্য/ফিলিস্তিন ইস্যু*
-কাশ্মীর ইস্যু
-সিরিয়া ইস্যু
-ইরান ও নিউক্লিয়ার ইস্যু
-উত্তর কোরিয়া ইস্যু*
-দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু
-কাতার ইস্যু *
-ফার্ক-কলম্বো সরকারের শান্তিচুক্তি*
-ইয়েমেন সংকট*
-ভেনিজুয়েলা ইস্যু
★Politics in South Asia***:
-বিশ্বরাজনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব
-বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক*
-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক/কাশ্মীর ইস্যু
-বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্পর্ক/রোহিঙ্গা ইস্যু*
-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
-বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক*
★Bangladesh in International Affairs:
-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
-টিকফা কী? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টিকফা চুক্তির প্রভাব
★কিভাবে পড়বেন?
-প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ রিডিং দিবেন।
-চিত্র/মানচিত্র সহকারে নোট করবেন।
-রিসেন্ট তথ্য পড়ার চেষ্টা করবেন।
-বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে পড়ার চেষ্টা করবেন।
-একই টপিকস একাধিক সূত্র/বই থেকে পড়ার চেষ্টা করবেন।
-শুধুমাত্র কী ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুখস্থ করবেন এবং চিত্র practice করবেন।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-চিত্র/মানচিত্র দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
-কোটেশন/গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে নীল কালির পেন ব্যবহার করবেন।
-প্রশ্নের উত্তরের কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটির দিকে নজর দিবেন।
-কোন Conflict-র (কাশ্মীর ইস্যু) উত্তর করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
[ভূমিকা > প্রেক্ষাপট > বর্তমান অবস্থা > চিত্র(যদি সম্ভব হয়! > কারণ > ফলাফল > সমাধান > উপসংহার]
-কোন সংগঠন/সংস্থা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে ঐ সংস্থার গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সহকারে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ের উত্তর করতে হবে।
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি (আব্দুল হাই)
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
-দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক (আন্তর্জাতিক পাতা)
-ইন্টারনেট
৩। প্রব্লেম সলভিং(১৫):
এই অংশে সমসাময়িক কোন সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়।
★গুরুত্বপূর্ণ টপিকস:
-রোহিঙ্গা সমস্যা*
-সন্ত্রাসবাদ ইস্যু
-কাতার ইস্যু*
-বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI)
-বৈশ্বিক জলবায়ু
★কিভাবে পড়বেন?
-বড় প্রশ্নের সাথেই প্রিপারেশন নিবেন।
-আলাদা করে পড়ার দরকার নাই।
★কিভাবে উত্তর করবেন?
-সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সিকুয়েন্স অবলম্বন করতে পারেন:
[ভূমিকা > প্রেক্ষাপট > বর্তমান অবস্থা > সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সুপারিশ > বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশ > আপনার ব্যক্তিগত সুপারিশ > আপনার সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক আইন/রেফারেন্স > উপসংহার।]
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি (আব্দুল হাই)
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
-দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাক (সম্পাদকীয় পাতা)
-ইন্টারনেট
------------------------------------------------
'বিসিএস (লিখিত) প্রস্তুতি
পর্ব-৭: বাংলাদেশ বিষয়াবলী
বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সুতরাং লিখিত পরীক্ষায় অধিক নাম্বার অর্জনে বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ভাল করা আবশ্যক।
★Geography of Bangladesh***:
-বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আয়তন, সীমানা
-বঙ্গোপসাগরের সীমারেখা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-সেন্ট মার্টিনের সীমারেখা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-সুন্দরবনের আয়তন ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
-ব-দ্বীপ কী? এর শ্রেণিবিভাগ করুন এবং বাংলাদেশকে কেন বৃহত্তম ব-দ্বীপ বলা হয়?
-আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূ-প্রকৃতির প্রভাব
-জুমচাষ কী? এর ক্ষতিকর প্রভাব
-কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
-কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
-বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রকারভেদ
-ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা-২১০০
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-৫ম অধ্যায়, ৯-১০ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★Demographic features:
-ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কী?
-বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, প্রভাব ও সমাধান
-'আদিবাসী' বনাম 'উপজাতি'
-বাঙালিকে কেন সংকর জাতি বলা হয়?
-বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যা, সমস্যা না সম্পদ?
-চাকমা, সাওতাল, গারো উপজাতিদের বৈশিষ্ট্য
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-১১তম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★History & Culture of Bangladesh**:
-বাংলার প্রাচীন জনপদ- বঙ্গ, রাঢ়, হরিকেল, সমতট, গৌড়
-আওয়ামী


-৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
-GDP vs GNP
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স খাতের অবদান
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান
-দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য
-পদ্মা সেতু প্রকল্প
-GDP-তে মৎস খাতের অবদান
-GI পণ্য
-অর্থনীতিতে SEZ ও EPZ-র অবদান
-বাংলাদেশের শিল্পায়নের সমস্যা
-বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা
-বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান
-অর্থনীতিতে বেসরকারিকরণের গুরুত্ব
-PRSP
-একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প
-ভিশন-২০২১
-অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান
-অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের অবদান
-জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮
-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৭
-মহিদ'স সম্পাদকীয়
★Bangladesh's environment & nature:
-তিস্তার পানি সংকটের পরিবেশগত প্রভাব
-সুন্দরবনের পরিবেশের উপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব
-সমূদ্রের জলস্ফীতিজনিত কারণে বাংলাদেশের উপর প্রভাব
-আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প
-প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে অন্তরায়
-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
-SPARSO
-পরিবেশের উপর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
★Natural Resources of Bangladesh:
-বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ
-বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব
-বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার গুরুত্ব
-প্রাকৃতিক গ্যাস সংকট নিরসনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
-অর্থনীতিতে বনজ সম্পদের ভূমিকা
-প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে বায়োগ্যাসের সম্ভাবনা
সহায়িকা:
-অ্যাসিওরেন্স গাইড
-১২তম অধ্যায়, ৮ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়'
★Constitution***:
-'রাষ্ট্রের পছন্দকৃত জীবন পদ্ধতিই সংবিধান'
-সংবিধানের সংশোধনীসমূহ
-সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত ১২ নং ধারা
-সংবিধানের ৭০নং ধারার সংস্কার
-সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ধারা সমূহ
-রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনী‌তি


=======================================


#38th_BCS_Written_Book_List:->>>
#বাংলা :(২০০ নম্বর)
★ব্যাকরণ
১। দর্পণ --সৌমিত্র শেখর (খুবই ভাল)
২। সমর সেনের বাগধারার বই
★সাহিত্য
১। এসিউরেন্স গাইড+ প্রফেসরের গাইড
২। শীকর গ্রন্থ সমালোচনা - মোহসীনা
নাজিলা
৩। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা --- সৌমিত্র শেখর (প্রিলির)
৪।
★অনুবাদ -
ইংরেজি অনুবাদ অংশ প্র্যাকটিস করলেই বাংলার জন্য পারবেন,!

#ইংরেজি :(২০০ নম্বর)
★গ্রামার
১। A text Book of Advanced Functional English - Mahiuddin & Kashem
২। Millers Guide
Assurance Guide
★Translation & Essay
১। Millers + Assurance Guide
২।English newspaper --- The daily star (specially Editorial. part)
৩। বাংলা পত্রিকা (প্রথম আলো /অন্যান্য ---সম্পাদকীয়)
বিভিন্ন গ্রুপের অনুবাদ সংগ্রহ করে রাখুন যেমন - Zakir's BCS Special
#গণিত#মানসিক_দক্ষতা : (৫০+৫০= ১০০ নম্বর)
১। oracle গাইড
২। গণিত - ৯ম-১০ম
৩। উচ্চতর গণিত - ৯ম-১০ম ( সিলেবাসের প্রদেয় অধ্যায়)
,
#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি: (২০০ নম্বর)
১। Assurance guide + Professor guide
২। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- ৯ম-১০ম
৩। বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা ( ৯ ম -১০ ম
৪। অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৭
৫।বাংলাদেশের সংবিধান -- আরিফ খান
৬।সংবাদ পত্র - নিয়মিত গুরুত্ববহ কলাম কাটিং
৭। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস -- আবু দেলোয়ার স্যার
,
#আন্তর্জাতিক_বিষয়াবলি:(১০০ নম্বর)
১। Assurance + Professor guide
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিষয়াবলি- আবদুল হাই
৩। রাজনীতির ১০০ বছরের ইতিহাস -- তারেক শামসুর রেহমান
৪। রাজনীতি কোষ -- হারুনুর রশিদ
৫।নিয়মিত পত্রিকার আন্তর্জাতিক অংশ কাটিং
,
#বিজ্ঞান#প্রযুক্তি:(১০০ নম্বর)
১। ওরাকল গাইড
২। বিজ্ঞান - ৯ম-১০ম
৩।কম্পিউটার (৯-১০) এবং ইন্টারমিডিয়েট
৪। পদার্থ ৯-১০
#সহায়ক :
★কারেন্ট এফেয়ার্স গত একবছরের
★সম্পাদকীয় সমাচার
★ সিনিয়র ক্যাডারদের নোট সংগ্রহ
★ বিভিন্ন স্বনামধন্য ওয়েব সাইট (বিশ্ব + জাতীয়) যেমন বাংলাদেশের "জাতীয় তথ্য বাতায়ন "
বি দ্রঃ পরবর্তী কিস্তিতে কোন বই থেকে কতটুকু এবং কিভাবে বেশি নাম্বার তোলা যায় এর কৌশল, কোনগুলো নোট, কিভাবে করা উচিত তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে!
শাকিল আল-আমিন
বিসিএস শিক্ষা -৩৬ তম ব্যাচ (সুপারিশ প্রাপ্ত)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০৫-০৩-২০১৮ খ্রি:



Zakir's BCS specials
৩৮ লিখিত প্রস্তুতিঃ
প্রস্তুতিকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলুন।
১// গণিত /বিজ্ঞান/ইংরেজি
২// বাংলা/বাংলাদেশ বিষয়াবলী /আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
এরপর সুবিধামত পড়ুন।
১ম ভাগ
--------------------------+++-----------------------
গণিত :
নবম দশম সাধারণ গণিত আর উচ্চতর গণিত বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী আগাগোড়া সব অংক করবেন।৪০/৪৫পাবেন, সিওর।
৫০ পেতে হলে একাদশ,দ্বাদশ (যেকোন লেখক)এর ৩/৪ টা চ্যাপ্টার এর সহজ,মোটামুটি সরজ/কঠিন অংকগুলো করতে হবে।
সাথে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড রাখবেন সহায়ক হিসেবে।
-------------------------+++------------------------
মানসিক দক্ষতা:
ওরাকল গাইড (লিখিত)
বিজ্ঞান:
ওরাকল গাইড
++ নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান বই আগাগোড়া পড়বেন
(সিলেবাস বহির্ভূত ২/৩ টা অধ্যায় বাদে)
++ easy computer & hsc ict book......
৯৫++ কমন পাবেন।
অথবা
-----------------------+++-------------------------
আলাদা পড়লে ইন্টার এর পদার্থ,রসায়ন,জীববিজ্ঞান, আইসিটি বই থেকে আলাদাভাবে পড়বেন,নবম দশম সাধারণ বিজ্ঞান পড়বেন,তার সাথে Electrical and Electronics এর বাংলা ভার্সন বই পড়বেন,উইকিপিডিয়া থেকে পড়বেন।
উপরের দুটা (অথবা) থেকে কোনটা পড়বেন আপনার ইচ্ছা
------------------------+++-----------------------------
English :Basic grammar গুলো পড়বেন,HSC এর CHOUDHURY HUSSAIN বা অন্যকোন বই থেকে পড়তে পারেন।
খুব কঠিন কিছুই নাই,অনেকেই ভয় পান,ভয়ের কিছু নাই।
নিয়মিত অনুবাদ practice করবেন,সহজ সরল অনুবাদ।খুব কঠিন কিছু পড়বেন না।
Daily Star বা Daily Sun বা অন্য কোন ইংরেজী পত্রিকার Editorial বাংলা অনুবাদ পড়বেন।
আর রচনামূলক পড়তে হবেনা,প্যাটার্নগুলো দেখবেন।
রচনা নিয়ে সাজেশন দেয়া হবে কিছুদিন পরে।
ইংরেজী সহায়ক হিসেবে ওরাকল বা এসিওরেনস গাইড পড়তে পারেন,গাইড থেকে Comprehension practise করতে পারেন।
****২য় ভাগ আজকে রাতে দেয়া হবে।
লেখা অন্য কোথাও কপি করলে অবশ্যই পেইজ এর কার্টেসি দিবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।

GK

 

# জেনে_নেই_বিখ্যাত_ব্যাক্তিদের_ল
েখা_গ্রন্থঃ -
★ বিল ক্লিনটন --- "My Life"
★ হিলারি ক্লিনটন --- "Living History"
★ উড্রো উইলসন --- "New Freedom"
★ কর্নেল গাদ্দাফি --- "Green Book"
★ আল বেরুনী --- কিতাবুল হিন্দ
★ ইবনে বতুতা --- কিতাবুল রেহালা
★ গুনার মিরডাল --- Tha Asian Drama
★ প্লেটো --- "দি রিপাবলিক"
★ ম্যাকিয়াভেলি --- "দি প্রিন্স"
★ হোমার --- "ইলিয়াড" ও "ওডিসি"
★ স্টিফেন হকিং --- "A Brief History of Time"
★ লিও টলস্টয় --- "War and Peace"
★ চার্চিল --- "History of the Second world War"
★ ভ্লাদিমির লেলিন --- "The State and Revolution"
★ জওহরলাল নেহেরু --- "Discovery of India"
★ অ্যাডলফ হিটলার --- "Mein Kampf"
★নেলসন ম্যান্ডেলা --- "A Long Walk to Freedom" & "Conversations Myself"
★ বারাক ওবামা --- "Dream from my Father"
"The Audacity of Hope" & "It Takes a nation"
★ শেখ হাসিনা --- "শেখ মুজিব আমার পিতা"
সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র" "আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম" ও "দারিদ্র বিমোচন কিছু ভাবনা"
★ বেনজির ভুট্টো --- "Daughter of the East" "Daughter of Destiny" & "Democracy and the West"
★ মহাত্মা গান্ধী --- "The story of my experiments with truth"
★ এপিজে আবুল কালাম আজাদ --- "Wings of Fire"
★ মাওলানা আবুল কালাম --- " India Wins Freedom"

#কারেন্ট #অ্যাফেয়ার্স
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত

#আন্তজার্তিক_বিষয়াবলীঃ

জানুয়ারিঃ-
১) সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ঃ phethai ফেথাই ; নাম করন করেন থাইল্যান্ড । স্থানীয় ভাষায় রত্ন পাথর জিরকনকে ফেথাই বলে।
আঘাতহানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
২) ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনঃ জ্বালানি তেলের বাড়তি কর কমানোর দাবীতে ফ্রান্সের মানুষ দেশের ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহৃত হলুদ জ্যাকেট পরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে তাই একে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন করে। আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর।
• অভিবাসী গ্রহণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র
• বিশ্বের শীর্ষ অভিবাসীর দেশঃ ভারত ( ১ কোটি ৬৬ লাখ)
৪) OPEC: ৩ন ডিসেম্বর ২০১৮, কাতার ওপেক এর সদস্যপদ ত্যাগের ঘোষনা দেয় । কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে । বর্তমানে ওপেক’র সদস্য দেশ ১৪ টি ।
৫) IMF এর প্রথম নারীপ্রধান অর্থনীতিবিদঃ প্রফেসর গীতা গোপীনাথ(ভারত)। দায়িত্ব গ্রহন করেন ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে।
৬) সম্প্রতি unesco’র সদস্যপদ প্রত্যাহার করে যুক্ত্রাষ্ট্র ও ইসিরাইল ( ৩১ ডেসিমবর ২০১৮) । বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য দেশ ১৯৩ টি
৭) বিশ্বের প্রথম আয়কর চালু হয় ইংল্যান্ডে ১৭৯৮ সালে ।
৮) গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরনে শীর্ষদেশঃ চীন
৯) Forbes- তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাধর নারীঃ অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

#ফেব্রুয়ারি_মার্চঃ
১) বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোয়েন্দা সদর দপ্তর নির্মিত হয়েছে জার্মানিতে। এর আগে ছিলো যুক্ত্রাষ্ট্রের পেন্টাগন।
২) ২৫ মার্চ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলই ভূ-খন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
৩) ২৬ মার্চ- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশের ৪৯ তম স্বাধীনতা দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষনা করে
এপ্রিল
১) যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ১২০টি দেশকে জি এস পি সুবিধা দেয়।
২) জাপানের ১২৬ তম সম্রাট- নারুহিতো
৩) কাজাখস্তানের বর্তমান রাজধানীর নামঃ নুরসুলতান
৪) নেপাল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইট উদক্ষেপন করে।
নামঃ NepaliSat-01

#মে-
১) জাপানের নতুন রাজকীয় যুগের নামঃ- জবরধি
২) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানের নাম-রক
৩) সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশির ক্ষমতায় ছিলেন – ৩০ বছর
৪) প্রথম ৫ জি চালু করে দক্ষিন কোরিয়া ৩ এপ্রিল ২০১৯
৫) বিশ্বের দীর্ঘতম লবন গুহার (salt cave) নাম- ম্যালহাম গুহা ( malham cave)
৬) বর্তমান ইস্পাত শিল্পের জনক- স্যার হ্যানরি বিসিমির, ইংল্যান্ড
৭) বিশ্বের প্রথম “আল কুরআন পার্ক” অবস্থিত- দুবাই, আরব আমিরাত

#জুলাই
১) ৫ জুন ভারতকে জিএসপি সুবিধা বাতিল কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।
২) ৬ জুন আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করে।

#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি

জানুয়ারি
১) বাংলা একাডেমীর নতুন মহাপরিচালকঃ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ( ৩ বছরের মেয়াদে)। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নামঃ লাইলি-মজনু ( জুন-১৯৫৭; সম্পাদকঃ দৌলত উজির বাহরাম খাঁ ও আহমদ শরীফ)।
২) ২০২১ সালের ৬ষ্ঠ আদম শুমারির নামঃ জনশুমারি
৩) বাংলাদেশের ভূ-খন্ড আয়করের আওতায় আসেঃ ১৮৬০ সালে
৪) বাংলাদেশের মোট জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যাঃ ৮ টি
৫) TIN-ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়ঃ ১৯৯৩ সালে।]
৬) সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান-৫৬ তম (শীর্ষেঃ যুক্তরাষ্ট্র)

ফেব্রুয়ারি-মার্চ
১) ফার্মারস ব্যাংকের বর্তমান নামঃ পদ্মা ব্যাংক
২) বিশ্বে কৃষিভূমি ও বনভূমি হ্রাসে শীর্ষদেশ- বাংলাদেশ, যানজটে শীর্ষ শহর- ঢাকা
এপ্রিলঃ
১) বাংলাদেশে সম্প্রতি ১৪০০ বছরের পুরনো পাল শাসনামলের স্থাপত্য নিদর্শন পাওয়া যায়- বগুড়ার মহাস্থান গড়ে।
২) বাংলাদেশে একমাত্র ও প্রথম সাপের বিষের ডেটাবেজ নির্মান করেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক ড. আবু রেজা ।
৩) ইঁদুরের ক্ষতিকর গনজাইলোনেমা শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন – শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষক দল। নেতৃত্ব দেনঃ- ড. উদয় কুমার মহন্ত।
৪) দেশের প্রথম পাতাল রেলঃ
• বিমানবন্দর টু কমলাপুর
• দৈর্ঘ্যঃ ১৯.৮৭ কিমি
• স্টেশন সংখ্যাঃ ১২ টি
৫) বর্তমানে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রবর্তন করা হয়েছেঃ ঢাকা,ইসলামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬) বর্তমানে দেশে মোট পাটকল- ৩১৪ টি

মে-
১) দেশের একমাত্র কোস্টগার্ড বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র অবস্থিত- কুয়াকাটা,পটুয়াখালী
২) প্রাচীন জাতের মিসরীয় তুলার সন্ধান পাওয়া যায় – বাগেরহাট জেলায়
৩) পিরামিড আকৃতির বৌদ্ধ স্তুপের সন্ধান পাওয়া যায়- মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বরে।
৪) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম এনিমেশন ছবি- surviving 71: An untold story of an Unknown war (ওয়াহিদ ইবনে রেজা)
জুলাই
১) ১৩ জুন দেশে প্রথম EPI টিকা কেন্দ্র চালু হয় রংপুরে
২) ২৪ জুন দেশে প্রথমবারের মত মানুষের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
৩) ১ জুলাই মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর হয় ।
৪) দ্বিতীয় কাচপুর সেতুর বর্তমান নামঃ শীতলক্ষ্যা সেতু।
৫) দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রীর নামঃ সাইদা খানম।
৬)
 সার্ফিং নিয়ে নির্মিত দেশের ১ম চলচ্চিত্রের নাম - ন-ডরাই।
 বর্তমানে দেশে স্থলবন্দর ২৩ টি।
 বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৫ ধরনের।
 বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র ২৭ টি।
 দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
 বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায় ৩৮টি দেশে।
 বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক নেই ১০ টি জেলায়।
 দেশে বানিজ্যিকভাবে ফল উৎপাদিত হয় ৪৫ প্রকারের।
 বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বিশ্বের ১৪৬ টি দেশে
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
 বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি ও রেমিটেন্স অর্জিত হয় সৌদি আরব থেকে।
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে তৈরি পোশাক।
 খাদ্যশস্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় বোরো ধান।
 বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস।
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সাহায্য দেয় জাপান
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি যে সংস্থা বৈদেশিক সাহায্য দেয় বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আইডিএ।
 দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসে বিদ্যুৎ খাতে।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই আমাদের ছোট রাসেল সোনা।
 ভার্চুয়াল অ্যাপ "লুনার ভিআর" তৈরি করে নাসার বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর দল টিম অলিক।
 বাংলাদেশ কৃষি শুমারি-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
 দেশের ১ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম এইমবুক ডট নেট।
 সম্প্রতি দেশে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায় ইসবপুর, দিনাজপুর ( ১৮ জুন ২০১৯)।
 সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬ তম।
 বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ তম।
 'SDG Gender Index' এ বাংলাদেশের অবস্থান ১১০ তম
 জনসংখ্যা ঘনত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।
 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯' শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
 বিশ্বের ১০টি সেরা অর্থবহ পতাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উক্তি নিয়ে প্রকাশিত দুটি বই শেখ হাসিনাঃ সিলেক্টেড সেয়িংস ( উক্তি ১১৫টি) এবং শেখ হাসিনাঃ নির্বাচিত উক্তি ( উক্তি ১০০টি)।
 JSC,SSC, HSC তে GPA-5 এর পরিবর্তে GPA-4 নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৩ জুন ২০১৯।
 বায়ান্নার ভাষাসৈনিক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ১ম নারী অধ্যাপক প্রফেসর লায়লা নুর মারা যান ৩১ মে ২০১৯।
 দেশ বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক মমতাজউদ্দীন আহমদ মারা যান ০২ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম বারের মত ' স্বর্নকর মেলা-২০১৯' অনুষ্ঠিত হয় ২৩-২৫ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ১৭ জুন ২০১৯। দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি 'পিটি বায়য়ান রিসোর্স টিবিকের' সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড'র ( ১০ বছর মেয়াদী)।
 বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় ০১ জুলাই ২০১৯।

EXTRA
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
 উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক- হীরালাল সেন
 বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের জনক- আবদুল জব্বার খান
 সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবি- পথের পাঁচালী
সত্যজিৎ রায় ‘অস্কার পুরষ্কার’ পান- পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের জন্য
সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পান- ১৯৯২ সালে
 বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার- জহির রায়হান
জহির রায়হান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র- কখনো আসেনি
‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা - জহির রায়হান
‘কাঁচের দেয়াল’ বিখ্যাত চলচ্চিত্র- জহির রায়হানের
‘Stop Genocide’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক- জহির রায়হান
 ‘ চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা- তানভীর মোকাম্মেল
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালসালু’ এর পরিচালক- তানভীর মোকাম্মেল
 সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের পরিচালক- শেখ নেয়ামত আলী
 BFDC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৮ সালে
 স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’ এর নির্মাতা- মোরশেদুল ইসলাম
 মাটির ময়না চলচ্চিত্রের পরিচালক- তারেক মাসুদ
অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা ছবি- মাটির ময়না

খেলাঃ
 বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন কোচ: নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
 নতুন পেস বোলিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট।
আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯
 সময়কালঃ ৩০ মে - ১৪ জুলাই ২০১৯।
 আয়োজকঃ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।
 চ্যাম্পিয়নঃ ইংল্যান্ড।
 রানার্স আপঃ নিউজিল্যান্ড।
 অংশগ্রহণকারী দল ১০টি।
 মোট ম্যাচ ৪৮ টি।
 একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবল (১৯৬৬) ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট (২০১৯) চ্যাম্পিয়ন হয়ঃ ইংল্যান্ড।
 উদ্বোধনী ভেন্যু ও ফাইনাল ভেন্যুঃ লর্ডস (১৪ জুলাই) ও ওভাল ( ৩০ মে)।
 সর্বোচ্চ রানের মালিকঃ রোহিত শর্মা (৬৪৮ রান)।
 সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকঃ মিশেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া (২৭টি)।
 ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টঃ কেন উইলিয়ামসন ( নিউজিল্যান্ড) ।
 ম্যান অব দ্য ফাইনালঃ বেন স্টোকস ( ইংল্যান্ড)।
 প্রথম হ্যাট্রিককারী বলারঃ মেহাম্মদ সামী।(বিপক্ষ দল আফগানিস্তান)।
 সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিঃ রোহিত শর্মা (৫)
 একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০+ রান ও ১০+ উইকেট সাকিব আল হাসান।
 এখন পর্যন্ত এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্ছ উইকেট লাভকারী বোলার মিশেল স্টার্ক (২৭ উইকেট)।
 বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্ছ রানের মালিক
 শচীন টেন্ডুলকার (২২৭৮ রান)।
 বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে ৭ম বিশ্বকাপে (১৯৯৯সাল)।
 প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

জানতে হবেঃ
 শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ যুক্ত আছে- ৫ম তফসিলে
 স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হয়েছে-৭ম তফসিলে
 জাতিসংঘ সমুদ্র আইন পাস হয়--১৯৮২ সালে
 জাতিসংঘের মোট ভাষা ৬টি হলেও অফিসিয়াল/ কার্যকরী ভাষা ২ টিঃ
১. ইংরেজি
২. ফ্রেঞ্চ
 V20 কিসের সাথে সম্পর্কিত --জলবায়ু পরিবর্তন
 সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় - কাটোউইস, পোলান্ড।
 ২০২২ সালের G20 সম্মেলন হবে--ভারতে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছেঃ-৮.২ শতাংশ
 ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - টোকিও, জাপান
 ২০২২ সালের শীতকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - বেইজিং, চীন।
 Transparency international:
প্রতিষ্ঠা পায়ঃ ৪ মে, ১৯৯৩
সদরদপ্তরঃ বার্লিন, জার্মানি
উদ্দেশ্যঃ৷ যুদ্ধবন্ধ & দূর্নীতিপ্রতিরোধ করা।
 বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS)
 প্রতিষ্ঠা পায়ঃ- ১লা জানুয়ারী, ১৯৭২
 পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্রিত হয়ঃ-১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর
 সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়ঃ-১৯২২ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়ঃ-১৯৯১ সালে
 সর্বপ্রথম নারী ভোটাধিকার প্রদান করা হয়ঃ- নিউজিল্যান্ডে ১৮৯৩ সালে
 চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা হয়ঃ-১৯৪৯ সালে
সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ঃ-চীনে
 ২০১৯ সালে একুশে পদক দেওয়া হয় --২১ জনকে
 ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান - -১২১ তম
 মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বর্ডারে, ২০১৮ তে ঘটিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অপারেশনের নাম-- Operation faithful patriot
 ইহুদিদের উপাসনালয়ের নাম - -সিনেগগ
 বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় - -২০১০ সালে
 সার্কের প্রথম নারী মহাসচিব -- নেপালের
 অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন কুক কোন দেশের অধিবাসী--ব্রিটেন
 ২০১৯ সালে অস্কার পায় কোন চলচ্চিত্র --Green Book
 ব্রিটেন এর নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দলের নাম --conservative party
 বাংলাদেশে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় --১৯৭৭ সাল থেকে
 থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজার নাম --Maha Vajiralongkorn
 বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত বোয়িং ৭৮৭-৮
তৃতীয় ড্রিমলাইনার - ``গাঙচিল'' বিমানে যুক্ত হলো।
 পূর্বে যুক্ত হওয়া:
১। ড্রিমলাইনার-১ এর নাম: আকাশবীণা।
২। ড্রিমলাইনার-২ এর নাম: হংসবলাকা।
৩। ড্রিমলাইনার-৪ এর নাম হবে: রাজহংস।
*** বিমানগুলোর প্রস্তুতকারক - মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি।
 ধান ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলাময়মনসিংহ।
 গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও।
 চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মৌলভীবাজার।
 পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর।
 আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ।
 আম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা রাজশাহী।
 তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঝিনাইদহ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ সদস্য এবং কিছু তথ্য :
"OPEC"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৪টি (সর্বশেষ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র)।
"COMESA"র বর্তমান সদস্য দেশ ২১ টি (সর্বশেষ সোমালিয়া)।
"NATO "র বর্তমান সদস্য দেশ ২৯ টি (সর্বশেষ মন্টিনেগ্রো)।
" OECD "র বর্তমান সদস্য দেশ ৩৭ টি (সর্বশেষ লিথুনিয়া ও কলম্বিয়া)।
"African Union "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৫ টি (সর্বশেষ মরক্কো)।
"OIC "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ আইভেরি কোস্ট )।
"IDB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ গায়ানা)।
"ADB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৬৭ টি (সর্বশেষ জর্জিয়া)।
"ICSID "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৬১ টি।
"IAEA"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭১ টি (সর্বশেষ সেন্ট লুসিয়া)।
"IDA "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭৩ টি (সর্বশেষ রোমানিয়া)।
"WCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৩ টি (সর্বশেষ সুরিনাম)।
"WMO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৬ টি (সর্বশেষ অ্যান্ডোরা)।
"IFC "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"IMF "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৯ টি (সর্বশেষ নাউরু)।
"UNESCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
"United Nations "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"WHO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"INTERPOL"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি ( সর্বশেষ ভানুয়াতু)।
"UNCTAD" র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৫ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
SCO'র বর্তমান সদস্য দেশ ৮টি।
CICA'র বর্তমান সদস্য দেশ ২৭টি।
ASEAN'র বর্তমান সদস্য দেশ ১০ টি।

অর্থনৈতিক_সমীক্ষা ২০১৯
__ মোট জনসংখ্যাঃ ১৬.৩৭ কোটি।
__ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ১.৩৭%।
__ স্থুল জন্মহারঃ ১৮.৫ জন ( প্রতি হাজারে)।
__ দারিদ্রের হারঃ ২১.৮%।
__ চরম দারিদ্রের হারঃ ১১.৩%।
__ প্রত্যাশিত গড় আয়ুস্কালঃ ৭২ বছর ( পুরুষ ৭০.৬ বছর, নারী ৭৩.৫ বছর)।
__ সাক্ষরতার হারঃ ৭২.৩%।
__ পুরুষ নারী অনুপাতঃ ১০০.২ঃঃ১০০।
__ মাথাপিছু আয়ঃ ১৯০৯ মা.ড।
__ চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণঃ ১৮২৭ মা.ড।
__ কৃষিতে মোট জনশক্তি নিয়োজিতঃ ৪০.৬% ( সেবা খাতে ৩৯%, শিল্প খাতে ২০.৪%)।
__ তফসিলিভুক্ত ব্যাংকঃ ৫৯টি।

বাংলাদেশের ৪৯ তম জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০
__ বাজেট ঘোষণাঃ ১৩ জুন ২০১৯।
__ বাজেট পাসঃ ৩০ জুন ২০১৯।
__ বাজেট কার্যকরঃ ০১ জুলাই ২০১৯।
__ বাজেটঃ ৪৮তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৪৯)
__ উত্থাপনকারীঃ আ.হ.ম মোস্তফা
কামাল (অর্থমন্ত্রী)।
__ বাজেটের আকারঃ ৫২৩১৯০ কোটি
টাকা।
__ ঘাটতিঃ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা।
__ স্লোগানঃ 'সমৃদ্ধির সোপানে
বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
__ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণঃ ৮.২%।
__ মুদ্রাস্ফিতির হারঃ ৫.৫%।
__ ADP তে বরাদ্দঃ ২ লক্ষ ২ হাজার ৭২১
কোটি টাকা।
__ সর্বোচ্চ বরাদ্দঃ জনপ্রশাসন খাতে ( ৯৬,৪৭০ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১৮.৫%)
__ ভ্যাটের স্তরঃ ৪ টি ( ৫%, ৭.৫%, ১০% ও ১৫%)।

(সংগ্রহীত)

 

 

৩৮ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধের আদ্যোপান্ত
#2nd #world #war fact
#হিটলারের #জীবনী
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যদি ভয়াবহ কিছু হত্যাযজ্ঞ ঘটে থাকে তবে তার একটি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। সময়টা ১৯৩৯ সাল। বড় নির্দয় একটা বছর।এই বছরটি ভয়ানক এক ধ্বংসলীলা শুরুর বছর। প্রায় ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে পৃথিবী হারিয়েছিল ৬ কোটি মানুষ। কোন একক যুদ্ধে এতগুলো তাজা প্রান আর কখনো হারায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একসাথে আলোচনা করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। ঘটনাবহুল এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যত বেশি তথ্য কালেক্ট করা যায় রিটেনের জন্য ততই ভালো। আজ সল্প পরিসরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের জীবনী নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
♦♣♣: একটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে এক দিনে লেগে যায় না। তালি যেমন এক হাতে বাজে না তেমনি ধ্বংসলীলা মুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় না। এ ধরণের ঘটনার অনেক নিয়ামক থাকে । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত গভীর জলে ডুব দেবার আগে এর মাস্টারমাইন্ড নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
♦♣♣হিটলারের উত্থান পর্ব♦♦♣♣
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে এই মানুষটিকেই সবচেয়ে ভয়ানক রাষ্ট্রনায়কদের একজন বলে মানতে হবে। পৃথিবী জুড়ে তার চর্চা হয়েছে গত শতাব্দীতে। তার কার্যক্রমের ফল একবিংশ শতাব্দীর মানুষ ভোগ করছে। হিটলারের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক একটি ভাবনা চলে আসে। হিটলার তার রণনীতিতে ক্ষিপ্র ছিলেন।
>>>তবে তার সব গুণদোষ বিচার করলে তাকে একচেটিয়াভাবে ভিলেনের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়না। কারন হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনিই হতেন সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক নেতা। তবে তার পরাজয় তাকে ইতিহাসের খলনায়কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে। আজ হিটলারের উত্থান নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার আহুতি দানের কথাও আলোচনা করব।
♣♣♦♦♣♣
হিটলার জার্মান ছিলেন না। ১৮৮৯ সালে তার জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়ায়। হিটলার শৈশব কাটিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ছেলেবেলায় বাবা তার পর মা হারিয়ে হিটলার জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে ছিলেন।কিন্তু হিটলার পথ হারান নি। জীবন সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯১৩ সালে জার্মান আর্মি তে প্রবেশের চেস্টা করেন। কিন্তু তাকে বলা হয় জার্মান আর্মিতে কাজ করার যোগ্যতা নাকি তার নেই।
কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধ লাগলে হিটলার ঠিকই জার্মান আর্মিতে প্রবেশ করেন। ১৯১৯ সালে নাজি পার্টিতে যোগ দেন। এর পর নিজের কর্মদক্ষতার বলে ১৯২১ সালে নাজি পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। নাজি পার্টি আসলে প্রাক্তন জার্মান সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ পুষ্ট ছিল। কিন্তু এই পার্টি বেশ উথান পতনের মাঝ দিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির #চেন্সেলর হন।
♣♣♣♣♣♣♣
হিটলার তার হিটলারি এরপর শুরু করেন।
>>>>>ক্ষমতা লাভের পর হিটলার তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি অদূরবর্তী অস্ট্রিয়ার দিকে নিক্ষেপ করেন। অস্ট্রিয়া জার্মানদের দখলে এলেও বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। ১৯৩৮ সালের ১২ মার্চ হিটলার বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া জয় করেন।
>>>>>স্পেনে তখন গৃহ যুদ্ধ চলছে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এই সময়টায় স্পেনের অর্থনীতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পরে। তবে স্পেনের উপর হিটলার তখন আক্রমন করেননি। হিটলার এরপর চেকোস্লুভাকিয়া দখল করেন।
♣♣♣♣♣♣♣
বিশ্বযুদ্ধের #সুচনা:
এ পর্যন্ত হিটলার যা করেছেন সেগুলো ছিল বড় ঘুর্নিঝড়ের পুর্বে ছোট ছোট ধমকা হাওয়ার মত কার্যক্রম। আসল ঘুর্ণিঝড় শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমনের মধ্য দিয়ে।
হঠাৎ করেই কোন প্রকার পুর্ব ঘোষণা না দিয়ে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করাটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। হয়ত এটাই ছিল হিটলারের রণনীতি। হিটলার লুডু খেলার মত দেখিয়ে দেখিয়ে ছক্কার দান মারতেন না। তিনি শত্রুকে প্রস্তুত হবার সুযোগ দিতেন না। তাই শেষরাতে আক্রমণ করাকেই হিটলার উপযুক্ত ভেবেছিলেন।
পোল্যান্ডের দিকে হিটলার ক্ষিপ্রগতিতে ধাবিত হন।
তারিখটা পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। ভোর ৪.৩০ এ পোল্যান্ডের উপর পাঁচটি জার্মান বাহিনি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমেই। ২৮০০ ট্যাংক, ২০০০ জঙ্গি বিমান আর ১০০ যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে প্রবল বেগে পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হয় জার্মান বাহিনী। ২৭ দিনেই পোল্যান্ড জার্মানদের দখলে চলে যায়। বিশ্বযুদ্ধ এখানেই শুরু। মুলত এই আক্রমণের মধ্য দিয়েই হিটলার বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন।
♦♦♣♣: #অক্ষশক্তি এবং #মিত্রশক্তি:
যুদ্ধ যারা লাগায় তাদের বলা হয় অক্ষ শক্তি। যারা ভাঙ্গায় তাদের বলা হয় মিত্র শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিলেন হিটলার। তবে হিটলারের ডান হাত ছিলেন ইতালির মুসলিনি।
>>>♣♣ #জার্মানি, #ইতালি, #জাপান এই তিন পরাশক্তি ছিল অক্ষশক্তি।
তাদের সাথে আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশ ছিল যাদের হিটলার বাহুবলে জয় করে নিজের বাহিনীতে কাজে লাগিয়েছিলেন।
>>>♣♣ অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইন

অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন #ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, রাশিয়ার নেতা ছিলেন #জোসেফ স্টালিন।
♣♣♦♦হিটলারের রাশিয়া আক্রমণ ♦♣♣
রাশিয়া যুদ্ধ চায়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় শীতল রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। দেশ গঠনে আর সমাজতন্ত্র প্রচারে ব্যাস্ত ছিলেন জোসেফ স্টালিন। জার্মানির সাথে রাশিয়া মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
কিন্তু একে একে ডেনমার্ক ,ফ্রান্স এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র জয় করার পর হিটলার ভাবলেন রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপ তার কাছে নতজানু।তাহলে আরেকটু অগ্রসর হলে ক্ষতি কি?
>>>তাই #সীমান্ত বিবাদকে ভিক্তি করে অতর্কিত ভাবে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে বসেন।
>>>>সময়টা ১৯৪১ সালের ২২ জুন। ভোর রাতে হিটলার বাহিনী বিনা যুদ্ধ ঘোষণায় ঝাঁপিয়ে পরে। রাশিয়া সৈন্যশক্তিতে এগিয়ে ছিল
>>>>কিন্তুজার্মানদের ধারণা ছিল হয়ত তাদের শক্তির মুখে রুশ বাহিনী টিকবে না। তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
>>>>দফায় দফায় রাশিয়ার বড় বড় শহর আর তেল খনি জার্মান বাহিনী দখল করে নেয়।
>>>>>>মস্কো, লেলিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ বড় বড় শহরে ক্ষিপ্রতার সাথে যুদ্ধ চলে। রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমন করে।
>>>>এসময় রুশ বাহিনির বিরুদ্ধে #ইতালি আর #জাপানও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
উপায়ান্তর না দেখে রুশ নেতা স্টালিন #ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন।
>>>কিন্ত ব্রিটেন চেয়েছিল ইউরোপের এই দুটি বড় শক্তি যেন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে দুনিয়াতে তাদের #সমকক্ষ কেউ থাকবে না আর।
>>>>তবে রুশরা তাদের পাল্টা আক্রমন থামায়নি। এক পর্যায়ে কিছু এলাকা তারা মুক্ত করে ফেলে। জার্মানদের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশরা প্রচুর যুদ্ধবিমান ও ভারি কামান সহ অনেক রসদ আমদানি আর তৈরিতে মন দেয়।
>>#কথিত আছে #শত্রুবাহিনী রাশিয়ার ভূমি গ্রাস করতে পারেনা। রাশিয়ার #ভূমিই শত্রুবাহিনীকে #গ্রাস করে দেয়।তাই শীতকাল শুরু হলেই রাশিয়ায় নাজী বাহিনীর অনেক সেনা ঠান্ডায় মারা পরে। বেশির ভাগ এই বিরুপ আবহাওয়া সহ্য না করে জার্মানি #প্রত্যাগমন করে।
♦হিটলার তখন রাশিয়া আক্রমন কিছুটা #স্থবির করে দেন। অন্যদিকে তার আরেক দুসর মুসুলিনি #আফ্রিকার দিকে ধাবিত হন এবং আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ দখল করতে থাকেন। আফ্রিকায় ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে #ইতালিয়ান বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়।
♦♣♣ব্রিটেনে হিটলারের আক্রমন♦♣♣
হিটলার এবার ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে অকেজো করে দিতে মন দিলেন। জার্মানির ইউ-বোট গুলো জলদস্যুর মত অতর্কিত আক্রমন করে ব্রিটিশদের শিপিং ডুবিয়ে দিত। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টন শিপিং ডুবিয়ে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন হিটলার।
>>>হিটলার এবার মূল জায়গায় আঘাত করতে এগিয়ে গেলেন। হিটলারের নাজী বাহিনী এরপর ব্রিটেনের মূল #ভুখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়। আর এতেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন চার্চিল।
>>>চার্চিল বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলেন। জার্মান বাহিনী যদি একবার ইংল্যান্ডে আসে তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল গুড়িয়ে দেবে। এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে চার্চিল আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলেন।
♣আটলান্টিক সনদ-১৯৪১♣♣♦
এটাকে সনদ না বলে আমি এটাকে বিশ্ব নেতৃত্ব বদলের দলিল বলে থাকি। চার্চিলের মিনতি শুনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট সুযোগের চরম ব্যাবহার করলেন। তিনি চার্চিলকে সমুদ্রে ডাকলেন। এক রণতরীতে বৈঠক শুরু হলো।
>>চার্চিল বিষয়টা যতটা সহজে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রুজভেল্ট বিষয়টা ততটাই কঠিন করে দিলেন। রুজভেল্ট এই শর্ত দিলেন যে যদি যুদ্ধে মিত্রশক্তি বিজয়ী হয় তবে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ মুক্ত করে দিতে হবে। কেবল তখনই আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।
>>>সুচতুর রুজভেল্টের শর্ত শুনে চার্চিলের আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার মতই অনুভূতি হল। একদিকে এতগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশ হারালে ব্রিটেনের জনগণ তাকে ধুয়ে দিবে। অন্য দিকে নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সুদাসল একসাথে যাবে। কারন নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সব ব্রিটিশ উপনিবেশ এমনিতেই হিটলারের দখলে চলে যেত।
>>>তাই আটলান্টিক মহাসাগরে বসে একে একে ১৪ টি শর্ত মানতে হল চার্চিলকে। আর এরপর পৃথিবীর নেতৃত্ব চলে যায় আমেরিকার হাতে। ১৪ নম্বর শর্তানুযায়ী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি সংঘটন স্থাপন করার কথা বলা হয়।
♦♣♣জাপান কর্তৃক পার্ল হার্বার আক্রমণ:
আমেরিকা এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার আক্রমন করলে মহাশক্তিশালী আমেরিকা #যুক্তরাষ্ট্র এই মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
পার্ল হার্বার একটি আমেরিকান সামরিক ও নৌঘাটি। এখানে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ আমেরিকাকে অবাক করে দেয়। জাপানকে এ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত খুব কঠিনভাবেই করতে হয়েছে।
♣♣♦♦♣♣
মিত্রবাহিনীর মিলিত #আক্রমণ :
ধীরে ধীরে হিটলার আমেরিকান বিমান বাহিনী আর ব্রিটিশ বাহিনীর যুগ্ন আক্রমণের সম্মুখীন হন। মিত্র বাহিনির তিনটি প্রধান শক্তি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া এক জোট হয়ে জার্মানদের বিজিত এলাকা গুলোতে তুমুল আক্রমন চালায়। ১৯৪৪-৪৫ সালে জার্মানির প্রায় সমস্ত উপনিবেশ একের পর এক মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
১৯৪৫ সালে মুসুলিনি ইতালির জনগণ কাছে ধরা পরেন এবং তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হিটলারের ডান হাত মুসুলিনি মরে যাওয়ায় হিটলারের আধিপত্য ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। মিত্র বাহিনী এবার জার্মানির মুল ভূখণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
জার্মানির হামবুর্গসহ বড় শহরগুলো মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়। হিটলারের সেনাপতিদের কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেন, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেন।
#অবশেষে মিত্র বাহিনীর তিনটি দেশ মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে হিটলারকে মারার পর জার্মান আধিপত্য সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে জার্মানরা যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না শুরু করতে পারে এজন্য জার্মানদের উপর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ সহ বেশ কিছু নিরস্ত্রীকরন শর্ত জুড়ে দেয়া হবে। ফ্রান্সকে জার্মানির হারানো রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হবে। বাকি জার্মান উপনিবেশ ব্রিটেন, আমেরিকা, আর রাশিয়া ভাগ করে নিবে।
#♦♣♣D-Day ফ্যাক্ট :
১৯৪৪ সালের ৬ জুনকে ইতিহাসে ডি-ডে হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে এদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমুদ্রযুদ্ধ হয়। এদিন নাজী বাহিনীর কবল থেকে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মুক্ত হয়।
♦♦হিটলারের #মৃত্যু :
মিত্রবাহিনীএবার জার্মানির বার্লিনের দিকে অগ্রসর হল। সময়টা এপ্রিল, ১৯৪৫। মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে বার্লিনের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরে।
হিটলার চাইলেই বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার উইলে #লিখেছেন," আমি মরছি আনন্দঘন হৃদয় নিয়ে”। হিটলার বার্লিনেই রয়ে গিয়েছিলেন।
♣♣২৮ এপ্রিল ১৯৪৫:
মিত্রবাহিনী বার্লিনের খুব কাছে। হিটলারের সেনাপতি তাকে বার্লিন ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্ত হিটলার তাতে রাজি হননি। হিটলার তার সমস্ত সেনাপতি, মিত্র আর অনুচরদের নিয়ে নৈশভোজ করেন। ইভা হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারকে বিয়ে করেননি। জীবনের শেষ কয়টা দিন যখন আসন্ন হিটলার ইভাকে বিয়ে করেন। হিটলার মরার আগে সেনাদের বলেন, "আমার সাথে যারা মরতে চাও তাঁরা বার্লিন থাকো। "হিটলারের অনুচরদের অনেকেই বার্লিন থেকে গিয়েছিলেন।
>>>৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ মিত্র বাহিনী বার্লিনে ঢুকে পরে। হিটলার তার অনুচরদের বলেন যে ইভা আর তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার একজন অনুচরকে ২০০ লিটার পেট্রোল আনতে বলেন। কিন্তু সে কেবল ১৮০ লিটার যোগাড় করতে পেরেছিল। হিটলার বলেন যে বার্লিনের বাগানেই তিনি জীবনের অনেক সময় কাটিয়েছেন। মরার পর যেন তাকে বার্লিনের বাগানে এমন ভাবে পোড়া হয় যেন মিত্রবাহিনী তার শরীরের কোন অংশ পায় না। হিটলার ইভাকে নিয়ে একটি কক্ষে গেলেন, কিছুক্ষন পর বুলেটের শব্দ হয়। হিটলার আর ইভা দুজনেই মারা যান। তাদেরকে বাগানে এনে পোড়ানো হয়। মিত্র বাহিনী কিছুক্ষণ পরেই বার্লিনে ঢুকে। তবে তাঁরা হিটলারের দেহের কোন অংশ খুজে পায়নি।
>>>>>হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। হিটলার তার উইলে বলে গেছেন যে আগামী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে দোষারোপ করতে পারবেনা। তিনি ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
♦হিটলারের #হারের #কারন:
হিটলার বিমান যুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী আর রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর তোপ তিনি সামাল দিতে পারেননি। হিটলারের নিজেরও শক্তিশালী বিমান বাহিনী ছিল, কিন্তু ভুলবশত হিটলার কোন প্রযুক্তির বিমান ব্যাবহার করবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
♦জাপানে পারমানবিক বোমা হামলা:
জাপান তখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও জাপান কর্ণপাত করছিল না। জাপানকে এই ভুলের পরিণাম আজো সহ্য করতে হয়। মার্কিনরা ততদিনে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার করে ফেলছে।
#হেনরি ট্রুম্যান জাপানে পারমানবিক আক্রমণের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমানবিক বোমাটি ফেলা হয় এবং তার তিন দিন পরে ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক বোমাটি ফেলা হয়।
#আর এতেই নাকাল হয় জাপান। এর কিছুদিন পর ১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপান শর্তহীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় এক অধ্যায়ের। ততদিনে খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল জাপানের জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় হিটলারের চরম পরিনতির মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬ কোটি মানুষ এতে প্রান হারায়। যার মাঝে ১ কোটি ৪০ লাখ রাশিয়ান ছিল। এ যুদ্ধে বিশ্ব প্রথমবারের মত পরমানু অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখল।জাপানকে একরকম পঙ্গু করে দেয়া হয়েছিল। জার্মানি মাথাচাড়া আর দিয়ে দাঁড়াতে পারিনি, সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসণ করছে আজ।
♦#ভারতের অবস্থান:
ভারত তখন ব্রিটিশ #কলোনি ছিল। তাই ভারত এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করে। ভারতের সব খাদ্যসামগ্রী যুদ্ধের জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। আর এতেই ভারত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পরে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।
#নেতাজী সুভাষ চন্ড্র বোস হিটলারের সাথে সাক্ষাত করে হিটলারকে ভারত #মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু দুরত্বের কথা ভেবে হিটলার ভারতে সেনা প্রেরণ করেননি।হিটলারকে রাশিয়া ফ্রন্ট খুলতে বারণ করেছিলেন নেতাজী। কিন্তু হিটলার নেতাজীর কথা শুনেননি।
♦দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে গতিতে শুরু হয়েছিল অনুরুপ গতিতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু এটাই ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। যদি মানুষ ইতিহাসের এই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিত,তবে চলমান বিশ্বে এত সংঘাত আর অশান্তি থাকত না।
যুদ্ধ কাউকে #বিজয়ী হতে দেয় না। কারণ যুদ্ধে বিজয়ীর ক্ষতি বিজিতের তুলণায় খুব একটা কম হয় না।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটা #উপকারে এসেছে। আর তা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা ব্রিটিশ #উপনিবেশগুলোর মানুষ আজ #মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছে।
By
সৌরভ দেবনাথ
MBA
SUST
N.B. কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না।

===============================
তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি :
#আফগানিস্তান সংকট -#Afghanistan crisis
#ভারত-আফগানিস্তান -#সম্পর্ক
#মার্কিন আগ্রাসন, #তালেবান ইস্যু
♦ এই বিশ্বকে যদি একটা বিশালাকার প্লেট ধরা হয় তবে আফগানিস্তান হবে সেই প্লেটে রাখা এক টুকরো রুটি।
>>সেই রুটি ছিঁড়েখুঁড়ে খাবার জন্য বিশ্বের ক্ষুধার্ত জাতিগুলো বারংবার আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু আফগানিস্তান পিচ্ছল মাছের মতই বরাবরেই হাত ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
>>আফগানিস্তানের নাকে দড়ি লাগাতে গিয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে যেতে হয়েছে বিশ্বের অনেক সাম্রাজ্যকে। আফগানিস্তানকে বলা হয় The #graveyard of dynasty.
আজ আফগানিস্তানের ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট নিয়ে নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦প্রথমত,
>>আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি #স্থলবেষ্টিত দেশ(landlocked country).
এই দেশটি স্থলপথে বাণিজ্য করার জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে একে হস্তগত করতে বড় বড় দেশ আর বিশাল বিশাল সেনাবহর যুগে যুগে আক্রমণ করেছে।
>>আফগানিস্তান প্রাচীন ভারতীয় মানচিত্রে গান্ধার রাজ্য নামে পরিচিত ছিল।
>>আফগানিস্তান পার্বত্যময় একটি দেশ। সমগ্র দেশে উঁচু পাহাড় দেশটিকে শত্রুদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
>>প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেলের প্রাচুর্য আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির লোলুপ দৃষ্টি থেকে এড়াতে পারেনি।
>>আফগানিস্তান এর পাশে পাকিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান এসব দেশ রয়েছে।
♦দ্বিতীয়ত,
>>#আফগানিস্তানে আগ্রাসন :
আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে এগিয়ে এসেছে এমন কয়েকজন নেতার মাঝে সর্বপ্রথম আসবে মেসোডেনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নাম।
>>কিন্তু তিনি আফগানিস্তানকে মুঠোয় পুরতে সক্ষম হননি। খাইবার পাস দিয়ে তিনি এর পর ততকালীন ভারতে প্রবেশ করেন।
♦তৃতীয়ত,
>>#আধুনিক যুগে আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে যে কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসছে তার মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য #ব্রিটিশদের নাম।
>>> ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে।
>>সারা ধুনিয়া চষে বেরালেও আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা দারুণ নাকানিচুবানি খেয়েছে। সুবিধা না করতে পেরে ১৮৪২ সালে তারা সরে দাঁড়ায়।
>>আধুনিক যুগে ততকালীন #সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পর আফগানিস্থানে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।
>১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিছুদিন যুদ্ধ করার পরে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে।
>>এর কারন হচ্ছে আফগানিস্তান স্বদেশী শক্তি দ্বারা শাসিত হতে পছন্দ করে। ভীনদেশী শক্তি আফগানিস্তান শাসন করুক এটা আফিগানরা কখনো চায়না। আফগানিস্তান রাশিয়াকে অপবিত্র দেশ জ্ঞান করে। আফগানিস্তান কখনো চায় না যে তাদের পবিত্র ভূমিতে রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদ বিকাশ লাভ করুক।
চতুর্থত,
>>#মার্কিন আগ্রাসন :
আফগানিস্তানে এরপর আসে আমেরিকানরা।
>>২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মার্কিনীরা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে।
>>লাদেনকে আশ্রয় দানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারা আফগানিস্তানে সেনা প্রেরণ করে।
>>গত ১৭-১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে তারা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
♣♣ >>কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে মার্কিনরা নিজেও জানেনা এর শেষ কোথায়? তালেবান শক্তি মার্কিন সেনাদের সমূলে উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যের কিছু সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে শায়িত আছেন।
♣♣>>ওবামা তার শাসনামলে বুদ্ধিমানের মত আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অদূরদর্শী শাসকের মত ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছেন।
♣♣>>এর পরিণাম একই হবে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বৃথাই আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে প্রান হারাবে।
♣♣>>মাত্র ১১০০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ট্রাম্প আফগানিস্তান দখল করতে চাইছেন। এটা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতই কাজ। আফগানিস্তানে তালেবান সেনাদের সাথে ট্রাম্প লড়ে চলেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সংঘাতে না মার্কিনরা জিতবে না তালেবানরা সমুলে ধ্বংস হবে।
♣♣>>আফগানিস্তানের সাধারণ জনগনের মনে তালেবানদের প্রতি একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারন তালেবানরা আফগান ভূমিকে ভালোবাসে।
♣♣ >>১৯৯৬ থেকে-২০০১ এ সময়ে তালেবান সরকার জনগনকে অনেক দিয়েছে। ঘৃণা করে বিদেশী হস্তক্ষেপকে। তালেবানদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বললে কথাটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। কারন তালেবানরা গত দুই যুগ ধরে আফগান ভূমিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ আর পুতুল সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।
♣♣তবে তালেভানদের যুদ্ধকৌশল অনেকটা #ইন্সারজেন্সি টাইপের। যদি নিজের ভূমি রক্ষা করার জন্য কাউকে সন্ত্রাস বলা হয় তবে অন্যের ভূমি গ্রাসকারীদের (মার্কিন) আমরা কি বলতে পারি।
♣♣অবশ্য এ কথা স্বীকার করতেই হবে তালেবানদের সবচেয়ে বড় ভূল ছিলো ৯/১১ এর মূলহোতা লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া।
♣♣এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।
♣♣সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগে তারা এই আগ্রাসন চালায় ঠিকই কিন্তু এরপরে আমেরিকা আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মোড়ল হয়ে পড়ে। তালেবানরা এই বিষয়টা সহজ ভাবে দেখেনি।
♣♣যদি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগেই আমেরিকা একটি দেশকে আক্রমণ করা যৌক্তিক মনে করে তাহলে তো সর্বপ্রথম প্রতিবেশী কানাডাকে আক্রমণ করা উচিত।
>>কারন কানাডায় অনেক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমেরিকা বাড়ির উঠান পরিষ্কার ঠিকই রাখছে।
♣♣এই একটি মাত্র অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও তাদের অন্য অনেক উদ্দেশ্য ছিল যা বিগত দেড় যুগ ধরে আমেরিকা ভোগ করছে।
♣♣>>আফগান তেল খনিতে আমেরিকার ভীষন লোভ ছিল।
♣♣>>তাই হামিদ কারজাই কিংবা বর্তমানের আশরাফ গানি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কেবল আমেরিকার কথার প্রতিধ্বনি করেই গেছেন।
♣♣বিশ্ব মিডিয়া তালেবানদের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরগরম প্রচারণা চালিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তারা তালেবানদের অনেক কর্মকাণ্ড অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
♦পঞ্চমত,
#প্রতিবেশী দেশগুলীর সাথে আফগানিস্তানের কেমন সম্পর্ক?
♦পাকিস্তান:
>>বর্তমানে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলছে। কিছু দিন আগেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের হাতে ১১ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এটা এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
>> তবে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের সম্পর্কের রুপ ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। আফগানিস্তান সরকারকে ঠিকই পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
>>রাশিয়া হোক বা আমেরিকা, আফগানিস্তানকে কাবু করতে সবাইকে পাকিস্তানের #দ্বারস্থ হয়েছে।
>> এর মূল কারন পাকিস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান। আফগানিস্তানে কোন #সমুদ্রবন্দর না থাকায় #পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেনা প্রবেশ করিয়ে আফগানিস্তানে প্রেরণের কাজটি সবাই করেছেন।
>>তাই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে পাকিস্তান অন্যতম বড় #নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
♦ভারত
>>>আফগানিস্তান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় #বিনিয়োগকারী দেশ।
>>ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩ #বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
>>ভারত আফগানিস্তান এবং #তুর্কমেনিস্তান থেকে তেল আমদানি করে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যার তেলের চাহিদা পূরন করে। এছাড়া ভারত আফিগানিস্থানে সেনা #প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
>>>#ভারত আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাবে এমন গুজব শোনা যায় প্রায়ই।
>>>>কিন্তু কথা হচ্ছে যেযে ভারত ভালো করেই জানে যে আফগানিস্তান সেই বিশাল হাতির পা যা কুমিরের মুখে এলে কুমির না একে খেতে পারে না ছাড়তে পারে। তাই ভারত কুমির হয়ে এই হাতির পা মুখে নিতে যাবেনা।
>>#ভারত যদি ভূল করেও আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়ও তবুও ভারত কখনোই আফগানিস্তানকে গ্রাস করতে পারবে না।
>>যে কাজটি আগেই বড় বড় সাম্রাজ্যের মহাবলশালী যোদ্ধারাও করতে পারেননি ভারত সেটা করতে পারবে না।
>>>আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের কোনকালে আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ছিলনা আর হবেও না। আপাতত ভারত আফগানিস্তানে ব্যাবসায়ে বেশি মনযোগী।
>>>আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত। হয়ত এর পেছনে ভারতের ইতিহাস কাজ করছে। ভারত গত শতাব্দী অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিয়েছে। তাই এই শতাব্দীতে ভারত কোন প্রকার অমিমাংশিত পরিস্থিতির দিকে যেতে চাইবে না।
>>>তবে নয়াদিল্লী এক্ষেত্রে কাবুলকে সন্ত্রাস দমনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
♦চীন:
চীন আফগানিস্তানে ঘাটি নির্মানের জন্য এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদি চীন তা করে ফেলে ভারতকে তা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে।
ষষ্ঠত,
প্রশ্ন আসতে পারে #আলেকজান্ডার, #ব্রিটিশ সেনা,#রুশ সেনা, #আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানে কেন সফল হতে পারেনি?
♣♣>উত্তরটা অনেকটা এরকম পার্বত্য ময় দেশ হবার কারনে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা নিয়ে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানে সেনা প্রবেশ করানোর জন্য কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় #পাকিস্তানকে ব্যাবহার করতে হয়। এই রাস্তা বড়ই দূর্গম আর পাথুরে।
♣♣আফগানিস্তান মাঝারি আকৃতির একটি দেশ। তাই একে বশে আনতে হলে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাতে হবে। খন্ড খন্ড যুদ্ধে আফগানিস্তানকে নাকাল করা যাবেনা।
♣♣আফগানিস্তানে এলাম, দেখলাম,জয় করলাম এই নীতি চলেনা। আফগানিস্তান দখল করতে হলে পুর্ণশক্তিতে যুদ্ধ করতে হবে।
♣♣কয়েক হজার সৈন্য আর কয়েকটা বোমা মেরে আফগানিস্তানকে দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু দখল করা যায়না।
♣♣আফগানি সেনারা আত্মগোপন করার মত অনেক সুযোগ পায়। তাই তাদের সনাক্ত করাটাই এসব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
♣♣উপরন্তু উঁচু পর্বত থেকে হঠাৎ ঝ্বটিকা আক্রমণ শত্রুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
♣♣ আর আফগানিস্তান নিজেদের দেশাত্মবোধ বিদেশী শক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়না।
Prepared By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না

============================
#বিসিএস রিটেন- #সিলেক্টেড টপিক
#মালদ্বীপ সংকটের #আদ্যোপান্ত
#চীন- #ভারত- #মালদ্বীপ #ফ্যাক্ট
২০১৮ সালে এশিয়ার ভু-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপের নাম। আজ এই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকটের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦যেকোন সংকট সম্পর্কে জানার আগে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। মালদ্বীপের এই সংকটে নিজেকে জড়িত করার পুর্বে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়া যাক....
♦#ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম:
ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মালদ্বীপের বর্তমান এবং ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎ ভাই। ইয়ামিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে। তার দলের নাম হচ্ছে #প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপ।
♦মাহমুদ নাশিদ:
নাশিদ মালদ্বীপের সাবেক তরুণ প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ #ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণধার তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নাশিদ ক্ষমতায় ছিলেন।
নাশিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। পাশ্চাত্যের সাথে নাশিদ খুব ভালো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
নাশিদ ২০১৫ সালে ইয়ামিন সরকার কর্তৃক বন্দী হন। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইংল্যান্ড অবস্থান করছেন।
♦মামুন আব্দুল গাইয়ুম:
তিনি দীর্ঘদিন (1978-2008) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম তার সৎভাই। মামুনের দলের নাম প্রোগ্রেসিভ পার্ট অফ মালদ্বীপ। ২০০৮ সালে নাশিদের কাছে ক্ষমতা বদল হয় মামুনের।
♦♦মালদ্বীপের শাসনব্যবস্থা :
>> মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারি ব্যাবস্থা চলছে।
>>মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম মজলিশ। বর্তমানে মজলিশের আসন সংখ্যা ৮৫।
>>মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাইদ।
$$ চলমান মালদ্বীপ সংকট:$$
মালদ্বীপ সংকটকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য এই লেখাটিকে ছোট ছোট কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করেছি। শুরু করা যাক তবে.........
প্রথমত,
মালদ্বীপ এমন একটি স্থানে রয়েছে যেখানে ভারত মহাসাগর আর আরব সাগরের মাঝে একটা যোগসুত্র তৈরি হয়। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ মালদ্বীপের প্রায় ১২০০ ছোটবড় দ্বীপের সুবিধা ভোগ করে। মালদ্বীপ নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এই জাহাজ গুলোকে। তাই মালদ্বীপকে হাতের মুঠোয় পেতে চীন, ভারত, জাপান এই এশীয় দেশগুলো মরিয়া হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
মালদ্বীপ বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে নাশিদ অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে চাইছেন।
তৃতীয়ত,
এই রাজনৈতিক সংঘাত আরো জটিল হতে শুরু করে যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায় দেয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট তাদের মুক্তি দিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করে নেওয়া হয়। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
চতুর্থত,
দেশটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট কি বলছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের হাফ-ব্রাদার সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম বিরোধী পক্ষের সাথে রয়েছেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ এই ঘটনায় ভারতীয় মিলিটারির সহায়তা কামনা করছেন।
পঞ্চমত,

ভারত কি বলছে?
>>>>ভারত মালদ্বীপকে সবসময় নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করে। এটা এমন একটা জায়গা যা ভারতের জন্য strategically খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সব সময়ই মালদ্বীপকে নিজের বাড়ির উঠানের মত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখে।
>>>>>শুরুতে ভারতের সাথে ইয়ামিন সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ (২০১৩) নেওয়ার পরে ইয়ামিন ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ভারতেই সফর করতে আসেন। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় চীনের সিল্ক রোড চুক্তিতে মালদ্বীপের স্বাক্ষর করা নিয়ে। পাশাপাশি চীন মালদ্বীপে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করলে ভারতের সাথে মালদ্বীপের ইয়ামিন সরকারের বৈরিতা শুরু হয়।
>>>>>>২০১৫ সালে মোদি যখন মরিশাস আর শ্রীলঙ্কা সফর করেন তখন মালদ্বীপ সফরের কথাও ছিল। কিন্তু মোদি মালদ্বীপের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
>>>>>সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট নাশিদ সহ ৯ জন রাজবন্দী মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৩ জন বিরোধী দলীয় দায়িত্বচ্যুত পার্লামেন্ট মেম্বারকে পুনরায় তাদের স্বপদে ফিরে যেতে রায় দিয়েছে। এতে করে ৮৫ সদস্যবিশষ্ট পার্লামেন্টে ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তাই সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেছে।
>>>ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় মেনে নিতে বলছে। কিন্তু ইয়ামিন প্রশাসন বলছে এতে ভারতের নাক না গলানোই ভালো।
>>>>তবে ভারতের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তারা অপেক্ষায় আছে নির্দেশের। উল্লেখ্য এর আগেও ভারত ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা পাঠিয়েছে। এবার তারা কি করে সেটা সময় বলবে।
>>>মালদ্বীপ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং অবিলম্বে এই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।
ষষ্ঠত,
চীন কি বলছে?
>>>চীন ভারত মহাসাগরে ভারতীয় আধিপত্য রুখতে মালদ্বীপকে উত্তম ঘাটি বানাতে উঠেপরে লেগেছে। চীন মালদ্বীপকে তাদের বেল্টে আনতে মালদ্বীপে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে। চীন মালদ্বীপে কেবল বাণিজ্য করার জন্যই ইনভেস্ট করেনি। এই বিনিয়োগে চীন মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। চীন মালদ্বীপে ভারতীয় ডমিনেশনের জবাব দিতে গাইয়ুম সরকারকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে।
>>>>সম্প্রতি পাকিস্থানের আরব সাগর তীরবর্তী বেলুচিস্তানে চীন সমুদ্রবন্দর বানালে তার জবাবে ভারত মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ইরানের চবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে চীন ভারত সমান সমান আধিপত্য বজায় রাখবে। এ জন্য চীন মালদ্বীপে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত মহাসাগরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।
>>>এর প্রমাণ হচ্ছে ভারত মহাসগরে চীনের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি। চীন ভারত মহাসাগরে তাদের শক্তিশালী নৌ-বহর সাজিয়ে রেখেছে যেখান থেকে মালদ্বীপ ঢিল ছুড়ার মত দুরত্বে রয়েছে।তাই ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে চীন তার শক্ত জবাব দেবে। তাই উভয় দেশ এই সংকটের মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
♦সপ্তমত,
যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে?
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আর আগ্রহী বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পুর্ব এশিয়াতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ কমে গেছে। তবে আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে বলেছে।
এক নজরে-----------
♦মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতার
♦সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দিয়েছে
♦সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আটক
♦ভারতীয় মিলিটারি হস্তক্ষেপ চান সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ
♦মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অবৈধ ঘোষণা সুপ্রিমকোর্টের।
♦প্রস্তুত ভারতের সেনা।
♦প্রস্তুত চীনা যুদ্ধজাহাজ
== By====
=সৌরভ দেবনাথ সাগর=
==MBA=
== SUST=
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন

 

 

#কারেন্ট #অ্যাফেয়ার্স
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত

#আন্তজার্তিক_বিষয়াবলীঃ

জানুয়ারিঃ-
১) সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ঃ phethai ফেথাই ; নাম করন করেন থাইল্যান্ড । স্থানীয় ভাষায় রত্ন পাথর জিরকনকে ফেথাই বলে।
আঘাতহানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
২) ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনঃ জ্বালানি তেলের বাড়তি কর কমানোর দাবীতে ফ্রান্সের মানুষ দেশের ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহৃত হলুদ জ্যাকেট পরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে তাই একে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন করে। আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর।
• অভিবাসী গ্রহণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র
• বিশ্বের শীর্ষ অভিবাসীর দেশঃ ভারত ( ১ কোটি ৬৬ লাখ)
৪) OPEC: ৩ন ডিসেম্বর ২০১৮, কাতার ওপেক এর সদস্যপদ ত্যাগের ঘোষনা দেয় । কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে । বর্তমানে ওপেক’র সদস্য দেশ ১৪ টি ।
৫) IMF এর প্রথম নারীপ্রধান অর্থনীতিবিদঃ প্রফেসর গীতা গোপীনাথ(ভারত)। দায়িত্ব গ্রহন করেন ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে।
৬) সম্প্রতি unesco’র সদস্যপদ প্রত্যাহার করে যুক্ত্রাষ্ট্র ও ইসিরাইল ( ৩১ ডেসিমবর ২০১৮) । বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য দেশ ১৯৩ টি
৭) বিশ্বের প্রথম আয়কর চালু হয় ইংল্যান্ডে ১৭৯৮ সালে ।
৮) গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরনে শীর্ষদেশঃ চীন
৯) Forbes- তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাধর নারীঃ অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

#ফেব্রুয়ারি_মার্চঃ
১) বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোয়েন্দা সদর দপ্তর নির্মিত হয়েছে জার্মানিতে। এর আগে ছিলো যুক্ত্রাষ্ট্রের পেন্টাগন।
২) ২৫ মার্চ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলই ভূ-খন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
৩) ২৬ মার্চ- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশের ৪৯ তম স্বাধীনতা দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষনা করে
এপ্রিল
১) যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ১২০টি দেশকে জি এস পি সুবিধা দেয়।
২) জাপানের ১২৬ তম সম্রাট- নারুহিতো
৩) কাজাখস্তানের বর্তমান রাজধানীর নামঃ নুরসুলতান
৪) নেপাল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইট উদক্ষেপন করে।
নামঃ NepaliSat-01

#মে-
১) জাপানের নতুন রাজকীয় যুগের নামঃ- জবরধি
২) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানের নাম-রক
৩) সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশির ক্ষমতায় ছিলেন – ৩০ বছর
৪) প্রথম ৫ জি চালু করে দক্ষিন কোরিয়া ৩ এপ্রিল ২০১৯
৫) বিশ্বের দীর্ঘতম লবন গুহার (salt cave) নাম- ম্যালহাম গুহা ( malham cave)
৬) বর্তমান ইস্পাত শিল্পের জনক- স্যার হ্যানরি বিসিমির, ইংল্যান্ড
৭) বিশ্বের প্রথম “আল কুরআন পার্ক” অবস্থিত- দুবাই, আরব আমিরাত

#জুলাই
১) ৫ জুন ভারতকে জিএসপি সুবিধা বাতিল কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।
২) ৬ জুন আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করে।

#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি

জানুয়ারি
১) বাংলা একাডেমীর নতুন মহাপরিচালকঃ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ( ৩ বছরের মেয়াদে)। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নামঃ লাইলি-মজনু ( জুন-১৯৫৭; সম্পাদকঃ দৌলত উজির বাহরাম খাঁ ও আহমদ শরীফ)।
২) ২০২১ সালের ৬ষ্ঠ আদম শুমারির নামঃ জনশুমারি
৩) বাংলাদেশের ভূ-খন্ড আয়করের আওতায় আসেঃ ১৮৬০ সালে
৪) বাংলাদেশের মোট জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যাঃ ৮ টি
৫) TIN-ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়ঃ ১৯৯৩ সালে।]
৬) সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান-৫৬ তম (শীর্ষেঃ যুক্তরাষ্ট্র)

ফেব্রুয়ারি-মার্চ
১) ফার্মারস ব্যাংকের বর্তমান নামঃ পদ্মা ব্যাংক
২) বিশ্বে কৃষিভূমি ও বনভূমি হ্রাসে শীর্ষদেশ- বাংলাদেশ, যানজটে শীর্ষ শহর- ঢাকা
এপ্রিলঃ
১) বাংলাদেশে সম্প্রতি ১৪০০ বছরের পুরনো পাল শাসনামলের স্থাপত্য নিদর্শন পাওয়া যায়- বগুড়ার মহাস্থান গড়ে।
২) বাংলাদেশে একমাত্র ও প্রথম সাপের বিষের ডেটাবেজ নির্মান করেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক ড. আবু রেজা ।
৩) ইঁদুরের ক্ষতিকর গনজাইলোনেমা শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন – শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষক দল। নেতৃত্ব দেনঃ- ড. উদয় কুমার মহন্ত।
৪) দেশের প্রথম পাতাল রেলঃ
• বিমানবন্দর টু কমলাপুর
• দৈর্ঘ্যঃ ১৯.৮৭ কিমি
• স্টেশন সংখ্যাঃ ১২ টি
৫) বর্তমানে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রবর্তন করা হয়েছেঃ ঢাকা,ইসলামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬) বর্তমানে দেশে মোট পাটকল- ৩১৪ টি

মে-
১) দেশের একমাত্র কোস্টগার্ড বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র অবস্থিত- কুয়াকাটা,পটুয়াখালী
২) প্রাচীন জাতের মিসরীয় তুলার সন্ধান পাওয়া যায় – বাগেরহাট জেলায়
৩) পিরামিড আকৃতির বৌদ্ধ স্তুপের সন্ধান পাওয়া যায়- মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বরে।
৪) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম এনিমেশন ছবি- surviving 71: An untold story of an Unknown war (ওয়াহিদ ইবনে রেজা)
জুলাই
১) ১৩ জুন দেশে প্রথম EPI টিকা কেন্দ্র চালু হয় রংপুরে
২) ২৪ জুন দেশে প্রথমবারের মত মানুষের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
৩) ১ জুলাই মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর হয় ।
৪) দ্বিতীয় কাচপুর সেতুর বর্তমান নামঃ শীতলক্ষ্যা সেতু।
৫) দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রীর নামঃ সাইদা খানম।
৬)
 সার্ফিং নিয়ে নির্মিত দেশের ১ম চলচ্চিত্রের নাম - ন-ডরাই।
 বর্তমানে দেশে স্থলবন্দর ২৩ টি।
 বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৫ ধরনের।
 বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র ২৭ টি।
 দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
 বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায় ৩৮টি দেশে।
 বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক নেই ১০ টি জেলায়।
 দেশে বানিজ্যিকভাবে ফল উৎপাদিত হয় ৪৫ প্রকারের।
 বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বিশ্বের ১৪৬ টি দেশে
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
 বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি ও রেমিটেন্স অর্জিত হয় সৌদি আরব থেকে।
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে তৈরি পোশাক।
 খাদ্যশস্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় বোরো ধান।
 বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস।
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সাহায্য দেয় জাপান
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি যে সংস্থা বৈদেশিক সাহায্য দেয় বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আইডিএ।
 দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসে বিদ্যুৎ খাতে।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই আমাদের ছোট রাসেল সোনা।
 ভার্চুয়াল অ্যাপ "লুনার ভিআর" তৈরি করে নাসার বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর দল টিম অলিক।
 বাংলাদেশ কৃষি শুমারি-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
 দেশের ১ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম এইমবুক ডট নেট।
 সম্প্রতি দেশে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায় ইসবপুর, দিনাজপুর ( ১৮ জুন ২০১৯)।
 সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬ তম।
 বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ তম।
 'SDG Gender Index' এ বাংলাদেশের অবস্থান ১১০ তম
 জনসংখ্যা ঘনত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।
 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯' শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
 বিশ্বের ১০টি সেরা অর্থবহ পতাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উক্তি নিয়ে প্রকাশিত দুটি বই শেখ হাসিনাঃ সিলেক্টেড সেয়িংস ( উক্তি ১১৫টি) এবং শেখ হাসিনাঃ নির্বাচিত উক্তি ( উক্তি ১০০টি)।
 JSC,SSC, HSC তে GPA-5 এর পরিবর্তে GPA-4 নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৩ জুন ২০১৯।
 বায়ান্নার ভাষাসৈনিক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ১ম নারী অধ্যাপক প্রফেসর লায়লা নুর মারা যান ৩১ মে ২০১৯।
 দেশ বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক মমতাজউদ্দীন আহমদ মারা যান ০২ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম বারের মত ' স্বর্নকর মেলা-২০১৯' অনুষ্ঠিত হয় ২৩-২৫ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ১৭ জুন ২০১৯। দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি 'পিটি বায়য়ান রিসোর্স টিবিকের' সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড'র ( ১০ বছর মেয়াদী)।
 বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় ০১ জুলাই ২০১৯।

EXTRA
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
 উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক- হীরালাল সেন
 বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের জনক- আবদুল জব্বার খান
 সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবি- পথের পাঁচালী
সত্যজিৎ রায় ‘অস্কার পুরষ্কার’ পান- পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের জন্য
সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পান- ১৯৯২ সালে
 বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার- জহির রায়হান
জহির রায়হান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র- কখনো আসেনি
‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা - জহির রায়হান
‘কাঁচের দেয়াল’ বিখ্যাত চলচ্চিত্র- জহির রায়হানের
‘Stop Genocide’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক- জহির রায়হান
 ‘ চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা- তানভীর মোকাম্মেল
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালসালু’ এর পরিচালক- তানভীর মোকাম্মেল
 সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের পরিচালক- শেখ নেয়ামত আলী
 BFDC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৮ সালে
 স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’ এর নির্মাতা- মোরশেদুল ইসলাম
 মাটির ময়না চলচ্চিত্রের পরিচালক- তারেক মাসুদ
অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা ছবি- মাটির ময়না

খেলাঃ
 বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন কোচ: নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
 নতুন পেস বোলিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট।
আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯
 সময়কালঃ ৩০ মে - ১৪ জুলাই ২০১৯।
 আয়োজকঃ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।
 চ্যাম্পিয়নঃ ইংল্যান্ড।
 রানার্স আপঃ নিউজিল্যান্ড।
 অংশগ্রহণকারী দল ১০টি।
 মোট ম্যাচ ৪৮ টি।
 একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবল (১৯৬৬) ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট (২০১৯) চ্যাম্পিয়ন হয়ঃ ইংল্যান্ড।
 উদ্বোধনী ভেন্যু ও ফাইনাল ভেন্যুঃ লর্ডস (১৪ জুলাই) ও ওভাল ( ৩০ মে)।
 সর্বোচ্চ রানের মালিকঃ রোহিত শর্মা (৬৪৮ রান)।
 সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকঃ মিশেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া (২৭টি)।
 ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টঃ কেন উইলিয়ামসন ( নিউজিল্যান্ড) ।
 ম্যান অব দ্য ফাইনালঃ বেন স্টোকস ( ইংল্যান্ড)।
 প্রথম হ্যাট্রিককারী বলারঃ মেহাম্মদ সামী।(বিপক্ষ দল আফগানিস্তান)।
 সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিঃ রোহিত শর্মা (৫)
 একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০+ রান ও ১০+ উইকেট সাকিব আল হাসান।
 এখন পর্যন্ত এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্ছ উইকেট লাভকারী বোলার মিশেল স্টার্ক (২৭ উইকেট)।
 বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্ছ রানের মালিক
 শচীন টেন্ডুলকার (২২৭৮ রান)।
 বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে ৭ম বিশ্বকাপে (১৯৯৯সাল)।
 প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

জানতে হবেঃ
 শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ যুক্ত আছে- ৫ম তফসিলে
 স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হয়েছে-৭ম তফসিলে
 জাতিসংঘ সমুদ্র আইন পাস হয়--১৯৮২ সালে
 জাতিসংঘের মোট ভাষা ৬টি হলেও অফিসিয়াল/ কার্যকরী ভাষা ২ টিঃ
১. ইংরেজি
২. ফ্রেঞ্চ
 V20 কিসের সাথে সম্পর্কিত --জলবায়ু পরিবর্তন
 সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় - কাটোউইস, পোলান্ড।
 ২০২২ সালের G20 সম্মেলন হবে--ভারতে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছেঃ-৮.২ শতাংশ
 ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - টোকিও, জাপান
 ২০২২ সালের শীতকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - বেইজিং, চীন।
 Transparency international:
প্রতিষ্ঠা পায়ঃ ৪ মে, ১৯৯৩
সদরদপ্তরঃ বার্লিন, জার্মানি
উদ্দেশ্যঃ৷ যুদ্ধবন্ধ & দূর্নীতিপ্রতিরোধ করা।
 বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS)
 প্রতিষ্ঠা পায়ঃ- ১লা জানুয়ারী, ১৯৭২
 পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্রিত হয়ঃ-১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর
 সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়ঃ-১৯২২ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়ঃ-১৯৯১ সালে
 সর্বপ্রথম নারী ভোটাধিকার প্রদান করা হয়ঃ- নিউজিল্যান্ডে ১৮৯৩ সালে
 চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা হয়ঃ-১৯৪৯ সালে
সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ঃ-চীনে
 ২০১৯ সালে একুশে পদক দেওয়া হয় --২১ জনকে
 ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান - -১২১ তম
 মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বর্ডারে, ২০১৮ তে ঘটিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অপারেশনের নাম-- Operation faithful patriot
 ইহুদিদের উপাসনালয়ের নাম - -সিনেগগ
 বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় - -২০১০ সালে
 সার্কের প্রথম নারী মহাসচিব -- নেপালের
 অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন কুক কোন দেশের অধিবাসী--ব্রিটেন
 ২০১৯ সালে অস্কার পায় কোন চলচ্চিত্র --Green Book
 ব্রিটেন এর নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দলের নাম --conservative party
 বাংলাদেশে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় --১৯৭৭ সাল থেকে
 থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজার নাম --Maha Vajiralongkorn
 বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত বোয়িং ৭৮৭-৮
তৃতীয় ড্রিমলাইনার - ``গাঙচিল'' বিমানে যুক্ত হলো।
 পূর্বে যুক্ত হওয়া:
১। ড্রিমলাইনার-১ এর নাম: আকাশবীণা।
২। ড্রিমলাইনার-২ এর নাম: হংসবলাকা।
৩। ড্রিমলাইনার-৪ এর নাম হবে: রাজহংস।
*** বিমানগুলোর প্রস্তুতকারক - মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি।
 ধান ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলাময়মনসিংহ।
 গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও।
 চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মৌলভীবাজার।
 পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর।
 আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ।
 আম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা রাজশাহী।
 তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঝিনাইদহ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ সদস্য এবং কিছু তথ্য :
"OPEC"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৪টি (সর্বশেষ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র)।
"COMESA"র বর্তমান সদস্য দেশ ২১ টি (সর্বশেষ সোমালিয়া)।
"NATO "র বর্তমান সদস্য দেশ ২৯ টি (সর্বশেষ মন্টিনেগ্রো)।
" OECD "র বর্তমান সদস্য দেশ ৩৭ টি (সর্বশেষ লিথুনিয়া ও কলম্বিয়া)।
"African Union "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৫ টি (সর্বশেষ মরক্কো)।
"OIC "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ আইভেরি কোস্ট )।
"IDB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ গায়ানা)।
"ADB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৬৭ টি (সর্বশেষ জর্জিয়া)।
"ICSID "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৬১ টি।
"IAEA"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭১ টি (সর্বশেষ সেন্ট লুসিয়া)।
"IDA "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭৩ টি (সর্বশেষ রোমানিয়া)।
"WCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৩ টি (সর্বশেষ সুরিনাম)।
"WMO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৬ টি (সর্বশেষ অ্যান্ডোরা)।
"IFC "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"IMF "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৯ টি (সর্বশেষ নাউরু)।
"UNESCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
"United Nations "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"WHO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"INTERPOL"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি ( সর্বশেষ ভানুয়াতু)।
"UNCTAD" র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৫ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
SCO'র বর্তমান সদস্য দেশ ৮টি।
CICA'র বর্তমান সদস্য দেশ ২৭টি।
ASEAN'র বর্তমান সদস্য দেশ ১০ টি।

অর্থনৈতিক_সমীক্ষা ২০১৯
__ মোট জনসংখ্যাঃ ১৬.৩৭ কোটি।
__ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ১.৩৭%।
__ স্থুল জন্মহারঃ ১৮.৫ জন ( প্রতি হাজারে)।
__ দারিদ্রের হারঃ ২১.৮%।
__ চরম দারিদ্রের হারঃ ১১.৩%।
__ প্রত্যাশিত গড় আয়ুস্কালঃ ৭২ বছর ( পুরুষ ৭০.৬ বছর, নারী ৭৩.৫ বছর)।
__ সাক্ষরতার হারঃ ৭২.৩%।
__ পুরুষ নারী অনুপাতঃ ১০০.২ঃঃ১০০।
__ মাথাপিছু আয়ঃ ১৯০৯ মা.ড।
__ চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণঃ ১৮২৭ মা.ড।
__ কৃষিতে মোট জনশক্তি নিয়োজিতঃ ৪০.৬% ( সেবা খাতে ৩৯%, শিল্প খাতে ২০.৪%)।
__ তফসিলিভুক্ত ব্যাংকঃ ৫৯টি।

বাংলাদেশের ৪৯ তম জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০
__ বাজেট ঘোষণাঃ ১৩ জুন ২০১৯।
__ বাজেট পাসঃ ৩০ জুন ২০১৯।
__ বাজেট কার্যকরঃ ০১ জুলাই ২০১৯।
__ বাজেটঃ ৪৮তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৪৯)
__ উত্থাপনকারীঃ আ.হ.ম মোস্তফা
কামাল (অর্থমন্ত্রী)।
__ বাজেটের আকারঃ ৫২৩১৯০ কোটি
টাকা।
__ ঘাটতিঃ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা।
__ স্লোগানঃ 'সমৃদ্ধির সোপানে
বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
__ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণঃ ৮.২%।
__ মুদ্রাস্ফিতির হারঃ ৫.৫%।
__ ADP তে বরাদ্দঃ ২ লক্ষ ২ হাজার ৭২১
কোটি টাকা।
__ সর্বোচ্চ বরাদ্দঃ জনপ্রশাসন খাতে ( ৯৬,৪৭০ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১৮.৫%)
__ ভ্যাটের স্তরঃ ৪ টি ( ৫%, ৭.৫%, ১০% ও ১৫%)।

(সংগ্রহীত)

 

 

৩৮ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধের আদ্যোপান্ত
#2nd #world #war fact
#হিটলারের #জীবনী
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যদি ভয়াবহ কিছু হত্যাযজ্ঞ ঘটে থাকে তবে তার একটি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। সময়টা ১৯৩৯ সাল। বড় নির্দয় একটা বছর।এই বছরটি ভয়ানক এক ধ্বংসলীলা শুরুর বছর। প্রায় ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে পৃথিবী হারিয়েছিল ৬ কোটি মানুষ। কোন একক যুদ্ধে এতগুলো তাজা প্রান আর কখনো হারায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একসাথে আলোচনা করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। ঘটনাবহুল এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যত বেশি তথ্য কালেক্ট করা যায় রিটেনের জন্য ততই ভালো। আজ সল্প পরিসরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের জীবনী নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
♦♣♣: একটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে এক দিনে লেগে যায় না। তালি যেমন এক হাতে বাজে না তেমনি ধ্বংসলীলা মুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় না। এ ধরণের ঘটনার অনেক নিয়ামক থাকে । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত গভীর জলে ডুব দেবার আগে এর মাস্টারমাইন্ড নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
♦♣♣হিটলারের উত্থান পর্ব♦♦♣♣
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে এই মানুষটিকেই সবচেয়ে ভয়ানক রাষ্ট্রনায়কদের একজন বলে মানতে হবে। পৃথিবী জুড়ে তার চর্চা হয়েছে গত শতাব্দীতে। তার কার্যক্রমের ফল একবিংশ শতাব্দীর মানুষ ভোগ করছে। হিটলারের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক একটি ভাবনা চলে আসে। হিটলার তার রণনীতিতে ক্ষিপ্র ছিলেন।
>>>তবে তার সব গুণদোষ বিচার করলে তাকে একচেটিয়াভাবে ভিলেনের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়না। কারন হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনিই হতেন সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক নেতা। তবে তার পরাজয় তাকে ইতিহাসের খলনায়কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে। আজ হিটলারের উত্থান নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার আহুতি দানের কথাও আলোচনা করব।
♣♣♦♦♣♣
হিটলার জার্মান ছিলেন না। ১৮৮৯ সালে তার জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়ায়। হিটলার শৈশব কাটিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ছেলেবেলায় বাবা তার পর মা হারিয়ে হিটলার জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে ছিলেন।কিন্তু হিটলার পথ হারান নি। জীবন সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯১৩ সালে জার্মান আর্মি তে প্রবেশের চেস্টা করেন। কিন্তু তাকে বলা হয় জার্মান আর্মিতে কাজ করার যোগ্যতা নাকি তার নেই।
কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধ লাগলে হিটলার ঠিকই জার্মান আর্মিতে প্রবেশ করেন। ১৯১৯ সালে নাজি পার্টিতে যোগ দেন। এর পর নিজের কর্মদক্ষতার বলে ১৯২১ সালে নাজি পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। নাজি পার্টি আসলে প্রাক্তন জার্মান সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ পুষ্ট ছিল। কিন্তু এই পার্টি বেশ উথান পতনের মাঝ দিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির #চেন্সেলর হন।
♣♣♣♣♣♣♣
হিটলার তার হিটলারি এরপর শুরু করেন।
>>>>>ক্ষমতা লাভের পর হিটলার তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি অদূরবর্তী অস্ট্রিয়ার দিকে নিক্ষেপ করেন। অস্ট্রিয়া জার্মানদের দখলে এলেও বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। ১৯৩৮ সালের ১২ মার্চ হিটলার বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া জয় করেন।
>>>>>স্পেনে তখন গৃহ যুদ্ধ চলছে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এই সময়টায় স্পেনের অর্থনীতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পরে। তবে স্পেনের উপর হিটলার তখন আক্রমন করেননি। হিটলার এরপর চেকোস্লুভাকিয়া দখল করেন।
♣♣♣♣♣♣♣
বিশ্বযুদ্ধের #সুচনা:
এ পর্যন্ত হিটলার যা করেছেন সেগুলো ছিল বড় ঘুর্নিঝড়ের পুর্বে ছোট ছোট ধমকা হাওয়ার মত কার্যক্রম। আসল ঘুর্ণিঝড় শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমনের মধ্য দিয়ে।
হঠাৎ করেই কোন প্রকার পুর্ব ঘোষণা না দিয়ে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করাটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। হয়ত এটাই ছিল হিটলারের রণনীতি। হিটলার লুডু খেলার মত দেখিয়ে দেখিয়ে ছক্কার দান মারতেন না। তিনি শত্রুকে প্রস্তুত হবার সুযোগ দিতেন না। তাই শেষরাতে আক্রমণ করাকেই হিটলার উপযুক্ত ভেবেছিলেন।
পোল্যান্ডের দিকে হিটলার ক্ষিপ্রগতিতে ধাবিত হন।
তারিখটা পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। ভোর ৪.৩০ এ পোল্যান্ডের উপর পাঁচটি জার্মান বাহিনি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমেই। ২৮০০ ট্যাংক, ২০০০ জঙ্গি বিমান আর ১০০ যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে প্রবল বেগে পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হয় জার্মান বাহিনী। ২৭ দিনেই পোল্যান্ড জার্মানদের দখলে চলে যায়। বিশ্বযুদ্ধ এখানেই শুরু। মুলত এই আক্রমণের মধ্য দিয়েই হিটলার বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন।
♦♦♣♣: #অক্ষশক্তি এবং #মিত্রশক্তি:
যুদ্ধ যারা লাগায় তাদের বলা হয় অক্ষ শক্তি। যারা ভাঙ্গায় তাদের বলা হয় মিত্র শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিলেন হিটলার। তবে হিটলারের ডান হাত ছিলেন ইতালির মুসলিনি।
>>>♣♣ #জার্মানি, #ইতালি, #জাপান এই তিন পরাশক্তি ছিল অক্ষশক্তি।
তাদের সাথে আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশ ছিল যাদের হিটলার বাহুবলে জয় করে নিজের বাহিনীতে কাজে লাগিয়েছিলেন।
>>>♣♣ অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইন

অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন #ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, রাশিয়ার নেতা ছিলেন #জোসেফ স্টালিন।
♣♣♦♦হিটলারের রাশিয়া আক্রমণ ♦♣♣
রাশিয়া যুদ্ধ চায়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় শীতল রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। দেশ গঠনে আর সমাজতন্ত্র প্রচারে ব্যাস্ত ছিলেন জোসেফ স্টালিন। জার্মানির সাথে রাশিয়া মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
কিন্তু একে একে ডেনমার্ক ,ফ্রান্স এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র জয় করার পর হিটলার ভাবলেন রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপ তার কাছে নতজানু।তাহলে আরেকটু অগ্রসর হলে ক্ষতি কি?
>>>তাই #সীমান্ত বিবাদকে ভিক্তি করে অতর্কিত ভাবে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে বসেন।
>>>>সময়টা ১৯৪১ সালের ২২ জুন। ভোর রাতে হিটলার বাহিনী বিনা যুদ্ধ ঘোষণায় ঝাঁপিয়ে পরে। রাশিয়া সৈন্যশক্তিতে এগিয়ে ছিল
>>>>কিন্তুজার্মানদের ধারণা ছিল হয়ত তাদের শক্তির মুখে রুশ বাহিনী টিকবে না। তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
>>>>দফায় দফায় রাশিয়ার বড় বড় শহর আর তেল খনি জার্মান বাহিনী দখল করে নেয়।
>>>>>>মস্কো, লেলিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ বড় বড় শহরে ক্ষিপ্রতার সাথে যুদ্ধ চলে। রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমন করে।
>>>>এসময় রুশ বাহিনির বিরুদ্ধে #ইতালি আর #জাপানও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
উপায়ান্তর না দেখে রুশ নেতা স্টালিন #ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন।
>>>কিন্ত ব্রিটেন চেয়েছিল ইউরোপের এই দুটি বড় শক্তি যেন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে দুনিয়াতে তাদের #সমকক্ষ কেউ থাকবে না আর।
>>>>তবে রুশরা তাদের পাল্টা আক্রমন থামায়নি। এক পর্যায়ে কিছু এলাকা তারা মুক্ত করে ফেলে। জার্মানদের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশরা প্রচুর যুদ্ধবিমান ও ভারি কামান সহ অনেক রসদ আমদানি আর তৈরিতে মন দেয়।
>>#কথিত আছে #শত্রুবাহিনী রাশিয়ার ভূমি গ্রাস করতে পারেনা। রাশিয়ার #ভূমিই শত্রুবাহিনীকে #গ্রাস করে দেয়।তাই শীতকাল শুরু হলেই রাশিয়ায় নাজী বাহিনীর অনেক সেনা ঠান্ডায় মারা পরে। বেশির ভাগ এই বিরুপ আবহাওয়া সহ্য না করে জার্মানি #প্রত্যাগমন করে।
♦হিটলার তখন রাশিয়া আক্রমন কিছুটা #স্থবির করে দেন। অন্যদিকে তার আরেক দুসর মুসুলিনি #আফ্রিকার দিকে ধাবিত হন এবং আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ দখল করতে থাকেন। আফ্রিকায় ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে #ইতালিয়ান বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়।
♦♣♣ব্রিটেনে হিটলারের আক্রমন♦♣♣
হিটলার এবার ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে অকেজো করে দিতে মন দিলেন। জার্মানির ইউ-বোট গুলো জলদস্যুর মত অতর্কিত আক্রমন করে ব্রিটিশদের শিপিং ডুবিয়ে দিত। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টন শিপিং ডুবিয়ে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন হিটলার।
>>>হিটলার এবার মূল জায়গায় আঘাত করতে এগিয়ে গেলেন। হিটলারের নাজী বাহিনী এরপর ব্রিটেনের মূল #ভুখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়। আর এতেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন চার্চিল।
>>>চার্চিল বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলেন। জার্মান বাহিনী যদি একবার ইংল্যান্ডে আসে তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল গুড়িয়ে দেবে। এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে চার্চিল আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলেন।
♣আটলান্টিক সনদ-১৯৪১♣♣♦
এটাকে সনদ না বলে আমি এটাকে বিশ্ব নেতৃত্ব বদলের দলিল বলে থাকি। চার্চিলের মিনতি শুনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট সুযোগের চরম ব্যাবহার করলেন। তিনি চার্চিলকে সমুদ্রে ডাকলেন। এক রণতরীতে বৈঠক শুরু হলো।
>>চার্চিল বিষয়টা যতটা সহজে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রুজভেল্ট বিষয়টা ততটাই কঠিন করে দিলেন। রুজভেল্ট এই শর্ত দিলেন যে যদি যুদ্ধে মিত্রশক্তি বিজয়ী হয় তবে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ মুক্ত করে দিতে হবে। কেবল তখনই আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।
>>>সুচতুর রুজভেল্টের শর্ত শুনে চার্চিলের আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার মতই অনুভূতি হল। একদিকে এতগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশ হারালে ব্রিটেনের জনগণ তাকে ধুয়ে দিবে। অন্য দিকে নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সুদাসল একসাথে যাবে। কারন নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সব ব্রিটিশ উপনিবেশ এমনিতেই হিটলারের দখলে চলে যেত।
>>>তাই আটলান্টিক মহাসাগরে বসে একে একে ১৪ টি শর্ত মানতে হল চার্চিলকে। আর এরপর পৃথিবীর নেতৃত্ব চলে যায় আমেরিকার হাতে। ১৪ নম্বর শর্তানুযায়ী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি সংঘটন স্থাপন করার কথা বলা হয়।
♦♣♣জাপান কর্তৃক পার্ল হার্বার আক্রমণ:
আমেরিকা এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার আক্রমন করলে মহাশক্তিশালী আমেরিকা #যুক্তরাষ্ট্র এই মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
পার্ল হার্বার একটি আমেরিকান সামরিক ও নৌঘাটি। এখানে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ আমেরিকাকে অবাক করে দেয়। জাপানকে এ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত খুব কঠিনভাবেই করতে হয়েছে।
♣♣♦♦♣♣
মিত্রবাহিনীর মিলিত #আক্রমণ :
ধীরে ধীরে হিটলার আমেরিকান বিমান বাহিনী আর ব্রিটিশ বাহিনীর যুগ্ন আক্রমণের সম্মুখীন হন। মিত্র বাহিনির তিনটি প্রধান শক্তি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া এক জোট হয়ে জার্মানদের বিজিত এলাকা গুলোতে তুমুল আক্রমন চালায়। ১৯৪৪-৪৫ সালে জার্মানির প্রায় সমস্ত উপনিবেশ একের পর এক মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
১৯৪৫ সালে মুসুলিনি ইতালির জনগণ কাছে ধরা পরেন এবং তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হিটলারের ডান হাত মুসুলিনি মরে যাওয়ায় হিটলারের আধিপত্য ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। মিত্র বাহিনী এবার জার্মানির মুল ভূখণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
জার্মানির হামবুর্গসহ বড় শহরগুলো মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়। হিটলারের সেনাপতিদের কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেন, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেন।
#অবশেষে মিত্র বাহিনীর তিনটি দেশ মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে হিটলারকে মারার পর জার্মান আধিপত্য সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে জার্মানরা যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না শুরু করতে পারে এজন্য জার্মানদের উপর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ সহ বেশ কিছু নিরস্ত্রীকরন শর্ত জুড়ে দেয়া হবে। ফ্রান্সকে জার্মানির হারানো রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হবে। বাকি জার্মান উপনিবেশ ব্রিটেন, আমেরিকা, আর রাশিয়া ভাগ করে নিবে।
#♦♣♣D-Day ফ্যাক্ট :
১৯৪৪ সালের ৬ জুনকে ইতিহাসে ডি-ডে হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে এদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমুদ্রযুদ্ধ হয়। এদিন নাজী বাহিনীর কবল থেকে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মুক্ত হয়।
♦♦হিটলারের #মৃত্যু :
মিত্রবাহিনীএবার জার্মানির বার্লিনের দিকে অগ্রসর হল। সময়টা এপ্রিল, ১৯৪৫। মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে বার্লিনের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরে।
হিটলার চাইলেই বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার উইলে #লিখেছেন," আমি মরছি আনন্দঘন হৃদয় নিয়ে”। হিটলার বার্লিনেই রয়ে গিয়েছিলেন।
♣♣২৮ এপ্রিল ১৯৪৫:
মিত্রবাহিনী বার্লিনের খুব কাছে। হিটলারের সেনাপতি তাকে বার্লিন ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্ত হিটলার তাতে রাজি হননি। হিটলার তার সমস্ত সেনাপতি, মিত্র আর অনুচরদের নিয়ে নৈশভোজ করেন। ইভা হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারকে বিয়ে করেননি। জীবনের শেষ কয়টা দিন যখন আসন্ন হিটলার ইভাকে বিয়ে করেন। হিটলার মরার আগে সেনাদের বলেন, "আমার সাথে যারা মরতে চাও তাঁরা বার্লিন থাকো। "হিটলারের অনুচরদের অনেকেই বার্লিন থেকে গিয়েছিলেন।
>>>৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ মিত্র বাহিনী বার্লিনে ঢুকে পরে। হিটলার তার অনুচরদের বলেন যে ইভা আর তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার একজন অনুচরকে ২০০ লিটার পেট্রোল আনতে বলেন। কিন্তু সে কেবল ১৮০ লিটার যোগাড় করতে পেরেছিল। হিটলার বলেন যে বার্লিনের বাগানেই তিনি জীবনের অনেক সময় কাটিয়েছেন। মরার পর যেন তাকে বার্লিনের বাগানে এমন ভাবে পোড়া হয় যেন মিত্রবাহিনী তার শরীরের কোন অংশ পায় না। হিটলার ইভাকে নিয়ে একটি কক্ষে গেলেন, কিছুক্ষন পর বুলেটের শব্দ হয়। হিটলার আর ইভা দুজনেই মারা যান। তাদেরকে বাগানে এনে পোড়ানো হয়। মিত্র বাহিনী কিছুক্ষণ পরেই বার্লিনে ঢুকে। তবে তাঁরা হিটলারের দেহের কোন অংশ খুজে পায়নি।
>>>>>হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। হিটলার তার উইলে বলে গেছেন যে আগামী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে দোষারোপ করতে পারবেনা। তিনি ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
♦হিটলারের #হারের #কারন:
হিটলার বিমান যুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী আর রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর তোপ তিনি সামাল দিতে পারেননি। হিটলারের নিজেরও শক্তিশালী বিমান বাহিনী ছিল, কিন্তু ভুলবশত হিটলার কোন প্রযুক্তির বিমান ব্যাবহার করবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
♦জাপানে পারমানবিক বোমা হামলা:
জাপান তখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও জাপান কর্ণপাত করছিল না। জাপানকে এই ভুলের পরিণাম আজো সহ্য করতে হয়। মার্কিনরা ততদিনে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার করে ফেলছে।
#হেনরি ট্রুম্যান জাপানে পারমানবিক আক্রমণের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমানবিক বোমাটি ফেলা হয় এবং তার তিন দিন পরে ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক বোমাটি ফেলা হয়।
#আর এতেই নাকাল হয় জাপান। এর কিছুদিন পর ১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপান শর্তহীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় এক অধ্যায়ের। ততদিনে খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল জাপানের জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় হিটলারের চরম পরিনতির মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬ কোটি মানুষ এতে প্রান হারায়। যার মাঝে ১ কোটি ৪০ লাখ রাশিয়ান ছিল। এ যুদ্ধে বিশ্ব প্রথমবারের মত পরমানু অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখল।জাপানকে একরকম পঙ্গু করে দেয়া হয়েছিল। জার্মানি মাথাচাড়া আর দিয়ে দাঁড়াতে পারিনি, সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসণ করছে আজ।
♦#ভারতের অবস্থান:
ভারত তখন ব্রিটিশ #কলোনি ছিল। তাই ভারত এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করে। ভারতের সব খাদ্যসামগ্রী যুদ্ধের জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। আর এতেই ভারত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পরে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।
#নেতাজী সুভাষ চন্ড্র বোস হিটলারের সাথে সাক্ষাত করে হিটলারকে ভারত #মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু দুরত্বের কথা ভেবে হিটলার ভারতে সেনা প্রেরণ করেননি।হিটলারকে রাশিয়া ফ্রন্ট খুলতে বারণ করেছিলেন নেতাজী। কিন্তু হিটলার নেতাজীর কথা শুনেননি।
♦দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে গতিতে শুরু হয়েছিল অনুরুপ গতিতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু এটাই ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। যদি মানুষ ইতিহাসের এই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিত,তবে চলমান বিশ্বে এত সংঘাত আর অশান্তি থাকত না।
যুদ্ধ কাউকে #বিজয়ী হতে দেয় না। কারণ যুদ্ধে বিজয়ীর ক্ষতি বিজিতের তুলণায় খুব একটা কম হয় না।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটা #উপকারে এসেছে। আর তা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা ব্রিটিশ #উপনিবেশগুলোর মানুষ আজ #মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছে।
By
সৌরভ দেবনাথ
MBA
SUST
N.B. কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না।

===============================
তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি :
#আফগানিস্তান সংকট -#Afghanistan crisis
#ভারত-আফগানিস্তান -#সম্পর্ক
#মার্কিন আগ্রাসন, #তালেবান ইস্যু
♦ এই বিশ্বকে যদি একটা বিশালাকার প্লেট ধরা হয় তবে আফগানিস্তান হবে সেই প্লেটে রাখা এক টুকরো রুটি।
>>সেই রুটি ছিঁড়েখুঁড়ে খাবার জন্য বিশ্বের ক্ষুধার্ত জাতিগুলো বারংবার আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু আফগানিস্তান পিচ্ছল মাছের মতই বরাবরেই হাত ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
>>আফগানিস্তানের নাকে দড়ি লাগাতে গিয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে যেতে হয়েছে বিশ্বের অনেক সাম্রাজ্যকে। আফগানিস্তানকে বলা হয় The #graveyard of dynasty.
আজ আফগানিস্তানের ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট নিয়ে নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦প্রথমত,
>>আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি #স্থলবেষ্টিত দেশ(landlocked country).
এই দেশটি স্থলপথে বাণিজ্য করার জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে একে হস্তগত করতে বড় বড় দেশ আর বিশাল বিশাল সেনাবহর যুগে যুগে আক্রমণ করেছে।
>>আফগানিস্তান প্রাচীন ভারতীয় মানচিত্রে গান্ধার রাজ্য নামে পরিচিত ছিল।
>>আফগানিস্তান পার্বত্যময় একটি দেশ। সমগ্র দেশে উঁচু পাহাড় দেশটিকে শত্রুদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
>>প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেলের প্রাচুর্য আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির লোলুপ দৃষ্টি থেকে এড়াতে পারেনি।
>>আফগানিস্তান এর পাশে পাকিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান এসব দেশ রয়েছে।
♦দ্বিতীয়ত,
>>#আফগানিস্তানে আগ্রাসন :
আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে এগিয়ে এসেছে এমন কয়েকজন নেতার মাঝে সর্বপ্রথম আসবে মেসোডেনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নাম।
>>কিন্তু তিনি আফগানিস্তানকে মুঠোয় পুরতে সক্ষম হননি। খাইবার পাস দিয়ে তিনি এর পর ততকালীন ভারতে প্রবেশ করেন।
♦তৃতীয়ত,
>>#আধুনিক যুগে আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে যে কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসছে তার মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য #ব্রিটিশদের নাম।
>>> ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে।
>>সারা ধুনিয়া চষে বেরালেও আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা দারুণ নাকানিচুবানি খেয়েছে। সুবিধা না করতে পেরে ১৮৪২ সালে তারা সরে দাঁড়ায়।
>>আধুনিক যুগে ততকালীন #সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পর আফগানিস্থানে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।
>১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিছুদিন যুদ্ধ করার পরে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে।
>>এর কারন হচ্ছে আফগানিস্তান স্বদেশী শক্তি দ্বারা শাসিত হতে পছন্দ করে। ভীনদেশী শক্তি আফগানিস্তান শাসন করুক এটা আফিগানরা কখনো চায়না। আফগানিস্তান রাশিয়াকে অপবিত্র দেশ জ্ঞান করে। আফগানিস্তান কখনো চায় না যে তাদের পবিত্র ভূমিতে রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদ বিকাশ লাভ করুক।
চতুর্থত,
>>#মার্কিন আগ্রাসন :
আফগানিস্তানে এরপর আসে আমেরিকানরা।
>>২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মার্কিনীরা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে।
>>লাদেনকে আশ্রয় দানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারা আফগানিস্তানে সেনা প্রেরণ করে।
>>গত ১৭-১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে তারা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
♣♣ >>কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে মার্কিনরা নিজেও জানেনা এর শেষ কোথায়? তালেবান শক্তি মার্কিন সেনাদের সমূলে উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যের কিছু সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে শায়িত আছেন।
♣♣>>ওবামা তার শাসনামলে বুদ্ধিমানের মত আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অদূরদর্শী শাসকের মত ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছেন।
♣♣>>এর পরিণাম একই হবে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বৃথাই আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে প্রান হারাবে।
♣♣>>মাত্র ১১০০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ট্রাম্প আফগানিস্তান দখল করতে চাইছেন। এটা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতই কাজ। আফগানিস্তানে তালেবান সেনাদের সাথে ট্রাম্প লড়ে চলেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সংঘাতে না মার্কিনরা জিতবে না তালেবানরা সমুলে ধ্বংস হবে।
♣♣>>আফগানিস্তানের সাধারণ জনগনের মনে তালেবানদের প্রতি একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারন তালেবানরা আফগান ভূমিকে ভালোবাসে।
♣♣ >>১৯৯৬ থেকে-২০০১ এ সময়ে তালেবান সরকার জনগনকে অনেক দিয়েছে। ঘৃণা করে বিদেশী হস্তক্ষেপকে। তালেবানদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বললে কথাটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। কারন তালেবানরা গত দুই যুগ ধরে আফগান ভূমিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ আর পুতুল সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।
♣♣তবে তালেভানদের যুদ্ধকৌশল অনেকটা #ইন্সারজেন্সি টাইপের। যদি নিজের ভূমি রক্ষা করার জন্য কাউকে সন্ত্রাস বলা হয় তবে অন্যের ভূমি গ্রাসকারীদের (মার্কিন) আমরা কি বলতে পারি।
♣♣অবশ্য এ কথা স্বীকার করতেই হবে তালেবানদের সবচেয়ে বড় ভূল ছিলো ৯/১১ এর মূলহোতা লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া।
♣♣এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।
♣♣সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগে তারা এই আগ্রাসন চালায় ঠিকই কিন্তু এরপরে আমেরিকা আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মোড়ল হয়ে পড়ে। তালেবানরা এই বিষয়টা সহজ ভাবে দেখেনি।
♣♣যদি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগেই আমেরিকা একটি দেশকে আক্রমণ করা যৌক্তিক মনে করে তাহলে তো সর্বপ্রথম প্রতিবেশী কানাডাকে আক্রমণ করা উচিত।
>>কারন কানাডায় অনেক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমেরিকা বাড়ির উঠান পরিষ্কার ঠিকই রাখছে।
♣♣এই একটি মাত্র অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও তাদের অন্য অনেক উদ্দেশ্য ছিল যা বিগত দেড় যুগ ধরে আমেরিকা ভোগ করছে।
♣♣>>আফগান তেল খনিতে আমেরিকার ভীষন লোভ ছিল।
♣♣>>তাই হামিদ কারজাই কিংবা বর্তমানের আশরাফ গানি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কেবল আমেরিকার কথার প্রতিধ্বনি করেই গেছেন।
♣♣বিশ্ব মিডিয়া তালেবানদের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরগরম প্রচারণা চালিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তারা তালেবানদের অনেক কর্মকাণ্ড অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
♦পঞ্চমত,
#প্রতিবেশী দেশগুলীর সাথে আফগানিস্তানের কেমন সম্পর্ক?
♦পাকিস্তান:
>>বর্তমানে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলছে। কিছু দিন আগেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের হাতে ১১ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এটা এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
>> তবে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের সম্পর্কের রুপ ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। আফগানিস্তান সরকারকে ঠিকই পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
>>রাশিয়া হোক বা আমেরিকা, আফগানিস্তানকে কাবু করতে সবাইকে পাকিস্তানের #দ্বারস্থ হয়েছে।
>> এর মূল কারন পাকিস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান। আফগানিস্তানে কোন #সমুদ্রবন্দর না থাকায় #পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেনা প্রবেশ করিয়ে আফগানিস্তানে প্রেরণের কাজটি সবাই করেছেন।
>>তাই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে পাকিস্তান অন্যতম বড় #নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
♦ভারত
>>>আফগানিস্তান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় #বিনিয়োগকারী দেশ।
>>ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩ #বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
>>ভারত আফগানিস্তান এবং #তুর্কমেনিস্তান থেকে তেল আমদানি করে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যার তেলের চাহিদা পূরন করে। এছাড়া ভারত আফিগানিস্থানে সেনা #প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
>>>#ভারত আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাবে এমন গুজব শোনা যায় প্রায়ই।
>>>>কিন্তু কথা হচ্ছে যেযে ভারত ভালো করেই জানে যে আফগানিস্তান সেই বিশাল হাতির পা যা কুমিরের মুখে এলে কুমির না একে খেতে পারে না ছাড়তে পারে। তাই ভারত কুমির হয়ে এই হাতির পা মুখে নিতে যাবেনা।
>>#ভারত যদি ভূল করেও আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়ও তবুও ভারত কখনোই আফগানিস্তানকে গ্রাস করতে পারবে না।
>>যে কাজটি আগেই বড় বড় সাম্রাজ্যের মহাবলশালী যোদ্ধারাও করতে পারেননি ভারত সেটা করতে পারবে না।
>>>আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের কোনকালে আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ছিলনা আর হবেও না। আপাতত ভারত আফগানিস্তানে ব্যাবসায়ে বেশি মনযোগী।
>>>আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত। হয়ত এর পেছনে ভারতের ইতিহাস কাজ করছে। ভারত গত শতাব্দী অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিয়েছে। তাই এই শতাব্দীতে ভারত কোন প্রকার অমিমাংশিত পরিস্থিতির দিকে যেতে চাইবে না।
>>>তবে নয়াদিল্লী এক্ষেত্রে কাবুলকে সন্ত্রাস দমনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
♦চীন:
চীন আফগানিস্তানে ঘাটি নির্মানের জন্য এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদি চীন তা করে ফেলে ভারতকে তা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে।
ষষ্ঠত,
প্রশ্ন আসতে পারে #আলেকজান্ডার, #ব্রিটিশ সেনা,#রুশ সেনা, #আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানে কেন সফল হতে পারেনি?
♣♣>উত্তরটা অনেকটা এরকম পার্বত্য ময় দেশ হবার কারনে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা নিয়ে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানে সেনা প্রবেশ করানোর জন্য কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় #পাকিস্তানকে ব্যাবহার করতে হয়। এই রাস্তা বড়ই দূর্গম আর পাথুরে।
♣♣আফগানিস্তান মাঝারি আকৃতির একটি দেশ। তাই একে বশে আনতে হলে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাতে হবে। খন্ড খন্ড যুদ্ধে আফগানিস্তানকে নাকাল করা যাবেনা।
♣♣আফগানিস্তানে এলাম, দেখলাম,জয় করলাম এই নীতি চলেনা। আফগানিস্তান দখল করতে হলে পুর্ণশক্তিতে যুদ্ধ করতে হবে।
♣♣কয়েক হজার সৈন্য আর কয়েকটা বোমা মেরে আফগানিস্তানকে দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু দখল করা যায়না।
♣♣আফগানি সেনারা আত্মগোপন করার মত অনেক সুযোগ পায়। তাই তাদের সনাক্ত করাটাই এসব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
♣♣উপরন্তু উঁচু পর্বত থেকে হঠাৎ ঝ্বটিকা আক্রমণ শত্রুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
♣♣ আর আফগানিস্তান নিজেদের দেশাত্মবোধ বিদেশী শক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়না।
Prepared By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না

============================
#বিসিএস রিটেন- #সিলেক্টেড টপিক
#মালদ্বীপ সংকটের #আদ্যোপান্ত
#চীন- #ভারত- #মালদ্বীপ #ফ্যাক্ট
২০১৮ সালে এশিয়ার ভু-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপের নাম। আজ এই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকটের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦যেকোন সংকট সম্পর্কে জানার আগে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। মালদ্বীপের এই সংকটে নিজেকে জড়িত করার পুর্বে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়া যাক....
♦#ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম:
ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মালদ্বীপের বর্তমান এবং ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎ ভাই। ইয়ামিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে। তার দলের নাম হচ্ছে #প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপ।
♦মাহমুদ নাশিদ:
নাশিদ মালদ্বীপের সাবেক তরুণ প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ #ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণধার তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নাশিদ ক্ষমতায় ছিলেন।
নাশিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। পাশ্চাত্যের সাথে নাশিদ খুব ভালো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
নাশিদ ২০১৫ সালে ইয়ামিন সরকার কর্তৃক বন্দী হন। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইংল্যান্ড অবস্থান করছেন।
♦মামুন আব্দুল গাইয়ুম:
তিনি দীর্ঘদিন (1978-2008) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম তার সৎভাই। মামুনের দলের নাম প্রোগ্রেসিভ পার্ট অফ মালদ্বীপ। ২০০৮ সালে নাশিদের কাছে ক্ষমতা বদল হয় মামুনের।
♦♦মালদ্বীপের শাসনব্যবস্থা :
>> মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারি ব্যাবস্থা চলছে।
>>মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম মজলিশ। বর্তমানে মজলিশের আসন সংখ্যা ৮৫।
>>মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাইদ।
$$ চলমান মালদ্বীপ সংকট:$$
মালদ্বীপ সংকটকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য এই লেখাটিকে ছোট ছোট কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করেছি। শুরু করা যাক তবে.........
প্রথমত,
মালদ্বীপ এমন একটি স্থানে রয়েছে যেখানে ভারত মহাসাগর আর আরব সাগরের মাঝে একটা যোগসুত্র তৈরি হয়। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ মালদ্বীপের প্রায় ১২০০ ছোটবড় দ্বীপের সুবিধা ভোগ করে। মালদ্বীপ নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এই জাহাজ গুলোকে। তাই মালদ্বীপকে হাতের মুঠোয় পেতে চীন, ভারত, জাপান এই এশীয় দেশগুলো মরিয়া হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
মালদ্বীপ বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে নাশিদ অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে চাইছেন।
তৃতীয়ত,
এই রাজনৈতিক সংঘাত আরো জটিল হতে শুরু করে যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায় দেয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট তাদের মুক্তি দিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করে নেওয়া হয়। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
চতুর্থত,
দেশটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট কি বলছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের হাফ-ব্রাদার সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম বিরোধী পক্ষের সাথে রয়েছেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ এই ঘটনায় ভারতীয় মিলিটারির সহায়তা কামনা করছেন।
পঞ্চমত,

ভারত কি বলছে?
>>>>ভারত মালদ্বীপকে সবসময় নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করে। এটা এমন একটা জায়গা যা ভারতের জন্য strategically খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সব সময়ই মালদ্বীপকে নিজের বাড়ির উঠানের মত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখে।
>>>>>শুরুতে ভারতের সাথে ইয়ামিন সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ (২০১৩) নেওয়ার পরে ইয়ামিন ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ভারতেই সফর করতে আসেন। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় চীনের সিল্ক রোড চুক্তিতে মালদ্বীপের স্বাক্ষর করা নিয়ে। পাশাপাশি চীন মালদ্বীপে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করলে ভারতের সাথে মালদ্বীপের ইয়ামিন সরকারের বৈরিতা শুরু হয়।
>>>>>>২০১৫ সালে মোদি যখন মরিশাস আর শ্রীলঙ্কা সফর করেন তখন মালদ্বীপ সফরের কথাও ছিল। কিন্তু মোদি মালদ্বীপের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
>>>>>সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট নাশিদ সহ ৯ জন রাজবন্দী মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৩ জন বিরোধী দলীয় দায়িত্বচ্যুত পার্লামেন্ট মেম্বারকে পুনরায় তাদের স্বপদে ফিরে যেতে রায় দিয়েছে। এতে করে ৮৫ সদস্যবিশষ্ট পার্লামেন্টে ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তাই সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেছে।
>>>ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় মেনে নিতে বলছে। কিন্তু ইয়ামিন প্রশাসন বলছে এতে ভারতের নাক না গলানোই ভালো।
>>>>তবে ভারতের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তারা অপেক্ষায় আছে নির্দেশের। উল্লেখ্য এর আগেও ভারত ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা পাঠিয়েছে। এবার তারা কি করে সেটা সময় বলবে।
>>>মালদ্বীপ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং অবিলম্বে এই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।
ষষ্ঠত,
চীন কি বলছে?
>>>চীন ভারত মহাসাগরে ভারতীয় আধিপত্য রুখতে মালদ্বীপকে উত্তম ঘাটি বানাতে উঠেপরে লেগেছে। চীন মালদ্বীপকে তাদের বেল্টে আনতে মালদ্বীপে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে। চীন মালদ্বীপে কেবল বাণিজ্য করার জন্যই ইনভেস্ট করেনি। এই বিনিয়োগে চীন মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। চীন মালদ্বীপে ভারতীয় ডমিনেশনের জবাব দিতে গাইয়ুম সরকারকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে।
>>>>সম্প্রতি পাকিস্থানের আরব সাগর তীরবর্তী বেলুচিস্তানে চীন সমুদ্রবন্দর বানালে তার জবাবে ভারত মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ইরানের চবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে চীন ভারত সমান সমান আধিপত্য বজায় রাখবে। এ জন্য চীন মালদ্বীপে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত মহাসাগরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।
>>>এর প্রমাণ হচ্ছে ভারত মহাসগরে চীনের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি। চীন ভারত মহাসাগরে তাদের শক্তিশালী নৌ-বহর সাজিয়ে রেখেছে যেখান থেকে মালদ্বীপ ঢিল ছুড়ার মত দুরত্বে রয়েছে।তাই ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে চীন তার শক্ত জবাব দেবে। তাই উভয় দেশ এই সংকটের মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
♦সপ্তমত,
যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে?
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আর আগ্রহী বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পুর্ব এশিয়াতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ কমে গেছে। তবে আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে বলেছে।
এক নজরে-----------
♦মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতার
♦সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দিয়েছে
♦সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আটক
♦ভারতীয় মিলিটারি হস্তক্ষেপ চান সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ
♦মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অবৈধ ঘোষণা সুপ্রিমকোর্টের।
♦প্রস্তুত ভারতের সেনা।
♦প্রস্তুত চীনা যুদ্ধজাহাজ
== By====
=সৌরভ দেবনাথ সাগর=
==MBA=
== SUST=
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending