Pages

GK

 

# জেনে_নেই_বিখ্যাত_ব্যাক্তিদের_ল
েখা_গ্রন্থঃ -
★ বিল ক্লিনটন --- "My Life"
★ হিলারি ক্লিনটন --- "Living History"
★ উড্রো উইলসন --- "New Freedom"
★ কর্নেল গাদ্দাফি --- "Green Book"
★ আল বেরুনী --- কিতাবুল হিন্দ
★ ইবনে বতুতা --- কিতাবুল রেহালা
★ গুনার মিরডাল --- Tha Asian Drama
★ প্লেটো --- "দি রিপাবলিক"
★ ম্যাকিয়াভেলি --- "দি প্রিন্স"
★ হোমার --- "ইলিয়াড" ও "ওডিসি"
★ স্টিফেন হকিং --- "A Brief History of Time"
★ লিও টলস্টয় --- "War and Peace"
★ চার্চিল --- "History of the Second world War"
★ ভ্লাদিমির লেলিন --- "The State and Revolution"
★ জওহরলাল নেহেরু --- "Discovery of India"
★ অ্যাডলফ হিটলার --- "Mein Kampf"
★নেলসন ম্যান্ডেলা --- "A Long Walk to Freedom" & "Conversations Myself"
★ বারাক ওবামা --- "Dream from my Father"
"The Audacity of Hope" & "It Takes a nation"
★ শেখ হাসিনা --- "শেখ মুজিব আমার পিতা"
সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র" "আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম" ও "দারিদ্র বিমোচন কিছু ভাবনা"
★ বেনজির ভুট্টো --- "Daughter of the East" "Daughter of Destiny" & "Democracy and the West"
★ মহাত্মা গান্ধী --- "The story of my experiments with truth"
★ এপিজে আবুল কালাম আজাদ --- "Wings of Fire"
★ মাওলানা আবুল কালাম --- " India Wins Freedom"

#কারেন্ট #অ্যাফেয়ার্স
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত

#আন্তজার্তিক_বিষয়াবলীঃ

জানুয়ারিঃ-
১) সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ঃ phethai ফেথাই ; নাম করন করেন থাইল্যান্ড । স্থানীয় ভাষায় রত্ন পাথর জিরকনকে ফেথাই বলে।
আঘাতহানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
২) ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনঃ জ্বালানি তেলের বাড়তি কর কমানোর দাবীতে ফ্রান্সের মানুষ দেশের ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহৃত হলুদ জ্যাকেট পরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে তাই একে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন করে। আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর।
• অভিবাসী গ্রহণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র
• বিশ্বের শীর্ষ অভিবাসীর দেশঃ ভারত ( ১ কোটি ৬৬ লাখ)
৪) OPEC: ৩ন ডিসেম্বর ২০১৮, কাতার ওপেক এর সদস্যপদ ত্যাগের ঘোষনা দেয় । কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে । বর্তমানে ওপেক’র সদস্য দেশ ১৪ টি ।
৫) IMF এর প্রথম নারীপ্রধান অর্থনীতিবিদঃ প্রফেসর গীতা গোপীনাথ(ভারত)। দায়িত্ব গ্রহন করেন ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে।
৬) সম্প্রতি unesco’র সদস্যপদ প্রত্যাহার করে যুক্ত্রাষ্ট্র ও ইসিরাইল ( ৩১ ডেসিমবর ২০১৮) । বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য দেশ ১৯৩ টি
৭) বিশ্বের প্রথম আয়কর চালু হয় ইংল্যান্ডে ১৭৯৮ সালে ।
৮) গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরনে শীর্ষদেশঃ চীন
৯) Forbes- তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাধর নারীঃ অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

#ফেব্রুয়ারি_মার্চঃ
১) বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোয়েন্দা সদর দপ্তর নির্মিত হয়েছে জার্মানিতে। এর আগে ছিলো যুক্ত্রাষ্ট্রের পেন্টাগন।
২) ২৫ মার্চ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলই ভূ-খন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
৩) ২৬ মার্চ- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশের ৪৯ তম স্বাধীনতা দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষনা করে
এপ্রিল
১) যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ১২০টি দেশকে জি এস পি সুবিধা দেয়।
২) জাপানের ১২৬ তম সম্রাট- নারুহিতো
৩) কাজাখস্তানের বর্তমান রাজধানীর নামঃ নুরসুলতান
৪) নেপাল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইট উদক্ষেপন করে।
নামঃ NepaliSat-01

#মে-
১) জাপানের নতুন রাজকীয় যুগের নামঃ- জবরধি
২) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানের নাম-রক
৩) সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশির ক্ষমতায় ছিলেন – ৩০ বছর
৪) প্রথম ৫ জি চালু করে দক্ষিন কোরিয়া ৩ এপ্রিল ২০১৯
৫) বিশ্বের দীর্ঘতম লবন গুহার (salt cave) নাম- ম্যালহাম গুহা ( malham cave)
৬) বর্তমান ইস্পাত শিল্পের জনক- স্যার হ্যানরি বিসিমির, ইংল্যান্ড
৭) বিশ্বের প্রথম “আল কুরআন পার্ক” অবস্থিত- দুবাই, আরব আমিরাত

#জুলাই
১) ৫ জুন ভারতকে জিএসপি সুবিধা বাতিল কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।
২) ৬ জুন আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করে।

#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি

জানুয়ারি
১) বাংলা একাডেমীর নতুন মহাপরিচালকঃ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ( ৩ বছরের মেয়াদে)। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নামঃ লাইলি-মজনু ( জুন-১৯৫৭; সম্পাদকঃ দৌলত উজির বাহরাম খাঁ ও আহমদ শরীফ)।
২) ২০২১ সালের ৬ষ্ঠ আদম শুমারির নামঃ জনশুমারি
৩) বাংলাদেশের ভূ-খন্ড আয়করের আওতায় আসেঃ ১৮৬০ সালে
৪) বাংলাদেশের মোট জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যাঃ ৮ টি
৫) TIN-ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়ঃ ১৯৯৩ সালে।]
৬) সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান-৫৬ তম (শীর্ষেঃ যুক্তরাষ্ট্র)

ফেব্রুয়ারি-মার্চ
১) ফার্মারস ব্যাংকের বর্তমান নামঃ পদ্মা ব্যাংক
২) বিশ্বে কৃষিভূমি ও বনভূমি হ্রাসে শীর্ষদেশ- বাংলাদেশ, যানজটে শীর্ষ শহর- ঢাকা
এপ্রিলঃ
১) বাংলাদেশে সম্প্রতি ১৪০০ বছরের পুরনো পাল শাসনামলের স্থাপত্য নিদর্শন পাওয়া যায়- বগুড়ার মহাস্থান গড়ে।
২) বাংলাদেশে একমাত্র ও প্রথম সাপের বিষের ডেটাবেজ নির্মান করেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক ড. আবু রেজা ।
৩) ইঁদুরের ক্ষতিকর গনজাইলোনেমা শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন – শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষক দল। নেতৃত্ব দেনঃ- ড. উদয় কুমার মহন্ত।
৪) দেশের প্রথম পাতাল রেলঃ
• বিমানবন্দর টু কমলাপুর
• দৈর্ঘ্যঃ ১৯.৮৭ কিমি
• স্টেশন সংখ্যাঃ ১২ টি
৫) বর্তমানে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রবর্তন করা হয়েছেঃ ঢাকা,ইসলামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬) বর্তমানে দেশে মোট পাটকল- ৩১৪ টি

মে-
১) দেশের একমাত্র কোস্টগার্ড বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র অবস্থিত- কুয়াকাটা,পটুয়াখালী
২) প্রাচীন জাতের মিসরীয় তুলার সন্ধান পাওয়া যায় – বাগেরহাট জেলায়
৩) পিরামিড আকৃতির বৌদ্ধ স্তুপের সন্ধান পাওয়া যায়- মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বরে।
৪) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম এনিমেশন ছবি- surviving 71: An untold story of an Unknown war (ওয়াহিদ ইবনে রেজা)
জুলাই
১) ১৩ জুন দেশে প্রথম EPI টিকা কেন্দ্র চালু হয় রংপুরে
২) ২৪ জুন দেশে প্রথমবারের মত মানুষের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
৩) ১ জুলাই মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর হয় ।
৪) দ্বিতীয় কাচপুর সেতুর বর্তমান নামঃ শীতলক্ষ্যা সেতু।
৫) দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রীর নামঃ সাইদা খানম।
৬)
 সার্ফিং নিয়ে নির্মিত দেশের ১ম চলচ্চিত্রের নাম - ন-ডরাই।
 বর্তমানে দেশে স্থলবন্দর ২৩ টি।
 বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৫ ধরনের।
 বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র ২৭ টি।
 দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
 বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায় ৩৮টি দেশে।
 বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক নেই ১০ টি জেলায়।
 দেশে বানিজ্যিকভাবে ফল উৎপাদিত হয় ৪৫ প্রকারের।
 বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বিশ্বের ১৪৬ টি দেশে
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
 বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি ও রেমিটেন্স অর্জিত হয় সৌদি আরব থেকে।
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে তৈরি পোশাক।
 খাদ্যশস্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় বোরো ধান।
 বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস।
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সাহায্য দেয় জাপান
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি যে সংস্থা বৈদেশিক সাহায্য দেয় বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আইডিএ।
 দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসে বিদ্যুৎ খাতে।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই আমাদের ছোট রাসেল সোনা।
 ভার্চুয়াল অ্যাপ "লুনার ভিআর" তৈরি করে নাসার বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর দল টিম অলিক।
 বাংলাদেশ কৃষি শুমারি-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
 দেশের ১ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম এইমবুক ডট নেট।
 সম্প্রতি দেশে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায় ইসবপুর, দিনাজপুর ( ১৮ জুন ২০১৯)।
 সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬ তম।
 বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ তম।
 'SDG Gender Index' এ বাংলাদেশের অবস্থান ১১০ তম
 জনসংখ্যা ঘনত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।
 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯' শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
 বিশ্বের ১০টি সেরা অর্থবহ পতাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উক্তি নিয়ে প্রকাশিত দুটি বই শেখ হাসিনাঃ সিলেক্টেড সেয়িংস ( উক্তি ১১৫টি) এবং শেখ হাসিনাঃ নির্বাচিত উক্তি ( উক্তি ১০০টি)।
 JSC,SSC, HSC তে GPA-5 এর পরিবর্তে GPA-4 নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৩ জুন ২০১৯।
 বায়ান্নার ভাষাসৈনিক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ১ম নারী অধ্যাপক প্রফেসর লায়লা নুর মারা যান ৩১ মে ২০১৯।
 দেশ বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক মমতাজউদ্দীন আহমদ মারা যান ০২ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম বারের মত ' স্বর্নকর মেলা-২০১৯' অনুষ্ঠিত হয় ২৩-২৫ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ১৭ জুন ২০১৯। দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি 'পিটি বায়য়ান রিসোর্স টিবিকের' সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড'র ( ১০ বছর মেয়াদী)।
 বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় ০১ জুলাই ২০১৯।

EXTRA
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
 উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক- হীরালাল সেন
 বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের জনক- আবদুল জব্বার খান
 সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবি- পথের পাঁচালী
সত্যজিৎ রায় ‘অস্কার পুরষ্কার’ পান- পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের জন্য
সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পান- ১৯৯২ সালে
 বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার- জহির রায়হান
জহির রায়হান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র- কখনো আসেনি
‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা - জহির রায়হান
‘কাঁচের দেয়াল’ বিখ্যাত চলচ্চিত্র- জহির রায়হানের
‘Stop Genocide’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক- জহির রায়হান
 ‘ চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা- তানভীর মোকাম্মেল
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালসালু’ এর পরিচালক- তানভীর মোকাম্মেল
 সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের পরিচালক- শেখ নেয়ামত আলী
 BFDC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৮ সালে
 স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’ এর নির্মাতা- মোরশেদুল ইসলাম
 মাটির ময়না চলচ্চিত্রের পরিচালক- তারেক মাসুদ
অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা ছবি- মাটির ময়না

খেলাঃ
 বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন কোচ: নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
 নতুন পেস বোলিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট।
আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯
 সময়কালঃ ৩০ মে - ১৪ জুলাই ২০১৯।
 আয়োজকঃ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।
 চ্যাম্পিয়নঃ ইংল্যান্ড।
 রানার্স আপঃ নিউজিল্যান্ড।
 অংশগ্রহণকারী দল ১০টি।
 মোট ম্যাচ ৪৮ টি।
 একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবল (১৯৬৬) ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট (২০১৯) চ্যাম্পিয়ন হয়ঃ ইংল্যান্ড।
 উদ্বোধনী ভেন্যু ও ফাইনাল ভেন্যুঃ লর্ডস (১৪ জুলাই) ও ওভাল ( ৩০ মে)।
 সর্বোচ্চ রানের মালিকঃ রোহিত শর্মা (৬৪৮ রান)।
 সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকঃ মিশেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া (২৭টি)।
 ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টঃ কেন উইলিয়ামসন ( নিউজিল্যান্ড) ।
 ম্যান অব দ্য ফাইনালঃ বেন স্টোকস ( ইংল্যান্ড)।
 প্রথম হ্যাট্রিককারী বলারঃ মেহাম্মদ সামী।(বিপক্ষ দল আফগানিস্তান)।
 সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিঃ রোহিত শর্মা (৫)
 একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০+ রান ও ১০+ উইকেট সাকিব আল হাসান।
 এখন পর্যন্ত এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্ছ উইকেট লাভকারী বোলার মিশেল স্টার্ক (২৭ উইকেট)।
 বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্ছ রানের মালিক
 শচীন টেন্ডুলকার (২২৭৮ রান)।
 বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে ৭ম বিশ্বকাপে (১৯৯৯সাল)।
 প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

জানতে হবেঃ
 শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ যুক্ত আছে- ৫ম তফসিলে
 স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হয়েছে-৭ম তফসিলে
 জাতিসংঘ সমুদ্র আইন পাস হয়--১৯৮২ সালে
 জাতিসংঘের মোট ভাষা ৬টি হলেও অফিসিয়াল/ কার্যকরী ভাষা ২ টিঃ
১. ইংরেজি
২. ফ্রেঞ্চ
 V20 কিসের সাথে সম্পর্কিত --জলবায়ু পরিবর্তন
 সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় - কাটোউইস, পোলান্ড।
 ২০২২ সালের G20 সম্মেলন হবে--ভারতে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছেঃ-৮.২ শতাংশ
 ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - টোকিও, জাপান
 ২০২২ সালের শীতকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - বেইজিং, চীন।
 Transparency international:
প্রতিষ্ঠা পায়ঃ ৪ মে, ১৯৯৩
সদরদপ্তরঃ বার্লিন, জার্মানি
উদ্দেশ্যঃ৷ যুদ্ধবন্ধ & দূর্নীতিপ্রতিরোধ করা।
 বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS)
 প্রতিষ্ঠা পায়ঃ- ১লা জানুয়ারী, ১৯৭২
 পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্রিত হয়ঃ-১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর
 সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়ঃ-১৯২২ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়ঃ-১৯৯১ সালে
 সর্বপ্রথম নারী ভোটাধিকার প্রদান করা হয়ঃ- নিউজিল্যান্ডে ১৮৯৩ সালে
 চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা হয়ঃ-১৯৪৯ সালে
সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ঃ-চীনে
 ২০১৯ সালে একুশে পদক দেওয়া হয় --২১ জনকে
 ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান - -১২১ তম
 মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বর্ডারে, ২০১৮ তে ঘটিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অপারেশনের নাম-- Operation faithful patriot
 ইহুদিদের উপাসনালয়ের নাম - -সিনেগগ
 বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় - -২০১০ সালে
 সার্কের প্রথম নারী মহাসচিব -- নেপালের
 অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন কুক কোন দেশের অধিবাসী--ব্রিটেন
 ২০১৯ সালে অস্কার পায় কোন চলচ্চিত্র --Green Book
 ব্রিটেন এর নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দলের নাম --conservative party
 বাংলাদেশে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় --১৯৭৭ সাল থেকে
 থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজার নাম --Maha Vajiralongkorn
 বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত বোয়িং ৭৮৭-৮
তৃতীয় ড্রিমলাইনার - ``গাঙচিল'' বিমানে যুক্ত হলো।
 পূর্বে যুক্ত হওয়া:
১। ড্রিমলাইনার-১ এর নাম: আকাশবীণা।
২। ড্রিমলাইনার-২ এর নাম: হংসবলাকা।
৩। ড্রিমলাইনার-৪ এর নাম হবে: রাজহংস।
*** বিমানগুলোর প্রস্তুতকারক - মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি।
 ধান ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলাময়মনসিংহ।
 গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও।
 চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মৌলভীবাজার।
 পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর।
 আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ।
 আম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা রাজশাহী।
 তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঝিনাইদহ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ সদস্য এবং কিছু তথ্য :
"OPEC"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৪টি (সর্বশেষ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র)।
"COMESA"র বর্তমান সদস্য দেশ ২১ টি (সর্বশেষ সোমালিয়া)।
"NATO "র বর্তমান সদস্য দেশ ২৯ টি (সর্বশেষ মন্টিনেগ্রো)।
" OECD "র বর্তমান সদস্য দেশ ৩৭ টি (সর্বশেষ লিথুনিয়া ও কলম্বিয়া)।
"African Union "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৫ টি (সর্বশেষ মরক্কো)।
"OIC "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ আইভেরি কোস্ট )।
"IDB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ গায়ানা)।
"ADB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৬৭ টি (সর্বশেষ জর্জিয়া)।
"ICSID "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৬১ টি।
"IAEA"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭১ টি (সর্বশেষ সেন্ট লুসিয়া)।
"IDA "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭৩ টি (সর্বশেষ রোমানিয়া)।
"WCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৩ টি (সর্বশেষ সুরিনাম)।
"WMO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৬ টি (সর্বশেষ অ্যান্ডোরা)।
"IFC "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"IMF "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৯ টি (সর্বশেষ নাউরু)।
"UNESCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
"United Nations "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"WHO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"INTERPOL"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি ( সর্বশেষ ভানুয়াতু)।
"UNCTAD" র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৫ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
SCO'র বর্তমান সদস্য দেশ ৮টি।
CICA'র বর্তমান সদস্য দেশ ২৭টি।
ASEAN'র বর্তমান সদস্য দেশ ১০ টি।

অর্থনৈতিক_সমীক্ষা ২০১৯
__ মোট জনসংখ্যাঃ ১৬.৩৭ কোটি।
__ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ১.৩৭%।
__ স্থুল জন্মহারঃ ১৮.৫ জন ( প্রতি হাজারে)।
__ দারিদ্রের হারঃ ২১.৮%।
__ চরম দারিদ্রের হারঃ ১১.৩%।
__ প্রত্যাশিত গড় আয়ুস্কালঃ ৭২ বছর ( পুরুষ ৭০.৬ বছর, নারী ৭৩.৫ বছর)।
__ সাক্ষরতার হারঃ ৭২.৩%।
__ পুরুষ নারী অনুপাতঃ ১০০.২ঃঃ১০০।
__ মাথাপিছু আয়ঃ ১৯০৯ মা.ড।
__ চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণঃ ১৮২৭ মা.ড।
__ কৃষিতে মোট জনশক্তি নিয়োজিতঃ ৪০.৬% ( সেবা খাতে ৩৯%, শিল্প খাতে ২০.৪%)।
__ তফসিলিভুক্ত ব্যাংকঃ ৫৯টি।

বাংলাদেশের ৪৯ তম জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০
__ বাজেট ঘোষণাঃ ১৩ জুন ২০১৯।
__ বাজেট পাসঃ ৩০ জুন ২০১৯।
__ বাজেট কার্যকরঃ ০১ জুলাই ২০১৯।
__ বাজেটঃ ৪৮তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৪৯)
__ উত্থাপনকারীঃ আ.হ.ম মোস্তফা
কামাল (অর্থমন্ত্রী)।
__ বাজেটের আকারঃ ৫২৩১৯০ কোটি
টাকা।
__ ঘাটতিঃ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা।
__ স্লোগানঃ 'সমৃদ্ধির সোপানে
বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
__ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণঃ ৮.২%।
__ মুদ্রাস্ফিতির হারঃ ৫.৫%।
__ ADP তে বরাদ্দঃ ২ লক্ষ ২ হাজার ৭২১
কোটি টাকা।
__ সর্বোচ্চ বরাদ্দঃ জনপ্রশাসন খাতে ( ৯৬,৪৭০ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১৮.৫%)
__ ভ্যাটের স্তরঃ ৪ টি ( ৫%, ৭.৫%, ১০% ও ১৫%)।

(সংগ্রহীত)

 

 

৩৮ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধের আদ্যোপান্ত
#2nd #world #war fact
#হিটলারের #জীবনী
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যদি ভয়াবহ কিছু হত্যাযজ্ঞ ঘটে থাকে তবে তার একটি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। সময়টা ১৯৩৯ সাল। বড় নির্দয় একটা বছর।এই বছরটি ভয়ানক এক ধ্বংসলীলা শুরুর বছর। প্রায় ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে পৃথিবী হারিয়েছিল ৬ কোটি মানুষ। কোন একক যুদ্ধে এতগুলো তাজা প্রান আর কখনো হারায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একসাথে আলোচনা করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। ঘটনাবহুল এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যত বেশি তথ্য কালেক্ট করা যায় রিটেনের জন্য ততই ভালো। আজ সল্প পরিসরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের জীবনী নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
♦♣♣: একটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে এক দিনে লেগে যায় না। তালি যেমন এক হাতে বাজে না তেমনি ধ্বংসলীলা মুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় না। এ ধরণের ঘটনার অনেক নিয়ামক থাকে । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত গভীর জলে ডুব দেবার আগে এর মাস্টারমাইন্ড নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
♦♣♣হিটলারের উত্থান পর্ব♦♦♣♣
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে এই মানুষটিকেই সবচেয়ে ভয়ানক রাষ্ট্রনায়কদের একজন বলে মানতে হবে। পৃথিবী জুড়ে তার চর্চা হয়েছে গত শতাব্দীতে। তার কার্যক্রমের ফল একবিংশ শতাব্দীর মানুষ ভোগ করছে। হিটলারের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক একটি ভাবনা চলে আসে। হিটলার তার রণনীতিতে ক্ষিপ্র ছিলেন।
>>>তবে তার সব গুণদোষ বিচার করলে তাকে একচেটিয়াভাবে ভিলেনের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়না। কারন হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনিই হতেন সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক নেতা। তবে তার পরাজয় তাকে ইতিহাসের খলনায়কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে। আজ হিটলারের উত্থান নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার আহুতি দানের কথাও আলোচনা করব।
♣♣♦♦♣♣
হিটলার জার্মান ছিলেন না। ১৮৮৯ সালে তার জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়ায়। হিটলার শৈশব কাটিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ছেলেবেলায় বাবা তার পর মা হারিয়ে হিটলার জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে ছিলেন।কিন্তু হিটলার পথ হারান নি। জীবন সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯১৩ সালে জার্মান আর্মি তে প্রবেশের চেস্টা করেন। কিন্তু তাকে বলা হয় জার্মান আর্মিতে কাজ করার যোগ্যতা নাকি তার নেই।
কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধ লাগলে হিটলার ঠিকই জার্মান আর্মিতে প্রবেশ করেন। ১৯১৯ সালে নাজি পার্টিতে যোগ দেন। এর পর নিজের কর্মদক্ষতার বলে ১৯২১ সালে নাজি পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। নাজি পার্টি আসলে প্রাক্তন জার্মান সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ পুষ্ট ছিল। কিন্তু এই পার্টি বেশ উথান পতনের মাঝ দিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির #চেন্সেলর হন।
♣♣♣♣♣♣♣
হিটলার তার হিটলারি এরপর শুরু করেন।
>>>>>ক্ষমতা লাভের পর হিটলার তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি অদূরবর্তী অস্ট্রিয়ার দিকে নিক্ষেপ করেন। অস্ট্রিয়া জার্মানদের দখলে এলেও বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। ১৯৩৮ সালের ১২ মার্চ হিটলার বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া জয় করেন।
>>>>>স্পেনে তখন গৃহ যুদ্ধ চলছে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এই সময়টায় স্পেনের অর্থনীতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পরে। তবে স্পেনের উপর হিটলার তখন আক্রমন করেননি। হিটলার এরপর চেকোস্লুভাকিয়া দখল করেন।
♣♣♣♣♣♣♣
বিশ্বযুদ্ধের #সুচনা:
এ পর্যন্ত হিটলার যা করেছেন সেগুলো ছিল বড় ঘুর্নিঝড়ের পুর্বে ছোট ছোট ধমকা হাওয়ার মত কার্যক্রম। আসল ঘুর্ণিঝড় শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমনের মধ্য দিয়ে।
হঠাৎ করেই কোন প্রকার পুর্ব ঘোষণা না দিয়ে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করাটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। হয়ত এটাই ছিল হিটলারের রণনীতি। হিটলার লুডু খেলার মত দেখিয়ে দেখিয়ে ছক্কার দান মারতেন না। তিনি শত্রুকে প্রস্তুত হবার সুযোগ দিতেন না। তাই শেষরাতে আক্রমণ করাকেই হিটলার উপযুক্ত ভেবেছিলেন।
পোল্যান্ডের দিকে হিটলার ক্ষিপ্রগতিতে ধাবিত হন।
তারিখটা পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। ভোর ৪.৩০ এ পোল্যান্ডের উপর পাঁচটি জার্মান বাহিনি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমেই। ২৮০০ ট্যাংক, ২০০০ জঙ্গি বিমান আর ১০০ যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে প্রবল বেগে পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হয় জার্মান বাহিনী। ২৭ দিনেই পোল্যান্ড জার্মানদের দখলে চলে যায়। বিশ্বযুদ্ধ এখানেই শুরু। মুলত এই আক্রমণের মধ্য দিয়েই হিটলার বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন।
♦♦♣♣: #অক্ষশক্তি এবং #মিত্রশক্তি:
যুদ্ধ যারা লাগায় তাদের বলা হয় অক্ষ শক্তি। যারা ভাঙ্গায় তাদের বলা হয় মিত্র শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিলেন হিটলার। তবে হিটলারের ডান হাত ছিলেন ইতালির মুসলিনি।
>>>♣♣ #জার্মানি, #ইতালি, #জাপান এই তিন পরাশক্তি ছিল অক্ষশক্তি।
তাদের সাথে আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশ ছিল যাদের হিটলার বাহুবলে জয় করে নিজের বাহিনীতে কাজে লাগিয়েছিলেন।
>>>♣♣ অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইন

অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন #ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, রাশিয়ার নেতা ছিলেন #জোসেফ স্টালিন।
♣♣♦♦হিটলারের রাশিয়া আক্রমণ ♦♣♣
রাশিয়া যুদ্ধ চায়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় শীতল রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। দেশ গঠনে আর সমাজতন্ত্র প্রচারে ব্যাস্ত ছিলেন জোসেফ স্টালিন। জার্মানির সাথে রাশিয়া মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
কিন্তু একে একে ডেনমার্ক ,ফ্রান্স এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র জয় করার পর হিটলার ভাবলেন রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপ তার কাছে নতজানু।তাহলে আরেকটু অগ্রসর হলে ক্ষতি কি?
>>>তাই #সীমান্ত বিবাদকে ভিক্তি করে অতর্কিত ভাবে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে বসেন।
>>>>সময়টা ১৯৪১ সালের ২২ জুন। ভোর রাতে হিটলার বাহিনী বিনা যুদ্ধ ঘোষণায় ঝাঁপিয়ে পরে। রাশিয়া সৈন্যশক্তিতে এগিয়ে ছিল
>>>>কিন্তুজার্মানদের ধারণা ছিল হয়ত তাদের শক্তির মুখে রুশ বাহিনী টিকবে না। তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
>>>>দফায় দফায় রাশিয়ার বড় বড় শহর আর তেল খনি জার্মান বাহিনী দখল করে নেয়।
>>>>>>মস্কো, লেলিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ বড় বড় শহরে ক্ষিপ্রতার সাথে যুদ্ধ চলে। রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমন করে।
>>>>এসময় রুশ বাহিনির বিরুদ্ধে #ইতালি আর #জাপানও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
উপায়ান্তর না দেখে রুশ নেতা স্টালিন #ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন।
>>>কিন্ত ব্রিটেন চেয়েছিল ইউরোপের এই দুটি বড় শক্তি যেন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে দুনিয়াতে তাদের #সমকক্ষ কেউ থাকবে না আর।
>>>>তবে রুশরা তাদের পাল্টা আক্রমন থামায়নি। এক পর্যায়ে কিছু এলাকা তারা মুক্ত করে ফেলে। জার্মানদের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশরা প্রচুর যুদ্ধবিমান ও ভারি কামান সহ অনেক রসদ আমদানি আর তৈরিতে মন দেয়।
>>#কথিত আছে #শত্রুবাহিনী রাশিয়ার ভূমি গ্রাস করতে পারেনা। রাশিয়ার #ভূমিই শত্রুবাহিনীকে #গ্রাস করে দেয়।তাই শীতকাল শুরু হলেই রাশিয়ায় নাজী বাহিনীর অনেক সেনা ঠান্ডায় মারা পরে। বেশির ভাগ এই বিরুপ আবহাওয়া সহ্য না করে জার্মানি #প্রত্যাগমন করে।
♦হিটলার তখন রাশিয়া আক্রমন কিছুটা #স্থবির করে দেন। অন্যদিকে তার আরেক দুসর মুসুলিনি #আফ্রিকার দিকে ধাবিত হন এবং আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ দখল করতে থাকেন। আফ্রিকায় ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে #ইতালিয়ান বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়।
♦♣♣ব্রিটেনে হিটলারের আক্রমন♦♣♣
হিটলার এবার ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে অকেজো করে দিতে মন দিলেন। জার্মানির ইউ-বোট গুলো জলদস্যুর মত অতর্কিত আক্রমন করে ব্রিটিশদের শিপিং ডুবিয়ে দিত। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টন শিপিং ডুবিয়ে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন হিটলার।
>>>হিটলার এবার মূল জায়গায় আঘাত করতে এগিয়ে গেলেন। হিটলারের নাজী বাহিনী এরপর ব্রিটেনের মূল #ভুখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়। আর এতেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন চার্চিল।
>>>চার্চিল বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলেন। জার্মান বাহিনী যদি একবার ইংল্যান্ডে আসে তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল গুড়িয়ে দেবে। এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে চার্চিল আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলেন।
♣আটলান্টিক সনদ-১৯৪১♣♣♦
এটাকে সনদ না বলে আমি এটাকে বিশ্ব নেতৃত্ব বদলের দলিল বলে থাকি। চার্চিলের মিনতি শুনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট সুযোগের চরম ব্যাবহার করলেন। তিনি চার্চিলকে সমুদ্রে ডাকলেন। এক রণতরীতে বৈঠক শুরু হলো।
>>চার্চিল বিষয়টা যতটা সহজে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রুজভেল্ট বিষয়টা ততটাই কঠিন করে দিলেন। রুজভেল্ট এই শর্ত দিলেন যে যদি যুদ্ধে মিত্রশক্তি বিজয়ী হয় তবে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ মুক্ত করে দিতে হবে। কেবল তখনই আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।
>>>সুচতুর রুজভেল্টের শর্ত শুনে চার্চিলের আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার মতই অনুভূতি হল। একদিকে এতগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশ হারালে ব্রিটেনের জনগণ তাকে ধুয়ে দিবে। অন্য দিকে নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সুদাসল একসাথে যাবে। কারন নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সব ব্রিটিশ উপনিবেশ এমনিতেই হিটলারের দখলে চলে যেত।
>>>তাই আটলান্টিক মহাসাগরে বসে একে একে ১৪ টি শর্ত মানতে হল চার্চিলকে। আর এরপর পৃথিবীর নেতৃত্ব চলে যায় আমেরিকার হাতে। ১৪ নম্বর শর্তানুযায়ী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি সংঘটন স্থাপন করার কথা বলা হয়।
♦♣♣জাপান কর্তৃক পার্ল হার্বার আক্রমণ:
আমেরিকা এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার আক্রমন করলে মহাশক্তিশালী আমেরিকা #যুক্তরাষ্ট্র এই মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
পার্ল হার্বার একটি আমেরিকান সামরিক ও নৌঘাটি। এখানে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ আমেরিকাকে অবাক করে দেয়। জাপানকে এ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত খুব কঠিনভাবেই করতে হয়েছে।
♣♣♦♦♣♣
মিত্রবাহিনীর মিলিত #আক্রমণ :
ধীরে ধীরে হিটলার আমেরিকান বিমান বাহিনী আর ব্রিটিশ বাহিনীর যুগ্ন আক্রমণের সম্মুখীন হন। মিত্র বাহিনির তিনটি প্রধান শক্তি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া এক জোট হয়ে জার্মানদের বিজিত এলাকা গুলোতে তুমুল আক্রমন চালায়। ১৯৪৪-৪৫ সালে জার্মানির প্রায় সমস্ত উপনিবেশ একের পর এক মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
১৯৪৫ সালে মুসুলিনি ইতালির জনগণ কাছে ধরা পরেন এবং তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হিটলারের ডান হাত মুসুলিনি মরে যাওয়ায় হিটলারের আধিপত্য ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। মিত্র বাহিনী এবার জার্মানির মুল ভূখণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
জার্মানির হামবুর্গসহ বড় শহরগুলো মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়। হিটলারের সেনাপতিদের কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেন, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেন।
#অবশেষে মিত্র বাহিনীর তিনটি দেশ মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে হিটলারকে মারার পর জার্মান আধিপত্য সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে জার্মানরা যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না শুরু করতে পারে এজন্য জার্মানদের উপর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ সহ বেশ কিছু নিরস্ত্রীকরন শর্ত জুড়ে দেয়া হবে। ফ্রান্সকে জার্মানির হারানো রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হবে। বাকি জার্মান উপনিবেশ ব্রিটেন, আমেরিকা, আর রাশিয়া ভাগ করে নিবে।
#♦♣♣D-Day ফ্যাক্ট :
১৯৪৪ সালের ৬ জুনকে ইতিহাসে ডি-ডে হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে এদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমুদ্রযুদ্ধ হয়। এদিন নাজী বাহিনীর কবল থেকে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মুক্ত হয়।
♦♦হিটলারের #মৃত্যু :
মিত্রবাহিনীএবার জার্মানির বার্লিনের দিকে অগ্রসর হল। সময়টা এপ্রিল, ১৯৪৫। মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে বার্লিনের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরে।
হিটলার চাইলেই বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার উইলে #লিখেছেন," আমি মরছি আনন্দঘন হৃদয় নিয়ে”। হিটলার বার্লিনেই রয়ে গিয়েছিলেন।
♣♣২৮ এপ্রিল ১৯৪৫:
মিত্রবাহিনী বার্লিনের খুব কাছে। হিটলারের সেনাপতি তাকে বার্লিন ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্ত হিটলার তাতে রাজি হননি। হিটলার তার সমস্ত সেনাপতি, মিত্র আর অনুচরদের নিয়ে নৈশভোজ করেন। ইভা হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারকে বিয়ে করেননি। জীবনের শেষ কয়টা দিন যখন আসন্ন হিটলার ইভাকে বিয়ে করেন। হিটলার মরার আগে সেনাদের বলেন, "আমার সাথে যারা মরতে চাও তাঁরা বার্লিন থাকো। "হিটলারের অনুচরদের অনেকেই বার্লিন থেকে গিয়েছিলেন।
>>>৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ মিত্র বাহিনী বার্লিনে ঢুকে পরে। হিটলার তার অনুচরদের বলেন যে ইভা আর তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার একজন অনুচরকে ২০০ লিটার পেট্রোল আনতে বলেন। কিন্তু সে কেবল ১৮০ লিটার যোগাড় করতে পেরেছিল। হিটলার বলেন যে বার্লিনের বাগানেই তিনি জীবনের অনেক সময় কাটিয়েছেন। মরার পর যেন তাকে বার্লিনের বাগানে এমন ভাবে পোড়া হয় যেন মিত্রবাহিনী তার শরীরের কোন অংশ পায় না। হিটলার ইভাকে নিয়ে একটি কক্ষে গেলেন, কিছুক্ষন পর বুলেটের শব্দ হয়। হিটলার আর ইভা দুজনেই মারা যান। তাদেরকে বাগানে এনে পোড়ানো হয়। মিত্র বাহিনী কিছুক্ষণ পরেই বার্লিনে ঢুকে। তবে তাঁরা হিটলারের দেহের কোন অংশ খুজে পায়নি।
>>>>>হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। হিটলার তার উইলে বলে গেছেন যে আগামী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে দোষারোপ করতে পারবেনা। তিনি ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
♦হিটলারের #হারের #কারন:
হিটলার বিমান যুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী আর রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর তোপ তিনি সামাল দিতে পারেননি। হিটলারের নিজেরও শক্তিশালী বিমান বাহিনী ছিল, কিন্তু ভুলবশত হিটলার কোন প্রযুক্তির বিমান ব্যাবহার করবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
♦জাপানে পারমানবিক বোমা হামলা:
জাপান তখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও জাপান কর্ণপাত করছিল না। জাপানকে এই ভুলের পরিণাম আজো সহ্য করতে হয়। মার্কিনরা ততদিনে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার করে ফেলছে।
#হেনরি ট্রুম্যান জাপানে পারমানবিক আক্রমণের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমানবিক বোমাটি ফেলা হয় এবং তার তিন দিন পরে ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক বোমাটি ফেলা হয়।
#আর এতেই নাকাল হয় জাপান। এর কিছুদিন পর ১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপান শর্তহীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় এক অধ্যায়ের। ততদিনে খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল জাপানের জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় হিটলারের চরম পরিনতির মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬ কোটি মানুষ এতে প্রান হারায়। যার মাঝে ১ কোটি ৪০ লাখ রাশিয়ান ছিল। এ যুদ্ধে বিশ্ব প্রথমবারের মত পরমানু অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখল।জাপানকে একরকম পঙ্গু করে দেয়া হয়েছিল। জার্মানি মাথাচাড়া আর দিয়ে দাঁড়াতে পারিনি, সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসণ করছে আজ।
♦#ভারতের অবস্থান:
ভারত তখন ব্রিটিশ #কলোনি ছিল। তাই ভারত এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করে। ভারতের সব খাদ্যসামগ্রী যুদ্ধের জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। আর এতেই ভারত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পরে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।
#নেতাজী সুভাষ চন্ড্র বোস হিটলারের সাথে সাক্ষাত করে হিটলারকে ভারত #মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু দুরত্বের কথা ভেবে হিটলার ভারতে সেনা প্রেরণ করেননি।হিটলারকে রাশিয়া ফ্রন্ট খুলতে বারণ করেছিলেন নেতাজী। কিন্তু হিটলার নেতাজীর কথা শুনেননি।
♦দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে গতিতে শুরু হয়েছিল অনুরুপ গতিতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু এটাই ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। যদি মানুষ ইতিহাসের এই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিত,তবে চলমান বিশ্বে এত সংঘাত আর অশান্তি থাকত না।
যুদ্ধ কাউকে #বিজয়ী হতে দেয় না। কারণ যুদ্ধে বিজয়ীর ক্ষতি বিজিতের তুলণায় খুব একটা কম হয় না।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটা #উপকারে এসেছে। আর তা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা ব্রিটিশ #উপনিবেশগুলোর মানুষ আজ #মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছে।
By
সৌরভ দেবনাথ
MBA
SUST
N.B. কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না।

===============================
তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি :
#আফগানিস্তান সংকট -#Afghanistan crisis
#ভারত-আফগানিস্তান -#সম্পর্ক
#মার্কিন আগ্রাসন, #তালেবান ইস্যু
♦ এই বিশ্বকে যদি একটা বিশালাকার প্লেট ধরা হয় তবে আফগানিস্তান হবে সেই প্লেটে রাখা এক টুকরো রুটি।
>>সেই রুটি ছিঁড়েখুঁড়ে খাবার জন্য বিশ্বের ক্ষুধার্ত জাতিগুলো বারংবার আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু আফগানিস্তান পিচ্ছল মাছের মতই বরাবরেই হাত ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
>>আফগানিস্তানের নাকে দড়ি লাগাতে গিয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে যেতে হয়েছে বিশ্বের অনেক সাম্রাজ্যকে। আফগানিস্তানকে বলা হয় The #graveyard of dynasty.
আজ আফগানিস্তানের ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট নিয়ে নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦প্রথমত,
>>আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি #স্থলবেষ্টিত দেশ(landlocked country).
এই দেশটি স্থলপথে বাণিজ্য করার জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে একে হস্তগত করতে বড় বড় দেশ আর বিশাল বিশাল সেনাবহর যুগে যুগে আক্রমণ করেছে।
>>আফগানিস্তান প্রাচীন ভারতীয় মানচিত্রে গান্ধার রাজ্য নামে পরিচিত ছিল।
>>আফগানিস্তান পার্বত্যময় একটি দেশ। সমগ্র দেশে উঁচু পাহাড় দেশটিকে শত্রুদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
>>প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেলের প্রাচুর্য আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির লোলুপ দৃষ্টি থেকে এড়াতে পারেনি।
>>আফগানিস্তান এর পাশে পাকিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান এসব দেশ রয়েছে।
♦দ্বিতীয়ত,
>>#আফগানিস্তানে আগ্রাসন :
আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে এগিয়ে এসেছে এমন কয়েকজন নেতার মাঝে সর্বপ্রথম আসবে মেসোডেনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নাম।
>>কিন্তু তিনি আফগানিস্তানকে মুঠোয় পুরতে সক্ষম হননি। খাইবার পাস দিয়ে তিনি এর পর ততকালীন ভারতে প্রবেশ করেন।
♦তৃতীয়ত,
>>#আধুনিক যুগে আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে যে কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসছে তার মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য #ব্রিটিশদের নাম।
>>> ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে।
>>সারা ধুনিয়া চষে বেরালেও আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা দারুণ নাকানিচুবানি খেয়েছে। সুবিধা না করতে পেরে ১৮৪২ সালে তারা সরে দাঁড়ায়।
>>আধুনিক যুগে ততকালীন #সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পর আফগানিস্থানে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।
>১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিছুদিন যুদ্ধ করার পরে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে।
>>এর কারন হচ্ছে আফগানিস্তান স্বদেশী শক্তি দ্বারা শাসিত হতে পছন্দ করে। ভীনদেশী শক্তি আফগানিস্তান শাসন করুক এটা আফিগানরা কখনো চায়না। আফগানিস্তান রাশিয়াকে অপবিত্র দেশ জ্ঞান করে। আফগানিস্তান কখনো চায় না যে তাদের পবিত্র ভূমিতে রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদ বিকাশ লাভ করুক।
চতুর্থত,
>>#মার্কিন আগ্রাসন :
আফগানিস্তানে এরপর আসে আমেরিকানরা।
>>২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মার্কিনীরা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে।
>>লাদেনকে আশ্রয় দানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারা আফগানিস্তানে সেনা প্রেরণ করে।
>>গত ১৭-১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে তারা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
♣♣ >>কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে মার্কিনরা নিজেও জানেনা এর শেষ কোথায়? তালেবান শক্তি মার্কিন সেনাদের সমূলে উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যের কিছু সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে শায়িত আছেন।
♣♣>>ওবামা তার শাসনামলে বুদ্ধিমানের মত আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অদূরদর্শী শাসকের মত ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছেন।
♣♣>>এর পরিণাম একই হবে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বৃথাই আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে প্রান হারাবে।
♣♣>>মাত্র ১১০০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ট্রাম্প আফগানিস্তান দখল করতে চাইছেন। এটা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতই কাজ। আফগানিস্তানে তালেবান সেনাদের সাথে ট্রাম্প লড়ে চলেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সংঘাতে না মার্কিনরা জিতবে না তালেবানরা সমুলে ধ্বংস হবে।
♣♣>>আফগানিস্তানের সাধারণ জনগনের মনে তালেবানদের প্রতি একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারন তালেবানরা আফগান ভূমিকে ভালোবাসে।
♣♣ >>১৯৯৬ থেকে-২০০১ এ সময়ে তালেবান সরকার জনগনকে অনেক দিয়েছে। ঘৃণা করে বিদেশী হস্তক্ষেপকে। তালেবানদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বললে কথাটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। কারন তালেবানরা গত দুই যুগ ধরে আফগান ভূমিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ আর পুতুল সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।
♣♣তবে তালেভানদের যুদ্ধকৌশল অনেকটা #ইন্সারজেন্সি টাইপের। যদি নিজের ভূমি রক্ষা করার জন্য কাউকে সন্ত্রাস বলা হয় তবে অন্যের ভূমি গ্রাসকারীদের (মার্কিন) আমরা কি বলতে পারি।
♣♣অবশ্য এ কথা স্বীকার করতেই হবে তালেবানদের সবচেয়ে বড় ভূল ছিলো ৯/১১ এর মূলহোতা লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া।
♣♣এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।
♣♣সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগে তারা এই আগ্রাসন চালায় ঠিকই কিন্তু এরপরে আমেরিকা আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মোড়ল হয়ে পড়ে। তালেবানরা এই বিষয়টা সহজ ভাবে দেখেনি।
♣♣যদি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগেই আমেরিকা একটি দেশকে আক্রমণ করা যৌক্তিক মনে করে তাহলে তো সর্বপ্রথম প্রতিবেশী কানাডাকে আক্রমণ করা উচিত।
>>কারন কানাডায় অনেক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমেরিকা বাড়ির উঠান পরিষ্কার ঠিকই রাখছে।
♣♣এই একটি মাত্র অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও তাদের অন্য অনেক উদ্দেশ্য ছিল যা বিগত দেড় যুগ ধরে আমেরিকা ভোগ করছে।
♣♣>>আফগান তেল খনিতে আমেরিকার ভীষন লোভ ছিল।
♣♣>>তাই হামিদ কারজাই কিংবা বর্তমানের আশরাফ গানি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কেবল আমেরিকার কথার প্রতিধ্বনি করেই গেছেন।
♣♣বিশ্ব মিডিয়া তালেবানদের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরগরম প্রচারণা চালিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তারা তালেবানদের অনেক কর্মকাণ্ড অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
♦পঞ্চমত,
#প্রতিবেশী দেশগুলীর সাথে আফগানিস্তানের কেমন সম্পর্ক?
♦পাকিস্তান:
>>বর্তমানে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলছে। কিছু দিন আগেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের হাতে ১১ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এটা এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
>> তবে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের সম্পর্কের রুপ ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। আফগানিস্তান সরকারকে ঠিকই পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
>>রাশিয়া হোক বা আমেরিকা, আফগানিস্তানকে কাবু করতে সবাইকে পাকিস্তানের #দ্বারস্থ হয়েছে।
>> এর মূল কারন পাকিস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান। আফগানিস্তানে কোন #সমুদ্রবন্দর না থাকায় #পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেনা প্রবেশ করিয়ে আফগানিস্তানে প্রেরণের কাজটি সবাই করেছেন।
>>তাই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে পাকিস্তান অন্যতম বড় #নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
♦ভারত
>>>আফগানিস্তান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় #বিনিয়োগকারী দেশ।
>>ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩ #বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
>>ভারত আফগানিস্তান এবং #তুর্কমেনিস্তান থেকে তেল আমদানি করে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যার তেলের চাহিদা পূরন করে। এছাড়া ভারত আফিগানিস্থানে সেনা #প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
>>>#ভারত আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাবে এমন গুজব শোনা যায় প্রায়ই।
>>>>কিন্তু কথা হচ্ছে যেযে ভারত ভালো করেই জানে যে আফগানিস্তান সেই বিশাল হাতির পা যা কুমিরের মুখে এলে কুমির না একে খেতে পারে না ছাড়তে পারে। তাই ভারত কুমির হয়ে এই হাতির পা মুখে নিতে যাবেনা।
>>#ভারত যদি ভূল করেও আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়ও তবুও ভারত কখনোই আফগানিস্তানকে গ্রাস করতে পারবে না।
>>যে কাজটি আগেই বড় বড় সাম্রাজ্যের মহাবলশালী যোদ্ধারাও করতে পারেননি ভারত সেটা করতে পারবে না।
>>>আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের কোনকালে আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ছিলনা আর হবেও না। আপাতত ভারত আফগানিস্তানে ব্যাবসায়ে বেশি মনযোগী।
>>>আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত। হয়ত এর পেছনে ভারতের ইতিহাস কাজ করছে। ভারত গত শতাব্দী অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিয়েছে। তাই এই শতাব্দীতে ভারত কোন প্রকার অমিমাংশিত পরিস্থিতির দিকে যেতে চাইবে না।
>>>তবে নয়াদিল্লী এক্ষেত্রে কাবুলকে সন্ত্রাস দমনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
♦চীন:
চীন আফগানিস্তানে ঘাটি নির্মানের জন্য এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদি চীন তা করে ফেলে ভারতকে তা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে।
ষষ্ঠত,
প্রশ্ন আসতে পারে #আলেকজান্ডার, #ব্রিটিশ সেনা,#রুশ সেনা, #আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানে কেন সফল হতে পারেনি?
♣♣>উত্তরটা অনেকটা এরকম পার্বত্য ময় দেশ হবার কারনে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা নিয়ে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানে সেনা প্রবেশ করানোর জন্য কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় #পাকিস্তানকে ব্যাবহার করতে হয়। এই রাস্তা বড়ই দূর্গম আর পাথুরে।
♣♣আফগানিস্তান মাঝারি আকৃতির একটি দেশ। তাই একে বশে আনতে হলে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাতে হবে। খন্ড খন্ড যুদ্ধে আফগানিস্তানকে নাকাল করা যাবেনা।
♣♣আফগানিস্তানে এলাম, দেখলাম,জয় করলাম এই নীতি চলেনা। আফগানিস্তান দখল করতে হলে পুর্ণশক্তিতে যুদ্ধ করতে হবে।
♣♣কয়েক হজার সৈন্য আর কয়েকটা বোমা মেরে আফগানিস্তানকে দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু দখল করা যায়না।
♣♣আফগানি সেনারা আত্মগোপন করার মত অনেক সুযোগ পায়। তাই তাদের সনাক্ত করাটাই এসব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
♣♣উপরন্তু উঁচু পর্বত থেকে হঠাৎ ঝ্বটিকা আক্রমণ শত্রুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
♣♣ আর আফগানিস্তান নিজেদের দেশাত্মবোধ বিদেশী শক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়না।
Prepared By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না

============================
#বিসিএস রিটেন- #সিলেক্টেড টপিক
#মালদ্বীপ সংকটের #আদ্যোপান্ত
#চীন- #ভারত- #মালদ্বীপ #ফ্যাক্ট
২০১৮ সালে এশিয়ার ভু-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপের নাম। আজ এই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকটের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦যেকোন সংকট সম্পর্কে জানার আগে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। মালদ্বীপের এই সংকটে নিজেকে জড়িত করার পুর্বে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়া যাক....
♦#ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম:
ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মালদ্বীপের বর্তমান এবং ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎ ভাই। ইয়ামিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে। তার দলের নাম হচ্ছে #প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপ।
♦মাহমুদ নাশিদ:
নাশিদ মালদ্বীপের সাবেক তরুণ প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ #ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণধার তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নাশিদ ক্ষমতায় ছিলেন।
নাশিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। পাশ্চাত্যের সাথে নাশিদ খুব ভালো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
নাশিদ ২০১৫ সালে ইয়ামিন সরকার কর্তৃক বন্দী হন। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইংল্যান্ড অবস্থান করছেন।
♦মামুন আব্দুল গাইয়ুম:
তিনি দীর্ঘদিন (1978-2008) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম তার সৎভাই। মামুনের দলের নাম প্রোগ্রেসিভ পার্ট অফ মালদ্বীপ। ২০০৮ সালে নাশিদের কাছে ক্ষমতা বদল হয় মামুনের।
♦♦মালদ্বীপের শাসনব্যবস্থা :
>> মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারি ব্যাবস্থা চলছে।
>>মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম মজলিশ। বর্তমানে মজলিশের আসন সংখ্যা ৮৫।
>>মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাইদ।
$$ চলমান মালদ্বীপ সংকট:$$
মালদ্বীপ সংকটকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য এই লেখাটিকে ছোট ছোট কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করেছি। শুরু করা যাক তবে.........
প্রথমত,
মালদ্বীপ এমন একটি স্থানে রয়েছে যেখানে ভারত মহাসাগর আর আরব সাগরের মাঝে একটা যোগসুত্র তৈরি হয়। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ মালদ্বীপের প্রায় ১২০০ ছোটবড় দ্বীপের সুবিধা ভোগ করে। মালদ্বীপ নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এই জাহাজ গুলোকে। তাই মালদ্বীপকে হাতের মুঠোয় পেতে চীন, ভারত, জাপান এই এশীয় দেশগুলো মরিয়া হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
মালদ্বীপ বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে নাশিদ অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে চাইছেন।
তৃতীয়ত,
এই রাজনৈতিক সংঘাত আরো জটিল হতে শুরু করে যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায় দেয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট তাদের মুক্তি দিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করে নেওয়া হয়। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
চতুর্থত,
দেশটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট কি বলছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের হাফ-ব্রাদার সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম বিরোধী পক্ষের সাথে রয়েছেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ এই ঘটনায় ভারতীয় মিলিটারির সহায়তা কামনা করছেন।
পঞ্চমত,

ভারত কি বলছে?
>>>>ভারত মালদ্বীপকে সবসময় নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করে। এটা এমন একটা জায়গা যা ভারতের জন্য strategically খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সব সময়ই মালদ্বীপকে নিজের বাড়ির উঠানের মত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখে।
>>>>>শুরুতে ভারতের সাথে ইয়ামিন সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ (২০১৩) নেওয়ার পরে ইয়ামিন ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ভারতেই সফর করতে আসেন। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় চীনের সিল্ক রোড চুক্তিতে মালদ্বীপের স্বাক্ষর করা নিয়ে। পাশাপাশি চীন মালদ্বীপে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করলে ভারতের সাথে মালদ্বীপের ইয়ামিন সরকারের বৈরিতা শুরু হয়।
>>>>>>২০১৫ সালে মোদি যখন মরিশাস আর শ্রীলঙ্কা সফর করেন তখন মালদ্বীপ সফরের কথাও ছিল। কিন্তু মোদি মালদ্বীপের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
>>>>>সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট নাশিদ সহ ৯ জন রাজবন্দী মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৩ জন বিরোধী দলীয় দায়িত্বচ্যুত পার্লামেন্ট মেম্বারকে পুনরায় তাদের স্বপদে ফিরে যেতে রায় দিয়েছে। এতে করে ৮৫ সদস্যবিশষ্ট পার্লামেন্টে ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তাই সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেছে।
>>>ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় মেনে নিতে বলছে। কিন্তু ইয়ামিন প্রশাসন বলছে এতে ভারতের নাক না গলানোই ভালো।
>>>>তবে ভারতের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তারা অপেক্ষায় আছে নির্দেশের। উল্লেখ্য এর আগেও ভারত ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা পাঠিয়েছে। এবার তারা কি করে সেটা সময় বলবে।
>>>মালদ্বীপ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং অবিলম্বে এই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।
ষষ্ঠত,
চীন কি বলছে?
>>>চীন ভারত মহাসাগরে ভারতীয় আধিপত্য রুখতে মালদ্বীপকে উত্তম ঘাটি বানাতে উঠেপরে লেগেছে। চীন মালদ্বীপকে তাদের বেল্টে আনতে মালদ্বীপে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে। চীন মালদ্বীপে কেবল বাণিজ্য করার জন্যই ইনভেস্ট করেনি। এই বিনিয়োগে চীন মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। চীন মালদ্বীপে ভারতীয় ডমিনেশনের জবাব দিতে গাইয়ুম সরকারকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে।
>>>>সম্প্রতি পাকিস্থানের আরব সাগর তীরবর্তী বেলুচিস্তানে চীন সমুদ্রবন্দর বানালে তার জবাবে ভারত মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ইরানের চবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে চীন ভারত সমান সমান আধিপত্য বজায় রাখবে। এ জন্য চীন মালদ্বীপে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত মহাসাগরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।
>>>এর প্রমাণ হচ্ছে ভারত মহাসগরে চীনের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি। চীন ভারত মহাসাগরে তাদের শক্তিশালী নৌ-বহর সাজিয়ে রেখেছে যেখান থেকে মালদ্বীপ ঢিল ছুড়ার মত দুরত্বে রয়েছে।তাই ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে চীন তার শক্ত জবাব দেবে। তাই উভয় দেশ এই সংকটের মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
♦সপ্তমত,
যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে?
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আর আগ্রহী বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পুর্ব এশিয়াতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ কমে গেছে। তবে আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে বলেছে।
এক নজরে-----------
♦মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতার
♦সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দিয়েছে
♦সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আটক
♦ভারতীয় মিলিটারি হস্তক্ষেপ চান সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ
♦মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অবৈধ ঘোষণা সুপ্রিমকোর্টের।
♦প্রস্তুত ভারতের সেনা।
♦প্রস্তুত চীনা যুদ্ধজাহাজ
== By====
=সৌরভ দেবনাথ সাগর=
==MBA=
== SUST=
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন

 

 

#কারেন্ট #অ্যাফেয়ার্স
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত

#আন্তজার্তিক_বিষয়াবলীঃ

জানুয়ারিঃ-
১) সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ঃ phethai ফেথাই ; নাম করন করেন থাইল্যান্ড । স্থানীয় ভাষায় রত্ন পাথর জিরকনকে ফেথাই বলে।
আঘাতহানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
২) ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনঃ জ্বালানি তেলের বাড়তি কর কমানোর দাবীতে ফ্রান্সের মানুষ দেশের ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহৃত হলুদ জ্যাকেট পরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে তাই একে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন করে। আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর।
• অভিবাসী গ্রহণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র
• বিশ্বের শীর্ষ অভিবাসীর দেশঃ ভারত ( ১ কোটি ৬৬ লাখ)
৪) OPEC: ৩ন ডিসেম্বর ২০১৮, কাতার ওপেক এর সদস্যপদ ত্যাগের ঘোষনা দেয় । কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে । বর্তমানে ওপেক’র সদস্য দেশ ১৪ টি ।
৫) IMF এর প্রথম নারীপ্রধান অর্থনীতিবিদঃ প্রফেসর গীতা গোপীনাথ(ভারত)। দায়িত্ব গ্রহন করেন ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে।
৬) সম্প্রতি unesco’র সদস্যপদ প্রত্যাহার করে যুক্ত্রাষ্ট্র ও ইসিরাইল ( ৩১ ডেসিমবর ২০১৮) । বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য দেশ ১৯৩ টি
৭) বিশ্বের প্রথম আয়কর চালু হয় ইংল্যান্ডে ১৭৯৮ সালে ।
৮) গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরনে শীর্ষদেশঃ চীন
৯) Forbes- তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাধর নারীঃ অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

#ফেব্রুয়ারি_মার্চঃ
১) বিশ্বের সর্ববৃহৎ গোয়েন্দা সদর দপ্তর নির্মিত হয়েছে জার্মানিতে। এর আগে ছিলো যুক্ত্রাষ্ট্রের পেন্টাগন।
২) ২৫ মার্চ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলই ভূ-খন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
৩) ২৬ মার্চ- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশের ৪৯ তম স্বাধীনতা দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষনা করে
এপ্রিল
১) যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ১২০টি দেশকে জি এস পি সুবিধা দেয়।
২) জাপানের ১২৬ তম সম্রাট- নারুহিতো
৩) কাজাখস্তানের বর্তমান রাজধানীর নামঃ নুরসুলতান
৪) নেপাল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইট উদক্ষেপন করে।
নামঃ NepaliSat-01

#মে-
১) জাপানের নতুন রাজকীয় যুগের নামঃ- জবরধি
২) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানের নাম-রক
৩) সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশির ক্ষমতায় ছিলেন – ৩০ বছর
৪) প্রথম ৫ জি চালু করে দক্ষিন কোরিয়া ৩ এপ্রিল ২০১৯
৫) বিশ্বের দীর্ঘতম লবন গুহার (salt cave) নাম- ম্যালহাম গুহা ( malham cave)
৬) বর্তমান ইস্পাত শিল্পের জনক- স্যার হ্যানরি বিসিমির, ইংল্যান্ড
৭) বিশ্বের প্রথম “আল কুরআন পার্ক” অবস্থিত- দুবাই, আরব আমিরাত

#জুলাই
১) ৫ জুন ভারতকে জিএসপি সুবিধা বাতিল কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।
২) ৬ জুন আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করে।

#বাংলাদেশ_বিষয়াবলি

জানুয়ারি
১) বাংলা একাডেমীর নতুন মহাপরিচালকঃ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ( ৩ বছরের মেয়াদে)। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নামঃ লাইলি-মজনু ( জুন-১৯৫৭; সম্পাদকঃ দৌলত উজির বাহরাম খাঁ ও আহমদ শরীফ)।
২) ২০২১ সালের ৬ষ্ঠ আদম শুমারির নামঃ জনশুমারি
৩) বাংলাদেশের ভূ-খন্ড আয়করের আওতায় আসেঃ ১৮৬০ সালে
৪) বাংলাদেশের মোট জাতীয় মহাসড়কের সংখ্যাঃ ৮ টি
৫) TIN-ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়ঃ ১৯৯৩ সালে।]
৬) সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান-৫৬ তম (শীর্ষেঃ যুক্তরাষ্ট্র)

ফেব্রুয়ারি-মার্চ
১) ফার্মারস ব্যাংকের বর্তমান নামঃ পদ্মা ব্যাংক
২) বিশ্বে কৃষিভূমি ও বনভূমি হ্রাসে শীর্ষদেশ- বাংলাদেশ, যানজটে শীর্ষ শহর- ঢাকা
এপ্রিলঃ
১) বাংলাদেশে সম্প্রতি ১৪০০ বছরের পুরনো পাল শাসনামলের স্থাপত্য নিদর্শন পাওয়া যায়- বগুড়ার মহাস্থান গড়ে।
২) বাংলাদেশে একমাত্র ও প্রথম সাপের বিষের ডেটাবেজ নির্মান করেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক ড. আবু রেজা ।
৩) ইঁদুরের ক্ষতিকর গনজাইলোনেমা শনাক্তকরণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন – শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষক দল। নেতৃত্ব দেনঃ- ড. উদয় কুমার মহন্ত।
৪) দেশের প্রথম পাতাল রেলঃ
• বিমানবন্দর টু কমলাপুর
• দৈর্ঘ্যঃ ১৯.৮৭ কিমি
• স্টেশন সংখ্যাঃ ১২ টি
৫) বর্তমানে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রবর্তন করা হয়েছেঃ ঢাকা,ইসলামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬) বর্তমানে দেশে মোট পাটকল- ৩১৪ টি

মে-
১) দেশের একমাত্র কোস্টগার্ড বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্র অবস্থিত- কুয়াকাটা,পটুয়াখালী
২) প্রাচীন জাতের মিসরীয় তুলার সন্ধান পাওয়া যায় – বাগেরহাট জেলায়
৩) পিরামিড আকৃতির বৌদ্ধ স্তুপের সন্ধান পাওয়া যায়- মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বরে।
৪) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম এনিমেশন ছবি- surviving 71: An untold story of an Unknown war (ওয়াহিদ ইবনে রেজা)
জুলাই
১) ১৩ জুন দেশে প্রথম EPI টিকা কেন্দ্র চালু হয় রংপুরে
২) ২৪ জুন দেশে প্রথমবারের মত মানুষের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
৩) ১ জুলাই মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর হয় ।
৪) দ্বিতীয় কাচপুর সেতুর বর্তমান নামঃ শীতলক্ষ্যা সেতু।
৫) দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রীর নামঃ সাইদা খানম।
৬)
 সার্ফিং নিয়ে নির্মিত দেশের ১ম চলচ্চিত্রের নাম - ন-ডরাই।
 বর্তমানে দেশে স্থলবন্দর ২৩ টি।
 বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৫ ধরনের।
 বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র ২৭ টি।
 দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি।
 বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায় ৩৮টি দেশে।
 বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক নেই ১০ টি জেলায়।
 দেশে বানিজ্যিকভাবে ফল উৎপাদিত হয় ৪৫ প্রকারের।
 বর্তমানে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বিশ্বের ১৪৬ টি দেশে
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
 বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি ও রেমিটেন্স অর্জিত হয় সৌদি আরব থেকে।
 বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে তৈরি পোশাক।
 খাদ্যশস্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় বোরো ধান।
 বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস।
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সাহায্য দেয় জাপান
 বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি যে সংস্থা বৈদেশিক সাহায্য দেয় বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আইডিএ।
 দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসে বিদ্যুৎ খাতে।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই আমাদের ছোট রাসেল সোনা।
 ভার্চুয়াল অ্যাপ "লুনার ভিআর" তৈরি করে নাসার বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর দল টিম অলিক।
 বাংলাদেশ কৃষি শুমারি-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
 দেশের ১ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম এইমবুক ডট নেট।
 সম্প্রতি দেশে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায় ইসবপুর, দিনাজপুর ( ১৮ জুন ২০১৯)।
 সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬ তম।
 বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ তম।
 'SDG Gender Index' এ বাংলাদেশের অবস্থান ১১০ তম
 জনসংখ্যা ঘনত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।
 'এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯' শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ।
 বিশ্বের ১০টি সেরা অর্থবহ পতাকার তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উক্তি নিয়ে প্রকাশিত দুটি বই শেখ হাসিনাঃ সিলেক্টেড সেয়িংস ( উক্তি ১১৫টি) এবং শেখ হাসিনাঃ নির্বাচিত উক্তি ( উক্তি ১০০টি)।
 JSC,SSC, HSC তে GPA-5 এর পরিবর্তে GPA-4 নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৩ জুন ২০১৯।
 বায়ান্নার ভাষাসৈনিক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ১ম নারী অধ্যাপক প্রফেসর লায়লা নুর মারা যান ৩১ মে ২০১৯।
 দেশ বরেণ্য নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক মমতাজউদ্দীন আহমদ মারা যান ০২ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম বারের মত ' স্বর্নকর মেলা-২০১৯' অনুষ্ঠিত হয় ২৩-২৫ জুন ২০১৯।
 দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ১৭ জুন ২০১৯। দেশের ১ম কয়লা আমদানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি 'পিটি বায়য়ান রিসোর্স টিবিকের' সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড'র ( ১০ বছর মেয়াদী)।
 বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় ০১ জুলাই ২০১৯।

EXTRA
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
 উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক- হীরালাল সেন
 বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের জনক- আবদুল জব্বার খান
 সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবি- পথের পাঁচালী
সত্যজিৎ রায় ‘অস্কার পুরষ্কার’ পান- পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রের জন্য
সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পান- ১৯৯২ সালে
 বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার- জহির রায়হান
জহির রায়হান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র- কখনো আসেনি
‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা - জহির রায়হান
‘কাঁচের দেয়াল’ বিখ্যাত চলচ্চিত্র- জহির রায়হানের
‘Stop Genocide’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক- জহির রায়হান
 ‘ চিত্রা নদীর পাড়ে’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা- তানভীর মোকাম্মেল
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালসালু’ এর পরিচালক- তানভীর মোকাম্মেল
 সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের পরিচালক- শেখ নেয়ামত আলী
 BFDC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৮ সালে
 স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’ এর নির্মাতা- মোরশেদুল ইসলাম
 মাটির ময়না চলচ্চিত্রের পরিচালক- তারেক মাসুদ
অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা ছবি- মাটির ময়না

খেলাঃ
 বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন কোচ: নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
 নতুন পেস বোলিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট।
আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯
 সময়কালঃ ৩০ মে - ১৪ জুলাই ২০১৯।
 আয়োজকঃ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।
 চ্যাম্পিয়নঃ ইংল্যান্ড।
 রানার্স আপঃ নিউজিল্যান্ড।
 অংশগ্রহণকারী দল ১০টি।
 মোট ম্যাচ ৪৮ টি।
 একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবল (১৯৬৬) ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট (২০১৯) চ্যাম্পিয়ন হয়ঃ ইংল্যান্ড।
 উদ্বোধনী ভেন্যু ও ফাইনাল ভেন্যুঃ লর্ডস (১৪ জুলাই) ও ওভাল ( ৩০ মে)।
 সর্বোচ্চ রানের মালিকঃ রোহিত শর্মা (৬৪৮ রান)।
 সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকঃ মিশেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া (২৭টি)।
 ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টঃ কেন উইলিয়ামসন ( নিউজিল্যান্ড) ।
 ম্যান অব দ্য ফাইনালঃ বেন স্টোকস ( ইংল্যান্ড)।
 প্রথম হ্যাট্রিককারী বলারঃ মেহাম্মদ সামী।(বিপক্ষ দল আফগানিস্তান)।
 সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিঃ রোহিত শর্মা (৫)
 একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০+ রান ও ১০+ উইকেট সাকিব আল হাসান।
 এখন পর্যন্ত এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্ছ উইকেট লাভকারী বোলার মিশেল স্টার্ক (২৭ উইকেট)।
 বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্ছ রানের মালিক
 শচীন টেন্ডুলকার (২২৭৮ রান)।
 বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে ৭ম বিশ্বকাপে (১৯৯৯সাল)।
 প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

জানতে হবেঃ
 শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ যুক্ত আছে- ৫ম তফসিলে
 স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হয়েছে-৭ম তফসিলে
 জাতিসংঘ সমুদ্র আইন পাস হয়--১৯৮২ সালে
 জাতিসংঘের মোট ভাষা ৬টি হলেও অফিসিয়াল/ কার্যকরী ভাষা ২ টিঃ
১. ইংরেজি
২. ফ্রেঞ্চ
 V20 কিসের সাথে সম্পর্কিত --জলবায়ু পরিবর্তন
 সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় - কাটোউইস, পোলান্ড।
 ২০২২ সালের G20 সম্মেলন হবে--ভারতে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে
 ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছেঃ-৮.২ শতাংশ
 ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - টোকিও, জাপান
 ২০২২ সালের শীতকালীন অলম্পিক অনুষ্ঠিত হবে - বেইজিং, চীন।
 Transparency international:
প্রতিষ্ঠা পায়ঃ ৪ মে, ১৯৯৩
সদরদপ্তরঃ বার্লিন, জার্মানি
উদ্দেশ্যঃ৷ যুদ্ধবন্ধ & দূর্নীতিপ্রতিরোধ করা।
 বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS)
 প্রতিষ্ঠা পায়ঃ- ১লা জানুয়ারী, ১৯৭২
 পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্রিত হয়ঃ-১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর
 সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়ঃ-১৯২২ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়ঃ-১৯৯১ সালে
 সর্বপ্রথম নারী ভোটাধিকার প্রদান করা হয়ঃ- নিউজিল্যান্ডে ১৮৯৩ সালে
 চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা হয়ঃ-১৯৪৯ সালে
সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ঃ-চীনে
 ২০১৯ সালে একুশে পদক দেওয়া হয় --২১ জনকে
 ২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান - -১২১ তম
 মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বর্ডারে, ২০১৮ তে ঘটিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অপারেশনের নাম-- Operation faithful patriot
 ইহুদিদের উপাসনালয়ের নাম - -সিনেগগ
 বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় - -২০১০ সালে
 সার্কের প্রথম নারী মহাসচিব -- নেপালের
 অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন কুক কোন দেশের অধিবাসী--ব্রিটেন
 ২০১৯ সালে অস্কার পায় কোন চলচ্চিত্র --Green Book
 ব্রিটেন এর নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দলের নাম --conservative party
 বাংলাদেশে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় --১৯৭৭ সাল থেকে
 থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজার নাম --Maha Vajiralongkorn
 বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত বোয়িং ৭৮৭-৮
তৃতীয় ড্রিমলাইনার - ``গাঙচিল'' বিমানে যুক্ত হলো।
 পূর্বে যুক্ত হওয়া:
১। ড্রিমলাইনার-১ এর নাম: আকাশবীণা।
২। ড্রিমলাইনার-২ এর নাম: হংসবলাকা।
৩। ড্রিমলাইনার-৪ এর নাম হবে: রাজহংস।
*** বিমানগুলোর প্রস্তুতকারক - মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানি।
 ধান ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলাময়মনসিংহ।
 গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও।
 চা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মৌলভীবাজার।
 পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর।
 আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ।
 আম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা রাজশাহী।
 তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঝিনাইদহ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বশেষ সদস্য এবং কিছু তথ্য :
"OPEC"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৪টি (সর্বশেষ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র)।
"COMESA"র বর্তমান সদস্য দেশ ২১ টি (সর্বশেষ সোমালিয়া)।
"NATO "র বর্তমান সদস্য দেশ ২৯ টি (সর্বশেষ মন্টিনেগ্রো)।
" OECD "র বর্তমান সদস্য দেশ ৩৭ টি (সর্বশেষ লিথুনিয়া ও কলম্বিয়া)।
"African Union "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৫ টি (সর্বশেষ মরক্কো)।
"OIC "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ আইভেরি কোস্ট )।
"IDB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৫৭ টি (সর্বশেষ গায়ানা)।
"ADB "র বর্তমান সদস্য দেশ ৬৭ টি (সর্বশেষ জর্জিয়া)।
"ICSID "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৬১ টি।
"IAEA"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭১ টি (সর্বশেষ সেন্ট লুসিয়া)।
"IDA "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৭৩ টি (সর্বশেষ রোমানিয়া)।
"WCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৩ টি (সর্বশেষ সুরিনাম)।
"WMO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৬ টি (সর্বশেষ অ্যান্ডোরা)।
"IFC "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"IMF "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৮৯ টি (সর্বশেষ নাউরু)।
"UNESCO "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
"United Nations "র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"WHO"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি (সর্বশেষ দঃ সুদান)।
"INTERPOL"র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪ টি ( সর্বশেষ ভানুয়াতু)।
"UNCTAD" র বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৫ টি (সর্বশেষ ফিলিস্তিন)।
SCO'র বর্তমান সদস্য দেশ ৮টি।
CICA'র বর্তমান সদস্য দেশ ২৭টি।
ASEAN'র বর্তমান সদস্য দেশ ১০ টি।

অর্থনৈতিক_সমীক্ষা ২০১৯
__ মোট জনসংখ্যাঃ ১৬.৩৭ কোটি।
__ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ ১.৩৭%।
__ স্থুল জন্মহারঃ ১৮.৫ জন ( প্রতি হাজারে)।
__ দারিদ্রের হারঃ ২১.৮%।
__ চরম দারিদ্রের হারঃ ১১.৩%।
__ প্রত্যাশিত গড় আয়ুস্কালঃ ৭২ বছর ( পুরুষ ৭০.৬ বছর, নারী ৭৩.৫ বছর)।
__ সাক্ষরতার হারঃ ৭২.৩%।
__ পুরুষ নারী অনুপাতঃ ১০০.২ঃঃ১০০।
__ মাথাপিছু আয়ঃ ১৯০৯ মা.ড।
__ চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণঃ ১৮২৭ মা.ড।
__ কৃষিতে মোট জনশক্তি নিয়োজিতঃ ৪০.৬% ( সেবা খাতে ৩৯%, শিল্প খাতে ২০.৪%)।
__ তফসিলিভুক্ত ব্যাংকঃ ৫৯টি।

বাংলাদেশের ৪৯ তম জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০
__ বাজেট ঘোষণাঃ ১৩ জুন ২০১৯।
__ বাজেট পাসঃ ৩০ জুন ২০১৯।
__ বাজেট কার্যকরঃ ০১ জুলাই ২০১৯।
__ বাজেটঃ ৪৮তম (অন্তর্বর্তীকালীন সহ ৪৯)
__ উত্থাপনকারীঃ আ.হ.ম মোস্তফা
কামাল (অর্থমন্ত্রী)।
__ বাজেটের আকারঃ ৫২৩১৯০ কোটি
টাকা।
__ ঘাটতিঃ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা।
__ স্লোগানঃ 'সমৃদ্ধির সোপানে
বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
__ জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণঃ ৮.২%।
__ মুদ্রাস্ফিতির হারঃ ৫.৫%।
__ ADP তে বরাদ্দঃ ২ লক্ষ ২ হাজার ৭২১
কোটি টাকা।
__ সর্বোচ্চ বরাদ্দঃ জনপ্রশাসন খাতে ( ৯৬,৪৭০ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১৮.৫%)
__ ভ্যাটের স্তরঃ ৪ টি ( ৫%, ৭.৫%, ১০% ও ১৫%)।

(সংগ্রহীত)

 

 

৩৮ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধের আদ্যোপান্ত
#2nd #world #war fact
#হিটলারের #জীবনী
মানব সভ্যতার ইতিহাসে যদি ভয়াবহ কিছু হত্যাযজ্ঞ ঘটে থাকে তবে তার একটি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। সময়টা ১৯৩৯ সাল। বড় নির্দয় একটা বছর।এই বছরটি ভয়ানক এক ধ্বংসলীলা শুরুর বছর। প্রায় ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে পৃথিবী হারিয়েছিল ৬ কোটি মানুষ। কোন একক যুদ্ধে এতগুলো তাজা প্রান আর কখনো হারায়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একসাথে আলোচনা করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। ঘটনাবহুল এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যত বেশি তথ্য কালেক্ট করা যায় রিটেনের জন্য ততই ভালো। আজ সল্প পরিসরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের জীবনী নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
♦♣♣: একটি বিশ্বযুদ্ধ আসলে এক দিনে লেগে যায় না। তালি যেমন এক হাতে বাজে না তেমনি ধ্বংসলীলা মুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় না। এ ধরণের ঘটনার অনেক নিয়ামক থাকে । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত গভীর জলে ডুব দেবার আগে এর মাস্টারমাইন্ড নিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
♦♣♣হিটলারের উত্থান পর্ব♦♦♣♣
মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাঁটলে এই মানুষটিকেই সবচেয়ে ভয়ানক রাষ্ট্রনায়কদের একজন বলে মানতে হবে। পৃথিবী জুড়ে তার চর্চা হয়েছে গত শতাব্দীতে। তার কার্যক্রমের ফল একবিংশ শতাব্দীর মানুষ ভোগ করছে। হিটলারের নাম শুনলেই আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক একটি ভাবনা চলে আসে। হিটলার তার রণনীতিতে ক্ষিপ্র ছিলেন।
>>>তবে তার সব গুণদোষ বিচার করলে তাকে একচেটিয়াভাবে ভিলেনের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়না। কারন হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী হলে তিনিই হতেন সর্বজনপ্রিয় দেশপ্রেমিক নেতা। তবে তার পরাজয় তাকে ইতিহাসের খলনায়কদের তালিকায় ফেলে দিয়েছে। আজ হিটলারের উত্থান নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার আহুতি দানের কথাও আলোচনা করব।
♣♣♦♦♣♣
হিটলার জার্মান ছিলেন না। ১৮৮৯ সালে তার জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়ায়। হিটলার শৈশব কাটিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ছেলেবেলায় বাবা তার পর মা হারিয়ে হিটলার জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে ছিলেন।কিন্তু হিটলার পথ হারান নি। জীবন সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯১৩ সালে জার্মান আর্মি তে প্রবেশের চেস্টা করেন। কিন্তু তাকে বলা হয় জার্মান আর্মিতে কাজ করার যোগ্যতা নাকি তার নেই।
কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধ লাগলে হিটলার ঠিকই জার্মান আর্মিতে প্রবেশ করেন। ১৯১৯ সালে নাজি পার্টিতে যোগ দেন। এর পর নিজের কর্মদক্ষতার বলে ১৯২১ সালে নাজি পার্টির প্রেসিডেন্ট হন। নাজি পার্টি আসলে প্রাক্তন জার্মান সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ পুষ্ট ছিল। কিন্তু এই পার্টি বেশ উথান পতনের মাঝ দিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির #চেন্সেলর হন।
♣♣♣♣♣♣♣
হিটলার তার হিটলারি এরপর শুরু করেন।
>>>>>ক্ষমতা লাভের পর হিটলার তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি অদূরবর্তী অস্ট্রিয়ার দিকে নিক্ষেপ করেন। অস্ট্রিয়া জার্মানদের দখলে এলেও বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। ১৯৩৮ সালের ১২ মার্চ হিটলার বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া জয় করেন।
>>>>>স্পেনে তখন গৃহ যুদ্ধ চলছে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এই সময়টায় স্পেনের অর্থনীতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পরে। তবে স্পেনের উপর হিটলার তখন আক্রমন করেননি। হিটলার এরপর চেকোস্লুভাকিয়া দখল করেন।
♣♣♣♣♣♣♣
বিশ্বযুদ্ধের #সুচনা:
এ পর্যন্ত হিটলার যা করেছেন সেগুলো ছিল বড় ঘুর্নিঝড়ের পুর্বে ছোট ছোট ধমকা হাওয়ার মত কার্যক্রম। আসল ঘুর্ণিঝড় শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমনের মধ্য দিয়ে।
হঠাৎ করেই কোন প্রকার পুর্ব ঘোষণা না দিয়ে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করাটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। হয়ত এটাই ছিল হিটলারের রণনীতি। হিটলার লুডু খেলার মত দেখিয়ে দেখিয়ে ছক্কার দান মারতেন না। তিনি শত্রুকে প্রস্তুত হবার সুযোগ দিতেন না। তাই শেষরাতে আক্রমণ করাকেই হিটলার উপযুক্ত ভেবেছিলেন।
পোল্যান্ডের দিকে হিটলার ক্ষিপ্রগতিতে ধাবিত হন।
তারিখটা পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। ভোর ৪.৩০ এ পোল্যান্ডের উপর পাঁচটি জার্মান বাহিনি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমেই। ২৮০০ ট্যাংক, ২০০০ জঙ্গি বিমান আর ১০০ যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে প্রবল বেগে পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হয় জার্মান বাহিনী। ২৭ দিনেই পোল্যান্ড জার্মানদের দখলে চলে যায়। বিশ্বযুদ্ধ এখানেই শুরু। মুলত এই আক্রমণের মধ্য দিয়েই হিটলার বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন।
♦♦♣♣: #অক্ষশক্তি এবং #মিত্রশক্তি:
যুদ্ধ যারা লাগায় তাদের বলা হয় অক্ষ শক্তি। যারা ভাঙ্গায় তাদের বলা হয় মিত্র শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিলেন হিটলার। তবে হিটলারের ডান হাত ছিলেন ইতালির মুসলিনি।
>>>♣♣ #জার্মানি, #ইতালি, #জাপান এই তিন পরাশক্তি ছিল অক্ষশক্তি।
তাদের সাথে আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশ ছিল যাদের হিটলার বাহুবলে জয় করে নিজের বাহিনীতে কাজে লাগিয়েছিলেন।
>>>♣♣ অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইন

অপরদিকে তৎকালীন বিশ্বের মুরুব্বী #ব্রিটেন, #আমেরিকা, #রাশিয়া ছিল মিত্র শক্তি।
তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন #উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন #ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, রাশিয়ার নেতা ছিলেন #জোসেফ স্টালিন।
♣♣♦♦হিটলারের রাশিয়া আক্রমণ ♦♣♣
রাশিয়া যুদ্ধ চায়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ায় শীতল রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছিল। দেশ গঠনে আর সমাজতন্ত্র প্রচারে ব্যাস্ত ছিলেন জোসেফ স্টালিন। জার্মানির সাথে রাশিয়া মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
কিন্তু একে একে ডেনমার্ক ,ফ্রান্স এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র জয় করার পর হিটলার ভাবলেন রাশিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপ তার কাছে নতজানু।তাহলে আরেকটু অগ্রসর হলে ক্ষতি কি?
>>>তাই #সীমান্ত বিবাদকে ভিক্তি করে অতর্কিত ভাবে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে বসেন।
>>>>সময়টা ১৯৪১ সালের ২২ জুন। ভোর রাতে হিটলার বাহিনী বিনা যুদ্ধ ঘোষণায় ঝাঁপিয়ে পরে। রাশিয়া সৈন্যশক্তিতে এগিয়ে ছিল
>>>>কিন্তুজার্মানদের ধারণা ছিল হয়ত তাদের শক্তির মুখে রুশ বাহিনী টিকবে না। তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
>>>>দফায় দফায় রাশিয়ার বড় বড় শহর আর তেল খনি জার্মান বাহিনী দখল করে নেয়।
>>>>>>মস্কো, লেলিনগ্রাদ, স্টালিনগ্রাদসহ বড় বড় শহরে ক্ষিপ্রতার সাথে যুদ্ধ চলে। রুশ বাহিনী পাল্টা আক্রমন করে।
>>>>এসময় রুশ বাহিনির বিরুদ্ধে #ইতালি আর #জাপানও যুদ্ধ ঘোষণা করে।
উপায়ান্তর না দেখে রুশ নেতা স্টালিন #ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন।
>>>কিন্ত ব্রিটেন চেয়েছিল ইউরোপের এই দুটি বড় শক্তি যেন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে দুনিয়াতে তাদের #সমকক্ষ কেউ থাকবে না আর।
>>>>তবে রুশরা তাদের পাল্টা আক্রমন থামায়নি। এক পর্যায়ে কিছু এলাকা তারা মুক্ত করে ফেলে। জার্মানদের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে রুশরা প্রচুর যুদ্ধবিমান ও ভারি কামান সহ অনেক রসদ আমদানি আর তৈরিতে মন দেয়।
>>#কথিত আছে #শত্রুবাহিনী রাশিয়ার ভূমি গ্রাস করতে পারেনা। রাশিয়ার #ভূমিই শত্রুবাহিনীকে #গ্রাস করে দেয়।তাই শীতকাল শুরু হলেই রাশিয়ায় নাজী বাহিনীর অনেক সেনা ঠান্ডায় মারা পরে। বেশির ভাগ এই বিরুপ আবহাওয়া সহ্য না করে জার্মানি #প্রত্যাগমন করে।
♦হিটলার তখন রাশিয়া আক্রমন কিছুটা #স্থবির করে দেন। অন্যদিকে তার আরেক দুসর মুসুলিনি #আফ্রিকার দিকে ধাবিত হন এবং আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ দখল করতে থাকেন। আফ্রিকায় ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে #ইতালিয়ান বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়।
♦♣♣ব্রিটেনে হিটলারের আক্রমন♦♣♣
হিটলার এবার ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে অকেজো করে দিতে মন দিলেন। জার্মানির ইউ-বোট গুলো জলদস্যুর মত অতর্কিত আক্রমন করে ব্রিটিশদের শিপিং ডুবিয়ে দিত। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টন শিপিং ডুবিয়ে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন হিটলার।
>>>হিটলার এবার মূল জায়গায় আঘাত করতে এগিয়ে গেলেন। হিটলারের নাজী বাহিনী এরপর ব্রিটেনের মূল #ভুখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়। আর এতেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন চার্চিল।
>>>চার্চিল বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিন শেষ হয়ে আসছে। তিনি সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলেন। জার্মান বাহিনী যদি একবার ইংল্যান্ডে আসে তাহলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল গুড়িয়ে দেবে। এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে চার্চিল আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইলেন।
♣আটলান্টিক সনদ-১৯৪১♣♣♦
এটাকে সনদ না বলে আমি এটাকে বিশ্ব নেতৃত্ব বদলের দলিল বলে থাকি। চার্চিলের মিনতি শুনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট সুযোগের চরম ব্যাবহার করলেন। তিনি চার্চিলকে সমুদ্রে ডাকলেন। এক রণতরীতে বৈঠক শুরু হলো।
>>চার্চিল বিষয়টা যতটা সহজে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রুজভেল্ট বিষয়টা ততটাই কঠিন করে দিলেন। রুজভেল্ট এই শর্ত দিলেন যে যদি যুদ্ধে মিত্রশক্তি বিজয়ী হয় তবে সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ মুক্ত করে দিতে হবে। কেবল তখনই আমেরিকান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।
>>>সুচতুর রুজভেল্টের শর্ত শুনে চার্চিলের আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার মতই অনুভূতি হল। একদিকে এতগুলো ব্রিটিশ উপনিবেশ হারালে ব্রিটেনের জনগণ তাকে ধুয়ে দিবে। অন্য দিকে নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সুদাসল একসাথে যাবে। কারন নাজী বাহিনী ব্রিটেন দখল করে নিলে সব ব্রিটিশ উপনিবেশ এমনিতেই হিটলারের দখলে চলে যেত।
>>>তাই আটলান্টিক মহাসাগরে বসে একে একে ১৪ টি শর্ত মানতে হল চার্চিলকে। আর এরপর পৃথিবীর নেতৃত্ব চলে যায় আমেরিকার হাতে। ১৪ নম্বর শর্তানুযায়ী বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি সংঘটন স্থাপন করার কথা বলা হয়।
♦♣♣জাপান কর্তৃক পার্ল হার্বার আক্রমণ:
আমেরিকা এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার আক্রমন করলে মহাশক্তিশালী আমেরিকা #যুক্তরাষ্ট্র এই মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
পার্ল হার্বার একটি আমেরিকান সামরিক ও নৌঘাটি। এখানে জাপানের অতর্কিত আক্রমণ আমেরিকাকে অবাক করে দেয়। জাপানকে এ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত খুব কঠিনভাবেই করতে হয়েছে।
♣♣♦♦♣♣
মিত্রবাহিনীর মিলিত #আক্রমণ :
ধীরে ধীরে হিটলার আমেরিকান বিমান বাহিনী আর ব্রিটিশ বাহিনীর যুগ্ন আক্রমণের সম্মুখীন হন। মিত্র বাহিনির তিনটি প্রধান শক্তি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া এক জোট হয়ে জার্মানদের বিজিত এলাকা গুলোতে তুমুল আক্রমন চালায়। ১৯৪৪-৪৫ সালে জার্মানির প্রায় সমস্ত উপনিবেশ একের পর এক মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
১৯৪৫ সালে মুসুলিনি ইতালির জনগণ কাছে ধরা পরেন এবং তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। হিটলারের ডান হাত মুসুলিনি মরে যাওয়ায় হিটলারের আধিপত্য ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। মিত্র বাহিনী এবার জার্মানির মুল ভূখণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
জার্মানির হামবুর্গসহ বড় শহরগুলো মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়। হিটলারের সেনাপতিদের কেউ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেন, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেন।
#অবশেষে মিত্র বাহিনীর তিনটি দেশ মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে হিটলারকে মারার পর জার্মান আধিপত্য সমুলে উপড়ে ফেলতে হবে এবং ভবিষ্যতে জার্মানরা যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না শুরু করতে পারে এজন্য জার্মানদের উপর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ সহ বেশ কিছু নিরস্ত্রীকরন শর্ত জুড়ে দেয়া হবে। ফ্রান্সকে জার্মানির হারানো রাজ্যের একটা অংশ দেয়া হবে। বাকি জার্মান উপনিবেশ ব্রিটেন, আমেরিকা, আর রাশিয়া ভাগ করে নিবে।
#♦♣♣D-Day ফ্যাক্ট :
১৯৪৪ সালের ৬ জুনকে ইতিহাসে ডি-ডে হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে এদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমুদ্রযুদ্ধ হয়। এদিন নাজী বাহিনীর কবল থেকে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মুক্ত হয়।
♦♦হিটলারের #মৃত্যু :
মিত্রবাহিনীএবার জার্মানির বার্লিনের দিকে অগ্রসর হল। সময়টা এপ্রিল, ১৯৪৫। মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমনে বার্লিনের প্রতিরক্ষাব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরে।
হিটলার চাইলেই বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার উইলে #লিখেছেন," আমি মরছি আনন্দঘন হৃদয় নিয়ে”। হিটলার বার্লিনেই রয়ে গিয়েছিলেন।
♣♣২৮ এপ্রিল ১৯৪৫:
মিত্রবাহিনী বার্লিনের খুব কাছে। হিটলারের সেনাপতি তাকে বার্লিন ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্ত হিটলার তাতে রাজি হননি। হিটলার তার সমস্ত সেনাপতি, মিত্র আর অনুচরদের নিয়ে নৈশভোজ করেন। ইভা হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারকে বিয়ে করেননি। জীবনের শেষ কয়টা দিন যখন আসন্ন হিটলার ইভাকে বিয়ে করেন। হিটলার মরার আগে সেনাদের বলেন, "আমার সাথে যারা মরতে চাও তাঁরা বার্লিন থাকো। "হিটলারের অনুচরদের অনেকেই বার্লিন থেকে গিয়েছিলেন।
>>>৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ মিত্র বাহিনী বার্লিনে ঢুকে পরে। হিটলার তার অনুচরদের বলেন যে ইভা আর তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার একজন অনুচরকে ২০০ লিটার পেট্রোল আনতে বলেন। কিন্তু সে কেবল ১৮০ লিটার যোগাড় করতে পেরেছিল। হিটলার বলেন যে বার্লিনের বাগানেই তিনি জীবনের অনেক সময় কাটিয়েছেন। মরার পর যেন তাকে বার্লিনের বাগানে এমন ভাবে পোড়া হয় যেন মিত্রবাহিনী তার শরীরের কোন অংশ পায় না। হিটলার ইভাকে নিয়ে একটি কক্ষে গেলেন, কিছুক্ষন পর বুলেটের শব্দ হয়। হিটলার আর ইভা দুজনেই মারা যান। তাদেরকে বাগানে এনে পোড়ানো হয়। মিত্র বাহিনী কিছুক্ষণ পরেই বার্লিনে ঢুকে। তবে তাঁরা হিটলারের দেহের কোন অংশ খুজে পায়নি।
>>>>>হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। হিটলার তার উইলে বলে গেছেন যে আগামী সময়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে দোষারোপ করতে পারবেনা। তিনি ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিকেই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
♦হিটলারের #হারের #কারন:
হিটলার বিমান যুদ্ধে মার্কিন বিমানবাহিনী আর রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর তোপ তিনি সামাল দিতে পারেননি। হিটলারের নিজেরও শক্তিশালী বিমান বাহিনী ছিল, কিন্তু ভুলবশত হিটলার কোন প্রযুক্তির বিমান ব্যাবহার করবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
♦জাপানে পারমানবিক বোমা হামলা:
জাপান তখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও জাপান কর্ণপাত করছিল না। জাপানকে এই ভুলের পরিণাম আজো সহ্য করতে হয়। মার্কিনরা ততদিনে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার করে ফেলছে।
#হেনরি ট্রুম্যান জাপানে পারমানবিক আক্রমণের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমানবিক বোমাটি ফেলা হয় এবং তার তিন দিন পরে ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক বোমাটি ফেলা হয়।
#আর এতেই নাকাল হয় জাপান। এর কিছুদিন পর ১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপান শর্তহীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে। শেষ হয় এক অধ্যায়ের। ততদিনে খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল জাপানের জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় হিটলারের চরম পরিনতির মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬ কোটি মানুষ এতে প্রান হারায়। যার মাঝে ১ কোটি ৪০ লাখ রাশিয়ান ছিল। এ যুদ্ধে বিশ্ব প্রথমবারের মত পরমানু অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখল।জাপানকে একরকম পঙ্গু করে দেয়া হয়েছিল। জার্মানি মাথাচাড়া আর দিয়ে দাঁড়াতে পারিনি, সেই সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসণ করছে আজ।
♦#ভারতের অবস্থান:
ভারত তখন ব্রিটিশ #কলোনি ছিল। তাই ভারত এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করে। ভারতের সব খাদ্যসামগ্রী যুদ্ধের জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। আর এতেই ভারত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পরে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।
#নেতাজী সুভাষ চন্ড্র বোস হিটলারের সাথে সাক্ষাত করে হিটলারকে ভারত #মুক্ত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু দুরত্বের কথা ভেবে হিটলার ভারতে সেনা প্রেরণ করেননি।হিটলারকে রাশিয়া ফ্রন্ট খুলতে বারণ করেছিলেন নেতাজী। কিন্তু হিটলার নেতাজীর কথা শুনেননি।
♦দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে গতিতে শুরু হয়েছিল অনুরুপ গতিতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু এটাই ইতিহাসের শিক্ষা যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। যদি মানুষ ইতিহাসের এই ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিত,তবে চলমান বিশ্বে এত সংঘাত আর অশান্তি থাকত না।
যুদ্ধ কাউকে #বিজয়ী হতে দেয় না। কারণ যুদ্ধে বিজয়ীর ক্ষতি বিজিতের তুলণায় খুব একটা কম হয় না।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটা #উপকারে এসেছে। আর তা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা ব্রিটিশ #উপনিবেশগুলোর মানুষ আজ #মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছে।
By
সৌরভ দেবনাথ
MBA
SUST
N.B. কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না।

===============================
তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি :
#আফগানিস্তান সংকট -#Afghanistan crisis
#ভারত-আফগানিস্তান -#সম্পর্ক
#মার্কিন আগ্রাসন, #তালেবান ইস্যু
♦ এই বিশ্বকে যদি একটা বিশালাকার প্লেট ধরা হয় তবে আফগানিস্তান হবে সেই প্লেটে রাখা এক টুকরো রুটি।
>>সেই রুটি ছিঁড়েখুঁড়ে খাবার জন্য বিশ্বের ক্ষুধার্ত জাতিগুলো বারংবার আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু আফগানিস্তান পিচ্ছল মাছের মতই বরাবরেই হাত ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
>>আফগানিস্তানের নাকে দড়ি লাগাতে গিয়ে নিজেই নাকে খত দিয়ে যেতে হয়েছে বিশ্বের অনেক সাম্রাজ্যকে। আফগানিস্তানকে বলা হয় The #graveyard of dynasty.
আজ আফগানিস্তানের ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সংকট নিয়ে নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦প্রথমত,
>>আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি #স্থলবেষ্টিত দেশ(landlocked country).
এই দেশটি স্থলপথে বাণিজ্য করার জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে একে হস্তগত করতে বড় বড় দেশ আর বিশাল বিশাল সেনাবহর যুগে যুগে আক্রমণ করেছে।
>>আফগানিস্তান প্রাচীন ভারতীয় মানচিত্রে গান্ধার রাজ্য নামে পরিচিত ছিল।
>>আফগানিস্তান পার্বত্যময় একটি দেশ। সমগ্র দেশে উঁচু পাহাড় দেশটিকে শত্রুদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
>>প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেলের প্রাচুর্য আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির লোলুপ দৃষ্টি থেকে এড়াতে পারেনি।
>>আফগানিস্তান এর পাশে পাকিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান এসব দেশ রয়েছে।
♦দ্বিতীয়ত,
>>#আফগানিস্তানে আগ্রাসন :
আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে এগিয়ে এসেছে এমন কয়েকজন নেতার মাঝে সর্বপ্রথম আসবে মেসোডেনিয়ার অধিপতি আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নাম।
>>কিন্তু তিনি আফগানিস্তানকে মুঠোয় পুরতে সক্ষম হননি। খাইবার পাস দিয়ে তিনি এর পর ততকালীন ভারতে প্রবেশ করেন।
♦তৃতীয়ত,
>>#আধুনিক যুগে আফগানিস্তানকে তালুবন্দী করতে যে কয়েকটি দেশ এগিয়ে আসছে তার মাঝে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য #ব্রিটিশদের নাম।
>>> ১৮৩৯ সালে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে।
>>সারা ধুনিয়া চষে বেরালেও আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা দারুণ নাকানিচুবানি খেয়েছে। সুবিধা না করতে পেরে ১৮৪২ সালে তারা সরে দাঁড়ায়।
>>আধুনিক যুগে ততকালীন #সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পর আফগানিস্থানে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করে।
>১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিছুদিন যুদ্ধ করার পরে তারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে।
>>এর কারন হচ্ছে আফগানিস্তান স্বদেশী শক্তি দ্বারা শাসিত হতে পছন্দ করে। ভীনদেশী শক্তি আফগানিস্তান শাসন করুক এটা আফিগানরা কখনো চায়না। আফগানিস্তান রাশিয়াকে অপবিত্র দেশ জ্ঞান করে। আফগানিস্তান কখনো চায় না যে তাদের পবিত্র ভূমিতে রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদ বিকাশ লাভ করুক।
চতুর্থত,
>>#মার্কিন আগ্রাসন :
আফগানিস্তানে এরপর আসে আমেরিকানরা।
>>২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মার্কিনীরা আফগানিস্তানে আক্রমণ করে।
>>লাদেনকে আশ্রয় দানের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারা আফগানিস্তানে সেনা প্রেরণ করে।
>>গত ১৭-১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানে তারা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
♣♣ >>কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে মার্কিনরা নিজেও জানেনা এর শেষ কোথায়? তালেবান শক্তি মার্কিন সেনাদের সমূলে উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যের কিছু সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে শায়িত আছেন।
♣♣>>ওবামা তার শাসনামলে বুদ্ধিমানের মত আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প অদূরদর্শী শাসকের মত ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন কর্মসূচী এগিয়ে নিচ্ছেন।
♣♣>>এর পরিণাম একই হবে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে বৃথাই আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে প্রান হারাবে।
♣♣>>মাত্র ১১০০০ মার্কিন সেনা নিয়ে ট্রাম্প আফগানিস্তান দখল করতে চাইছেন। এটা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতই কাজ। আফগানিস্তানে তালেবান সেনাদের সাথে ট্রাম্প লড়ে চলেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সংঘাতে না মার্কিনরা জিতবে না তালেবানরা সমুলে ধ্বংস হবে।
♣♣>>আফগানিস্তানের সাধারণ জনগনের মনে তালেবানদের প্রতি একটি বিশেষ দুর্বলতা আছে। কারন তালেবানরা আফগান ভূমিকে ভালোবাসে।
♣♣ >>১৯৯৬ থেকে-২০০১ এ সময়ে তালেবান সরকার জনগনকে অনেক দিয়েছে। ঘৃণা করে বিদেশী হস্তক্ষেপকে। তালেবানদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বললে কথাটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। কারন তালেবানরা গত দুই যুগ ধরে আফগান ভূমিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ আর পুতুল সরকারের বিরোধিতা করে আসছে।
♣♣তবে তালেভানদের যুদ্ধকৌশল অনেকটা #ইন্সারজেন্সি টাইপের। যদি নিজের ভূমি রক্ষা করার জন্য কাউকে সন্ত্রাস বলা হয় তবে অন্যের ভূমি গ্রাসকারীদের (মার্কিন) আমরা কি বলতে পারি।
♣♣অবশ্য এ কথা স্বীকার করতেই হবে তালেবানদের সবচেয়ে বড় ভূল ছিলো ৯/১১ এর মূলহোতা লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া।
♣♣এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।
♣♣সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগে তারা এই আগ্রাসন চালায় ঠিকই কিন্তু এরপরে আমেরিকা আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মোড়ল হয়ে পড়ে। তালেবানরা এই বিষয়টা সহজ ভাবে দেখেনি।
♣♣যদি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগেই আমেরিকা একটি দেশকে আক্রমণ করা যৌক্তিক মনে করে তাহলে তো সর্বপ্রথম প্রতিবেশী কানাডাকে আক্রমণ করা উচিত।
>>কারন কানাডায় অনেক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমেরিকা বাড়ির উঠান পরিষ্কার ঠিকই রাখছে।
♣♣এই একটি মাত্র অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও তাদের অন্য অনেক উদ্দেশ্য ছিল যা বিগত দেড় যুগ ধরে আমেরিকা ভোগ করছে।
♣♣>>আফগান তেল খনিতে আমেরিকার ভীষন লোভ ছিল।
♣♣>>তাই হামিদ কারজাই কিংবা বর্তমানের আশরাফ গানি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা কেবল আমেরিকার কথার প্রতিধ্বনি করেই গেছেন।
♣♣বিশ্ব মিডিয়া তালেবানদের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরগরম প্রচারণা চালিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ তারা তালেবানদের অনেক কর্মকাণ্ড অতিরঞ্জিত করে প্রচার করেছে।
♦পঞ্চমত,
#প্রতিবেশী দেশগুলীর সাথে আফগানিস্তানের কেমন সম্পর্ক?
♦পাকিস্তান:
>>বর্তমানে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলছে। কিছু দিন আগেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের হাতে ১১ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এটা এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
>> তবে আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্থানের সম্পর্কের রুপ ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। আফগানিস্তান সরকারকে ঠিকই পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
>>রাশিয়া হোক বা আমেরিকা, আফগানিস্তানকে কাবু করতে সবাইকে পাকিস্তানের #দ্বারস্থ হয়েছে।
>> এর মূল কারন পাকিস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান। আফগানিস্তানে কোন #সমুদ্রবন্দর না থাকায় #পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেনা প্রবেশ করিয়ে আফগানিস্তানে প্রেরণের কাজটি সবাই করেছেন।
>>তাই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে পাকিস্তান অন্যতম বড় #নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
♦ভারত
>>>আফগানিস্তান ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছে। ভারত আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় #বিনিয়োগকারী দেশ।
>>ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩ #বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
>>ভারত আফগানিস্তান এবং #তুর্কমেনিস্তান থেকে তেল আমদানি করে নিজেদের বিশাল জনসংখ্যার তেলের চাহিদা পূরন করে। এছাড়া ভারত আফিগানিস্থানে সেনা #প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
>>>#ভারত আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী পাঠাবে এমন গুজব শোনা যায় প্রায়ই।
>>>>কিন্তু কথা হচ্ছে যেযে ভারত ভালো করেই জানে যে আফগানিস্তান সেই বিশাল হাতির পা যা কুমিরের মুখে এলে কুমির না একে খেতে পারে না ছাড়তে পারে। তাই ভারত কুমির হয়ে এই হাতির পা মুখে নিতে যাবেনা।
>>#ভারত যদি ভূল করেও আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়ও তবুও ভারত কখনোই আফগানিস্তানকে গ্রাস করতে পারবে না।
>>যে কাজটি আগেই বড় বড় সাম্রাজ্যের মহাবলশালী যোদ্ধারাও করতে পারেননি ভারত সেটা করতে পারবে না।
>>>আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের কোনকালে আফগানিস্তান দখলের ইচ্ছা ছিলনা আর হবেও না। আপাতত ভারত আফগানিস্তানে ব্যাবসায়ে বেশি মনযোগী।
>>>আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে আগ্রহী নয় ভারত। হয়ত এর পেছনে ভারতের ইতিহাস কাজ করছে। ভারত গত শতাব্দী অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিয়েছে। তাই এই শতাব্দীতে ভারত কোন প্রকার অমিমাংশিত পরিস্থিতির দিকে যেতে চাইবে না।
>>>তবে নয়াদিল্লী এক্ষেত্রে কাবুলকে সন্ত্রাস দমনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
♦চীন:
চীন আফগানিস্তানে ঘাটি নির্মানের জন্য এক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যদি চীন তা করে ফেলে ভারতকে তা অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে।
ষষ্ঠত,
প্রশ্ন আসতে পারে #আলেকজান্ডার, #ব্রিটিশ সেনা,#রুশ সেনা, #আমেরিকার সেনারা আফগানিস্তানে কেন সফল হতে পারেনি?
♣♣>উত্তরটা অনেকটা এরকম পার্বত্য ময় দেশ হবার কারনে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা নিয়ে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানে সেনা প্রবেশ করানোর জন্য কোন সমুদ্র বন্দর না থাকায় #পাকিস্তানকে ব্যাবহার করতে হয়। এই রাস্তা বড়ই দূর্গম আর পাথুরে।
♣♣আফগানিস্তান মাঝারি আকৃতির একটি দেশ। তাই একে বশে আনতে হলে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাতে হবে। খন্ড খন্ড যুদ্ধে আফগানিস্তানকে নাকাল করা যাবেনা।
♣♣আফগানিস্তানে এলাম, দেখলাম,জয় করলাম এই নীতি চলেনা। আফগানিস্তান দখল করতে হলে পুর্ণশক্তিতে যুদ্ধ করতে হবে।
♣♣কয়েক হজার সৈন্য আর কয়েকটা বোমা মেরে আফগানিস্তানকে দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু দখল করা যায়না।
♣♣আফগানি সেনারা আত্মগোপন করার মত অনেক সুযোগ পায়। তাই তাদের সনাক্ত করাটাই এসব দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
♣♣উপরন্তু উঁচু পর্বত থেকে হঠাৎ ঝ্বটিকা আক্রমণ শত্রুদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
♣♣ আর আফগানিস্তান নিজেদের দেশাত্মবোধ বিদেশী শক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়না।
Prepared By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন না

============================
#বিসিএস রিটেন- #সিলেক্টেড টপিক
#মালদ্বীপ সংকটের #আদ্যোপান্ত
#চীন- #ভারত- #মালদ্বীপ #ফ্যাক্ট
২০১৮ সালে এশিয়ার ভু-রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি দেশের মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপের নাম। আজ এই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকটের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
♦যেকোন সংকট সম্পর্কে জানার আগে তাদের মাস্টারমাইন্ডদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। মালদ্বীপের এই সংকটে নিজেকে জড়িত করার পুর্বে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে ধারনা নেয়া যাক....
♦#ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম:
ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মালদ্বীপের বর্তমান এবং ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎ ভাই। ইয়ামিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে। তার দলের নাম হচ্ছে #প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপ।
♦মাহমুদ নাশিদ:
নাশিদ মালদ্বীপের সাবেক তরুণ প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ #ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণধার তিনি। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নাশিদ ক্ষমতায় ছিলেন।
নাশিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি লিভারপুল ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। পাশ্চাত্যের সাথে নাশিদ খুব ভালো ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
নাশিদ ২০১৫ সালে ইয়ামিন সরকার কর্তৃক বন্দী হন। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইংল্যান্ড অবস্থান করছেন।
♦মামুন আব্দুল গাইয়ুম:
তিনি দীর্ঘদিন (1978-2008) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম তার সৎভাই। মামুনের দলের নাম প্রোগ্রেসিভ পার্ট অফ মালদ্বীপ। ২০০৮ সালে নাশিদের কাছে ক্ষমতা বদল হয় মামুনের।
♦♦মালদ্বীপের শাসনব্যবস্থা :
>> মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারি ব্যাবস্থা চলছে।
>>মালদ্বীপের পার্লামেন্টের নাম মজলিশ। বর্তমানে মজলিশের আসন সংখ্যা ৮৫।
>>মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাইদ।
$$ চলমান মালদ্বীপ সংকট:$$
মালদ্বীপ সংকটকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য এই লেখাটিকে ছোট ছোট কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করেছি। শুরু করা যাক তবে.........
প্রথমত,
মালদ্বীপ এমন একটি স্থানে রয়েছে যেখানে ভারত মহাসাগর আর আরব সাগরের মাঝে একটা যোগসুত্র তৈরি হয়। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ মালদ্বীপের প্রায় ১২০০ ছোটবড় দ্বীপের সুবিধা ভোগ করে। মালদ্বীপ নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এই জাহাজ গুলোকে। তাই মালদ্বীপকে হাতের মুঠোয় পেতে চীন, ভারত, জাপান এই এশীয় দেশগুলো মরিয়া হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
মালদ্বীপ বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে নাশিদ অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন এবং সেখানেই তিনি ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে চাইছেন।
তৃতীয়ত,
এই রাজনৈতিক সংঘাত আরো জটিল হতে শুরু করে যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে রায় দেয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট তাদের মুক্তি দিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আটক করে নেওয়া হয়। একই সাথে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
চতুর্থত,
দেশটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট কি বলছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের হাফ-ব্রাদার সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম বিরোধী পক্ষের সাথে রয়েছেন। আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ এই ঘটনায় ভারতীয় মিলিটারির সহায়তা কামনা করছেন।
পঞ্চমত,

ভারত কি বলছে?
>>>>ভারত মালদ্বীপকে সবসময় নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করে। এটা এমন একটা জায়গা যা ভারতের জন্য strategically খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সব সময়ই মালদ্বীপকে নিজের বাড়ির উঠানের মত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখে।
>>>>>শুরুতে ভারতের সাথে ইয়ামিন সরকারের সম্পর্ক ভালোই ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ (২০১৩) নেওয়ার পরে ইয়ামিন ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম ভারতেই সফর করতে আসেন। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় চীনের সিল্ক রোড চুক্তিতে মালদ্বীপের স্বাক্ষর করা নিয়ে। পাশাপাশি চীন মালদ্বীপে বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করলে ভারতের সাথে মালদ্বীপের ইয়ামিন সরকারের বৈরিতা শুরু হয়।
>>>>>>২০১৫ সালে মোদি যখন মরিশাস আর শ্রীলঙ্কা সফর করেন তখন মালদ্বীপ সফরের কথাও ছিল। কিন্তু মোদি মালদ্বীপের এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সফর বাতিল করেন।
>>>>>সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট নাশিদ সহ ৯ জন রাজবন্দী মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৩ জন বিরোধী দলীয় দায়িত্বচ্যুত পার্লামেন্ট মেম্বারকে পুনরায় তাদের স্বপদে ফিরে যেতে রায় দিয়েছে। এতে করে ৮৫ সদস্যবিশষ্ট পার্লামেন্টে ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তাই সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেছে।
>>>ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় মেনে নিতে বলছে। কিন্তু ইয়ামিন প্রশাসন বলছে এতে ভারতের নাক না গলানোই ভালো।
>>>>তবে ভারতের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তারা অপেক্ষায় আছে নির্দেশের। উল্লেখ্য এর আগেও ভারত ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা পাঠিয়েছে। এবার তারা কি করে সেটা সময় বলবে।
>>>মালদ্বীপ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যার মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। ভারত এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং অবিলম্বে এই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।
ষষ্ঠত,
চীন কি বলছে?
>>>চীন ভারত মহাসাগরে ভারতীয় আধিপত্য রুখতে মালদ্বীপকে উত্তম ঘাটি বানাতে উঠেপরে লেগেছে। চীন মালদ্বীপকে তাদের বেল্টে আনতে মালদ্বীপে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে। চীন মালদ্বীপে কেবল বাণিজ্য করার জন্যই ইনভেস্ট করেনি। এই বিনিয়োগে চীন মালদ্বীপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। চীন মালদ্বীপে ভারতীয় ডমিনেশনের জবাব দিতে গাইয়ুম সরকারকে দারুণ সাপোর্ট দিচ্ছে।
>>>>সম্প্রতি পাকিস্থানের আরব সাগর তীরবর্তী বেলুচিস্তানে চীন সমুদ্রবন্দর বানালে তার জবাবে ভারত মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে ইরানের চবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে চীন ভারত সমান সমান আধিপত্য বজায় রাখবে। এ জন্য চীন মালদ্বীপে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত মহাসাগরে একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।
>>>এর প্রমাণ হচ্ছে ভারত মহাসগরে চীনের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি। চীন ভারত মহাসাগরে তাদের শক্তিশালী নৌ-বহর সাজিয়ে রেখেছে যেখান থেকে মালদ্বীপ ঢিল ছুড়ার মত দুরত্বে রয়েছে।তাই ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে চীন তার শক্ত জবাব দেবে। তাই উভয় দেশ এই সংকটের মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
♦সপ্তমত,
যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে?
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আর আগ্রহী বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ -পুর্ব এশিয়াতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ কমে গেছে। তবে আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে বলেছে।
এক নজরে-----------
♦মালদ্বীপের বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতার
♦সুপ্রিম কোর্ট রাজবন্দীদের মুক্তির রায় দিয়েছে
♦সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আটক
♦ভারতীয় মিলিটারি হস্তক্ষেপ চান সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ
♦মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অবৈধ ঘোষণা সুপ্রিমকোর্টের।
♦প্রস্তুত ভারতের সেনা।
♦প্রস্তুত চীনা যুদ্ধজাহাজ
== By====
=সৌরভ দেবনাথ সাগর=
==MBA=
== SUST=
বি:দ্র: কার্টেসি ছাড়া অন্য কোথাও দিবেন

No comments:

Post a Comment

৯ম-১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান #১ম অধ্যায়(১-৬০) #২য় অধ্যায়

# ১ম অধ্যায়(১-৬০)। ১।প্রাণীদেহে শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন - ৫০%। ২।খাদ্যের উপাদান - ৬টি। ৩।আমিষের গঠনের একক - অ্যামাইনো এসিড। ৪।মানব...

Trending