Pages

VIVA


৩৮ তম ভাইভা অভিজ্ঞতা
শ্রদ্ধেয় শাজাহান আলী মোল্লা স্যার এর বোর্ড
০৯-০২-২০২০ ( একদম শেষ এর দিন টেকনিক্যাল ভাইভা দিয়েছিলাম)
সিরিয়াল - ৪ জনের মধ্যে আমিই প্রথম ( ৫ জনের মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত ছিলো)
বিষয়ঃ কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ঃ ২৫-৩০ মিনিট
ফলাফলঃ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত।
বি.দ্র. নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করার পরও আমার ভাইভার টেকনিক্যাল অংশটা অনেক খারাপ হয়েছে। তাই আপনারা নিজেদের
ভালোভাবে তৈরী করবেন।
বিসিএস এর প্রথম ভাইভা এমনিতেই অনেক ভয়ে ভয়ে আছি তারপর যখন দেখলাম আমিই সিরিয়াল এ প্রথম তখন গলা শুকিয়ে কাঠ।
এরপর শুরুতেই খেলাম ধাক্কা। স্যার এর সহকারী আমাকে বললো আপনি ঢুকুন।
দরজা খুলে সালাম দিতেই চেয়ারম্যান স্যার জিজ্ঞেস করে আপনি ক্যান্ডিডেট?
আমি হ্যাঁ সূচক জবাব দিতেই উনি বলে আপনি না আপনি না। মাথা নেড়ে উনার সহকারীকে ঢুকতে বললেন। এর মধ্যেই আমি ৩ জোড়া চোখ দেখে ফেলেছি এবং বাইরে বসে বসে আল্লাহকে স্মরণ করছিলাম।
কিছুক্ষণ পর আমাকে ঢুকতে বলা হলো।
বিসমিল্লাহ বলে সালাম দিয়ে প্রবেশ করলাম।
চেয়ারম্যানঃ আপনি আবদুল্লাহ আল মামুন?
আমিঃ জি স্যার।
চেয়ারম্যানঃ জগন্নাথ থেকে পড়াশুনা করছেন। মাস্টার্স করেন নাই কেন?
আমিঃ এখন করছি স্যার।
চেয়ারম্যানঃ হুম হুম। আচ্ছা আপনার তো দেখি বোথ চয়েস ছিলো? শুধু টেকনিক্যাল এ কেন আসলো ?
আমিঃ রেজিষ্ট্রেশন করার সময় বোথ দিয়েই আবেদন করেছিলাম স্যার। কিন্তু প্রিলিমিনারীতে পাস করার পর আমি শিক্ষকতাকেই আমার ভবিষ্যৎ পেশা হিসেবে উপযুক্ত মনে করলাম। তাই বাংলা ২য় এবং বিজ্ঞান পরীক্ষায় শুধু অংশগ্রহণ করেছিলাম।
চেয়ারম্যানঃ আমিও তো সেটাই চিন্তা করি কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে বিজ্ঞানে ফেইল করার কথা না। তার মানে তুমি শিক্ষক হতে চাও?
আমিঃ জি স্যার।
চেয়ারম্যানঃ আমি তোমাকে আর প্রশ্ন করবো না। তোমার বিষয়ের বিজ্ঞ স্যাররা আছেন উনারাই তোমাকেই প্রশ্ন করবে। এক্স-১ এর দিকে তাকিয়ে চেয়ারম্যান স্যার বললো শুরু করেন স্যার।
( স্যার এর শুরু করেন শুনে গরু কোরবানির কথা মনে পড়ে গেলো )
এক্স-১ সম্পর্কে একটু বলি। স্যারকে প্রথম দেখাতেই একটু ভয় পেয়েছিলাম। উসখোখুস্কো চুল, পরনের জামার বোতাম খোলা, রুক্ষ চেহারার মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক। স্যারকে হঠাৎ দেখলে মনে হবে গত কয়েকদিন কঠিন কোন প্রোগ্রামিং এর প্রবলেম নিয়ে পড়ে ছিলেন,এখনো সমাধান করতে পারেন নাই।
এক্স-১: আপনি কত ধরনের সার্চিং জানেন?
আমিঃ উত্তর দিলাম।
(এরপর আমার সাথে যা হয়েছে আপনি শুনলে বিশ্বাস করবেন না রাসেল ভাই)
এক্স-১: complexity নিয়ে বললেন কিছুক্ষন।
(তারপর এমন সব প্রশ্ন করলেন আমি আমার ছাত্র জীবনে কখনো নামই শুনি নাই। পরে আমার মনে হলো স্যার এর নিজের কোন পাব্লিশড জার্নাল থেকে জিজ্ঞেস করছে মনে হয়)
আমিঃ টানা ৫-৬ টা প্রশ্নের উত্তর সরি স্যার বলছি। খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম।
এক্স-১: তোমার সামনে কাগজ আছে অইটা নাও। একটা ইনফিনিট লুপ লেখো।
আমিঃ এতোগুলো প্রশ্ন না পারার কারনে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রথমে বুঝতেই পারি নাই কি বলছে। পরে while দিয়ে লিখে দিলাম।
এক্স-১: for লুপ দিয়ে লিখে দেখাও।
আমিঃ লিখে দিলাম।
এইবার এক্স-২ এর পালা। উনার সম্পর্কে একটু বলি। উনি এক্স-১ এর ঠিক উল্টো। খুব পরিপাটি, সূক্ষদৃষ্টি। আমি ঢুকার পর থেকেই উনি আমার ড্রেস-আপ এমনকি পায়ের দিকেও কয়েকবার তাকিয়েছেন। আমার কাগজপত্র স্যারই দেখতেছিলেন।
এক্স-২: আপনি তো স্যার এর ( এক্স-১) প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে দিতে পারেন নাই আমার গুলো দিতে চেষ্টা করুন। আপনি আমাকে যা জিজ্ঞেস করবো তার উত্তর দিবেন। এর বেশি কিছু না।
আপনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এর সঠিক তারিখ বলুন।
আমিঃ বললাম।
এক্স-২: এটা কি কাজে লাগবে আমাদের?
আমি: উত্তর দিলাম।
এক্স-২: একটা অ্যালগরিদম কি কখনো ইনফিনিট হতে পারে?
আমিঃ মনে হলো উত্তর যাই দেই না কেন এটা নিয়ে পেচানোর সুযোগ আছে। তাই সরি স্যার বললাম।
এক্স-২: অ্যালগরিদমের কিছু বৈশিষ্ঠ্য বলেন।
আমিঃ কয়েকটা বলার পর আমাকে থামিয়ে দিয়েই স্যার বললেন এসব না। আমি আবার সরি স্যার বললাম।
( চেয়ারম্যান স্যার কিন্তু পুরো সময়টা তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি উনার দিকে তাকিয়ে একবার উত্তর দিতে গেলে তিনি বলেন যিনি প্রশ্ন করেছেন তাকে উত্তর দাও)
এক্স-২: এখন সবচেয়ে পপুলার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর নাম বলেন।
আমিঃ আমি বলদের মত বলি PHP। স্যার বিরক্ত হয়ে ঝাড়ি দিয়ে বলেন পাইথন এর নাম শুনছেন?
আমি বললাম জি স্যার শুনেছি। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলেন কাজ করেছি কিনা আমি বললাম না স্যার।
এক্স-১ স্যার আবার নাড়াচাড়া দিয়ে উঠলেন তার দিকে তাকাতেই আবার প্রশ্নের ফুলঝুরি।
এক্স-১: 2 way authentication সম্পর্কে যা জানেন বলেন।
আমিঃ সুন্দর করে বললাম।
এক্স-১: এই যে এসএমএস টা আসে এইটা কোথা থেকে আসে। উত্তর দেয়ার পর বলে সার্ভারটার নাম কি?
আমিঃ সরি স্যার।
এতক্ষন পর চেয়ারম্যান স্যার প্লট পেলো প্রশ্ন করার।
চেয়ারম্যানঃ ব্যাংক এর কথা হইতেসে তাহলে বাবা বলোতো আমাদের যে এতোগুলো টাকা চুরি হইলো এইটা কিভাবে হলো ?
আমিঃ প্রশ্ন কমন পড়ছে। ২ দিন আগে আল জাজিরার পুরো রিপোর্ট দেখছি এইটা নিয়ে। বলতে লাগলাম হ্যাকাররা খুব প্লান করে হলিডে গুলো মাথায় নিয়েছে। এইটা বলা শেষ করতে না করতেই এক্স-১ এর ঝাড়ি। কি বলতেসে বন্ধের দিনের সাথে এই হ্যাকের পরিকল্পনার কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আল জাজিরার রিপোর্ট এ বন্ধের কথাটা হাইলাইট করছিলো। আমি সরি স্যার বলার পর স্যার বলে তুমি টেকনিক্যাল ব্যাপার বলো। তারপর বললাম কিভাবে কি হলো।
এক্স-১: আচ্ছা এইবার আমাকে বলো, আমেরিকাতে একজন তার কম্পিউটার এ সে পাসওয়ার্ড ইনপুট দিচ্ছে
আর তুমি বাংলাদেশ এ বসে বসে তা দেখতে পাচ্ছো। এইটা কোন সফটওয়ার দিয়ে পসিবল?
আমিঃ আমি সাথে সাথে বললাম টিম ভিউয়ার। স্যার বললেন টিম ভিউয়ার এ তুমি পাসওয়ার্ড দেখতে পাও?
আমি বললাম না স্যার। এরপর বললাম স্যার পুটি দিয়ে রিমোট একসেস করা যায়। তারপর স্যার বললেন সেটা অন্য জিনিশ।
এক্স-১: সবাই জাভাকে কেন প্রেফার করে?
আমিঃ JVM এর বিষয়টা গুছিয়ে বলতে পারি নাই। স্যার ও উত্তর টা নিলেন না।
চেয়ারম্যানঃ আচ্ছা বলোতো বাংলাদেশ এ এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কতজন?
আমিঃ প্রশ্ন আবার কমন পড়ছে। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বলি ৯ লাখ ৯৪ হাজার। স্যার অবাক হয়ে ৯ লাখ!!! আমি সরি বলে বলি ৯ কোটি ৯৪ লাখ।
চেয়ারম্যানঃ ২০০৮ সালে কত ছিলো?
আমিঃ জানা ছিলো না কিন্তু মনে হলো সরি বলা উচিত হবে না। বললাম ১ কোটি ৮০ লাখ।
চেয়ারম্যানঃ এই যে এতো পরিবর্তন কিভাবে হলো?
আমিঃ মনের মাধুরি মিশিয়ে বলে দিলাম সব।
চেয়ারম্যানঃ ব্যবহারকারী বাড়ার অসুবিধা আছে সেটা কি?
আমিঃ ফেইসবুক এ গুজব রটিয়ে যে কয়েকটা ঘটনা ঘটছে তা বলছি। তারপর স্যার বলে প্রতিকার কি? আমি প্রধানমন্ত্রীর উক্তি কোট করে দিলাম।
চেয়ারম্যানঃ গ্রামের মানুষকে ইন্টারনেট ব্যবহারে কিভাবে সচেতন করবে ১ মিনিট বলো।
আমিঃ নিজের মত বললাম তারপর স্যার বলে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে একটা ভালো কাজ করতে বললে আপনি কি করবেন? তখন চীন এ করোনা হিট ইস্যু। আমি কিভাবে মানুষকে সচেতন করা যায় তা বললাম।
চেয়ারম্যানঃ তোমার ইংরেজি পরীক্ষা কেমন হয়েছিলো?
আমিঃ আশানুরূপ দিতে পারি নাই স্যার।
চেয়ারম্যানঃ রচনা কোনটা দিয়েছিলে? আমি বললাম রোহিংগা। স্যার বললেন আরেকটা ছিলো Social media নিয়ে ওইটা দিলে না কেন? তোমার সাবজেক্ট এর ইতো ছিলো। এবার বলে আরেকটা রচনা ছিলো ওইটার নাম কি? আমি ব্লু ইকোনোমি বলার পর বলে পুরো নাম বলো।
আমিঃ সরি স্যার।
চেয়ারম্যানঃ রোহিংগা টার পুরো নাম বলো।
আমিঃ সরি স্যার।
চেয়ারম্যানঃ স্যার খুব বিরক্ত হয়ে নিজে যেই রচনা লিখছো তার নামটাও মনে নাই। তুমি আসছো শিক্ষক হতে আর ৩ মাস আগের জিনিশ মাথায় নাই?
আমিঃ সরি স্যার। (মনে মনে ভাবতেসি ৩ মাস?? ১৮ মাস হইছে স্যার)
এক্স-২: স্যার ছেড়ে দেন উনাকে। আর এটাতো উনার প্রথম বিসিএস, এখনো ছোট আরো দেখুক। দিতে থাকুক।
( আমি তো মনে মনে বলতেসি হায় হায় রে কি বলে স্যার। এইটা শোনার পর আমার মনে হইছে আমি তো তাহলে পাস করার সুযোগ নাই। অনেক কষ্ট নিয়েও স্যার এর দিকে তাকিয়ে হাসলাম।)
চেয়ারম্যানঃ আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার কাগজ পত্র নিয়ে আপনি যেতে পারেন।
আমিঃ সবাইকে ধন্যবাদ আর সালাম দিয়ে বেরিয়ে আসলাম।
বি.দ্র. ভাইভার পুরোটা সময় আমার কখনোই মনে হয় নাই আমি ভালো ইম্প্রেশন তৈরী করতে পেরেছি।
চেয়ারম্যান স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে পাস করিয়ে দেয়ার জন্য।


|| ১৬ টি জটিল ইন্টারভিউ বোর্ড প্রশ্ন (উত্তর সহ) যা উঁচু মানের বেসরকারি চাকরিতে করা হয় ||
প্রাইভেট সেক্টরে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলে অনেক বড় ডিজিটের সম্মানজনক চাকরি পাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে আসুন জেনে নিই ইন্টারভিউ বোর্ডের সেসব প্রশ্ন উত্তরঃ-
১। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি এবং দুর্বলতা কী?
এটি সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত ইন্টারভিউ কোশ্চেনগুলোর একটি এবং সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিংও বটে। প্রশ্নের প্রথম অংশটির উত্তর দেয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হলেও পরের অংশটি জীবন্ত ল্যান্ডমাইন, যদি না আপনি সতর্ক হন। কোম্পানি সাধারণত এমন কাউকে খোঁজে যারা তিনটি কাজ ভালভাবে করতে পারে।
১। আয় বাড়ানো
২। টাকা বাঁচানো
৩। সময় বাঁচানো
দুর্বলতার প্রশ্নটির উত্তর দেবার সময় আপনার বৈশিষ্ট্যগত ত্রুটির কথা পরিহার করুন। দুর্বলতাটি আপনার দক্ষতা রিলেটেড হলে ভালো হয়। যেমন উত্তরটি এমন হতে পারে- “আমি যখন শুরু করেছিলাম তখন আমার পাওয়ার পয়েন্ট এ দক্ষতা ছিল না। কিন্তু একটি ভালো বইয়ের সাহায্য নিয়ে আমি আমার দুর্বলতাটি দূর করতে পেরেছি।”
আরেকটি ভালো আইডিয়া হচ্ছে দূর্বলতার ছদ্মবেশে নিজের শক্তির দিকটাই তুলে ধরা। যেমন- “আমি আমার কাজ সম্পর্কে প্যাশনেট এবং যেকোন কাজে আমি নিজের সম্পূর্ণ্টাই দেই। তো মাঝে মধ্যে আমি যখন অন্যদের অলস সময় কাটাতে দেখি, তখন হতাশ হই”।
২। কিসের তাড়না আপনাকে রাতে জাগিয়ে রাখে?
এটি আরেকটি ল্যান্ডমাইন যেখানে আপনাকে সাবধানে পা রাখতে হবে। এতি আপনার দুর্বলতা খোঁজার আরেকটি উপায়। আপনি যতই আপনার প্রশ্নকারীর সাথে কথা বলতে বলতে সহজ হয়ে যাবেন, খুব ভালো সম্ভাবনা আছে আপনি অসাবধান হয়ে পড়বেন। খেয়াল রাখুন। এর উত্তরটি হতে পারে, “মাঝেমধ্যে ইন্টারভিউ সম্পর্কিত দুঃস্বপ্ন ছাড়া খুব কম সময়ই আমার ঘুমোতে কস্ট হয়।আমি সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট এ বিশ্বাস করি এবং পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিজেকে রিচার্জ করে নিই। আমি জানি আমি ক্লান্ত থাকলে হত কাজে আমার শতভাগ দিতে পারব না।
৩। আপনার আগের কোম্পানিতে আপনি কীভাবে উন্নতি করেছিলেন?
ভালো প্রশ্ন যদি প্রশ্নকর্তা একজন প্রোমোটেবল ক্যান্ডিডেট খুঁজে থাকেন। এখানে আপনি বিচ্ছিন্নভাবে আপনার পার্সোনাল এবং বিজনেস ট্রেইটগুলো তুলে ধরতে পারেন। আপনার আগের কোম্পানির প্রশংসা করুন। যেমন- “ট্রেনিং টি শিক্ষণীয় ছিল” কিংবা “আমি বেশ কিছু অসাধারণ মেন্টর পেয়েছিলাম যারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন।” ধাপে ধাপে টাইটেল ধরে আপনার কঠোর পরিশ্রমের এবং মেধার ফসল হিসেবেই যে প্রমোশনগুলো পেয়েছেন তা কথায় কথায় তুলে ধরুন। প্রমোশন যদি নাও পেয়ে থাকেন, আগের চাকরিতে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলো অতিক্রম করেছেন তার গল্প করুন।
৪। যদি আপনি রঙ হতেন, কোন রঙ হতেন?
আমাকে একবার বেশ ভালো একটি প্রতিষ্ঠান এর ইন্টারভিউতে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। আমি হেসে গর্বিতভাবে রংধনুর রঙ বলে উত্তর দিয়েছিলাম। প্রত্যেকের মধ্যে সাধারণত চার ধরনের বেসিক পার্সোনালিটি টাইপের যেকোন একটি দেখা যায়। কিন্তু আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী চিনতে এবং মানিয়ে নিতে পারি। কখনো আমার লাল হবার প্রয়োজন হয়, কখনওবা সবুজ, মাঝেমধ্যে সাদা কিংবা কালো এমনকি গোলাপিও। প্রশ্নকর্তা হেসে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন “খুব ভালো উত্তর”।
৫। আপনি কতদিন আমাদের কোম্পানির সাথে থাকতে চান?
এটি একটি ভালো প্রশ্ন। এর মানে হচ্ছে প্রশ্নকর্তা আপনাকে জবটি দেবার কথা ভাবছেন। কিন্তু এটি ট্রিকি হতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন প্রশ্নকর্তা ভাবছেন আপনি অল্পসময় পরই চলে যাবেন কিনা। টোপটি গিলবেন না। বল প্রশ্নকর্তার কোর্টে ফেরত পাঠান এভাবে উত্তর দিয়ে, “আমি এই কোম্পানিতে খুব ভাল ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি পথনির্দেশনায় ভালো সাড়া দেই এবং সবসময়ই নতুন কিছু শিখতে চাই। আমি সাফল্য বলতে বোঝাই নতুন সুযোগ এলে তার জন্যে প্রস্তুত থাকা। আপনার কি মনে হয় কতদিন আমি এখানে সে চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হব?”
৬। আপনি কীভাবে মেজর প্রজেক্ট এর কাজগুলো করেন?
আপনি যে একজন সফল বিজনেস ম্যানেজার যে কিনা সমস্যা আইডেন্টিফাই এবং সলভ করতে পারেন তা দেখানোর এটি সুবর্ণ সুযোগ। “আমি কার্যকর স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এ বিশ্বাসী যা সম্মুখী (অন্য কথায় আমার কী কী রিসোর্স এর প্রয়োজন হবে?) এবং পশ্চাদমুখী চিন্তা (যেমন, যদি ডেডলাইন শেষ এর দিকে থাকে তাহলে সফল আউটকাম পেতে হলে কোন কোন সময়ে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?) দুটোর সমন্বয়েই গঠিত।
৭। আপনি কীভাবে স্ট্রেস সামলান?
এটির উত্তর দেয়ার সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে প্রতিহত করা।“ আমি সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্ট্রেস পরিহার করি। প্রত্যেকটা দিনে অনেকগুলো করে ঘন্টা আছে। আমি কার্যকর লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করি। আমি ব্যায়াম করি, ঠিকমত খাই, এবং পর্যাপ্ত ঘুমাই। আমার মনে হয় এতেই স্ট্রেস দূরীভূত হয়।
৮। আপনার চাকরির প্রথম ৯০ দিনে আপনি কী করবেন?
এটি প্রশ্নকর্তার দৃস্টিতে ফেয়ার প্রশ্ন হলেও চাকরিপ্রার্থীর জন্যে আনফেয়ার। আপনি সাধারণভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন যে, “আমি কোম্পানির নিকটবর্তী লক্ষ্যের সাথে মিলিয়ে আমার লক্ষ্য সেট করব। তারপর আমি আমার সময় সেই লক্ষ্যগুল অর্জনের জন্যে ব্যয় করব। আপনাদের কোম্পানির জন্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এখন কী এবং আপনারা কি কোন ট্রেনিং প্রোগ্রাম অফার করেন?”
৯। আপনার বর্তমান চাকরীর কি পছন্দ বা অপছন্দ করেন?
এই প্রশ্নটি করে প্রশ্নকর্তা কিছুটা সংকুচিত হয়ে যেতে পারেন এই ভেবে যে আপনি না বোধক উত্তর দিয়ে তার ফাঁদে পা দিচ্ছেন কিনা । তিনি আপনার কাছে পজিটিভ উত্তর-ই চাচ্ছেন। যদি আপনার বর্তমান কোম্পানি টর্চার চেম্বার ও হয় তবুও তাকে তা বলবেন না। এভাবে উত্তর দিতে পারেন , “আমি আসলে চাকরি খুঁজছিলাম না এবং বর্তমান চাকরিতে আমি খুব ভালো করছি। আমি সেখানকার ট্রেনিং এবং সংস্কৃতি খুব পছন্দ করি। আমাদের পণ্য এবং সার্ভিস অসাধারণ। আমার বস অনেক সাপোর্টিভ এবং ভালো শিক্ষক। কিন্তু কোম্পানিটি ছোট এবং আমার বিকাশের সুযোগ কম”। ( আপনার আগের কোম্পানি বড় হলে বলতে পারেন “আমি একটি ছোট কোম্পানি খুজছি, যেখানে আমি বড় পার্থক্য এনে দিতে পারব”।
১০। আপনার কাজের কোন অংশটি আপনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?
ইন্টারভিউ এর প্রেসারে কিংবা আগের জব এ খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে অনেক ক্যান্ডিডেটই ভাবেন তাদের কাজ গুরুত্বপূর্ন ছিল না কিংবা তাড়াহুড়ো করে অপ্রয়োজনীয় দক্ষতার কথা বলে ফেলেন। সাবধান থাকুন। আপনার সামগ্রিক ইমেজ এর কথা মাথায় রেখে আপনার চরিত্রের পজিটিভ দিক গুলো তুলে ধরুন। মনে রাখবেন, আপনি এমন একজন বিজনেস ম্যানেজার এর ইমেজ তৈরি করতে চান যে সুনিপুণভাবে বিজনেস চালাতে সক্ষম। উত্তরটি এভাবে চেস্টা করে দেখতে পারেন, “আমার বুদ্ধিদীপ্তভাবে সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা। আমি প্রতিদিন গুরুত্বের ক্রমানুযায়ী কিছু গোল সেট করি। এবং সেগুলো পূরন না হওয়া পর্যন্ত সব অনুকূলতা এড়িয়ে কাজটি শেষ করার প্রচেষ্টায় থাকি”।
সেই সাথে আপনার কিছু ইম্প্রেসিভ এচিভমেন্ট এর কথা তুলে ধরতে প্রস্তুত থাকুন।
১১।ওভারটাইম কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার মনোভাব কি?
আপনার যদি অসুস্থ বাবা-মা থাকেন কিংবা অন্য যেকোন কারণে আপনি যদি ওভারটাইম করতে অনিচ্ছুক হন, তবে প্রশ্নকর্তাকে বলার সময় এটি নয়। সবচেয়ে ভালো উত্তর হল- “যদিও আমি টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ন কাজে প্রাধান্য দেয়ায় বিশ্বাসী, আমি মনে করি মাঝেমধ্যে বাড়তি সময় এর প্রয়োজন হতে পারে।
১২। আপনার নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পর্কে কিছু বলুন।
এক্ষেত্রে আপনি যে মানুষকে বোঝাতে,তাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পেতে ,এবং যেকোন ডিসিশন নেবার পর যথার্থ অ্যাকশান নিতে সমর্থ সেটা তাদের বোঝান। আপনার বর্ণনাতে “মানুষকে প্রভাবিত করতে পারা,উদ্বুব্ধ করতে পারা, নেতৃত্ব দেয়া, অন্যদের ক্ষমতাশালী করতে পারা, নেগোশিয়েট করতে পারা, পজিটিভ পদক্ষেপ নেয়া, সুযোগ এর সৃষ্টি করা” এই জিনিসগুলো তুলে ধরতে পারেন।
১৩।আপনি কিভাবে মেধার পরিচালনা করেন এবং বিকশিত হবার সুযোগ করে দেন?
এটা হল আপনি কিভাবে অন্যদের ম্যানেজ করেন তা জিজ্ঞেস করার আরেকটি পন্থা। আপনি বলুন আপনার অধঃতন যারা আছেন তাদের সাথে নিজে অন্যদের কাছে যেমন ব্যবহার আশা করেন তেমন ব্যবহার ই করেন। আপনি আপনার পরিচালনায় পজিটিভ ক্ষেত্রে পুরস্কার দেয়া এবং সময়মত ফলাফল পেতে পছন্দ করেন। শেখানোর জন্যে আপনি যে সবসময় ই আগ্রহী সেটা তুলে ধরুন। শেষ করুন এমন কারো উদাহরণ দিয়ে যাকে আপনি চাকরি দিয়েছেন,ট্রেইন করেছেন এবং পরে সে পদোন্নতি পেয়েছে।
১৪। আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন কি?
এখানে প্রশ্নকর্তা কি বিজনেস লাইফ নাকি পার্সোনাল লাইফ বোঝাচ্ছেন? জিজ্ঞেস করুন। যদি বিজনেস হয় তাহলে বেশ। আপনার মেজর প্রমোশন যা আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং ডেডিকেশন এর ফলে এসেছে সেটির কথা তুলে ধরুন। যদি পার্সোনাল এবং বিজনেস লাইফ দুটোর কথাই বলা হয় তাহলে বিজনেস লাইফ ই বেছে নিন। মনে রাখবেন, আপনি একটি প্রফেশনাল ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন। আপনার বাচ্চার জন্ম আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন সেটা অবশ্যই সত্যি,কিন্তু এই ক্ষেত্রে তার উল্লেখ করবেন না।
১৫। এই কলমটি আমার কাছে বিক্রি করুন।
এটি এন্ট্রি লেভেল এর সেলস ইন্টারভিউ এর সবচেয়ে কমন প্রশ্নের একটি। এটি আপনার অন্য একজন মানুষ এর মনকে উন্মুক্ত করার, তাকে রাজি করানোর ক্ষমতাকে যাচাই করে। প্রশ্নকর্তা চান আপনি ক্রেতার চাহিদা এবং প্রয়োজন যাতে বুঝতে পারেন, সে অনুযায়ী পণ্যের মূল ফিচার বেছে নিতে পারেন এবং সে ফিচার এর সুবিধাগুলো ক্রেতার কাছে তুলে ধরতে পারেন। পণ্য বিক্রির একটি প্রাথমিক উপায় হচ্ছে, পণ্যটি থেকে ক্রেতা কি কি সুবিধা পাচ্ছেন তা ক্রেতার কাছে বিক্রি করা, পণ্যটিতে সর্বমোট কি কি ফিচার আছে তা তুলে ধরার চেয়ে। সুতরাং কলমটির সব বৈশিষ্ট্য গড়গড় করে বলতে যাবেন না। প্রশ্নকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন,কলম কেনার ক্ষেত্রে তার কাছে কোন জিনিসটি গুরুত্বপূর্ন।তারপর উত্তর দিন।
১৬। আপনার কি কোন প্রশ্ন আছে?
এ প্রশ্নে অবশ্যই হাঁ বোধক উত্তর দেবেন। এটা আপনার সর্বশেষ সুযোগ, ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করার। ইন্টারভিউতে অন্তত কোম্পানি সম্পর্কে পাঁচটি প্রশ্ন প্রস্তুত করে আসবেন। যাতে বোঝা যায় আপনি কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করে এসেছেন। আপনার প্রশ্নগুলো এমন হতে পারে, “গত পাঁচ বছরে এই কোম্পানির এই অর্জনগুলো রয়েছে, সামনের পাঁচ বছরে আরো কি কি অর্জন দেখতে চান?” অথবা “এই চাকরিতে ভালো করতে কোন গুণাবলি প্রয়োজন। ?”
লিখেছেনঃ শাহজাদী নওরিন
ক্যারিয়ার এক্সপার্ট
🔰███████████████🔰
Bangladesh Career Club
ক্যারিয়ারের সার্চ ইঞ্জিন
( দক্ষ জনশক্তি বিনির্মাণে অঙ্গিকারাবদ্ধ)
█▓▒░ বাংলাদেশ ক্যারিয়ার ক্লাব ░▒▓█
[দেশ বিদেশের সকল ধরনের ক্যারিয়ার ( বিসিএস, ব্যাংক, সরকারি বেসরকারি চাকরি, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জব, ফ্যাশন হাউজ, ব্যবসা, ইন্টার্নশিপ, উচ্চ শিক্ষা, IBA, IELTS, GRE, GMAT, TOEFL পিএইচডি প্রোগ্রাম, মার্কেটিং, ইন্টারন্যাশনাল জব, RJ, Tv news presenter ) ইত্যাদি সব বিশ্বের টোটাল সবধরনের ক্যারিয়ার দিকনির্দেশনা পেতে ও ক্যারিয়ার এক্সপার্টদের পরামর্শ শুনতে ক্লাবের সাথেই থাকুন ]

 

 

বিসিএস ভাইভার সাধারণ কিছু দিক

শাহ মো. সজীব

আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯, ১২:২০
প্রিন্ট সংস্করণ
অলংকরণ : তুলিঅলংকরণ : তুলিবাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত পর্বের ফলাফল ঘোষণা করে। এতে দেখা যায়, জেনারেল ক্যাডারে ৪ হাজার ৫২১ জন, টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল ক্যাডারে ১ হাজার ৪৭০ জন ও বোথ ক্যাডারে জন ৩ হাজার ৮৭১ উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ, তিন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৯ হাজার ৮৬২ জন। আর লিখিত ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভাইভা শুরু হয়ে যায়। তাই সময় অপচয় না করে অতি দ্রুতই ভাইভার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এতে আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। মনে রাখবেন, বিসিএস ভাইভায় ভালো করতে হলে প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আর আত্মবিশ্বাস এমনি এমনি বাড়ে না। এর জন্য বিসিএস ভাইভার পদ্ধতি/প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা ও বেশ কিছু পড়াশোনা করা প্রয়োজন। নিচে ভাইভা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো।
ক. বিগত কয়েকটি বিসিএসের ভাইভার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, ভাইভা অনুষ্ঠানের ক্রম হলো প্রথমে সাধারণ ক্যাডার, তারপর বোথ ক্যাডার এবং শেষে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডার।
খ. ভাইভায় সর্বমোট নম্বর হলো ২০০ এবং এই নম্বরের মধ্যে কোন উপবিভাগ নেই। ২০০ নম্বরের মধ্যে যদি আপনি শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর মানে ১০০ পান, তবে পাস করেছেন। এতে ক্যাডার আসবে কি না, বলা যায় না। তবে নন-ক্যাডার লিস্টে নাম থাকবে—এটা নিশ্চিত! এতে পরে হয়তো অন্য কোনো সরকারি চাকরিতে আপনি সুপারিশকৃত হতে পারেন।
গ. সাধারণত নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টায় ভাইভা শুরু হয়। আপনাকে ৩০ মিনিট আগে যেতে হবে। নিচতলার একটা বড় কক্ষে সবাইকে জড়ো করা হয়। তারপর অফিস সহায়ক এসে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন ধরে কাঙ্ক্ষিত বোর্ডে নিয়ে যাবে। এখানে মনে রাখা দরকার, বোর্ড সিলেকশন করা হয় এলোপাতাড়ি এবং ওই দিন সকালেই। সুতরাং কোনো ধরনের অসমতা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর সাধারণত প্রতি বোর্ডে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদিন ভাইভা দেন।
ঘ. যাঁর বোর্ডে ভাইভা দেবেন, তাঁর অফিস সহকারী কক্ষে ঢোকার আগেই আপনার কাগজপত্র নিয়ে নেবেন। শুধু মূল কিছু সনদ নিয়ে আপনি ভেতরে যাবেন।
ঙ. বোর্ডের ধরন দুইটা। একটি প্রেসিডেনশিয়াল এবং অন্যটি সাধারণ ভাইভা বোর্ড। প্রেসিডেনশিয়াল বোর্ডে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য থাকেন। এটা প্রথম কয়েক দিন চলে। আর সাধারণ বোর্ডে পিএসসির প্রত্যেক সদস্য চেয়ারম্যান হন ও দুজন বাইরের এক্সপার্ট থাকেন। অর্থাৎ, তিনজন মিলে বোর্ড গঠিত হয়।
চ. সাধারণ অর্থে মোট বোর্ড হয় ১৫টি। কারণ, চেয়ারম্যানসহ পিএসসির সদস্যসংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ জন।
ছ. কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ভাইভার সময় সাধারণত সাবজেক্ট এক্সপার্ট থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি আমন্ত্রণ করা হয়। তাই প্রস্তুতি ভালো নিতে হবে।
জ. ২৭তম বিসিএস থেকে থেকে বোর্ডের সামনে আপনার লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকে না। অর্থাৎ, আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে শুধু ২০০ নম্বরের ওপর। আগে কী করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী করবেন, তা বিবেচ্য বিষয় না।
ঝ. আপনি বোর্ড থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট স্থানে চেয়ারম্যান সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নম্বর দিয়ে দেন। এটি পরে করা হয় না।
ঞ. পোশাক ছেলেরা স্যুট–টাইসহ ফরমাল পরবেন। সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট উত্তম। জুতো কালো রং হওয়াই ভালো। ফিতেওয়ালা অক্সফোর্ড শু হলে আরও ভালো। মেয়েরা মানানসই শাড়ি পরবেন। ভেতরে ভালো মানের এসি আছে বিধায় গরম ও পোশাকের মধ্যে সংঘর্ষ হবে না।
ট. কেউ চাইলে টুপি, পায়জামা-পাঞ্জাবি, পরেও যেতে পারেন। তবে দেখেছি, যাঁরা খুব ধার্মিক তাঁরা এমন পোশাক পরেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
ঠ. পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চুল আদর্শ মান পর্যন্ত ছেঁটে রাখা উচিত। পরিচ্ছন্নতা আপনার রুচির পরিচায়ক। মেয়েদের ক্ষেত্রেও আদর্শ মান বজায় রাখা উচিত।
ড. কক্ষে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকবেন। সাধারণ আদর্শগুলো মেনে চলবেন। যেমন: অনুমতি নেওয়া, সালাম দেওয়া, নম্রভাবে হাঁটা ইত্যাদি সহজ কাজ। কিন্তু অনেকেই ভুলে যান।
ঢ. বোর্ডে যে ধর্মের লোকই থাকুক, মুসলিম প্রার্থী সালাম দেবেন, হিন্দু প্রার্থী নমস্কার দেবেন এবং অন্য ধর্মের প্রার্থীরা নিজের রীতি মেনে বলবেন। কারণ, আপনি বোর্ডের সবার ধর্ম সম্পর্কে জানেন না।
ণ, সালাম তিনজনকেই দেবেন না। শুধু বোর্ডের সভাপতিকে লক্ষ্য করে একবার দেবেন।
ত. সাধারণত গড়ে ২০ মিনিটের মতো আপনাকে বোর্ডের সামনে থাকতে হতে পারে। আমার জানামতে, ৩৪তম–তে একজনকে ৪৫ মিনিট রেখেছিল। তবে এটা ব্যতিক্রম। ভয়ের কিছু নেই।
থ. বোর্ডের চেয়ারম্যান বা সদস্য নারী হলেও স্যার সম্বোধন করবেন। আর পুরুষদের তো স্যারই বলবেনই।
দ. আপনার গলার স্বর কখনো অধিক উচ্চ বা অধিক নিম্ন হবে না। আদর্শ মান বজায় রেখে কথা বলবেন। ৩৫তম–তে এক প্রার্থী জোরে সালাম দেওয়ায় বোর্ড রেগে গিয়েছিল। আর একটা বিষয়, কথা বলার গতি খুব দ্রুত বা ধীর যেন না হয়। এতে বিরক্ত হন অনেকে। কথার মাঝখানে অ্যা, হুম, উহ্ উচ্চারণ করা যাবে না।
ধ. বাংলা প্রশ্ন বাংলায় উত্তর, ইংরেজি প্রশ্ন ইংরেজিতে উত্তর এবং ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত প্রশ্নের উত্তর মিশিয়েই দেবেন।
ন. যদি বাংলায় কথা বলেন কোনোভাবেই ইংরেজি শব্দ টেনে আনবেন না। এতে সমস্যা হতে পারে। তবে টেকনিক্যাল শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।
প. অনেক সময় ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর বাংলায় দিতে চাইলে অনুমতি নিয়ে নেবেন। বোর্ড অনুমতি দিলেই কেবল বলবেন। অন্যথায় নয়। তবে অনেক বোর্ড বাংলা বলার অনুমতি দেয় না।
ফ. উত্তর খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করুন। পারলে পয়েন্ট আকারে বলবেন। একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা জিজ্ঞাসা করল তার বেশি বলতে যাবেন না।
ব. একটা কথা মনে রাখবেন, বোর্ড আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না। আপনি বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। কীভাবে? ধরুন আপনার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়াতে। তাহলে আপনাকে লালন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে বেশি।
ভ. বোর্ড যদি কারও সঙ্গে খুব বেশি আন্তরিকতা প্রকাশ করে তবে ধরে নেওয়া হয় ইতিবাচক একটা নম্বর আসতে পারে। ‘তুমি’ সম্বোধনও অনেক সময় ইতিবাচক। তবে এটি কোনো প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়!
ম. কথা বলার সময় হাত নাড়াবেন না এবং পা ঝাঁকাবেন না। মাথা প্রয়োজন অনুযায়ী মুভ করবেন। চেয়ারে হেলান দিয়ে আরাম করে বসতে যাবেন না।
য. যাঁদের হাত কথা বলার সময় ওপরে উঠে যায়ই, তাঁরা এক হাতের আঙুল দিয়ে অন্য হাতের আঙুল পরস্পর আটকে রাখবেন। এতে আর হাত উঠবে না!
র. বিসিএস পরীক্ষা বিজ্ঞাপনে যেসব কাগজপত্র নিয়ে ভাইভায় উপস্থিত হতে বলেছে, তা অবশ্যই বিনা ব্যর্থতায় আগেই জোগাড় করে ওই দিন নিয়ে যান।
ল. ২০০–এর মধ্যে কত দিতে পারে, তা বলা খুবই কঠিন। এটা বোর্ড ও আপনার পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। ভালো করলে ১৮০ ও দিতে পারে।
শ. ভাইভায় ফেল বা কম নম্বর পাওয়ার প্রধান কারণ হলো, ১. বেয়াদবি করা ২. বেশি জানার ভাব করা ৩. নার্ভাস থাকা ৪. অসতর্ক আচরণ করা ৫. উচ্চারণে আঞ্চলিকতা থাকা ৬. আই কন্ট্রাক্ট না থাকা ৭. ব্যর্থতা স্বীকার না করা ৮. সন্তোষজনক উত্তর কম দেওয়া ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো মাথায় থাকলে ভাইভা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া বা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পরবর্তী দুটি পর্বে ভাইভায় কী পড়বেন, কোথা থেকে পড়বেন, কোন বই ও গাইড পড়বেন, উত্তর দেওয়ার কৌশল, ইংরেজির গুরুত্ব, শেখার কৌশলসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সবার জন্য শুভকামনা।

লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।



==============================





 #Name
I am Aminul * My name is Aminul

informal-- This is --

#Qualification
I am graduate in CSE.

#Exprience
I have three years of exprience in traninig and education.

#present Job
presently I am parsuing BSc from BRUR
Apart from I am learning IELTS

#Hail from ()
I hail from Rangpur.
presently I am putting up at Rangpur but basically hail from Rangpur.

#Hobbies
I am keen on/fond of watching tv.

#Family background:
We are 5 members in our family. My father is farmer. my mother is a housemaker. we are 3 siblings.

#AIM

my aim(not want to be) is to established myself as a successful educationist.

thank you very much

Never use::::: ecetra , with in 35sec




Format_1:
I am Md. Mahfuzul Alam, the son of Mr. Md. Lokman Hakim & Mrs. Mosssammat Afroza Begum, here to face the viva.I am from Chittagong.I have completed my post graduation and graduation from University of Chittagong.My subject was Physics.Bathua High School & Patiya Govt. College were my previous educational institutions.Beside academic background, I have a good involvement in a non-political social organization.I have also a good intension in creative writing.Now I am looking for a job.Thank You.
Format_2:
I am (Name). I am from (District Name). My father name is Md. X who is a govt. employee and mother name is Most. Y Begum who is also a govt. employee. I obtained my Bachelor and Master degree in Philosophy from (University Name) in 2009 and 2010 respectively. Before that I passed SSC in 2003 from (School name) under (Board Name) and Passed HSC in 2005 from (College Name) under the same board. My aim in life is to be a BCS Cadre. For that I am performing Viva Voce now. Thats all for the time being.
( You should say “my father's name”,not “my father name”.)
Format_3:
I'm Md. Maksudur Rashid son of Md. Harunur Rashid nd Rehana Akter. I'm from Dhaka. firstly I would like to describe about my edu background. I have successfully passed my ssc nd hsc from MGHS nd bcic college respectivly. Then I got admitted into jnu nd completed my graduation nd post graduation. My father is a retired govt service holder nd my mother is a housewife. My hobby is playing nd watching cricket. But my aim in life is to be a magistrate. Thats all.
Format_4:
I am Md.Monowar Hossain and my birthplace is bagmara upazilla of rajshahi district. I have graduated from DU in Public Administration Department with cgpa X. (I think) the strongest side of my character is that i can work hard relentlessly and weakest side is that i believe people so easily. I want to work in a part of republic which is related to people from all spheres.
Format_5:
Thank u sir, It's a great pleasure to me to introduce myself. I am Tithi Rani Mondal from Naogaon & at present I'm residing in Dhaka. In my way of education journey I've completed my graduation & masters from the dept of Law, University of Dhaka. My parents both r govt. service holder & I'm the only child of them. I like punctuality, sincerity & honesty. In my spare time I like reading books & listening music. My long cherished dream is joining Bangladesh Civil Service. Thats all about for me for the time being. Thank u very much for having patience.
Format_6:
Thank you sir. I'm Maksudur Rahman. I hail from Patuakhali. I passed my SSC from Ideal School & College in 2003 & HSC in 2005 from Dhaka College. Then I got myself admitted into University of Dhaka. I obtained my Honors and Masters from the dept of Physics in 2009 and 2010 respectively. My father is a retired Bank officer and my mother is a government service holder. My dream is to be a bureaucrat and I'm working heart and soul to make my dream true.
Format_7:
Thank u sir for giving me the opportunity to say something about me.this is Mahmuda Kulsum Moni ,daughter of Mr.........n Mrs.....I have completed my graduation n post graduation in Finance n Banking from university of rajshahi n passed my SSC n HSE from...... n ..... respectively...My father was an auditor in CGI n my mother is a homemaker....I hv 2 brothers n one sister..all of them r students...my fav hobby is traveling,reading novels, watching movies. I am committed to serve the country and want to contribute in building a corruption free Bangladesh...thats all.
Format_8:
This is Ayesha Akter, i come from comilla. my fathers name is almas mean, he is a businessman. my mothers name is najma begum, she is working as a homemaker. we r two brothers and tow sisters. i am the eldest son of my parents, my younger brothers and sisters all of them are studying. having 1st class i completed my post graduation and graduation from govt. commerce clg under national university in 2010 and 2011 respectively. Though my passing year is 2011, actually exam physicly happend in 2014. before that having gpa 4.30 and 4.00 i completed my hsc and ssc from hajera taju degree clg and rahmaniya high school in business studies respectively. i want to be a bcs cadre, my family members always inspires me, specially my father to go my way, thats why i present there.
Format_9:
I am Md. Moshiur Rahman. I have passed my BSc in Agriculture from sher-e-bangla Agricultural University. There are four members in my family. My father is a businessman and my mother is a home maker. I have only one elder sister. I have borne in Gangni, Meherpur, and my parents are also from Meherpur District under Khulna division. I am fresher and it is my first BCS with a long-cherished dream to be a BCS cadre.
Format_10:
I am F. M. Ashraful Awal Rana, the son of Md. Kamal Uddin Fakir and Mrs. Nazma Akter is facing this Viva Voce now . I was born in 23rd August,1988 in a respected Muslim family where my father was the philosopher for me to build up my childhood mind and my mother was the initial teacher. In the year 2004, I have completed my SSC degree and 2006 was my passing year of HSC. Afterthat, I was so blessed to get admitted to the leading most University of Bangladesh which is well known as BUET to pursue my B.Sc. in Civil Engineering degree and I successfully completed my engineering degree in February' 2013. From my childhood, I have seen in myself that one thing I can do very well and this is management. From the family tradition, helping people is the another characteristics which is countable point to describe myself. Combining these two characteristics and with strong analytical capability as I am an Engineer, I am pretty sure, 'Assistant Commissioner' of people's republic of Bangladesh will be the right place for me to evaluate my potential for the betterment of myself as well as the country.
Format_11:
Thank u sir. I m most LABONI khatun from Dinajpur district. my father's name is MD siraj uddin and he is a farmer. my mother's name is MST ayesha begum who is a home maker. we r 3 brothers and 5 sisters. I have passed SSC and hsc from science group under rajshahi board. I have also completed my graduation and post graduation from rajshahi university in the department of botany. now I m looking for a good job. that's all about myself sir.
Format_12:
Thank u sir. I am Md. Mahabub, the son of Mansur Ali and Majeda Begum. My father was died in my childhood. My mother is housewife. I am only child of my parent. I am from Dhaka.. But my home town is Gaibandha. My academic succession was started in 2006. In This Year I have completed my SSC degree with GPA 4.33. I have completed HSC degree in 2008 with GPA 5.00. Then I was admitted to Rajshahi University .And I have completed BBA and MBA degree with CGPA 3.861 and 3.833 respectively from management department. and I am first in My batch.From my childhood, I try to work in group and manage the group successfully. My hobby is communicating with people diplomatically. My limitation is I am not quick decision maker . To make decision I need more analyzing the situation. Now I try to join in an organization to utilize my potentiality.
Format_13:
I am Md. Sarafat Hossain, you can call Sarafat. I've been living in Dhaka with my parents since I was born here in 1990. I've recently completed B.Sc. (Hons.) in Soil, Water and Environment from University of Dhaka and now I am studying in M.Sc. in Environmental Sciences(Thesis), DU. I've obtained my S.S.C. and H.S.C. in 2006 and 2008 respectively provided that my first learning started in my family when I was a child. With a long-cherished desire to work for my country, now I intend to be a B.C.S. cadre officer of the People's Republic of Bangladesh. Thank you.
Format_14:
Thanks for giving the opportunity. I am ..............,daughter of Mr.Eiraj Uddin & Mrs.Shamsunnahar Begum, here to face Viva. I am from Brahmanbaria District. My father is a farmer and mother is housewife. I passed SSC from chatalpar Waz Uddin high school in 2006 and HSC from chatalpar college in 2008. I've completed graduation and post-graduation in International Relations from University of Chittagong in 2012 & 2013 respectively. Now I am looking for a job and joining in BCS is my first target. so I am working on that. Thanks again for having patience.
Format_15:
Its Riben Dhar, My father name is X who is a business man and captain of my life. My mother name is Y who is a homemaker and teacher for my family. I completed my SSC and HSC from Z & D college respectively. Obtained BBA and MBA major in M & H from one of the reputed university named C in 2013 and 2014, Although certificate passing year was 2010 & 2011. Now I try to join in an organization to utilize my potentiality.
Format_16:
Thank u sir for giving me this opportunity.i'm sohel ahmed khan the son of md. abdul hannan khan n mrs fatema begum.my father was ast. Lawyer person nd my mother is a govt service holder.i have passed ssc nd hsc in 2007 nd 2009.we are two brothers n one sister.i'm the youngest son of my parents.i have completed graduation in zoology n still i'm the student of post graduation in fisherise.from the first year of my graduation i have a dream that,once i will present myself as bcs cadre.for that reason i'm here now. My hobbies are reading newspapers, traveling. my strengths are positive attitude, quick n self learner, friendly n confident. my weakness is that I feel uncomfortable until finishing the work assigned to me tongue emoticon tongue emoticon . I am fresher. I expect I can enhance my skill by foundation training and prove it in the service. thank you for listening with patience and giving me your valuable time.
Format_17:
Thank u sir for giving me the opportunity to describe myself in front of u. i am X hailing from sakhipur tangail. i was born in 31st dec 1991 & my fathers name is Y who was a freedom fighter & a retired govt employee, my mother Z who was also a retired govt employee. i have only sister who is an engineer & blessed with a daughter. i have passed my ssc from bb govt boys high school tangail in 2006 with gpa 5 & hsc from mgm hasan adarsha college tangail in 2008 with same gpa. after passing my hsc i was admitted in sir salimullah medical college & completed my mbbs in january 2014. then i was got married with dr. m in april 2014 & now blessed with a very beautiful daughter. this year i have joined a private medical college as a mo & preparing myself for 35th bcs & thats why i am here sitting in front of for a viva voce. thank u again sir.
Format_18:
Thank you sir.I am Sarif Hossain,the son of Kazi Mohammad ullah and Nurjahan Begum.I was born in 10th Dec 1986 in Chandpur.I have 2 brothers and 3sisters.I have passed my S.S.C in2002 and Hsc in 2004.I have completed my graduation and post graduation in Chemistry from Chandpur Govt College under the National University.Now I am looking for a good job and my long cherished dream is to be a bcs cadre.Thats all,sir.
Format_19:
Thanks for giving me the opportunity to introduce myself. I am Md. Fazle Rabbani Chowdhury. I was born and grew up in Sylhet. My father is a retired engineer of Bangladesh Power Development Board and mother is a homemaker. I have two sisters. Both of them are working in two different schools of Sylhet city as teachers. I have completed my graduation from the department of Applied Physics, Electronics & Communication Engineering and post-graduation from Electrical & Electronic Engineering of Dhaka University. I was involved in numerous extra-curricular activities throughout my entire student life. Like debate, science fest, cultural programs, traveling, writing etc. All sorts of creative or innovative activities attract me since those early school days. I am a former debater of Dhaka University Debating Society and was involved in organizing some national level debate fests in the campus. I have learned to work in a team, as an effective leader or a devoted member. Being an extrovert person I can communicate with people and adopt with, if not thrive in, stranger workplaces or fast pace environments quickly. With the problem solving skills and strategic approaches within me to face challenges, I believe I have the potentiality to be trained to become a functional Foreign Service Officer and serve the nation. That’s all. Thank u sir.



==========================================
প্রশাসন ক্যাডার সম্পর্কিত ভাইভা প্রশ্ন: (Mega Post)
৪৫ টি প্রশ্ন ও উত্তর
==========∞===========
প্রশাসন কেন আপনার প্রথম পছন্দ?

উ: নিজের মত করে উত্তর তৈরি করুন। নোট করুন।

প্রশাসন বলতে আপনি কী বুঝেন?

উ: প্রশাসন বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে সামগ্রিকভাবে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যাদির সুষ্টু ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হলে আপনার ভুমিকা কী হবে?
উ: এক্ষেত্রে একজন সহকারী কমিশনার হিসেবে প্রশাসক এর স্টাফ অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা (Crpc অনুসারে) প্রয়োগ, বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, পাবলিক পরীক্ষা ও স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তদারকি, আসামীদের জবানবন্দী নেয়া ইত্যাদি দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।
★প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেলে আপনি কোন ক্যাডারে নিযুক্ত হবেন?
উ: মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার অথবা, সচিবালয়ে সহকারী সচিব হিসেবে।
★প্রশাসনের শাখা বলতে কী বুঝেন?
উ: .... মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মূল কার্য সম্পাদনকারী একককে বুঝায়।
★এরুপ শাখার মূল দ্বায়িত্বে কে থাকেন?
উ: একজন সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকতা।
আচ্ছা, একটু আগে Crpc এর কথা বললেন, বলুন দেখি এটি কে ড্রাফট করেছিলেন?
উ: ১৮৯৮ সালে লর্ড ম্যাকলে
★Crpc এর পূর্ণরুপ কী?
উ; The Code Of Criminal Procedure (1898)
★Crpc প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে কী?
উ:
ফৌজদারি কার্যবিধি অপরাধীদের খুঁজে বের করা, তাদের বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা এবং অপরাধ দমনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সেসব প্রক্রিয়া ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি বা কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিয়্যার ১৮৯৮-এ নির্দেশ করা হয়েছে। ফৌজদারি আদালত গঠন এবং সেগুলির এখতিয়ার ও ক্ষমতা ছাড়াও কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের প্রতি সমন জারি করা, অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করা, পলাতক অভিযুক্তকে ফেরার ঘোষণা করা এবং তার সম্পত্তি ক্রোক করা, তল্লাশি পরোয়ানা, অন্যায়ভাবে আটককৃত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা; তল্লাশির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাধারণ বিধিব্যবস্থা, বেআইনি সমাবেশে বাধাদান, জনজীবনে উৎপাত ও শান্তিভঙ্গ, স্থাবর সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ, অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের ক্ষমতা, অপরাধ সংগঠনের ব্যাপারে পুলিশের নিকট অভিযোগ পেশ এবং তদন্ত চালানো ও অপরাধীদের ফৌজদারিতে সোপর্দ করার ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা, পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অথবা ব্যক্তি কর্তৃক দায়েরকৃত ফরিয়াদ অথবা তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচারার্থ মকদ্দমা গ্রহণ, তদন্তের স্থান, ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা জজ কর্তৃক মামলাসমূহের বিচারকার্য, মামলার দ্রুত বা সংক্ষিপ্ত বিচার, তদন্ত ও বিচারকার্যের সাধারণ বিধানবলি, রায় প্রদান, মৃত্যুদন্ড অনুমোদন বা বহাল করণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পেশ, রায় ও আদেশ কার্যকরকরণ, সাময়িকভাবে দন্ড স্থগিতকরণ, দন্ডাদেশ মওকুফ ও হ্রাসকরণ, আদালতের বিচারে পূর্বে খালাস অথবা পূর্বে দোষী প্রতিপাদনের ফলাফল, রায় আদেশ ও দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল, বরাত ও পুনর্বিচার, পাগলদের বিচার, বিচার প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এমন অপরাধের মকদ্দমা, স্ত্রী ও সন্তানদের ভরনপোষণ, পুলিশী হাজত অথবা ব্যক্তিগত আটক অবস্থা থেকে বিনাবিচারের আটক ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য পেশকৃত হেবিয়াস কর্পাসের ভিত্তিতে প্রদত্ত নির্দেশ, ফৌজদারি আদালতের সরকারি উকিলদের নিয়োগ কার্যাবলি, অভিযুক্তদের জামিন, সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ করা, সাক্ষ্য সংক্রান্ত বিশেষ বিধান, মুচলেকা, সম্পত্তি বিক্রয়, এক আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তর, নিয়ম বহির্ভূত মকদ্দমা এবং স্থানীয় পরিদর্শন, বিচার বিষয়ের মীমাংসায় সঠিক সাক্ষ্য হাজিরের (সমনের) নির্দেশ দানে আদালতের ক্ষমতা অথবা আদালতে উপস্থিত যেকোন ব্যক্তির সাক্ষ্য বা জবানবন্দি গ্রহণ, আদালতের অভিমত প্রকাশের পদ্ধতি, হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতা ইত্যাদির ন্যায় বিবিধ বিষয়।
★সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের কর্তব্য কী?
উ: সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
★প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্র কী?
উ: যে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান সরাসরি জনগণ বা প্রজা কর্তৃক নির্বাচিত হয়, সেই রাষ্ট্রকে প্রজাতন্ত্র বলে।
আর পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হলে তাকে গণপ্রজাতন্ত্র বলে। (বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্র)
ফেডারেশন ও কনফেডারেশন কী?
উ: কতগুলো স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য একত্রিত হয়ে কোন সংস্থা গঠন করলে তাকে ফেডারেশন বলে
আর, কতগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে কোন সংস্থা গঠন করলে তাকে কনফেডারেশন বলে।
★Cadre বলতে কী বুঝেন?
উ: ক্যাডার বলতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্র দলকে বুঝায়।
প্রশাসন ক্যাডারকে কেন Dynamic Cadre বলা হয়?
উ: কারণ,
প্রশাসন ক্যাডার থেকে অন্যান্য ক্যাডারে প্রেষণে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ণে মূখ্য ভুমিকা রাখা যায়।
প্রত্যক্ষভাবে জনগণের সাথে কাজ করা যায় বলে জনসেবার সুযোগ বেশি।
অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় মর্যাদা বেশি এবং পদোন্নতি দ্রুত হয়।
ইত্যাদি
★মোবাইল কোর্ট কী?
উ: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রুত অপরাধ দমনের লক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আমলে নিয়ে দণ্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত আদালতকে মোবাইল কোর্ট বলে।
(মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯)
★টাস্কফোর্স কী?
উ: কোন নির্দিষ্ট সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সংস্থার ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত অস্থায়ী গ্রুপ বা দলকে টাস্কফোর্স বলে।
★ডিক্রি কী?
ডিক্রি হল আদালত কর্তৃক প্রদত্ত মামলার চূড়ান্ত ফলাফল যা বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অধিকার রক্ষা করে।
মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদ সোপান কী?
উ:
বিভাগীয় কমিশনার
^
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার
^
জেলা প্রশাসক
^
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
^
উপজেলা/থানা নির্বাহী অফিসার
^
সহকারী কমিশনার
★মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পদ কী?
উ: যথাক্রমে বিভাগীয় কমিশনার ও সহকারী কমিশনার
★সহকারী কমিশনারের কাজ কী?
উ:
*Crpc এর অধীন প্রদত্ত ম্যাজি্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ।
*অবৈধ সমাবেশ বা দাঙ্গা দমনে পুলিশ বাহিনীকে গাইড করা।
*মোবাইল কোর্ট পরিচালনা।
*Vip ব্যক্তিদের প্রটোকল অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা
*অবৈধ দখলদারিত্ব উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেয়া ইত্যাদি।
সহকারি ভূমি কমিশনারের ( Ac Land) কাজ কী?
উ:
* জমির মালিকদের নামজারি।
*ভূমি উন্নয়ন কর আদায়।
*খাস জমি চিহ্নিতককরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও বন্দোবস্ত প্রদান।
*পরিত্যাক্ত ও অর্পিত সম্পত্তির ব্যাবস্থাপনা।
*জলমহাল, বালুমহাল ও সায়রাতমহাল ব্যাবস্থাপন*জলমহাল, বালুমহাল ও সায়রাতমহাল ব্যাবস্থাপনা।
*জরিপ সংক্রান্ত ভুলত্রুটি সংশোধন।
*দেওয়ানী মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা।
★কোন উপজেলায় Ac Land না থাকলে কে তার দ্বায়িত্ব পালন করে?
উ: Uno
সহকারি কমিশনারগণ কার অধীনে দ্বায়িত্ব পালন করেন?
উ: জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার হিসেবে।
উপজেলার প্রসাশনিক প্রধান কে?
উ: Uno
★Dc ও Sp এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উ: জেলায় সচিবালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী দ্বায়িত্ব পালন করেন ডিসি.. এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজ করেন এসপি।
★সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদসোপান কী?
উ:
সচিব/সিনিয়র সচিব
^
অতিরিক্ত সচিব
^
যুগ্মসচিব
^
উপসচিব
^
সিনিয়র সহকারী সচিব
^
সহকারী সচিব
★ব্রিটিশ আমলে Dc Office কে কী বলা হত?
উ: Collectorate Office
★জেনেভা কনভেনশন কী?
উ: যুদ্ধ-উপদ্রুত ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে জনহিতকর আচরণের জন্য যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে জেনেভা কনভেনশন (জেনেভা কনভেনশনস)।
এতে চারটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও তিনটি বাড়তি প্রটোকল রয়েছে। বস্তুত, একবচন শব্দ হিসেবে জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ সালের একটি সন্ধিপত্রকে নির্দেশ করে, যেটি সম্পাদিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও এর ফলাফল হিসেবে। এই সন্ধিপত্রেই চতুর্থ চুক্তিটি যোগ করা হয় ও প্রথম তিনটি চুক্তির (১৮৬৪, ১৯০৬, ১৯২৯) হালনাগাদ করা হয়। চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের (১৯৪৯) বিভিন্ন অনুচ্ছেদে যুদ্ধকালীন সময়ে বা সামরিক সংঘাতে ধৃত ব্যক্তির মৌলিক অধিকারসমূহ নির্দিষ্টভাবে ও বিশদ ভাষায় নিরূপণ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আহতদের এবং যুদ্ধাঞ্চল ও এর কাছাকাছি এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা। ১৯৪৯ সালের এই চুক্তিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অথবা রিজার্ভেশনসহ (একটি চুক্তির কার্যধারা মুলতুবি রাখার প্রক্রিয়া) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ১৯৪ টি দেশ।
★বাজেট কী?
বাজেট (সরকারি) একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য সরকারের ব্যয় ও রাজস্বসমূহের একটি পূর্বাভাষ। বাংলাদেশ সরকারের একটি বাজেটের সময়কাল হচ্ছে একটি অর্থবৎসর, যা একটি বৎসরের ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বৎসরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিস্তৃত। সরকারি বাজেটে কর ও মুদ্রাসংক্রান্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি অর্থের আহরণ, আবণ্টন ও বিতরণ করা হয়।
★Ecnec কী?
উ: এর পূর্ণরুপ Executive Committee Of The National Economic Council বা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জাতীয় নীতি ও উদ্দেশ্য সম্বলিত উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। এ পরিষদ কর্তৃক প্রণীত লক্ষ ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের নিজ নিজ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে। মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য এ পরিষদের সদস্য থাকেন। প্রধানমন্ত্রী তথা সরকার প্রধান পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
★Nicar কী?
উ: National Implementation Committee For Administrative Reform বা প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাস সংকান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
এর কাজ হল প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট উপস্থাপন করা
★ম্যাজিস্ট্রট কাকে বলে?
উ: ১৮৯৭ সালে প্রণীত General Clauses Act-1897 অনুসারে যিনি ফৌজদারি আইন প্রয়োগ করে বিচারকার্য পরিচালনা করেন তিনিই ম্যাজিস্ট্রেট।
( ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট তিন শ্রেণীতে বিভক্ত, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এবং তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় একজন ডেপুটি কমিশনার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে, এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এবং জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনার জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এঁরা প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ভোগ করেন। এঁদের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী বা তৃতীয় শ্রেণীর আরও কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য সকল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকেন যদিও এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কার্যত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে কার্যবণ্টনও করতে পারেন। একজন প্রথম শ্রেণী বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট একটি উপজেলা/থানার দায়িত্বে বহাল থাকেন। এধরনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে উপজেলা/থানা ম্যাজিস্ট্রেট বলা হয়। তিনি ঐ থানার যেকোন অংশে সংঘটিত কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারেন। সরকার যে-কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে অতিরিক্ত ক্ষমতাও প্রদান করতে পারে। মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে এধরনের এলাকা বা তার যেকোন অংশে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্য সব মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকেন এবং তিনিই অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেন।)
★Civil Service কী?
সরকার বা সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানকে বলা হয় সিভিল সার্ভিস।
★সংবিধানের আলোকে পিএসসি সম্পর্কে বলুন?
১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। তার ফলে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চাকরির প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়। সংবিধানে সিভিল সার্ভিস শব্দটা ব্যবহার করা হয় নি, তবে সকল শ্রেণীর সিভিল সার্ভেন্টকে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক অধ্যায় (১৩৬ নং অনুচ্ছেদে) অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে।
প্রথম, এই অনুচ্ছেদে সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের চাকরির শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়, এতে সরকারকে সিভিল সার্ভিস পুনর্গঠন করার এবং সিভিল সার্ভিস সদস্যদের অসুবিধা ঘটতে পারে চাকরির এমন শর্তাবলি পরিবর্তন করারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
★বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস দিবস কবে?
উ: প্রতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর।
★সিটিজেন চার্টার কী?
উ: একটি সরকারী অফিসে জনগণ কী কী সেবা পাবে তা জনগণকে পরিষ্কারভাবে যে সনদের মাধ্যমে জানানো হয় তাই সিটিজেন চার্টার।
★ Floor Crossing বলতে কী বুঝেন?
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক কোন সংসদ সদস্য যদি
!) নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেন বা
!!) দল থেকে পদত্যাগ করেন তবে,
উক্ত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। এরুপ কার্যকে Floor Crossing বলে।
★Casting Vote কী?
উ: সংসদে কোন প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে সমান ভোট হলে স্পিকার যে ভোট দেন তাই Casting Vote.
★Rules Of Procedure সম্পর্কে কী জানেন?
উ: এটি হল কিছু বিধিমালা যার মাধ্যমে কোন সংস্থা কিভাবে পরিচালিত হবে, কার্যপ্রণালী কী হবে ইত্যাদির নির্দেশনা থাকে তাকে Rules Of Procedure বলে।
★Rules Of Business কী?
উ: যে বিধিমালার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এর কার্যাবলি ও দ্বায়িত্ব বন্টন করা হয় তাকে Rules Of Business বলে।
★Rules Of Allocation বলতে কী বুঝেন?
উ: সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, " রাষ্ট্রপতি সরকারী কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করিবেন।"
এটিই Rules Of Allocation.
★Administrative Tribunal বা উ: প্রসাশনিক ট্রাইব্যুনাল কী?
এটি এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যা সরকারি কর্মকতা -কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নেয়।
(জেলা জজ বা তার সমমর্যাদার কেউ এ ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক হন।)
★প্রটোকল কী?
উ: প্রটোকল বলতে দুই বা ততোধিক কূটনৈতিক বা দেশের মধ্যে উপনীত সমঝোতাকে বুঝায়। আবার দুই বা ততোধিক দেশের সরকার প্রধানদের এবং বিদেশি ব্যক্তিবর্গের সাথে সভা, আলাপ-আলোচনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিধানাবলিকেও প্রটোকল বলে।
★What Is Penal Code ?
যে বিধিতে ফৌজদারি অপরাধের শাস্তির বিধান উল্লেখ আছে তাই Penal Code.
মোঃ সোহেল রানা
শিক্ষাক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত
মেধাক্রম ১ম
ইংরেজি

৩৭ তম বিসিএস

 

 

 

★★★ইন্টারভিউ ★★★

আমরা ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে একটা সাধারণ প্রশ্নের সম্মুখীন প্রায়ই সকলে হয়ে থাকি।

★মনে করুন আপনি চাকুরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেছেন।দরজা দিয়ে সাক্ষাৎ কার রুমে ঢুকলেন। এরপর একজন বললেন বসুন।আপনি বসলেন, এবং ধন্যবাদ দিলেন।

★এখন একজন আপনাকে প্রশ্ন করলো : Tell Me something About your Self / Introduce Your Self.

★এই প্রশ্ন দ্বারা বেশিরভাগ মানুষের মান যাচাই করে ফেলা যায়।ভাবতে অনেক অভাক লাগলে ও এইটাই সত্য।
★প্রশ্নটা করার পর আমাদের Answer হয় :
* My Name is (XYZ)
* my father Name is (XYZ)
*My Mother Name is (XYZ)
তারপর আমার বাবা এইটা করে,আমার মা এইটা করে,আমার ভাই/বোন এইটা করে ইত্যাদি।এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিন্তু আমরা বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ি।এর কারণ কি জানো,এইখানে একটা জিনিস খেয়াল করুন তো! সে কি বলল: তার নাম,বাবার নাম,মায়ের নাম,ভাই এইটা করে,বোন ওইটা করে ইত্যাদি।তাকে বলা হয়েছে introduce yourself(অর্থাৎ নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে)।কিন্তু সে এইখানে নিজেকে introduce করেনি,সে introduce করেছে তার family কে।এবং ফ্যামিলি কে introduce করার পর তার মাথায় আর কিছুই ছিলনা বলার জন্যে।
★ So first think Don't introduce your family,Introduce yourself...
★এখন প্রশ্ন হলো আমি নিজের ব্যাপারে কি আর বলবো????
#তুমি তুমার লাইফে নিজেকে নিয়ে কাটিয়েছ, বিশ,বাইশ,পঁচিশ, ত্রিশ বছর।তুমি নিজের ব্যপারে বাকি কথাগুলো বলো।
★★যেই কথা গুলো বলা উচিৎ আমাদের।চলো আমরা জেনে নিই।Let's start:::
★(i) Name: প্রথমে আপনি আপনার নাম বলুন।যদি প্রশ্নকর্তা আপনার নাম ধরে বলে। যেমন : XYZ আপনি আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন।তখন কিন্তু আপনার নাম বলতে হবে না।যদি প্রশ্নকর্তা নাম উল্লেখ করার পরে ও, আপনি আপনার নাম বলেন,তাইলে প্রশ্নকর্তার একটু ও বুঝতে কষ্ট হবে না যে আপনি মুখস্থ বিদ্যা।
★(ii) Living place : অর্থাৎ আপনি যেইখানে বসবাস করছেন।এইখানে আপনি প্রথমে বর্তমান বসবাসের নাম বলবেন।তারপর আপনার স্থায়ী বসবাসের নাম বলবেন।
★(iii) Higher Qualifications : অর্থাৎ আপনি আপনার শিক্ষার কথা বলবেন,যেইসব ডিগ্রি আপনি অর্জন করেছেন, সেইগুলোর কথা বলবেন।এইখানে জানিয়ে রাখি আপনি প্রথমেই সেই ডিগ্রিটার কথা বলবেন যেটি সর্বোচ্চ।এবং পরে যদি সাম্প্রতিক শেষ অন্য কোনো ডিগ্রি থাকে সেটি উল্লেখ করবেন।
★(iv) Skill /Quality : এইখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা বা কাজ করার যেই সক্ষমতা সেটি উপস্থাপন করবেন।এইটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।মূলকথা হলো আপনি যেই জব এর জন্য এসেছেন, সেইটির জন্য আপনি পরিপূর্ণ যোগ্য,এইটা আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।
★(v) Hobbies : এইটা চাকরির ক্ষেত্রে তেমন একটা Fact না।না বললে ও চলে।আপনার Hobbies দ্বারা আপনার personality কেমন,সেইটা আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন।এবং এমন কিছু hobbies এর কথা বলবেন, যেইগুলো অনেক High level এর,যেই গুলো অনেক Standard. যেমন : বই পড়া,গিটার বাজানো,ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।
★ (vi) Conclusion : এইটা শেষ করার জন্য।,Conclusion এ আপনি বলবেন That's all about Me!.....
★★★বিশেষ সতর্কতা : নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফ্যামিলি সম্পর্কে বলবেন না, বিভিন্ন বিষয়ে জুড়বেন না।এবং প্রতি লাইন শেষে স্যার স্যার বা ম্যাম ম্যাম বলবেন না।নির্দিষ্ট পজ ব্যবহার করে একটানা বলতে থাকবেন,যেন অন্য কেউ আপনার কথা শেষ হবার আগে অন্য কোনো প্রশ্ন না করে বসে।আর প্রশ্ন কর্তার সাথে চক্ষু সংযোগ সর্বদা বজায় রাখবেন।
★★★THE END★★★

No comments:

Post a Comment

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending